সচলায়তনে পাঠকপ্রিয়তা: কেম্নে কি?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৪/২০০৮ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে দুটো ব্লকে পাঠকপ্রিয় লেখা এবং পাঠকপ্রিয় লেখকের তালিকা যুক্ত হয়েছে। এটা কিভাবে কাজ করে সেটা আপনাদের জানানো দরকার মনে করছি।

পাঠকের পছন্দ ২৪ঘন্টায়
একটি লেখায় তিনটি বা তার বেশী রেটিং পেলে তাকে গ্রহনযোগ্য রেটিং ধরা হয়। গত চব্বিশ ঘন্টায় গ্রহনযোগ্য রেটিং প্রাপ্ত লেখাগুলোকে গড় রেটিংয়ের ভিত্তিতে সর্ট করে প্রথম ৫টি লেখাকে প্রদর্শন করা হয়।

পাঠকপ্রিয় লেখক (পাক্ষিক)
আগের মত তিনটি বা তার বেশী রেটিং পেলে কোন লেখাকে গ্রহনযোগ্য ধরা হয়। পনের দিনের মধ্যে একটি লেখকের প্রকাশিত লেখার মধ্যে শুধুমাত্র গ্রহনযোগ্য রেটিং প্রাপ্ত লেখাগুলির রেটিংয়ের গড়ের ভিত্তিতে সর্ট করে প্রদর্শন করা হয়।

উদাহরন স্বরূপ: বিপ্লব রহমান গত পনের দিনে ৫টি লেখা লিখেছেন।
১। বউখুদ (৩ ভোট)
২। স্বপ্নায়তন: দ্রোহীর বস্রহরণ পর্ব (৩ ভোট)
৩। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি যেভাবে রেডিওতে প্রচারিত হলো... (৩ ভোট)
৪। আজম খানের মুক্তিযুদ্ধ (২ ভোট)
৫। কী বলার কথা, কী বলছি, কী শোনার কথা, কী শুনছি!... (০ ভোট)

সুতরাং গ্রহন যোগ্য লেখা প্রথম তিনটি। এই তিনটি লেখার গড় রেটিংয়ের ভিত্তিতে তাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

আপনাদের মন্তব্য, সাজেশন সাদরে গ্রহন করা হবে।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

- ইয়া হাবিবি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমার ব্যক্তিগত মতামত: গুঁতোগুতির শীর্ষে আজ, পাঠকের পছন্দ ২৪ ঘন্টায়, পাঠকপ্রিয় লেখক - প্রথম পৃষ্ঠায় এতোসব রেটিং-এর প্রয়োজনীয়তা কি সত্যিই আছে?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সৌরভ এর ছবি

ইয়া হাবিবি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দিগন্ত এর ছবি

একমত ... প্রথম পাতায় না রেখে পরিসনহখ্যান বলে আলাদা পাতা বানিয়ে সেখানে অনেকরকম তথ্য দেওয়া থাকতে পারে। আর সে পাতা থেকে একটা বা দুটো প্রথম পাতায় থাকতে পারে ... এই ঠিক আছে।
---------------------------------
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যেহেতু পাঠকপ্রিয়তে আছি, সেহেতু আমার আপত্তি নাই। চোখ টিপি
তবে আলাদা পরিসংখ্যান পাতার আইডিয়া জোশ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এগুলো দিয়ে কী হয় ভাইয়া ?

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আমি বলছি না যে এই রেটিং আর ভোটের সিস্টেমে আমার আপত্তি আছে । আমি বলছি যে এটা আমার কাছে কোন প্রয়োজনীয় বিষয় মনে হয় না ।

অবশ্যই প্রয়োজীয় বিষয়। নইলে আমি (বিপ্লব) দেবো কী ভাবে! খাইছে


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

রানা মেহের এর ছবি

হয়তো রেটিং প্রয়োজনীয়।
আমি নিজে আজ প্রথম রেটিং করলাম।
রাসেলের সাম্প্রতিক গল্পে।
তার চেয়েও প্রয়োজনীয় মনে হয় একটা ভালো লেখা,
গুরুত্বপুর্ন কিছুকে হারিয়ে যেতে না দেয়া।

মুহম্মদ জুবায়ের এর একটা জরুরী সিরিজ আছে।
"আমাদের বাতিঘরগুলি এবং আসন্ন দিন"।
লেখটা আসে। সবাই স্বতস্ফুর্ত আলোচনায় অংশ নেয়
কিছুসময়ের জন্য। খুব তথ্যবহুল আলোচনা।
একদিনের মাথায় অন্য লেখা এসে জুড়ে নেয় জায়গা।

ঠিক একি ব্যাপার হয় সুবিনয় মুস্তাফীর লেখায়।
এবং একই পরিনতি ঘটবে বানানরীতি নিয়ে
মাহবুবুল হক এর লেখায় হিমু যেই আলোচনার সুত্রপাত করেছেন।

তিন রকমের রেটিং না দিয়ে
"আলোচনা চলছে" টাইপ কোন একটা শিরোনামে
এই লেখা গুলো কিছুদিন প্রথম পাতায় রাখা যায়না?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

"গুঁতোগুঁতির শীর্ষে" ব্লকে মূলত চলমান আলোচনার পোস্টগুলো উঠে আসার কথা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

রেটিং-এর আইডিয়াটা মনে হয় লেখককে উত্সাহিত করার চিন্তা থেকে এসেছে।
আমি এ থেকে উত্সাহিত হই না। অন্য লেখকরা হন কিনা তা নিয়ে সচল একটা জরিপ করতে পারে।

আরেকটা বিষয় হলো যেসব পাঠকের হাতে সময় অল্প এবং যারা বাছাই করা বা পাঠক-পছন্দ লেখা পড়তে চান তারা হয়তো রেটিং দেখে কিছুটা অনুমান করতে পারেন কোনটা পড়বেন।

তবে এ ধরনের রেটিং-এর একটা পরোক্ষ ক্ষতিকারক দিক আছে। এটা লেখকদেরকে জন-পছন্দের বিষয়ে বা ভঙ্গিতে লেখার জন্য উসকানি দিতে পারে।

তাছাড়া দশমিক চিহ্ন দিয়ে অঙক্ কষে মাপামাপির আসলে কিছু নাই।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

নির্বাচন পদ্ধতিটা বোঝা গেলো। কিন্তু এই ধরনের নির্বাচনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। লেখকদের ভালো লিখতে উৎসাহিত করা যদি এর উদ্দেশ্য হয় তাহলে এইটুকু বলা দরকার যে, এই পদ্ধতি স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্যে হয়তো কার্যকরী। একটি প্রতিযোগিতার মনোবৃত্তিকে হয়তো উৎসাহিত করা যায়। লেখালেখির বেলায় সেটা কতোটা কার্যকরী? কিছুমাত্র নয় বলে আমার ধারণা। শোহেইল মতাহির চৌধুরী রেটিং-এর পরোক্ষ ক্ষতিকর দিক নিয়ে যা বলেছেন, সে বিষয়ে আমি একমত। আরিফ জেবতিকের মতো কোনো কোনো ভালো লেখায় রেটিং দিতে আমিও প্রায়ই ভুলে যাই। তাতে লেখাটা তো আর ফালতু হয়ে গেলো না।

পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যদি উদ্দেশ্য হিসেবে ধরে নিই, সে ক্ষেত্রে "গুঁতোগুতির শীর্ষে আজ" থাকলেই চলে। সেখানে তিনটির বদলে পাঁচটি বাছাই করা যেতে পারে। অবশ্য এই জিনিসটা যে ঠিক কীভাবে কাজ করে জানা নেই। এই নির্বাচনটা হয় কীসের ভিত্তিতে? "আজ" বলতে ঠিক কখন থেকে কখন? মাঝেমধ্যে এমনও দেখি যে তিন মাস আগের কোনো লেখা শীর্ষে উঠে বসে আছে। তাহলে সেটা "আজ" হয় কী করে?

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হিমু এর ছবি

মাঝেমধ্যে এমনও দেখি যে তিন মাস আগের কোনো লেখা শীর্ষে উঠে বসে আছে। তাহলে সেটা "আজ" হয় কী করে?

লেখাটা হয়তো তিন মাস আগের, কিন্তু গুঁতোগুঁতিটা আজকের :)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

"গুঁতোগুতির শীর্ষে আজ" কীভাবে নির্বাচন করা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আমারও আছে। কোনও লেখা প্রকাশ হবার পর সবে ৪-৫ জন পড়েছে, কমেন্টও পড়েনি কোনও, অথচ তা ঢুকে পড়েছে "গুঁতোগুতির শীর্ষে আজ" বিভাগে - এমনটি হরদম দেখেছি। মাঝে-মধ্যে আমার নিজের লেখাও প্রকাশ হতে না হতে গুঁতোগুতিতে জড়িয়ে পড়েছে! এটা কী করে হয়? অ্যাঁ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তাসিফ আহসান দীপ্ত এর ছবি

আমি সচল নই, তবুও একটা মন্তব্য দেবো পাঠক হিসেবে।

যে পোস্টে আজ সারাদিন বেশি করে গুঁতোগুঁতি করা হচ্ছে, সেটাকে আবার সাইড বারে পিন দিয়ে সেঁটে দেওয়াটা তেলভর্তি মাথায় তেল দেওয়ার মতো ব্যাপার।

ব্লগিং এর মুখোশের আড়ালে নিজেদের নামেই সুপরিচিত লেখকদের সাথে তরুণ প্রতিভাদের একটা দল এই প্লাটফর্মে লিখছেন।
তাদের পাঠকপ্রিয়তা বা রেটিং করার দরকার আছে কি? আমার তো মনে হয়, এই সময়ের বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে সৃষ্টিশীল পরীক্ষণমুলক লেখাগুলো এখন এই প্লাটফর্মেই প্রকাশিত হয়।

যুগ যুগ বেঁচে থাকুক এই প্রয়াস।
(অসচল হিসেবে তেল দিলাম, কেউ মনে করলে করতে পারেন হাসি )

জাহিদ হোসেন এর ছবি

রেটিং জিনিসটি আমার মনে হয় মূলতঃ আলসে পাঠকদের উপকারার্থে। যারা কষ্ট করে সব লেখাগুলোকে খুঁজতে চান না।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমার কেন জানি মনে হয় এগুলো থাকলেই ভালো। উৎসাহ আসে। না হলে বোরিং লাগতো...

---------------------------------
এভাবেই কেটে যাক কিছু সময়, যাক না!

স্বপ্নাহত এর ছবি

এতক্ষণ খুব মনোযোগ দিয়ে উপরের মন্তব্যগুলো পড়লাম।এখন নিজের কথা বলি।
উপরের লেখাগুলো না পড়ে লিখতে বসলেও একই কথা বলতাম।
আমারো মনে হয় এই রেটিং সিস্টেম বা এতগুলো জরিপমূলক ব্যাপারগুলো না থাকলেও বোধহয় কারো তেমন ক্ষতি হয়না।তবে সবার সুবিধার্থে "গুতোগুতির শীর্ষে" ব্যাপারটা ভালই।
আর রেটিং জিনিসটা ব্লগিং এর শুরু থেকেই কেন যেন আমি ভাল চোখে দেখতে পারিনা।অনেকে হয়তো বলতে পারেন এতে করে লেখার মূল্যায়ন যেমন হয় তেমনি লেখক নিজেও উৎসাহিত হয়।কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই ব্যাপারটার কার্যকারিতা প্রশ্নের সম্মুখীন করা যায়।আর অন্য একটা বহুল জনসমাগম পূর্ণ ব্লগে তো এর রীতিমত অপব্যবহার হয়।

একটা লেখার ভাল মন্দ পর্যালোচনা করার জন্য কমেন্ট এর চেয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকরী মাধ্যম আর কিছু হতে পারেনা বলেই আমার মনে হয়।শুধু ওটার ব্যবহার চালু থাকলেই আমি খুশি।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

জয় বাংলা ।
আমি ই গরীব লেখক ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম..। রেটিং তুলে দেয়া লাগে তাহলে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

সময় না থাকলে আমি ডান-বাম এর রেটিং প্যানেল গুলো দেখেই ধুপ-ধাপ লেখা পড়ে চলে যাই। আমার কাছে এমনিতেও এসব পরিসংখ্যান ভালো লাগে। সেটা বিজ্ঞানের ছাত্র বলেই হয়তো।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।