রায়হান আবীর বলসে আমি নাকি দিন দিন সোমালিয়ান হয়ে যাইতেসি। চিন্তার কথা। হাজার হইলেও বন্ধু মানুষ। কথা তো একবারে ফেলে দিতে পারিনা। তাছাড়া রায়হান আবীর ছেলে ভালো। চিপায় না পড়লে সহজে মিথ্যা কথা বলেনা। তাই ঘুরে ঘুরে আয়নায় নিজেকে দেখি। আর চেহারার মানচিত্রে বাংলাদেশ থেকে সোমালিয়ার দূরত্ব মাপার চেষ্টা করি।সব দেখেটেখে মনে হয় একেবারে ভুল বলেনি। এখন একেবারে পুরোদস্তুর সোমালিয়ান না হলেও সোমালিয়ানদের জ্ঞাতি ভাই বলা যেতেই পারে। শুধু গায়ের রং টাই যা একটু ঝামেলা পাকানোর ধান্দায় আছে। তো এই জাতিগত রুপান্তরের রহস্য তেমন জটিল কিছু না। আজকাল টিভি কিংবা সংবাদপত্রের ভাঁজে "মেদভূঁড়ি কি করি" বিজ্ঞাপণের দর্শক এবং পাঠক যখন দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে, আমি তখন উল্টোরথের যাত্রী। আশঙ্কাজনক ভাবে ওজন কমতেসে তো কমতেই আছে। প্রত্যেকদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আমার খালি মনে হয় আজকে কয় গ্রাম গোশত কমলো শরীর থেকে। ক্লাসে যাবার টাইমে কিংবা পথে ঘাটে কোন সোমালিয়ান কিংবা শারীরিক দিক দিয়ে তাদের মত কাউকে দেখলে আড়চোখে কেমন একটা তুলনা চলে আসে নিজের মধ্যে: কে বেশি হাল্কা - হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, ঐ সোমালিয়ান, নাকি আমি...
........
সব কাহিনি যদি এইখানেই শেষ হতো তাহলেও না হয় কথা ছিল। বলতেই পারতাম - ওজন কমা স্বত্ত্বেও মুহাম্মদ স্বপ্নাহত টেনেটুনে সুখে শান্তিতেই বসবাস করতে লাগলো। কিন্তু জীবনের সমীকরণ কোন কালেই এত সোজা না। নাম ভুলে যাওয়া কোন এক গায়ক তাই গান গাইতে গাইতে বলে যায় - সবার কপালে নাকি সুখ সয়না। সইতেসেনা আমার কপালেও। কারণ বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েকদিন পর রাগের চোটে শান্তিমত মাথার চুলও টেনে ছিঁড়তে পারবোনা। মাথায় চুল থাকলেই না চুল টেনে ছেঁড়ার প্রশ্ন আসে। জ্বী, ঠিকই ধরসেন, ওজন কমার সাথে পাল্লা দিয়ে মাথার চুলও কমা শুরু করসে। তাই সব মিলিয়ে আছি মহা ফাঁপড়ে। আজকাল টিভিতে এশিয়ান স্কাইশপের বিজ্ঞাপণগুলোর দিকে নিজের অজান্তেই মনযোগ চলে যায়। আগে যেখানে এই সব এড শুরু হবার আগেই যেখানে চ্যানেল চেঞ্জ করে ফেলতাম, আর এখন বেশ সময় নিয়ে সেগুলো দেখি। আর নিজের মাথায় হাত বুলাই। "আন্ডার কন্ট্রাকশন" অবস্থা শেষ হয়ে যখন স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে তখন দেখতে কেমন লাগবে বোঝার চেষ্টা করি।
সেদিন না শুনতে শুনতেও পাশের বাসার আন্টির সাথে আম্মার কথোপকথনের কিছু শুনে ফেললাম।
-বুঝলেন ভাবি, এমন অবস্থা চলতে থাকলে কেউ তো মেয়ে দিবেনা। আম্মার গলায় হতাশা আর দীর্ঘশ্বাসের স্পষ্ট আভাস।
আমার বুঝতে বাকি থাকেনা আম্মার এই হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস কোন বেকুবের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উৎসারিত। সব শুনে টুনে মন্টাই কেমন খ্রাপ হয়ে যায়। মিলনের আগেই বিরহে পড়লে ক্যাম্নে কি। বড়সড় দুইটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। তারপরও নিয়ম মেনে রাতের পর ভোর আসে। আর ভোরের পর আরেকটু সকাল হলে ঘুম থেকে উঠতে হয়। বালিশের দিকে তাকিয়ে বুকটা তখন খান খান করে ভেঙ্গে পড়ে। কারণ আমি জাগলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চুল বালিশের উপর তখনো হাত পা ছেড়ে ঘুমাইতেসে। এইভাবে প্রতিদিন নানা উসিলায় চোখের সামনে দিয়া একটা একটা করে চুল কমতে থাকে। এমন নির্মম সব ঘটনা দেখে টেখে ইদানিং নিজেরে কেমন দার্শনিক দার্শনিক লাগে। কারণ যেদিন থেকে চুল পড়ার শুরু সেদিন থেকেই সত্যিকার অর্থে উপলব্দি করতে পারতেসি - এই দুনিয়ায় কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়...
.........
মাস দেড়েক আগের কথা। আমার তখন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলে। সারা সেমিস্টার ফাঁকি মারায় তখন দিনের বেলাতেও চোখের সামনে ঘোর অন্ধকার দেখি। এর মধ্যেই অন্যান্য দিনের মতই মহিব, মুহাম্মদের রুমে গেলাম পেপার পড়তে। পড়তে পড়তে একটা ফিচার এ এসে চোখ আটকে গেল। দেশব্যাপী মহাসমারোহে নাকি এক অনলাইন সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা চলতেসে। ভাবলাম দেখি ক্যামনে কি হইতেসে। কি মনে করে রুমে এসে রেজিস্ট্রেশন করলাম। খেলতে গিয়ে দেখি দুইটার বেশি প্রশ্ন পারিনা। তিন নাম্বারে এসে ভুল করি আর নকআউট পদ্ধতিতে খেলা বলে আবার শুন্য থেকে শুরু করতে হয়।মেজাজ গেল খারাপ হয়ে। কোন কালেই সাধারণ জ্ঞানে আমার এরকম অসাধারণ বেহাল দশা ছিল না।সব দেখে টেখে পাশ থেকে রুমমেটও দেখি কেমন ভিলেন টাইপ গা জ্বালানো হাসি দেয়। যার গায়ে লেখা থাকে- "তোরে দিয়া হবেনা।" সেইটা দেখে আমার মেজাজ আরো বেশি খারাপ হয়। আমি বারবার শুন্য থেকে শুরু করি। আর এরকম করতে করতে কেমনে কেমনে জানি আমার একসময় মুখস্থ হয়ে যায় - পরীবিবি কত সালে মৃত্যুবরণ করে, বদরুদ্দোজা চৌধুরী কত তারিখে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন, মুর্শিদকুলী খাঁর ভায়রা ভাইয়ের নাম কি কিংবা বাংলার অমুক স্বাধীন নবাবের কয়টা অবিবাহিত শ্যালিকা ছিল টাইপের আখাস্তা সব প্রশ্নের উত্তরগুলাও। পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে টাইম পেলে পিসির সামনে বসে পড়ি। কিছুক্ষণ খেলি, ব্লগে ঘোরাঘুরি করি, কিংবা ফেসবুকে সামাজিক কাজকারবার করি। পাশাপাশি আমার পরীক্ষা চলে । অডিটোরিয়ামে গিয়ে পরীক্ষার খাতায় আর রুমে থাকলে অনলাইনে। আমি নীল স্ক্রীণে ভেসে ওঠা প্রশ্নের উত্তর ভুল করি। তারপর আবার শুন্য থেকে শুরু করি। এইরকম ভুল করতে করতে একসময় প্রতিযোগিতার টপ হান্ড্রেড এ lonelycloud ঢুকে পড়ে। আমি দাঁত বের করে যত্নের সাথে রুমমেটের হাসির জবাব সুদে আসলে ফেরত দেই। সেইটা আরো বিস্তৃত হয় যখন দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিন এসে আবিস্কার করি লাখখানেক রেজিস্টার্ড প্রতিযোগির ভীড়ে সিলেকশন রাউন্ডের টপলিস্টে lonelycloud প্রথম থেকে ঠিক পাঁচ নম্বর পজিশনে এসে একলা মেঘ হয়ে ভাসতেসে...
কিন্তু টপটেনে ঢুকেও দেখি আরো বিপদ। কারণ এতদিন খেলতাম জাস্ট ফান হিসেবে। ফান করতে করতে বেশ সিরিয়াস পজিশনে চলে এসে বুকের মধ্যে কেমন ধুকপুকানি শুরু হয়। আর ভাবি - হুদাহুদিই খেলতে গেসিলাম। না খেললে এতদূর আসতাম না। আর এতদূর না আসলে খালি খালি ফাইনাল রাউন্ডে কি করবো সেইটা নিয়া আজাইরা টেনশনে পড়তাম না। তারপরও ঠেলায় পড়ে "প্রিপারেশন" নেই অল্পবিস্তর।এক তারিখে ফাইনাল ডে তে "আল্লাহ মহান" বলতে বলতে এক বন্ধুর সাথে রওনা দেই চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র বরাবর। কারণ ফাইনাল রাউন্ড ঐখানেই হবার কথা।
প্রতিযোগিতা শুরু হবার কথা ছিল সম্ভবত সাড়ে পাঁচটায়। কিন্তু প্রধাণ অতিথি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আসতে লেট। তার সম্মানার্থে শুরু হইতে হইতে আরো বেশ কিছুক্ষণ টাইম লাগে।তখন আমি চীন মৈত্রীর "হল অফ ফেম" এ প্রথম সারির বাম থেকে পাঁচ নম্বর সীটে বইসা মান সম্মান নিয়া বের হইতে পারবো কীনা সেই ভাবনায় চিন্তাগ্রস্থ হয়ে বসে থাকি। বাকি নিরানব্বই জন প্রতিযোগির চেহারাগুলা দেখি। মনে মনে ভাবি - ইয়া মাবুদ, এদের মধ্যে কমপক্ষে নব্বই জনরে আমার সামনে কোন মতেই আজকে আসতে দিওনা। এক সময় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের আসার সময় হয়। শুরু হয় খেলাধূলাও। সর্বমোট প্রশ্ন থাকবে পঞ্চাশটি। প্রতিটার উত্তর দেবার জন্য সময় ত্রিশ সেকেন্ড করে। আর একশো প্রতিযোগির সবার জন্য একই প্রশ্ন ল্যাপির স্ক্রীণে ভেসে উঠবে একসাথে। তো আমি ল্যাপির দিকে চোখ সাঁটিয়ে সঠিক উত্তর খুঁজি। প্রথম রাউন্ডের দশটা প্রশ্ন শেষ হয় চোখের পলক ফেলার আগেই। টেনশিত মনে নাক বরাবর টপচার্টের স্ক্রীণের দিকে তাকিয়ে থাকি।কিছু সময় পর সেখানে প্রথম রাউন্ড শেষে টপটেন লিস্ট ভেসে ওঠে। প্রথম থেকে চার নম্বর পজিশনে দেখি lonelycloud । আমার সব টেনশনকে নিমিষেই দুই দিয়ে গুণ করে ফেলি নিজের অজান্তেই। নট আ ব্যাড স্টার্ট, হাহ্ ?
তারপর সেকেন্ড রাউন্ডের দশটা প্রশ্ন শুরু হয়। আগের মতই আরো কিছুক্ষণ দমবন্ধ সময় পার করা। পুরো রুম জুড়ে তখন যেন আর কেউ উপস্থিত নেই,শুধু নীরবতা ছাড়া। বিশটা প্রশ্নও শেষ হয় দেখতে দেখতে। চোখের সামনে আবার টপ টেন লিস্ট ভেসে ওঠে। নিজের নাম এইবার দেখি দুই নাম্বার এ। এইটা দেখে খুশি হবো নাকি আরো বেশি টেনশন করা শুরু করবো বুঝতে না পেরে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে থাকি। পালিশ করা চেহারার সুন্দরী উপস্থাপিকা,পরে জেনেছিলাম ইনিই এফ এম টুডে-র কুল কুল আর জে নওশীন, হাসিখুশি মুখে তখন এনাউন্স করে - lonelycloud এইবার চার থেকে দুইয়ে! ব্যাপারটা আমার মাথায়ও ঢুকে তখন- আয়হায় তাইতো! আমি তো অনেক ভালো করতেসি, গ্রেট! যে কোন প্রতিযোগিতায় চিরকালই আমি হারার আগেই হেরে যাই বেশিরভাগ সময়। এইবার তার ব্যতিক্রম কিছু হবার আভাস পেয়ে নিজের কাছেই বিশ্বাস হয়না। বেকুবের মত ভাবা শুরু করি - হয়তো আমারে দিয়াই এইবার হবে! তখনো যদি জানতাম সামনে আরো বেশি বেকুব হবার দিকে পা বাড়াইতেসি!
তো তখনো আরো অর্ধেক প্রশ্ন বাকি। টপ টেন এ যারা জায়গা দখল করে আছে তখনো পর্যন্ত তাদের মধ্যে পয়েন্ট ব্যবধান খুবই কম। রীতিমত একে অপরের ঘাড়ের ওপর সশব্দে নি:শ্বাস ফেলছে। একটু এদিক ওদিক হলেই সোজা বুড়িগঙ্গার জলে সুইমিং করতে হবে। আমি এইসব আগপাশ ভাবতে ভাবতে ঢোক গিলি। দেখা যাক আমার ঠিকানা কোন খানে। নবগঙ্গা নাকি বুড়িগঙ্গা। শুরু হয় থার্ড রাউন্ড। প্রথম পাঁচটা প্রশ্ন দেখে খুব খুশি। কিন্তু ষষ্ঠ নাম্বার কোশ্চেনে এসে প্রথম ছ্যাঁকা। টাইমিং এর একটা ব্যাপার ছিল । তাই জানা প্রশ্নগুলো যতদূর সম্ভব দ্রুততায় উত্তর করে যাচ্ছিলাম। সেই ধারা মেইন্টেইন করতে গিয়ে সহজতম একটা প্রশ্নের উত্তর তাড়াহুড়ায় অন্য আরেকটা ভুল উত্তরে ক্লিক করে সাবমিট করে দিলাম।আমার মাথা গেল আউলাইয়া। ম্যাথ পরীক্ষায় আগে উত্তর না মিলাইতে পারলে যেমন আউলায় যাইতো, তেমন। এর পরের কয়েকটা কোশ্চেন আমার মাথার উপর দিয়া গেল। আন্দাজে উত্তর দিলাম। আউলানোর যাও একটু বাকি ছিল, থার্ড রাউন্ডের পর টপটেন লিস্ট দেখে সেইটুকুও পূর্ণ হলো। এইবার দেখি টপটেনেই আমার নাম নাই!
তারপরও নিজেরে বুঝ দেই। ফাইনাল রাউন্ড এখনো বাকি। ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে। নিজেরে বুঝানোয় বেশি ব্যস্ত হয়ে গেসিলাম মনে হয়। কারণ আবারও সেই একই ভুল করলাম। জানা উত্তরেও তাড়াহুড়ায় ভুল করলাম আরেকটা প্রশ্নের। আমার মনোবল তখন ভেঙে বেশ কয়েক টুকরা হয়ে গেসে। সেইগুলা জোড়া লাগানোর চেষ্টা না করে দায়সারা ভাবে বাকি প্রশ্নগুলা শেষ করলাম।
চুড়ান্ত ফলাফল দেবার আগে এইবার একটা বিরতি। এখন কিছু গানা বাজনা হবে, এই হবে সেই হবে। তো আমি চুপচাপ বসেই থাকলাম। কারণ আমার মনটা তখন সত্যিকার অর্থেই অনেক খারাপ। আর জে নওশীন দৃষ্টিসীমার খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রং করে, ঢং ও করে। আমার তাতে মনযোগ বসেনা। চুপচাপ বসে থাকি ডেস্কের ওপর দুই হাতে মাথা চেপে ধরে।দেখতে দেখতে রেজাল্টের সময় হয়। সুন্দরী উপস্থাপিকা টপটেনের নাম একে একে ঘোষণা করে শাড়ির আঁচল আর মুখের হাসি সামলাতে সামলাতে। শুনতে শুনতে আমার মুখের হাসি হাসি আস্তে মুছে যায়। এত কাছে এসেও আমি হেরে গেলাম।
তারপর অডিটোরিয়ামের বাইরে বেরিয়ে আসি। আমাকে বেরোতে দেখে দূর থেকে বন্ধু সবুজ কাছে এসে কাঁধে হাত রেখে বলে- ব্যাপার নাহ্! আমি মাথা নেড়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা দুজন চায়ের দোকানে বসে চুমুক দিয়ে চা খাই। এরপর বোর্ডবাজার রুটে দুলদুল পরিবহনের দিনের শেষ বাস ধরার আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ঘামতে থাকি। এতক্ষণের জমানো টেনশন উবে গিয়ে শরীরে হঠাৎ প্রচন্ড ক্লান্তি এসে ভর করে...বাসের শেষ সীটে বসে মাথায় আবার একটু আগে জেনে আসা সমীকরণ খেলা করে। জেনেশুনে আমার করা ভুলের সংখ্যা দুই। আবার দশম বিজয়ীর সাথে আমার পয়েন্টের ব্যবধানও দুইটি প্রশ্ন।
অতএব, দুইটি প্রশ্ন == এক লাখ টাকা।
আমি এইবারও বড়সড় দুইটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। দুলদুলের কাঁচভাঙা জানলার ওপাশের সবকিছু সাঁই সাঁই করে পেছনের অন্ধকারে মিলিয়ে যায় একের পর এক। উদাস উদাস ভাব নিয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকি। বিড়ি টানার অভ্যাস থাকলে হয়তো এই পর্যায়ে হাতে একটা সিগারেট থাকতো। বদলে হাত দুটো কোলের ওপর ভাঁজ করে রেখে মাথা থেকে সবকিছু ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চলে। দার্শনিক দার্শনিক ভাব নিয়ে ভাবি - এক লাখই তো। মায়া করে কি লাভ। এই দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়...
মন্তব্য
স্বপ্ন ভেঙে যায় বলেই আমরা আবার অন্য স্বপ্নের পিছনে ছুটি। সব স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেলে জীবনটা পানসে হয়ে যেত (এই টাইপের আর কি কি কথা আছে না, সেইগুলাও বুঝে নিতে হবে)
এইবার ছড়াঃ
তোমার মাপে হয়নি সবাই
তুমি হওনি সবার মাপে
কেউবা মরে তোমার ঠেলায়
তুমি মরো কারোর চাপে।
তবুও ভেবে দেখতে গেলে
কিসের এত টানাটানি
একটুখানি হাত বাড়ালে
সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।
আকাশ তবু সুনীল থাকে
মধুর লাগে ভোরের আলো
মরণ এলে হঠাৎ দেখি
মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।
মনেরে তাই কহ যে
ভাল মন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
খাইসে! পোস্টটা কি বেশি সিরিয়াস হয়ে গেছে নাকি?! আমি তো মজাক কইরা লিখার ট্রাই করলাম
ঐসব ঐ কয়দিনেই ভুইলা গেসি। এখন কোটি টাকার ধান্দায় আসি
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ওহ! লেখা যে অতি চমৎকার হইসে, সেটাই বলতে ভুলে গেলাম
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ঠিকই তো, এই দুনিয়ায় কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়, 'পরিবর্তন' ছাড়া। এতো কাছে আইসাও শেষ পর্যন্ত আর বাজিমাত করতে পারলা না তো কী হইসে? যা করতে পারসো, এইটাই বা কয়জন করতে পারে? টাকাটা তেমন মুখ্য কিছু না, নিজের উপর বিশ্বাস থাকাটাই অনেক জরুরি। (থাক, আর জ্ঞানী প্যাচাল না পারি)
তা, আগামী দুই-তিন মাসে কি আর কোনো পোস্ট দিবা?
ম্যালাদিন পর আপ্নেরে দেখলাম।
ভালৈয়াছেন তাইলে?
মঞ্চাইলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আবার পোস্ট দিয়া ফেলতে পারি। কারণ সামনে আবার পরীক্ষা আসতেসে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমিও তোমারে ম্যালাদিন পরেই দেখলাম
ভালু নাই রে মেঘা, ভালু নাই। গরমে কাহিল। তারপর আবার ওজন ভয়াবহরকম বাড়তেছে, চুল একই হারে কমতেছে
আমারেও কেউ মেয়ে দিবে না...
মাঝে-সাঝে পোস্ট-টোস্ট দিও বা মন্তব্য কইরো, একেবারে ডুব মাইরা থাকলে ক্যাম্নে কী!
আপনারে কেও মেয়ে না দিলে তো ব্যাপক সমস্যা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
তুমি আমার শ্বশুর হইলে খুব ভাল হইত
ব্যার্পানা!
হ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মায়া করে কি লাভ। এই দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়...
হ।
এইটাই আসল কথা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সেইটাই
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আহারে এত্তগুলা টাকা ব্যাপারস না, ম্যান
আমারো ওজন প্রতিদিন দশ গ্রাম করে কমে মনে হয়
রায়হান পোলাটা তাইলে চিপায় যায় আজকাল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হ! তুই তো আমার হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই। এই জন্যে তোর অবস্থাও আমার মত
রায়হান আবীর আজকাল থিকা নাকি, ও তো গতকাল থিকাই চিপায় যায়
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভাই আপনি ওজন কমা নিয়া সমস্যায় আছেন!!! আমি উল্টা...ঘুম থেইকা উইঠা মাপলে দেখি আমার ওজন প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে বাড়তেছে...পাল্টাপাল্টি করার উপায় নাই? স্ট্যাম্প বা কয়েন জমানোর মত?
আর ব্যাপারনা...লাখ গেছে কোটি আসবে।
----------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ঠিকই তো । পাল্টাপাল্টি করতে পারলে কতই না ভালো হইতো!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্ন ভাঙে, স্বপ্ন গড়ে
এই জীবনে কয়েক শত
এসব নিয়ে মন খারাপের
নেইকো মানে, স্বপ্নাহত।
স্বপ্নাহত ভালো ছেলে। সেই সব অনেক আগেই ভুলে গেসে
আপনার মন্তব্য ছড়াটি মন ভাল করে দেবার মত। অনেক ধন্যবাদ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আহ! লেখাটা সেইরকম সুস্বাদু হইসে!
আমারো তোমার মতো অবস্থা! স্বাস্থ্য সঙ্ক্রান্ত সব টিপ্স দেখি মোটা কমানোর ! মোটা হওয়ার কোনো টিপস নাই। একসময় জুটি ধরে কেও আশেপাশে চলাফেরা করলে খেয়াল করতাম ছেলেটা আমার চেয়ে মোটা কিনা
রেডিও ওয়ালির সাথে কিছু করতে পারলা না?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যা করার রেডিওওয়ালী নিজেই করে ফেলসে। শুনসি তার নাকি দুই বছর বয়েসী একটা ছেলেও আছে। হা কপাল!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- গুরু, অল্পতে চোখটা বাঁচছে। চিন্তা করেন, আপনি সেরা দশে আইসা পড়লেন আর তখন আপনারে ঐ পেলাসটিক রেডিও সুন্দরী আইসা "হ্যাললো শ্যাপ্নাহট, হাডুডু" কইয়া নিজের গায়ের ঘামের দুর্গন্ধ ঢাকতে ভকভক করে উঠে আসা ফরাসী কেঞ্জো সুগন্ধির দুর্গন্ধে আপনের প্রাণ ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায় নিয়া গেলে ভালো লাগতো?
ট্যাকা গেলে ট্যাকা পাইবেন, কিন্তু পিতৃপ্রদত্ত এই একলতি জানটা গেলে কী হবে একটাবার ভাইবা দেখছেন নি?
রাহাবারের কথায় কান দিয়েন না, ঐটা দুষ্টু হইয়া গেছেগা। সোমালিয়া, ইথিওপিয়া- ঐগুলা সব ভ্রান্ত ধারমা। আমি শুনতে শুনতে আমার এখন সব মেহের নিগার মনে হয়, তাও নীল নঙের না, হইলদা কিংবা কইচ্যা রঙের। তয় বোনাস হিসাবে মাঝে মইধ্যেই "hiv পজিটিভ" খেতাব শুনি, এই খেতাব অবশ্য য্যানতেন মাইনষে দেয় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু, আপনার শিষ্যত্ব গ্রহণের পূর্ব থেকেই আমারেও এই অপবাদ শুনতে হয়!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
যেমন গুরু, তেমনই শিষ্য
খেলাধুলায় অংশগ্রহনই বড় কথা! এক লাখ কোন ব্যাপার না।
হৈ মিয়া আপনে ছড়া ছাড়েন তাড়াতাড়ি। এক মাসের উপ্রে হইয়া গেসে ছড়া নাই আপনের।
ছড়ার ছড়াছড়ি না হয়ে বরং ইদানীং ছড়ার সাথে ছাড়াছাড়ি চলতেসে! পেটে বোমা মেরে যদি আবার কিছু বের হয় কোনসময় তাইলে নিশ্চয়ই সবার সাথে শেয়ার করবো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হার জিত চিরদিন থাকবেই
তবু এগিয়ে যেতে হবে
বাধা বিঘ্ন না পেরিয়ে বড় হয়েছে কে কবে?
হার জিত..........।।
এই বয়সে অত গভীর দুঃখে ডুবতে নেই স্বপ্নাহত।
তবে লেখাটা ফাটাফাটি।
অনিন্দিতা,
এই বয়সে এত গভীর দু:খে ডুবতেও ভয় লাগেনা। কারণ জানি যে সেখান থেকে ঠিক সময়ে টেনে তোলার জন্য আপনার মত শুভাকাঙ্ক্ষী সবসময় হাত বাড়িয়ে আছেন।
ভাল থাকবেন।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
বস, আপনেরে কেঊ মাইয়া না দিলে এই লেখা তারে পড়ায়ে দিয়েন কুনোমতে- মাইয়া না দিয়া যাইবো কই ??
অতি মচেৎকার লেখনী হইসে...
আমার পরিচিত দুইজন অবশ্য একলাখ টেকা পাইসে, আপনি পাইলে হ্যাট্ট্রিক করতাম...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
অন আ হ্যাট্রিক ছিলেন। খারাপ কি!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নাহত,
চমৎকার লেখা,যথারীতি।
খুব কম লোকই নিজের দুঃখ,হতাশা নিয়ে ঠাট্টা করতে পারে---
তোমার লেখায় সে বিরল নজির পেলাম---
সামনে শুভদিন আসুক, এই শুভকামনা
অনিকেত দা,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনেক। শুভকামনার জন্যও।
ভাল থাকুন আপনিও।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হলে ভালো লাগতো, সন্দেহ নেই। কী আর করা, জীবনটাই এরকম। আবারো নতুন করে শুরু করো। নতুন উদ্যমে।
ঠিকই বলসেন পিপিদা। মাঝে মাঝে চেয়ে না পাওয়া ভালো। তাতে আরো বড় কিছু পাওয়ার জেদ চাপে মনে।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কপালে সবার নাকি সুখ সয় না ----- এটা মান্নাদের গান।
এতো সুখী মানুষও আজকাল থাকে পৃথিবীতে ??? ওজন কমে বিনা চেষ্টায় !!!!
এই দুনিয়ার কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়...
ব্যাপার না বস, নেক্সট টাইম, বেটার লাক
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ! নদীর ওপার কহে ছাড়িয়া নি:শ্বাস! আমার যেমন মোটা মানুষদের দেখলে মনে হয় তারা কেমনে মোটা হয়!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মন কি অনেক খারাপ ভাইয়া?
মান খারাপ নিয়ে এতো সুন্দর লেখা দেয়া কি ঠিক?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
না রে আপু!
সেই মন খারাপের মেঘ তখনই ঝেঁটিয়ে বিদায় করসি আকাশ থেকে!
আমার লেখাগুলো আমার মতই অগোছালো। অগোছালো কিছু কি সুন্দর হয়?
হয়তো হয়। যদি তা প্রশ্রয় মেশানো চোখে দেখা হয়।
অনেক ধন্যবাদ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভাল লাগল।
ধন্যবাদ!
আর আপনার নিকটা বেশ মজার!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনে মশাই জানলেনও না কতো লোকের প্রাণে দাগা দিলেন এই ওজন নিয়ে লিখে। চুল তো গজায় ঝরার জন্যই, সব ব্যাটা ইন্দ্রলুপ্তির পথে হাঁটে, কিন্তু কয় জন এই উল্টারথে চড়ে কন দেখি?
খুব মজার লেখা, এইটা বলে যাই।
চলে যাবার আগে ধন্যবাদটুকু নিয়ে যান মশাই!
আরো কারো মনে দাগা দিয়ে থাকলে দু:খিত!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমাদের বোধহয় স্বপ্ন ভাঙার বয়স শুরু হয়ে গেছে। সামনে আরও কতকিছু অপেক্ষা করছে কে জানে!
স্বপ্ন ভাঙার লেখা পড়েও খুব মজা পাইলাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মানুষ যেদিন থেকে স্বপ্নের মানে বুঝা শুরু করে স্বপ্নভাঙ্গার বয়স বোধহয় সেদিন থেকেই শুরু হয়।
তুমি মিয়া সবখানেই মজা পাও আজকাল। খুব খ্রাপ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নভাঙার লেখাও এতো মজাদার হয় !!
খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা। আর মন খারাপ করবেন না একদম। লাখ টাকা গেছে কোটি টাকা আসবে।
আর চুল/ওজন কোনটা নিয়েই বেশি চিন্তাইবেন না। বয়স কালে সব ঠিক হইয়া যাইবে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ঠিকই তো। কীর্তিনাশা ভাই মজা পাইসে সেইটাই ব্যাপার। একলাখ কোন ব্যাপার্নাকি?!
বয়সকালে চুল পড়া ক্যামনে ঠিক হয়। সব চুল একেবারে পড়ে গিয়ে?
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নাশু ভাইয়ের সান্ত্বনাবাণী শুনে হাসতে হাসতে মারা যাই
দোস্ত লেখাটা বেশি বেশি ভালা লাগছে। বেশি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ঠিকাছে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নওশীনরে তো সামনে থিকা দেখতে পাইছেন! টাকা উসুল!
আপনে তো মিয়া জোশ পাবলিক! ফাইট দিতে দিতে এতদূর গেছেন?
যদি এক লাখ টাকা জিত্যা নিয়া আসতেন, আপনের ওপর শ্রদ্ধা হারাইতাম! আপনে নিছকই একটা সাধারণ জ্ঞানের ডিপো বইলা মনে করতাম, সারাজীবন ক্লাসের ফার্স্ট হওয়া স্টুডেন্টগুলারে যেরকম বইসর্বস্ব ভ্যাদা মাছ মনে হইছে, ঐরকম মনে হইত! খুবই দুঃখ পাইতাম!
কিন্তু আপনে ভুল কইরা না জিত্যা আইসা প্রমাণ করছেন আপ্নে খাঁটি মানুষ... কারণ মানুষমাত্রই ভুল করে, ক্লাসের ফার্স্টবয়রা ভুল করে না!
আপনার মাথায় যে পরিমাণ চুল, সেই পরিমাণ টাকা একদিন আপনার হাতে আসবে দেইখেন!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ক্লাস সিক্সের পর আর কোনদিন ক্লাসে ফার্স্টো হওয়া হয়নাই। আর এখনতো পাশ করতেই রীতিমত যুদ্ধ করি! এখন পুরা খাঁটি মানুষ!
আর টাকা সংক্রান্ত শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জিনিসটা জীবনে বড়ই দরকার!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনি এতো চমৎকার গদ্য লেখেন!
তাই নাকি?! জেনে খুশি হইলাম! থ্যাংকু শিমুল ভাই
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
প্রতিযোগীতার বর্ণনার সময়টুকু শ্বাসরুদ্ধকর লাগছিলো..... এক কথায় চমৎকার হয়েছে লেখাটি!
-মৃত্তিকা
ধন্যবাদ!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন