শিখ ছেলে গাগান অনেক ভোরে উঠে। তার প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে গোসল করতে হয়, পাঠ করতে হয়। তাই সকাল ৬ টায় সে উঠে পড়েছে। তারপর আমাদের একে একে তুলে দিয়েছে। প্রথম প্ল্যান হচ্ছে ওয়াটার রাফটিং নামে একটা এক্টিভিটিতে অশংগ্রহন করা।
যেহেতু ভিজতে হবে তাই শর্টস আর একটা টিশার্ট পরে নিলাম আমরা ছেলেরা। মেয়েরা জিনস আর টিশার্ট বা ফতুয়া পরে নিল। এই হোটেলটা সেদিনই ছাড়তে হবে, তাই বাক্স-পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
ওয়াটার রাফটিং (ছবি ৫) হলো বাতাসে ফোলানো একটা নৌকার মত জিনিস নিয়ে খরস্রোতা নদী ভ্রমন। অনেক রকম ভ্রমন আছে আমরা সবচেয়ে নিরাপদ আর মোটামুটি কম সময় লাগবে এমন একটা ভ্রমন স্প্ল্যাশ এন্ড ড্যাশ বাছাই করেছিলাম ইন্টারনেট থেকে। সকাল সাড়ে নটার দিকে সেখানটায় পৌছালাম আমরা।
যাবার পর আমাদের দিয়েছে একটা ফরম পূরণ করতে। সবাই সাইন করছে চোখ বন্ধ করে। আমি খালি প্রথম লাইনটা পড়লাম, "আপনার অসুস্থতা বা মৃত্যুর জন্য আমরা দায়ী নই" এই দিয়ে শুরু। আমি খালি একবার জোরে আওড়ালাম কথাটা। গাগান বলে, "নেহী পাড়নেকা, সাইন কারনেকা ফাটাফাট"। কিন্তু আমার নার্ভাস বউ পড়লো টেনশনে - "সুমন কিছু হবে নাতো?" আমার যে খানিকটা টেনশন লাগছিল না তা নয়, তবু ভেটকী মের বললাম, "কি আর হবে! সাইন করে ফেলো।"
পানিতে ভিজে যাবো ভেবে ঘড়ি, ক্যামেরা, মানিব্যাগ, চশমা, সব গাড়িতে রেখে দিলাম। এর মাঝে কয়েকজন লোক এসে একটা বাসের পিছনে বাতাসে ফোলানো বোট, বৈঠা, এগুলো তোলা শুরু করল। সবগুলার রোদে পোড়া তামাটে চেহারা। এর মাঝে একটা মেয়েকেও দেখা গেল। গাগান বলে উঠল, "দেখ মেয়েটা কি খাচ্চর। গোসল টোসল করে না নাকি!" আসলেও মেয়েটার চুল টুল জট পাকিয়ে, রোদে পুড়ে অবস্থা খারাপ। গাগান বলেই বসল এই মেয়ে গেলে সেই নৌকায় সে বসবে না। আমি আর অমিত প্ল্যান করলাম গাগানকে ওই নৌকাতেই চড়াব। এর মাঝে আমরা দমবন্ধ করা লাইফ জ্যাকেট আর হেলমেট পরে নিলাম।
বাসে চড়ে যেতে হবে মাইল বিশেক। তারপর নৌকায় চড়ে যাত্রা করতে হবে। রাস্তা দিয়ে যাবার সময় প্রথমবারের মতো কলারাডোর সৌন্দর্য্য উপভোগ করছিলাম। দেখতে খানিকটা অ্যারিজোনার মতো, কিন্তু অ্যারিজোনার সবুজের অভাব মিটিয়ে দিয়েছে প্রকৃতি এখানে। ঠিক যতটুকু হলে পাহাড়গুলো স্বর্গউদ্যান হয়ে উঠে ঠিক ততটাই বিদ্যমান।
বাসে যেতে যেতে একজন এসে সেইফটি ইন্সট্রাকশন দিল। 'পানিতে পড়লে স্রোতের দিকে পা দিবেন যাতে পাথর মাথায় না লাগে', 'নৌকা পাশ থেকে পাথরের দিকে লাগলে নৌকা উল্টে বা ভাজ হয়ে পাথরে জড়িয়ে যেতে পারে তখন সবাই পাথরের দিকে চলে যাবেন', 'নৌকার তলায় চলে গেলে হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন' - এইরকম আরো কিছু। শুনে আমাদের জান উড়ে যাবার জোগাড়! মৌটুসী বলল, "সুমন চল বাদ দিই, কিহবে?" আমি একটু অভয় দিলাম।
নৌকায় যখন উঠার সময় হয়েছে তখন আমরা সেইফটি ইন্সট্রাকশনগুলো আলোচনা করছি নিজেদের মধ্যে। তাই যখন একজন এসে বলল আপনারা আলাদা আলাদা ৪ জনের দুটো গ্রুপে উঠবেন তখন খেয়ালই করিনি যে সেই জটাধারী মেয়েটার নৌকায়ই উঠে পড়েছি আমরা। আমার বউ একটু চোখ রাঙ্গানী দিল, আমি ইশারায় আশ্বস্ত করলাম যে এই জংলীকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
মেয়েটা পরিচয় দিলো, নাম অ্যাশলে, ইলিনয়ে জন্ম। সে আমাদের দেখিয়ে দিলো পা খাঁজে ঢুকিয়ে কিভাবে বসতে হবে যাতে পুরো শরীর বাঁকা করে পানিতে পড়লেও উঠে ফিরে আসা যায়, কিভাবে শরীর ঝুকে বৈঠা মারতে হয়, কিভাবে ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী বৈঠা মারতে হবে এইসব। তারপর শুরু হল চলা।
অ্যাশলী মেয়েটা টুকটাক গল্প করতে করতে আরকানসা (Arkansas) নদীর মাঝ দিয়ে নৌকা চালাতে লাগল আর মাঝে মাঝে একদম সামনে বসা আমি আর শ্রীকান্তকে বৈঠা মারতে বলল। এভাবে যেতে যেতে আমরা একটা বিরাট ঘূর্ণির মাঝে এসে পড়লাম। পানির তোড়ের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়ে বৈঠা মেরে আগিয়ে যাওয়া যে কি মজার তা কিভাবে বোঝাই! আনন্দে মেয়েদের মত অ্যা, অ্যা করে চিৎকার করে যাচ্ছি - শুনে দেখি জংলী অ্যাশলী হাসে। বলে, "ওয়াজ ইট ফান গায়েজ?"। আমরা বলি, "হেল ইয়া"। তখন সে জানায় আজকের যাত্রায় আমরা এরকম কয়েকটা লেভেল ত্রি আর টু মাত্রার জলঘুর্ণী পাব। আরো বেশী পয়সার জার্নিগুলোতে লেভেল পাঁচ পর্যন্ত ঘূর্ণী পাওয়া যেত। তখন খানিকটা আফসোসই করলাম আমি।
প্রতিটা জলঘূর্ণী দিয়ে যাবার সময় অ্যাশলী সেগুলোর নামগুলো জানিয়ে দিলো আমাদের। একটার নাম রিপ-র্যাফ - এখানে নদীর পাড়ে কোন এক কালে করা রেল লাইনের লোহার শিক বেরিয়ে আছে, খোঁচা খেলে নৌকা শেষ। আরেকটার মধ্যে দিয়ে যাবার সময় নৌকাটাকে ঘুরাতে ঘুরাতে যেতে হয়, নইলে পাথরে লেগে উল্টে যেতে পারে। এরকম আরো কয়েকটা ঘূর্ণী আর মাঝখানে যাত্রা বিরতি দিয়ে আমরা এমন এক জায়গায় পৌছালাম যেখান নদী মোটামুটি শান্ত।
অ্যাশলী মৌটুসী আর সোয়েতাকে জিজ্ঞেস করল তারা বৈঠা চালাবে কিনা। এর মাঝে তাদের খানিকটা সাহস এসেছে তাই বেশ কসরত করে জায়গা বদল করল তারা। মাঝে গাগানদের নৌকার সাথে পানি ছিটাছিটি চলল আমাদের কয়েকবার।
কিছুদুর গিয়ে দেখি গাগানদের নৌকা থেকে তারা চারজন চারদিকে বস্তার মতন ঝুলে পানিতে নেমেছে। তাই দেখে অ্যাশলী আমাদের জিজ্ঞেস করল আমরা অমনটা করতে চাই কিনা? আমি তো একপায়ে খাড়া, ভাবলাম এ আর এমন কি? তো দড়ি ধরে নৌকার গা বেয়ে নেমে পড়লাম নদীতে। বাকিরাও পটাপট নেমে পড়ল।
নেমেই বুঝতে পারলাম কি সাংঘাতিক ভুল করেছি। নৌকাতো স্রোতের সাথে আগিয়ে যাচ্ছে, সেইসাথে আগাচ্ছে লাইফজ্যাকেট পরা দেহ। কিন্তু তুলনামূলকভাবে ভারী পা পট করে চলে যাচ্ছে নৌকার তলায় সেই সাথে টানছে পুরো দেহটাকে। শক্ত করে ধরে রাখলাম যাতে পট করে নৌকার তলায় না চলে যাই। তারপর পা নেড়ে উঠে আসার চেষ্টা করলাম আমি - অসম্ভব। পানিতে তো আর পা ঠেকানোর কিছু নেই যে উঠে পড়ব নৌকায় আবার। খানিকটা আতঙ্ক ভর করল আমার মনে।
বেশীক্ষণ পার হয়নি, অ্যাশলী এসে আমার লাইফ জ্যাকেট ধরে আমাকে পানিতে ঠেলেই আবার হ্যাঁচকা টানে তুলে ফেলল। আমি হাঁচড়ে পাঁচড়ে নৌকার বসার জায়গাটা ধরে উঠে পড়লাম। এরপর একে একে সে শ্রীকান্তকে আর মৌটুসীকে তুলে ফেলল।
এর মধ্যে বেশ খানিকটা সময় চলে গেছে। সোয়েতা মেয়েটা এমনিতেই বেশ ভারী। তারউপর স্রোতের টানে বেশ খানিকক্ষন ধরেই সে নিজেকে ভাসিয়ে রাখতে কসরত করছিল। সে অ্যাশলীকে ডাকছিল তুলে নেয়ার জন্য। কিন্তু অ্যাশলী ঠিক যেই অর্ডারে পানিতে নামিয়েছে সেই অর্ডারে সবাইকে তুলছিল তাই সোয়েতাকে তুলতে গেছে সবার পরে। ততক্ষনে সোয়েতা ভয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে। তোলার সময় সে কোনা সাহায্যই করছিল না। আর ভীষণ ভারি বলে পুরো দেহটা টেনে তুলতে পারছে না অ্যাশলী। দু-তিনবার চেষ্টার পরও যখন তুলতে পারেনি তখন ভীত অ্যাশলীকে সাহায্য করতে গেল শ্রীকান্ত। দুজনে মিলে টেনে তুলল সোয়েতাকে।
ততক্ষণে পানি টানি খেয়ে সোয়েতা ভয়ে কাঁপছে। ভয়ে কোন কথা বেরুচ্ছে না। শেষে বলে, "দ্যাট ওয়াজ আ ন্যারো স্কেইপ ফ্রম ডেথ!" আমরা একটু ভয়ই পেয়ে গেলাম।
আর কেউ কোন কথা না বলে খানিক পরেই পৌছে গেলাম গন্তব্যে। পৌঁছে সবার সাথে উ-আ করে এই গল্প করতে লাগলাম আমরা। শেষে ডেঁরায় ফিরে, পেটে চোঁচোঁ খিদা নিয়ে কাপড় বদলে ফিরে চললাম ক্যানিয়ন শহরে দুপুরের খাবারের সন্ধানে।
(চলবে...)
মন্তব্য
থাকিতে চরণ মরণে কী ভয়?
হাঁটুপানির জলদস্যু
চরণ তো কামে লাগতেছিল না পানিতে! কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুব টেকনিক্যাল ভ্রমণ হয়েছে এটা।
ওয়াটার রাফটিং বিষয়ে আগ্রহ জন্মাবে অনেকের।
তবে ব্রিটেনে ওয়াটার রাফটিং খুব জনপ্রিয়।
জুলাই ৭ এর আত্মঘাতি বোমাবাজরা শেষবার গিয়েছিল ওয়াটার রাফটিং-এ।
আমাদের দেশে অবশ্য ভেলায় করে বন্যার সময় ধানক্ষেত ধরে ঘুরে বেড়ানোর মজা আলাদা। একদিন বাংলাদেশেও নিশ্চয়ই ভেলা রাইড চালু হবে। (রাফটিং বোধহয় কোথাও কোথাও আছে। )
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অ্যারিজোনা-ইউটাহ-কলোরাডো... এই তিনটা স্টেটে যাওয়ার অনেক শখ আমার। চিরাচরিত অভিশাপে আটকা। ছাত্রজীবনে সময় আছে, টাকা নেই। ওপারে গেলে টাকা থাকবে, সময় হবে না। মিসিসিপির ওকাটোমা রিভারে যাওয়ার প্ল্যান আছে সাউথ ছাড়ার আগে। আপনি আছেন আর কতদিন অ্যারিজোনায়?
ইশতিয়াক, দরকার পড়লে টাকা ধার করে, ভিক্ষা করে ভ্রমণে বাইর হইয়া পড়েন। এমন সময় আর জীবনেও আসবে না। আমি মাস্টার্স স্টুডেন্ট থাকার সময় খেয়ে না খেয়ে যা বেড়ানো বেড়াইসি। প্লেনের পয়সা ছিল না, ড্রাইভ কইরা গেসি অস্টিন থেকে কি ওয়েস্ট, শিকাগো আর ক্যালিফোর্নিয়া। অবশ্য রোড ট্রিপের আকর্ষণটাও ছিল।ইউটাহ আর অ্যরিজোনা এক ট্রিপে মারতে হবে আর কলোরাডোর জন্য অন্য একটা।
____ ____________________
suspended animation...
অস্টিন থেকে কি ওয়েস্ট? শিকাগো? ক্যালিফোর্নিয়া? ওয়াও!!
রোডট্রিপের জন্য সঙ্গী লাগে। প্রথম দু'বছর অনেকে ছিল, ঘোরা হত। শেষ দু'বছর একা একদম। অরিগন ছাড়া আমার সাউথওয়েস্ট/প্যাসিফিক কোস্ট ঘোরা হয় নাই। ওদিকে নর্থইস্টও বাদ। তবে সাউথ আর মিডওয়েস্ট চষা হয়ে গেছে। হয়ে যাবে বাকি সব, ইনশাল্লাহ। শিকাগো-মিলওয়াকি-ক্লিভল্যান্ড যাবো আগামী মাসে।
রাখে আল্লাহ, মারে তেল!
বললে খারাপ শোনায়। কিন্তু দেশে বন্যার সময় অন্যরকম একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ফুটে উঠৈ। ৯৮এর বন্যায় আমি প্রথমবার ইন্ডিয়া থেকে ফেরার পথে নৌকা করে দৌলতদিয়া ঘাট হতে সাভারের হেমায়েতপুর পর্যন্ত এসেছিলাম। কঠিন ভয়ের আর মজার জার্নি ছিল। তখন মনে হয়েছিল বন্যার সময় ফরেনারদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নৌবিহারের আয়োজন করা উচিত। তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করবে আর বানভাসা মানুষদের জন্য আহা উহু করবে। অনেক পয়সা পাওয়া যাবে আর তা দিয়ে ত্রাণ দেয়া হবে। কিন্তু যখন একবার স্রোতের টানে নৌকা উল্টে যেতে লাগল তখন সব আইডিয়া আইডিয়া ভেসে গেছে।
মুর্শেদ @ সুন্দর লেখা।
শীতের শুরুতে উত্তরপূর্বাঞ্চলে হাওরে নৌকাভ্রমণের কোন তুলনা হয় না। টাঙ্গুয়ার হাওরে তিন দিনের নৌবিহারে গিয়েছিলাম, নৌকাতেই থাকা খাওয়া। চারপাশে অদ্ভূত নীল পানি, নীল আকাশ, আর সামনে দূরে মেঘালয়ের গম্ভীর পাহাড়ের সারি। আহ, কী সব দিন চলে গেছে!
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ,ডিসেম্বরে দেশে আসুম। একখান ব্যবস্থা করন যায় না ভাইডু ???
______ ____________________
suspended animation...
এখন ঐ এলাকায় পরিস্থিতি কেমন জানিনা। আমরা তো ভারতের মাটিতেও নেমেছিলাম। বিএসএফের জওয়ান ছাতার নিচে বসে ঝিমাচ্ছিলো। এখন মনে হয় গুলিফুলি করতে পারে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দেখিস তবুও যদি সম্ভব হয়। ভারতে আপাতত নামার কোন কারণ নাই।
______ ____________________
suspended animation...
ডিসেম্বরে তো আমার যাওয়া হবে না! পরেরবার গেলে হিমুরে পাকড়াও করে যাইতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরে মিয়া চল। কি আছে দুনিয়ায় !!!
_______ ____________________
suspended animation...
কি আছে দুনিয়ায়?
খ্যাতা আর বালিশ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পড়েই তো যাইতে ইচ্ছা করছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ জনগন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কলোরাডো আমারও যাওয়া হয়নি, যাওয়া দরকার আসলে। রাফটিং আমাদের এখানেও খুব জনপ্রিয় গরমের সময়গুলোতে। আমি অবশ্য সাতার জানি না বলে কখনো করি নি।
আপনি কোন স্টেটে যেন বস?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আম্মো কখনো রাফটিং করিনি। তবে খুব সি কায়াকিং করতে চাই। কোথায় ট্রেনিং হয়, কি কি লাগে সব রেডি। কাহলি বউ সাহস পায় না।
_______ ____________________
suspended animation...
ডেইলী একবার করে বলবা। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজি হবে - গ্যারান্টী।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খালি সময় আর সুযোগের অপেক্ষায়।
_______ ____________________
suspended animation...
কায়াকিং করছি কয়েকবার, সাতার না জেনেও। আমাদের এখানে একজন একবার আমার সামনেই কায়াক উল্টে হাবুডুবু খেয়েছে। আমার বৌ সাতার জানে, তার সাথে চুক্তি আছে কায়াক উল্টালে বাচাবে।
সাতার জানেন না ?? কি মজা যে মিস করছেন এটা বুঝলে চুল ছিড়বেন।
_______ ____________________
suspended animation...
সিরুম মজা করছেন!
ক্যানুইং, কায়্যাকিং করেছি কয়েকবার। লাস্টবার কায়্যাকিং করলাম লেক ওন্টারিওতে, সে এক অভিজ্ঞতা। আসল রাফটিং করা হয়নি (নকলটা করেছি ওয়াটার পার্কে)। ইচ্ছা আছে।
ডিসেম্বরে তো ঢাকা কাপায়া দিবো... আমিও যাচ্ছি দেশে!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
সবাই মিলা ঢাকা গেলে কইলাম আমি চিক্কুর দিয়া কান্দুম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরে মিয়া চলে আসেন
দুই দিনের দুনিয়া
আজকে আছেন কালকে নাই
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
হাসান মোরশেদের নানা বাড়িতে একবার গেছিলাম। আমার যদি সেইরম লেখার ক্ষমতা থাকতো তাইলে পইড়া অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যেত! তীরে নৌকা ভেড়ার পর, মাঝি আর আমার মত দুই বালক সাথে খালাম্মা ( মোরশেদের নানি) ছাড়া বাকি সবাই অন্য দুনিয়ায় ছিল! আল্লাহ গেলামগো বলে সবাই অজ্ঞান
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরে মিয়া কইয়া ফালান। ঐযে দেখেন না, উপরে লেখা আছে, "চিত্ত যেথা...."
_______ ____________________
suspended animation...
কঠিন অভিজ্ঞতা! আমার তো শুনেই চোখ চকচক করে উঠলো!
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ডিসেম্বরঅলারা বুড়িগঙ্গায় ড়্যাফটিং করে দেখতে পারো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
বুড়িগঙ্গায় রাফটিং!?? মরার জন্য?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হ, আর ধানমন্ডি লেকে কায়াকিং। তয় একখান ট্রিপের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। সদরঘাট থেকে কলাকোপা নৌকায় করে।(৭১ এর যীশু ছবির গির্জাটা যেখানে আছে, বাইকে করে একবার গেছিলাম, সুন্দর জায়গা)
______ ____________________
suspended animation...
মজা লাগলো!
নতুন মন্তব্য করুন