একদিন রাত্তিরে বস্তায় ঢুকে গুটিসুটি মেরে ঘুমাচ্ছিল বগোডুল। এমন সময় ইয়া বড়ো চাকু হাতে দুই গুন্ডা এসে লাত্থি দিয়ে তার ঘুম ভাঙায়। লাত্থি খেয়ে বস্তা থেকে ধড়মড় করে উঠে দাঁড়াতেই দুই গুন্ডা তার দিকে চাকু বাগিয়ে ধরে- যা আছে সব দিয়া দে নাইলে মাইরা ফালামু কিন্তু...
মায়ের সাত সন্তান আজ সারারাত ঝগড়া করলাম কখনও একসাথে কখনও আলাদা। কখনও ঝগড়ার জন্য ঝগড়া। কখনও ঝগড়া থামানোর জন্য ঝগড়া। ভাই-বোন। বোন-বোন। ভাই-ভাই। মা-ছেলে। মেয়ে-মা...
সবাই সবাইরে দোষে। সবার সবারে অসহ্য লাগে। সবাই সবাইরে বলে তোর সাথে এই শেষ মুখ দেখা জীবনে আমার...
শুধু একজন সারাজীবনের মতো আজকেও আগাগোড়া নিশ্চুপ আর নির্লিপ্ত ঘুমে এইসব হৈচৈয়ের ভেতর। তিনি বাবা
আর একজন অনেক চেষ্টাতেও ঘুমান...
একদিন বস্তার ভেতরে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়েছিল বগডুল। হঠাৎ গদাম করে বস্তার উপরে এক লাত্থিতে তার ঘুম ভেঙে যায়। এরকম ঘুমের মধ্যে তাকে প্রায়ই লাত্থি খেতে হয়। কারণ তার মাও নাই বাপও নাই। থাকার কোনো জায়গাও নাই। কুড়িয়ে পাওয়া বস্তার ভেতরে ঢুকে সে এইখানে ওইখানে বারান্দায় ফুটপাতে ঘুমায়
লাত্থি খেয়ে বগডুল আবার পাশ ফিরে চুপচাপ ঘুমায়। কিন্তু একটু পরে পরপর আরো দুইটা গদাম। বগডুল ঘুম থেকে উঠে ব...
বগডুলের মোটেও ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। তার সারাদিন বস্তার ভেতরে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ক্ষিদের জ্বালায় সে ঘুমাতে পারে না। তার তো মাবাপ কেউ নাই। কে তাকে খাবার দেবে। তাই তাকেই খাবারের জন্য তাকে কামে যেতে হয়
তার কামটাও খুব কষ্টের। সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে অনেক উপরে তাকে মাথায় করে ছাদ ঢালাইয়ের সিমেন্ট বালু তুলতে হয়। সূর্য উঠা থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত ইট বালু বয়ে তু...
এক দেশে ছিল এক বগডুল। তার মাও নাই বাপও নাই। ঘরবাড়ি কিছুই নাই। গাছতলায় থাকে। গাছের পাতা খায় আর রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া একটা বস্তায় ঢুকে রাত্তিরে ঘুমায়
একদনি বগডুল রাস্তায় একটা পাঁচ টাকার কয়েন কুড়িয়ে পেল। এর আগে সে কোনোদিন টাকা দেখেনি। তাই সে বুঝতে পারছিল না জিনিসটা কী? চকচকে কয়েনটা তার খুব পছন্দ হয়ে গেলো। তার খুব জানতে ইচ্ছে করল জিনিসটা কী? কিন্তু কাউকে দেখালে যদি কেড়ে নিয়ে যায় এই ভ...
মাঝ রাত্তিরে কিছু লোক ঘুমের মধ্যে হাঁটে। দরজা-মরজা খুলে বাইরে চলে যায়। গোয়াল থেকে গরু খুলে রওয়ানা দেয় মাঠে অথবা পুকুরে পানিতে ডুবে মরে কিংবা গাছে উঠে পিপড়ার কামড়ে হুশ ফিরে পেলে চিক্কুর দেয়- মাইওগো... মুই কনে?...
নাগরিক শহরে এরা নাইটগার্ডের ধাক্কায় জেগে উঠে ভদ্রতা বজায় রেখে একটা চাপা গোঙানি দেয়-ঞ্যাঁ...?
তারপর কেউ হার্টমার্ট এ্যাটাক করে না হয় গার্ডদের কাছে মাতাল বনে গিয়ে বাসায় ফিরে ...
বাপ দাদার আমল থেকেই আমরা পুব পাড়ায় থাকি। পাড়ার ইঁদুর ব্যাঙ তেলাপোকা খাই। সবার সঙ্গে দেখা হলে হাই হ্যালো সালাম দেই। পুরোনোরা দেখা হলে বাবা মায়ের কুশল জিজ্ঞাসা করে; কেউ কেউ বাবার শিকারের প্রসংশা করে; কেউ আমার সাথে বাবার শিকারের মিল খুঁজে পায়; কেউ মাছ ধরার সিজনে বাবা-মাকে তাদের বাড়ি গিয়ে দুচারটা মাছ খেয়ে আসার নিমন্ত্রণ দেয় কিংবা কেউ কেউ একটা মাছ ছুুঁড়ে দিয়ে বাবা মাকে নিয়ে দিতে বলে। ...
শহরে নেমেই আমি ঝুলে থাকা রড বেয়ে ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়ানোর ছাদে উঠে গেলাম। এখানে দাঁড়ালে সুকন্যাকে দেখা যাবে
একটু পরেই সুকন্যা হাত ভরা চুড়ি পরে বের হয়ে গেলো। সে কুশিয়ারা যাচ্ছে। কুশিয়ারায় যাবার সময় সে দুই হাতে চুড়ি পরে যায়...
মুকুল বহুদিন ধরে বলছিল পিকনিকে যাবে। তাকে ফোন করে বললাম সবাইকে নিয়ে চলে আসতে। কুশিয়ারা পার হয়ে আমরা পিকনিকে যাব
পরদিন আমাদের পিকনিক। মোট বারোজন। মুকুল গাড়ি ...
কৈশোরে অনাথ সুমন সুমনা এর তার বাড়ি কাজ করে একসাথে বড়ো হয়ে সমাজের নিয়মে বিয়ে করতে গিয়ে দেখে টাকা ছাড়া কারো বিয়েই সম্ভব নয়...
এভাবে বহুদিন পর তারা আবিষ্কার করে তাদের এক পুরুষ আর এক নারী দরকার...
এবং তারপর তারা অন্য গ্রামে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ধরা পড়ে একসাথে আবার একা হয়ে যায়...
২০১০.০১.০৮ শুক্রবার
এক সময় দৌড়ের উপরে মাথায় কোনো আউলা চিন্তা এলেই কাগজে টুকে রাখতাম পরে গুছিয়ে কিছু লিখব বলে। তারপর শুরু করলাম কম্পুতে নোট নেয়া। তারপর গত দুই বছর ধরে সেই নোটগুলো ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লেখা শুরু করলাম। তারপর তাকিয়ে দেখি কাগজে- কম্পুতে- নেটে হাজারে হাজারে নোট কিন্তু কিছুই আর গোছানো হয়নি। লেখাও হয়নি কিছুই। হওয়ারও সম্ভাবনা নেই
এবং তারপর হঠাৎ খেয়াল করলাম- এক লাইনেই যদি যা বলার তা বলে দেয়...