(ডিসক্লেইমার: খারাপ পরিস্থিতিতে অনেকেই যান। আমিও যাচ্ছি। জানি একদিন সব ঠিকও হয়ে যাবে। কিন্তু এই লেখাটা আমার অস্থির মনের একটা ছবি হয়ে থাকুক। ভবিষ্যতে হয়ত আরেকজন অস্থির মানুষকে একটু শান্তি দিবে। আপনাদের কাছে ঘ্যানঘ্যান মনে হলে একান্ত দুঃখিত।)
মার্স্টাসের শুরু থেকেই গ্যাঞ্জাম। ঢুকেই দেখি আমার প্রফেসরের সাথের তৎকালীন ছাত্ররা কান্না কাটি করতেছে। তাদের পালাও পালাও রব শুনে কত চেষ্টা করলাম পালানোর!
প্রথম সেমিস্টারের পর ডিপার্টমেন্টে গিয়ে আলাপ করলাম। বলে আমার প্রফেসর যাকে একবার ছুঁয়ে ফেলবে তাকে ডিপার্টমেন্টের কেউ আর নিবে না।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চলে যাবো ভাবলাম। গিয়ে কথা বললাম, ডিপার্টমেন্টের অবস্থা খারাপ বলে কোন ফান্ডিং দিতে পারবে না।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চলে যাবো ভাবলাম। বলল দুই সেমিস্টারে প্রায় ৩০ ক্রেডিট করতে হবে আন্ডারগ্রাজুয়েট কম্প্যাটিবিলিটি রক্ষা করতে। তারপর আরো দুইবছর মার্স্টাস। ফান্ডিং তো আরো পরের ব্যাপার।
আমার বউও মাস্টার্স করতে আসবে তখন। যা ইচ্ছা তাই করতে পারবনা। সেই ভেবে এই প্রফেসরের সাথে থেকে গেলাম।
মা বললেন, "আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন।"
তিন বছর ধরে প্রফেসর যা বলে তাই করি। গাধার মত খাটছি। কোথা থেকে দিনগুলো পার হয়ে যায় টের পাই না। তারপরও প্রফেসর বলে, আমি তার দেখা সবচেয়ে খারাপ ছাত্র। তাও চুপচাপ মেনে নেই।
বন্ধু বলে, "আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন। তোমার জন্য নিশ্চয়ই আছে মঙ্গলময় ভবিষ্যত।"
কোন রকম ঠেলে গুঁতিয়ে ডিফেন্স করতে চাইলাম। প্রফেসর ৪বার তারিখ বদলালো। শেষ মেষ যখন ডিফেন্স করলাম, ইউনিভার্সিটি থেকে লাল-ফাইল জনিত এক কারনে বলল আমার ডিফেন্স একসেপ্ট করবে না। অবশ্য বুঝতে পারলাম প্রফেসর ৪বার তারিখ বদলানোতেই তারা খেপেছে। কিন্তু আমাকে গুনতে হল মাশুল। আবার ডিফেন্স করলাম।
শ্বাশুড়ী আম্মা বললেন, "বাবা, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন।"
এর মাঝে এক বাসায় গিয়েছি। পার্কিংয়ে রাখা গাড়িটা গুঁতো মেরে কে বা কারা সাড়ে সর্বনাশ করে গেছে।
বাবা বললেন, "বাবা চিন্তা করিস না, আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন"
চাকরীর ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছি গত কয়েক মাস ধরে। ইন্টেলে দুইটা ফোন ইন্টারভিউ, চারজনের সাথে একটা অন-সাইট ইন্টারভিউ দেবার পর জানালো, "তোমার ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাচ করে না"!
অটোডেস্কে চারটা ফোন ইন্টারভিউ, ছয় জনের সাথে অন-সাইট ইন্টারভিউ শেষে বলল, "তোমাকে আমরা নেব"। একমাস ধরে অফার লেটার না দিয়ে, শেষে এসে বলে, "অর্থনৈতিক অবনতির কারনে চাকুরীপ্রদান স্থগিত করা হয়েছে"।
আমার স্ত্রী বলে, "সুমন চিন্তা করোনা, আল্লাহ যা কিছু করে ভালোর জন্যই করে।"
আমি বলি, "হ্যাঁ ঠিক! যতই োয়ামারা খেয়ে যাও, দয়াময় আল্লাহ ছাড়া গতি নাই। তিনি পরম দয়ালু ও দয়াময়। তার দয়ার সাগরে ভাসতে ভাসতে আমি োয়ামারা খেতে থাকি। কেননা তিনি যা করেন ভালর জন্যই করেন!!!"
মন্তব্য
কিভাবে কখন কোথায় কী সহায়তা করতে পারি জানিও।
হাঁটুপানির জলদস্যু
চিন্তা কইরো না। আমি প্রায় সব ঠিক করে এনেছি। খালি গতকাল, গতমাসে কনফার্ম হয়ে যাওয়া চাকরীটা থেকে জানাল যে "অর্থনৈতিক মন্দার কারনে এখন কিছু বলতে পারবে না"। তাই একটু রাগ ঝাড়লাম আরকি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কোন ব্যপার না, এই দিন দিন না, ভালো দিন আসবে। কিছু সময় এমন যায় ই, কিছু মানুষ আমাদের মতো দুর্ভাগ্য নিয়ে ই সময় পার করে।এখন আমি তো বিশ্বাস করতে ই শুরু করে দিয়েছি, কখন ও স হজ স্বাভাবিক ভাবে কিছু হবে না, যুদ্ধ করে যেতে হবে, ওনার মর্জি হলে সুফল পাব, নইলে ,,,,,,
ভালো দিন আসে, এবং আসবে।
চিন্তা নাই জনাব; এসবই ভালো কিছুর লক্ষণ। আশা করি আপনি যথাসময়ে যথাস্থানে পৌঁছে যাবেন। আমেরিকাতে হওয়া চাকুরিও অনেকেরই হয়না। নেম চেক, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক ইত্যাকার নানা ঝামেলায় মানুষ হোচট খায়। তবে একসময় আবার ভালো ভালো অফার আসতে থাকে। একটা কথা শুনেছিলাম-- দয়াময় যাকে বেশী পছন্দ করেন তাকেই বেশী পরীক্ষার মধ্যে ফেলেন। আপনিও হয়তো সেই ক্যাটাগরিতে পড়েছেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ফল পেয়ে যাবেন, ইনশাল্লাহ।
আল্লাহ যা কিছু করে ভালোর জন্যই করে টাইপের আপ্তবাক্যগুলো এবং বেশ কিছু অচল প্রবাদবাক্য শুনলে আমার গাত্রদাহ হয় রীতিমতো। এসবে আশ্রয় বা সান্ত্বনা খোঁজে দুর্বলচিত্তরা। আপনি এই গোত্রে পড়েন না - এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ঠিক।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
...এরকম পরিস্থিতিতে নিজের ধৈর্য এবং চেষ্টাই আসল, কোনো তত্ত্বকথায় কাজ হয় না। আশা করি পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কিছুতে কি কিছু আটকায় ? সব ঠিক হয়ে যাবে ।
পুনশ্চঃ কথাটা নিজেরেও শুনালাম । কারন আমার অবস্থা আপনার মতোই । আপনি তাও ইউএসএ থাকেন । আমারে জার্মানি পারলে এখনি ঘাড় ধরে বের করে দেয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার কাহিনী ঝেড়ে ফেলেন। শুনি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
...আমিও আশা করছি আপনি পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন। রাগটা মনের মধ্যে না রেখে ঝেড়ে ভালো করেছেন। শুভ কামনা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যখন মনে হবে যে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে, কোথাও কোনো আশা নেই - তখনো কোনোভাবে কোনো একটা উপায় হয়ে যায়। কীভাবে হয় জানি না, তবে হয়। জীবনে অনেকবার এই ধরনের চরম সংকটের মধ্যে পড়েছি। টিকে আছি এখনো এবং খুব খারাপও নেই।
হাসিবের মতো করে বলি, কোনোকিছুতেই কিছু আটকায় না। আটকাবে না। সময়ের ব্যাপার আর কি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
আজকের সিচুয়েশনটা ২০০৩ সালের একদম ফটোকপি। ফরেন স্টুডেন্টদের অনেক কষ্ট হবে। তুমি তো তাও কপাল ভালো টেকনিক্যাল লাইনে আছো, তোমার জব হওয়া অন্যান্য ফিল্ডের থেকে সহজ হওয়া উচিত। ঐসব লাইনের পোলাপানদের যে কি হবে সেইটাই চিন্তা করি...
আরেকটা জিনিস বলে রাখি - আমি জানি না তোমার মুভ করার কোন প্ল্যান আছে কি না - কিন্তু পৃথিবীর দুটা জায়গায় চাকুরির বাজার এই মুহুর্তে অত্যন্ত রমরমা - অস্ট্রেলিয়া, আর মিডেল ঈস্ট - লোক খুঁজে পাইতেছে না, এমন অবস্থা।
গুড লাক। তুমি কি তাইলে ফিনিক্সেই আছো অন্তত এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আরো কিছু ইন্টারভিউ চলছে। দেখা যাক কতদুর কি হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এক কমার্শিয়াল সিনেমাওয়ালা একবার আমার পরীক্ষা নিয়েছিল
বলেছিল- ওইসব অন্ধকার আর্ট ফিলিম না। একটা কমাশির্য়াল ফিলিমের সিন লেখেন তো
আমি একটা রেপ সিন লিখলাম
রেপ করার পরে যখন নায়িকা কাঁদছে তখন ভিলেনের সংলাপটা ছিল-
..........
এই সংলাপটার কোনো কপিরাইট নেই
যার যেখানে দরকার ব্যবহার করতে পারেন বিনা পয়সায়
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- লীলেন ভাইয়ের কথায় হাসুম না কান্দুম,
দোটানায় পইড়া গেলাম
টেনশন কৈরো না মা. মু.। লও নাইলে বাইত ফিরা যাইগা। এইসব চুলের দেশরে ুটকিও মারি না!
লও, যাইবা?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চলেন।
ভাল্লাগেনা এইসব।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- গাট্টি বান্ধেন সৌরভ, যামুগা।
রেডি-- ওয়ান-- টু-- থ্রী---
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চল যাই গা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
... ...
হুমম....
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
যেকোন চিপাতেই বাইর হওয়ার কোন না কোন সাবচিপা থাকে....প্রশ্নটা সময়মতো চোখে পড়া না পড়ার...চিপাত্তীর্ণ হওয়া সুমায়ের ব্যাফার মাত্র....
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আপনাকে বিপ্লব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হাহ হা।
বদ্দার কমেন্টে বিপ্লব।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমেরিকায় ''গ্রাড স্টুডেন্ট'' নামে একটা শ্রেনীই কয়েনেজ হয়েছে এ কারণে।
এই দূর্দশার শেষ আছে নিশ্চয়ই কিন্তু অনেক পেইনের পর। আমারও আসবে সামনে এই দিন। কিপ আপ মোর্শেদ।
হুমম গ্র্যাড স্টুডেন্ট ক্লাসের দারিদ্র পীড়িত জনতা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আগুনের দিন শেষ হবে একদিন...
মানুষের শক্তি এত বেশি যে খারাপ সময়গুলো বেশিদিন টিকতে পারে না।
আপনি ভালো থাকবেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন