ফোনের অপেক্ষায় আছি।
আজ আমি
বুলডোজারের আঘাতে পরিত্যক্ত বহুতল ভবনের মতো
পতনন্মুখ হয়ে আছি।
স্মৃতিরা ক্রমাগত ভাঙছে আমায়।
এইসব যাবতীয় দৈব দূর্বিপাক হটিয়ে
বৃষ্টিস্নাত ক্লেদাক্ত রাতের জড়তাকে কাটিয়ে
বইমেলা আর রাজনীতির
তুমুল হট্টগোল সরিয়ে
মুর্হুতেই অন্য এক জগতে উত্তরন ঘটাতে পারে
তোমার ফোন।
তাই ক্রমাগত অপেক্ষায় আছি।
----
ঢাকা
ফেব্রুয়ারী ১৯, ১৯৯৭
(এটাও লেখা হয় কলেজে পড়াকালীন। ফোনে একটা তুমুল প্রেম প্রেম ব্যাপার স্যাপার চলছিল এক সুকণ্ঠীর সাথে। একদিন অনেক রাতে ফোন আসতে দেরী হওয়ার বেদনা থেকে জন্ম। কিন্তু সুকণ্ঠীকে কোন দিন পড়ে শোনানো হয়নি কবিতাটা।)
মন্তব্য
সুকণ্ঠী এখন কোথায়
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আবার জিগায়! সুকণ্ঠী যদি অন্যজনাই হত, তাইলে কি এইরকম সোজাসাপ্টা সত্যভাষণ পাওয়া যেত? মাহবুব মুর্শেদ সাহসী ব্লগার হৈতে পারেন, কিন্তু সাহসী স্বামী নিশ্চয়ই না!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ভুল কথা। সুকণ্ঠী এখন অন্যজনের ঘর সংসার করছে। সে এক বিরাট কাহিনী। পরে কোন এক সময় গল্পের আকারে লেখা যাবে হয়ত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সাহসী স্বামী বস্তুটি পায়জামার বুকপকেটের মতো, কিতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে নাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
তাইলে কেমনে কি?
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
জটিল......মাহবুব ভাই যে ম্যারিড মানুষ সেইটাই তো জানতাম না।
জটিল।
কলেজের আরো লেখা বাজারে ছাড় জলদি।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
এমন ঘটনা থাকলে কবিতা লেখা যত সহজ, ঘটনা না থাকলে লেখা ততই কঠিন।
নতুন মন্তব্য করুন