কুরুযুদ্ধে নাকি অংশ নিছিল ১৮ অক্ষৌহিণী সৈনিক; যাগো লগে হাতিঘোড়াও আছে আরো আছে জোগানদার কবিরাজ দাসদাসী বাদ্যকার বাবুর্চি পশুরাখাল দোকানদার এমনকি বেশ্যাও। তো ১৮ অক্ষৌহিণীরে বর্তমান সংখ্যা দিয়া কনভার্ট করলে খাড়ায় ৪৭ লক্ষ চব্বিশ হাজারের মতো। এর সাথে অন্য লোকজন যোগ দিলে পুরা যুদ্ধে বলতে হয় আছিল ৫০-৫৫ লক্ষ লোক; এবং তারা নাকি যুদ্ধ করছে একটা মাঠেই...
দুনিয়াতে সেই যুগে অর্ধকোটি মানুষ খাড়াইবার মতো কোনো মাঠ আছিল কি না আমার জানা নাই। তার উপ্রে আবার সেই মাঠে ছুটছে ঘোড়া; দাবড়াইছে হাতি; উড়ছে তির। মানে মানুষগুলার মাঝখানেও কমপক্ষে কোয়ার্টার কিলো জায়গা ফাঁকা আছিল ধাওয়া দেওয়া আর নিজেগো চান্দি সুরক্ষার লাইগা। সেইখানে মানুষ হাজির হইছিল যেমন; তেমনি মরছেও বেশুমার। একেকজন বীর একেটা তির মাইরা একলগে দশ-বিশ হাজার মানুষ মাইরা ফালাইছেন। তলোয়ার দিয়া কোপাইয়া এক বেলাতেই মাইরা ফালাইছেন হাজার দশেক সৈন্য। আরে বাপ; যে কুড়ালি কুড়াল দিয়া গাছ কাটে সেও দিনে দশ হাজার কোপ বসাইতে পারে না নিরীহ নির্জীব গাছের উপর। আর সৈনিকরা নিশ্চয়ই গলা পাইতা খাড়াইয়া আছিল না; তারাও কোপাইছে; তারাও কোপ ফিরাইছে। তাছাড়া সেই সময় পুরা ভারতে অত মানুষ আছিল কি না সেইটা যেমন একটা প্রশ্ন তেমনি ইতিহাসবিদরা কন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন কোনো যোগাযোগ প্রায় আছিলই না যাতে রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে দুই পক্ষে অতগুলা মানুষ গিয়া জড়ো হইতে পারে। তয় যেহেতু এই মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সময়েই মহাভারত বিশাল আকার পাইয়া লিখিত হইছে; সেইহেতু মহাভারতের সংখ্যা রাজনীতি আর রাজনৈতিক ভূগোলটাও বোধ হয় রপ্তানি হইছে মগধের নন্দ সাম্রাজ্য থাইকা...
এতে অবশ্য মহাভারত পড়তে অসুবিধা হয় না; মাঝে মাঝে খালি বিরক্তি লাগে। তবে যেইখানে বলা হইছে অর্জুন তিরের বৃষ্টি চালায় সেইখানে ধইরা নিতে হইব যে একই ডিরেকশনে অর্জুনরে বাহিনী তিরাইতাছে। কারণ তির যুদ্ধের সাধারণ টেকনিকটাই হইল তাই; শত্রু নিশানায় আকাশের দিকে মুখ কইরা ঝাঁকে ঝাঁকে তির ফালাইয়া শত্রু বাহিনীরে ছত্রভঙ্গ করা। এই ক্ষেত্রে তির কাউরে টারগেট কইরা ছাড়া হয় না বরং তির ছাড়া হয় শত্রু বাহিনীরে টারগেট কইরা...
কুরুক্ষেত্রে সেই আঠারো দিনের যুদ্ধে নাকি বেশির ভাগ মানুষই মইরা গেছিল। সেই হিসাবে আঠারো দিনে যদি আঠারো অক্ষৌহিণী লোকের মরতে হয় তবে দৈনিক কমপক্ষে মরতে হয় আড়াই লক্ষর বেশি লোকের। এই পরিমাণ মানুষ যদি এক দিনে একটা মাঠে মরে তবে মরার গন্ধেই তো টিকা যাইব না কয়েক মাস। সেইখানে কেমনে বাকিরা হাইসা-খেইলা আঠারো দিন যুদ্ধ করে? তার উপরে আবার খাজুইরা আলাপও করে পিরিতি মাখাইয়া?
মহাভারতে আরেকখান গোলমাইল্লা সংখ্যা হইল গান্ধারীর গর্ভে ধৃতরাষ্ট্রের একশো পোলা। হইলে হইতে পারে অনেক বুঝাইতে শত ব্যবহার করছে কবিরা। আবার হইতে পারে রাজা যেহেতু অন্যগোও পিতা বইলা সম্মানিত হইতেন সেই হিসাবে ধৃতরাষ্ট্র তার বিশেষ বাহিনীরে পুত্র কইতেন আর তারাও তারে পিতা বইলা সম্বোধন করত। কারণ ভীষ্মের দাপটের সামনে ধৃতরাষ্ট্রের একটা নিজস্ব বাহিনী তখন অনিবার্য আছিল। হইলে হইতে পারে স্বয়ং দ্বৈপায়ন বিভিন্ন গ্রাম থাইকা আইনা একশোটা পোলা জোগাড় কইরা দিছেন ধৃতরে; সেইগুলা একলগে লাউয়ের খোলের দোলনায় দোল খাইত বইলা লাউ কাইট্টা পোলা জন্ম দিবার কাব্যিক কাহিনি জন্ম নিছে পরে। দাসীপুত্র যুযুৎসুসহ ধৃতরাষ্ট্রের একশো এক পোলার যে নামের তালিকাখান পাওয়া যায়; সেইটার মইদ্যে কয়টা আদৌ মানুষের নাম আর কয়টা খাইস্টা বিশেষণ তা দেখলেই বুঝতে পারা যায়...
এক নারীর পক্ষে সর্বোচ্চ কতটা সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব সেই প্রশ্নটা বাদ দিয়া গেলেও সন্তান যতটাই হউক মায়ে অন্তত সবগুলারে চিনব; সবগুলার কথা বলব; আর মরলে সবগুলার লাইগাই কানব; এইটাই সোজা হিসাব হইবার কথা। কিন্তু আমার যত দূর মনে পড়ে অত বড়ো মহাভারতে গান্ধারী চাইর-পাঁচটার বেশি পোলার নাম মুখেও আনেন নাই; আবার কান্দেনও নাই চাইর-পাঁচজনের বেশি পোলার মরণে। ...তো?
বয়স
কুরুযুদ্ধখান পুরাটাই রিটায়ার যাইবার বয়সী বুইড়াদের যুদ্ধ। অভাজনের মহাভারত লিখতে গিয়া কুরুযুদ্ধের সময় অত কারিশমার মহানায়ক অর্জুনের বয়স গল্পের খাতিরে মেকাপ-গেটাপ দিয়া কমাইতে কমাইতেও ৫৭ বছরের থাইকা কমানো সম্ভব হয় নাই আমার; যেইটা আবার একটু মেকাপ উঠাইয়া দিলে গিয়া খাড়ায় ৮০’র উপরে। অর্জুন থাইকা ভীম এক বছরে বড়ো; তার থিকা এক বছরে বড়ো যুধিষ্ঠির আর অর্জুনের এক বছর কইরা ছোট হইল যমজ নকুল সহদেব। কর্ণ যুধিষ্ঠির থাইকা কমপক্ষে চাইর বছর বড়ো; দুর্যোধন ভীমের সমবয়সী এবং কৃষ্ণের বয়স অর্জুন আর ভীমের মাঝামাঝি; কয়েক মাস এদিক-সেদিক...
কুরুযুদ্ধের সময় যাতে অন্তত অর্জুনের গায়ে তির-ধনুক চালাইবার তাকত রাখা যায় তার লাইগা আমি আমার পুস্তকে যুদ্ধের সময় ৫৭ বছর হিসাব ধইরা আগাইছি। কিন্তু তাতে আবার ঝামেলা বাঁইধা গেছে অন্যখানে। এই হিসাবে আগাইলে স্বয়ংবরার সময় দ্রৌপদীর বয়স গিয়া খাড়ায় মাত্র ৪ বচ্ছর; বুইঝেন কিন্তু। ...তো কেমনে আমি কুরুযুদ্ধে তিরাতিরির লাইগা অর্জুনের বয়স ৫৭-তে আটকাইয়া দিছি এইবার সেই হিসাবটা কই...
মহাভারতমতে পাণ্ডু মরার পর পোলাগো নিয়া কুন্তী যখন হস্তিনাপুর আইসা খাড়ায় তখন যুধিষ্ঠিরের বয়স ১৬। তারপরে মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের বয়স পাই যখন যুবরাজ হিসাবে তার অভিষেক হয় তখন সে ২৪। এক বচ্ছর যুবরাজগিরি কইরা বারণাবতে যাইবার সময় তার বয়স খাড়ায় ২৫। সময় উল্লেখ না থাকলেও বারণাবতে তারা কিন্তু বহু দিন বসবাস করে। ধরি কমপক্ষে ১ বছর। সেই হিসাবে জতুগৃহ পুড়াইয়া পাণ্ডবরা যখন হিড়িম্বের দেশে আসে তখন যুধিষ্ঠির ২৬। এইখানে হিড়িম্বার লগে ভীমের বিবাহ আর পোলা ঘটোৎকচের জন্ম হয়। এইখানে আড়েগড়ে আরো ১ বছর ধরলে জ্যাঠা যুধিষ্ঠির গিয়া খাড়ায় ২৭...
ঘটার জন্মের পর কুন্তী তার পোলাগো নিয়া মৎস্য কীচক ত্রিগর্ত আর পাঞ্চাল দেশ ঘুইরা একচক্রা নগরে আইসা বসবাস করে। ভীমেরে বক রাক্ষস মারতে পাঠাইবার আগে কুন্তী জানায় বহুকাল তারা এইখানে বসবাস করছে। বহুকাল মানে কতকাল জানি না কিন্তু বারণাবত থাইকা পাঞ্চালীর স্বয়ংবরা পর্যন্ত কমপক্ষে এক বছর ধরাই লাগে। কারণ মৎস্য দেশ মানে রাজস্থানের জয়পুর আর ড. অতুল সুর কন একচক্রা হইল বীরভূম। এই দীর্ঘ মানচিত্র হাঁটাহাঁটি কইরা পার হইতে ঘোড়ারও তো কমপক্ষে এক বচ্ছর লাগার কথা। তো যাই হোক; নায়কগো বয়স যখন কমাইতে বসছি তখন কমাইয়াই তারে ধরলাম এক বচ্ছর। তার মানে দ্রৌপদীর স্বয়ংবরার সময় যুধিষ্ঠিরের বয়স ২৮ আর অর্জুনের বয়স ২৬। এই পর্যন্ত নায়কেরা তরতাজাই আছে। তো আসেন এইবার বসি দ্রুপদের মাইয়া দ্রৌপদীর কুষ্ঠী গনায়...
দ্রুপদ মিয়া মাইয়ার বাপ হইল কবে? মহাভারত কয় দ্রুপদের মাইয়া হইছে কুরু পাণ্ডবের হাতে তার পরাজয় আর অর্ধেক রাজ্য হারাইবার পর। সেই ঘটনা ঘটে যুধিষ্ঠির যুবরাজ হইবার এক বছর আগে; মানে যুধিষ্ঠির তখন ২৩ আর অর্জুন ২১। তার এক বছর পর যখন অর্জুনের বয়স ২২ তখন ধৃষ্টদ্যুুের লগে যমজ হিসাবে জন্মায় দ্রুপদের মাইয়া দ্রৌপদী। এই হিসাবে দ্রৌপদী অর্জুন থাইকা কমপক্ষে ২২ বছরের ছোট আর বিয়ার সময় ৪ বছরের শিশু...
কিন্তু মহাভারতে কোথাও স্বয়ংবরার সময় দ্রৌপদীরে শিশু হিসাবে পাওয়া যায় নাই; তারে তরুণী যুবতিই কওয়া হইছে। অবশ্য সেই যুগে পিরিয়ড শুরু হইলেই মাইয়াগো যুবতি বইলা ধরা হইত। সেই হিসাবে স্বয়ংবরার সময় দ্রৌপদীর কমপক্ষে ১১-১২ বছর বয়স হইতেই হয়। আবার নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বাপের বাড়িতে দ্রৌপদীর যে বিদ্যাশিক্ষার ব্যাপ্তি আর বিবরণ দিছেন তাতে তার বয়স আরো বাইড়া কমপক্ষে গিয়া খাড়ায় ১৬-১৭। কিন্তু দ্রৌপদীর বয়স বাড়াইলে তো অর্জুনেরও বয়স বাড়ে। স্বয়ংবরায় দ্রৌপদীর বয়স ১১ ধরলে অর্জুনের হয় ৩৩ আর কুরুযুদ্ধের সময় গিয়া খাড়ায় ৬৪; মানে লাঠি ভর দিয়া হাঁটার বয়স। আর বিয়ার সময় দ্রৌপদীর বয়স আরো বাড়াইলে অর্জুনের বয়স কই গিয়া খাড়ায় তা নিজেরা হিসাব কইরা দেখেন..
স্বয়ংবরায় দ্রৌপদীরে যুবতি ধইরা নিতে হইলে পাণ্ডবগো বয়স আরো বাড়াইতে হয়; না হয় ধইরা নিতে হয় কুরু-পাণ্ডবগো হাতে রাজ্য হারাইয়া দ্রুপদের যজ্ঞমজ্ঞের ঘটনা হইল ভুয়া জোড়াতালি। মূলত দ্রুপদ যখন কুরু-পাণ্ডবগো হাতে ধরা খায় তখনো তার পোলা-মাইয়া বেশ বড়োসড়ো আছিল। কেউ কেউ কন কুরুযুদ্ধে ব্রাহ্মণ দ্রোণের মরা জায়েজ করার লাইগা পরবর্তীতে ধাম্মিকেরা দ্রুপদরে দিয়া যজ্ঞমজ্ঞ করাইছেন; যাতে তার পোলা ধৃষ্টদ্যুম্নের হাতে দ্রোণ মরায় পাণ্ডবরা যেমন কোনো ব্রহ্মহত্যার পাপে পাপিষ্ঠ না হয়; তেমনি পরবর্তীতেও কেউ যেন বামুনের দিকে অস্ত্র তোলার সাহস না করে। কারণ মহাভারতসূত্রমতে ব্রাহ্মণ হত্যা মানে পুরা গোষ্ঠীর নরকযাত্রা; একমাত্র দ্রুপদের পোলা ধৃষ্টদ্যুুম্ন ব্যতিক্রম; কারণ যজ্ঞ থাইকা সে ব্রাহ্মণ মারার অনুমতিপত্র নিয়া জন্মাইছে। তবে নকুল সহদেবের লগে দ্রৌপদী যেভাবে মায়ের মতো আচরণ করে; যেভাবে অর্জুন আর কৃষ্ণের লগে সমবয়সীর মতো বইসা আড্ডাটাড্ডা মারে আর দ্রৌপদীর যমজ ভাই ধৃষ্টদ্যুুম্ন যেভাবে ভীমেরে পর্যন্ত নাম ধইরা তুমিতামি কইরা কথাবার্তা কয় তাতে মনে হয় দ্রৌপদী বরং অর্জুনের থাইকা বয়সে বড়োই...
এইবার আগাই কুরুযুদ্ধকালে পাণ্ডবগো বয়সের দিকে। বিয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর যুধিষ্ঠির রাজা হয় ২৯ বছর বয়সে। তারপর ১৬ বছর রাজাগিরি কইরা শকুনির লগে পাশা খেইলা যখন নেংটি পর্যন্ত হারায় তখন তার বয়স ৪৫। তারপরে ১২ বছর বনবাস ১ বছর অজ্ঞাত বাস আর ১ বচ্ছর যুদ্ধের প্রস্তুতি। কয় বছর হইল? যুধিষ্ঠির ৫৯ আর অর্জুন ৫৭...
অর্জুনের বয়স বাড়লে কিন্তু কর্ণের বাড়ে কমপক্ষে ৬ বছর; অশ্বত্থামার বাড়ে ৮-১০ বছর; অশ্বত্থামার বাপ দ্রোণেরও বাড়ে; আর সবচে বেশি বাড়ে সর্বপ্রধান মহানায়ক ভীষ্মের বয়স। ভীষ্ম হইলেন অর্জুনরে বাপ পাণ্ডুর বাপ বিচিত্রবীর্য থাইকা কমপক্ষে ৩০ বছরের বড়ো; দ্বৈপায়নের মা সত্যবতীর বয়সের কাছাকাছি; সেই হিসাবে কুরুযুদ্ধের সময় ইনার বয়স ব্যাটারি খুইলাও ক্যালকুলেটারে তিন ডিজিটের নীচে আনা অসম্ভব...
মহাভারতের মহাভজঘট ০২: কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
মহাভারতের মহাভজঘট ০১: ঘটনাকাল
মন্তব্য
লোক গণনায় মনে হয় মাল্টিপ্লিকেশন ফ্যাক্টর ব্যবহার করছে
ঐযুগে লুকজন অনেক বেশি দিন বাঁচতো বলেই প্রচার, সেই হিসাবে ৮০ তো যৌবন কাল
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ফ্যাক্টর ফুক্টর না; কবিরা এ্যাকাউন্টেন্টের কাম নিলে যা হয় তাই হইছে আর কি
০২
হ। আমাগো হুমু এরশাদও তো এখনো যুবক
লীলেন দা আপনারও দেখি মাথা গুলাই গেছে মনে হয় এই মহাভারতের চরিত্রগুলার বয়স বাইর করতে, আমার মত সাধারণ মানুষের কথা বাদ দিলাম। তারপরও আপনার এই শ্রমকে অনেক শ্রদ্ধা।
খালি আমি ক্যান? ক্যালকুলেটারের পর্যন্ত মাথা বিগড়াইয়া গেছে ভীষ্ম আর দ্বৈপায়নের বয়স হিসাব করতে গিয়া
আপনার শেষ লাইনটা পড়তে গিয়ে পেটে এমন খিল লাগল যে নারিকেল তেল দিয়েও খুলতে পারছি না ......বয়সের এই নিখুঁত বিশদ হিসাব আমি না করলেও ভীষ্মের বয়সের মতো সাধারণ কিছু টুকটাক করেছিলাম একদা....আপনাকে স্যালুট
ঠিক এ ধরনের বয়স সংক্রান্ত বেশ কিছু অসমর্থিত কিন্তু লিপিবদ্ধ সূত্রের কারণেই আমি গত পোষ্টে বলেছিলাম যে প্রাচীন মানুষের আয়ুস্কাল বেশি ছিল....বিজ্ঞান সম্মত না কিন্তু ভীষ্মকে যদি মহাভারতে বৃদ্ধ বলা হয় এবং বালক অভিমন্যু ঐ বয়সে বাবা হয়ে যায়- তাহলে অর্জুন-কর্ণ-দুর্যোধন কিন্তু কুরুক্ষেত্রে যৌবনেই গড়াগড়ি খাচ্ছিল বলা যায়.....আর দ্রৌপদীর বিষয়টাও মনে হয় কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য হয়
ভজঘট চলতে থাকুক.....সাথে আছি
হ। ভীমের পোলার ঘরের নাতি অঞ্জনপর্বা যখন কুরুক্ষেত্রে গদা দিয়া অশ্বত্থামারে পর্যন্ত দাবড়ায় তখন ভীম আর ভাইদের তো উঠতি যৌবনই বলা যায়
পুরাণ-মিথলজিতে মনে হয় লোকের বয়স একটু বেশিই হয়। পুরাণেই না আছে যযাতি নামের এক রাজা তার ছেলের কাছ থেকে জোয়ানি ধার কইরে এক হাজার বছর সম্ভোগ করসিলেন। এক হাজার বছরের ডেটার ভিত্তিতে তিনি ডিসিশন নেন যে সম্ভোগে নাকি তৃপ্তি আসে না! তা হইলে বুঝেন জোয়ানি ধার করার আগে সেই লোকের বয়স কত হইতে পারে!
Emran
হ। ইনাদের বয়সও বেশি আবার বয়সি জিনিসপত্রের ধারও বেশি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লীনেন দা আমি খুব দু:খে আছি । আমার কোনো কমেন্ট ই প্রকাশ পাচ্ছে না ক্যান?এই জন্য মন খারাপ। অনেক লেখাতে অনেক অনেক কমেন্ট করছি বাট কোনটাই.........
----------
রাধাকান্ত
এই কমেন্টেতো আসলো। আগে্ও তো আপনার কমেন্ট পাইছি। তবে অতিথি লেখকদের কমেন্ট মডারেশন প্যানেল পার হয়ে আসে বলে কিছু সময় লাগতে পারে (সেইটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই)। তবে না আসার তো কোনো কারণ দেখি না; যদি না মডারেটরগণ পুরাণ-টুরান দেইখা কুম্ভকর্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ না করে
এই পর্বটা সবচে' মজারু লাগলো লীলেনদা। গতকাল রাতেই পড়েছি এটা।
বয়স নিয়ে এতসব যোগ বিয়োগ গুন ভাগ করতে আপনার মাথায় প্যাচ লাগেনি!
বাপরে বাপ! আপনার ধৈর্য্যকে সালাম ।
একেই তো ওদের কাহিনির নানান সব ভজঘট, তার উপরে বয়স নিয়ে এত চিন্তাভাবনা।
আপনার ধৈর্য্য আছে বলতেই হবে। জেনে ব্যাপক খুশি হয়েছি, যে এগুলো আপনি বইতে রেখেছেন।
ধইন্যবাদ
দ্রৌপদী যজ্ঞ থেকে উৎপন্ন হয়েছিলেন যুবতী রুপে । তাই দ্রৌপদীকে নিয়ে এই বয়সের হিসাব পুরাই ভ্রান্ত আর হাস্যকর !
"তখন যজ্ঞবেদী থেকে এক কুমারীও উৎপন্ন হলেন যিনি পাঞ্চালী নামে পরিচিতা হলেন । তিনি সৌভাগ্যশালিনী, সুদর্শনা এবং কৃষ্ণ আয়তচক্ষুযুক্তা । তিনি শ্যামাঙ্গী, পদ্মপলাশাক্ষী, কুঞ্চিত ঘনকালো কেশবতী এবং তাম্রবর্ণ নখ, সুন্দর ভ্রূ ও স্তনযুক্তা । তিনি মানুষের শরীরে সাক্ষাৎ দেবী । তাঁর নীলপদ্মের ন্যায় অঙ্গসৌরভ একক্রোশ দূরেও অনুভূত হয় । তিনি পরম সুন্দর রুপধারিণী এবং সমগ্র বিশ্বে তুলনাহীনা । এই দেবরূপিনী কন্যা দেব, দানব ও যক্ষেরও আকাঙ্ক্ষিত ।"
হাস্যকর হইলে হাসতে অসুবিধা নাই আর কোটেশনটাও ঠিকাছে। তয় পার্থক্য হইল আমি মহাভারত রিটাইপ করি নাই; করছি রিরাইট
আইচ্ছা রিরাইট ই হইব তাইলে। আমারই ভুল । " বিয়ার সময় দ্রৌপদীর বয়স ৪ বছর " " পিরিয়ড হইলেই যুবতী বইলা ভাবা হইতো এই হিসাবে ১১/১২ বছর " - ইত্যকার নানা অনুমান নির্ভর প্যাচানী পইড়া ভাবলাম আপনে মনে হয় দ্রৌপদীর ব্যাপারটা জানেনই না । মহাভারতরে যুক্তিশাস্ত্র দিয়া ব্যখ্যা করতে গেলে নতুন মহাভারত লেখা হইয়া যাইব। চলতে থাকুক রিরাইট !
লেখা তো হইয়া গেছে; বইও ছাপা হইয়া গেছে এর মাঝে
যজ্ঞ থেইক্যা উঠছে এই কথাখান কইতে গেলে কিন্তু যুক্তি টেকে না, আধ্যাত্মিকতা চলে আসে। তাইলে হাজারো ঘটনা আছে এখানে এই রকম আধ্যাত্মিকতায় ভরা।
------------
রাধাকান্ত
হাজারো না; পুরাটাই
সেইখানে কতটা জন্ম আছে আধ্যাত্মিকতা ছাড়া?
তা ঠিকই কইছেন লীনেন দা।শত অবিশুদ্ধতায় ঘেরা তারপরও বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ!
------------
রাধাকান্ত
নতুন মন্তব্য করুন