আজকে দুপুর বেলায় আমাদের ব্লকের আলমগীর মামা যখন মাথায় করে তোষক পত্র সব নিচে নিয়ে যাচ্ছিল তখন চার বছর আগের কথা হুট করে মনে পড়ে গেল। সেদিনও সামনে আলমগীর মামা আর পেছনে আমি ছিলাম। পার্থক্য শুধু আমরা সেদিন সিঁড়ি বেয়ে নিচতলা থেকে পাঁচতলায় উঠছিলাম। আর আজকে নামছি।
এই ওঠা আর নামার মধ্যে চারটা বছর কিভাবে মিইয়ে গেল বুঝতেও পারলাম না।
আই ইউ টি তে ভর্তির জন্য যেদিন এলাম সেদিন এসে শুনি রুম দেয়া হবে ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী। শুনে মন মেজাজ দুইটাই খারাপ। ঠিক করেছিলাম আমার কলেজমেট তিনজন আর আমি - এই চারজন মিলে আমরা একসাথে থাকবো। কিন্তু আমাদের কেয়ারটেকার একজন ভদ্রলোক । তাই তার এক কথা। কোনমতেই নাকি দুই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র এক রুমে দেয়া যাবেনা। আমাদের চারজনের ভেতর সবচে মোলায়েম গলার অধিকারী তুহিন। কিন্তু ওও অনেক চেষ্টা করেও কেয়ারটেকারের মন গলাতে না পেরে শেষমেষ হাল ছেড়ে দিলো। কি আর করার। শুরুর দিনেই আমার বাকি তিন কলেজমেটের কাছ থেকে ফেয়ারওয়েল নেয়া হয়ে গেল। ওরা তিনজন একই ডিপার্টমেন্টের, শুধু আমিই মেকানিক্যাল। কাজেই আমাকে থাকতে হবে বাকি তিন মেকানিক্যালের সাথে। এডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং এর ৩১৩ নাম্বার রুমের সামনে বসে বসে আমি চিন্তিত মুখে বসে বসে নতুন ছাত্রদের আসা যাওয়া দেখি আর বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম ঠিক কোন কোন পাবলিক আমার রুমমেট হতে যাচ্ছে। হঠাৎ কাঁধে কে যেন হাত রাখলো। তাকিয়ে দেখি চশমা পড়া কোঁকড়া চুলের কেমন বোকাসোকা চেহারার এক ছেলে। "আমাকে একটু বুঝায় দিবা এই ফর্মটা ক্যামনে পূরণ করে?" এমনিই মন খারাপ। এই কথা শুনে মেজাজও খারাপ হয়ে গেল। ফর্ম পূরণ করতে না পারলে বেটা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসছিস ক্যামনে। মুখে কিছু বলিনা। হু হা করে বুঝিয়ে দেই কোন ঘরে ক্যামনে কি পূরণ করতে হবে।
এইখানে শেষ হলেও ভালো ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আসলো আরেক পোলা। দেখেটেখে বুদ্ধিমানই মনে হয়। কিন্তু কাছে এসে সে আগের জনের মতই ফর্ম বুঝিয়ে দেবার মামা বাড়ির আবদার করে বসলো। আবারও বিরক্ত হলাম। এবং আবারও মুখে কিছু বললামনা। দ্বিতীয়বারের মত ভাবলাম - বেটায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসছে ক্যামনে?
ভর্তি টর্তির সব ঝামেলা শেষে একসময় সাউথ হলের পাঁচতলায় নিজের নতুন পাওয়া ৫২৮ নাম্বার রুমে এসে দেখি সেই দুই ছেলেই কিভাবে কিভাবে যেন আমার রুমে পড়ে গেছে। তবে শেষ মেষ এই ছিল আমার কপালে?
ভর্তির প্রথম দিনে আমি শুধু ওদের ফর্ম পূরণ করাটাই বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। কখনো আর কিছু বুঝিয়ে দিতে হয়নি দুজনের কাউকে। বদলে পরবর্তী চার বছরে প্রতি পরীক্ষার আগের রাতে আমি ওদের কাছ থেকে কেবল বুঝেই গেছি। কেউ কখনো বিরক্ত হয়নি ...এবং আমি নিশ্চিত ওরা আমার মত করে আমাকে নিয়ে কখনো ভাবেনি - এই সহজ জিনিস না বুঝলে বেটা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসছে ক্যামনে।
...........................
সেকেন্ড ইয়ারে মেকানিক্স পরীক্ষার আগের রাতে এসে আবিষ্কার করলাম আমার মেকানিক্স এর কোন বই নাই। খাতায় সব নোট ঠিকঠাক তোলা থাকলে সেইটা নির্ঘাত একবিংশ শতাব্দীর হুলস্থুল ফেলে দেয়া ঘটনাগুলোর একটা হতো। কাজেই সেরকম কিছু শেষমেষ হয়ওনি। এই অবস্থায় আমি না পারতেসি কাউরে কিছু বলতে না পারতেসি কিছু করতে। আমার রুমমেট দুইজন তখন মনযোগ দিয়ে পড়ছে। মেকানিক্স বড় খাইস্টা জিনিস। অন্য দিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করার সময় কোথায়। আমিই খালি চুপচাপ বিছানায় বসে বসে ভাবছি কি করা যায়। কিন্তু স্বপ্নীল হঠাৎ কি ভেবে কে জানে টেবিল ছেড়ে উঠে সামনে এসে দাঁড়ালো। তারপর মেকানিক্স বইটা আমার সামনেই দুই ভাগ করে ছিড়ে ফেললো একটানে। তার এক ভাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আস্তে করে বললো- কোনটা বুঝতে সমস্যা হলে বইলেন। বলে টলে আবার টেবিলে বসে স্বভাবসুলভ ভঙিতে দুলতে দুলতে পড়া শুরু করলো ও। আমিও এমন ভাবে পড়া শুরু করলাম যেন কিছুই হয়নি। এমনটাইতো তো হবার কথা। আমার বই না থাকলে ও দিবে না তো কে দিবে। এতে না বুঝার তো কিছু নাই। খালি বুঝতে পারিনি এই স্বাভাবিক ঘটনার পরে আমার চোখদুটো হুট করে না বলে কয়েই কেন ভিজে উঠেছিল সেদিন।
মানুষ নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। আমি নিয়েছি খুব কম সময়েই। কাজেই পরীক্ষার আগের রাতে বই পত্র ছাড়া আবার আমার কাচুমাচু মুখ আর কখনো সামীর কিংবা কখনো স্বপ্নীলের বই ছেঁড়া চলেছে নিয়ম মেনেই।
শোধ করবো ভাবতে ভাবতে গত চারবছরে এমন ছোট ছোট হাজার ঘটনায় ওদের কাছে নিজের ঋণ বাড়িয়েই গিয়েছি কেবল। বেকুব স্বপ্নাহত'কে কোন কারণ ছাড়া এত ভালোবাসা দেবার দরকার ছিলো কি? না হলে অন্তত চলে যাবার আগের রাতে এমন মন খ্রাপ করে ব্লগ লিখতে হতোনা। কিংবা বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতায় এমন নতজানু হয়ে কখনো ভাবতে হতোনা- দোস্ত, তোদের সাহায্য ছাড়া আমার কখনো বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা আর হতোনা।
....................
২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসের ২০ তারিখ। সাউথ হলের ৫১৮ নাম্বার রুমে, যে রুমে বাকি তিন কলেজমেটের সাথে আমার থাকার শখ ছিল, সেই রুমে বসে বসে পরিবর্তনশীলের কুমন্ত্রণায় সচলায়তন নামের এক খ্রাপ জায়গায় হুদাহুদিই রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। তখন পাশে বসে দাঁত কেলায়ে কেলায়ে রায়হান আবীর বলতেসিলো- দোস্ত, আমিও রেজিস্ট্রেশন করসি। রেজিস্ট্রেশন করসে ভালো কথা, কিন্তু এমন দাঁত কেলানোর কোন মানে খুঁজে পাইলাম না। সেদিকে সময় নষ্ট না করে বরং মনযোগ দিয়ে ভাবতে লাগলাম নিক কি নেয়া যায়। বেশ কিছুক্ষণ ভেবে টেবে শেষমেষ কিছু না পেয়ে নাম দিলাম "স্বপ্নাহত"। তখন আবার স্বপ্ন টপ্ন দেখে একটু আহত ছিলাম। রেজিস্ট্রেশন করতেসি আর ভাবতেসি - নিকে কিবা আসে যায়। সচল এমনেও হবোনা ওমনেও হবোনা। আমরা কি আর আঁতেল নাকি?
ঐদিকে পরিবর্তনশীলেরও একই অবস্থা। নিক খুঁজে না পেয়ে শেষমেষ গায়ে পড়ে থাকা আজিজের টীশার্টে লেখা কবিতার নাম থেকে নিক দিয়ে দিলো- পরিবর্তনশীল।
শুধু রায়হান আবীরই কেবল রায়হান আবীর থেকে গেল।
সেদিন ক্যান যে রেজিস্ট্রেশন করসিলাম সেই দু:খ এখনো যায়নাই। কারণ এরপরে আমাদের আই ইউ টি লাইফের বেশির ভাগ সময় গেছে এই সচলের পেটে। ৮২০ টাকার মহামূল্যবান টেলিটক ইন্টারনেটের সিংহভাগ ডাটা প্যাকেট তখন সচলায়তন ডট কম থেকে আমাদের কম্পিউটারে এসে ভিড়তো। আমরা মহা আনন্দে তখন ব্লগ লিখি। কমেন্টাই। একদিন ক্যামনে ক্যামনে জানি সচলও হয়ে যাই। অবশ্য সচল হবার পেছনে পরিবর্তনশীলের এই পোস্টটার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলেই নয়
............................
তারপর অনেকটুকু সময় পার হয়ে গেছে। আই ইউ টি স্ট্রিটের সোডিয়াম বাতির হলদে আলোটুকুও একদিন টুপ করে লেকের জলে ডুব দিলো। তার বদলে এখন এনার্জি সেভিং সাদা বাত্তিগুলো দাঁত কেলিয়ে হাসে। দেখতে একদম ভালো লাগেনা।
আমার ৫২৮ নাম্বার রুমে আজ খালি পায়চারি করছি সারাদিন। এই রুমে আমি শেষ চার বছর শেকড় গেঁড়ে বসেছিলাম শক্ত করে। কখনো একবারের জন্যও ভেবে দেখিনি একসময় শেকড়ও উপড়ে ফেলার সময় আসে। সারাজীবন শালার বোকাই রয়ে গেলাম। আমার প্লাস্টিকের চেয়ারটা; ক্লাসমেটরা বলতো আমি নাকি দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা এটার ওপর আঠার মত লেগে থাকি কম্পিউটারটাকে সামনে রেখে। কম্পিউটারটা কদিন আগেই বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন নাকি সেই চেয়ারও রেখে যেতে হবে। সামনের বছর নতুন ব্যাচের কারো জন্য। যেমন করে রেখে যাচ্ছি আমার বিছানার পাশের মাকড়সার ঝুল পড়া জানলাটা, আমি সটান হয়ে শুয়ে থাকলে এক টুকরো আকাশ যার গ্রীলের ফোঁকর দিয়ে কৌতূহলী চোখে শুধু উকিঝুঁকি মারতো। আমার রুমের সামনের ইউক্যালিপ্টাসগুলোকেও ছেড়ে যেতে হচ্ছে কালকে , সারাটা সময় রুমের সামনাসামনি দাঁড়িয়ে থেকে যারা কখনো বুঝতে দেয়নি একাকীত্ব বলতে আসলে কি বুঝায় । আর সব কিছুর মতই নিয়ম করে তবু রাত নামবে লাল দেয়ালের রাজ্যে, শুধু রাত জাগা পুরনো মানুষগুলো হুট করে নেই হয়ে যাবে কাল থেকে। কাউন্টার স্ট্রাইকের গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়ে হতচকিত হয়ে কখনো শুধু আর ভাবা হবেনা যুদ্ধ বিগ্রহের কোন শহরে এসে পড়লাম নাকি ভুল করে।
লাল দেয়ালের চার দেয়ালের ভেতরে কোন কিছুই আসলে থেমে থাকবেনা। বদলে যাবে কেবল এতদিনের চেনাজানা চরিত্রগুলো। সেটাই স্বাভাবিক। সবকিছুরই শেষ থাকে। শেষ থাকবেনা শুধু মমতায়, ভালোবাসায় এতদিন ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা বন্ধুতায়, চার বছর আগের এক দিনে লাল দেয়ালকে ঘিরে যার শুরু হয়েছিল।
আলসেমি ঝেড়ে আমার ব্লগ লেখা হয় খুব কম সময়ই । যেগুলো লিখি সেগুলোও শেষ মেষ কেমন যেন বিশ্রি রকমের বড় হয়ে যায়। শুধু আজকে লিখতে গিয়েই প্রথমবারের মত মনে হচ্ছে যা কিছু বলার ছিলো তার কোন কিছুই শেষমেষ আর লেখা হলোনা..
লাল দেয়ালের গল্প না হয় অসমাপ্তই থাকুক। সব গল্পের শেষ টানতেও নেই। শেষ বেলায় শুধু প্রার্থনা - সবসময় যেন ভালো থাকে লাল দেয়ালের ছায়ায় বেড়ে ওঠা গল্পের মানুষেরা।
মন্তব্য
আহারে
লেখাটা দারূণ ভালো হইসে, কিন্তু মন খ্রাপ করে দেওয়া
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
কেন জানি আজ সন্ধ্যা থেকে তোকে লগ ইন দেখে আর তুহিনের স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছিল একটা ব্লগ হয়ত আসবে, এখন দেখি ভাবনাটা সত্য হয়ে গেল। কেম্নে কেমনে জানি আমার কলেজের অনেক গুলা ভাল বন্ধু আইইউটি ভর্তি হয়েছিল তাই আইইউটি কে ভাল পাই অনেক আগে থেকেই। সচলে প্রথম প্রথম অনেকদিন পড়লেও প্রথম লেখার সাহস পেয়েছিলাম তোদের দেখেই তাই তোদের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকবে আমার সারাজীবন। মন্তব্যে বেশী কথা বলা ঠিক না তাই শুধু একটা কথাই বলি আইইউটি পার্টি রকস
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আলমগীর মামা; সেই ২০০১ সালেও ছিলেন উনি। স্মৃতিরা বড্ড খারাপ। শুভ কামনা নতুন জীবনের জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
স্বপ্নাহতের লেখা পড়ে বাস্তবাহত হলাম। আমিও ছিলাম ৫ তলায়, তবে উত্তর দিকেরটার।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি
কে.কে.— এর একটা গান ছিলো, "হাম রাহে ইয়া না রাহে কাল, কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পাল..."।
গানটা একটা সময় খুব অর্থবহ মনে হতো আমার কাছে। খুব সম্ভবত এমন একটা সময়ে গানটা আপনার জন্যও সমান আবেদনময় হয়ে উঠবে, কিংবা হবে না। আপনার লেখাটা পড়ে গানটার কথাই মনে হচ্ছিলো, আপনার লেখার অক্ষরগুলো বিক্ষিপ্তভাবে উড়ে গিয়ে স্মৃতির কিছু বন্ধ হয়ে থাকা, কপাটে ধূলো পড়া দরোজায় কড়া নাড়ছিলো বলে।
বুদ্ধিমান মানুষেরা সামনের দিকে তাকায় সবসময়। পেছনের সময়টুকু তাদের কাছে বিনিয়োগ। আপনি তাদের একজন। ফলপ্রসূ বিনিয়োগের পর সেটা নিয়ে মন ভার করলে চলে না। ফেলে আসা সময়টার জন্য খারাপ লাগা থাকবেই, সেই অনুভূতিটাকে বস্তায় ভরে একটা গোপন কক্ষে ফেলে রাখেন তালাবদ্ধ করে। যখন ইচ্ছে করবে, সেই বস্তা খুলে মুখটা বাড়িয়ে তার স্পর্শ নিবেন। সবসময় তাকে পথ আগলে রাখতে দিলে মহা ক্ষতি!
ভালো কথা, মেকানিক্যাল প্রকৌশলীদের জন্য জর্ম্মন দেশ শুনছি খারাপ না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনের মাঝে দাগ কেটে গেলো লেখাটায়, এতো সুন্দর করে কি করে লেখেন?
খুব ভালো লাগলো, মজা লাগলো বন্ধুদের সাথে আপনার আই ইউ টির দিনগুলো পড়ে!
ভালো থাকুন সবাই।
ছবিটি কি হলের নাকি? সুন্দর।
জিহাদ, স্মৃতিকাতর হলাম ... একই ধূসর ও বিষন্ন অনুভূতি ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর আমারও হয়েছিল ... সে রাতে একা একা ট্রি পার্কে লোডশেডিং এর ভেতর আঁধারে কেঁদেছিলাম অনেকক্ষণ ...
-- সিহাব
-------------------
সৌন্দর্য্যে কাতর হয়ে পরার পরপরই হতাশ হয়ে পরি, তাঁর নশ্বরতায় ...
সৌন্দর্য্যে কাতর হয়ে পরার পরপরই হতাশ হয়ে পরি, তাঁর নশ্বরতায় ...
ভালো লাগলো পোস্টটা।
বিদায় জিনিসটাই আমার ব্যাপক খারাপ লাগে। কিন্তু এমনই আজিব একটা জীবন কাটাচ্ছি, বারে বারে নানা জায়গা বা লোকেদের কাছ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আমাকে।
যাকগে, ভাল থাইকো, সামনের সময়ের জন্যে শুভকামনা, দিল্লী অনেক দূর!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
যেন এক নিমিষেই চার বছর ঘুরিয়ে আনলি। মন-টা খ্রাপ করে দিলি রে। আমিও তোর মত শুধুই নিয়ে যাওয়াদের দলে ছিলাম...
"... সেই ঋন শোধবার দিন, নতুন ভোরে"... গেয়েছিলাম ঠিকই, তবে কবে সেই ভোর হবে জানা নাই।
পরিবর্তনশীল আর কবি (রায়হান আবীর)-কে আগেই চিনতাম। আজ চিনলাম স্বপ্নাহতকে। আই ইউ টি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন... !!
মন খারাপ করে দেয়া পোস্ট...আগামী দিনের জন্য শুভ কামনা থাকলো! *তিথীডোর
হল ছেড়ে দেবার অনুভূতিটা খুবই বিষাদমাখা। তোমার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি জিহাদ। তবে এই উপলব্ধিটার পেছনে যে আনন্দময় মুহুর্তগুলো আছে তা অনেক কঠিন সময়ে আত্মবিশ্বাস যোগায়।
ভালো থেকো, সবসময়।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
দারুন লিখেছেন!
বড়ই মর্মস্পর্শী লেখা।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ওহে স্বপ্নাহত ভাই, এভাবে মন্টন খ্রাপ করে দেয়ার প্রয়োজন খুব বেশি ছিলো নাকি ??
... ভালো থাকেন, দুধে-ভাতে থাকেন।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এত সুন্দর করে লেখার জন্য ধন্যবাদ, তবে মন খারাপ করে দেয়ার জন্য একটু কম করেই দিলাম।
ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মন ভালু নাই ...
দোস্ত, কাল সারারাত আড্ডা দিয়ে আসার পরে মহিব বলতেছিল, লাইট জ্বালায় ঘুমাই আজকে। ভয় লাগতেছে। ওর কথা শুনি নাই। লাইটটা অফ করে দিছি। কেন অফ করে দিছিলাম, বুঝতে পারছিস বোধহয়। মাইনসের সামনে কানতে ভাল্লাগে না।
সকালে উইঠা কয়েকজন একটু ইমোশনাল হবার চেষ্টা করল, কেউ কেউ একটু কান্নাকাটি টাইপেরও শুরু করতে নিছিল আমারে ধইরা। কইলাম, ঠাডায় থাবড়া দিমু ব্যাটা বলদ, কান্দস ক্যান? ইমোশন ***ার টাইম নাই। তারপরে তাড়াতাড়ি হল থিকা ভাগলাম পরিবর্তনশীল আর শিক্ষানবিসরে নিয়া। আসার সময় আমাদের সবার চোখের পলক একটু ঘনঘনই পড়ছিল, কান্না লুকানোর চেষ্টা কম করি নি আমরা সবাই। শেষ রক্ষা হল না। বাসে উইঠা দেখি কষা শিক্ষানবিস সাহেবও সামনের সীটে মাথা রাইখা ...
দোস্ত, কিচ্ছু ভাল লাগতেছে না। কোনটা লাইফ আর কোনটা জীবন হাড়ে হাড়ে টের পাইতেছি এখন। দেড়ঘন্টা ফার্মগেটে দাঁড়ায়া থাইকা একটা বাসে উঠলাম, সেইটাও শ্যামলী আইসা নষ্ট। বাসায় আইসা পিসিটা কোনমতে জোড়া লাগায়া অন করতেই গেলগা কারেন্ট ... থাক আর কমু না। ... একটু সবুর কর। নিজেরাই কইবি...
ভাল থাকুক আইইউটি, ভাল থাকুক আইইউটিয়ান, ভাল থাক তোরা সবাই। খুব খুব ভাল।
অফটপিক: সচল দেখি আইইউটিয়ান দিয়া ভইরা গেছে
খাইতে যাইবেন কেউ?
------- তুহিন (৫১৮)
*******************************
আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে, অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি, আমি বারেবার আসব ফিরে
*******************************
আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে, অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি, আমি বারেবার আসব ফিরে
দোস্ত, এমনিতেই মন খারাপ যাইতাছে...তার উপর এগুলা এমনে মনে করায় দিলা।
চার বছরে কি এমন একটাও স্মৃতি নাই...যার জন্য এখন বের হয়ে বলতে পারি...যাহ বাবা বাচঁলাম এই নরক থেকে...
ভালো থাকিস দোস্তরা...আর ভালো থাকিস আইইউটি।
বিদায়, বিচ্ছেদ, স্বপ্ন ভঙ্গ ইত্যাদিতে কষ্ট পেতে পেতে এখন মনটা কেমন যেন কাঠ কাঠ হয়ে গেছে। তবুও কষ্ট পেলাম ভাই তোমার লেখা পড়ে। জীবন এমনই। কিস্যু করার নাইরে ভাই।
মন খারাপ করে দেয়ার মতন ভালো একটা লেখা।
ভালো থাকুক লাল দেয়াল, ঘিরে থাকুক লাল দেয়ালের ভালোবাসা...
"Life happens while we are busy planning it"
আইইউটি থেকে বের হতে যে এত খারাপ লাগবে বুঝি নাই। সাইজে আসতে এখন কতদিন লাগে কে জানে...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আইইউটিতে এখনও আছি। ০৭ ব্যাচ। আইইউটি ছেড়ে যাবার পর আমার অনুভুতিও সম্ভবত আপনার মতই হবে।
নতুন জায়গায় আসছি, আইইউটির বন্ধুরাই কয়েকজন আছি, সেই রাত জাগাও আছে, আড্ডাও হয়- শুধু চারপাশে লাল দেয়াল গুলো নেই, যেন নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে এসে পড়েছি।
মন খারাপ করে দেয়া লেখা, এইজন্য তোরে অনেক গালি।
আইইউটিতে এখনও আছি। ০৭ ব্যাচ। আইইউটি ছেড়ে যাবার পর আমার অনুভুতিও সম্ভবত আপনার মতই হবে।
আপনাদের অনুভূতি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কদিন পরে আমরাও চলে যাব আইইউটি ছেড়ে। একরকম্ভাবে আমরাও কাঁদবো। ভাল থাকুক আইটিয়ানরা।
-------------------
রনি ৩১৩ ( নর্থ হল )
দিলেন তো মনটা খারাপ কইর্যা।
--------------------------------------------------------------------
রনি
৩১৩
নর্থ হল।
লেখাটা বেশি ভালো হইছে!!! অনুভূতি গুলোকে একদম নাড়া দিয়ে গেলো...
তোমার লেখা পড়ে আই ইউ টি জীবনের কথা মনে পরলো। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে ওই জীবনে। আর সোডিয়ামের আলোয় আই ইউ টি ছিল এক সপ্নের জ়গৎ।
নতুন মন্তব্য করুন