লেখার শিরোনাম দেখিয়া বুদ্ধিমান পাঠক মাত্রেই বুঝিতে পারিবেন ইহার লেখক নেহায়েতই ব্যবসাবুদ্ধিসম্পন্ন এবং তাহারই প্রতিফলন ঘটিয়াছে শিরোনামে। রিক্সা আবার কিমতে হাসির ব্যাপার হইতে পারে তাহা লইয়া গবেষনা চলিতে পারে। তবে মাঝারী বুদ্ধির কেউ কেউ ঠিকই বুঝিতে পারিবেন এই লেখার উদ্দেশ্য কিছুই নয়, কেবল ব্লগের সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া।
রিক্সা কিভাবে আমাদের বাঙ্গালী রক্তে মিশিয়া আছে সে কথা বলা বাহুল্য। বাঙ্গালী নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আজন্ম রিক্সাওয়ালার সুঠাম দেহের প্রগাঢ় সুগন্ধ সহ্য করিয়া রিক্সা চড়িয়া অভ্যস্থ বিধায় দেশে বিদেশে কিংবা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে তাহাদের খাপ খাওয়াইয়া চলিতে কোন সমস্যাই বোধ হয় না। আর বন্ধুর সাথে ঢাকার বন্ধুর রাস্তায় রিক্সায় চলাচল করিয়া অভস্ত্য বিধায় পৃথিবীর কোন রাস্তাই তাহাদের নির্বান্ধব করিতে পারে না। রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি কিংবা একটাকা ভাড়া কম দেবার জন্য যুদ্ধ আমাদিগকে সত্যিই মহান যোদ্ধা জাতির সম্মান দিয়াছে। তাহার সহিৎ আর অন্যান্য উপকারের মধ্যে রহিয়াছে বিভিন্ন রিক্সা দুঘর্টনা জনিত কারনে রিক্সা হইতে লম্ফ দিয়া নামার কসরৎ। এই সমস্ত কারনে আমরা কেহই এই রিক্সাকে ভুলিতে পারিনা। আর তাই রিক্সার মত যানবাহন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দেখিবা মাত্র আমাদের মুখ হইতে আপনা আপনি বাহির হইয়্যা আসে, "এই রিক্সা যাইবা?"
তবে যত যাহাই বলুন, প্রেমিক পুরুষ মাত্রই জানেন রিক্সার মূল্য কি। রিক্সা বিনা তাহাদের প্রেম বোধকরি অপূর্ণ্যই থাকিয়া যাইত। ঘন্টাচুক্তিতে ঢাকায় রিক্সায় চড়েন নাই এমন প্রেমিক জুটি ঢাকায় মেলা বিরল। দুজনে শান্তিতে একটু কোন পার্কে গল্প করিবেন কিংবা মধুর ঝগড়া? পথকলিদের যন্ত্রনায় সেটি হবার যো নেই। এরশাদ সাহেব তো ইহাদের পথকলি নাম দিয়াই খালাস হইয়া গিয়াছেন। এই পথকলিদের যন্ত্রনায় পার্কে তো প্রেমের ফুল ফুটবার জো নেই, তাই একমাত্র ভরসা সেই রিক্সা। রিক্সাওয়ালা ভাইকেও তাই কিছু বলিতে হয়না। কোন জুটি আসিয়া তাকে বলিলেই হইল, "এই রিক্সা যাইবা?", অমনি সে তাহার পান, বিড়ি খাওয়া সুগঠিত দাঁতের বিজ্ঞাপন দেখাইয়া চলা শুরু করিবে। সেই সাথে আপনি পাবেন আপনাদের দুজনের আলোচনার মাঝখানে তার সুচিন্তিত কিছু মতামত। কোথায় আর পাবেন এসব আমাদের প্রানের দেশ বাংলাদেশ ছাড়া!
তবে বাঙ্গালী রমনী মাত্রে স্বীকার করিবেন যে তাহাদের সৌর্ন্দয্যের কিছু অবদান কিন্তু আসে এই রিক্সাওয়ালাদের কাছ হইতেই। যেসমস্ত বুদ্ধিমান পাঠক এখনও সাধু বাংলায় লেখা স্থুল রসিকতা পূর্ণ এই লেখাটি পড়িতেছেন তাহারা প্রশ্ন করিয়া বসিবেন, "কিভাবে?" তাহাদের আমি বলিব আপনি প্রথমে আমাকে 'বাঙ্গালী সৌন্দর্য্যের' সংজ্ঞাটা দিন। বেশী দূর যাইতে হইবে না বাংলাদেশী ছবির নায়িকাদের বর্ননা দিলেই চলিবে। কিংবা কোন বাংলা খবরের কাগজ হইতে পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেখিয়া বলিলেই চলিবে। আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি এই বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষন করিবেন না যে বাঙ্গালী সুন্দরীর দুটো বিষয় থাকা জরুরী, এক. ফ্যাকাসে গায়ের রঙ, দুই. যথেষ্ট পরিমান স্নেহ। এই স্নেহ কোথায় কোথায় বেশী থাকিলে স্নেহের পাত্রী হওয়া যায় সে বৃত্তান্তে আমি সযত্নে এড়াইয়া গেলাম বলিয়া ক্ষমা প্রাথর্ী। যারা এই পর্যন্ত আমার সাথে একমত পোষন করিয়া আসিয়াছেন তারা নিশ্চয়ই এই ব্যাপারেও একমত পোষন করিবেন যে রিক্সাওয়ালা না থাকিলে রোদে পুড়িয়া আমাদের রমনীরা নিতান্তই কাল্লু কুট কুট এবং স্নেহ বঞ্চিত হইতেন। যারা আমার সাথে একমত পোষন করেন নাই তাহাদের আমার কিছু বলার নাই, হয় তাহারা রিক্সা-সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নন কিংবা দেশপ্রেমে দেশের কোন খারাপ কিছু সহ্য করিতে পারেন না।
রিক্সাকে উপমা করিয়া অনেক গল্প, কবিতা, উপন্যাস রচিত হইয়াছে, চিত্রকর তৈরী করিয়াছেন চিত্র, ভাস্কর তৈরী করিয়াছেন ভাস্কর্য্য। জনৈক বিখ্যাত ঔপন্যাসিক রিক্সায় চড়িয়া বৃষ্টি ভেজার আনন্দ বর্ণনা করিয়া বাঙ্গালীর কাছে রিক্সার মূল্য অনেকগুন বাড়াইয়া দিয়াছেন। বষর্াকালে রিক্সাওয়ালারা এমনিতেই ভিজিয়া থাকে, উহাদিগের কথা চিন্তা করিবার আমাদের প্রয়োজন কোথায়। আমরা শখ করিয়া রিক্সায় চড়িয়া বৃষ্টিতে ভিজিতে ভিজিতে, 'বরষার প্রথম দিনে' গান গাহিতে পারিলেই খুশী। আবার এই বৃষ্টি ভেজা রিক্সা ভ্রমনের দৃশ্যই যখন চিত্রকরের হাত হইয়া শাহবাগের চিত্র গ্যালারীতে ওঠে তখন আমরা হাজার টাকা খরচ করিয়া ঘরে তুলিতে কার্পণ্য করিনা। করিবইবা কেন, রিক্সা বলিয়া কথা। আমাদের প্রানের সখা, ঢাকা শহরের অন্যতম যানবাহন।
রিক্সাওয়ালারা অবশ্য আমাদিগকে কম যাতনা দেয় না। ব্যাটারা বাংলাদেশের কোন সুদুর প্রান্তরে খাইতে না পাইয়া পড়িয়া ছিল তাহার কোন ঠিক ঠিকানা নাই। অথচ ঢাকায় আসিয়া রিক্সা চালাইতে শুরু করিয়া একেকজন মাস্তান হইয়া ওঠে। রিক্সার যখন মালিক তুই না তখন মালিক যাহা বলিবে তাহা তো তোকে শুনিতেই হইবে। দিনে যাহা তোর রোজগার সেটা জানিয়া মালিক কি করিবে, গুনিয়া গুনিয়া তার দৈনিক ভাড়ার টাকাটা তার হাতে তুলিয়া দিবি, তা না করিয়া ঘ্যানর ঘ্যানর। আজ অমূক তো কাল তমূক। আজ জ্যামে পড়িয়াছিলি, কাল রিক্সার অমূক ঠিক করিতে হইয়াছে, পরশু ছিনতাই। আরে ব্যাটা জ্যাম কি তোর মালিক লাগাইয়াছিল? মালিক তো তোকে নতুন রিক্সা দিয়াছিল, রিক্সা ভাঙ্গিয়াছে সেটা তো ব্যাটা তোরই দোষ। ছিনতাই হইয়াছে তো মালিকের কি দোষ? এইসমস্ত বাহানায় রিক্সাওয়ালা ব্যাটারা রিক্সা ধর্মঘট ডাকিয়া তুলকালাম কান্ড করিয়া ফেলে। ব্যাটারার রাজধানীতে আসিয়া ভালই রাজনীতি শিখিয়া ফেলে। আর ভুগিতে হয় আমাদের মত আমজনতাকে, যাহারা আজন্ম রিক্সা চড়িয়া চলাচলে অভ্যস্ত, মাইলখানেক হাটিতেও আমাদের পা চলে না।
রিক্সা হইতেছে আমজনতার যানবাহন। তাই সবকিছু দাম বাড়িলেও চলিবে কিন্তু রিক্সার ভাড়া বাড়া চলিবে না। তেলের দাম বাড়িলে গাড়ী ভাড়া বাড়িতে পারে কিন্তু রিক্সার ভাড়া বাড়িবে কেন? বাজারে জিনিস পত্রের দাম বাড়িলে রিক্সার কি? রিক্সার তো আর বাজার করিতে হয় না। সব জিনিসের দাম বাড়িলে আমাদিগের কি হইবে। তাই রিক্সা ভাড়া বাড়া চলিবে না। ভাড়া নিয়া দরকষাকষীর সময় আমাদের এই সব ভাবিয়া একটি টাকা হইলেও ভাড়া কমাইতে হইবে। দাঁতমুখ খিঁচিয়া গালি দিতে হইবে। এবং সেই গালি শুনিয়া রিক্সাওয়ালা প্রতিবাদ করিলে ছোটলোকের বাচ্চা বলিয়া দুইচার চড় থাপ্পড় দিতে দ্বিধা করিব না। এই না হলে দেশপ্রেম!
এই রিক্সাই যখন ভিনদেশে আবিষকৃত হয় তখন আমাদের মাথায় রক্ত চড়িয়া ওঠে। উঠিবেই বা না কেন বলুন? ভারতীয় হাতে টানা রিক্সাকে তো আমরাই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়াছি। সাইকেলের সাথে হাতেটানা রিক্সা যুক্ত করিয়া আমরাই তো এর অধুনা ব্যবহার শুরু করিলাম। আমরাইতো ইহাকে সাহিত্যে, শিল্পে প্রবেশ করাইলাম। আর সেই রিক্সা কিনা নিউইর্য়কে গিয়া মেট্রোপলিটন রিক্সার মযর্াদা পায়! স্যান ডিয়েগো গিয়া সাগড় পারের শখের যানবাহনের রূপ পায়! অ্যারিজোনাতে গিয়া ফুটবল খেলার সময় ব্যবহৃত যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা পায়! আমাদের কি একটুকুও সম্মান প্রদর্শন করার প্রয়োজন মনে করিল না? বিস্মিত বাঙ্গালী জাতি তাই রিক্সার কপিরাইট চায়। ভায়েরা আমার বলুন, 'আইতাছি খাড়া', বলুন, 'রিক্সা আমার অধিকার'। এখনই শুরু, এইখান হইতেই আমাদের রিক্সার নাম 'বাংলা রিক্সা' করার আন্দোলন শুরু করিতে হইবে।
যাহারা কষ্ট করিয়া এতদূর পড়িয়া আসিয়াছেন এবং মাঝে মাঝে অল্প বিস্তর হাসিয়াছেন তাহাদের ধন্যবাদ। তাহারা যে লেখার শুরুতে উল্লেখিত প্রথম দুই শ্রেনীতে পড়েন না সেটা বলাই বাহুল্য। তবে রিক্সার পরিচয় যে আমাদের বিদেশে বড় হওয়া সন্তানদের নাই সেটা তাহারা স্বীকার করিতে বাধ্য। এ লেখা যদি সেই উদ্দেশ্য সাধনে সামান্যতম সফল হয় তাহা হইলে নিজেকে সার্থক ভাবিব।
(ঝরা পাতার আ জার্নি বাই রিক্সা থেকে অনুপ্রানিত)
মন্তব্য
মজার। অনেক কথা মাথায় আসছে পরে কোন পোষ্টে দিব।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
কপিপেস্ট পোস্টে কপিপেস্ট কমেন্ট:
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার নাকি একবার বলেছিলেন - ঢাকা শহরের রিকশার সীটের সাইজ দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। আগে প্রেমিক প্রেমিকা বসে মাঝখানে প্রেমিকার ব্যাগ রাখতে পারতো। এখন দুজন বসতেই কষ্ট হয়।
রিক্সা নিয়া কিছু গান মনে পড়লো:
* এক পলকে চলে গেলো, আহ্ কি যে তার মুখখানা, রিক্সা কেন আস্তে চলে না...
* আমি যে রিশকাঅলা দিন কি এমন যাবে...
* রিক্সাঅলা বলে তুমি যাদের ঘৃণা করো...
* ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে, আমি এহন রিসকা চালাই...
এই মাত্র আরেকটা মনে পড়লো - শুভ্রদেবের গান - তিন চাক্কার পায়ের ধাক্কায় রিকশা চলেরে, দেহ ইনজিন সারাটা দিন রইদে জ্বলেরে...।
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
জয়তু হে মহান রিক্সাপ্রেমী। অপ্রেমিকগোষ্ঠীর পক্ষ হইতে এই অধমের আবেদন- রমণীদের স্নেহ কোথায় কোথায় বেশী থাকিলে স্নেহের পাত্রী হওয়া যায় সে বৃত্তান্ত জানিতে চাই। এড়াইয়া গেলে চলিবে কেন?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শিমুল ভাইরে কপি-পেস্ট জা-ঝা !
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সুদুর প্রবাসে, জাপানের যেই নগরীতে থাকি এতে হাতে টানা রিকশা দেখে যারপরনাই উল্লসিত হয়েছিলাম একটা ট্যূরিস্ট স্পটে। কিন্তু ২ মিনিটের মূল্য কল্পনাতীত রকম বেশী বলে চড়া হয়নি -- আফটার অল জাপানি রিকশাওয়ালা।
আসল কথাটাই বাদ পড়ে গেল -- এখানেও এটার নাম জিনরিকশা। (জাপানিতে জিন কথাটার একটা অর্থ নাগরিক)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
রিকশা চলুক গঞ্জে গ্রামে বিগটাউনে
রিকশা চলুক চীন কিংবা দূর জাপানে
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
একবারই রিকশায় চড়িয়াছিলাম!
২০ মিনিটের জন্য ২০ ডলার খরচ করিতে হইয়াছিলো! সাথে সাথে অবহেলিত দেশী রিকশাচালকদের কথা মনে পড়িয়া হতাশা বোধ করিতেছিলাম!
কি মাঝি? ডরাইলা?
কোথায় নিউইর্য়কে? সেখানে তো নাক ঘুরালেই টাকা দিতে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরে ব্যাটা জ্যাম কি তোর মালিক লাগাইয়াছিল? মালিক তো তোকে নতুন রিক্সা দিয়াছিল, রিক্সা ভাঙ্গিয়াছে সেটা তো ব্যাটা তোরই দোষ। ছিনতাই হইয়াছে তো মালিকের কি দোষ? এইসমস্ত বাহানায় রিক্সাওয়ালা ব্যাটারা রিক্সা ধর্মঘট ডাকিয়া তুলকালাম কান্ড করিয়া ফেলে। ব্যাটারার রাজধানীতে আসিয়া ভালই রাজনীতি শিখিয়া ফেলে।
রিকশাঅলাদের (ব্যাপক অর্থে বস্তিবাসীদের) প্রতিদিনের রাজনীতি লৈয়া আমি আমার ডক্টোরাল থিসিস লিখতেছি। আপনের রচনাখানি রেফারেন্স হিসাবে অনেক কাজে লাগবে। তবে আমার পজিশন ঠিক উল্টা!
................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
একটু খিয়াল করলে দেখতেন আমি আসলে রিক্সাওয়ালাদের পক্ষেই বলছি। অবশ্য হয়ত ঠিক মত প্রকাশ করতে পারি নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
না ঠিকই আছে, তবে আরেকটু স্যাটায়ার থাকলে হয়ত কনফার্ম হৈতে পারতাম। কনফার্ম হৈবার জন্যই মন্তব্য করছিলাম।
..............................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন