জনপ্রিয় ধারণায় রাম-রামায়ণ-বাল্মিকীরে কৃষ্ণ-মহাভারত-দ্বৈপায়ন থাইকা প্রাচীন ভাবা হইলেও ঘটনা কিন্তু ঠিক উল্টা। এর পক্ষে পয়লা জোরালো যুক্তিটা হইল দক্ষিণ দিকে আর্যগো ভারত-বিস্তারের কালক্রমের লগে দখলি-মানচিত্রের হিসাব। মহাভারতের ঘটনাস্থল থাইকা রামায়ণ ঘটনাস্থল আরো বহুত পূর্ব দিকে। আর্যগো দক্ষিণ দিকে পা বাড়াইবার ঐতিহাসিক সময়কাল মাথায় রাইখা রমিলা থাপারও মন্তব্য করেন যে রামায়ণ তৈরি হইছে ৮০০খিপূর অন্তত পঞ্চা
পৌলস্ত্য বধ কাব্য নামে বাল্মিকীর হাতে যখন রামায়ণের আদি পুস্তকটা রচিত হয় তখন এর শত্রু-মিত্র-নায়ক সকলেই আছিল রক্ত মাংসের মানুষ। কালে কালে এর নায়ক রাম যতই অবতার হইতে থাকেন ততই তার মিত্ররা হইতে থাকে নখ-ল্যাঞ্জা-লোমওয়ালা জন্তু জানোয়ার আর শত্রুপক্ষ পরিণত হয় রাক্ষস খোক্কস কিংবা ভূতুমের রূপকথায়। আর পৌলস্ত্য বধ থাইকা পুস্তকখান রামায়ণ হইবার পথে রাম-রাবণ-বামুন-বান্দর সকলেই হইয়া উঠেন বেসুমার অলৌকিক ক্ষমতার অধ
নিজেরাই উস্কানি দিয়া রোমানগো হাতে মাইরা ফালানো নিজ গোত্রের এক পিতৃপরিচয়হীন পোলারে গ্রিসে দত্তক দিয়া দুইটা মারাত্মক কাম কইরা গেছে প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায়; যার পয়লাটা হইল ধর্মের দায় থাইকা গ্রিক পুরাণের মুক্তি আর দ্বিতীয়টা হইল পৌরাণিক আচরণের দায়মুক্ত খ্রিস্টান ধর্মের উদ্ভাবন। ইতিহাসে এই দুই ঘটনা না ঘটলে ইউরোপ আম্রিকার মাইনসেরে আইজ পর্যন্ত যেমন ধর্মের নামে শত শত গ্রিক পুরাণ কাহিনির ভার টানতে হইত তেমনি
রাজা দশরথ মইরাই গেলেন। পোলার লাইগা কানতে কানতে মাত্র চাইর দিন টিকলেন তিনি। সুমন্ত্র রামরে ফালাইয়া আসছে দুই দিনের পথ দূরে। ফিরতেও লাগছে দুইদিন। রাম যাইবার কালে পথে পড়া রাজারে কুড়াইয়া আইনা যে বিছানায় শোয়ানো হইছিল; সেই বিছানা তিনি আর ছাড়তে পারেন নাই। থাইকা থাইকা কানছেন আর এরে তারে জিগাইছেন- সুমন্ত্র ফিরছেনি?
দশরথ অস্থির। ভরত অযোধ্যার বাইরে থাকতেই রামের অভিষেক করে ফেলতে হবে। রামরে ডাইকা সেই সংবাদও তিনি জানাইয়া দিছেন। সচিবগো আয়োজন বুঝাইয়া দিয়া এইটাও কইয়া দিছেন যেন কোনোভাবেই ভরতের নানাবাড়ি আর পোলাপানগো শ্বশুরবাড়ি এই সংবাদ না যায়...
রামবিহীন অযোধ্যায় থাকনে বুকের পাটা নাই লক্ষ্মণের; পিটাইয়া তক্তা বানাইয়া ফালাইব ভরত। তাই সেও বিশ্বামিত্রের লগে রামের পিছু লয়। আর অবধারিতভাবেই রাজপুত্রগো পিছে যায় তাগো দেহরক্ষক আর রাজকীয় সেনার সশস্ত্র একটা দল...
যথেষ্ট পরিমাণ পোলা-শালা-ভাই-ভাতিজা-শ্বশুর-সম্বন্ধি না থাকলে রাজাগো পক্ষে বড়ো রাজা হওয়া তো দূরের কথা নিজের রাজ্যে নেংটি সামলাইয়া টিকা থাকাই কঠিন। রাজা দশরথ এক বাপের এক পোলা। মা ইন্দুমতি যেমন না দিছেন আর কোনো সন্তানের জন্ম তেমনি বাপ অজ না করছেন আর কোনো বিবাহ। রাজত্বের লাইগা দরকারি আত্মীয়-স্বজনের অভাব পুরনের লাইগা তাই অজ-ইন্দুমতীর পোলা দশরথ সাড়ে তিনশোখান বিবাহ কইরা বহুত শালা-সম্বন্ধি-শ্বশুর সংগ্রহ কর
জন্মসূত্রে আমি বাগানি মানুষ হবার কথা যদি না আমি বাঙালি হতাম। চা বাগানে একদল মানুষ গোত্র হিসেবে নিজেদের বাগানি মানুষ বলেন। এই পরিচয়ের একটা অংশ প্রকট একটা প্রচ্ছন্ন। প্রকট অংশটা বলে তারা কেউই বাঙালি নন আর প্রচ্ছন্ন অংশে দেখা যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এরা ভূমি আর ভিটেহীন মানুষ...
২০০৪ সালে জফির সেতু আর আমার রক্ত দিয়া যে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর শুরু হইছিল। এক যুগ পরে আহমেদুর রশীদ টুটুলের রক্তপাত দিয়া কি সেই শুদ্ধস্বর বন্ধ হয়ে যাবে?
দুই মাস ধইরা খালি এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘোরে। তিনজনের মাঝে দুইজন রক্ত দান কইরা শুরু করছিলাম। তৃতীয়জন কি রক্ত ঝরাইয়া বন্ধ করবে শুদ্ধস্বর?
কিছু মানুষ পানিতে হাগে; কিছু মানুষ হাগে ডাঙায়। বর্ষাকাল কিন্তু ভাসান-ডাঙা দুইটাই ধুইয়া মুইচ্ছা নিয়া ফালায় খালে আর বিলে। খালে আর বিলে মাছেরা পানি খায়- মাছ খায়- ঘাস খায় আর চান্সে পাইলে হাগুর গোল্লাও গপাৎ কইরা গিলা ফালায়। জাইল্লারা খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বেচে। বাজারিরা মাছের গতর টিপে-কানকোর রং দেখে নিয়ে আসে বাড়ি। আর রান্ধুনিরা কিন্তু মাছের ভিসেরা টেস্ট ছাড়াই রান্ধে ফিশ ফ্রাই কিংবা বাংলা মাছের ঝোল..