বেশ কিছুদিন থেকে আমি চেষ্টা করছি স্বপ্নকে বর্ণনা করার একটা স্টাইল খুঁজে বের করতে। বিশেষ করে গল্পের জন্য। মানুষ স্বপ্ন দেখার সময় যেভাবে দেখে কোনোভাবেই সেটাকে অন্যের কাছে বর্ণনা করতে পারে না
বর্ণনা করতে গেলে দেখা যায় পুরো স্বপ্নটা একটা সরল কাহিনী হয়ে যাচ্ছে- আমি দেখলাম আমি ডুবে যাচ্ছি। তারপর অমুককে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে। কিংবা দেখলাম ওরকম একটা জায়গায় গেছি। অনেক লোক। কাউকে চিনি ...
তিনদিনের হাঁটাপথ পার হয়ে বাবা আর আমি এসে দাঁড়ালাম রাজ্যটিলার বাউন্ডারির সামনে। এখন সামনের বিশাল হাওরটার মাঝখানে রাজ্যটিলা। বাউন্ডারি থেকে হাওরের পানির উপর দিয়ে বৃত্তাকার অনেকগুলো কাঠের ভাসমান পথ চলে গেছে রাজ্যটিলায়। তার বেশিরভাগই ফাঁদ। চিনতে ভুল করলে সারারাত হেঁটে আবার মূল জায়গাতেই ফিরে আসতে হবে। এই পথগুলোর মধ্যে একটামাত্র পথ সরাসরি গিয়ে উঠেছে রাজ্যটিলায়। দুটো পথ গিয়ে ম...
সময়মতো মরে না গেলে তোর সাথে আমার একটা সম্পর্ক ভাঙার দিন ছাড়া থাকতো না কিছুই
আর সম্পর্ক থাকা মানেই তো সম্পর্ক কামড়ে রাখার জন্য বল্গাহীন আক্রমণ অথবা অন্য সম্পর্ক ছেঁটে ফেলার জন্য নাঙ্গা তলোয়ার হাতে নামা অথবা সম্পর্কটা ছোবড়া হবার আগ পর্যন্ত চিবিয়ে চিবিয়ে বিষাক্ত করে তোলা অথবা হিংসা হিংসা হিংসার বর্তমান দিয়ে পরিপূর্ণ করে তোলা অতীতের ভালোলাগা দিন...
ধন্যবাদ তোর মৃত্যুকে; কিছু সম...
পু...য়া এক ঠুসি মারি নাকর বল্টু খুলিলাইমু। চিনচিনে গলায় কথাটা কারো কানে আসলো কি আসলো না তার আগেই ধুড়ধাড় পড়া শুরু হলো ক্লাসের বেঞ্চ বইখাতা টিফিনের বাটি। ডেস্কের তলা দিয়ে বেঞ্চের চিপা দিয়ে দুইজনের ফাঁক দিয়ে সামনে দৌড়াচ্ছে টিংটিংয়ে পরেশ নাট আর ধাক্কা মেরে ডেস্ক ফেলে ঠেলা দিয়ে তিনচারজনকে মাটিতে ফেলে পেছনে দাবড়াচ্ছে মিজান
এক টিচার যাবার পরে আরেক টিচার আসার ফাঁকে এটা আমাদের ক্লাস্...
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
সাদা বুড়ি- লাল বুড়া পাশাপাশি ঘর
বুড়ির অনেক কুটুম বংশ পরম্পর
লাল বুড়া একা লোক কেউ নাই কোত্থায়
একা রাঁধে একা থাকে একা ...
বড়োগুপ্ত যতদিন বাড়িতে থাকেন বাঘেরা এদিকে আসে না কেউ। গুপ্তের হাটে বসেই খরগোশ কিংবা কাঁকড়া ধরে খায় না হলে উপোস দিয়ে অপেক্ষা করে কখন বড়োগুপ্ত বাড়ি থেকে যাবেন আর তারা বাঘের কান্দি ঢুকে আবার গরু মহিষ ছাগল মানুষ ধরে নিয়ে যাবে। বড়োগুপ্তের পূর্বপুরুষরা উত্তর থেকে এসে এখানে বসত করার সময় থেকেই এ নিয়ম চালু। পুরো এলাকাটাকে বাঘের কান্দি আর গুপ্তর হাট নামে দুই সীমানায় ভাগ করে ঠিক মাঝামাঝি...
জানালাটা না খুলেই বলি আয় কথা বলি; জানালায় টোকা দিয়ে বলে কী বলে খোলার কথা বলি; জানালা অর্ধেক খুলে বলি কীভাবে বলি দরজার কাছে আয়; দরজায় দাঁড়িয়ে বলে তাই বলে একেবারে ঘর; দরজাটা আটকে দিয়ে বলি কখন কী বলি তার ঠিকঠাক নেই; দরজার চৌকাঠ ধরে বলে এই বলে কী বলা হলো তবে; জানালায় গিয়ে বলি আয় কথা বলি। জানালায় টোকা দিয়ে বলে এই বলে চলে যেতে বলা হলো আজ; দরজা আবার খুলে বলি দরজায় আয় সব বলি; দরজাটা ঠেলে দিয়ে বলে ...
যারা কিছু লিখতারে না তারা দাঁতাল হলে পলিটিক্স লেখে আর লুলাটুন্ডা নির্বিষ হলে রচনা করে রবীন্দ্রনাথের জীবনী। যেহেতু তিনি মরে ভূত হয়ে গেছেন সেহেতু রচনা শুরু করা লাগে তিনি বড়ো ভালো লোক ছিলেন বলে
রবীন্দ্রনাথ বড়ো ভালো লোক ছিলেন। ছোটবেলা তার মুখে দাড়ি না থাকলেও পরে তার কিছু ছোটছোট দাড়ি গজায়। দাড়িগুলা জন্মসূত্রে কালো হলেও ডেন্টিং পেন্টিং করে তিনি দাড়ির জাত মেরে সাদা বানিয়ে সার-গোব...
দশ বছর বয়সে ঘরের কাজে নিয়ে চৌদ্দ বছরে চরিত্র খারাপের দোষে অঞ্জলিকে বের করে দিলে সে ছোট চুল লিপস্টিক আর মিঠা তেলের গন্ধ নিয়ে সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে একটু একটু হাসে...
পনেরো বছরে একটা আধমরা শিশু নিজেই টেনে শরীর থেকে আলাদা করে জ্ঞান হারিয়ে সে হাসপাতালে যায় আর ষোলো বছরে তাকে বন্ধ্যা করার ইনজেকশন দিতে ক্লিনিকে নিয়ে আসেন তার মা যাতে অন্তত তিনমাস মেয়েকে ঘরে রেখে তিনি নিশ্চিন্তে বেরোতে...
মেয়েটি বাসের রুট চেনে না। শহরের সবচেয়ে বড়ো ক্রসিংটা দুতিনবার এদিক সেদিক পার হয়- এই ট্যাক্সি...
অফিস দৌড়ের সকালে যে দুয়েকটা ট্যাক্সি ফাঁকা তারা কেউ তার গন্তব্যে যেতে রাজি নয়। ঘড়ি দেখে আর চারপাশ তাকায় মেয়েটি। খটখটে রোদে এসএমএস করে কোথাও...
রিকশাওয়ালাটা অনেকক্ষণ ধরে দেখছিল তাকে- আপা কই যাবেন?
- অমুকখানে
- চলেন
রিকশা গলির ভেতরে ঢুকে গেলে সে জানতে পায়- মেইন রোডে রিকশা চলে না তাই আপনের...