সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে। ক্যাম্পাসের পূর্বদিকের সীমানা ঘেঁষেই ঢাকা গাজীপুর হাইওয়ে। সে রাস্তায় জীবন থেমে থাকেনা এক মুহূর্তের জন্যও। রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা যানবাহনের দৌড়াদৌড়ি। আমাদের সেই প্রিয় জায়গাটাতে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থেকে নিচে বহমান সেই ব্যস্ততার একজন না হয়েও ব্যস্ততাটুকু উপভোগ করা যায় ষোল আনায়। আরো দেখা যায় গার্মেন্টসের মেয়েদের পিপড়ের মত সারি সারি হেঁটে যাওয়া, দুলদুল-বনশ্রীর হৈ হট্টগোল.. আর আর... দৈনন্দিন ক্যাচালের ভারে ক্রমশ নুয়ে আসা ঘাড় টাকে যদি কোনমতে সোজা করে উপরের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যায় মস্ত বড় একটা আকাশ...
এবং শেষের ব্যাপারটিই আমাকে আকর্ষণ করে সবচে বেশি।
তাই ভালো লাগা মন্দ লাগা মুহুর্ত, যখনই হোক, একটু সময় পেলেই সেখানে গিয়ে পা ছড়িয়ে বসে পড়ি। দিনের বেলার ব্যস্ততা দেখি, রাতের বেলার নির্জনতা দেখি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জায়গাটুকু সবসময় খালি পাওয়া যায়না। কারণ সৌন্দর্যের কদর সবাই বোঝে। আর আমাদের মধ্যে যারা প্রেমিক পুরুষ তারা বোঝে সবচে বেশি। সবসময়ই সেখানে তাদের কাউকে না কাউকে কানে মোবাইল গোঁজা অবস্থায় দেখা যায় জায়গাটাতে।
এই যেমন ওপরের ছবিটার কথা ধরা যাক। আমি এই জায়গাটার কথাই বলছিলাম এতক্ষণ। একেবারে বামে দাঁড়ানো হাসান। ওর ভাষায় ও এখনো "একা"। সপ্তাহের পাঁচটা দিন আসলে ও তাই থাকে। কিন্তু উইকেন্ড এলেই ব্র্যান্ডের শার্ট, জিনস আর পারফিউম লাগিয়ে কোথায় যেন ঘুরতে বেরোয় এই একা মানুষটা। জিজ্ঞেস করলেও সদুত্তর পাওয়া যাবেনা। তাই আমরা কখনো জিজ্ঞেসও করিনা ওকে। মাঝের ছেলেটা তপু। এখনো ওর সেই অর্থে নিজের কেউ নেই। আর সেজন্য সুবিধা সবচে বেশি। সে যখন খুশি তখন মেসেজ পাঠায় বান্ধবীদের যে কাউকে। আর একেবারে ডানে দাঁড়ানো ছেলেটা হলো গৌরব। আমাদের ব্যাচের গানের মানুষ। ওর গানের গলা দুর্দান্ত বললেও কম বলা হয়। এখন প্রেম করছে বগুড়া মেডিক্যাল এর আরেক গানের পাখির সাথে। আর ছবিতে না থেকেও এই চমৎকার ছবিটার পেছনে যার অবদান সবচে বেশি সে হচ্ছে সাফওয়ান। এই ছবিটা ওর তোলা। সিলেটের ফুয়া। তবে প্রেম করছে ঢাকাইয়া ফুরির সাথে। আর সবমিলিয়ে এদের মত হাবিজাবি প্রেমিক প্রবরদের জ্বালায় আমার প্রিয় জায়গাটা বেদখল থাকে বেশির ভাগ সময়।তবে এদেরকে হটিয়েও জায়গাটা সবচে বেশি যার দখলে থাকে ও হচ্ছে মারুফ। মারুফকে চেনা খুব সোজা। সাউথ হলে ঢুকে পাঁচতলায় উঠে যে ছেলেটার এক হাতে গোল্ডলীফ আর আরেক হাতে মোবাইল ফোন কানে ধরা থাকবে - বুঝবেন সেই ছেলেটাই হচ্ছে মারুফ। ছেলেটা এত বেশি সিগারেট খায়। মাঝে মাঝে মনে হয় সিগারেটকে ও বোধহয় ওর প্রেমিকার চেয়েও বেশি ভালোবাসে। আমার ধারণা আই ইউ টি লাইফের অর্ধেক সময় কেটেছে ওর ঐ জায়গাটাতে; যে জায়গা নিয়ে এতক্ষণ হলো বকবক করে যাচ্ছি। রাত নেই, দিন নেই, সময় নেই, অসময় নেই মারুফকে দেখা যাবে সেখানে হেলান দিয়ে বসে আছে। কানের কাছে এক প্রেমিকার ফিঁসফিঁসানি আর আরেক হাতের দু আংগুলের ফাঁকে একটু একটু করে পুড়তে থাকা আরেক প্রেমিকা গোল্ডলীফ - আমাদের ০৫ ব্যাচের পোলাপানের জন্য খুব বেশি পরিচিত দৃশ্য। সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই দেখে আসছি, এখন অব্দি ও নিষ্ঠার সাথে ঝগড়া করেই যাচ্ছে সবচে কাছের মানুষটার সাথে। ওদের মধ্যকার এত ঝগড়া দেখে প্রথম প্রথম খুব আশ্চর্য হতাম। কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝলাম এতদিন ধরে ঝগড়া করতেও অনেক ভালোবাসা লাগে। এবং মারুফের সেটা যথেষ্ট পরিমাণেই আছে।
এই জায়গার প্রেমে পড়া মানুষের লিস্টিতে সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ৫২৯ এর ইশতিয়াক। যাকে নিয়ে আমাদের ধারণা ছিল যে ছেলেটা জীবনে কোনদিন প্রেমে পড়বেনা। আমাদের ধারণাকে কাঁচকলা দেখিয়ে সে এখন বিপুল উদ্যমে জায়গাটার সদ্ব্যবহার করছে, বলাই বাহুল্য।
আর এইসব ভ্যালেন্টাইনদের জ্বালায় আমি, মো: স্বপ্নাহত, রুম নাম্বার-৫২৮; আছি ভারী যন্ত্রনায়। কারণ আমার প্রিয় জায়গাটুকুকে ইদানীং খুব কম সময়ের জন্যই ফাঁকা পাই...
..................
ভ্যালেন্টাইন ডের দিন ন্যাট জিও চ্যানেলে খুব মজার একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম। ডকুমেন্টারির বিষয় বস্তু ভিয়েতনামের পাহাড়ি একটা গ্রাম, যেখানে বছরের নির্দিষ্ট একটা দিনে "ভালোবাসার বাজার" বসে। যতদূর মনে পড়ে গ্রামের নামটা "কাওয়া ভাই"। যার বাংলা অর্থ করলে ভারী সুন্দর একটা মানে দাঁড়ায়- "মেঘেদের গ্রাম"। রাজধানী থেকে প্রায় এক হাজার কিমি দূরত্বের পাথুরে গ্রামটাতে সত্যিকার অর্থেই মেঘেদের রাজত্ব। সকাল, দুপুর, বিকেল- তিন বেলাতেই সেখানে মেঘেদের আনাগোনা একেবারে হাত ধরা দূরত্বে। ছবির মত পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা গ্রামটার নিয়ম কানুন কিন্তু মোটেও সুন্দর নয়, বরং পাথরের মতই রুক্ষ। কারণ সেখানে বেশিরভাগ নারীপুরুষদেরই জীবনসঙ্গী/সঙ্গিনী বাছাই করার ব্যাপারে নেই নিজস্ব কোন স্বাধীনতা। এসব ব্যাপারে গ্রাম্য সভার নির্দেশই শেষ কথা। তবে আছে অদ্ভূত এবং মজার এক নিয়ম। বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে গ্রামের নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বসে ভালোবাসার বাজার। গ্রামের বিবাহিত, অবিবাহিত সব নারীপুরুষ সেদিন সেখানে জমায়েত হয় সকাল থেকেই। কারণ এই একটা দিনে বিবাহিত, অবিবাহিত সবার রয়েছে নিজের মত করে একদিনের জন্য সঙ্গী/সঙ্গীনি বাছাইয়ের স্বাধীনতা। সবাই যার যার পছন্দ মত একজনকে বাছাই করে দুজনে মিলে পাহাড়ের কোথাও হারিয়ে যায়। পুরো একটা দিন আর পুরো একটা রাত নিজেদের মত করে কাটাবে বলে। এই একদিনের জন্য কোন বাঁধা নেই। বিবাহিত রা নির্দ্বিধায় অন্য কাউকে বাছাই করতে পারবে, আর অবিবাহিতরা খোঁজে তাদের হয়তোবা হতে যাওয়া ভবিষ্যত সাথীকে। ভালোবাসার সেই দিনটা শেষ হয়ে যাবার পর সবাই আবার যার যার আটপৌরে জীবনে ফেরত যায়। যে জীবনে ঠিক আগের মত করেই কাটে বাকি ৩৬৪ টা দিন।
ডকুমেন্টারিটাতে বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের সাক্ষাতকারের পাশাপাশি দেখালো সেই গ্রামেরই এক মাঝবয়েসী মহিলাকে, যে কীনা সেইগ্রামেরই একসময়কার ডাকসাইটে সুন্দরী। খুব অল্প বয়েসে সে প্রেমে পড়েছিল পাশের গ্রামের এক বাঁশিওয়ালা যুবকের। সেই ছেলেটার বাঁশির সুরে তন্ময় হয়ে সেদিনের ষোড়শী কিংবা অষ্টাদশী মেয়েটা স্বপ্ন দেখতো তার সাথে নিজের মত করে ঘর বাঁধতে। কিন্তু শেষমেষ তা' আর হয়ে ওঠেনি গ্রামের নিয়মকানুনের বেড়াজালে পড়ে। অথচ ভালোবাসতো সেই ছেলেটাও। জোর করে চলে আসা অন্য সংসারে মানিয়ে চলা সেই মেয়েটা কিন্তু তারপরও ছেলেটাকে ভুলে যায়নি। কিংবা ছেলেটা ভোলেনি মেয়েটাকে। তাই বিয়ের অনেক বছর চলে যাবার পরও আজও দু'জনে অপেক্ষায় থাকে সেই ভালোবাসার দিনটার জন্য। একটা দিনের জন্য হলেও সেদিন সত্যিকারের সেই ভালোবাসার মিলন ঘটে। দুজন মানুষ তার প্রথম জীবনের ভালোবাসাকে এই পুরোনো বেলায় আবার নতুন করে ফিরে পায়। তারপর আবার ৩৬৪ দিনের অপেক্ষা, সেই ভালোবাসার একটা দিন ফিরে পাবার জন্য...এই ঘটনা দেখতে দেখতে কেমন কেমন যেন লাগে। বুকের ভেতর বিষ্ময়, আনন্দ আর খানিকটা বিষাদমাখা অনুভূতি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে...
বড় অদ্ভূতই বটে। ৫২৬ এর মারুফ, ২৯ এর ইশতিয়াক কিংবা তাদের থেকে হাজার মাইল দূরের মেঘের দেশের সেই মাঝবয়েসী রমণীটা, ভালোবাসা যার ওখানে বাস্তবতার দামে বিকোয়, ভালোবাসা রেহাই দেয়না তাদের কাউকেই। তবে সেটা অদ্ভূত নয়তো কী?
............
টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে অনেকদিন পর বাড়ি গেলাম। ফিরলাম আজকেই। পরশুর কথা। ভ্যালেন্টাইন ডে র প্রথম প্রহর তখন আসি আসি করছে। আমি বিছানা গুছিয়ে ঘুমোবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডাবল সাইজের বিছানা, স্প্যানিশ লীগের ফুটবল মাঠের মত বিশাল তার বুক। আর আমি হলাম একমাত্র খেলোয়াড়। সঙ্গী কেবল সেই ছোটবেলা থেকে আমার বিছানা দখল করে থাকা কোল বালিশটা। ঘুমানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে? লেপটা আরেকটু ভালোমত জড়িয়ে একদিকে ফিরতে না ফিরতেই মাথার বালিশ কাঁপতে থাকে। মোবাইলের ভাইব্রেশনের ধরণ দেখে বুঝি ওটা একটা নতুন এসএমএস এর পূর্বাভাস। ইনবক্সে ঢুকতে ঢুকতে ভাবি কেইবা আর হবে। বারোটা বাজার সাথে সাথেই বিছানা গোছাতে শুরু করা আমারই মত কোন নিরস জীবন যাপনকারী পাবলিক। মেসেজ পড়তে শুরু করার পর বাম চোখের ভ্রুটা একটু কুঁচকে গেল। স্ক্রুল করে নিচের দিকে আরো নামতে নামতে ডান চোখেরটাও। এবং পড়া শেষ করে দুই কুঁচকানো ভ্রু নিয়ে কিছুক্ষণ ঝিম মেরে পড়ে থাকি। মাথার ভেতর তখনো লাস্ট লাইনটা কেবল ঘুরপাক খায় ধোঁয়াশার মত - Will u b my Valentine forever? পরিচিত বন্ধু। কিন্তু আহবানটা অপরিচিত। কয়েকদিন ধরেই একটু একটু বুঝতে পারছিলাম। তবে হুট করে এতদূর আশা করিনি।
আমি আরো কিছুক্ষণ ঝিম মেরে শুয়ে থেকে ভাবি। মেসেজের রিপ্লাইটা আমার জানা। শুধু ভাবছি কিভাবে লিখবো। একসময় গা ঝাড়া দিয়ে রিপ্লাই লেখা শুরু করি। লেখা শেষও হয়। সেন্ড করি। সেটা ডেলিভারিও হয়।
এই রাতের বেলায় মাথার ভেতর হুট করে আবার শ্রীকান্ত ফিরে আসে গানটা নিয়ে। যে গানটা গত কয়েকদিন ধরে রাত দিন আমার মাথা চিবিয়ে খাচ্ছে। হাল ছেড়ে দিয়ে শেষমেষ শ্রীকান্তের সাথে সাথে গুনগুনাই। আবার ওদের কথা ভাবি। মারুফের কথা, সেই বিগত যৌবনা মেঘবালিকার কথা, রিপ্লাই পাবার পর ফোনের ওপাশে হয়তোবা বেদনায় নীল হয়ে যাওয়া আমার বন্ধুটার কথা...আর কিছুটাক্ষণ আমার নিজের কথা... ভালোবাসা যাদের কাউকেই রেহাই দেয়নি...
কেবল শ্রীকান্ত তখনো নির্বিকার গলায় গেয়ে যায় নিজের মত করে - মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা, মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়.. ব্যাকুল হলে তিস্তা...
ভালোবাসা, তুমি অদ্ভূত নওতো কী?
Megh Pion-r bag-r ... |
মন্তব্য
আগেও বলেছি, আবারও বলি, এই ছেলেটার লেখার আমি সত্যিই ভক্ত। ছড়া হোক, কি খেরোখাতা...কি সুন্দর করে লিখে যায়।
শ্রীকান্তর এই গানটা প্রথম শুনেছিলাম ঋতুপর্ণ ঘোষের "তিতলী" সিনেমায়, অসাধারণ একটা সিনেমা। না দেখলে রিকমেন্ড করব দেখার জন্য।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
তিথি আপুর সাথে একমত। "তিতলী" আসলেই অসাধারণ একটা সিনেমা।
উপ্রের দুইজনের সাথেই আমি ভয়ানকভাবে সহমত । এটা আসলেই অসাধারণ একটা সিনেমা।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
যে জায়গাটার কথা বললা, ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, তার ঠিক আরেক মাথায় ছিল আমার আস্তানা (৫০১ এর পাশে)। তবে ফোনে থাকতাম না। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে আমার নিজস্ব আকাশটা দেখতাম, গাছ দেখতাম, দেখতাম বৃষ্টি, শেষ বিকালের সূর্য, বা রাতের জোছনা। এই জায়গাটা নিয়ে আমার ভালবাসার কমতি ছিল না কোনো। খুব আপন মতে হতো। তোমার লেখা সেই স্মৃতি জাগিয়ে দিল।
অদ্ভুত সুন্দর একটা লেখা। কীভাবে লেখ?! মুগ্ধ হলাম ভীষণ
আপনাদের ব্লকের ওপাশের ভিউটাও সুন্দর। তবে আমাদেরটার মত না
আর ৫১৮'র সামনে থেকেও খুব সুন্দর একটা ভিউ আসে পুরো ক্যাম্পাসের।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তোমাদেরটার ওদিক দিয়ে রাস্তা দেখা যায়, আমাদেরটার পাশে শুধুই ক্যাম্পাস। তাই তোমাদের ওপাশের ভিউটা অন্যরকম সুন্দর, মানতেই হয়। ৫১৮-র ওখান থেকে আসলেই দারুন ভিউ পাওয়া যায়। ৫১৭ তে আমার ওয়ান অভ দ্য বেস্ট বাডিজ থাকত, নিয়মিত যাওয়া হতো ওদিকে।
আচ্ছা, কেউ তোমার লেখার শেষ প্যারা বুঝতেসে না! ব্যাপারটা কী! কেউ কি মন দিয়ে পড়ে নাই? আমি কিন্তু ঠিকই বুঝসি। খারাপ লাগসে তোমার বন্ধুর জন্য। কিন্তু কী করা যাবে, জীবন চলবে তার নিজের গতিতে... আশা করি সিদ্ধান্তটা বুঝেই নিসো।
ভাল থাইকো।
হ। তাইতো দেখতেসি। আমিই মনে হয় বুঝাইতে পারিনাই।
এই চামে অফটপিকে রবীন্দ্রনাথকে কোট করি
নাইবা বুঝিলে তুমি মোরে
চিরকাল চোখে চোখে নূতন নূতনালোকে
পাঠ করো রাত্রিদিন ধরে
বুঝা যায় আধো প্রেম, আধখানা মন
সমস্ত কে বুঝেছে কখন?
- দূর্বোধ
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
রবি আঙ্কেল একটা মানুষ বটে!
দোস্ত তোর এই লেখাটা পড়ে পাগল হয়ে গেছি। ক্যাম্নে লিখলি এমন কিউটি লেখা? ঠিক ''তিতলি''র কংকনা সেনের মত।
শুধু লাস্ট প্যারাটা পইড়া রাগে গা জ্বলছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ছেড়ে দে শয়তান!! আমার তিতলীকে তুই ছেড়ে দে!!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
০১।
তোর লেখা পড়ে মনে হচ্ছে কি সব আজেবাজে লেখা লেখি। সারাজীবন চেষ্টা করলেও আমার এই টাইপ কিছু বের হবে না।
০২।
লেখায় যে ইশতিয়াক এর কথা বললি একে কি আমি চিনি? যেহেতু বললি তোর পাশের রুমের ইশতিয়াক তাই মনে হচ্ছে আরেকটা ভাল ছেলে শহীদ হয়ে গেল
০৩।
শেষের অংশ টা কি সত্যি? হায়রে দুনিয়া তোকেও রেহাই দিল না।
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
১। ফাউল প্যাচাল পারিস না। আমি তোর গল্পের একজন ভক্ত।
২। ইশতিয়াকরে নিয়া কিছু বলতে চাইনা। যা বুঝার বুইঝা নে
৩। শেষের কোন অংশটার কথা বল্লি বুঝিনাই। তবে তুইও মনে হয় কাহিনী ঠিকঠাক বুঝসনাই
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
খুব সুন্দর লেখা !
আমারো এরকম দুই একবার ধারনা ভুল প্রমানিত হওয়ার পর আমি আর ধারনা করি টরি না । উল্টা কেউ যদি বড় বড় করে বলে যে সে জন্মেও প্রেম করেনা তাকে আমি আগে ভাগেই শাদী-মোবারক দিয়ে রেখে দিই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিক বলসেন। আমিও কোন ধারণার ধার ধারিনা এখন আর। এক্সপেরিয়েন্স বলে কথা।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পড়েছি শুধু এইটুকু জানিয়ে গেলাম।
লেখার মান সম্বন্ধে কোন কথা বলার যোগ্যতা আমার নেই।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এই কমেন্ট পড়ে সিরিয়াস লজ্জা পাইসি ভাইসাব । এমন হাতিঘোড়া কিছু লিখিনা আমি।
ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হা হা হা নাম ফাঁস কইরা দিয়া তো একাকার কইরা ফেলছস।
আহ গান্টা কতো সুন্দর। সিনেমা দেখলে আরও ভালো লাগে। তোর মতো ছ্যাক খাইলে হয়তো আরও
=============================
ছ্যাক খাওয়ার কিছু বাকি রাখসিস নাকি। নাকি এখনো আশায় আছিস?
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
লেখা ভাল্লাগলো...
'তিতলী' ছবিটা দেখেছি, গানটাও শুনেছিলাম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ধন্যবাদ বিপ্র ভাই। তিতলী থেকেই আমার গানটা প্রথম শোনা।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ছবি আর লেখা, দুইটাই সেইরকম হইসে...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ধন্যবাদ, জনাব
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নাহত, কনগ্র্যাচুলেশনস, ভ্যালেন্টাইন পেয়ে গেলে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
গরীবের আবার ভ্যালেন্টাইন!!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভ্যালেন্টাইনাহতকে অভিনন্দনাহত করা হলো
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্ন্যাসীজীও দেখি কাহিনী বুঝেনাই। ক্যাম্নে কি?
যাউকগা অভিনন্দন যখন দিয়াই ফালাইসেন...
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- পুলাপাইন আর মানুষ হইলো না।
বড় হয়া শখ আছিলো ভিয়েতনাম যাবার। এখন সেই শখে যোগ হইলো "মেঘেদের গ্রাম"। দেখি যদি টাইমিং-এ তাদের ভালোবাসার বাজারটা ধরা যায়!
ভ্যালেন্টাইন হবার জন্য বালিকার সাড়া কবুল করে ফেলেন গুরু। আর কতো আহত হইয়া থাকবেন কন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু, আরেকটু বড় হয়া লই। তারপর একসাথে যামুনে, ঠিকাছে?
গুরুর আগে গতি হোক। তারপর না হয় নিজের কথা ভাবা যাবে। গুরুরে ওভারটেক করে ক্যাম্নে কি
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কনগ্র্যাটস! এবার নিক টা পালটিয়ে ফেলেন।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কি সব ছাইপাশ লিখি। রেনেট ভাইও দেখি বুঝেনাই। এ জীবন আর রাখবোনা (
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
অজস্র ধন্যবাদ, তিতলীর এই গানটার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। তিতলী সিনেমাটা আমার খুব পছন্দের - আর এই গানটাও।
কতবার যে শুনলাম গতকাল রাত থেকে...
লেখা
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনার ধন্যবাদ আরেকটা ফিরতি ধন্যবাদ এর বিনিময়ে গৃহীত হলো
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
৫২০ আর ৫২১ এর মাঝের প্যাসেজে ছিলো আমাদের রাজত্ব... (সেই সময় ৫২৫ থেকে ৫৩০ এ সব বড় ভাইরা থাকতো)... থাকতাম ৫২১ এ... যেহেতু ফোন করার মত কেউ ছিলনা তা প্যাসেজটা মূলত আড্ডা মারার কাজে ব্যবহার করতাম... জায়গাটাকে খুব আপন মনে হত... সামনে স্টুডেন্ট সেন্টারের উপর দিয়ে পুরো ক্যাম্পাসের অসাধারন একটা ভিউ পাওয়া যায়...
আমরা পাশ করার বছর ডিসেম্বরে আইইউটা একটা পুনর্মিলনী করেছিলো... সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে সন্ধ্যার পর আমরা তিন রুমমেট চিন্তা করলাম আমাদের পুরনো রুমটা দেখে আসবো... ৫২১ এর সামনে গিয়ে দেখি পুরো করিডোর অন্ধকার... কি করব ভেবে না পেয়ে গিয়ে দাড়ালাম সেই প্রিয় প্যাসেজটাতে... আমার দেখা দেখি অন্য দুই রুমমেটও আমার পাশে এসে দাঁড়ায়... রেলিঙ্গে হাত দিয়ে সামনের সেই বহু পরিচিত দিগন্ত বিস্তৃত দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে আছি... হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার চোখের কোনা ভিজে উঠছে... শুধু যে ভিজে উঠছে তাই না কয়েক ফোটা পানি গড়িয়েও পড়ল... চোখের পানি আড়াল করে অন্য দুইজনের দিকে তাকালে দেখি ওদেরও একই অবস্থা... আমরা তিনজন শুধু তিনজনের তাকিয়ে ছিলাম একরাশ অশ্রু নিয়ে... কারো মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয়নি... তারপর পানি মুছে একসময় নীচে নেমে এলাম...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আপনাদের কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হতে বোধহয় খুব বেশি সময় বাকি নেই.....
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
লেখা তো বরাবরের মতই মচেৎকার।
আমি একটা ঔষধ বানানোর চেষ্টায় আছি। ক্যাপসুলের নাম "সুখরে সুখ"।
বানানো শেষে প্রথম এক পাতা আপনারে দিমু। যদি দেখি আপ্নে খালি সুখী সুখী লেখা লিখতেছেন বুঝমু... 'আমি পাস করেছি...আমি পাস করেছি আম্মা'!
---------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
আপনে পাস করলে আমি একটা মুরগী ছদকা দিমু। ঈমানে কইলাম!
ধন্যবাদ, দৃশাফা!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মজার লাগল... তোমার লেখা আশলেই চমৎকার!!
ধন্যবাদ!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমি কিন্তু বুঝছিলাম ... কিন্তু কেমনে কি লিখবো চিন্তা কইরা আর কমেন্টানো হয় নাই ...
ভালো থাইকো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
লেখাটা একেবারে তোমার মতো...
সেই বন্ধুর জন্য কষ্ট লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন