সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী গত সন্ধ্যায় পতিত হইছে দুর্যোধন। তার মানে যুদ্ধ শেষ। নকুল নিশ্চয়ই এই ভোরবেলা উপপ্লব্য নগরে আইসা উপস্থিত হইছে দ্রৌপদীরে সম্রাজ্ঞীর সংবর্ধনায় নিয়া যেতে...
নকুলরে উপপ্লব্য নগরে আসতে দেইখা এমনই ভাবে দ্রৌপদী। কিন্তু তার কোনো কথার উত্তর না দিয়া নিঃশব্দ নকুল যখন তারে নিয়া আইসা পাণ্ডব শিবিরে পৌছাইলে সে পয়লা ধাক্কাটা খায়। সামনে তার দুই ভাইয়ের লাশ...
এই যুদ্ধে আগে গেছে তার বাপ। ভীষ্ম আর দ্রোণের লগে লড়াইতে যাদের কিছু হয় নাই তার সেই দুই ভাই খুন হইল যুদ্ধের পর...
দ্রৌপদী কান্দে। দ্রৌপদী চিল্লায়। দ্রৌপদী প্রশ্ন করে কিন্তু নিঃশব্দ পাণ্ডবগো ভিতর থাইকা ভীম তারে ধইরা অন্যদিকে নিয়া যায়। ভীম বরাবরই তারে সকল শোক থাইকা সরাইয়া রাখে। কিন্তু এইবার ভীম তারে ভাইদের লাশের কাছ থিকা নিয়া গিয়া ফালায় শোকের অন্য এক সাগরে...
তার পাঁচ পাঁচটা পোলাই গতরাইতে খুন হইছে ঘুমে...
এইবার আর চিৎকার করতে পারে না দ্রৌপদী। এইবার আর কোনো প্রশ্ন নাই তার মুখে। তার মাথাটা শুধু চক্কর দিয়া চাইরপাশে ঘনাইয়া আসে অন্ধকার...
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ১০ [দুর্যোধন]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৯ [কর্ণ ৪]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৮ [দ্রোণ]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৭ [কর্ণ ৩]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৬ [কর্ণ ২]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৫ [কর্ণ]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী। পর্ব ৪
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ৮
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ৭
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ৬
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ৫ [ঘটোৎকচ ৩]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। [পর্ব ৪: ঘটোৎকচ ২]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। [পর্ব ৩: ঘটোৎকচ]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ২
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ১
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী [পর্ব ৩]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী [পর্ব ২]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ২। কুন্তী [পর্ব ১]
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ১। সত্যবতী
মন্তব্য
ই কিজাত পোস্ট? ১১ লাইনে শেষ!!!
মানলাম না।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
১১ লাইন পইড়া আরাম না পাইলে নীচের লিংক গুতাইয়া পড়তে থাকো। বাকিটা আসিতেছে
ভালো লাগলো হোকনা এগারো ক্ষুদ্র, দারুন উৎকন্ঠা দেখা যাচ্ছে, চলুক .. .. ।
শিখন্ডি কি ভাই ছিল ?
তো কি শিখণ্ডীরে মাইয়া বা ছাইয়া আশা করছিলেন নাকি? বিবাহিত এই ব্যাডার রীতিমতো পোলাপান আছে
না ,মানে সিরিয়ালে তো মাইয়া ছাইয়াই দেখাইছিল ।আমার কি দুষ ,লীলেন্দা ?
আপনের দুষ হইব ক্যান? সিরিয়াল অত বীর আর সুন্দরী দেখায় যে চোখের ভেরিয়েশনের লাইগা মাঝে মাঝে তাগো অন্য দিকে যাইতে হয়। তবে মহাভারতে কিন্তু শিখণ্ডীরে খাপছাড়াভাবে ছাইয়া কওয়াও হইছে; গল্পে এইগুলা আনি নাই; বইয়ের ভূমিকায় বিস্তর প্যাচাল পাড়ছি এইসব নিয়া
মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ০ । সূচীপত্র
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ। লেখা থাইকা সূচিপত্রই লম্বা। তয় দ্রৌপদীর শেষটা করতে চাইছিলাম মাত্র দুইটা লাইন দিয়া; পারি নাই। আবার টেরাই দিমুনে
লীলেন ভাই, মহাভারত নিয়ে আপনার এই প্রচেষ্টার সবগুলো নাহলেও কিছু কিছু লেখা পড়েছি। এক কথায় ঝরঝরে, সুখ এবং সহজপাঠ্য, বিশেষ করে কথ্য ভাষার কারণে।
মহাভারত কিংবা যেকোনো পুরাণ নিয়ে লিখা অত্যন্ত দুরূহ কর্ম। অভিনন্দন আপনাকে এমন দুরূহ একটি কাজ করবার জন্যে এবং বই আকারে তা প্রকাশের জন্যে। পুরাণ নিয়ে লিখা কোনো বইয়ের পাঠক একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর। ধার্মিক কেউ সেসব পড়ে ধর্ম পালন করবে না, প্রেমিক তার প্রেমিকার হাতে এমন বই গুঁজে দেয় কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ আছে। মনে রাখতে হবে এটি রাজশেখর বসু অনুবাদিত কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের মহাভারত নয়, এমনকি ধীরেশ্চন্দ্র ভট্টাচার্যের গবেষণামূলক বইও নয়। ধীরেশ বাবু মহাভারতের অনেক সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যেমন কলসিতে সংরক্ষিত বীর্য হতে জন্ম নেয়া শত সন্তান তার কাছে টেস্ট টিউব বেবির একটি উদাহরণ। মূল থেকে তিনি সরে আসেননি, বরং মূল কাহিনীই বিশেষ আকারে উপস্থাপন করেছেন, আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চেয়েছেন উদ্দেশ্যমুলক ভাবে। যাইহোক, বুদ্ধদেব বসুর 'মহাভারতের কথা' বইটিতে বেশ কিছু বিশ্লেষণ পাওয়া যায়, লেখকের নিজস্ব কিছু ভাষাও পাওয়া যায়, ভাবনাও পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের তথা পুরাণের অনেক চরিত্র তার লেখায় উপস্থাপন করেছেন। কর্ণ-কুন্তী, কচ-দেবযানী, গান্ধারী। ক্ষেত্রবিশেষে গল্প কিছুটা পাল্টেও দিয়েছেন; যেমন কচ-দেবযানীর বিদায় মুহূর্তের কথোপকথন। রবীন্দ্রনাথ একটু শৈল্পিক ও মার্জিত ঢঙে এঁকেছেন সে ছবি; কিন্তু মূলে তা ছিল না। অত্যন্ত কর্কশ বাক্যবিনিময়ের মাঝেই তাদের বিদায় পর্বটি ঘটে। যাইহোক, সেখানে নতুনত্ব ছিল, বুদ্ধদেবের রচনাতেও নতুনত্ব ছিল। কেননা, সেখানে লেখকের নিজস্ব বিচার ছিল। শুধু ঘটনার পর ঘটনা বলে যাওয়া নয়; বরং সেই ঘটনার সাথে লেখকের অভিব্যক্তিও ফুটে উঠেছে। বর্তমানে যারা মহাভারত নিয়ে লিখা (মহাভারতের অনুবাদ নয়) কোনো বই পড়তে আগ্রহী হবে, আমার ধারণা তারা অনেকেই মহাভারতের ঘটনাগুলো সম্পর্কে কমবেশি জানে। কাহিনীর ফাঁকে ফাঁকে তারা বিশ্লেষণ খুঁজবে। এ ধারণা একান্ত আমার নিজের। আমি ভুল হতেই পারি। আমরা হয়তো কেউ কেউ মহাভারত পড়েছি, কিন্তু আপনি পড়েছেন অন্যভাবে। এই ব্যাপক রচনাটিকে আপনি মস্তিস্কে ও হৃদয়ে ধারণ করেছেন; তাই আপনার লেখায় আমি বেশ খানিকটা বিশ্লেষণ আশা করেছিলাম, পেয়েছি স্বল্প। তথাপি, আপনার সম্পাদিত কর্ম ঈর্ষা জাগানিয়া।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সম্পূর্ণ একমত কথার সাথে। তবে দুইটা বিষয়ে আমার ভাবনা একটু ভিন্ন। পয়লা জিনিস হইল গল্পটা নতুন পাঠকদের জন্য্ও লেখা; বেশি বিশ্লেষণ দিয়ে কনফিউজ করতে চাইনি পাঠকদের। আর দ্বিতীয়টা হলো; বইয়ের কমপক্ষে ১০% সাইজের একটা ভূমিকা জুড়ে দিচ্ছি যেখানে বিশ্লেষণগুলা থাকবে অভিজ্ঞ পাঠকের জন্য
শেষ হয়ে গেল নাকি সিরিজটা
আর সামান্য বাকি
নতুন মন্তব্য করুন