"ভালোবাসা" কি জিনিস ঠিকঠাক বুঝে ওঠার আগেই জীবনে প্রথম বারের মত ভালোবাসার প্রস্তাব পেলাম। অবশ্য ওটা যে ভালোবাসার প্রস্তাব ছিল সেটাও বুঝছি বেশ দেরি করে। ক্লাস থ্রির কথা। তখনো বড়বেলার মত ভাগ্য এত খারাপ হয়নাই। কো এডুকেশন স্কুলে পড়ি। আমার বেঞ্চির সবসময় কোনাকুনি বেঞ্চে বসা মেয়েটা একদিন টিফিন ব্রেকের বেল পড়ার পর সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো - আজকে স্কুল শেষ হলে বাইরে দাঁড়াবি। আমি কোন কিছু না বুঝেই ঘাড় নেড়ে সায় দিলাম। ও দাঁড়াইতে বলসে, আমি দাঁড়াবো। এতে তো আসলে না বুঝাবুঝির কিছু নাই। তবে এইটা ঠিক, তখনো ভালোবাসা বুঝিনা। শুধু বুঝি ভালোবাসা এমন একটা কিছু যেইটা খুব লজ্জার ব্যাপার। কারণ এইটা ফাঁস হয়ে গেলে পাড়ার আন্টিরা ঘরোয়া আড্ডায় চোখ বড় বড় করে ফিঁসফিঁসিয়ে তা একজন আরেকজনের কাছে গপ্পো করে। আর ছোটরা কেউ ভুল করে তাদের আশেপাশে এসে পড়লে চাবি দেয়া পুতুলের মত হঠাৎ চুপ হয়ে যায়। এ সব দেখে টেখে তাই এমন লজ্জাজনক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা কখনো মনে হয়নাই। বরং মেয়েদের ব্যাপারে কেমন যেন বিদ্বেষ কাজ করতো তখন ( বেকুব ছিলাম। কোন সন্দেহ নাই )।
স্কুল শেষে বাইরে এসে দেখি মেয়েটা আমার আগেই এসে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে আরেক বান্ধবী, আমাদেরই ক্লাসমেট। সামনে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কি বলবি বল। মেয়েটা কিছু বলেনা। শুধু একটা লাল গোলাপ বাড়িয়ে ধরে আমার দিকে। ব্যাপারটা বুঝতে হাতের গোলাপ থেকে চোখ ওপরে তুলে ওর দিকে তাকাতেই কেমন কেমন করা একটা হাসি ছুড়ে দেয়। মেয়েটা হেসেছিলো চোখের দিকে তাকিয়ে , কিন্তু কেন যেন সেটা বুক বরাবর এসে লাগে। তারপর কথা নাই বার্তা নাই স্কুল ব্যাগটা বুকে জড়িয়ে উল্টাঘুরে বান্ধবীকে নিয়ে দিলো এক দৌড় । আমি থতমত খেলাম । কথা না বলে কেন ও এইরকম আচমকা দৌড় দিলো সেইটা ভেবে না, বরং বুকে এমন হাই পাওয়ারের ধাক্কা খেলাম কেন সেটা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে। আমি মাথা নিচু করে বাসার দিকে দ্রুত হাঁটা দিলাম। সেইভাবে কিছু বুঝতে পারছিলাম না। কেবল যখনই ব্যাপারটা মনে হচ্ছিল আমার দু কান গরম হয়ে উঠছিল শুধু। আমি কি লজ্জা পাচ্ছি? একটা মেয়ে একটা ছেলেকে ফুল দেয়া কি লজ্জার কোন ব্যাপার?
মাথার ভেতর শত সহস্র প্রশ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরি। কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনা। সারাক্ষণ খালি গোলাপ ফুল ঘুরপাক খায় মাথার ভেতর। তখন বিটিভির কোন শুক্রবারে দেখা সাপ্তাহিক বাংলা সিনেমায় প্রথম দেখেছিলাম নায়ক নায়িকার ফুল পেয়ে বইয়ের ভাঁজে রেখে দেয়। নিজেরে নায়ক ভাবার বয়স ঐটা না। তারপরও সেই কামটাই করি। ইংলিশ ফর টুডের চিপায় গোলাপটা রেখে দেই।
তার কিছুদিন পর পাকনা কিসু ফ্রেন্ডের মহানুভবতায় বুঝতে শিখলাম গোলাপ ফুলটা ছিল ভালোবাসার আহবান। সদ্য অর্জিত জ্ঞান থেকে কয়েকদিনের মধ্যে এও বুঝতে পারলাম মেয়েটার সাথে সাথে মেয়েটার বড় বোনও আজকাল আমার দিকে কেমন কেমন করে যেন একই রকম হাসি ছুড়ে দেয়। বড় বোন অবশ্য মাত্র কয়েক সেকেন্ডের বড়। ওরা দুইজন পিঠাপিঠি যমজ বোন ছিল।
তো কাহিনি বেশ গুরুতর । কোন সন্দেহ নাই।
আগে একজনকে দেখে লজ্জা পেতাম। এখন দুইজনরে দেখলেই লজ্জা লাগে।
তাই আমি দুইজনরেই এড়িয়ে চলা শুরু করি এরপর থেকে। একজনের সাথে কথা বললে আরেকজন রেগে গিয়ে যদি ঘুষি টুষি মেরে বসে কলার চেপে ধরে তাহলে তো বিপদের কথা। এরপরেও কাহিনি কম হয়নাই। কিন্তু আমি ভদ্র ছেলে আরো ভদ্র হয়ে যাই। ফলাফল স্বরুপ এতদিন পর আজ ওরা দুই বোনই বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সুখী পরিবার। এবং স্বপ্নাহত এখনো দরিদ্র, মেধাবী ব্যাচেলর। সেই অসম্পূর্ণ লাভস্টোরির কথা ভেবে মাঝে মাঝে চুরি করে যে একেবারেই দীর্ঘশ্বাস ফেলিনা তাও কিন্তু না। কে জানে, তখন এত বেশি ভদ্র না হলে আজ হয়তো আমিও...
...........................................................................
এরপর দিন দিন যত বড় হই মেয়েদের প্রতি আমার পূর্বের সেই বিদ্বেষ আস্তে আস্তে কমতে থাকে। কিন্তু তাতে তেমন কোন লাভ হয়না। স্কুলের পাশে মসজিদের বাগানে তারপরও বহুদিন পর্যন্ত গোলাপ ফুল ফুটলেও তার কোন একটিও কেউ আর আমার জন্য ছিঁড়ে আনেনি। অবশ্য ভালোবাসার সংজ্ঞা ততদিনে গোলাপ ফুল ছেড়ে আরো বহু দিকেই প্রসারিত হতে শুরু করেছে নিজের কাছে। আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি ভালোবাসা মানে শুধু গোলাপ ফুল দেয়া নেয়া না। হতে পারে নানা ভাবেই। মা কে যেমন ভালোবাসা হয়, তেমনি ভালোবাসা হয় বন্ধুকেও। পাশের বাসার সঞ্জু ভাইকে দেখলেও আমার মন ভালো হয়। এবং আমি সঞ্জু ভাইকেও ভালোবাসি। কারণ রোজ বিকেলে ওর একটা ঘুড়ি আমি নিয়ে ওড়াতে চাইলে ও আমাকে কখনো না বলেনি।
.........................................................
বয়স বাড়ে একটু একটু করে। জীবনের হিসেব নিকেশের খাতায় ভালোবাসার মানুষের সংখ্যাও বেড়ে চলে পাল্লা দিয়ে। ভালোবাসা শিখি, ভালোবাসতে শিখি। একেক ঘাটে একেক সময় ঠোকর খেতে খেতে একসময় সচলায়তনে এসে নোঙর ফেলি একদিন। জীবন তখন বড় বেলায় পাওয়া গোলাপ ফুল হারিয়ে ফেলার শোকে টালমাটাল। নিজেকে ব্যস্ত
রাখার ধান্দায় শুরু হয় আনাড়ি হাতে কীবোর্ড নিয়ে গুঁতোগুতি। একটা পোস্ট সাহস করে দিয়ে ফেলি অতিথি লেখক হিসেবে। সেদিন থেকে পরিচয় ঘটে আরেক রকম ভালোবাসার সাথে। আবিষ্কার করি গোলাপ ফুলই কেবল ভালোবাসার আহবান নিয়ে আসেনা, সেটা হতে পারে কীবোর্ডের বাটন চেপেও। সচলে এসে পরিচয় হয় একদল অচেনা মানুষের সাথে, যাদেরকে কখনোই নিজের চোখে দেখা হয়নি। খুব আশ্চর্য হয়ে একসময় টের পাই কিছুই না হওয়া আমার প্রথম গল্পটা বেশ কিছু মানুষ পড়ে গেছে তবু। তারও মাঝে খুব অল্প কিছু মানুষ মন্তব্য করে গেছে সেখানে। ছেলেমানুষের মত আনন্দ হয় দেখে। নতুন জায়গার প্রেমে পড়ে যেতে সময় লাগেনা। ভালোবাসতে শুরু করি নতুন জায়গার মানুষগুলোকেও। যাদের সাথে এই নতুন ভালোবাসাবাসির সম্পর্ক তাদের প্রায় সবাই সচলেরই সদস্য। মন্তব্যে মন্তব্যেই একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ। মাঝে মাঝে টুকটাক কিছু অতিথির কমেন্ট। ভালোবাসা গড়ে ওঠা এই এটুকুর মাঝেই। সচলে এসে এরকম শব্দে শব্দেই একজনের সাথে পরিচয়। এখানকার অধিকাংশ সদস্যের পাশাপাশি তার সাথেও আমার কখনো দেখা হয়নি। ভবিষ্যতে কখনো হবে বলে মনেও হয়না। কিন্তু আমার প্রথম পোস্ট থেকে শুরু করে মোটামুটি সব পোস্টেই আমি তার দেখা পেয়েছি। কাঁচা হাতে যাই লিখেছি স্নেহসূলভ মানসিকতায় পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন পরম আন্তরিকতায়, মন্তব্য করেছেন অকৃপণভাবে। জীবনে যে কোনদিন লেখক হওয়া হবেনা তা আমার চে ভালো আর কেউ জানেনা। তবু মাঝে মাঝে যে দু চার লাইন লিখে নীড়পাতা দখল করার বদভ্যাস তা' এই সব না দেখা, না ছোঁয়া মানুষদের ভালোবাসা পাবার লোভ থেকেই। আর কিছু নয়। যার কথা বলছি অন্যান্য সচল সদস্যদের চে তিনি একটু ব্যাতিক্রম। কারণ তিনি এখানে ঠিক লেখিয়ে সচল নন।
বলেই দিচ্ছি। তিনি অনিন্দিতা। অনিন্দিতা চৌধুরী। যার নামের পাশে ব্রাকেটে আগে সবসময় লেখা থাকতো "যাচাই করা হয়নি"। এখন থাকে [অতিথি] । ব্লগ লেখার প্রতি তার ব্যাপক অনাগ্রহ। কিন্তু মন্তব্য লেখার ব্যাপারে ঠিক উল্টো। যাচাই না হওয়া সচলের এই অতিথিটিই সচলে আমার গুটিকয়েক অসম্ভব প্রিয় মানুষদের একজন। কোনদিন না দেখা,খানিকটা রহস্যময়ী এবং বাস্তব জীবনে পুরোপুরি অচেনা মানুষটির প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা বলতেই আজ এই ব্লগ লেখা।
এবং সবচে বড় ব্যাপার আজ এই মানুষটার জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা! প্রার্থনা করি সারাজীবন ভাল থাকুন! এবং অবশ্যই যেন ভালোবাসায় থাকুন!
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন... (কেক-কুকের ব্যপারটা কি করবেন বলে ভাবছেন!?)
লেখককে: অতিতীব্র ভালো লেখা হইছে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা, সুন্দর কাটুক আপনার এই দিনটি।
আর স্বপ্নাহত, খুব ভালো লাগল আপনার পোস্টটা পড়ে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শুভ জন্মদিন, অনিন্দিতা।
স্পার্টাকাস
অনিন্দিতা ;জন্মদিনে অনেক ভালবাসা রইলো !!
স্বপ্নাহত ;দারুণ ...
অনেক অনেক বেশি করে (যাকে বলে হাত -পা খুলে) ,,লিখতে থাকুন নিয়মিত !
'কেলাস থিরিতে'ই শুকিয়ে যাওয়া অকাল গোলাপ পাঁপড়ির রিপ্লেসমেন্ট হোক শিঘ্রি, তাজা লাল গোলাপে..
----------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা। স্বপ্নাহতের স্বরেই বলি, "সারাজীবন ভাল থাকুন! এবং অবশ্যই যেন ভালোবাসায় থাকুন! "
আর স্বপ্নাহত, তবে কি আজকাল আর গোলাপ পাওয়া হয় না?
জন্মদিনে শুক্না কাঁথার ফুলেল শুভেচ্ছা
অনিন্দিতাপু কে শু.জ.
স্বপ্নাহত ভাইজান, এতো সুওন্দর কেন লেখেন ?
---নীল ভূত।
অনিন্দিতা চৌধুরী-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
স্বপ্নাহতকে বলতে ভূলে গেছি, লেখাটা খুব ভালো হয়েছে। শিরোনামের গানটাও আমার বড় ভালো লাগে!
- গেয়ে শোনান তো দেখি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গাইবো, তবে তার জন্য হাজার পাঁচেক মাইল পেরিয়ে এদিকে আসতে হবে!
(তখন নিচ্ছয় উইঠাই দৌড় দিতার্বেননা..... হে হে )
অনিন্দিতা চৌধুরী, আমার কাছেও তিনি রহস্য হয়েই রয়ে গেছেন। অতি সংক্ষেপে খুব ভালো, উদ্দীপক কিছু কথা বলে যান মন্তব্যে। মনেহয় কতো আপন যেনো!
অজানা সেই (মূলত) নীরব পাঠকের জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা তো সুন্দর। কিন্তু এই নতুন ভালোবাসাবাসির মানুষটির জন্মদিন যে আজকে তা জানলে কিভাবে
শুভেচ্ছা রইল।
আমার প্রতিটা লেখাতে যাদের কমেন্ট পাবার জন্য ব্যকুল হয়ে বসে থাকি, অনিন্দিতা আপু তাদের একজন। শুধুমাত্র কমেন্টের মাধ্যমে এত শক্ত বাধনে বাধা যায়, তা অনিন্দিতা আপুকে দিয়েই টের পেয়েছি।
ভাবছিলাম আপুর জন্মদিনে কিছু লিখব...তথ্য সংকটে ভূগে আর লিখিনি। এখন দেখছি না লিখে ভালই হয়েছে...জীবনেও এত সুন্দর করে আমি শুভেচ্ছা জানাতে পারতাম না
তবে অনিন্দিতা আপুর সাথে কখনও দেখা হবে না, একথা আমি বলতে পারছিনা। কারন বাংলাদেশে পরবর্তীবার গেলে আমি জোর করেই দেখা করে আসব
অনেক, অনেক ভালো থাকুন আপু।
স্বপ্নাহতকে এক গামলা ঈর্ষা।
শুভ জন্মদিন, অনিন্দিতাপু।
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা! ভালো থাকুন, সচল থাকুন।
স্বপ্নাহত, এখন তো পরীক্ষার চাপ নেই, এখন নিয়মিত ছড়া লিখতে অসুবিধা কোথায়?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা ভাল হইছে!
শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চ্যাপ্টা গোলাপ ফুলের চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া ভালবাসার স্মৃতিতলে আমরা আজও অনেকেই আবর্তিত। ভাললাগার সব উপাদান আছে আপনার লেখায়, সেই সাথে সফল হোক সকলের ভালবাসার আবগাহন।
-- শফকত মোর্শেদ
শুভ জন্মদিন, অনিন্দিতা।
লেখাটাও ভালো লাগলো, স্বপ্নাহত।
'তোমাকে বহুবার বলেছি- বইয়ের পাতায় ভাঁজ দেবে না, প্রয়োজনে গোলাপের দু একটি পাঁপড়ি রেখে দিও' এমনই একটি বাক্য মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখনির জন্য।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা আপু
সচলে যখন আসি তখন যে কয়জন মানুষের মন্তব্য বিভিন্ন লেখায় দারুণ অনুপ্রাণিত করেছিল তাদের মাঝেও আপনিও আছেন। আগে সকাল বেলা সচল খুললে প্রায় প্রত্যেকটা পোস্টে যে কয়জন সচলের মন্তব্য দেখা যেত তাদের মাঝে আপনিও ছিলেন কিন্তু আজকাল অবশ্য আপনাকে আর মন্তব্যের ঘরে তেমন একটা দেখা যায় না তাই আশা করি এখন থেকে আবার নিয়মিত হবেন মন্তব্যে
আর জিহাদ মিয়া তুমি লুকটা ভালু লেখাটাও ভালু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
লেখার শুরু দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম। ভাবলাম স্বপ্নাদের কথা কিছু জানা যাবে এবং ইহা স্বপ্না বিষয়ক পোস্ট।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত জন্মদিনের পোস্ট হিসেবেও উতরে গেছে।
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা আপু।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
স্বপ্নাহত < যারা জীবনের প্রতিটি ধাপে ভালোবাসাকে অনুভব করে,সত্য ও সুন্দরকে লালন করে নীজের মাঝে তারাই কেবল এভাবে জীবনটাকে ভাবতে পারে ।।
রিক্তের বেদন
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা চৌধুরী !!
... আর পেপ গার্দিওলা ভাই- লিখাডা খুবই ভালা হৈসে...আরো কিসু বালিকা থাকলে আরু ভালু হইতো...
_________________________________________
সেরিওজা
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা চৌধুরী! (একটু দেরী হয়ে গেসে তাই না??)
সপ্নাহত, ইন্সটিংক্টের গল্পটা যে জন্মদিনের শুভেচ্ছার সুচনা বুঝতেই পারিনি।
ভালো লেখা। পড়ে মজা লাগ্লো।
---- মনজুর এলাহী ----
স্বপ্নাহত কাউকে নিয়ে লিখলে তাকে ঈর্ষা করা লাগে
ঈর্ষামিশ্রিত শুভকামনা অনিন্দিতা
০২
ঠাডঠুডা পইড়া মইরা গেলে আমারে নিয়া কিছু লেইখ স্বপ্নাহত
আর দশটা সাধারণ একঘেয়ে কর্মব্যস্ত দিনের মতোই আমার দিনটা শুরু হয়েছিল।
বুঝতেই পারিনি আজ আমার জন্য কী সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।
ব্যস্ততা একটু বেশীই ছিল বোধ হয়। তাই সচলে সময় মতো ঢুঁ মারতে পারিনি।
একফাঁকে চোখ বুলাতে গিয়ে স্বপ্নাহতের পোষ্ট টাতে কিভাবে যেন আটকে গেলাম।
আলাদা ট্যাগ না থাকায় প্রথমে বুঝতে পারিনি কী ঘটছে । শুধু শেষ প্যারায় এসে আমার চোখটাই ঝাপসা হয়ে গেল।
এক জীবনে এর চেয়ে বড় উপহার আর কী হতে পারে?
আমার নিজেকে নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। লেখাটাও ঠিক আসে না। সচলায়তনে শুধু পড়তে আর মন্তব্য করতেই ভাল লাগে। কেউ কেউ লিখতে বললেও আমার আর লেখা হয়ে ওঠেনি। তাই নিয়মিত সদস্য না হয়েও একজন প্রিয় ব্লগারের কাছ থেকে জন্মদিনের পোস্ট পাওয়াটা আমার দিনটাকে সারা জীবনের জন্য স্মরনীয় করে রাখল।
তা নাহলে এদিনটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হতো না কখনো।
স্বপ্নাহতকে এই অসাধারণ লেখার জন্য কী বলব বুঝতে পারছি না। অবাক হওয়ার ক্ষমতাও বোধ হয় শেষ হয়ে গেছে আমার।তবে এ লেখার জন্য আমিও কারো কারো ঈর্ষার পাত্র(!) ভেবে খুব মজা লাগছে।
পৃথিবীর আনাচে কানাচে কত জায়গায় যে ভালবাসা মমতা ছড়িয়ে আছে সব সময় টেরও পাওয়া যায় না।যেমনটা আমি পাই নি।
স্বপ্নাহত আর সচলের অদেখা, অচেনা বন্ধু( লেখা দিয়ে চিনি) অনার্য্য সঙ্গীত,সাইফ, স্পার্টাকাস, তিথীডোর, ব্রহ্ম দৈত্য , হিমু, মৃত্তিকা, নীলভূত,ধূসর গোধুলি, প্রকৃতিপ্রেমিক, রেনেট, নাতাশা, ষষ্ঠপান্ডব, স্বপ্নহারা, শফকত মোর্শেদ, মূলত পাঠক, শেখ নজরুল, নিবিড়, রাফি, রিক্তের বেদন, সুহান, মনজুর এলাহী , মাহবুব লীলেনকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকে এই বিশেষ দিন উপহার দেবার জন্য।
কৃতজ্ঞ সচলায়তনের প্রতি এমন অসাধারণ বন্ধুদের দেখা পাইয়ে দেয়ার জন্য।
জয়তু সচলায়তন।
সবাইকে ধন্যবাদ
অনিন্দিতা আপু, উই লাভ ইয়ু।
সবশেষে শুভেচ্ছার একটা সিলমোহর মেরে যাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আরে দাঁড়ান নজু ভাই---
সবশেষের কথা আমি বলব
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা
দেরী হয়ে গেল শুভেচ্ছা জানাতে---
পরের জন্মদিনে আমি হব 'সকাল বেলার পাখি'
পাক্কা ওয়াদা রইল
ভাল থাকুন সব সময়।
আর স্বপ্নাহত, কি রে পাগল, এত বিশাল বিশাল ডুব দিলে কেম্নে কি?
লেখা অতীব চমৎকার!!
স্বগতোক্তিঃ
এই ছেলেটা যদি জানত যে সে কী অসাধারণ লেখে---হায়--(দীর্ঘশ্বাস!!)
ঠিক সময়ে কখনই কাউরে শুভেচ্ছা জানাইতে পারলাম না রে...... আফসুস।
অনিন্দিতা আপা শুভ জন্মদিন... হউক খানিকটা দিরং... কিন্তু আন্তরিকতায় ঘাটতি নাই... ইমানে কইলাম।
দৃশা
হায় রে, ভালবাসা কত রূপে কত চেহারায় যে ফিরে ফিরে আসে!
এত ভালবাসা পাবার যোগ্যতা কি আছে আমার? জানি না।
তবু ও সবার অকৃপণ ভালবাসা গ্রহণ করলাম কৃতজ্ঞ চিত্তে।
ধন্যবাদ নজরুল, অনিকেত,রায়হান, দৃশা।
সবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা চৌধুরী আপু।
ইশ!!! আমাকে নিয়ে কেউ কোনদিন এমন করে লিখলো না!
অনেক ধন্যবাদ দ্রোহী।
ভাল থাকুন, ভাল লিখুন।
প্রথমেই অনিন্দিতা আপু আর সপ্নাহত দু'জনের জন্যই আমার আন্তরিক ভালবাসা রইল। আর অনিন্দিতা আপুর জন্য জন্মদিনের অফুরন্ত শুভেচ্ছা বিশেষভাবে।
জিহাদ, তোমার এমন লেখা অনেকদিন পড়িনাই। অনেক ভাল লাগল। ভাল থেকো।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
পুরো লেখাটা আস্ত একটা চমক!!!!!!!
শুভ জন্মদিন অনিন্দিতা চৌধুরী!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভূঁতের বাচ্চা ও নীড় সন্ধানী।
শুভেচ্ছা রইল।
দেরী হয়ে গেল, তাও শুভেচ্ছা অকৃত্রিম। শুভ জন্মদিন।
নতুন মন্তব্য করুন