আমি রাবণের বাড়ি গেছিলাম রামের বার্তা নিয়া। সে কথা শোনে নাই; মরছে। তার আগে আমি বালির বিষয়ে সুগ্রীবের দূতিয়ালি করছি রামের কাছে; বালিও মরছে। এইবার রামের দূত হইয়া আমি আপনেরে এই কথা বলতে আসছি যে; রাম তার পিতৃসিংহাসনে রাজা হইতে চান; যদিও এইখানে মারামারির কোনো কথা নাই; কারণ ভাইয়ে-ভাইয়ে রক্তারক্তি বড়োই ঘিন্না করেন রাম…
বাংলা পৌরাণিক সাহিত্যের একটা বড়ো সম্ভার কারবালার পুঁথি। এইগুলা পইড়া মাইনসে কান্দে; নিজেই নিজেরে ব্যথা দিয়া রক্তাক্ত করে; বুক চাপড়ায়…
কারবালা পুরাণের কেন্দ্রবিন্দু ইমাম হোসেনের মৃত্যু। হোসেন নবী মোহাম্মদের নাতি হইবার কারণে কারবালার ঘটনায় মুসলমানেরা সকলে হোসেনপক্ষ। আর পুঁথিগুলা মুসলমানদের সাহিত্য বইলাই গণ্য- হায় হোসেন হায় হোসেনা কান্দে মাতা ফাতেমায়…
কবিতা কী এইটা বড়ো মুশকিলের প্রশ্ন। এইটার উত্তর হয় ইশকুলের ছাত্রের মতো হয়; নাইলে হয় মাস্টরের মতো। কিন্তু কোনোভাবেই কবির মতো হয় না। আমি বরং কবিতার মইদ্যে কী পাই সেইটা বলি। কবিতার মইদ্যে আমি মূলত দুইটা জিনিস পাই। প্রথমত একটা পরিস্থিতি আর দ্বিতীয়ত সেই পরিস্থিতির অনুভূতি কিংবা প্রতিক্রিয়া। মানে ততক্ষণে মেঘ গর্জাইয়া বৃষ্টি শুরু হইয়া গেছে নাকি সুরঞ্জনা আরেক বেটার দিকে চইলা যাইতাছে সেইটা। তারপর কবি তার অন
আমি জাতীয় সংসদের পেশাবখানায় গেছি; জাতিসংঘের কয়েকটা শাখা অফিসের পেশাবখানাতেও গেছি। সবখানেই দেখছি পেশাবের ঘটির উপর দুয়েকটা এক-দেড় ইঞ্চি কোকড়ানো বাল পইড়া আছে। তার মানে সংসদ কিংবা জাতিসংঘেও বাঙালি বাল নিয়া ঘোরে। কিন্তু তারপরেও বালেরে বাল কইতে শরমায় বাঙালি…
ক্যান?
০২
জীবনেরা হাসপাতালে আইসা বড়ো অদ্ভুত টিটকারি মারে
ন্যাড়া ন্যাড়া ডালে পাতা নড়ে; কেউ বলে নাই তবু নড়ে; বেহুদাই
খামাখাই পাখি উড়ে
কোনো কাম নাই তবু গাভিন লেঙ্গুড় নিয়া মৌমাছি ঘোরে
গাড়িরাও ফুটাঙ্গি করে; জানালার বাইরে; অযথাই…
অথচ ভিতরে কত মহাজন ওষুদের হাতে পায়ে ধরে- কিঞ্চিৎ চাগায়ে দাও;
আরো কিছুদিন খাইয়া হাগার মতো বহুত দরকারি কাম পড়ে আছে মোর…
২০১৮.০২.১৬
ঝিলম নামে বাংলায় কোনো শব্দ নাই। কেন নাই কে জানে। অথচ এইটা একটা বহুত দরকারি শব্দ হইতে পারত। এমনকি যেইসব অঞ্চলের মানুষেরা ‘জাড়ুর জ’ কইয়া ঝ বর্ণ চিনায় তারাও কিন্তু শব্দটারে এক উচ্চারণেই বুঝাইতে পারত অন্যদের। কিন্তু তারপরেও কেন যেন শব্দটা বাংলা ভাষায় ঢোকায় নাই কেউ…
সার্কাসের সাপের মতো একবার ফোঁস কইরা তিনবার মাটিতে থুতনি ঘষেন রাজা দশরথ। তাড়াহুড়া করতে গিয়া ভুল করছেন হিসাবে আর চুরি লুকাইতে গিয়া হারাইছেন সহায়। সব থিকা বড়ো কথা জীবনে পয়লাবারের মতো একলা একলা রাজাগিরি করতে গিয়া খেয়ালই করেন নাই রাজকীয় কলকব্জার কোন চাকা কোনদিকে ঘোরে আর কোন ছিদ্র দিয়া কোন কব্জায় কে ঢালে তেল…
সবকিছুতে সকলের অপমান হয় না। অপমানিত হইবার জন্য যে সামান্য পূর্বমান থাকা লাগে সেইটা দশরথের নাই; থাকলে বিশ্বামিত্র যা ঘটাইলেন তাতে রাজা দশরথের আগুন হইয়া উঠবার কথা…
দশরথের দুই পোলার বিবাহ আয়োজন কইরা দশরথরেই সেই বিবাহ খাইতে খবর দিলেন বিশ্বামিত্র- আপনের দুই পোলার বিবাহে আপনার নিমন্ত্রণ…
সমস্যা বুঝতে তো সমস্যা হইতেই পারে; আমার একটু বেশি হয়। আমি হা কইরা থাকি…
খাওয়ার টেবিলের একটা চেয়ার ঘুরাইয়া ঠ্যাং মেলাইয়া দোস্ত মুখ খোলে- আমি তোরে মাত্র দুইটা অপশন দিতে পারি। এক তুই এখনই যাবি আর দুই; কাইল সকালে যাবি তুই…
ভারতীয় পুরাণ ঘাঁইটা ইতিহাস খুঁজতে যাওয়ার সব থিকা বড়ো ঝামেলাটা হইল এইসব পুরাণের রচয়িতা ঋষি কিংবা কবিদের অন্য কোন বিষয়ে কোন জ্ঞান আছিল আর কোন বিষয়ে আছিল না সেইটা নিশ্চিত না হইলেও একটা বিষয় পরিষ্কার যে তাগো মধ্যে বিন্দুমাত্র সময়-সংখ্যা কিংবা ইতিহাস জ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব আছিল না; অথবা অদরকারি মনে কইরা তারা এই তিনটা জিনিসের লগে বাচ্চাপোলাপানের মতো খেলানেলা কইরা গেছেন। সময় মাপতে গিয়া তারা ষাইট বচ্ছর আর