হালে বাংলাদেশে বহিরাগত ট্যুরিস্টদের জন্যে একটি ‘প্রোমো’ বানানো হয়েছে। নাম,
Beautiful Bangladesh school of life: admission going on.
লাইভ শো’য়ের দিন অফিসের কাজে সেটা দেখতে পারিনি, পরদিন ইউটিউবে ক্লিক করলাম। পজ দিয়ে স্ট্রিমিং এর জন্য রেখে সকালের খবরের কাগজগুলিতে চোখ বোলাতে গেলাম। ফিরে এসে ভয়ে ভয়ে ক্লিপটা ছাড়লাম আর দীর্ঘক্ষণের চেপে রাখা একটা শ্বাস ছাড়লাম। আঃ আল্লা বাঁচাইছে। আমি ধরে রাখছিলাম ‘ডিজিটাল’ বাংলাদেশের দুই বছরের সাফল্য গাঁথা শুরু হবে, তার বদলে এক সাদা চামড়া তরুনীকে কোমল পানীয়ের মডেলের মত দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে ভাল্লাগলো। সাথে সাথে খোমাখাতার দেয়ালে সবার সাথে ‘ভাগাভাগি’ করলাম। পরদিন দেখি সেখানে একাধিক মন্তব্য, তার সবগুলির বক্তব্যই এমন যে, এইটা কি বানাইছে যে কারো ভালোলাগা উচিৎ? তখন আমার মাথায় ব্যাপারটা ঢুকলো, আমি আসলে যেই গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে এটাকে ভালো বলেছি সেটা সবাইকে জানানো দরকার ছিলো। কেন এটাকে ভালো লেগেছে সেটা এক লাইনে বললে বলা যায়-
‘সুন্দর ক্যামেরার কাজ, মিউজিক ভালো, গোছানো’
অর্থাৎ আমি মনে মনে ‘লতা(হা)রবালের বিজ্ঞাপন’ ধরে রেখেছিলাম বলে তার বদলে এই টাইপ এন্টারটেইনিং ভিডিও ক্লিপ দেখে ভালো লেগেছে। তাহলে সবাই যে অর্থে আমার ভালো লাগার প্রতি অবাক হয়েছেন তারা কেন অবাক হয়েছেন? কারণ, তাঁরা আসলে ব্যাপারটা যেভাবে দেখা উচিৎ সেভাবে দেখেছেন। আচ্ছা সেভাবে দেখলে সমস্যা গুলি কি কি? আমি এবার আমার একবারে যা যা চোখে পড়েছে সেগুলি-ই বলি।
কি কি সমস্যা মনে হইছে?
• শুরুতেই সমুদ্রের হরাইজন ছাপিয়ে একটা ক্লিশে- ‘বাট সিন’- পণ্যের বিজ্ঞাপনে অতি সাধারণ দৃশ্য।
(এবং মাঝামাঝি যায়গায় মেয়েটা নারকেল পাতা থেকে যেভাবে উল্টি খেলো আশা করি সেখানে পরিচালকের কোন বদ উদ্দেশ্য ছিলো না, আমার পাপ মন) এখানে আসলে প্রথমেই ‘পণ্য’ টির সংজ্ঞা বুঝতে পরিচালক ভুল করেছেন। এইখানে ‘মাইয়া মানুষ’ দিয়ে লম্ফ ঝম্প করানোটা প্রাসঙ্গিক হয় নাই।
• গানটা যে চাইনিজ না তা বুঝতে ৩০ সেকেন্ড লেগেছে (আমি শুনছিলাম- কুঁজিশি কৌতাআআ জ্যুয়াগুয়ঁত্ব জ্যুউড়ে- যেটা সাবটাইটেল করে দিল আমার অনুজা- খুঁজিস কোথা জগৎ জুড়ে, সে আমাকে আরো অনেক বিজ্ঞাপনের তরজমা ও তাফসীর করে দেয়)
• ‘স্কুল অফ সেলিব্রেশন’ ‘স্কুল অফ হ্যাপিনেস’ আমি বুঝি কম কিন্তু জানামতে ‘স্কুল’ শব্দটা অ্যাকাডেমির সাথে সরাসরি যুক্ত, এটার সাথে সেলিব্রেশন বা হ্যাপিনেস এর মত স্বতঃস্ফূর্ত মানবিক বোধগুলি একেবারে যায় না।
• ট্যুরিজমের প্রোমোর সাথে বঙ্গবন্ধুর কি সম্পর্ক বোঝা গেলো না।
• বাংলাদেশ বলতে গেলে যা আসবেই তার মধ্যে অনেক কিছু নাই, যেমন,
o নদী কই?
o সংসদ ভবন কই?
o মানুষ কই?
আমার দূর্ভাগ্য যে আমি নগর পরিকল্পনার ছাত্র, আর কোর্সের প্রয়োজনে আমাদের যে সব ব্যাপারে পড়াশোনা করতে হয়েছে তার একটা হল ‘ট্যুরিজম প্ল্যানিং’ সেগুলির টার্ম ধরে ধরে এইবার একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি সাজানো হলে আরো অসংখ্য হাস্যকর দিক তুলে ধরা যায়, যেমন এখানে শুধু একটা ফরেনার এবং ‘সাদা’ ও ‘যুবতী’ মেয়ে ছোটা ছুটি করছে তার মানে কি আমরা বিরাট সংখ্যক ‘সাদা’ নয় এমন আর বয়স বেশী এমন একটা গোষ্ঠীকে পুরো বাদ দিয়ে দিচ্ছি না? একটা ট্যুরিস্ট গ্রুপ কি বানানো যেত না? যেখানে বিভিন্ন দেশের লোকজন থাকবে? আর তাতে জেন্ডার আর বয়সের বৈচিত্র্য থাকবে? আমাদের দেশে কিন্তু এখনো বিদেশীদের চাইতে দেশী পর্যটকদের সংখ্যা বেশী। আর নব্য শহুরে মধ্যবিত্তের যেই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে তারাই আসলে এখন এই সেক্টর টা চাঙ্গা করে রেখেছে। বাইরের পর্যটকদের জন্যে অপরিহার্য অবকাঠামোগুলি না দিয়ে শুধু শুধু 7Wonders এ গিয়ে সুন্দরবন আর কক্সবাজারকে ভোট করাটাও আসলে হাস্যকর। আর এই ভিডিও ক্লিপ দেখে মনে হবে একটা বিদেশী যুবতী একা একা পুরা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াতে পারবে। কোন পর্যটনের গাইড নাই। যা-ই হোক ফ্যানালে আরো অনেক ফ্যানানো যায়। সেদিকে না যাই। দিন শেষে ভিডিওখানা দেখতে ভাল লেগেছে এই বা কম কী? আমাদের ভাল লাগা আজকাল ওইখানেই ঠেকেছে- যা ভাবছিলাম তার চে’ তো ভাল? তাইলেই চলবে।
মন্তব্য
ভিডিওটার অনেক খারাপ দিক আছে বুঝলাম, কিন্তু তার আগে আমাকে বলেন বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে প্রমোট করে এই পর্যন্ত কয়টা দৃষ্টিনন্দন ভিডিও তৈরী হয়েছে? এইটা নাম্বার এক।
নাম্বার দুই হইলো, এমন তো না যে এই একটা ভিডিও করছে তো সব শেষ। মানে ট্যুরিজমকে প্রমোট করে আর কোনো ভিডিও বানানো যাবে না, বানালে দোররা মারা হবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে! এই ভিডিওটা'র বানানোর ফলেই তো আরও চমৎকার সব আইডিয়ার কথা আপনার লেখায় উঠে এসেছে, যেটা আগে কারো মাথায় আসে নি (আসলে আমরা নিশ্চয়ই সেই আইডিয়াগুলোই দেখতে পেতাম ভিডিওতে, এই পঁচা ভিডিওটা না)। তো এখন কথা হলো, এখন যে আইডিয়াগুলো আসছে সেগুলোকে ধরে ধরে দারুণ সব ভিডিও প্রমো তৈরী করে ফেলুন যারা পারেন। দিনশেষে তো এটা বাংলাদেশেরই লাভ।
তাই আসুন সমালোচনার পাশাপাশি কিছু করে দেখাই আমরা সবাই। বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে তুলে ধরি পৃথিবীর মানুষের সামনে, পজিটিভলি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি কি অন্য কিছু বলছি? আবার পড়ি দাঁড়ান।
আমি আগেও খেয়াল করেছি কোন পাবলিক ব্লগে কেউ যদি কৃটিক লেখে- ধরেন কেউ লিখলো যে
তাজমহলটা আরেকটু উঁচা হইলে ভালো হইতো। উপরে উইঠা যমুনা দেখতাম
সাথে সাথে কমেন্ট পড়বে-
'তাইলে আপনি একটা বানায়া দেখান।'
আসলে আমাদের এখানে কৃটিসিজম অভ্যাসটা এখনো গড়ে ওঠে নাই। 'নিন্দা' আর 'সমালোচনা' র পার্থক্য আমরা বুঝি না। কাউকে যদি বলি ভাই তোমার এই পেইন্টিংটা একটু ফ্যাকাশে লাগতেছে, আর আইডিয়াটা মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে যাদের জন্য করলা তারা বুঝবে?
সাথে সাথে সে চোখ পাকিয়ে বলবে, 'তাইলে তুই আঁক ব্যটা!'
এই ভিডিওটা আমার বিভিন্ন কারণে ভালো না লাগতেই পারে, কিন্তু তাই বলে আমাকে বা আমাদেরকে এখন এটা বানাতে হবে? আমার খেয়াল আছে বছরখানেক আগে মাহবুব লীলেন এর একটা লেখায় আমি মন্তব্য দিয়েছিলাম রূপকথা আবার নতুন করে লেখা উচিৎ। উনি সাথে সাথে লিখছেন- আপনি শুরু করেন।
কষ্ট পেয়েছিলাম, কারণ আমি ওনার একজন ভক্ত। ওনার প্রায় সব বই আমি কিনে পড়েছি (ঊকুন বাছার দিন, মাংস পুতুল)। ওই মন্তব্যের পর অনেক দিন আমার ইচ্ছে হলেও কোথাও কমেন্ট দেই নি। যা-ই হোক।
ধুসর গোধূলি ভাই
এই রকম রচনার শেষ লাইন লেখার আসলে কোন মানে নাই। 'কিছু' এবং 'আমরা' খুবই ধোঁয়াশা মাখানো শব্দ। 'কিছু' ই বা কি? আর 'আমরা'-ই বা কে? GREY এইটা করে দিছে টাকার জন্য, দেশপ্রেম থেকে না। তাই এখানে তাদের অ্যাটিচ্যুড থাকা উচিৎ ছিলো পুরো পেশাদারি। আমার কাছে যেইটুকু চোখে লাগছে সেইটুকু নিয়েই খালি বলছি। কিন্তু ভিডিওগ্রাফি হিসেবে এটা যে ভালো লাগছে তা আমি প্রথমেই স্বীকার করেছি। ভালো থাকবেন।
ভাই, এটা লেখার আগে একটু কষ্ট করে আমার বলা এই কথাটুকুও খেয়াল করে দেখুন—
আপনাকেই যে করে দেখাতে হবে এমন দিব্যি দিচ্ছি না কিন্তু। কিন্তু এ ব্যাপারে আপনার যদি জানাশোনা থাকে (যেমনটা আছে GREY-এর) তাহলে একটা প্রমো বানাতে অনুরোধ করলে সেটা "বানায়া দেখানোর" মতো সমস্যা মনে করবেন? আমি পারি না, এই ব্যাপারে আমার কোনো জ্ঞান নাই। কিন্তু যারা পারেন তাদেরকে তো অনুরোধ করতেই পারি, নাকি!
আর হ্যাঁ, অনেক কিছুই দেখানো যেতো ঐ ভিডিও'তে, এবং অনেক কিছুই দেখানো হয় নাই। যাত্রাবাড়ীর জ্যাম দেখানো হয় নাই, ঈদের বাজারের গাউছিয়ায় ধাক্কাধাক্কি দেখানো হয় নাই, রাত নামলে সংসদ ভবনের আশেপাশে যারা ঘোরাফেরা করেন পেটের দায়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে, তাদেরকেও দেখানো হয় নাই। এরকম হাজারো ব্যাপার আছে যেগুলোও দরকারী হয়তো আমাদের দেশের ট্যুরিজমকে পরিচিত করার জন্য। কারণ জনগণ এই দেশে এসে তো এগুলোও অবলোকন করবে!
আর টাকার জন্যই তো বিজ্ঞাপণী সংস্থা/প্রতিষ্ঠানগুলো "আসুন, বুকে হাত দিয়ে ভেতর থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাই", "আসুন, তিরিশ মিনিটে দুনিয়া কাঁপিয়ে দেই" টাইপের বিজ্ঞাপণ বানায়। তারা বাংলাদেশকে প্রমোট করে এইসব হাবিজাবি নিয়েও তো বানাতে পারে। তো এগুলা নিয়েই লিখুন বরং যাতে বিজ্ঞাপণী সংস্থাগুলো তাতে সমালোচিত হয়ে এরকম কাজ/পদক্ষেপ হাতে নেয়।
এরকম একটা বিজ্ঞাপণচিত্রে সবসময়েই 'আরও ভালো' করার স্কোপ থাকে মনেহয়। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞাপণ ধরে ধরে সমালোচনা করতে গেলে তো কলমের কালি ফুরিয়ে যাবে। তার চেয়ে গোড়ার সমালোচনা করলেই ফল বেশি আসার কথা না? যতো বেশি ভিডিও তৈরী হবে ততোই ভালো করে বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলা যাবে।
এটাতে প্রাকৃতিক দৃশ্য আর পুরাকীর্তি'কে প্রায়োরিটি দেয়া হয়েছে, আরো দশটা ভিডিও নির্মিত হলে সেগুলোর একেকটা বাংলাদেশের একেকদিক নিয়ে হবে যার মধ্যে সংসদ ভবনও থাকবে, মানুষও থাকবে। অসুবিধা তো নাই। সব চাহিদা একটা ভিডিও'র ভেতরেই ঠেসে ঢুকিয়ে দিতে হবে কেনো?
ঠিক। আপনার লেখাটা পড়ে আমারও সেইরকমই ধারণা হয়েছে।
যাইহোক, বাংলাদেশ নিয়ে নির্মিত দুইটা ভিডিও এখানে দেই- দেখুন, তুলনা করুন। সংসদ ভবন, মানুষ- সবই আছে। তারপরেও 'সমালোচনা' করতে চাইলে এখানেও করা সম্ভব।
১) (সম্ভবত) ডিএনএস গ্রুপের করা (ফেসবুকে দেখেছিলাম বছর দেড়েক আগে)
২) বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট বাংলাদেশের একটা প্রমো-
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই ভিডিওটাতে রবীন্দ্রনাথ ছিল না!
--- থাবা বাবা!
বিজ্ঞাপনের ছাড়পত্রের সাথে এর সম্পর্ক আছে
দোষ ত্রুটি থাকতে পারে, তবে অবাংলাদেশী বন্ধু বান্ধবের সাথে অনায়াসে এবং গৌরবের সাথে শেয়ার করার মতন বাংলাদেশ ভিত্তিক এমন প্রোমো ভিডিওর অভাব রয়েছে, সূচনা হিসেবে এই ভিডিও আমার ভালই লেগেছে।
সহমত
লিও হক, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এই ভিডিও দেখার পর আমারও একি অনুভূতি হয়েছে। কিন্তু আমার বন্ধুদের কাছে আমি কোন পাত্তা পাই নাই। আমার ও আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এক রকম দেখে ভালো লাগলো।
ধুসর গোধূলি, ভিডিওটা ভালো।
কিন্তু তার আগে অবকাঠামো ও আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তা হলেই এই ভিডিও এর সার্থকতা খুঁজে পাবেন, না হলে লজ্জাতে পরতে হবে।
----সৌম্য
থ্যাংস (কান্না...)
নাই মামার চাইতে কানামামা ভালো।
সাদা চামড়ার বালিকা (আমার তো মনে হল দো-আঁশলা) আর 'এডমিশান গোইং অন' ট্যাগলাইনে বড়জোর একঝাঁক ডিজুসী পোলাপাইনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে পারে, এবং আমার ধারনা হয়েছেও। দেশের পর্যটন বাজারের একটা বড় অংশই যেহেতু এই পোলাপাইন, সুতরাং এই কানামামা ঠিকই আছে।
পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে টুঙ্গীপাড়ার পদন্নোতিও বেশ ইন্টারেস্টিং। নতুন বিমানবন্দরের বর্তমান লোকেশান পদ্মার ওপাড়ের কোথায় হতে পারে, তার কিছু আভাষ পাওয়া গেল।
খুল্লানখুল্লা বিয়ার/বিকিনি গ্রহনযোগ্যতা না পেলে কক্সবাজার, ভাল থাকার ব্যবস্থা না থাকলে সুন্দরবন আর মিলিটারি না হঠালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাদা চামড়ার পর্যটক যাবেনা। "গোয়া, ফিফি'র স্বাধীনতা বাদ দিয়ে একদল সাদা চামড়ার পর্যটক লাখো জনতার ভীড়ে ফুলহাতা জামাকাপড় পড়ে কক্সবাজারের বালুতে বসে ইস্কুল ইস্কুল খেলছে" এটা স্বপ্নে দেখতেও বেশ জোড়ালো নেশাদ্রব্যের দরকার পড়বে।
আগামী ছুটিতে কে কে ইস্কুলে যেতে চান, হাত তুলুন!
মানে এইটার টার্গেট গ্রুপ ছিলো দেশী ট্যুরিস্ট? কি হুনাইলেন মামা?
আদতে নিশানা ঐটা ছিল কিনা জানিনা, কিন্তুক তীরটা গিয়া লাগছে ঐখানেই।
একটা সাদা চামড়াওয়ালাকে 'এডমিশান গোইং অন' আর আনন্দময় ছুটির যোগসুত্রটা বুঝাইতে চেষ্টা কইরা দেখলেই বুঝবেন তারা কেন এই ট্যাগলাইনের নিশানা হইতে পারেনা।
একটা প্রোমো নানান আইডিয়া নিয়া বানানো যায়। ১৬ কোটি মানুষ ১৬ কোটিরকমভাবে চিন্তা করবে। এটাই স্বাভাবিক।
সবগুলো তো বানানো যাবে না, যে কোনো একটাই বানাতে হবে। যেটা বানানো হইছে, সেটা যথেষ্টই ভালো। টুঙ্গিপাড়াটা যদিও কলঙ্ক হয়ে রইলো
তবু খারাপ না অন্তত... আরো হোক এরকম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার কাছে টুঙ্গিপাড়া কলঙ্ক মনে হয়নি নজুভাই। মুজিব বাংলাদেশের সম্পদ। মুজিব কী করেছেন সেটা যে বিদেশী জানবে সে বাংলাদেশে এসে তাঁর সমাধি দেখতে চাইতেই পারে। যুগশ্রেষ্ঠ নেতাদের সমাধি সারা বিশ্বেই দর্শনীয় স্থান! আমি এটাকে কলঙ্ক বলতাম যদি মুজিবকে আওয়ামীলীগের সম্পত্তি বানিয়ে কিছু বলা হত।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কলঙ্ক শব্দটা আসলে আক্ষরিক কলঙ্ক অর্থে ব্যবহার করি নাই।
স্মৃতিসৌধ সংসদ ভবন রাইখা টুঙ্গিপাড়া দেখানোটা তেলামী মনে হইছে... এই আর কী...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক।
আমিও প্রোমোটা দেখছি এবং এক কথায় অসাধারণ লাগছে।
আর টুঙ্গিপাড়া নিয়া এত এলার্জির কারন তো ঠিক বুঝলাম না ? এখানে টুঙ্গিপাড়ার সঙ্গে জিয়া উদ্দান থাকলেও কারো কোনো আপত্তি থাকতো না বলে আমার মনে হয়।
আসলে আমারা নিজেদের বেশি নিরপেক্ষ দেখাতে গিয়ে বেশি এলার্জিক হয়ে পরছি, এটা সংশোধন করা না গেলে ভবিষ্যতে ওষুধ খেয়ে নরমাল হতে হবে।
--
কালো ও সাদা
টুঙ্গিপাড়া এখানে অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে
জিয়া উদ্দান থাকলেও আপত্তি জানানো উচিৎ
কেউ কেউ ওষুধ খেয়েও আর নর্মাল হতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।
অসঙ্গতি আছে; আরো ভাল মেকিং হতে পারতো-এটা ঠিক।
অনেকভাবে এ ভিডিও সম্পর্কে মতামত দেয়া যায়।
আমি বরং শুধু দুটি প্রবাদ বাক্য বলি:
নানা মুনির নানা মত।
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো।
ভিডিওটা দারুণ লেগেছে। টুঙ্গিপাড়া ঢোকানোর দরকার ছিল না, তবে পরের সরকার বাহাদুর চাইলে ওটা বাদ দিয়ে আগারগাঁওয়ের জিয়ার মাজার ঢুকিয়ে দেবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্কুল শব্দটা অনেক সময় ইন্সটিটিউশন অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন স্কুল অব থটস। এই ক্ষেত্রে 'স্কুল অফ সেলিব্রেশন’ অর্থ হয়ত আয়োজনের সংঘটন ‘স্কুল অফ হ্যাপিনেস’ হয়ত একটা আনন্দের সংঘটন ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তবু আমার মতে এই শব্দ বন্ধ ব্যবহারটা দূর্বলভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
সমালোচনা সবসময়ই ইতিবাচক। তবে আপনার সমালোচনার প্রকাশ ভঙ্গিটা ভাল লাগেনি।
ব্যক্তিগত ভাবে বঙ্গবন্ধুর মাজার প্রদর্শন ছাড়া আর সবকিছুই ভাল লেগেছে। সংসদ ভবন প্রসংগে আপনার সাথে সহমত। আর গানের কথা চাইনীজ মনে হবার মত কিছু পেলামনা, উচারণে একটু আঞ্চলিকতা লক্ষ্য করেছি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার ছোট বোন(কাজিন আর কি) মার্কিন মুল্লুকে থাকে। দেশে আসেনা আজ অনেক বছর। ভালো লাগে না নাকি, খালামনিকে একাই ঘুরে আসতে বলে। ওকে আমি ওপেনিং অনুষ্ঠানেরও বেশ কদিন পরে ফেসবুক ওয়ালে বিউটিফুল বাংলাদেশ ভিডিওটা শেয়ার করি। আর ও আমাকে রিপ্লাই দেয়, " আপু, আমি তো এটা আগেই দেখেছি। ইউটিউবে বাংলেদেশে ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ভিডিও খুজতে গিয়ে দেখা হয়েছে।" এখন ও বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারে যেতে চায়। এবং যতগুলো সুন্দর জায়গা দেখিয়েছে সে সব জায়গায় যেতে চায়। এখন আমার কাজিন দেখছে বলে খুশি হবার কিছু নাই। কিন্তু ওর ঐদেশী যে বন্ধুরা আছে, তাদের সঙ্গে সে নিশ্চয়ই ভিডিওটা নিয়ে কথা বলেছে, শেয়ার করেছে। ওর বন্ধুগুলোকে সে নিশ্চয় বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে চেনানোর মত একটা "কিছু" এদ্দিনে দিতে পেরেছে। এটাই কম কি!
সূচনা এতই ভালো হয়েছে আমি আশা করি পরবর্তী ভিডিও/প্রোমোগুলো আরো অনেক গুণ ভালো হবে। আমি আশাবাদী।
কানা মামা ভাল- কিন্তু সে আসলে কানা
দু'একটা জিনিস বাদ দিলে ভিডিওটা খুবই ভালো মনে হয়েছে। গানের কথা যেটা বললেন সেটা একটু আঞ্চলিক টানে গাওয়া মনে হয়েছে, তাই বলে আমার কাছে খারাপ লাগেনি, আর কিছু কানেও লাগেনি।
যেটা কানে লেগেছে সেটা হলো বাংলাদেশকে ব্যাংলাডেশ উচ্চারণ করা। আর চোখে লেগেছে অপ্রাসঙ্গিক মাজার প্রদর্শন। তার উপরে পুরো ব্যাপারটাকে অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে শেষের "অ্যাডমিশন গোয়িং অন"।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যারা নিজের দেশের নামটাও উচ্চারণ করতে পারে না তাদের ঘাড় ধরে দেশের সীমানার বাইরে বের করে দেয়া উচিত। তবে ওইটুকু বাদ দিলে ভিডিওটা খুবই সুন্দর।
সহমত
তার উপরে পুরো ব্যাপারটাকে অনেকটাই হালকা করে দিয়েছে শেষের "অ্যাডমিশন গোয়িং অন"।
সহমত নই ।বাংলাদেশ এর প্রতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার একটি ছিল বিজ্ঞাপনের ভাষ্য ছিল (সম্ভবত বিমানের করা )
Visit Bangladesh Before Tourists Come ( poster ছিল)
তার পর এই School of Life ....Admission going on .....অনেক ভাল
বিজ্ঞাপনের ভাষ্য দিয়ে আপনাকে কিছু করতে বলা বা করতে প্ররচিত করা অনেক কঠিন । হয় খুব আগ্রাসী হয় নয় আহবান টা েজারালা হয় না । সে ক্ষেত্রে Admission going on অনেক ভারসাম্য পূর্ণ বলে মনে হয়েছে।আর টার্গেট গ্রুপের জন্য যথার্থ ও
যা বলতে চাই তা প্রায় সবই ধূগো বলে ফেলেছেন প্রথম মন্তব্যে।
আমার কাছে ভিডিওটির অন্য একটি ব্যাপার ভালো লেগেছে। এই ভিডিওটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
সাধারণ মানুষ ভিডিওটি গ্রহন করেছে মমতা নিয়ে, কারণ তাঁরা একটি বিজয়ী দেশ দেখতে চায়, সুন্দর দেশ দেখতে চায়।
সেই মনে হওয়ায় এটি একটি বিজ্ঞাপন।
আমরা এখনও ঠিকঠাক পুঁজিবাদী হয়ে উঠতে পারিনি, আমাদের ইতিহাস শ্রমদাসের ইতিহাস, ব্যবসা বুঝতে আমাদের আরো বেশ সময় লাগবে।
তবু আমরা যে বুঝতে চেষ্টা করছি, সেটাই বা মন্দ কী!
এটা শুরু মাত্র, শেষ নয়।
-
অনেকেই বলেন আমরা কেন টুরিজমের বিজ্ঞাপন করব, আমাদের তো অবকাঠামো ঠিক নেই। অবকাঠামো ঠিক নেই, এ কথা সত্যি।
ঢাকায় সবচাইতে সহজ হচ্ছে বিদেশীদের হাইজ্যাক করা এবং সেটি নিয়ম মেনে করা হয়, একথাও সত্যি।
কিন্তু তাই বলে টুরিস্টরা কি আসবে না? ইন্ডিয়ার অবকাঠামো কী আছে? দিল্লীর মতো টাউট বাটপারে ভরা নগর কয়টি আছে বিশ্বে?
আগ্রা থেকে তো আমাদের সিলেটের বিশ্বনাথ বাজারের অবকাঠামো আমার কাছে বেশি ভালো মনে হয়েছে। তাই বলে কি তাঁরা টুরিস্ট আকর্ষন করছে না?
মিশরের অবকাঠামো কী? নেপালের অবকাঠামোর কী অবস্থা?
এসব দেশের অবস্থা দেখে তো মনে হয় না বাংলাদেশ খারাপ অবস্থায় আছে।
অবকাঠামো কোনো একদিন গড়ে উঠবে, গড়ে উঠছে তো ধীরে ধীরে।
আসুন, আমরাও বিশ্বাস করতে শিখি-রিক্সা আর বিশ্বের সেরা ট্রাফিক জ্যাম দেখতে হলেও টুরিস্ট আসবে। বিক্রী করতে পারলে এগুলোও পণ্য বটে।
দেড় বছর পর দেশে ফিরে এক চেংড়া রিক্সাওয়ালার পঙ্খীরাজে উঠসিলাম, উড়ায় নিয়ে গেছে, দীর্ঘদিনের অনভ্যাসের পর এইরকম রিক্সা রাইড রোলার কোস্টারের চে' বেশি উত্তেজক লেগেছিল। সি,এন,জি তেও একই অভিজ্ঞতা, সারাক্ষণ মনে হয় এই লাগলো, এই লাগলো, হাড্ডি গুড্ডি ভাঙ্গার ব্যাথা নেহায়েত একটা বিরাট ধাক্কা হজমের মানসিক প্রস্তুতি নেই, কিন্তু কেম্নে কেম্নে জানি ঠিক বের হয়ে যায়। এর চে' থ্রিলিং রাইড আপনি দুনিয়ার কোথাও পাবেন না। কসম খোদার।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমার এক্স-অফিসে এক বিদেশি সহকর্মীর মতে, "Driving in Dhaka city is like playing video game!"
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সহমত
একমত
গত সপ্তাহে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ নাইট হয়েছে। প্রায় ১০০ আমেরিকান ও অন্যান্য দেশীদের সামনে আমরা এই ভিডিওটা দেখিয়েছি। তাদের রেস্পন্স ছিল এরকম-
"ওয়া-আ-আওওওও, "- ১টি ৫-৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ বালিকা, শহীদ্দ মিনারে জ্বালানো মোমবাতি আর হলুদ সর্ষে ক্ষেত দেখে।
" I wanted to go India this summer, but now I think I'll go to bangladesh for a 1-2 week also", ১৯-২০ বছরের এক আমেরিকান তরুনী
"I also want to go to Bangladesh with my friend here. Is there any festival around June-July , I really like the colors of festivals". পূর্বোক্ত তরুনীর বান্ধবী।
" How much is the plane ticket to go to Bangladesh? I want to go. It's so beautiful", জনৈকা হিস্পানিক বালিকা।
উল্লেখ্য এদের কেউ এর আগে বাংলাদেশের নামও শুনেনি, বড়জোর পরনের জিন্সের পশ্চাতদেশে ট্যাগে দেখেছে " মেড ইন বাংলাদেশ"।
আমার মনে হয় ভিডিওটা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বানানো হয়েছে, বিদেশি পর্্যটক আকর্ষণ করা, সে কাজে এইটা পুরোপুরি সফল। বিদেশি গুলার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় গর্বে ছাতি ফেটে যাইতেছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চিন্তা করলে আমরা অন্যান্য অনেক জায়গার সাথেই প্রতিযোগিতায় পারবো না। কিন্তু বাংলাদেশ কে কিভাবে উপভোগ করা যাবে, সেটা যে কেবল প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী বা সুরম্য স্থাপনার বাইরে অন্য কিছু সেটা এখানে বেশ ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, এইরকম বিশাল গাড্ডার মধ্যে বসবাস করেও ছোট ছোট জিনিস থেকে কিভাবে আনন্দ খুঁজে নিয়ে বাংলাদেশীরা কেমনে দুনিয়ার সবচে সুখী দেশ হইতে পারছে, সেটা এই দেশের মানুষের থেকে শিখতে আসার আহবান দেয়া হচ্ছে, এটাই মূল মেসেজ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সে কারণেই এটার ফাংশনালিটি নিয়ে তাদের মাথা ঘামাবার কথা না। আমরা যেহেতু এই দেশেরই মানুষ- মাথা তাই আমাদেরই ঘামাতে হবে। শোনেন ভাই- এইটা দেখে আমারও খুব ভালো লাগছে, কিছুই তো ছিলো না যাক একটা কিছু তো হইলো- এবং অতি অবশ্যই পরেরটা আরো ভালো হবে। কিন্তু তাই বলে যা হইছে সেইটার যদি কৃটিক আমরা না করি তাইলে পরেরটা ভালো হবার চান্স আরো কমে যাবে।
সমালোচনা ভাল, কিন্তু অতিসমালোচনা ভাল না। আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে প্রোমোটা...আর একজন স্বতঃস্ফূর্ত শ্বেতাঙ্গ রমণী বাংলার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা অবশ্যই বিদেশীদের আকৃষ্ট করবে! পর্যটনের অবকাঠামো গড়ার আগে পর্যটনের জন্য কী কী আছে সেটা জানাও জরুরী। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পর্যটনের উপর হওয়া সেরা প্রোমো...যা অনেক এডভেঞ্চারাস পর্যটককে (যারা হানিমুন আর পর্যটনকে সমর্থক মনে করেন না) আকৃষ্ট করবে বলেই মনে হয়! আস্তে আস্তে নিশ্চয়ই অবকাঠামো গড়ে উঠবে।
টুঙ্গিপাড়া নিয়ে এলার্জিরও কারণ দেখিনা; হয়তো সরকার তোষণ হচ্ছে, কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসিতে গেলে কী দেখার জন্য লোকে সাজেস্ট করে?
যাদের ভিনদেশী রমণীতে চুল্কানি আছে, তাদের জানাইঃ মেয়েটা ইহুদী আমেরিকান, বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন থাকার সুবাদে সে ভাল বাংলা পারে, এবং এখন বাংলাদেশি একজনের সাথে বিয়ে হওয়ার কারণে এখন মুসলিম। সে বাংলাদেশকে খুব ভাল লেগেছে বলেই জানাচ্ছে এখানে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
একমত
আবারো একমত
ঢাকার নাম কে যেন 'মুজিবনগর' রাখার সাজেশন দিছেন কদ্দিন আগে কারণ ওয়াশিংটন ডিসি যদি হতে পারে- ইত্যাদি। আশা করি আপনি তাকে চেনেন না।
অত্যন্ত আহত হলাম। আমার কথাটা বোঝাতে পারি নাই হয়ত। ভিন্দেশী রমনীতে কারো আপত্তি থাকার কোন কারণ নাই কারণ এটার টার্গেট গ্রুপই ভিনদেশ। কিন্তু ভিনদেশ মানে প্রথমত শুধু সাদা চামড়া না আর দ্বিতীয়ত শুধু তরুনী না।
আর ওই মডেল ভদ্রমহিলার ব্যক্তিগত অনুভুতি এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
প্রথম কমেন্টেই সব বলা হয়ে গিয়েছে। প্রাসংগিক বলে একটা লিংক শেয়ার করছি
http://www.lonelyplanet.com/press-centre/press-release.cfm?press_release_id=500
লোনলি প্লানেটের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এ বছরের বেস্ট ভ্যালু ডেস্টিনেশন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ব্যাক প্যাকারসদের জন্য আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে।
আরেকটা জিনিস: প্রোমো'র মেয়েটা (মিশেল মাউন্ট) কিন্তু এই অবকাঠামোবিহীন বাংলাদেশকেই পছন্দ করেছিল। সুতরাং অবকাঠামো ঠিক না থাকলে, ট্যুরিস্ট আসবে না, কথাটি ঠিক নয়।
http://microfinancette.com/blog/
কথাটি আমি বলিও নাই।
আমি যা বলেছি জানতে হলে পড়ুন http://www.sachalayatan.com/leohaque/37876 আপনার ওপরেই পাওয়া যাচ্ছে... টিং টং (অ্যাড শেষ হইল )
বিশ্বকাপ উপলক্ষে সারা বিশ্ব বাংলাদেশ কে যতটুকু জেনেছে, এই ভিডিও টা সেই জানা কে আরও একটু আকর্ষণীয় করেছে। ভাল হোক - খারাপ হোক প্রথম তো। এর আগে কেউ কি বাংলাদেশ কে তুলে ধরে এভাবে কোন ভিডিও তৈরি করেছে? শুধু মাত্র সমালোচনা না করে আরও ভাল কি ভাবে করা যায় এবং সেই ভিডিও কিভাবে বিদেশি মিডিয়াতে ব্রডকাস্ট করা যায় সেই চিন্তা করাই মনে হয় দেশের জন্য ভাল।
সাদা চামড়ার তরুণী দেখানোর উদ্দেশ্য হলো ভিডিওটা বিদেশীদের আগ্রহী করতেই বানানো। লোকাল ট্যুরিজমকে টার্গেট করে না
সব বিদেশী তাইলে সাদা চামড়া?
ভাই
কলোনিয়াল মেন্টালিটি থিকা বাইরানোর সময় আসছে।
শুভকামনা রইলো
আমি যদি বলি সাদা চামড়া ছাড়া অন্যকিছুর জন্যে হাউকাউ করাটা আপনের 'সুশীল' হওয়ার গ্যালারি শো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
প্রোমোটা প্রথম দেখার পর মনে হয়েছিল নিজের দেশটাকেই এখনো ভাল করে চেনা হয়নি, আক্ষরিক অর্থেই দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া যাকে বলে। তাই প্রথম ধাক্কায় ওটা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছিল। এরপরের বার টুঙ্গিপাড়ার ভুক্তি আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ-সংসদ ভবনের বাদ যাওয়া নিয়ে খচখচানি থাকলেও সেগুলোকে বড় করে দেখতে রাজি নই। তাই, সমালোচনার ধাতটা একটু বেশিই কড়া মনে হল...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি একবার কয়েকজন বিদেশীকে নিয়ে গিয়েছিলাম আমাদের শাহবাগের ছবির হাটে।
তারা মুগ্ধ।
একজন বলল, এটা তো প্যারিসের মতো ব্যাপার! ওয়াও! তারপর সে তাঁর বিদেশে থাকা বন্ধুকে যে ইমেল লিখেছিল ( আমাকে কপি দিয়ে ) সেটি মোটামুটি এরকম:
কী বুঝলেন?
শাহবাগ ছবির হাট যে একটা মাস্ট সি ডেস্টিনেশন, এটা কি টুরিস্টের চোখ দিয়ে না দেখলে বুঝতে পারা যায়?
পহেলা বৈশাখের মতো কালারফুল ফেস্টিভ্যাল কি টুরিস্ট আকর্ষণ করবে না?
খালি লালবাগ কেল্লাই যে টুরিস্ট আকর্ষন, সেই স্টেরিও টাইপ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের।
সহমত
কিন্তু এখানে না ছিলো পহেলা বৈশাখ না ছিলো শাহাবাগ (আশা করি মিস করি নাই?)
না ছিলো এমনকী বৈসাবি'র কোনটা।
নজুভাই উপরে জবাব দিয়েছেন। একেকজন একেকভাবে ভাববেন। শুরুটা সেজন্য অনেকভাবেই হতে পারে! সবরকমই গ্রহনযোগ্য হতে পারে। একটা খারাপ আর অন্যটা ভালো তা কিভাবে বলেন?
নারিকেল পাতা নয়, সুপুরির পাতা। পাম পাতাও হতে পারে। পরবর্তী অংশটা আসলেও আপনার 'পাপ মন' বলে মনে হচ্ছে!
এই ভিডিওটা দেখে আমার অবচেতন মন কী চেয়েছে জানেন? ঠিক ওই মেয়েটার সঙ্গে তার মতো করে "লম্ফঝম্প" করতে! বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য ওটাই। দর্শককে ভাবানো যে, তুমিও চাইলে এই মেয়েটির মতো উল্লাসে মাততে পারো! বাংলাদেশে এরকম আনন্দ উপভোগ করা যেতে পারে!
"জুড়ে" শব্দটার ভুল উচ্চারণ ছাড়াতো আর কোনো সমস্যা দেখছিনা! আমরা বাংলাদেশে বাংলা মশলা দিয়ে চাইনিজ খাই বলেই তা এতো জনপ্রিয়। খাঁটি চাইনিজরা যেরকম খাবার খায় তা বাংলাদেশে মানুষকে কেউ বিনামূল্যেও খাওয়াতে পারবেনা! সেরকম রবীন্দ্রসঙ্গীত ঠাস করে একজন অবাঙালিকে আকর্ষণ করবে ভাবলে ভুল হবে! প্রমোর মিউজিকটা এজন্য ফিউশন। খাঁটি বাঙালির যন্ত্রানুসঙ্গ এবং সুর নয়।
অমানুষিক চমৎকার অথবা ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য বলতে আপনি কী বোঝেন? কাব্যিক দৃষ্টিতে আমার কাছে স্কুল শব্দের ব্যাবহার মোটেই অসংলগ্ন লাগেনি। এর বেশি আর বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয় এই ব্যাপারটা!
চে গুয়েভারার সঙ্গে বিপ্লব অথবা কিউবার কী সম্পর্ক? আমি কিউবা গেলে চে'র সব চিহ্ন দেখতে চাইবো। মুজিবের মতো একজন নেতা একটা জাতি একবারই পায়। তাঁর সমাধি অবশ্যই দেখার মতো কিছু। তাঁর কথা অবশ্যই গর্ব করে বলার মতো কিছু!
এটা একটু বেশি বেশি দেখানোর দরকার ছিলো বটে!
এটা থাকতে পারতো বটে কিন্তু মনে রাখবেন এদেশে কেউ কিন্তু সংসদ ভবন দেখার অনুমতি পায়না। সেই হিসেবে ওটা দেখার কোনো জিনিস নয়!
প্রথম উদ্ধৃতির জবাবটা আরেকবার পড়ে নিন।
অবশ্যই যেতো। আরো অনেকভাবেই করা যেতো। কিন্তু তারমানে এটি করা উচিত হয়নি তা মানতে রাজি নই!
আর কোট করার ধৈর্য নেই। শেষ কথা বলে যাই, অবশ্যই আরো ভালো ভালো কাজ হতে পারে। নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু তার আগে বোধহয় যেটা হয়েছে সেটাকে স্বীকৃতি দেয়ার মানসিকতা দরকার! নিন্দা করা বোধহয় আমাদের স্বভাব হয়ে গেছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মন্তব্যের লাইক বাটনের অভাব বোধ করতেসি।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এটা বিজ্ঞাপনের একটা স্টিরিও মার্কা সিন। মাঝে মাঝে পাঞ্চ করা হয়।
ধর্ম গিয়া ঠেইকলো টাকনুতে, পা'জামার কি গিরার উপরে না নিচে- ভাইজান পাতা এইখানে কোন ফ্যক্টর না। হুদাই উদ্ভিদবিদ্যা ফলাইলেন। আর ভালো ডিরেক্টর সবসময় পাপিষ্ঠদের কথা মাথায় রেখে সিন কাটছাট করে- আমার মত পাপীর অভাব নাই। আপনার মত সন্ন্যাসী উপগুপ্ত হইতে পারলে তো কবেই ধর্ম প্রচারে নামতাম
আমার কান অনেকদিন পরিষ্কার করি না।
এই লোকের বাকি গান শুনছেন? সেইগুলা তো আমাদের জন্যে গাওয়া। সেইগুলাও ফিউশন? হুম... তার মানে মিলা'ও ফিউশন RJ রাও ফিউশন- থ্যাংস ভাইয়া- এতদিন বুঝি নাই
এই বিষয়ে কিছু না বলি, এমনি শত্রুর অভাব নাই। একটা কথা বলি বঙ্গবন্ধু নিয়া কারো আপত্তি থাকলে সে এই দেশের মানুষ হবারই যোগ্য না। কিন্তু এই প্রোমোতে তারে আনাটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক লাগছে।
হা হা এবং হা। ভাই বাইরে থেকে তো দেখা যায়? ওই বিল্ডিং পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ১০ আর্কিটেকচারাল স্ট্রাকচারের একটা। শুধু ওইটা দেখার জন্য কি পরিমান মানুষ ঢাকায় আসে তার পরিসংখ্যান হয়ত আমাদের মাজুল পর্যটন কর্পোরেশনের নাই। কিন্তু আপনার এই কথাটা চাইল্ডিশ হইলো দাদা।
জেবতিক ভাইয়ের কথামত শুধু মানুষ দেখতেই কিন্তু অনেক লোকের এখানে আসা উচিৎ। এত মানুষ একসাথে থাকাটাই দর্শনীয় ব্যাপার। আর মানুষ না রাখাটা আসলে যে 'হীরক রাজা সিন্ড্রম' আশা করি আপনিও তার সাথে একমত হবেন?
এটি করা উচিৎ হয় নাই আমি কইছি?
আর কোট করার ধৈর্য নাই।
নিন্দা করা যে আমাদের স্বভাব তা আপনার মন্তব্যগুচ্ছে প্রমাণিত।
তাহলে তো হয়েই গেলো। আপত্তির কী আছে?
পাতাটা বড় একটা ফ্যাক্টর। বাংলাদেশী একটা লোক সুপুরির পাতা চেনেনা দেখলে নানা সন্দেহ জাগে! আর তাছাড়া কেউ না জানলে তাকে জানিয়ে দেয়াটা ভালো বলেই মনে করি। (সেটা খুব কম লোকের কাছেই বিদ্যা ফলানো মনে হয়!) সুপুরির পাতায় বসিয়ে কাউকে টেনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টা আপনার কাছে নতুন মনে হচ্ছে। এই খেলায় অহরহ উল্টে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। সেটাও একটা উল্লাসের বিষয়। যে পাতা টেনে নিয়ে যায় তার উদ্দেশ্যই থাকে আরোহীকে ফেলে দেয়া। আরোহী পড়ে গেলে সে পাতায় বসার সুযোগ পায়! তখন আরোহীকে পাতা টানতে হয়। এভাবে চলে পালাবদল। এইখানে সুড়সুড়ি দেয়ার মতো কী আছে তা খুঁজতে গিয়ে বহুবার দেখা ভিডিওটাই আবার টেনে টেনে দেখতে হলো। শেষে মনে হচ্ছে নিজের সম্পর্কে আপনার মন্তব্য ঠিক আছে! তবে আপনার মতো আরো অনেকে আছে বলে বিশ্বাস করিনা!
ব্যক্তিগত আক্রমণ বলে মনে করছি। আপনার জবাব শুনে তারপর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হবো!
যদি আপনার নিজের সেরকম মনে হয় তাহলে ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে আপনার বিশেষ নজর দেয়া উচিত।
না। এইলোকের বাকি গানগুলো শুনিনি। সেইগুলো যদি আপনাদের জন্য গাওয়া হয় এবং তার কথা-সুর-সঙ্গীতে আপনাদের আপত্তি থাকে তাহলে সেটা নিয়ে আলাদাভাবে বলুন। বিজ্ঞাপনের এই গানটির সুর-সঙ্গীত ঠিক আছে কিনা সেটা নিয়ে এখানে কথা হচ্ছিল। সেটি নিঃসন্দেহে আরো ভালো হতে পারতো, তবে যেটা হয়েছে সেটাও খারাপ নয়। মিলা/RJ'রা ফিউশন কিনা জানিনা। ফিউশন একটি ধারা, সেটি পছন্দ/অপছন্দ করা ব্যাক্তির মানসিকতার উপর নির্ভর করে... নো প্রব্লেম- প্রাসঙ্গিক আর কিছু বুঝতে না পারলে নিঃসঙ্কোচে জিজ্ঞাসা করবেন।
এক দৃষ্টিতে ঠিক বলেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যার আপত্তি আছে সে এই দেশের কেউ হবার যোগ্য না। তার পাকিস্তানে চলে যাওয়াই ভালো। এই প্রোমোতে তাঁকে আনা আপনার কাছে অপ্রাসঙ্গিক কেনো লেগেছে এখনো বুঝতে পারিনি।
স্থাপনা দেখার বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি একমত নই। বাকিংহাম প্যালেস, স্ট্যাচু অব লিবার্টি, আইফল টাওয়ার এগুলো বাইরে থেকে দেখে আসার জন্য পর্যটকরা যায় না। যায় এগুলোর নাড়ি নক্ষত্র ছুঁয়ে আসার জন্য। তারপরও বিজ্ঞাপনে সংসদ ভবন দেখানো যেত অবশ্যই। সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত করিনি। সংসদ ভবন দেখার জন্য অনেক মানুষ ঢাকায় আসতে পারে, সে বিষয়ে কোনো কথা নেই। বিদেশি পর্যটকরা আসে কিনা সেটা জানা থাকলে বলুন!
মানুষ দেখিয়ে অন্যরকম আরেকটা বিজ্ঞাপন হতে পারে অব্যশই। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনে মানুষ না দেখানোটা অপরাধ বলে মনে করছি না। মানুষের ভিড় যেখানে গ্রহনযোগ্য সেরকম একটা মেলা কিন্তু দেখানো হয়েছে।
আপনার লেখা পড়ে সেরকমই মনে হয়েছে। আপনার লেখার সারমর্ম মনে হয়েছে, "বিজ্ঞাপনটা চলে কিন্তু সুবিধার্না"! আপনার লেখাটি নিন্দা করে লেখা। প্রশংসা করার জন্য আপনি এই লেখাটি লেখেন নি!
আমার মনে হয় আমার মন্তব্য প্রমাণ করে যে, যুক্তিহীন নিন্দা করে কেউ আলোর নিচে আসার চেষ্টা করলে তার প্রতিবাদ করা আমাদের স্বভাব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাইরে, এটা আমার দেখা সেরা প্রোমোশনাল ভিডিও বাংলাদেশের ট্যুরিসম নিয়ে আর আপনি কিনা বলছেন এটা তেমন ভালো না।
আমার কাছে স্কুলের আইডিয়াটা চমৎকার লেগেছে, নতুনত্ব আছে। আর বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের কোন কিছু পরিপূর্ণতা পায় বলে আমার মনে হয় না (তার মানে এই না যে সবকিছুতে উনাকে নিয়ে আসতে হবে)।
কিছু অপূর্ণতা যদি থেকেও থাকে সেটা হয়ত এর পরের কোন ভিডিওতে ঠিক হয়ে যাবে, এটাই তো আর শেষ না, বরং এটা শুরু।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সমালোচনা থেকে লেখাটা অতি সমালোচনা হয়ে গেছে। অনেকটা শ্বাশুরীর জোর করে নতুন বউ এর খুঁত ধরার মত। মুজিবকে বাংলাদেশের জনক হিসাবেই পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সেটা অন্যান্য দৃশ্যের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্হান পায়নি, তাই অযথা কোন দলীয় প্রচারনা মনে হয়নি। মেয়েটার ন্যাচারাল উচ্ছ্বলতাই সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। মেয়ের সাথে টুরিষ্ট দল নিয়ে ঘোরাফেরা করার জন্য তো ৩ মিনিটের ভিডিও চিত্র দিয়ে হবে না, এর জন্য পূর্ন দৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবির প্রযোজকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অবকাঠামোর ব্যাপারে আরিফ জেবতিকের সাথে সম্পূর্ন একমত। কেনিয়াতে আমি টুরিষ্ট কোম্পানীগুলোর লিফলেটের সাথে একটা বার্তা দেখেছি যার ভাষা ছিল এমন : " এটা একটা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি তাই এখানে সব সময় উন্নত বিশ্বের সুবিধা আশা করে লাভ নেই" । টুরিষ্ট যারা এসব দেশে আসে তারাও আসল অবস্থা জেনেই আসে। আর সস্তার বাংলাদেশে একটু ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য খুব বেশি খরচ করতে হয় না। বরং খুব সামান্য পয়সাতেই খুব ভালো আয়োজন সম্ভব।
অতি সমালোচনা হয়ে থাকলে সেটা আমার লেখার ভুল। কারণ আমার কাছে যে ভিডিও চিত্রটি ভালো লেগেছে তা আমি প্রথম প্যারাতেই বলে নিয়েছিলাম।
৩ মিনিট কোন প্রোমোর জন্য অনেক সময়। পৃথিবীর বেশীরভাগ প্রোমোই কিন্তু এক মিনিটের কম সময়ে বানানো হয়। আর যে সময় ধরে তরুনীকে দেখান হল সেই একই সময়ে যদি একটা ট্যুরিস্ট পরিবারকে দেখানো হত তাহলে কেন আরো সময় লাগত? বুঝি নাই। বলতে পারেন এক দঙ্গল লোকজন আসলে দেখতে আর ছ্যারাব্যারা লাগত।
আর অবকাঠামো মানে কিন্তু ফাইভ স্টার হোটেল না শুধু। জেবতিক ভাই যা বলেছেন সেটার সাথে আমিও একমত। আসলে বাংলাদেশের দেখার ব্যাপারগুলি-ই হল আমরা যেগুলোকে ক্ষ্যাত ভাবি সেগুলো। এখানে বাইরের কেই এলে ভয়ানক ভীড় ঠেলে ফুটপাথের পাশের টং এ চা খেলেই বরং বিমলানন্দ পাবে। কিন্তু ঢাকার বাইরে কোথাও যখন যাবে তখন ভালো ট্রান্সপোর্ট কি সব জায়গায় আছে? সিকিউরিটি? থাকার মোটামুটি একটা জায়গা? আমার অভিজ্ঞতাই বলি- নিঝুম দ্বীপ, বিরিশিরি আর মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ী, পৌঁছাতে নাভিশ্বাস উঠে গেছিলো। আর ওখানে থাকার জায়গার এতই বাজে অবস্থা যে আমাদে মত মধ্যবিত্তরাও থাকতে চাইবো না। আশা করি এবার অবকাঠামোর সংজ্ঞা কিছুটা বোঝাতে পেরেছি?
এক কথা বার বার লিখতে হচ্ছে। আবারো বলি- ভিডিওগ্রাফি চমৎকার লেগেছে, কিন্তু অনেক কিছুই অনুপস্থিত আর অপ্রাসঙ্গিক লেগেছে। আর যেহেতু আর নাই- তাই এইটাই সেরা,
প্রোমোটা আমার ভালো লেগেছে। মেয়েটার উচ্ছলতা ভালো লেগেছে। দেখার সময় আমার মাথায় একটা জিনিষই শুধু ঘুরছিল, আমার দেশটা এতো সুন্দর, কিন্তু অর্ধেকও দেখি নাই। আমার তো মনে হয় এই প্রোমো শুধু বিদেশী না দেশীদেরও একটা নাড়া দিবে। -রু
মেয়েটার উচ্ছলতা ভালো না লাগার কোন কারণ নাই। আপনি একটা ব্যাপার বোঝেন নাই। অন্যান্য বিজ্ঞাপনে যে কারণে সুন্দরী তরুনীদের মডেল বানানো হয় এই বিজ্ঞাপনটা ওই টাইপ না। এখানে 'টার্গেট গ্রুপ' আলাদা।
এর বদলে কি হতে পারত তার একটা সাজেশন আমি লিখছি।
আমি নিজের কথাটা ঠিক মতো বোঝাতে পারিনি। প্রোমোটা দেখার সময় একটা মেয়ে না ছেলে কি সাদা, কালো, বাদামী, না হলুদ একজন দৌড়াচ্ছে, সেটা আমার কাছে মুখ্য ছিল না। আমার ফোকাস ছিল আশপাশের পরিবেশটা বা তার কার্যকলাপ। ওখানে যদি একটা কালো ছেলে থাকতো আমার মনে হয় আমি একই ভাবে প্রোমোটা উপভোগ করতাম।
আপনার সাজেশনটা অবশ্যই একটা অপশন হতে পারত। সেটা অন্যরকম আরেকটা প্রোমো হতো। একদল পর্যটককে নিয়ে যখন করা হবে, আমার মনে হয় তখন ফোকাসটা সেই দলের উপর পড়বে বেশি। অর্থাৎ কে কী করছে বা তাদের ইন্ডিভিজুয়াল রিএকশনগুলো। এখানে যেমন মেয়েটা দৌড়াচ্ছে বা বাচ্চাদের সাথে খেলেছে, সুন্দরবনে মধু আহরণে গিয়েছে। জাত আর বয়সের (কথার কথা ৬০ থেকে ১৫ বছর ধরলাম) বৈচিত্রপূর্ণ একটা পর্যটক দল নিয়ে কিন্তু এই উচ্ছ্বলতাটা ফুটানো কষ্টকর। সেটা যে পারা যাবে না বা খারাপ হবে তা বলছি না। সেটা অন্যরকম আরেকটা প্রোমো হবে এই যা। একেকজনের একেকটা বেশি পছন্দ হবে।
-রু
এটি দেশ বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞাপন। পর্যটন কর্পোরেশানের জন্মাবধি সবচেয়ে সুন্দর চিত্র। চিত্রায়ন এত ভালো হয়েছে যে কোন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারযোগ্য।
একসময় বিবিসি সিএনএন খুললে যখন "বিউটিফুল এশিয়া" নামে মালয়েশিয়ার বিজ্ঞাপন দেখতাম, আফসোস হতো আহা এরকম একটা চিত্র বানাতে কয় পয়সা লাগে। আমরা কি পারি না? অবশেষে পারলাম।
প্রথম কাজ হিসেবে অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। এখানে সিনিক হবার কোন মানে নেই। যেসব ভুল বা বাদ পড়া জিনিসের কথা এসেছে সেসব এত নগণ্য যে আলোচনারও যোগ্যতা রাখে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি চিত্রায়ন নিয়া খারাপ কিছু কইছি??
মূল পোস্ট টা কষ্ট কইরা একবার মাত্র পড়েন, বেশী কষ্ট লাগলে কোট মারি-
কৃটিক মানে কি সিনিক হওয়া?
আপনি চিত্রায়ন খারাপ বলেছেন বলিনি। কিন্তু আপনার পোষ্টের মূল সুর এই বিজ্ঞাপনচিত্রের ভুল ত্রুটি নিয়ে। যেটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এত কষ্ট করে সবাই এটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আমি বোধহয় লিখতে পারি না, কারণ আমার কথাটা কাউকে বোঝাতে পারি নাই। ভিডিওটা যে আমার ভালো লাগছে সেটা তো আমি প্রথম প্যারাতেই বললাম? আর কেন এটা ভালো লাগছে সেটা শেষ লাইনে বললাম-
কিছুই তো নাই তাইলে যা হইছে তা-ই তো অনেক, এই থিউরিতে আমাদের এইটা ভালো লাগছে। কিন্তু সেই দৃষ্টিভঙ্গী বাদ দিলে প্রোমো হিসেবে এটার যে যে জায়গা গুলি আমার কাছে দূর্বল মনে হইছে আমি তাই বলছি। ব্বোঝাতে না পারার সব দায় ঘাড়ে নিচ্ছি।
বিজ্ঞাপনটির যেসব দুর্বলতার কথা আপনি তুলে ধরেছেন সেগুলো ঠিক আছে। এমন কি সেসব ছাড়াও আরো কিছু দুর্বলতা আছে। তার উপর মেয়েটা অভিনয় বা মডেলিং কোনো কোনোটাই পারে বলে মনে হয় নি। তার হাসির কৃত্রিমতা দৃষ্টিকটু লেগেছে।
আর গানটা প্রথমবার শুনে আমারও চায়নিজ মনে হয়েছিলো!
তবে ভিডিওটা সুন্দর। বেশ সুন্দর। বাংলাদেশ নিয়ে এরচেয়ে সুন্দর ভিডিওচিত্র এখনো চোখে পড়ে নি। আশা করবো এই নির্মাতারা তাদের দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠে এমন আরো সুন্দর সুন্দর সব ভিডিও আমাদের উপহার দেবেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রিয় লিও,
আপনার লেখার প্রথম সমস্যা হচ্ছে আপনি লেখাটাকে সব অর্থে শেষ করেননি। কিছু অংশ পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। ছোট গল্প হলে বিষয়টা মেনে নেয়া যেতো। এখন যাচ্ছেনা। উপরে তো দেখলাম আপনার উপর দিয়ে মোটামুটি একটা ঝড় বয়ে গেছে। আশা করি ঐ ঝড় সামলে ফেলেছেন। নিন্দা এবং সমালোচনা কিছু কিছু সময় আসলেই আমরা এক করে ফেলি। এখানে এই ঘটনা ঘটেছে আপনার লেখার দৈর্ঘ্যের কারনে। আশা করছি পরে আরো বড় লেখা দেবেন এবং সেটা সকল অর্থেই সম্পূর্ন হবে। ভালো থাকবেন।
সহমত
বিজ্ঞাপনটি আমার অনেক ভালো লেগেচে। যদি ও মানছি আরো অনেক ভালো কাজ করা যেতো। কিনটু এটা শুরু।
আশা করি ভবিষতে আর ও ভালো কাজ হবে। সমালোচোনা করা ভালো কিনটু সমালোচোনার ঠেলায় নতুন শুরু টা কে হতাশ করে দেয়া ভালো না। আমার ভারসিটি র যেকোনো অনুসঠানে গৌরব র সাথে এই ভিডিওটি দেখানো যাবে ভেবেই আমার মন টা ভালো হয়ে যায়।
সবকিছু মিলিয়ে প্রোমো-টা আমার খুবই খুবই ভালো লেগেছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এই বিজ্ঞাপনচিত্রটা দেখে আমার বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিদেশীটি চিৎকার করে বলেছিলো-আই ওয়ান্ট এ্যাডমিশন ফর্ম!!!!
পুলিশ একাডেমী অডিটোরিয়ামে এই ভিডিওচিত্র দেখে রক্তপাত,খুনোখুনি আর সমাজের কর্কশ দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত বেশ কয়েকজন অফিসারের চোখে আবেগের অশ্রু দেখা দিয়েছিলো- আমার এক পুলিশ বন্ধুর বক্তব্য এটি।
এই ভিডিওচিত্রে করা যেত এরকম হাজারটা দিক খুঁজে পাওয়া যাবে কেউ যদি চেষ্টা করে।কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে, অসংখ্য মানুষ(দেশি এবং বিদেশী) এটিকে পছন্দ করেছে- বহু বিদেশী এই ভিডিওচিত্র দেখে বাংলাদেশে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।এই লেখাটা যেহেতু আপনার ব্যক্তিগত মতামত-এইবেলা পাঠক হিসেবে আমি এটি সম্পর্কে আমার মতামত জারি করিঃ
জনপ্রিয় এবং সফল কিছু দেখলে সেটার বিরূদ্ধে একটা কিছু লিখে সস্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছাড়া পুরো লেখাটায় আর কিছু পেলাম না।
অপছন্দনীয়ঃ
আমার দৃঢ় ধারণা ধারাবর্ণনাকারী একজন ব্রিটিশ।
আর মিউজিকটা অদিতের করা। অদিতের বেশির ভাগ গানই ফিউশন টাইপের, সরাসরি কোন ধারায় পড়েনা।
["অন্তহীন" - অদিত ফিচারিং মাহাদী এবং এলিটা -- এই অ্যালবাম দ্রষ্টব্য]।
সুপারি পাতার ব্যাপারটা না জানা কিছুটা দুঃখজনক।
সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন কোন জিনিস বানানো মানুষের পক্ষে সম্ভব না, আর সকল বাঙ্গালিকে সন্তুষ্ট করার ব্যাপার টা তো আরো কঠিন।
দুঃখিত, ব্যাংলাডেশ ব্যাপারটা এখনো পছন্দ করতে পারলাম না। বর্ণনাকারী যদি ব্রিটিশ হন তাহলে তাঁর জন্য উচ্চারণটা ওই রকম হওয়া ঠিক আছে, কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁকে এটা বর্ণনা করতে দেয়াটা ঠিক নেই - বিশেষ করে যেখানে দেশের নামে অ্যাকসেন্টের পার্থক্যটা জানা ব্যাপার।
গানের বিরুদ্ধে আমি কিছু বললাম কখন বুঝতে পারছি না। গানটা ভালোই লেগেছে আমার কাছে। সুপারিপাতা চিনি না সেটাই বা কখন বললাম বা বোঝালাম? আমি আগের মন্তব্যে কি বলেছি দেখতে চাইলে দয়া করে উপরে স্ক্রল করে একটু পড়ে নিন।
যতদূর মনে পড়ে এটাও বলেছি যে দুই একটা জিনিস না ধরলে ভিডিওটা খুবই সুন্দর। এবং এমনকি নেগেটিভ ব্যাপারগুলো ধরেও এটা এ পর্যন্ত আমার দেখা বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রমোশনাল ভিডিওর মধ্যে সেরা। তবে তার মানে এই নয় যে কিছু সেরা হলেই তার সবকিছু নির্বিশেষে ভালো লাগতে হবে বা ভালো বলতে হবে।
আবারও বলি, এই ভিডিওটা আমার দেখা বাংলাদেশ সম্পর্কিত সেরা ভিডিও, কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটার প্রতিটা জিনিসই ভালো লাগতে হবে।
ভিডিওচিত্রটি আমার ভাল লেগেছে। আপনার লেখাটা পড়ে আর একবার ভাবলাম। লেখাটাও ভাল লেগেছে। সবার মন্তব্য পড়লাম সেগুলোও ভাল লেগেছে।
বুঝলাম না, আমার সব কিছুই এত ভাল লাগে কেন?
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাইরে আমাদের আরো কিছু বিষয় আছে, যা কিনা পর্যটনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটা বড় বিষয় হল মানুষ। কেউ যদি প্রচুর মানুষ দেখতে চায়, মানুষের জীবনের বৈচিত্র অনুভব করতে চায়, নানা পেশার নানা মানুষ, নানা মানুষের জীবনযাপন দেখতে চায়, মানুষকে ঘিরে বড় বড় আয়োজন, প্রচুর মানুষের সমাগম, এগুলো দেখতে চায়, তাহলে বাংলাদেশ একটা ভালো জায়গা। বাংলাদেশের মানুষ প্রথাগতভাবে অতিথিপরায়ণ, সে হিসাবে ভাষা ভিন্নতা ছাড়া পুরো বিষয়টাতে খুব বেশি ঝামেলা নেই। কিছু প্রশিক্ষিত গাইড থাকলেই হয়।
একটা মজার ব্যাপার হলো, আমরা গ্রামীণ আবহে যেসব পেশার কথা জানি, তার সবগুলোতেই কিন্তু দেখার বিষয় আছে (মানে, visual artifacts)। যেমন, কামার, কুমার, জেলে, মাঝি, তাঁতি -- প্রত্যেকটা পেশাই কিন্তু আপনি চোখে দেখতে পারবেন, এরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন, এদের পোশাক ভিন্ন, কাজ ভিন্ন। সবারই নিজস্ব visual artifacts আছে। আপনি বসে থেকে সময় নিয়ে তাঁতির কাজ দেখতে পারেন। কিন্তু নগরে থাকা একজন ব্যাংকার কিংবা একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আসলে visually একই। ফলে গ্রামীণ সমাজে ঘুরে ঘুরে বেরিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ দেখাও সমুদ্র দেখার চেয়ে কম বৈচিত্র্যময় হতে পারে না। এতে বরং বৈচিত্র্য আরো বেশি। এছাড়া মেলা, পার্বণ, উৎসব, নবান্ন, এগুলো তো আছেই। এগুলো পর্যটকদের আর্কষণ করতে পারে। তার মানে গ্রামীণ সমাজ পুরোটাই পর্যটন।
আমি বলতে চাচছি, মানুষ যেভাবে পাহাড়, সমুদ্র, নদী দেখে, ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে, মিউজিয়ামে গিয়ে বস্তু দেখে, আসবাব দেখে, 'জু'তে গিয়ে পশুপাখি দেখে, মাছ দেখে, সে রকম ঘুরে ঘুরে মানুষ দেখবে, হাটবাজার দেখবে, মানুষের জীবনযাত্রা দেখবে। এটা একটা নতুন ধরনের পর্যটন হতে পারে।
খুব গুছিয়ে হয়ত লিখতে পারি নি, তাও লিখলাম
-- খোলা জানালা
আমার ক্ষেত্রে পুরো ব্যপারটাই ঘটেছে উল্টো, প্রথম দর্শনে আমি বরং ৩ মিনিটের প্রোমোতে টুকিটাকি নানান খুঁত ধরছিলাম, কিন্তু রাতে দেখলাম ফেসবুকে বিভিন্ন বয়স/পেশার মানুষের এই প্রোমো নিয়ে উচ্ছ্বাস। তাদের উচ্ছ্বাস তারপর আমার মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। পরে যতবার দেখছি আমার ততোই মনে হচ্ছে এটা বেশ চমৎকার একটা প্রোমো হয়েছে ওভারঅল।
আমার কিন্তু একবারো মনে হয় নাই ধুগোদা শুধুমাত্র আপনাকেই বানাতে বলছেন, বরং মন্তব্যটা জেনেরাল ছিল। ত্রুটি-বিচ্যুতি সবখানেই থাকবে, কোন কিছুই পার্ফেক্ট না। তাই ধুগোদার সাথে একমত, এই প্রোমো থেকে, এখানে হওয়া সবার আলোচনা থেকে যত নতুন আইডিয়া আসছে তা কাজে লাগিয়ে আমরা যাঁরাই কিছু বানাতে পারি না কেন তাঁদেরকে উচিত বাংলাদেশকে প্রোমোট করে কিছু বানাবার চেষ্টা হাতে নেয়া।
অনার্যদা আর আরিফ জেবতিক ভাইয়ের মন্তব্যগুলোর বক্তব্যের সাথেও একমত পোষণ করছি।
আপনি নিজে একটি সমালোচনামূলক পোস্ট লিখেছেন। নিজেও সেভাবে স্পোর্টিংলি সমালোচনা গ্রহণ করার মনোভাব নিলেই পুরো ব্যাপারটা অন্যরকম হয় তাই না?
এবার এই প্রোমো দেখে আমার নিজের কী মনে হয়েছে তা একটু বলি -
মেয়েটা একা, একক - সব দেশের সব টুরিস্টদের প্রতিনিধিত্ব করছে। একজনকে দিয়ে স্বল্প সময়ের পরিসরে দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ। আমি নিজে বানালে মনে হয় একজনই রাখতাম, প্রয়োজন মনে হলে দুই-চার জনের বেশি নিতাম না। মেয়েটা সাদা কারণ হয়তো সাদা দিয়ে 'ভিনদেশী' বোঝানো সহজ। 'মেয়ে' এবং তুলনামূলক কমবয়সী, কারণ তা একাধারে সব বয়সের মানুষকে আকৃষ্ট করবে।
ত্রুটি আছে, আপনি নিজেই বেশ কিছু বিষয় আলোচনা করেছেন। অনেক কিছুই দেখানো হয় নাই, জরুরি ছিল, কিছু জিনিস বেশি দেখানো হয়েছে (হতে পারে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল)! এদেশের বিপুল জনসংখ্যার যে সাধারন মানুষ, তাদেরকে কম দেখানো হয়েছে মনে হয়েছে আমার। আর আমার কাছে পেছনের ভয়েসওভার-এ গলার স্বর এবং বলার ভঙ্গী একঘেঁয়ে লেগেছে, নারীকন্ঠের ভয়েসওভার দিলে আরো আকর্ষণীয় হতে পারতো বলে আমার মত।
কিন্তু School of Life: Admission Going On - এই ট্যাগলাইন আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার কাছে এর অর্থটা এরকম - বাংলাদেশ হলো জীবন কে উপভোগ করতে শেখার পাঠশালা, যেখানে এখনো সবকিছু মাটির কাছে থেকে শেখান হয়, যেখানে সব কিছুই আধুনিক আর যান্ত্রিক হয়ে যায় নাই, জীবনের আনন্দ এখানে মেকি নয়।
এখানে বাচ্চারা এখনো সুপারিপাতায় গাড়িটানা খেলা করে, সেখান থেকে শেখা যায় - জীবনের playfulness, স্কুল অফ ফ্রিডম, স্কুল অফ হ্যাপিনেস, স্কুল অফ সেলেব্রেশন - পুরো অ্যাডটাই কিছুটা রূপক, অ্যাডের স্বল্প পরিসরে সবকিছু থরোলি দেখিয়ে দেয়া সম্ভব না, তাই এই অ্যাডের সবকিছু সরাসরি ব্যাখ্যা করতে যাওয়াটা কিছুটা হয়তো বোকামি।
বাংলাদেশ জীবনের পাঠশালা, যেখানে বড় হয়ে যাওয়া একজন মানুষও নতুন করে শিখবে কী করে জীবনের রূপ-রস আস্বাদন করতে হয়। সবাইকে তাই আহ্বান জানানো হচ্ছে জীবনের এই পাঠশালায় এসে ভর্তি হতে।
পুরো প্রোমো-তে এটাই সবচেয়ে দারুণ দিক। এটাই প্রোমোটার মূল থিম, আর এটাই আকর্ষণ করেছে আমার বিদেশী বন্ধুদেরকেও। বাংলাদেশের শুধুমাত্র ঢাকা শহর- আর নারায়ণগঞ্জ বেড়িয়ে যাওয়া আমার আমেরিকান বন্ধু তাই ফেসবুকে এই অ্যাড দেখে মন্তব্য করে, "কবে ভর্তি হচ্ছি, তাহলে?"
প্রোমোটা বানানো নিয়ে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম এখানে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার কাছে মনে হয়েছে এটা এমন একটা স্কুল যেখানে আপনি জীবনকে উপভোগ করা শিখতে পারবেন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এই মন্তব্যটা আগে করলে অনেকের সময় আর সচলায়তন সার্ভারের কিছু জায়গা হয়ত বাঁচানো যেত। -রু
অপছন্দনীয়'র কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনার উদ্ধৃতির ব্যাপারে করা মন্তব্যটা ছাড়া বাকি সবটুকুই লেখকের উদ্দেশ্যে করা। লিখে দেয়া উচিত ছিল।
নিজের কাছে নিজেকে খুব বড় ছাগল মনে হচ্ছে এই ভেবে যে, সময় নষ্ট করে এই লেখাটা পড়লাম। তবে কিছু মন্তব্য খুবই ভাল লেগেছে। সত্যি আমরা এখনো সমালোচনা আর নিন্দা করার পার্থক্য বুঝি না। আর একটা কথা খুব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, যেই প্রোমোটাকে এখন দেখানো হচ্ছে তার থেকে ভাল কিছু এখনো হয়নি বাংলাদেশের পর্যটনকে তার কারণ, আমাদের হয়তো এখনো সেই যোগ্যতা হয়নি। তবে মনে বিশ্বাস আছে, একসময় আমাদের বাংলাদেশই তৈরি বিশ্বের সেরা পর্যটনের বিজ্ঞাপন চিত্র।
বিদেশী পর্যটকরা এই এক ভিডিও দেখে পরদিনই ব্যাগ গুছিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবে, এরকম প্রত্যাশা থাকলে এই ভিডিওটার বেশ কিছু ত্রুটি ধরা যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনচিত্র সম্ভবত সরাসরি ক্রিয়া করে না, পণ্য বা সেবার উপস্থিতিটা জানান দেয় কেবল। ইয়োরোপ বা উত্তর আমেরিকার ট্যুরিস্টরা সাধারণত একটা অঞ্চল ধরে পরিকল্পনা করে। যে নেপাল বা থাইল্যান্ড আসবে, সে হয়তো এই ভিডিও দেখে চিন্তা করবে, বাংলাদেশটা এ্ক ফাঁকে দেখে আসবে কি না।
ট্যুরিস্ট আকর্ষণ করার বিজ্ঞাপনগুলো কখনোই পুরো বাস্তবতা তুলে ধরবে না। বাংলাদেশটা কেমন, সেটা ট্যুরিস্টকে বাংলাদেশে এসে বুঝতে হবে। আমরা কীভাবে বাংলাদেশকে দেখাতে চাই, সেটাই হচ্ছে বিজ্ঞাপনচিত্রের বাস্তবতা। বাংলাদেশের মানুষের ভিড় বোধহয় এ কারণেই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বোধহয় নতুন কিছু না, কারণ ভারত বা মালয়েশিয়ায় পর্যটন প্রোমোট করে বানানো ভিডিওতে কখনো মানুষের ভিড় দেখিনি।
গাইডের ব্যাপারটাও তো প্যাকেজনির্ভর। গাড়ির বিজ্ঞাপনে কি বেতনভোগী ড্রাইভারকে দেখানো হয়?
আমার কাছে ভালো লেগেছে উদ্যোগটা। সামনে আরো ভালো বিজ্ঞাপনচিত্র আসবে নিশ্চয়ই। তার আগ পর্যন্ত এটাকে শেয়ার করা যাবে। তবে পাশাপাশি ত্রুটিগুলো নিয়েও আলোচনা চলতে পারে। এই পোস্টের মন্তব্যের পাতাটায় আলোচনা থেকে সুরটা সরে সংঘর্ষের দিকে চলে গেছে, এটাই খারাপ লাগলো। এটা থেকে আরো বোঝা যায়, আমাদের পর্যটন বিজ্ঞাপনচিত্রের পরিমাণের দৈন্যটা কী প্রবল।
ভাই আপনি
এই টাইপ কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার মনে হচ্ছে এটি করাই আপনি খুব দুঃখ পেয়েছেন। আর সাদা চামড়ার বদলে অন্য চামড়ার কাওকে দিলে তো বলতেন বিজ্ঞাপনে সাদা চামড়ার লোক নাই কেন। আর ভাই নিজের আইডিয়া গুলোকে এত ভালো ভাবছেন কেন। আরেকটা কথা পাকিদের সামনে বঙ্গবন্ধুকে দেখিয়ে ফেলেছে বলে আপনি বা আপনার বন্ধুরা কি খুব বেশি কষ্ট পেয়ে গিয়েছেন।
অন্য একটি পোষ্টে করা মন্তব্যই আবার দিলাম।
দেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দেশের মানুষেরাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাসে পাথর ছুড়ে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো তা এরকম হাজারটি বিজ্ঞাপন চিত্র বানিয়ে শোধরাবার নয়। এই বিজ্ঞাপনটি এই পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন চিত্র। ভবিষ্যতে অবশ্যই আরো ভালো বিজ্ঞাপন তৈরী হবে। তাই আমি একে সাধুবাদই জানাবো।
নতুন মন্তব্য করুন