মাসখানেক আগে সচলায়তন বাংলাদেশে দেখতে না পারার দুর্বিপাক কাটিয়ে না উঠতে উঠতেই আবার সার্ভার নিয়ে সমস্য তৈরী হল। প্রথম ঘটনা সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু করেনি। আর দ্বিতীয় ঘটনা আপনাদের বিশ্বাসের ভিতে খানিকটা হলেও ধাক্কা দিয়েছে। সত্যি বলতে কি আমি নিজেও খানিকটা ইনসিকিওর বোধ করছিলাম।
প্রথম দুর্যোগের সময়টাতেই আমরা বেশ কয়েকটি ডোমেইন এবং আইপি কিনেছিলাম। ভাবছিলাম একটা বন্ধ হলেও যাতে চট আরেকটা চালু করতে পারি। মুক্তপ্রাণ তখনই কেনা। ব্লুহোস্টে সমস্যাটা করার পর আর তাদের উপর ভরসা করতে পারিনি। মুক্তপ্রাণে ডাটাগুলো নিয়ে আসলাম আগে। সব ঠিকঠাক করলাম। কালপরশু নাগাদ সচলায়তন.কম ডোমেইনটাও চলে আসবে।
এখন কথা হচ্ছে কেন এই ব্যাপার ঘটল? এই সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান কি? আপনারা কি সচলায়তনের উপর নির্ভর করতে পারেন? আপনি কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন? এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতেই এই ব্লগ।
কেন এই ব্যাপার ঘটল?
সচলায়তন কোন কর্পোরেট ব্যবসায়ীর পয়সায় চলে না। কিছু ব্লগ-অন্তঃপ্রাণ মানুষের সহৃদয় চেষ্টায় এটা চালানো হয়। সবসময় আমাদের ইচ্ছে ছিল, কর্পোরেট এক্সট্রাভ্যগেঞ্জা নয় বরং ছোটখাট একটা লেখার কুটির হোক আমাদের সচলায়তন। সেকারনেই সীমিত শক্তির ব্লুহোস্ট নামক সার্ভারে সচলায়তনকে হোস্ট করা হয়। ব্লুহোস্ট যে এধরনের ওয়েবসাইটের জন্য ভাল নয় সেটা কে জানত?
কিন্তু সচলায়তনকে ছোট খাট শান্ত লেখার একটি জায়গা ভাবতে চাইলে কি হবে, সচলায়তন আমাদের অগোচরেই হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠছিল। নীচের সচলায়তনের ব্যান্ডউইথ কনজাম্পশন (প্রতিমাসে যে পরিমান তথ্য সচলায়তন থেকে সদস্যরা বের করে নেন) গ্রাফটি দেখুন।
দেখাই যাচ্ছে সচলায়তন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছিল। আরো একটা ব্যাপার লক্ষণীয় ফেব্রুয়ারী ২০০৮ থেকে এপ্রিল ২০০৮ এ সচলায়তন হঠাৎ করে অনেকখানি বেড়ে উঠে। তারপর খানিকটা স্থির হয়ে আইপি ব্যানের সময় আরো খানিকটা বেড়ে উঠে। সুতরাং আইপি ব্যান সচলায়তন বেড়ে উঠার জন্য মুখ্য কারন নয়।
তথ্যসুত্রের খাতিরে অস্ট্যাট নামের আরেকটি প্রোগ্রামের গ্রাফটাএ দিলাম। এখানে মোট ব্যান্ডউইথ অর্ধেক দেখাচ্ছে। যদিও প্যাটার্নটা একইরকম। মোদ্দাকথা হল, সচলায়তন গায়ে গতরে বাড়ছিল।
তো এই অবস্থায় আমার ধারনা ব্লুহোস্ট আমাদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাদের কাজ কর্ম চুনোপুটি দিয়ে। কোন ওয়েবসাইট একটু বড় সড় হলে খুঁচিয়ে পয়সা নেয়া যায় কিনা সেটাই তাদের ধান্ধা। তাই ডাটাবেইজ বেশী খাচ্ছে এই অজুহাতে তারা একাউন্টটা বন্ধ করে দিয়েছিল। বাকি গল্পতো আপনাদের জানাই।
এই সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান কি?
সমস্যাটার তিনটে অংশ আছে।
(১) সচলায়তন ভবিষত্যে কতটুকু বাড়বে?
(২) কোন ধরনের সার্ভার আমাদের সেই লোডটুকু নিতে পারবে?
(৩) সচলায়তনের কোড বেইজে কতখানি পরিবর্তন করলে আরো দ্রুত চলবে?
(১) সচলায়তন ভবিষত্যে কতটুকু বাড়বে?
সচলায়তন কিভাবে বাড়ছে তার ছবি তো আগেই দিলাম। একটা একস্ট্রাপোলেশন করে বের করা যায় সর্বোচ্চ কতখানি বাড়তে পারে। নীচে সেটা দেয়া হল।
ভবিষ্যত বৃদ্ধির গ্রাফ থেকে সহজেই দেখা যায় আগামী এক বছরে ১৫০ গিগা পর্যন্ত এবং পাঁচ বছরে ১০০০ গিগা পর্যন্ত যেতে পারে। তাছাড়া একবছরে হার্ড ডিস্ক স্পেস লেগেছে ১ গিগার মত। লিনিয়ার গ্রোথ ধরে আগামী একবছরে মোট ২ গিগা এবং ৫ বছরে ৫ গিগা লাগবে ধরা যায়। ডাটা বেইজের আকার ৫০০মেগার মত এটাই আড়াই গিগা পর্যন্ত যেতে পারে।
(২) কোন ধরনের সার্ভার আমাদের সেই লোডটুকু নিতে পারবে?
সচলায়তন ইমার্জেন্সী ইমেইল লিস্টে অনেক আলোচনার পর ঠিক হয় মাঝারী আকারের ডেডিকেটেড ভার্চুয়াল হোস্টিং এই লোড নিতে পারবে। তাছাড়া প্রয়োজন আকার বাড়িয়ে বা কমিয়ে নেয়া যাবে।
(৩) সচলায়তনের কোড বেইজে কতখানি পরিবর্তন করলে আরো দ্রুত চলবে?
স্পীডের জন্য ড্রুপালকে আমার প্রাথমিক পছন্দ মনে হয়েছিল। আরো কয়েকটি স্টাডি আমার সেই ধারনা পোক্ত করেছে। এগুলো পাবেন ১, ২, ৩, ৪ এবং ৫।
সুতরাং আমি এখনও ড্রুপাল ছাড়ার চিন্তা ভাবনা করছি না। বরং ড্রুপাল ৬.২ এ আপগ্রেড করা, ডাটাবেইজ, সার্ভার টিউনিং এসব করতে বেশী ইন্টারেস্টেড আমি। একবার সার্ভার জনিত ঝামেলা মিটলে এটা নিয়ে বসব।
আপনারা কি সচলায়তনের উপর নির্ভর করতে পারেন?
অবশ্যই পারেন! আমি জানি এই সমস্ত দুর্যোগ আপনার মনে কি আশংকার উঁকি দিচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন আমরা প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছি সমস্ত সমস্যার সমাধান নিয়ে আসতে। আর সেকারনেই এই লেখার সূচনা।
আপনি কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন?
১) লিখতে থাকুন
আপনার সবচেয়ে বড় অবদান আপনার লেখা। নিশ্চিন্ত মনে, উৎফুল্ল ভাবে লিখতে থাকুন। আপনার লেখা দিয়ে সচলায়তনকে সমৃদ্ধ করুন।
২) ফিডব্যাক
ঢাকায় কেমন দেখা যাচ্ছে? আগের চেয়ে স্লো, নাকি ফাস্ট? কোন জিনিসটা দৃষ্টিকটু? কোন ব্যানারটা দরকার? এইসব জানান আমাদের। বিরক্ত করুন, ঝামেলা করুন। হয়ত সব করতে পারব না। হয়ত বিরক্ত হব। তবু না করব না। এটা যে আপনাদের ভালোবাসারই প্রকাশ!
৩) অর্থনৈতিক সাহায্য - না, ধন্যবাদ
অনেকে অর্থনৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তাদের সবনিয়ে বলি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু না আপনাকে অর্থনৈতিক ঝামেলা এবং কলুষতায় জড়াতে চাইনা। এটুকু কষ্ট আমরা আনন্দচিত্তে করতে রাজি।
৪) টেকনিক্যাল সাহায্য - ইয়েস প্লীজ
ভবিষত্যে ডিস্ট্রিবিউটেড ডেভলপমেন্ট করার ইচ্ছে। তাই আপনার এক্সপার্টাইজ অফার করতে চাইলে - ধন্যবাদ, এখনই জানান আমাদের।
সবশেষে বলি, সচল থাকুন সচল রাখুন।
মন্তব্য
কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা, কোন দিন বাস্তবে দেখা না হওয়া মানুষরা কতটা আপন হতে পারে, সচলে না আসলে কোনদিন বোঝা যেত না।
সচলের নেপথ্যের কারিগররা বিনা পারিশ্রমিকে যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, প্রতিনিয়ত যে ঝামেলা পোহাচ্ছেন,কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ও কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
সচলায়তন বেঁচে থাকুক অনন্তকাল।
জয়তু সচলায়তন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পোস্টটা খুবই দরকারি ও সময়োপযোগী। তাই কোন একপাশে এটাকে ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সাথে ছোটখাটো কয়েকটা বিষয়:
১. দ্রুপালে আপগ্রেড করলে ৬.৪-এ নিতে হবে ৬.২ একটু পুরানো। তবে আমার মনে হয় আপনারা বেশ কিছু মডিউল ব্যবহার করেন যেগুলোর ৬.x ভার্সন আজো নেই। তাই (আমার ধারনা) আপনাদের এই মুহূর্তে বর্তমান বেজের সর্বশেষ সংস্করণ নিয়েই এগোতে হবে।
২. অটোরিফ্রেশ ফিচারটা বোধহয় কাজ করছেনা। এটাকে আবার এনাবল করলে একটু ভাল হয়; নইলে বারবার ম্যানুয়ালি পেজ রিফ্রেস করতে হয়।
৩. বর্তমানে থিমটার বাম পাশের যে কলাম সেটার রঙের সাথে পেজব্যাকগ্রাউন্ড একাকার হয়ে গেছে। ফলে বামের কলামের বর্ডারটা বোঝা যায়না। সম্ভব হলে একটু দেখেন (যদিও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় এটা)।
সচলায়তনের পাশে থাকা ছাড়া আমার কাছ থেকে আর কোনো টেকনিক্যাল সহায়তা পাবার সম্ভাবনা শূন্য। তবে সচলের ড্যাটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ভবিষ্যতে আছে। যদি দরকার হয় ডাক দিয়েন।
১. একমত। সর্বশেষ ভার্সনেই করতে হবে। পার্শিয়াল ক্যাশিং সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট আছে সেটায়।
২. দেখেছি। কালকে একবার চেষ্টা করলাম। আরেকবার দেখছি।
৩. এট্টু পরে করব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার জন্য গ্রোথ ডাটা:
Aug 2008, 67.94
Jul 2008, 59.91
Jun 2008, 50.3
May 2008, 50.47
Apr 2008, 59.39
Mar 2008, 43.13
Feb 2008, 29.74
Jan 2008, 28.93
Dec 2007, 28.69
Nov 2007, 25.21
Oct 2007, 27.51
Sep 2007, 13.53
Aug 2007, 12.28
Jul 2007, 14.13
Jun 2007, 4.27
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
শাবাশ সচল!
---
আইপি ব্যানের আপডেট কী?
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কবি রজনীকান্ত সেনের স্বাধীনতার সুখ কবিতাটির কথা মনে পড়ে গেল। সচলায়তন আমাদের লেখালেখির কুঁড়েঘর হয়েই থাকুক। এটা নিয়েই আমাদের আমাদের শিল্পের বড়াই করবো। জয়তু সচলায়তন।
আর যেসব সহৃদয়বান ব্যক্তির আন্তরিক চেষ্টায় সচলায়তন সচল থাকে তাদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।
মাহবুব
এটা একটা সময়োপযোগী ভাল পোস্ট।
কিছু চিন্তা শেয়ার করি:
১. চিরস্থায়ী কোন সমাধান নেই। ইন্টারনেটের গতি-প্রকৃতি খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে। দুবছর আগেও হাই-এন্ড সাইটের (যেমন গুগল বা ইয়াহু) জন্য কোলোকেশন করত। সেটাই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট টেকনিক্যাল সমাধান বলে ধারাণা করা হত। ফেসবুক এসে সেটা পাল্টে গেছে। আকামাই হচ্ছে এখন ১নং 'স্ট্রিম প্রোভাইডার', অনেকটা প্রাইভেট ইন্টারনেট। খুব সহসা দেখবেন এর পরিবর্তন হবে।
২. সচলের বৃদ্ধির এক্সট্রাপোলেশন কতটা সঠিক জানি না। প্রকৃতিপ্রেমিক ভাল বলতে পারবে। সচলের কত শতাংশ পাঠক পৃথিবীর কোন অংশ থেকে আসে তা জানলে হিসাবটা আরো নির্ভরযোগ্য হবে। আমার ধারণা (কেবলই ধারণা) অধিকাংশ পাঠক, ইউএস, তারপর ইউরোপ, তারপর অস্ট্রেলিয়া বাকী ক্ষুদ্র একটা অংশ বাংলাদেশ+ভারত থেকে। (যদিও বাংলাদেশ আর ভারত থেকে লেখকের সংখ্যা বেশী হবে।)
সুবিধামতো স্থানে একটা ডেডিকেটেট বক্সেই প্রক্ষেপিত পাঁচ বছরের লোড সামাল দেয়া যাবে।
কিন্তু নেটের ব্যবহারকারী আদতে সেরকম এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়ে কিনা, সন্দেহ আছে। আমাদের দেশে নেট ব্যবহারের কী অগ্রগতি সেটাও জানা নেই। আরো একটা দিক হলো ইন্টারনট সুবিধা (আইএসপি) ব্যবহারের গতি। ইউএস-কানাডায় ২০এমবিপিএস পানি-ভাত, অস্ট্রেলিয়াতে ১থেকে ৮/১০ যাওয়া যায়, ২০ ও হয়ে যাবে। ইউরোপেও তাই হবে। কিন্তু বাংলাদেশে কোন উন্নতি হবে কিনা সন্দেহ আছে। আমার মনে হচ্ছে বৈষম্য বাড়ছে কেবল।
৩. দ্রুপালের চেয়ে ভাল সমাধান ফ্রি আর পাবেন না। মুভেবল টাইপ কিনতে টাকা লাগবে। বাংলা করতে গেলে সময় লাগবে।
৪. দ্রুপালের দ্রুততা আর দক্ষতা বাড়ানোর অনেক উপায় পাবেন। সেগুলো পরে আলোচনা করা যাবে।
সচলের নেপথ্য কারিগরদের আবারো অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
টেকি ব্যাপারে আমার সাহায্য করার ক্ষ্যামতা নাই; অসহায় বোধ করছি।
চেষ্টা করব লেখা আর মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে সচল রাখতে।
আর ঢাকায় স্পীড আগের চেয়ে বেশ কমে গেছে; আশা করি আস্তে আস্তে ঠিক হবে।
এই কথাটায় শান্তি পেলাম ভাই।
সচলের কারিগরদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা...।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হুম!
এই হইলো গঠনা!!!!!!! আমি ভাবি, গঠনা কী? সচলায়তনে ঢুকতে দ্যায় না ক্যান!!!!!!!!!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
শুধু টেকি হেল্প এর আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু এ ব্যাপারে আমার কিছুই করার নাই
কারন টেকির ব্যাপারে বলার আগে "ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি "
ইতি
প্রিন্ট মিডিয়ার সাবেক তথ্য প্রযুক্তি লেখক -সাংবাদিক ('৯৮-'৯৯)
নুরুজ্জামান মানিক
************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ছোট্ট একটা জিনিস যোগ করতে চাই। আমরা যারা সদস্য তারা সবাই একটা এ-মেইলের মাধ্যমে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। এরকম বিপদের সময় ঐ ই-মেইল এডে সবাইকে একটা গণ মেইল করার ব্যবস্হা করলেই কিন্তু অনেক কনফিউশন এড়ানো যেত। আর যারা সদস্য নন, তারা সদস্যদের মারফত এই ব্যাপারগুলো জেনে নিতে পারতেন। আর কেউই পারফেক্ট নয়। তাই এধরনের ডিফিকাল্টি আসবেই। এড়াতে পারবেন না।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
দরকারী পোষ্ট । ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নেপথ্য কারিগরদের । আমার একটা অনুরোধ সচলদের মেইল এড্রেসগুলোকে একটা কমন গ্রুপে রাখা . কারণ অনেক সাবধানতার পরেও বিপর্যয় আসতেই পারে.. তাই যাতে অই সময় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর অন্তত মেইলে জানানো যায় । এতে যেমন সচলদের অহেকতুক শঙ্কিত হওয়া থেকে বাঁচাবে আবার যারা এরকম দুর্যোগে "মজা" নেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে.. তাদের খানিকটা হলেও নিরাশ করবে । শুভ কামনা সবার জন্য ।
আন্তরিক ও সীমাহীন কৃতজ্ঞতা।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
লেখাটা পড়লাম। লেখার শুরুর দিকে একটু যে ভয় পায়নি তা বলবো না।
ব্যানার জিনিসটা কি আমি ঠিক জানি না। তবে দুটো জিনিস এখন সচলায়তনে নেই সেগুলি চাই : ১. পাঠকপ্রিয় লেখার তালিকাটা, ২. পাঠকপ্রিয় লেখকের তালিকাটা।
আর কী। সচল সচল থাকুক। থাকি আমরাও।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আমার মনে হয় এখনি ডেডি বক্স-এ লীপফ্রগ না করে আপনারা আরো সাশ্রয়ী একটি সমাধান-এর কথা ভেবে দেখতে পারেন - VPS।
ডেডিকেটেড হোস্টিং-এ অনেক গ্যাঞ্জাম, তার চেয়ে যথেষ্ট RAM + HDD + Bandwidth-এর VPS-এ হোস্ট করলে মনে হয় ভালো করবেন।
ভিপিএস-এর অনেক সুবিধা। আপনার ভিপিএস আপনি যখন খুশি তখন রিস্টার্ট করতে পারবেন। হাজারো রকম এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন, যদি কোন কিছু বিগড়ে যায় তাহলে সাথে সাথে একটি বাটন চেপে আগের VPS slice ডিলিট করে নতুন slice তৈরী করে নিতে পারবেন, মাত্র ২-৩ মিনিট লাগে... ব্যস! আপনার স্লাইস-এ একদম ফ্রেশ সিস্টেম রেডী! ডেডি বক্স-এ এরকম করা যায় না। অনেক ডেডি প্রোভাইডার ৪/৫টা রিবুট-এর জন্য মাসে ৩০+ ডলার চার্জ করে।
ভিপিএস-এর মাসিক ভাড়াও ডেডি-র চাইতে বহু গুণে কম। সচল-এর মাসিক ব্যান্ডুইথ দেখছি ১০০ গিগা-র কম। এত কম ট্রাফিকের জন্য ডেডি বক্স ওভারকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছি।
কিছু পার্সোনাল অপ্টিমাইজেশ্ন টিপস দিতে পারিঃ
ডেবিয়ান ব্যবহার করুন। মাত্র ৩ মেগা মেমরী লাগে বেইজ সিস্টেম চালাতে। যদি বেশি মেমরী থাকে তবে সেন্টওএস, সুসি, উবুন্টু বা ফেদোরা-ও ব্যবহার করতে পারেন।
আমার কোন ভিপিএস-এই কখনো অ্যাপাচে চালাইনা। অ্যাপাচে প্রচুর মেমরী খায়। ঠিক মত টিউন করতে না পারলে অ্যাপাচে একটি গরুর গাড়ির চেয়েও ধীর গতিতে চলে। বিজি সাইটে সিস্টেম লোড অনেক হাই থাকে। তাই আমি অ্যাপাচি-র বদলে অন্য লাইটওয়েট সার্ভার যেমন লাইটী (lighthttpd) বা এঞ্জিনেক্স (nginx) চালাই। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ এঞ্জিনেক্স - বুলেটের মত ফাস্ট ট্রান্সফার, ২-৪ মেবা মেমরী খায় মাত্র, সিস্টেমের লোড অ্যাভারেজ কখনোই বেশি হয় না। এঞ্জিনেক্স-এর জন্য দ্রুপাল-এর ক্লীন ইউআরএল রিরাইটিং রুলস পাবেন গুগ্ল করলে।
পিএইচপি চালাই ফাস্ট-সিজিয়াই হিসাবে। এঞ্জিনেক্স-এর সাথে php-fpm প্যাচ ভালো কাজ করে।
অপকোড ক্যাশ হিসাবে ইআক্সেলারেটর (eAccelerator) ব্যবহার করলে দারুণ হয়!
এছাড়া রিভার্স প্রক্সি/কন্টেন্ট ক্যাশ হিসাবে ভার্নিশ (varnishd) ব্যবহার করি। memcached-ও ব্যবহার করা যায়।
মাইসিকল-এর কুয়েরী ক্যাশ, সর্ট বাফার ইত্যাদি ঠিক মত কনফিগার করুন।
SSHd-এর বদলে ড্রপবিয়ার, BIND-এর বদলে টাইনীডিএনএস... অনেক মেমরী আর সিপিইউ বাচাবে।
আর যদি সম্ভব হয় সফটওয়্যারগুলো - এঞ্জিনেক্স, পিএইচপি, মাইসিকল - এগুলো ইন্টেল সি কম্পাইলার দিয়ে নিজে কাস্টোমাইজ করে কম্পাইল করলে দুর্দান্ত হবে! ডিস্ট্রোর প্যাকেজ গুলোতে বহু হাবিজবি জিনিষ থাকে যেগুলো কখনোই ইউজ করিনা আমরা। কাস্টোমাইজ করে আমার নোড-গুলোতে পিএইচপি/মাইসিকেল-এর মেমরী রিকোয়ারমেন্ট প্রায় ২৫-৩০% কমাতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া ইন্টেল-এর বাইনারীগুলো জিসিসি-র থেকে প্রায় ২০-৩০% দ্রুততর!
এবিষয়ে আমাদের প্রযুক্তি ফোরামে আপনার আর আলমগীর ভাইয়ের মতামতগুলি পড়েছি। কয়েকটা ব্যাপারে আপনার মতামত পেতে আমি আগ্রহী। যদি আপনার ইমেইল এড্রেস দিতেন, কিংবা আমাকে ইমেইল করতেন - এ তাহলে কথা বলা যেত। ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
চমৎকার গোছানো লেখা
সম্পূর্ন লেখাটা পড়ে যে মন্তব্যটা করবো ভাবছিলাম সেটা দেখছি আমার আগেই একজন করে গিয়েছেন।
আমি অনলাইন কম্যুনিটি ফোরামের সাথে জড়িত ( যদিও আজকাল সময় দিতে পারি না )। একসময় ওখানেও শেয়ার্ড সাইট নিয়ে হোস্টিং কোম্পানির ইতরামির শিকার হয়েছিলাম। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, ভালো গ্রোথের সাইটগুলির জন্য শেয়ার্ড আসলে একটা যন্ত্রনা। সে সময় অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম, পুরোপুরি ডেডিকেটেড সার্ভারে সুইচ করার আগে আমরা বহুদিন নিশ্চিন্তে ভি পি এস এ সুইচ করতে পারি। এখন পর্যন্ত অবশ্য ভিপিএস এ আরামেই আছি। সার্ভার শিফট করার সময় আমি না থাকতে পারায় এ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল এগজ্যাক্ট তথ্য দিতে পারবো না, তবে আমার ধারণা সেটা খুব বেশি প্রয়োজনীয়ও না।
এ ছাড়া উপরের মন্তব্যে চমৎকার কিছু মেমোরি-বান্ধব উপায় উঠে এসেছে।
খুব দ্রুত সুস্থ সচল - সবল সচল দেখার ব্যাপারে আশাবাদী।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
পরিস্থিতির ওপর চমৎকার এই আলোকপাতের জন্যে মুর্শেদকে জাঝা।
আমার আরেকটি পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, কোন ঘটনা ঘটামাত্র আমরা সেটা সম্পর্কে এমন একটা গোছানো "প্রতিবেদন" প্রত্যাশা করে ফেলি। এমন বিশ্লেষণ তাৎক্ষণিকভাবে ডেলিভারেবল নয়। যে কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনায় আমরা যদি শান্ত থাকি, এবং কিছু সময় ধৈর্য ধরি, তাহলে পরিস্থিতির বিশ্লেষণ সহজ হয়। সচলের ভাস্কররা তাঁদের অফিস ও পারিবারিক কাজের মধ্য থেকে সময় বার করে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের পেছনে ব্যয় করেন, কাজেই তাঁদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সমাধান, ব্যাখ্যা বা প্রতিশ্রুতি আশা করলে আমাদের হতাশা বাড়বে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে সচলের প্রতিটি সদস্যকে দ্রুত অবহিত করার জন্যে একটি কার্যকরী পন্থা অবলম্বন করা হবে, এবং এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বিশ্বাস করছি।
ইতোপূর্বে দু'টি বড় দুর্যোগে আমাদের সচল-পরিবারের সদস্যরা পরম ধৈর্য ও সাহসের সাথে একে অন্যকে ঘিরে থেকেছেন। একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে এজন্যে ধন্যবাদ জানাই তাঁদের সবাইকে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এইরকম একটা রিপোর্ট আগের বিপদের সময় করতে চেয়েছিলাম। বিষয়টা এতটা নাজুক হয়ে উঠেছিল যে আমি ভয় পাচ্ছিলাম কে কিভাবে নিতে পারে বিষয়টা। শেষ মেষ আর লেখা হয়ে উঠেনি।
আর হ্যাঁ আমি একমত যে সবাই শুরুতেই জানতে চান কি হয়েছে? কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ কেন? আসলে আমাদের সময় লেগে যায় কি ঘটেছে, কি করা যায় এসব বের করতে। তারপরও সচলদের ধৈর্য্যের প্রশংসা না করে পারছি না। আমার ধারনা সকলে কম করে হলেও ঘন্টায় ঘন্টায় পেইজ চেক করেছে সচলায়তন দেখার জন্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সচলের নেপথ্য এবং প্রকাশ্য সব কারিগর ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য আমার এক বুক ভালোবাসা উন্মুক্ত রইলো। এর বাইরে আমি একটা ঠুঁটো জগন্নাথ। অতএব ভালে থাকুন সবাই। সচল থাকুন এবং সচলকে সবসময় সচল রাখুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ফাটাফাটি পোষ্ট
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
সচলায়তনের সচলত্বের জন্য নেপথ্য সচলদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
অর্থনৈতিক সাহায্য না
কিন্তু সচলায়তনের একটা আয়ের রাস্তা বের করা বোধহয় দরকার
লাভের জন্য না
সচলায়তনের খরচের জন্য সচলায়তনের কিছু আয়
পকেটের পয়সা দিয়ে সাইট চালানোর অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু সংগঠন করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি একটা সময় টাকার টান পড়ে না কিন্তু এক ধরনের ক্লান্তি চলে আসে দিনের পর দিন অনুদান দিতে দিতে
কিন্তু সচলায়তন দিনে দিনে একটা প্রতিষ্ঠানের রূপ নিচ্ছে
একটা প্রতিষ্ঠান নিজের আয়ে চলার মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি যেমন আছে তেমনি সৌন্দর্যও আছে
সচলায়তন কিছু শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন চালু করতে পারে
একেবারে নির্ধারিত বিষয়ে
যে বিষয়গুলো সচলায়তনের সাথে কনফ্লিক্ট করে না
পরীক্ষামূলকভাবে করে দেখা যেতে পারে
০২
আমি আবারও বলি
সচলাতনের নিজের আয় থাকা উচিত এর ভবিষ্যতের জন্যই
নতুন মন্তব্য করুন