সালটা ১৯৯০র দিকে। সাপ্তাহিক ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক ছড়াকার শারিক শামসুল কিবরিয়া সিলেট শহরে বসালেন সুপ্রিয় কম্পিউটার
তখন মানুষ মসজিদে ঢোকার থেকেও বেশি সতর্ক হয়ে হাত পা ধুয়ে কম্পিউটারের কাছে যায়
আর আমাদের মতো ছিরিছাদবিহীন মানুষকে বারো হাত দূরে থেকে আঙুল তুলে মনিটর দেখিয়ে বলা হয়- ওই যে। ওটা কম্পিউটার। কাছে যাওয়া ঠিক না। কম্পিউটারে ভাইরাস চলে যেতে পারে
সারাদিন ধ...
হতে হতেও হয়ে উঠা হলো না তোমার
না হওয়ার পিচ্ছিলতায় গড়াতে গড়াতে আবারো নিজেকে শোনাতে হলো- হবে
হয়ে যাবে হয়তো একদিন
সব হবে
শুধু নিজের বলা পূর্বাভাস শোনা হয়ে উঠবে না কানবিহীন রেডিও বাকশের কোনোদিন
২০০৮.০৪.২৭ রোববার
চলে গিয়েছিলাম রাঙ্গামাটি। সকাল সাতটায় গিয়ে রাত আটটায় সামনের রাস্তায় এককাপ চা খেয়ে আবার রুমে ঢুকে দু চোয়ানিতে ডুবে বমি করেছি কয়েকবার। পরের দিন সকাল আটটায় বের হবার জন্য নৌকা ঠিক করে দুপুর বারোটায় গিয়ে উঠলাম লেকে। খামাখা একটা বেহুদা পানি। না আছে স্রোত না আছে ঢেউ। না আছে রংয়ের কোনো ফারাক। পানিতে হাঁটু ডুবিয়ে দাঁড়ানো পাহাড় আর নৌকার একঘেয়ে ভটভটি...
মাঝি জানে কোথায় সে যাবে। আমি জানি ...
জাতে ওঠার জন্য জাত খোয়ানো মধুসূদনের কাছে জাতি নামে আলাদা কিছু ছিল না বলে রাস্তার পাবলিক ডেকে একবার নিজের নাম আরেকবার ত্যাজ্য করে দেয়া বাপের নাম আরেকবার কানতে কানতে মরে যাওয়া জননীর নামে পরিচয় দিয়ে জানার বড়োই শখ ছিল কেউ তারে চেনে কি না কবরের নিচে
দত্তের পোলা জাত খুইয়ে পেয়েছিল একটা কবর। বাপের জাতে থাকলে ছাই হয়ে গিয়ে কাউরে বলতেও পারতো না- দাঁড়াও পথিক বর...
তারপর তাদের খটমট বাংলায় সত...
খুব মনে করে করে ভুলে থেকে পার করে দিলাম পাঁচ ডিসেম্বর। কিন্তু মূলত ওটা ছিল ছয় ডিসেম্বর। আমাদের মাঝে কে যেন নিয়ম করে দিয়েছিল কিছুই জিজ্ঞেস না করে অনুমানে সব কিছু বুঝে নেয়ার। আমি ছয় ডিসেম্বরকে পাঁচ অনুমান করে প্রতি বারোটা এক মিনিট থেকে পরের দিনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দিনটাকে একটু একটু করে নেড়েচেড়ে দেখতাম। দিনের প্রতিটি পরত তাকে এমনভাবে খুলে খুলে দেখাতাম যাতে সে ধরতেই না পারে দিন...
- আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলে। এতো বড়ো সাহস! কথাটা দুতিনবার বলার পর আমার হুমকি আর বেশি দূর এগোয় না। এর পরে কী বললে লোকটা ভয় পাবে তাও খুঁজে পাই না। শুধু কিছু বিরতি দিয়ে দিয়ে কথাটা কয়েকবার বলি আমি। কথাটার সাথে নিজের একটা জুতসই পরিচয় জুড়ে দিলে হয়তো লোকটা ভয় পেতো। কিন্তু তার ভয় ধরানোর মতো নিজের কোনো উপযুক্ত পরিচয় খুঁজে পাই না আমি। এক্ষেত্রে দেখেছি লোকজন নিজের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের ন...
হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। ঠেলতে ঠেলতে আমাকে একটা বাথরুমে ঢোকালো তারা। বাথরুমটা বেশ বড়োসড়ো। ফ্লোরে একটা কমোড। আমাকে চিৎ করে শুইয়ে কমোডের প্যানের মধ্যে একজন পা দিয়ে আমার মাথা চেপে ধরল। কপালটা গিয়ে আটকে গেলো প্যানের ভেতরের খাঁজে। এটা বোধহয় খুব একটা কেউ ইউজ করে না। পচা জিনিসপত্রের গন্ধ এসে লাগছিল নাকে
একজন পা দিয়ে আমার বুকে চেপে ধরল। আর দুইজন চেপে ধরল দুই পায়ে। ঘাড়টা পড়েছে কমোডের এ...
আমি যখন ডুবি তখন সে ওঠে। আর সে যখন ডুব দেয় তখন পানির উপরে আমি। তার সাথে আমার চুক্তি একসাথে দুজন পানির উপরে ভেসে না উঠা পর্যন্ত আমরা ডুবতেই থাকব। মাত্র এক হাত দূরে
পান পানি নারী এই তিনে জৈন্তাপুরি। জৈন্তার নামের সঙ্গে গর্ব করে বলা তিনটি জিনিসের দ্বিতীয়টি এই পিয়াইন নদীর পানি। পঞ্চাশ ফুট নিচে একটি নুড়ি পাথর গড়ালেও পরিষ্কার দেখা যায়। ডুব দিয়ে চোখ খুললে বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায় পানি...
এখানে কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল নেই কিন্তু কী কারণে যেন আজ সিগন্যাল পড়ায় গাড়িটা দাঁড় করাতেই হলো। একেবারে সেই রাস্তাটার সামনে। এর আগে এখান দিয়ে গেলে এদিকে ...
প্রশংসার কথাগুলো অঞ্জলিতে নিবেদনের নিয়ম করেছিল ইতিহাসরে নীতিমালা সমাজ আর নীতিভাঙা সমাজ আড়ালে আবডালে চালু করেছিল দুর্নাম প্রথা
এই দল গেলে ওইদল আসে য...