মেঘের আড়ালে চলে গেলে চাঁদ
জীবনের এই বিফলতাগুলো
বুকের বেদনা, টুকরো দুঃখ
সব লাগে বিস্বাদ।
বইয়ের কালো মলাটের মতো
রাতের আকাশে, প্রম্পটারের
মতো করে চাঁদ আড়ালেই থেকে
পড়ে চলে জীবন।
হাহাকার শুনে সত্যি অর্থহীন
মনে হয় সব। সিদ্ধার্থের
মতো যদি চলে যাওয়া যেত
কোথায় - অনিকেত।
তবু আদি সত্য এই যে-
অর্থহীন হয়ে পড়ে সব-
সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী,
রবিগুরুর মত নিশছিদ্র সংসারী
কিংবা অ্যালেনের মতো বোহেমিয়ান হওয়া;
যখন পুরোনো দুঃখের তোড়ে ভেসে যায়
কবিতার লাইন, ছত্র, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন
ভেসে যায় ছন্দ, পয়ার কিংবা মুক্তক।
তখন থাকে শুধু
প্রিয় লেখকের খটখটে অজল গদ্য
যার পদবিহীন দেহ আজ
মাটির শরীরে বৃষ্টির ঘ্রান শোঁকে
১৮ ই অগাস্ট ১৯৯৭
পরবর্তীতে একটা গান করা হয়েছিল এটাকে নিয়ে।
(খুব মন খারাপের কোন এক রাতে লেখা। এই "প্রিয় লেখক" ছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।)
মন্তব্য
তখন থাকে শুধু
প্রিয় লেখকের খটখটে অজল গদ্য
যার পদবিহীন দেহ আজ
মাটির শরীরে বৃষ্টির ঘ্রান শোঁকে
..প্রিয় লেখক স্মরণে শেষ প্যারাটা চমৎকার।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
প্রথমদিকে ভালো লাগেনি।
শেষের দিকে সুন্দর
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হুমম। প্রথম অংশটা একটা ফর্মে তৈরী করা। তখন এইসব আবঝাব কিছু পড়তাম। শেষমেষ দ্বিতীয় অংশে এসে সেই ফর্ম ভাঙ্গার চেষ্টা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তখন থাকে শুধু
প্রিয় লেখকের খটখটে অজল গদ্য
যার পদবিহীন দেহ আজ
মাটির শরীরে বৃষ্টির ঘ্রান শোঁকে
------- এ মাটিতে নত হই
মিলনের বিনীত বিভায়।।
=== ফকির ইলিয়াস
আমার আমলনামায় স্বাক্ষর দিতে পাঠিয়েছি
শয়তানের কাছে, তার সন্তুস্টিই নির্ধারিত হবে
আমার কামনার যত ক্ষুধা। আমার আসনে বিকিয়েছি
আমার যত সততা, বেশ্যা বানিয়েছি নীতিকে,
ধর্ষন করেছি স্বপ্নীল চেতনা। আমার নিয়ত দৃস্টি
খোজে নিত্য সততার মূর্তি- এরা বড় একা, বিষন্ন,
এটাই আমার দুর্বলতার চাবি। আমি আজ দক্ষ
শোষনে, পেষনে, শাসনে শুধু দরকার শয়তানের চিতকার।
তার স্বীকৃতি আজ বড়ই প্রয়োজন আমার!
মানুষ মারা যায় কিন্তু তার আত্নাটা নশ্বর। ধরা যাক সে অমর হলো!
বিনীত
রনি রক!
নতুন মন্তব্য করুন