বই সম্পাদনা এবং বইয়ের পৃষ্ঠা সংযোজনা নামে দুটি ভিন্ন ক্ষমতা আছে। বইয়ের পৃষ্ঠা যুক্ত করার সময় top-level অপশনটা না দেখলে বুঝবেন প্রকাশিত বইয়ের সাথে আপনি পৃষ্ঠা জুড়তে পারবেন কেবল, নতুন বই তৈরী করতে পারবেন না। এই অপশন চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
টপ-ডাউন বই তৈরী
টপ-ডাউন বই মানে, বইয়ের আউট লাইন আপনার জানা। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে আউটলাইন তৈরী করবেন, পরে লেখকরা লেখা জমা দিবে।
প্রথমে ধরে নেই ভ্রমন কাহিনীর উপর একটি বই করা হবে। উদাহরন হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনেকগুলো ভাগ করি বইটাকে, মহাদেশ হিসেবে এবং দেশ হিসেবে।
উদাহরন হিসেবে
ভ্রমন কাহিনী
- ১। আফ্রিকা মহাদেশ
-- ১ক। আফ্রিকা
-- ১খ। নাইজেরিয়া
- ২। উত্তর আমেরিকা মহাদেশ
-- ২ক। আমেরিকা
-- ২খ। কানাডা
এই রকম প্রতিটা দেশের নীচে সেখানকার লেখাগুলো থাকবে।
প্রথম সম্পাদক সাহেব একটা লেখালেখি করুন থেকে বইয়ের পৃষ্ঠা তৈরী করবেন। টাইটেল দিবেন "ভ্রমন কাহিনী"। টাইটেলের নীচে Parent হিসেবে সিলেক্ট করবেন "top-level" কথাটি। তারপর বইয়ের একটি ভূমিকা লেখে প্রথম পাতায় প্রকাশ করুন। এই ভূমিকা পরেও শুধরে নেয়া যাবে।
বই সম্পাদক এরপর একে একে দুটি বইয়ের পৃষ্ঠা তৈরী করবেন - আফ্রিকা মহাদেশ এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশ নামে। কিন্তু এদের Parent হিসেবে সিলেক্ট করবেন আগের স্টেপে তৈরী করা "ভ্রমন কাহিনী"। ভুলে গেলে আবার সম্পাদনা করে ঠিক করে নিতে পারেন। মূল লেখা হিসেবে এই চ্যাপ্টার গুলোর একটা সামারী দিতে পারেন। এই চ্যাপ্টারগুলো নিজের ব্লগে প্রকাশ করাই ভাল।
একই ভাবে আফ্রিকা, নাইজেরিয়া নামে দুটি পৃষ্ঠা যাদের Parent আফ্রিকা মহাদেশ এবং আমেরিকা, কানাডা নামে দুটি পৃষ্ঠা যাদের Parent উত্তর আমেরিকা মহাদেশ - তৈরী করুন।
একইভাবে এদের সেইভ করুন।
আরো লেভেল থাকলে এভাবে তাদের সেইভ করুন। কিন্তু বেশীরভাগে ক্ষেত্রে একটি, দুটির বেশী লেভেল থাকবে না। যাই হোক আপাতত এইখানে সম্পাদকের কাজ শেষ। পরে আবার সম্পাদনা করার সময় বাকি কাজ শুরু হবে।
এখন লেখকরা বইয়ের জন্য লেখা কিভাবে দিবেন? লেখকেরা বইয়ের পৃষ্ঠা ক্লিক করবেন এবং সঠিক Parent এর সাথে জুড়ে দিবেন। যেমন, আমেরিকার উপর লিখাতে Parent যেন আমেরিকা থাকে। ব্যাস এইভাবে একে একে লেখা যোগ করতে থাকুন।
এবার সম্পাদক পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে আপনাকে জানাতে পারবে কি ঠিক করতে হবে না হবে। তাছাড়া এক বিভাগের লেখা আরেক বিভাগে পাঠাতেও পারবেন সম্পাদক।
বটম-আপ বই তৈরী
বটম-আপ মানে বইয়ের আউটলাইন এমুর্হুতে আপনার জানা নেই। আপনি প্রথমে চান লেখকরা লেখা জমা দিক, পরে চ্যাপ্টার বানানো যাবে লেখার উপর ভিত্তি করে।
ধরে নেই, আপনি "বিদেশে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীদের গবেষনা" নামে একটা বই তৈরী করতে চান। এখন আপনি ঠিক করতে পারেননি বইটা দেশ অনুযায়ী ভাগ করবেন নাকি বিষয় অনুযায়ী। লেখার ধরনের উপর নির্ভর করবে কি করবেন। তাই লেখাগুলো আগে জোগাড় করা দরকার।
এক্ষেত্রে লেখালেখি করুন > বইয়ের পৃষ্ঠা ক্লিক করে লেখা শুরু করুন। টাইটেল দিন "বিদেশে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীদের গবেষনা" এবং মূল বিষয়ে ভূমিকা জুড়ে দিন। Parent হিসেবে top-level বাছাই করুন।
এরপর লেখকদের অনুরোধ করুন, "বিদেশে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীদের গবেষনা" কে Parent হিসেবে লেখা জমা দিতে। পরে লেখা জমা হয়ে গেলে সুবিধা মতো বিভাগ করে নিন এবং লেখাগুলির উপযুক্ত Parent সম্পাদনা করে দিন।
লেখা পাবলিশ করার পর প্রিন্টার ফ্রেন্ডলী ভার্সনটা দেখতে ভুলবেন না যেন।
মন্তব্য
এই লেখাটাকে স্টিকি করেন। তাতে আলোচনায় সুবিধা হবে।
নতুবা মনে হবে একটা বইয়ের আলোচনা হচ্ছে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সচলায়তনে বইয়ে পাতা যোগ করা আর ই-বুক কি একই? এখন পর্যন্ত আমার মনে হচ্ছে বইয়ের পাতায় লেখক তাঁর লেখা যোগ করবেন (অতপর সম্পাদনা) এবং ই-বুকের জন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা সম্পাদক(বৃন্দ) নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করবেন। ভুল জানা হলে বলবেন। এসব উদ্যোগ দেখে খুবই ভাল লাগছে। আর সেই সাথে সচলায়তনে আমাকে সচল করার জন্য অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। (ধন্যবাদ কার প্রাপ্য তা জানিনা)।
স্বাগতম।
আপনার প্রকৃতিপ্রেম নিয়ে আমাদেরও আলোড়িত করুন।
প্রকৃতি বন্দনা হোক।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ই-বুকের ট্রাডিশনাল আইডিয়া সেইরকমই। কিন্তু এখন আরো ইন্টারএকটিভলী ব্যাপারটা করা যায়। বই তৈরী হবে কোলাবোরেটিভলী (আপনি যেটাকে বইয়ের পাতা সংযোগ বলছেন)। সম্পাদক এখান থেকেই যাচাই বাছাই করবেন। সবাই এর সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। বই ফাইনাল হয়ে গেলে ছাপানোর আগে ট্রাডিশনাল পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক, আমি সম্পাদক হিসাবে দ্বিতীয় অপশনটা আমল করতে চাইছি।
....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সম্পাদক নিজেই একটা বই খুলতে পারেন।
খুলে পছন্দের লেখা সেখানে সঞ্চয় করে রাখতে পারেন।
নতুন নতুন লেখা জমা হতে পারে।
তারপর সেটা সম্পাদনা শেষে, মতবিনিময় শেষে চূড়ান্ত রূপ পাবে।
তখন ব-ই হয়ে যাবে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি একটা বইয়ের কথা ভাবছি।
সম্মিলিত সবার লেখায় বই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বই। ট্রান্সফার অব নলেজ এ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার স্থানান্তর।
বাংলার তরুণরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছে। তাদের গবেষণার কথা নিয়ে বই। আলাদা আলাদা। কেউ করছে যন্ত্র নিয়ে। কেউ বা করছে সমাজ নিয়ে। উচ্চ মার্গের বিষয় সব। এই কথা গুলো জানতে চায় এমন ছাত্র-পাঠক অনেক আছে দেশে। তাদের জন্য একটা স্বপ্ন হিসেবে কাজ করতে পারে এমন লেখা। প্রেরণা হিসেবে। জ্বিনের বাদশা তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে লিখেছিলেন। আরেকটু ডিইলসে বোধ হয় লেখা যায়। একটু প্রবন্ধ গোছের । কিন্তু লাইট রিডিং।
গবেষণা করাটাই তরুণ বাঙালিদের একমাত্র কাজ না। অনেকে বিচিত্র ধরনের পদে কাজ করছেন। তারা কীভাবে সে জায়গায় আসলেন, কী কাজ করছেন, ভবিষ্যতে কী করবার স্বপ্ন দেখেন সে কথাগুলোও লিখবেন। প্রবাসে চাকুরির কথা। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। প্রতিভা ও জীবিকার কথা।
আমি প্রস্তাব দিব পরে ডিটেইলসে। আপাতত: এই নিয়ে ভাবতে থাকেন। কী লেখবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ভালো উদ্যোগ। ব-e এর ব্যাপারে উৎসাহ পাচ্ছি।
প্রকৃতিপ্রেমিককে স্বাগতম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কী উত্সাহ পেলেন তা একটু ঝেড়ে কাশুন, হিমু বাবু।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ওরে সব্বোনাশ!! দ্যাখো কান্ড!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
বেশ। এই ফর্মূলা আমার বইয়ের ক্ষেত্রে কাজের হবে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ। মা.মু. আমার লিস্টির কতদূর
..................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ওহ ভুলে গিয়েছিলাম। দেখি দাঁড়ান।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
টুকিটাকি > আমন্ত্রিত এবং অচল সদস্যতে শহরের তালিকা যুক্ত করেছি। যেহেতু শহরের তথ্যটা সচলায়তনের সদস্যদের কাছে উন্মুক্ত তথ্য, তাই এটা এখানে প্রকাশ করা যায়। আশা করি এটা কাজে আসবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাবা সুমন, তুমি আমারে ঢাকা পাঠায় দিলা ক্যান বাবা ? যাইতে তো চাই, কিন্তু এখনো যায়া উঠতে পারি নাই।
______ ____________________
suspended animation...
অনেক ধন্যবাদ মা.মু.। দেখতেছি।
.................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
দৌড়ে সবসময়ই পেছনের দিকে। তবে, ফুটবল/ক্রিকেট/অন্যখেলার সময় শুরুতে জোরে দৌড়িয়ে মাঝপথে বের হয়ে যাইনি বরং পুরো সময়েই একইভাবে (খুব জোরে নয় কিন্তু দাঁড়িয়েও নয়) দৌড়াতে পারতাম ... এখানেও ঐভাবে পারবো বলেই আশা করছি।
২রা আগস্টটা পার করি (ডিফেন্স) আগে। আগের কাম আগে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
নতুন মন্তব্য করুন