আমার চার বছরের ভাগ্নী আদীবা। ও ডানো খায়, নাকি নিডো খায় সেটা আমার আপু ভালো বলতে পারবে। ডানো, নিডো কিংবা খাঁটি গরুর দুধ যেটার গুণেই হোক- তার কূটনৈতিক ক্ষমতা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। সে যদি কোন কিছু আদায় করতে চায়, হতে পারে সেটা একটা খেলনা, জামা কিংবা যে কোন কিছু; সে সেটা ছলে, বলে, কৌশলে আদায় করেই ছাড়বে। এহেন বুদ্ধিমতী ডিপ্লোম্যাট ভাগ্নীও আমার সেদিন ভেউ ভেউ করে কান্না শুরু করলো আপুর কথা শুনে। কারণ ভূমিকম্প। আজকাল যে হারে ভূমিকম্প ভূমিকম্প বলে চারপাশ প্রকম্পিত হচ্ছে তাই আমি আর আপু ভাবলাম আদীবার কূটনৈতিক ব্যাপার স্যাপারের পাশাপাশি ভূমিকম্প বিষয়ক কিছু জানাশোনাও থাকা দরকার। ভূমিকম্প নিয়ে সচেতনতার ব্যাপারে সরকার নীরব থাকতে পারে। তাই বলে আমরা কেন থাকবো।আমরা তো আর সরকারের মত খ্রাপ লোক না। আপু বললো - শোন আদুমনি, আমি আর তোমার বাবা যখন অফিসে থাকবো তখন যদি কখনো দেখো সারা বিল্ডিং কাঁপতেসে তুমি আর তোমার দাদু সাথে সাথে বাইরে বেরিয়ে উঠোনে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকবে। আমি আর তোমার বাবা যত তাড়াতাড়ি পারি অফিস থেকে চলে আসবো। কাজেই তোমার ভয় পাবার কিছু নেই।অবশ্য এতটুকু শোনার পরেও তার মধ্যে ভয়ের কোন লক্ষণ দেখা গেলনা। কিন্তু যখন বলা হলো বিল্ডিংটা কাঁপতে কাঁপতে ধপাস করে তার মাথার উপরেই ভেঙে পড়তে পারে যদি ঠিক সময়ে বেরিয়ে না যায় সেটা শুনে সে হঠাৎ করে বড় মানুষের মত ঠোঁট উল্টে কান্না শুরু করলো।বড় মানুষের মত কান্না মানে শব্দ ছাড়া কান্নাকাটি। তাকে আর কোন মতেই থামানো যায়না।যায়না তো যায়ইনা। আপু অনেক চেষ্টা করে একসময় হাল ছেড়ে দিলো। আর গজগজ করে বলতে লাগলো - ভাগ্নীটাও মামার মত গর্দভ হইতেসে।কতবার করে বলতেসি এখনই বিল্ডিংটা মাথার উপর ভেঙে পড়বেনা তাও তার মাথায় এইটা ঢুকতেসেনা। আদীবা এইবার কান্নাতে একটা বিরতি দিয়ে আমার দিকে তাকায় অবস্থা বোঝার জন্য। এই কথা শুনে গর্দভ মামার কি রিএকশন হয়। একবার ভাবলাম আমিও বড় মানুষের মত কান্না শুরু করি। আদীবা তখন আমাকে নীরিহ গলায় জিজ্ঞেস করলো - জিহুদ, তুমি কি গর্দভ? জিহুদ আমার এই ঈদের ছুটিতে নতুন পাওয়া নাম। সবাই ঈদে কত কিছু গিফট পায়। আর আমার ভাগ্নী আমারে এই নাম গিফট করসে এই ঈদে। আদীবার এহেন প্রশ্ন শুনে আমার আর বড় মানুষের মত কান্না করা হলোনা। বরং প্রশ্ন শুনে মামা-ভাগ্নী মিলে গলা জড়াজড়ি করে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে লাগলাম।
ভাবতেসি ভূমিকম্প নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ব্যাপারে এইরকম নির্বিকার থাকলে যে কোন দিন পুরো বাংলাদেশবাসীকে না আবার আদীবার মত কান্নাকাটি শুরু করতে হয়।
..............................
এইবারের ঈদের ছুটিটা বেশ ভালো গেল। পুরোনো বন্ধুদের সাথে অনেক দিন পর দেখা হলো, একসাথে ননস্টপ গ্যাজানি, আব্বা আম্মার সাথে বেশ কয়েকদিন একসাথে থাকা। তারমধ্যে আদীবা আবার গাট্টিবোচকা বেঁধে তার নানুমণির সাথে ঈদ করবে বলে জামালপুর থেকে বাসায় চলে আসলো ঈদের আগের দিন।কোন কারণে আমার আম্মাকে সে ব্যাপক ভালো পায়। দিনের পর দিন সে বাবা মার কথা ভুলে গিয়ে আমার আম্মার সাথে দিব্যি কাটিয়ে দেয় তার প্রিয় দুই পুতুল টম আর ন্যান্সিকে সাথে নিয়ে।তো সবমিলিয়ে বেশ খুশি খুশি সময় কাটলো। ঈদের দিনটা যেমন তেমন যায় বরাবরই। বরং তার আগে পিছের দিনগুলোই কাটে বেশি মজা করে। তো ঈদের দুইদিন পর আমরা সপরিবারে মানে আব্বা, আম্মা, আমি আর আদীবা মিলে জামালপুরের বাস ধরলাম আপুর বাসায় যাবো বলে।ছুটির বাকিসময় থাকলাম আপুর ওখানেই। ওখানে আমার সমবয়েসী পরিচিত কেউ নেই। কাজেই আমার সময় কাটলো আদীবার সাথে নানান রকম গিয়াঞ্জাম করে। তার কথা মত একবার টম হয়ে তার পিছে দৌড়াতে হয় আবার কখনো জেরি হয়ে তার দৌড়ানি খেতে হয়। সবচে বেশি বিপদ হতো যদি তার টিভি দেখার খায়েশ হয়। চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে একবার কার্টুন নেটওয়ার্ক পেয়ে গেলে সে রিমোটটা দুই হাতে শক্ত করে চেপে ধরে ব্যাপক মনোযোগ দিয়ে কার্টুন দেখা শুরু করে। আমার আব্বা, মানে আমাদের পরিবারের প্রধাণমন্ত্রী এবং আমি, আমাদের চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের প্রেসিডিয়াম সদস্য - দুজনকেই তখন নিরুপায় হয়ে পরিবারের উঠতি টপ টেররের মর্জি মত ঈদের সব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে অসহায়ের মত কার্টুন দেখতে হয়। তাও যদি তার দয়া হয়। মাঝে মাঝে মুখ তুলে আমাদের দিকে তাকায়। তারপর আবার কার্টুন দেখায় ডুব দেয়। আমি আর আব্বা কোন উপায় না দেখে নীরস মুখে আদীবার পাশে বসে জামাতের সাথে কার্টুন দেখি।
তো পরশু রাতে তার খায়েশ হলো সে পূজো দেখতে যাবে।পূজোর ব্যাপারে সে আবার ব্যাপক আগ্রহী। গত সাতদিন চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে যদি পূজোর কোন ভিডিও চোখে পড়লো তো কার্টুন বাদ দিয়ে সেটাই সে দেখলো অনেক আগ্রহ নিয়ে।আদীবার সাথে কার্টুন দেখাও তাও অনেক নিরাপদ। কিন্তু পূজোর কিছু দেখলে মূর্তি আর পূজো নিয়ে জবাব দিতে দিতে জান প্রায় বের হয়ে যায়। তাই আদীবার খায়েশ মেটাতে আমি, ভাইয়া আর আদীবা মিলে সন্ধ্যাবেলায় ঘর ছেড়ে বেরোলাম পূজো মন্ডপের উদ্দেশ্যে।জামালপুর শহরে একটা জিনিস আগেই চোখে পড়েছিলো। আমার দেখা অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানে পূজোর জাকজমক অনেক বেশি। সব পাড়াতেই মোটামুটি একাধিক মন্ডপের আয়োজন করা হয়েছে। বোধহয় এখানে হিন্দুদের বাস একটু বেশিই। কাজেই এই কয়দিন জামালপুর শহরের চেহারা অনেকটা ঈদের মতই জমকালো ছিল। জামালপুর শহরে একটা চৌরাস্তা আছে, নাম দয়াময়ীর মোড়। নামটা আমার কাছে ভারী মিষ্টি লাগে। কেমন মায়া মায়া জড়ানো নামটাতে। ওখানেই সবচে বড় পূজা মন্ডপটা করা হয়েছে এবার। বোধহয় সববারই হয়। তবে দয়াময়ীর মোড় পেরিয়ে আমরা প্রথমে গেলাম বসাকপাড়ার পূজা মন্ডপে। রীতিমত এলাহী কান্ড। লাইটিং টাইটিং করে পুরো এলাকা একেবারে আলোর বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে। সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে একের পর এক হাল সময়ের ধুমধাড়াক্কা গান।একটা গান শুনে আদীবা দেখি আর স্থির থাকতে পারলোনা। বাবার কোলে বসেই নাচানাচি শুরু করে দিলো।ভাইয়া আদীবারে সামলাইতে হিমশিম খায়।আমি দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া গান শুনি। গানের লিরিকসটা রাস্তা ঘাটে অনেক পুলাপানের মুখে আগেই শুনসিলাম। "বুরকা পড়া মেয়ের" পর এটাই বোধহয় পরবর্তী হিট গান। গানটা আমার এইখানেই প্রথম শোনা। "ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনেনা, মাঝে মাঝে মিসকল দেয়, ফোন তো করেনা"। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরা গানটা শুনলাম। আর ভিমড়ি খাইলাম। মা দূর্গা এই গান শুনে এখনো ক্যামনে স্থির আছে সেইটাই ভাবতেসিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থেকে আমরা রওনা দিলাম দয়াময়ীর মোড়ের দিকে।সেখানের মন্ডপে গিয়ে দেখি এখানেও একই কেস। ব্যাপক লোক সমাগম, ব্যাপক আলোকসজ্জা। এবং ব্যাপক জোরে গান বাজনা। মন্ডপের সামনেই বাহারি জিনিস নিয়ে মেলার মত জমে গেছে।পুরা এলাকা বাঁশি আর ভেঁপুর প্যাঁ পুঁ ট্যাঁ টুঁ তে সরব। পিচ্চি, পাচ্চি আর সাথে অনেক বড়মানুষেরাও কেনাকাটায় ব্যস্ত। পাশাপাশি কেউ ব্যস্ত মা দূর্গায়, আর বদ পুলাপান ব্যস্ত দূর্গার মত চেহারার সুন্দরী পূণ্যার্থীদের ব্যাপারে। আমি কীসে ব্যস্ত ছিলাম নাই বা বলি। স্বপ্নাহত ছেলে ভালো। মাঠের মন্ডপ দেখা শেষে গেলাম মন্দিরের ভেতরে তৈরি করা মন্ডপে। এইখানে সাউন্ড সিস্টেম নাই। কিন্তু ব্যান্ড পার্টি ভাড়া করে আনা হইসে। তারা খুব জোশ নিয়ে একের পর এক হিট গানের মিউজিক বাজায়া যাইতেসে। আমরা ঢুকে দেখি এখানেও একই গানের বাজনা বাজাইতেসে বাদক ভায়েরা। " টুনি ইশকুলে যাইবো,টুনি বারান্দায় আইবো; টুনির মুখটা দেইখা আমার প্রাণটা জুড়াইবো।" প্রাণ জুড়ানো পরের কথা। আমার হইলো বিপদ। বরাবরই যা হয়। এই গানটা মাথার ভেতর গেঁথে গেল। পূজা মন্ডপ দেখি, পুলাপানের গানের তালে তালে উড়াধুড়া নৃত্য দেখি, কিন্তু টুনি আর টুনির মা আমার কথা শুনেনা। মাথার ভিতর ভাঙা রেকর্ডের মত বাজতেই থাকে। সব কিছুর পরেও একটা জিনিস দেখে মনটা ভরে যায়। পূজোর উৎসবে শুধু হিন্দুরাই ভীড় করে আছে মোটেও এমনটা নয় দেখে। বরং হিন্দুদের পাশাপাশি প্রায় সমপরিমাণ মুসলমানও এসেছে উৎসব দেখতে। সবাই কেমন সাজুগুজু করা। মাত্রই শেষ হয়ে যাওয়া ঈদে নেয়া নতুন জামা কাপড় পড়ে এসেছে তারা, কোন সন্দেহ নেই।
এসব দেখতে দেখতে দেখতে মনটা খুশি খুশি লাগে। ধূপের গন্ধে বুঁদ হয়ে থাকা রাতের বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নেই। ভাবি, এটাইতো আমার দেশ। যে দেশে ধূপ,ধূনো আর আতরের গন্ধ এখনো পরস্পরের শত্রু হয়ে যায়নি। তারা এখনো বন্ধুর মত একসাথে বাতাসে ভেসে বেড়ায়...
..........................
ফাটাফাটি একটা ছুটি শেষে গতকাল বিকেল বেলা বাসে চড়ে বসি আই ইউ টি ফিরবো বলে। আই ইউ টি তে এবারই বোধহয় এমন করে ছুটি শেষে শেষবারের মত আসা। এরপর একেবারে চলে যাওয়ার পর্বটুকুই কেবল বাকি থাকলো। বাসস্ট্যান্ডে শেষের দিকে এসেছি বলে আমার ভাগ্যে পড়লো একেবারে লাস্টের সীট। তাতে অবশ্য কোন সমস্যা হয়নি এমনিতেই। কেবল মাঝে মাঝে ড্রাইভার সাবের মর্জি মত সীট থেকে দুই হাত শূণ্যে ভাসি আর অভিকর্ষজ ত্বরণ না থাকলে ব্যাপারটা ঠিক কেমন হতো পেটের ভেতর তা' অনুভব করি।বাস চলতে শুরু করার পরপরই হুট করে বা পাশ জুড়ে যমুনা নদী সঙ্গ দেয়া শুরু করলো। তার দুই ধারে কাশফুল ফুলে ফুলে সাদা। কতদিন পর এমন চোখ জুড়ানো কাশফুল দেখলাম।যমুনা নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি।বাস চলতে থাকে। আর সেইসব স্মৃতি পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে ছুটতে থাকে। এই যমুনা তিন তিনবার আমারে বুকে নিতে নিতেও শেষমেষ কেন যেন ছেড়ে দিয়েছে।বোধহয় বুঝতে পেরেছিল সবার তিরোধাণ মা দূর্গার মত তার বুকে বিসর্জনের ভেতর দিয়ে হয়না, হওয়া উচিতও না। হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে খেয়ালই করিনি যমুনা কখন যেন কার ওপর অভিমান করে রাস্তা থেকে দূরে সরে গিয়েছে। একেবারে চোখের আড়ালে।দুপাশে এখন শুধু সারি সারি দোকান পাট। একটু পর পর দেখি কেবল মানুষজনের জটলা। রাস্তার পাশে বেঞ্চ পেতে, ছাঁদের ওপর বসে কিংবা অনেকেই এই রোদের ভেতর ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। একটু পরে খেয়াল হলো আজ শুভ বিজয়া। মা দূর্গার বিসর্জনের দিন। হিন্দু মেয়ে, ছেলে, বধূরা সবাই অপেক্ষা করছে মাকে শেষ বারের মত প্রণাম করার আশায়।আর বাকিরা এসেছে কেবল উৎসবের সঙ্গী হতে। বাস আরেকটু এগোতেই একের পর এক ট্রাক চোখে পড়লো। বাস আটকে গেল জ্যামে। গরমে ঘামতে ঘামতে ঘামতে জানলা দিয়ে ঘাড় বাকিয়ে শোভাযাত্রা দেখতে লাগলাম। মা দূর্গা ঘাটের দিকে যাচ্ছেন টুপ করে যমুনার জলে ডুব দেবেন বলে। পেছনে আর দুই পাশে শত শত ভক্ত পূণ্যার্থীর ভীড়।রাস্তার ধার থেকে, ছাদের ওপর থেকে ঘরের বৌ আর মেয়েরা দুহাত সামনে এনে ভক্তিমাখা চোখে প্রণাম করে মাথা নোয়ায়।কেউ কেউ ফুলও ছুড়ে মারে। ট্রাকগুলো আরো কাছাকাছি আসতেই বাতাসে আবার গতরাতের মত ধূপের গন্ধ হাজির হয়। আগের রাতের ভালোলাগাটুকু আবার ফিরে আসে। পিঁপড়ের মত এগুতে এগুতে আমাদের বাস একসময় সবকিছু পেছনে ফেলে আবার ছুটতে থাকে। এখন রাস্তা খালি। আবার শুধুই ছুটে চলা। অভিমানী যমুনাও কখন যেন অভিমান ভেঙে ফিরে এসেছে পাশে। বাস চলতে চলতেই হুট করে গত কয়েকমাসের মধ্যে সবচে কিম্ভূতুড়ে বানানের একটা শব্দ চোখে পড়ে যায়। একটা স্পোর্টিং ক্লাবের সাইনবোর্ডে লেখা- "নান্দিনা স্পুটিং ক্লাব"। দেখে বড়ই আনন্দিত হই। বাসের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসি। হাসলে নাকি মন ভালো থাকে। মনখারাপ সব দৌড়ে পালায়।
" টুনিরে লইয়া যাইমু আমি ফ্যান্টাসী কিংডম, লুকাল বাসে চড়মু মোরা ভাড়া হবে কম।টুনি আইস্ক্রিম খাইবো, টুনি ফুচকাও খাইবো, টুনির মুখটা দেইখা আমার প্রাণটা জুড়াইবো"
এত্তটুকুন এই জীবন। তাতে মন খারাপের জন্য সময় কোথায়?
মন্তব্য
ভালো লাগল। ফাটাফাটি। বোরখাপরা মেয়ে কী মন কাড়ে নাই!!!!
ধন্যবাদ।
দলছুট।
========বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও
ধন্যবাদ, দলছুট!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হুম, ভালোই কলা খাইছিলা মনেহয়
টুনিরে লইয়া ভালো থাকা হোক, আমিন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
টুনি থাকুক না থাকুক , আমিন কইতে তো দোষ নাই
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- যাক, পুলাটা ভালোয় ভালোয় আকেলাই ফিরা আসলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবই আপনার দোয়া গো, গুরু
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভাগ্নী বুদ্ধিমান আছে, মামার সুন্দর একটা নাম দিছে
আচ্ছা টুনি আর টুনির মা'কে দেখার কোন উপায় নায়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আছে। টুনি অথবা টুনির মায়ের বাড়িতে যা
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভাবসিলাম বেশ চওড়া সাইজের ছড়া দিসেন একটা। প্রতিটা লাইনের শেষে গিয়া ছন্দ আর অন্ত্যমিল খুঁজতেসিলাম। পরে দেখি এইটা ছড়া না।
হতাশ করার জন্য দু:খিত
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
গানটা তো ফাটাফাটি, কেউ ভিডিও দ্যান না? ইউটিউবে নাকি সব পাওয়া যায় শুনছি।
লেখাও জব্বর হয়েছে, খুবই রসময় আমাদের স্বপ্নাহত, বোঝা গেলো।
আমাকে বহুপাঠ পণ্ডিতে বলেছেন শুনলাম (নিজে দেখা হলো না, আগেই পোস্ট গায়েব!) এ পাড়ার প্রুফরিডার, সেই সুবাদেই বলি বানানের কথা। দুর্গা-য় হ্রস্ব উ, আতর আর ছাদে চন্দ্রবিন্দু নেই। দুর্গায় অনেকেই দীর্ঘ ঊ কার দেন, কারণ শুনেছি ঐ ঊ-কারটা নাকি মায়ের হাতের খড়্গের সাথে আকৃতিতে মেলে খুব তাই। কাজেই ওটা চলতে পারে বোধ হয়।
আলসেমি ঝেড়ে বানানগুলো ঠিক করে দিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
এত আনন্দ ভালু না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এত হিংসা করাও ভালু না
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভুবন শব্দে হ্রস্ব উ কার না?
আমি নিশ্চিত নই। কেউ নিশ্চিত করলে ঠিক করে দিচ্ছি এক্ষুনি।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
ভালো থাকবেন আপনিও
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হ !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ঠিকাছে
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হাহা...আপনার ভাগ্নীর অংশটা খুব মজা লাগলো
আর কে বলে স্বপ্নাহত মন ভালো করা লিখতে পারে না? এইতো আজকে কি সুন্দর মন ভালো করা লেখা দিলো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ রেনেট ভাই।
একা একা লাগা কিন্তু দোকা হওয়ার পূর্ব লক্ষণ
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
জিহাদ সাহেব! তোমার ভাগ্নী তো দারুন কিউট!! অনেক অনেক আদর
ছোটবেলায় পূজা দেখতে যাওয়ার কথা মনেপড়ে গেল।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আরেহ এইটা দেখি আমগো মুমু বেগম ! কত্তদিন পর!
আছো কেমন?
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
বাহ্ কি চমৎকার করে লিখেছেন! খুব ভালো লাগলো লেখাটা। ছোটোবেলার অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, জনাব!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমার সচলে আসাই হয় তোমাদের কজনের লেখা পড়তে, বিশেষ করে দিনপঞ্জি... এটাও ফাটাফাটি হইছে।
ভাগ্নী দেখি দারুন কিউট... নতুন নামটাও সেইরকম হইছে।
এ যে দেখচি আকাশ দা!
মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হইলাম দাদা
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আনন্দধারা বহিছে ভূবনে...
যা কয়েচেন দাদা
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন