দুপুরের দিকে সিদ্ধার্থ আমার কিউবিকলে উঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করল লাঞ্চে যাবো কিনা। ইদানীং বাইরে খাবার ব্যাপারটা কমাতে চাচ্ছি। বাইরে বাইরে খেয়ে মুটিয়ে যাচ্ছি। সাধারনতঃ বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসি। বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আজ আর নিয়ম করে খাবার আনা হয়নি। সিদ্ধার্থের সাথেও আড্ডা দেয়া হয় না অনেকদিন। তাই রাজি হয়ে গেলাম।
কথায় কথায় জানলাম তার সদ্য কেনা ২০০৭ টয়োটা ক্যামরিটা হরিনীদের কবলে পড়েছিল কদিন আগে। শীতের মাঝে কয়েকদিন ধরে রৌদ্রাজ্জ্বল দিনের সূচনায় হরিনীরা বিহারে বের হয়। তারা রাস্তার চলন্ত গাড়ির থোড়াই কেয়ার করেন। পটাপট রাস্তায় নেমে পড়েন পার হবার উদ্দ্যেশে। গাড়ী তাদের হিট করলে হরিনী হয়ত আহত কিংবা মৃত হয়, সেই সাথে বিরাট ক্ষতি হয় গাড়ীর মালিকের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভচকে যাওয়া গাড়ি বাতিলের খাতায় তুলতে হয়।
সিদ্ধার্থ জানালো সে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ রাস্তা পার হতে চাওয়া হরিনীরা হুড়মুড়িয়ে তার গাড়ির উপর এসে পড়ে। সে গাড়ি থামিয়ে দিয়েছিল। হরিনীরা লাত্থিয়ে তার গাড়ির পেছন দিকটা ভচকে দিয়েছে। সে ভয় পাচ্ছিল যদি সামনের উইন্ডশিল্ডে একটা লাফিয়ে পড়ে তাহলে তো কাঁচ ভেঙ্গে তার গায়ের উপর পড়বে। তখন লাত্থিয়ে তাকে কি করবে কে জানে। সে জানাল কোন এক লোক নাকি এই ভাবে মারাও গিয়েছে। তবে এ যাত্রায় তেমন কিছু হয়নি সিদ্ধার্থের। গাড়ীর পেছনের লাইট আর বাম্পার বদল বাবদ সাতশ টাকা গুনতে হবে।
সিদ্ধার্থের গল্প শুনে আমার নিজের কয়েকটি ঘটনার কথা মনে পড়ল। প্রায় দুই সপ্তাহ পর পর হুইলিং, কলম্বাস, সিনসিনাটি পার হয়ে আমাকে আমার স্ত্রী কাছে ইন্ডিয়ানা যেতে হয়। সে সেখানে চাকুরী করে। যাত্রার সময় প্রায়ই রাস্তায় মরা হরিনী দেখি। একবার সিনসিনাটি থেকে কলম্বাস আসার পথে দেখি ঝোপ থেকে এক হরিনী উঁকি ঝুঁকি মারছে। যেন পারলে গাড়িকে গুঁতিয়ে উড়িয়ে দিবে। এসব নিয়ে মনে মনে একটা গল্পও ফেঁদে বসেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে যে এতো ভয়াবহ সেটা আন্দাজ করতে পারিনি!
সিদ্ধার্থের ঘটনার সময়টাতে আমি আর আমার স্ত্রী (সে তখন আমার এখানে) বাসায় ফেরার পথে হরিনীদের রাস্তা পার হতে দেখেছিলাম। গাড়ী থামিয়ে কৌতুক ভরা চোখে পর্যবেক্ষণ করছিলাম আমরা। কিন্তু সিদ্ধার্থ গল্পটা বলার পর পরই সেদিন যখন আবার হরিনী দেখলাম, আতঙ্কে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল! ভাল সমস্যা হল দেখি!!
ইন্টারনেট ঘেঁটে যা বুঝলাম তা হল, এদের ঠেকানোর তেমন ভালো কোন উপায় নেই। জানা গেল হরিনীরা শীতের মাঝখানে হঠাৎ গরম পড়লে দিশেহারা হয়ে রাস্তায় নামে। তারা রাস্তায় নামে সাধারনত সন্ধ্যায়, গোধুলীর আলোয়। এনারা বড়ই রোমান্টিক মনে হয়! তবে গাড়ীর আলো হাই বীমে চোখে ফেললে ভড়কে যায়। অথচ ফ্রী ওয়েতে এতো জোরে গাড়ী চলে যে হরিনী সামনে চলে এলে থামানোর কোন উপায় নেই। কোন কোন কোম্পানী ডিফলেক্টর নামের একটা জিনিস বিক্রী করে। সম্ভবত কোটিং মত করে গাড়িতে গায়ে লাগাতে হয়। আলোর ঝলকানী লেগে হরিনী ঘাবড়ে গিয়ে আগায় না। কিন্তু বাস্তবে অতটা ইফেক্টিভ না। সুতরাং সাবধান হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। জ্বালা!
আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। আমেরিকানরা এত সভ্য হয়েছে তবু ওয়াইল্ড লাইফটাকে কিভাবে বাচিঁয়ে রেখেছে! শহর আর বন ওতপ্রোত ভাবে জড়ানো। আমরা হলে কবেই মেরে শেষ করে দিতাম!
এরা যে একেবারেই মারে না তা নয়। হান্টিংয়ের সিজন করে দেয়া আছে। সেই সিজনে লাইসেন্স কিনে রীতিমত বন্দুক নিয়ে হান্টিংয়ে বের হয়। লাইসেন্সে যতটুকু এলাউড আছে তার এদিক ওদিক করে না।
আর আমরা? সুন্দর বন বলে একটা জায়গা আছে আমাদের। বছর আটেকেরও বেশী আগে একবার সেখানে দুদিন ঘুরে মাত্র কটা হরিনীর দেখা পেয়েছিলাম আমরা বন্ধুরা। বাকি প্রানীদের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
কবে যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমাদের মতি হবে!!
মন্তব্য
সাংঘাতিক ব্যাপার।
পরিচিত একজন গল্প করেছিলেন বাংলাদেশে এরকম চলতি পথে গাড়ীর নিচে বেশি চাপা পড়ে কুকুর আর ছাগল। তবে কুকুর খুব রিস্কি। মারাত্মক চর্বি থাকায় গাড়ীসহ জীবন বিনাশের সমূহ সম্ভবনা আছে।
কুকুরের মারা পড়তে দেখেছি। তবে হাইওয়েতে হলে বড় বাসের নীচে পড়লে এক্সিডেন্ট জনিত সমস্যা হবার সম্ভাবনা কম।
আরেকটা ব্যাপার আমাকে ভাবায়। বাংলাদেশে হাইওয়েতে এক্সিডেন্ট হবার অন্যতম কারন কি কি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১) অনিয়ন্ত্রিত ড্রাইভিং
২) অপ্রশস্ত সড়ক
৩) যানবাহনের গোলযোগ
একবার পেপারে পড়ছিলাম, বর্ষাকালে বেশি দূর্ঘটনার কারণ হলো হাইওয়েতে যে ম্যাটারিয়াল দেয়া হয় সেগুলো স্থায়িত্বের জন্য ভালো কিন্তু বর্ষার পানিতে রাস্তা পিচ্ছিল করে খুব। সওজ এর চাহিদায় রোড কনস্ট্রাকশনে নাকি স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চাওয়া হয়, এই জন্য কনট্রাক্টিং কোম্পানিও এই কাজ করে। সংশ্লিষ্ট কেউ হয়তো আরও ভালো বলতে পারবেন।
দূর্ঘটনা যদি গাড়ী বনাম মানুষ হয় তবে আসল কারণটা...
পথচারীদের রাস্তা ব্যবহার সংক্রান্ত জ্ঞান শূন্যের কোঠায়।
জাপানে দেখেছিলাম যে বাচ্চাদের সেই ডে-কেয়ারের ৩/৪র্থ বছর থেকেই রাস্তা ব্যবহাররে নিয়ম শেখায়। পথচারী পারাপার থাকলে সেখানে রাস্তা পার হওয়ার সিগনাল দিলেই তবে তারা ফুটপাথ থেকে রাস্তায় পা রাখে এবং এক হাত তুলে থামার জন্য সিগনাল দিয়ে রেখে রাস্তা পার হয় ... (যদি কেউ সিগনাল মিস করে অন্তত হাত দেখে থামবে)। যেখানে সিগনাল নাই সেখানেও খুব ভালভাবে দেখে হাত তুলে তবেই পার হয়।
এমনকি একবার রাত্রে দুরের এক শহর থেকে ফেরার পথে একটা সিগনালে থেমে অবাক হলাম .... একটা ছাড়া বেড়াল সিগনাল পড়ার আগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল ... সিগনাল পড়াতে গাড়ি থামালাম - আর ওটা জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হল। ওখানে ঐ বেড়াল ছাড়া কোনো মানুষ ছিল না।
===
গুলশান ২ নং ক্রসিংটা পার হওয়ার সময় প্রতিদিন বিরক্ত হই। একেই তো লোকজন সিগনাল মানে না ... যেই রাস্তাটায় সবুজ সিগনাল সেখান দিয়েই পার হওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায় সবার ... ফলে এফিসিয়েন্সি কমে যায়।
এছাড়া কিছু মফিজ তো দেখি ইন্টারসেকশনের মাঝ দিয়ে কোনাকুনি রাস্তা পার হয় (নদী পার হওয়া স্টাইলে)।
গতকাল ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু সময়াভাবে ছবি তোলা হয় নাই। নেক্সট কোন দিন হয়তো তুলে পোস্ট করবো।
===
বর্ষাকালে রাস্তা ভেজা থাকলে স্পীড লিমিট কমে যায়। আগে যেখানে ১০০ কিমি/ঘন্টা বেগে চালানো যেত সেখানে ৮০ কিমি/ঘন্টার বেশি চালানো যাবে না। এই থাম্ব রুল যে সকল চালক জানে/মানে না তারা তো দূর্ঘটনায় পড়বেই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হে হে.. এই ওকলাহোমাতে মানুষের ঘরের আশেপাশে হরিণ দেখা যায় (সাবার্বানে বাসা হলে)...
রাতের বেলা রীতিমতন আতঙ্কিত থাকি হরিণ নিয়ে... স্পেশালি যেখানে সাইন থাকে "ডিয়ার ক্রসিং".... এখনো সামনে পরিনাই... আপাতত আমার নিরীহ খুনের তালিকায় একটা বৃহদাকার পেঁচা আর একটা শজারুর ন্যায় প্রানী আছে .... ক্যান নট কম্পলেন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনে তো তাহলে শজারু খুনী! সাবধানে থাইকেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি তো প্রথমে মনে করেছিলাম যে এই হরিনী হল তরুনীরা... হা হা হা
...বর্ণচোরা
মিয়া!! যার মনে যা ফাল দিয়া উঠে তা...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এখানে একই কান্ড হয়, তবে হরিণ না, ক্যাঙারুর সাথে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ক্যাঙারুর ছবি পুষ্টাও ম্যান। আবার ভুল করে তোমার ছবি দিও না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই কাণ্ড দেশেও ঘটে। তবে মরে মানব আর মানবীরা, যাদের ভেতরে হয়তো হরিণ বাস করে।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঘন্টায় ৬৫ মাইল বেগে চলতে থাকা গাড়ি এবং হরিণের সংঘর্ষের পর হরিণটা নিহত না শুধু আহত অবস্থায় ছিটকে গিয়েছিলো তা বলতে পারবো না, তবে আমার গাড়িখানা যে ভচ্কে গেছিলো তাতে কোন সন্দেহ নাই। ওই গাড়ি বদলাতে হয়েছিলো
উপস্। সরি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্যে আছে গর্ভবতী একটা বিড়াল আর কুকুর। আর একবার সিরাজগঞ্জে যমুনা ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডে এক বিদঘুটে অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। ওখানে রাস্তার ওপর কবুতর চরে বেড়ায়, শস্যদানা খায় খুঁটে খুঁটে। আমার গাড়ি চলছিলো বিপুল বেগে। শেষ মূহুর্তে একটা কবুতর আর সরতে পারেনি, চাকায় লেগে তার সব পালক খুলে গেলো শরীর থেকে। আমি হঠাৎ দেখলাম জানালার পাশে পালকের ফোয়ারা উঠেছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
গর্ভবতী বিড়ালটার কথা শুনে খারাপ লাগছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এরকম একটি ঘটনাই আমি দেখেছি। ঘুঘু পাখি বিষয়ক।
ভয়ানক খবর। যাহোক, আপনাদের ওদিকে গেলে সন্ধ্যার আগেই যেতে হবে দেখছি। একটা বিষয়-- এগুলো যে হরিণী তা বুঝলেন কী করে? হরিণও হতে পারে? শিং (না) দেখে?
বড় মৌলিক প্রশ্ন..! কেন সেটা হরিণীই হবে..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শিং ওয়ালা ছিল খুবই কম। মায়াবতী চেহারার কারনে হরিন না বলে হরিনী বলা যুক্তি যুক্ত মনে করেছি। আর কনট্রাস্টটাও ভাল হয় (মায়াবতী হরিনীর বিধ্বংসী আক্রমন)।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরেকটা প্রশ্ন-- হরিণের আক্রমনে গাড়ি ভচকে গেলে অনেকেই বলেছেন গাড়ি বদলাতে হয়েছে। তো বদলানোটা কি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে? নাকি এসব কাভার করেনা?
ইন্সুরেন্স কোমাপ্নি কাভার করতো যদি আমাদের 'টোটাল কাভারেজ' থাকতো। আমরা তখন গরীব (এখনো, অবশ্য) স্টুডেন্ট - শুধু 'লায়াবিলিটি' ছিলো। কাজেই, গাড়িটা গচ্চাই গেছিলো
ইন্সুরেন্সের সাথে "কলিশন কাভারেজ" থাকতে লাগে। এর মানে হচ্ছে, "যদি আপনার গাড়ি কোন অবজেক্টের সাথে ধাক্কা খায় তাহলে এই ইন্সুরেন্স সেটা কাভার করবে"।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ওহ্ এই কথা! আমি ভাবলাম ভাবী আরেক শহরে থাকে এই সুযোগে কোন হরিণী বুঝি মা'মুকে আক্রমণ করেছে!
- জনগণকে আবেদন জানাই 'মা.মু'র স্থলে 'মেম্বর' পড়ার জন্য। (এবং এইটা সত্যি কথা)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মেম্বরের যা চেহারা! হরিনী আইবো না, আইলে অন্য কিছুই আইবো!!
- গঠনা মনে হৈতাছে কিঞ্চিৎ সইত্য। ঝাইরা কাশেন মেম্বর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সইত্য হইলে অনেক আগেই ঝাইড়া কাশতাম হে গমচোরা মেম্বর।
- আয়না লইয়া ব্লগান নাকি মিয়া?
অফটপিকঃ [বউয়ের ডর বড়ই ভয়াভহ ডর - জাকাজা]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ! বউয়ের ডর বড়ই ভয়াবহ ডর এবং এই ডরেই ধুসর গোধূলি বিয়ে করে না।
- আপনেরে দেইখাই আত্তি পুরছে। মিয়া, 'বাল' বলে পিডা খায়া তো হাশপাতালে পইড়া থাকেন মাসে ছয়বার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাক এতদিন পরে একটা রহস্যের সমাধান পেলাম। "মেম্বর" কে সেটা পাওয়া গেল। আরগুলো কবে সমাধান হয় দেখা যাক
- অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন যখন এখানে সেখানে চলে যেতাম তখন এরকম বিচিত্র অভিজ্ঞতা হতো। কান্ট্রিসাইডে চলে গেলে বিস্তীর্ণ সব হাইওয়ের পাশে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো থাকে, "ভাইসব সাবধান থাকেন, সামনের দশ কিলোমিটার জুড়ে ক্যাঙ্গারু হুজুরেরা রাস্তা পার হতে পারেন!"
এরকমই একবার হিউম হাইওয়েতে একটা ওয়ালাবি'র (ছোট ক্যাঙ্গারু) সাথে ধাক্কা লেগেছিলো গাড়ির। আমি অনেক দূর থেকেই দেখছিলাম নাচতে নাচতে ব্যাটা ঢুকে যাচ্ছে রাস্তায়। আমি হেড লাইট মারি, ভেঁপু বাজাই, হাত দিয়ে ইশারা করি, 'সর ব্যাটা, সইরা খাড়া', ব্রেকে পা চেপে ধরি, লেইন বদলে এগুতে থাকি... কিন্তু ব্যাটা আমার গাড়ির দিকে একবার চোখ দিয়েও অত্যন্ত তাচ্ছিল্য দেখিয়ে হাঁটা থামায় নি। ফলাফল, ১১০ এ ছুটতে থাকা গাড়ির সামনের কোণায় যখন ব্যাটার নাক বাড়ি খায় তখন ৭০ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিছুদূর গিয়ে গতিজড়তাকে বুড়া আঙুল দেখিয়ে যখন রাস্তার পাশে থামি, আশংকা নিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি তিনি উঠে দাঁড়িয়েছেন। এদিক ওদিক দেখে মাথাটা একটু ঝাঁকি দিয়ে আবার লাফাতে লাফাতে চলে গেলেন পাশের জঙ্গলে।
আমি বলি শালা, ফেরত-ই যদি যাবি তাইলে হালায় আগে গেলি না ক্যান!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এরকম ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়েও আপনি রসিকতা করছেন... পড়তেই ভয় লাগছিল।
আর লন্ডনে হলো শেয়াল।
তারা অবশ্য গাড়ী রাস্তা খুব একটা পার হননা।
আবাসিক এলাকাতেই মনের আনন্দে ঘোরাঘুরি করেন।
আমাদের দেখলে হেলেদুলে সরে যান
একবার গিয়েছিলাম মির্জা রনি ভাইয়ার বাসায়।
গার্ডেনে একটা ছোট্ট ঘরমতো দেখে জিগ্গেস করলাম এটা কি।
বললো শেয়ালের বাসা।
আমি বললাম, সকি আপনারা শেয়াল পালেন?
উনি বললেন, শেয়ালের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয় সেই আমাদের পালে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রেঞ্জাররা এইসব হরিণ মেরে ফেলে না?
এখানেও একই সমস্যা। পিটারব্রোতে প্রায়ই হরিণ দেখতাম।
অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে এই স্যুভেনিরটা কিনে এনেছিলাম। দরজায় লটকানো আছে।
ক্যাঙ্গারুর স্টেক খেয়েছি। মজাই তো আছে। হরিণ, মুজ, বাইসনের বার্গারও খারাপ লাগে নাই।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন