[হাবলু ধীরে ধীরে ঘরে প্রবেশ করবে। এদিক ওদিক তাকাবে।]
হাবলু: (মুখের কাছে হাত এনে, পাখির ডাক দেবে) কুকু কুক্ কুক্, কুক্ কুক্ কুক্। দুর হালায় কহনও কামে দেয়না। জরিনা, ও জরিনা।
[জরিনার প্রবেশ]
জরিনা: আরে হাবলু ভাই!
হাবলু: তোমারে কতক্ষন ধইরা ডাক পাড়তাছি, শুন নাই?
জরিনা: হুনছি।
হাবলু: ঐ যে পাখির ডাকে কতক্ষন যে ডাকলাম! (সোফায় বসতে বসতে)
জরিনা: হুনছিতো।
হাবলু: তাইলে আসলা না কেন?
জরিনা: আপনার ঐ পক্ষীর ডাক খুবই বেসুরা। আমার পছন্দ না।
হাবলু: ঠিক আছে, আর ডাকবে না। বুইরা মিয়া কি বাসায় আছে?
জরিনা: হাবলু ভাই আপনে ঠিকই জানেন যে, বুইরা আইজকার দিনে এই সময় বারি থাকে না। কেন যে খালি খালি জিগান?
হাবলু: এ্যাঁ
জরিনা: কেন যে আইছেন তা বুঝি আমি জানি না? (সোফায় বসতে বসতে)
হাবলু: এ্যাঁ জানো?
জরিনা: হ জানি তো।
হাবলু: আপনি না তুমি বল।
জরিনা: ইস্ আপনে একটা দুষ্ট।
হাবলু: দুষ্ট! হাঃ হাঃ হাঃ, হাঃ হাঃ হাঃ
জরিনা: অত জোরে হাইসেন না। মাছি ঢুকবো। খুব মাছি হইছে, আইজ কাইল।
হাবলু: (গলা ঝেড়ে) আইচ্ছা। জরিনা তুমিতো জানো না, তোমারে যে আমি কি পরিমান ভালোবাসি। আই মিন লব্ করি। তুমসে মহব্বত হে।
জরিনা: সত্যই?
হাবলু: আরে হ। সত্যই। হাম সাচ্ বোলতা হায়।
জরিনা: (এদিক ওদিক তাকিয়ে) আমিও তোমারে ... ...
হাবলু: কও না। শরম পাও কেন?
জরিনা: পছন্দ করি। যাও দুষ্টু।
হাবলু: দুষ্টু! হাঃ হাঃ হাঃ, হাঃ ... (এবার আসলেই মাছি ঢুকবে) খক্ খক্ খক্।
জরিনা: হাই হাই কি হইলো?
হাবলু: খক্ খক্ খক্
জরিনা: আসলেই মাছি ঢুকছে?
[হাবলু মাথা নাড়বে। পাশেই পানি থাকবে। জরিনা এগিয়ে দেবে।]
হাবলু: জরিনা, এহন কি হইবো?
জরিনা: মানে?
হাবলু: সত্য সত্যইতো মাছি খাইয়া ফালাইছি।
জরিনা: তো কি হইছে?
হাবলু: মাছি খাওনতো হালাল না মনে কয়।
জরিনা: আপনে চুপ করেন তো। আপনের আর হাসনের দরকার নাই, বুচ্ছেন।
হাবলু: হ বুচ্ছি। আর হাসবো না, কাভি নেহী।
[ভেতর থেকে শব্দ আসবে]
চুমকী: না তোমাকে একটা কিছু করতেই হবে
অন্যকণ্ঠ: বললাম তো, চেষ্টা তো কম করছি না ]
জরিনা: কাম সারছে। আপামনি আইতাছে।
হাবলু: হ্যাঁ! এখন উপায়?
জরিনা: আপনে তাড়াতাড়ি ঐ সুফার পিছনে লুকান গিয়া।
হাবলু: আইচ্ছা
জরিনা: সুযোগ পাইলেই দৌড় দিয়েন
[চুমকী আর মজনুর প্রবেশ।]
মজনু: একটু বোঝার চেষ্টা কর, আমি কি অবস্থাতে আছি।
চুমকী: ওসব জানি না। তোমার ঐ ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডার আর কত বাজাবে? নতুন কিছু বল।
মজনু: ইয়ে চুমকী দেখ, নতুন কিছু তো বলতেই চাই। কিন্তু তোমারও তো একটু ধৈর্য্য ধরা দরকার। কি বল?
চুমকী: নাহ আর না। এই বুড়ার বাড়িতে আমি আর একদিনও থাকব না।
মজনু: বাহ্ রে। এই বাড়িতেই না তুমি বড় হলে এতদিন? তা হঠাৎ করে কিই বা এমন হল যে একেবারে অস্থির হয়ে উঠলে?
চুমকী: এতদিন তো কোন সমস্যাই ছিল না। কাকি মা মারা গেছে আজ একমাস। কিন্তু সে দিন থেকেই প্রতিটি দিন আমার জন্য দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
মজনু: মানে?
চুমকী: ন্যাকা। বোঝ না?
মজনু: না বুঝি না তো। তোমার কাকা মিঃ চান মিয়ার তো তোমাকে কষ্টে রাখার কথা না! হাজার হোক আত্মীয় কিনা।
চুমকী: আত্মীয়? না ছাই!
মজনু: ছিঃ ছিঃ এসব কি বলছো?
চুমকী: ঠিকই বলছি।
মজনু: আহা, বুঝলাম লোকটা না হয় একটু কৃপন স্বভাবের। তাই বলে ..., এ কিন্তু ভারি অন্যায়। বাড়াবাড়ি আর কি।
চুমকী: চুপ কর। সবটা না জেনেই যতসব কথা।
মজনু: কি জানি না বল?
চুমকী: তোমাকে বলেই বা লাভ কি? তুমিতো কিছুই করতে পারবে না। দুচোখ যে দিকে যায় আমি চলে যাব।
মজনু: আহহা কথা দিচ্ছি কিছু একটা করবই আজ। আগে বলতো কিসের এত চিন্তা তোমার?
চুমকী: মিঃ চান মিয়া আমার কোন আত্মীয়-টাত্মীয় নয়।
মজনু: এ্যাঁ বল কি?
চুমকী: জ্বী। আমার বাবার কেমন যেন পরিচিত ছিল। বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। লোকটা যে ভীষন ধান্দাবাজ তা সবাই বুঝতো।
মজনু: তারপর?
চুমকী: আমার যখন বয়স তের। তখন আমার বাবা-মা দুজনেই এক রোড একসিডেন্টে মারা যায়। বেঁচে যাই শুধু আমি।
মজনু: আহারে।
চুমকী: চিটাগাং পোর্টে বাবার বড়-সড় ব্যবসা ছিল। মারা যাবার সময় আমার নামে বিশাল সম্পত্তি রেখে যান। শর্ত একটাই আমার স্বামী ছাড়া কেউ সম্পত্তিতে ভাগ পাবে না।
মজনু: অ্যাঁ তাই নাকি (আনন্দে)! হুম তাই নাকি (গম্ভীর হয়ে)।
চুমকী: তুমিও?
মজনু: আমিও - আমিও কি?
চুমকী: সে যাক্। আমার সে দুঃসময়ে অনেক আত্মীয়-স্বজন গজিয়ে উঠল। কোথা থেকে এই কাকা এসে রাতের আঁধারে আমাকে নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় নিয়ে এলেন।
মজনু: তা তোমার কাকী মা কিন্তু ভালো মানুষ ছিলেন।
চুমকী: ঐ কাকীমাইতো এতদিন আমাকে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু যে দিন উনি গত হন সেদিন থেকেই বুড়ার কথা বার্তা বদলে গেছে। আমি খুব বুঝতে পারছি আমার সম্পত্তিতে ব্যাটার নজর।
মজনু: কি? এত বড় কথা? চাপড়ে ব্যাটার দাঁত আমি খুলে নেব না? (দাঁড়িয়ে উঠতে উঠতে)
চুমকী: হয়েছে হয়েছে। কি করবে জানা আছে। বসো।
মজনু: (বসে পড়ে) আচ্ছা বসলাম। বলছো যখন।
চুমকী: বুড়া মিয়ার নকল দাঁত। চড় মারার দরকার হবে না।
মজনু: এ্যাঁ। তাহলে ব্যাটার চোখ গেলে দেবো যাতে দেখতে না পায়।
চুমকী: উনি তো চোখেও এমনিতে তেমন দেখতে পায় না।
মজনু: তাহলে উপায়? করি কি? তুমিই বল।
চুমকী: আমি যা বলব তা করবে?
মজনু: ওহ চুমকী। তোমার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি।
চুমকী: তাই?
মজনু: তোমার জন্য আমি দড়িতে ঝুলতে পারি। তোমার জন্য আমি একতলা ছাদের উপর থেকে লাফ দিতে পারি। তোমার জন্য, তোমার জন্য আমি ঠ্যালা গাড়ির সামনে লাফ দিতে পারি। তোমার জন্য আমি জীবন বিলিয়ে দিতে পারি।
চুমকী: অত কিছুতো করার দরকার নাই। ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে খোকন সোনা।
মজনু: বল।
চুমকী: খালি একটা চাকুরী যোগাড় কর। বিয়ের পর তোমাকে ঘর জামাই রূপে দেখতে চাই না আমি।
মজনু: (আবার বসে পড়বে) এ্যাঁ চাকুরী?
চুমকী: হ্যাঁ চাকুরী। জীবন দেবার চেয়ে তো সোজা অন্ততঃ। কি বল?
মজনু: চুমকী। তুমিতো জানো চাকুরীর জন্য কম চেষ্টা করিনি। আমার তো মামা-চাচা নেই। চাকরী হবে কেমনে?
চুমকী: আবার সেই মামা-চাচা টাইপের কথা? বেশরম। বল কাজ করতে ভাল লাগে না। বাবার হোটেলে খেয়ে খেয়ে পেটে চর্বি জমেছে।
মজনু: না তা নয়। চুমকী আসলে...
চুমকী: চুপ কর। আমি আর অপেক্ষা করবো না। যাকে পাই সামনে তাকেই বিয়ে করে ফেলব, তবু ঐ বুড়োর গলায় মালা ঝুলাবো না।
মজনু: হ্যাঁ বল কি? আমাকে নয় তো কাকে বিয়ে করবে?
চুমকী: যাকে পাই তাকে। কেন? ধর... হাবলু। হ্যাঁ এরপর হাবলু ব্যাটাকে দেখলেই সোজা কাজীর কাছে নিয়ে যাবো।
[সোফার পেছন থেকে হাবলু দাঁড়িয়ে উঠবে]
হাবলু: আফাজান। আমার একখান কথা আছে। এই বিয়াতে আমার মত নাই।
চুমকী: কি?
হাবলু: জ্বি - আম দিল দে চুকে ছনম। হামারা দিল আপকা পাশ নাহি হাই।
চুমকী: অসভ্য, জানোয়ার। এখানে তুই এতক্ষন লুকিয়ে ছিলি?
হাবলু: জ্বী, জ্বী না আফা, জ্বী না।
মজনু: আমার মনে হয় কি জানো? তোমার কাকার গুপ্তচর ও। ব্যাটা (হাতা গোটাতে গোটাতে) তোর হাড়-হাড্ডি আমি খুলে নেব।
হাবলু: ভাইজান। কসম্ খুদাকি। আমি গুফত্চর না। বিপাকে ফাইসা গেছি আরকি।
চুমকী: সত্যি করে বল কি করছিলি ওখানে?
[দৌড়াতে দৌড়াতে জরিনা ঢুকবে]
জরিনা: আফামনি, আফামনি সর্বনাশ হইছে।
চুমকী: কি হয়েছে রে জরিনা?
জরিনা: বাগানে দেখলাম ইয়া একটা লাশ।
চুমকী: আই খোদা, লাশ্ এখন উপায়?
জরিনা: লাশ না, লাশ না। জিন্দা ব্যাডা।
চুমকী: তা বাগানে কি করে?
জরিনা: আমি ক্যামনে কমু। তয় খারাপ কিসিমের লোক।
চুমকী: তুই এত জানিস কিভাবে?
জরিনা: মনে কয় কোমরের কাছে পিস্তল-মিস্তল কিছু আছে।
চুমকী: কই দেখিতো।
[জরিনা ও চুমকী দুজনেই উঁকি মেরে বাগানের দিকে তাকাবে।]
চুমকী: হায় হায় একি? এতো স্বাধীন বদ্টা। এতদিন শুনেছি জেলে ছিলো। ছাড়া পেয়ে আবার আমার পেছনে লেগেছে।
মজনু: কি এত বড় সাহস? অ্যাঁ জেলে ছিল? মানে মাস্তান?
জরিনা: আফামনি, যদি অভয় দেন তাইলে আমি একটা ব্যাডার লগে কথা কইয়া দেখবার পারি।
চুমকী: তুই কথা বলবি? বলিস কি? কি কথা?
জরিনাআপা আহেন আমরা পাল্টাপাল্টি খেলা খেলি। মাইনে, আমি হমু চুমকী আর আপনে জরিনা।
চুমকীব্যাটা বুঝে যাবে না তো?
জরিনা: মনে হয় না। ব্যাডা সাইজে বড় হইলেও মাথায় মনে কয় ইস্ক্রু ঢিলা।
চুমকী: তুই জানলি কিভাবে?
জরিনা: নাইলে অত বড়-বড় ঝোপ থাকতে লুকাইছে বেলী ফুলের গাছটার পিছনে! পুরা ব্যাডাডারেই দেহা যাইতাছে।
চুমকী: ঠিক আছে তুই যা বুঝিস।
জরিনা: তয় আফা আমার কইলাম বিশটা টাকা দিতে হইবো।
চুমকী: টাকা দিয়ে কি করবি?
জরিনা: একটা ফোস্টার কিনুমগো আফা। শারুক কানের।
হাবলু: (গলা ঝেড়ে) হালা শালুইক্কার বাচ্চা।
চুমকী: ধর এই যে ধর, দুইটা পোস্টার কিনিস। তাও ঐ গুন্ডাটাকে ভাগা। ওরে বাবা, ব্যাটা দেখি বাড়ির দিকেই আসছে।
জরিনা: আফামনি, তাড়তাড়ি ভিতরে যান।
মজনু: আর আমি?
চুমকী: তুমিও আসো তোমাকেই আগে লুকাবো।
[চুমকী ও মজনুর প্রস্থান। হাবলু হকচকিয়ে “ভাগো ভাগো” বলতে বলতে দৌড়ে আবার সোফার পিছনে লুকোবে। জরিনা শাড়ি পেঁচাবে কোমরে। মস্তান স্বাধীনের প্রবেশ।]
স্বাধীন: উ হাঃ উ হাঃ হাঃ হাঃ, উ হাঃ হাঃ হাঃ। খোথায় সবাই। সবাইখে আজ ফুঠা খরিয়া দিব যে। চুমখী খোতাই তুমি? তোমাখে বড়ই মিস খরছি আমি, ফতিদিন।
জরিনা: স্বাধীন
স্বাধীন: এই যে তুমি! ওহ বুঝছি। যাও তোমার আফামনিখে বল যে তার লবার আইমিন চুইট আর্ট আইচ্চে যে।
জরিনা: কানা নাকি? চিন নাই?
স্বাধীন: এ্যাঁ?
জরিনা: সেই তের বছর বয়সে শেষ দেখা। আমি তোমার চুমকী। মনে নাই? কি পায়ান তুমি (ফুপিয়ে)।
স্বাধীন: এ্যাঁ তুমিই চুমখী?
জরিনা: এত দিন কোথায় ছিলে? শুনলাম কোন কেসে নাকি জেলে ...
স্বাধীন: হ্যাঁ টিকই শুনেচো। ব্যবসার খাজে জেলে না - ব্রাজিলে চিলাম আরখি। কাইলই ছাড়া পেয়েছি। দুরও - কালই দেশে পিরেচি।
জরিনা: (পিস্তলের দিকে দেখিয়ে) ছিঃ ছিঃ এইটা কি? তুমি না বলছিলা গুন্ডামি ছাইড়া দিবা?
স্বাধীন: (লজ্জা পেয়ে) উহঃ এইটা আরে এইঠাথো আসল না এথদিন ফর আলাম তাই এখঠু বাব নিলাম আরখি। এইডা সামাইন্য ঠয় চারা কিচু না। একটা পান্ করলাম তোমাদের সাতে।
জরিনা: (কাঁদতে কাঁদতে) স্বাধীন তুমি এতদিন পর আসলা কেন?
স্বাধীন: কেন কি হয়েচে? উমা এখি তুমি কাঁদচো যে?
জরিনা: আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
স্বাধীন: উহ্ চুমখী, এ খি শুনালা? আমি নিজের ফ্রান নিজে নিয়ে নিব আইজ। (মাথায় পিস্তল ঠেকাবে) ইয়া ঢিসিয়া।
জরিনা: হায় হায় আসলেই নকল পিস্তল?
স্বাধীন: দুর্ কেমন বোকামী অয়ে গেল বল দেখি! যাখ্ আমি তোমাখে চারব না চুমকী। আমি তোমার আজবেন্ডকে কুন করে দরখারে আবার জেলে ... দুর্ ব্রাজিলে ফালিয়ে যাবো।
জরিনা: সত্যই?
স্বাধীন: সত্য বলছি সোনা। আমি তুমাখে খি ফরিমান বালবাসি যে ...
জরিনা: তাইলে যাও বাগানে লুকাই থাকগা। ঐ ব্যাটা আইলেই তোমারে দেখাই দিমু। ঠিক আছে?
স্বাধীন: টিক আচে।
জরিনা: তয় এবার একটু বড় ঝোপের পেছনে লুকাইবা কেমন?
স্বাধীন: টিক্ আচে, আর বইলতে হবে না যে।
[স্বাধীনের প্রস্থান। পরপরই জরিনার প্রস্থান। চুমকী আর মজনুর প্রবেশ]
মজনু: (হাতা গোটাতে গোটাতে) কোথায় ব্যাটা কোথায়? হ্যাঁ পালিয়েছে। পালাবেই তো। ব্যাটার এত বড় সাহস আমার চুমকীকে বিয়ে করতে চায়!
চুমকী: হয়েছে হয়েছে।
মজনু: তোমার যত দোষ। এতদিন কেন বল নি যে তোমার পিছনে এক মস্তান লেগে আছে? ব্যাটার এত সাহস চাঁটগা থেকে এখানে এসে মস্তানি।
চুমকী: বললে লাভ?
মজনু: লাভ মানে? আমিও ঢাকার পোলা। আজ তুমি না আটকালে তুমি না আটকালে ...
চুমকী: ব্যাটাকে দেখে নিতে, তাইতো?
মজনু: অবশ্যই। তুমিতো জানো না, আর মাত্র একটা পরীক্ষা দিলেই আমি ক্যারাটিতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়ে যেতাম।
চুমকী: তাই?
মজনু: হ্যাঁ। খালি শেষ পরীক্ষার আগে আমাশয় হয়ে গেল...
চুমকী: আর তা এখন পর্যন্ত সারলো না তাইনা?
মজনু: অ্যাঁ। হ্যাঁ হ্যাঁ তাই (স্বলাজে)
চুমকী: না থাক তোমাকে কিছু করতে হবে না, খোকন সোনা। যাও একটা চাকুরী যোগাড় কর। নইলে ...
মজনু: নইলে কি?
চুমকী: নইলে হাবলু তো আছেই।
হাবলু: (সোফার পেছনে থেকে লাফিয়ে উঠে) অ্যাঁ বাপরে। আমি চইল্লাম। সবকো ছোড়কে।
মজনু: ঐ ব্যাটা, গেলি?
[হাবলু দৌড়ে পালাবে]
মজনু: ঠিক আচে, ঐ ব্যাটা মস্তানকেও যখন ঠ্যাঙ্গতে দিলে না আমি যাচ্ছি। যখন ফিরবো তখন তোমার মুখের ওপর তিন চারটা চাকুরীর অফার লেটার ছুঁড়ে দেব।
চুমকী: হ্যাঁ এইতো চাই।
[মজনুর রেগে মেগে প্রস্থান]
চুমকী: জরিনা, জরিনা এদিকে আয়। শলা পরামর্ষ আছে।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন