ওয়াশিংটন ডিসি বেড়িয়ে এসে (১/৩) - জনৈক সচল পরিবারের সাথে মোলাকাত

কিছুদিন একসাথে থাকলে মানুষের মধ্যে এমন কি যে কোন প্রাণীর মধ্যেই যে জিনিসটা জন্মায়, তার নাম মায়া। সংক্ষিপ্ত অর্থে নয়, বিস্তৃত অর্থে এই মায়াটা এক অদ্ভুত জিনিস। দূরকে কাছে টানে, পরকে আপন করে, এবং চেনাকে করে বিস্ময়।
এখানে সচলে যাঁরা আছেন, সবার মন মানসিকতায় বড় কোন ভিন্নতা আছে কি ? নেই। বরং মিলটাই তো বেশি চোখে পড়ে। এটাই সম্ভবত অন্য যেকোন ব্লগের সাথে সচলের উল্লেখযোগ্য একটা পার্থক্য।
নিবিড় বন্ধনে জড়ানো একটা পরিবার।

সেই সচলযুগলের জন্য একরাশ অভিনন্দন।

এরপরে?

ক্যামনে কি !! একই সময়ে তো আমি একই জায়গায় ছিলাম। ধুর

থাকিবার জায়গার অভাবে অধম মন ভরিয়া ডিসি ঘুরিতে পারে নাই।

ভালো লাগলো। ডেট্রেয়েটের আশেপাশে কখনো এলে এপাড়ে একটু ঢুঁ মেরে যাইয়েন। দারুণ সুন্দর রিভারসাইড ড্রাইভ আছে, সেখানে আছে স্কাল্পচার গার্ডেন আর এ্যাম্বাসাডর ব্রীজ। আর আছে ডেট্রয়েট নদীর তীরের নয়াভিরাম রাতের দৃশ্য। খাওয়াবো আলু ভর্তা আর গরুর মাংস দিয়ে ভাত সাথে শিমের ভাজি আর টাকি মাছের ভর্তা।

মাহবুব মোর্শেদ - ইয়ে, মানে আমি সেই ব্লগারের পরিচয় বুঝতে পেরেছি তিঁনি/তাঁরা আমার সাথে যোগাযোগ করলে খুব খুশি হই।

যাই হোক, এর পরেরবার ডি সি ভ্রমণের সময় আমার বাড়িতেও আতিথ্যের নিমন্ত্রণ রইলো। রাস্তা থেকে পিক করতেও পারবো এবং থাকতেও দিতে পারবো

ইশ্তিয়াক রউফ - এটা কি বললেন? আপনাকে না বলেছিলাম আপনার মা আর বোনকে নিয়ে আমার বাসায় আসতে?? আপনার থাকার জায়গা দরকার একবার বললেন না কেন? কি আশ্চর্য্য!!!

উনাদের পরিচয়টা যদি একটু গোপনে গোপনে আমারে দিতেন!
আহ! বর্ণণা শুইনাই বুঝছি, উনারা বড়ই ভালো মানুষ!
(আর সেই সাথে কোন স্টেটে কে কে আছে, এই গোপন লিস্টিটা ও যদি একটু দিতেন...আমেরিকাডা এট্টু ঘুইরা দেখতে মন চায় )
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

সামনের বছর আম্রিকা যামু, আপ্নেরা সবার এড্ড্রেস দিয়ে দিয়েন। বারবার চাইতে ল্জজা করে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

সিরিজ চলুক, পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল লাগছে খুব।

গত বছর লেবার ডে'তে আমি ডিসি থেকে ফিলিতে গেছিলাম খালি লেবার ডে'র কর্মসূচীতে যোগ দেয়ার জন্য। অনেক উপভোগ্য ছিল কর্মসূচীগুলো। এইবার কেমন হলো জানিনা....

এরপরে যখন আম্রিকা যামু আপনেগো সবার কথা মাথায় রাখুম। দেখা করবার না পারি ফোনে কথা তো কইবার পারুম

কল্পনা আক্তার

.......................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ওয়াশিংটনের "জনৈক সচল পরিবার" সত্যিকার অর্থেই অতি সজ্জন। আমি যখন নিউইয়র্কে থাকতাম তখন এই "জনৈক সচল পরিবারের" সকল সদস্য/সদস্যা নিজের গরজে ও নিজের খরচে আমার সাথে দেখা করেছিল।

আপনাদের ছবিগুলা আসলেই চমৎকার আসছে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

কি তেলেসমাতি... আজ সকালে আমিও এরকমই ভাবছিলাম।

আসলেই... নেটে পরিচিত বন্ধুরা কতো তাড়াতাড়ি আপন হয়ে যায়।

একবছরে এই সচলদের সঙ্গেই তো কেবল সার্বক্ষনিক যোগাযোগ... আর কারো সঙ্গেই এতো বেশি সময় কাটানো হয় না তো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

'ওয়াশিংটনের জনৈক সচল' আমার আপত্তি এই যায়গায়। এইসব পর্দার আমি ঘোর বিরোধী।

বর্ণনা উপাদেয় হচ্ছে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

লেখা পড়ে মজা পেলাম।

যান আপনারা ঘুরেন এসি-ডিসি। আমি আপতত সুন্দরবনের একটা বিস্তারিত ট্যুর নিয়েই চিন্তিত।

সচলায়তন যে কিভাবে আমাদেরকে আপন করে তুলেছে তা মাঝে মাঝেই ভেবে আপ্লুত হয়ে যাই। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। কয়েকটা ছবি এখানে দিলেও পারতেন।

আর "জনৈক সচল ব্লগার" এর ছদ্মনামটা তো অন্তত বলতে পারেন। আশা করি এতে তাঁরা আপত্তি করবেন না। আমাদের নিজেদের ঘরের মানুষ নিয়ে এতো রাখঢাক করলে চলে!
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

অতন্দ্র প্রহরীর মত আমারও একই প্রশ্ন...ছদ্মনামটা কওন যায় না?
-------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

কইলেও কি কিছু যায় আসে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি