দিনকে দিন আমাদের ডিজিটাল তথ্যের ভান্ডার বাড়ছেই। ছবিগুলো সব ডিজিটাল, ভিডিওগুলি ডিজিটাল, লেখালেখিগুলো ডিজটাল, আপনার গানের সংগ্রহগুলি, নাটক, সিনেমার ভিডিও সংগ্রহ, কনটাক্ট এড্রেসগুলি, পাসপোর্ট, ভিসা, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ইলেকট্রনিক বিল, পড়াশোনার ডকুমেন্ট, প্রজেক্টের তথ্য, অফিসের তথ্য সবকিছু ডিজিটাল। আপনার হার্ডড্রাইভের কোন কোনায় হয়ত পড়ে রয়েছে সেগুলি। আপনিও নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন কোন কালেই কিছু হবে না তথ্য গুলির। কখনও সখনও হয়ত একটা দুটা সিডি কিংবা নিদেন পক্ষে কয়েকটা ডিভিডি রাইট করেছেন। কিন্তু একেবার সাম্প্রতিক তথ্যগুলি শুধু মাত্র আপনার হার্ডড্রাইভে পড়ে আছে। আর কোথাও কোন কপি নেই।
এই তথ্যগুলির নিশ্চয়তা কোথায়? আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস ধরলে, কোন কারনে অপারেটিং সিস্টেম কোরাপ্টেড হয়ে পড়লে কিংবা হার্ডড্রাইভ ক্র্যাশ করলে কি উপায়? বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তথ্যগুলি হারানো ছাড়া কোন উপায় নেই!! কি হবে আপনার বিয়ের সময়কার ছবিগুলির? কিংবা বন্ধুদের সাথে ঘুরবার সময়কার ভিডিওগুলি? গিগার পর গিগা গানগুলির কি হবে? এত কষ্ট করে যে এম পি থ্রী গুলোর মধ্যে ID3 ট্যাগ জুড়েছেন সেগুলোর কি হবে? কিংবা আপনার পিএইচডি থিসিস? রিসার্চের গিগা গিগা ডাটা?
অপটিক্যাল ব্যাকআপ
মাঝে মাঝে হয়ত সিডি বা ডিভিডিতে ব্যাকআপ করতে পারেন। কিন্তু আপনার তথ্যের পরিমানের তুলনায় সিডি, ডিভিডির আকার নিতান্তই অপ্রতুল। আপনার মোট তথ্যের পরিমান ১০০ গিগা হলে, ৪.৭ গিগার ২২ টি ডিভিডি এবং ৭০০ মেগার ১৪৩ টি সিডি লাগবে নিয়মিত। ৫ মিনিট করে বার্ন করতে সময় লাগলে ১৪৩ টি সিডি বার্ন করতে সময় লাগবে ১২ ঘন্টা। আবার কয়েক মাসের মধ্যেই সিডি বা ডিভিডি ব্যাকআপ গুলি আউটডেটেড হয়ে যায়। সুতরাং এগুলো রিলায়েবল না।
সম্প্রতি ব্লুরে ডিস্কগুলি হাতের নাগালে আসতে শুরু করেছে। এগুলির ধারণ ক্ষমতা ২৫ থেকে ৫০ (ডুয়াল লেয়ার) গিগা। তবে সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য হাতের নাগালে আসতে আরো বছর খানেক লাগবে।
এখনো ডেভলপমেন্ট চলছে এমন হলোগ্রাফিক ভার্সেটাইল ডিস্কের (HVD) ধারণ ক্ষমতা ৪ টেরাবাইট পর্যন্ত যেতে পারে। তাছাড়া LS-R, প্রোটেইন কোডেড এরকম বিভিন্ন রকম ডিস্ক আসবে ভবিষ্যতে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় যে, অপটিক্যাল ডিস্ক প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় সব সময় পিছিয়ে আছে। তাই ব্যাকআপের জন্য এটা খুব কনভিনিয়েন্ট কোন মাধ্যম না।
অন্যান্য মিডিয়া
ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, বিভিন্ন ধরনের মেমোরী কার্ড (কমপ্যাক্ট ফ্ল্যাশ, এসডি, এমএমসি), সলিড স্টেইট ড্রাইভের নাম মাথায় আসলেও প্রয়োজনের তুলনায় এর আকার অপ্রতুল এবং দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদের মধ্যে সলিড স্টেইট ড্রাইভের (SSD) ভবিষ্যত বেশ ভালো হলেও এখনও দাম অনেক বেশী। SSDর সুবিধা হচ্ছে হার্ডড্রাইভের মতো এতে ড়্যান্ডম এক্সেস করা যায়, অথচ হার্ড ড্রাইভের মত মেকানিক্যাল ডিভাইসের উপর নির্ভর করতে হয়না বলে দুর্দান্ত রিলায়েবল।
হার্ডড্রাইভ এবং রেইড
তবে ইদানীং হার্ডড্রাইভ খুব সস্থা হয়ে যাচ্ছে। মুরের সুত্রানুযায়ী কম্পিউটার প্রসেসরের মত হার্ডড্রাইভের ধারণ ক্ষমতাও বাড়ছে এক্সপোনেনশিয়ালী। ইদানীং ৫০০ গিগা বা এক টেরা বাইটের হার্ড ড্রাইভ পানির দরে পাওয়া যায়। তাই হার্ডড্রাইভ ভিত্তিক তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি খুব কাজের প্রমানিত হতে পারে।
হার্ডড্রাইভের সমস্যা হচ্ছে এতে মেকানিক্যাল পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। একটা ঘুর্ণায়মান ডিস্কে একটা মেকানিক্যাল বাহু ম্যাগনেটিক হেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ০ কে ১ আর ১ কে ০ বানায়। তাই হার্ডড্রাইভ তুলানামূলকভাবে স্লো এবং ফেইলিওর রেইট অনেক বেশী (১, ২, ৩)।
হার্ডড্রাইভের ফেইলিওর যদি কাটিয়ে ওঠা যায় তাহলে তুলনামূলক ভাবে খানিকটা স্লো হলেও বেশ উপকারী হয়ে উঠতে পারে দামে সস্তা এই হার্ডড্রাইভ। ঠিক এই কথা মাথায় রেখেই ১৯৮৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ বার্কলের কয়েকজন প্রফেসর রেইড (RAID - Redundant Array of Inexpensive Disks) বা বাংলায় 'প্রয়োজনাতিরিক্ত সহজলভ্য ডিস্কের সংযোগ' নামে একটি পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এই পদ্ধতিতে সাধারণ কম্পিউটারে একাধিক হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করে দুর্দান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি তৈরী করা সম্ভব।
বিভিন্ন ধরনের রেইড পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও সাধারন ব্যবহারকারীর জন্য রেইড ১ আর ৫ এর ব্যবহার জানলেই চলে।
রেইড ১ হচ্ছে খুব সাধারন ডিস্ক মিরর পদ্ধতি। এক্ষেত্রে কমপক্ষে দুটি ডিস্ক থাকা প্রয়োজন। এর বেশী হলে জোড় সংখ্যক ডিস্ক লাগবে। এ পদ্ধতিতে প্রথম ডিস্ককে দ্বিতীয় ডিস্কে কপি করে রাখা হয়। জোড়া ডিস্কের একটা ফেইল করলে আরেকটা ব্যবহার যোগ্য থাকবে। মোট ধারণক্ষমতা জোড়া ডিস্কের একটার সমান। অর্থাৎ ২৫০ গিগার দুটা (মোট ৫০০ গিগা) হার্ড ড্রাইভ রেইড ১ এ সংরক্ষণ করলে আপনি পাবেন ২৫০ গিগা ব্যবহারযোগ্য ডিস্ক স্পেস।
রেইড ৫ এ কমপক্ষে তিনটি হার্ডড্রাইভ দরকার হয়। এক্ষেত্রে যদি nটি ড্রাইভ ব্যবহার করা হয় তাহলে n-1টি ড্রাইভে n-1 টুকরো তথ্য রাখা হয় এবং এদের প্যারিটি nতম তথ্য হিসেবে চক্রাকারে নির্ধারিত একটা ড্রাইভে সংরক্ষণ করা হয়। এই অতিরিক্ত প্যারিটিই হার্ডড্রাইভ ফেইলিওর হলে পরে তথ্য পুনঃরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। মোট ডিস্ক স্পেস হল n-1টি ড্রাইভের সমষ্টি। অর্থাৎ ২৫০ গিগার তিনটি হার্ড ড্রাইভ (মোট ৭৫০ গিগা) ব্যবহার করে রেইড ৫ সিস্টেম তৈরী করলে তার মধ্যে ৫০০ গিগা ব্যবহারযোগ্য হবে। এর মধ্যে একটা হার্ডড্রাইভ ফেইল করলে ইউজার এন্ড থেকে কোন পার্থক্য টের পাওয়া যাবে না। তবে দ্বিতীয় হার্ড ড্রাইভ ফেইল করলে পরে আর তথ্য উদ্ধার সম্ভব হবে না।
সাধারন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি প্রথমে ঠিক করুন আপনার কতটা হার্ডড্রাইভ স্পেস দরকার। তবে এক্ষেত্রে অনেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হিসাব করে ফেলেন। আমার মত ডাটা স্যাভি ব্যবহারকারীর কিন্তু ২৫০ গিগাতে কাজ চলে যায়। আমি ধরে নেই আপনারও ২৫০ গিগাতে কাজ চলে যাবে।
রেইড ১ করতে চাইলে আপনার দুটি ২৫০ গিগার হার্ড ড্রাইভ লাগবে। রেইড ৫ করতে লাগবে ১২৫ গিগার ৩ টি। তাছাড়া রেইড সক্ষম হার্ডওয়্যারও লাগতে পারে।
অভ্যন্তরীন বা ইন্টারনাল হার্ডড্রাইভ ভিত্তিক রেইড সমাধান
আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে রেইড ক্ষমতা সংযুক্ত থাকলে আপনার প্রাইমারী হার্ডড্রাইভের পাশাপাশি জুড়ে নিতে পারেন রেইডের জন্য কেনা হার্ডড্রাইভগুলি। তারপর দরকার হবে মাদারর্বোড স্পেসিফিক কিছু কনফিগারেশন এবং সফটওয়্যারের কিছু কনফিগারেশন। বেস্ট হয় আপনার মাদারবোর্ডের ম্যানুয়াল দেখে নিলে।
তাছাড়া শুধু সফটওয়্যার ব্যবহার করেও এটা করা যায়। লিনাক্সে সফটওয়্যার রেইডের জন্য এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন।
এক্সটার্নাল নেটওর্য়াক ভিত্তিক রেইড সমাধান
কিছু কিছু নেটওর্য়াক ভিত্তিক এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভে রেইড ক্ষমতা বিল্টইন থাকে। এরকম একটা সস্তা হার্ড ড্রাইভ হল সিম্পলশেয়ার (SimpleShare)। এটি ব্যবহার করে খুব সস্তায় নেটওর্য়াক ভিত্তিক হার্ডড্রাইভ রেইড সিস্টেম তৈরী করা যায়।
আমি ৫০০ গিগার একটা সিম্পল শেয়ারের সাথে আরেকটি ৫০০গিগার একমডাটার হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করে একটা রেইড ১ সিস্টেম ব্যবহার করি। আমার কুর্কমের কিছু আলোচনা এখানে পাওয়া যাবে।
তাছাড়া প্রচুর কর্মাশিয়াল রেইড ভিত্তিক সিস্টেমও কিন্ত পাওয়া যায়। যদিও সেগুলো সাধারন ব্যবহারকারীদের ধরা ছোঁওয়ার অনেক বাইরে।
সুতরাং লাখ টাকার প্রশ্ন - আপনার কোটি টাকার তথ্য হাজার পাঁচেক টাকার জন্য অরক্ষিত নেই তো?
মন্তব্য
নিজের আলস্যের কারণে আমি সর্বমোট তিনবার হার্ডডিস্ক ফেইলিওরের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছি। শেষবার হারিয়েছি শতাধিক অসম্পূর্ণ ছোটগল্প। গল্পগুলি নেহায়েত খ্রাপ ছিলো না। গোটা বিশেক প্লট মাথায় আছে কিন্তু দ্বিতীয়বার শুরু করার রিসোর্স [উৎসাহ, সময় ইত্যাদি] পাচ্ছি না।
এখন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট নিজেকে মেইল করে দেই গুগলে।
রেইড করে ফ্যালো। ব্যাপক রিলায়েবিলিটি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তওবা কইরা চা খাওয়াডা ছাড়ান দেন... আধাসমাপ্ত রাইখা চা খাইতে না গিয়া সমাপ্ত কইরা প্রিন্ট মারেন...
তাইলে খালি নিজের না, আমাদের মতো আমজনতারও উপকার হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি মাসখানেক আগে ল্যাপি ক্রাশ করে সর্বহারা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমাদের সবারই এক বার দুবার এইরকম বিপদ হয়েছে। ভবিষ্যতের বিপদ থেকে রক্ষার জন্য এখনই ব্যবস্থা নিন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হোম ইউজের জন্য হার্ডওয়্যার রেইড করা কতটা ইনএক্সপেন্সিভ তা ভাবার বিষয়। তবে সফটওয়্যার রেইড কাজের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সফটওয়্যার রেইডে শুধু ড্যাটার ব্যাকআপটাই থাকে, পুরা সিস্টেম রিস্টোর কি করা যায় (ফেইলিওর এর পরে)?
সফটওয়্যার রেইডের (রেইড-১) বাজে অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ আমার ডিপার্টমেন্টের নেটওয়ার্কে ব্যয়বহুল হার্ডওয়্যার রেইড করেছিলাম মনে পড়ে (বাংলাদেশে)।
তবে উইন্ডোজের সাথে বিল্টইন রেইড-১ করার জিনিস থাকে। সেটা অবশ্যই কাজের। আর ইদানিং ভিস্তার সাথে তো সিস্টেম ব্যাকআপ নেয়াই যায়। জানিনা ভিস্তার সব ভার্সনের সাথে এটা আছে কী-না, তবে বিজনেস এডিশন বা তার উপরের গুলোতে আছে।
আমার ঘরের জন্য ভিস্তার সেই ডিস্ক ইমেজ ব্যাকআপ নেই আলাদা হার্ড ড্রাইভে (পানির দর যেহেতু)। সিডিতে ব্যাকআপ নেয়া খুবই বিরক্তিকর লাগে। আর ডিভিডিতে ব্যাকআপ নেয়া রিস্কি মনে হয়, সিডি অনেক বেশী রিলায়াবল। তাই আমাদের জন্য হার্ড ডিস্কই আপাতত সই।
ফেইলিওর রিকভারি:
নিজের পিসিতে কখনোই ফেইলিওর হয়নি। কারণ একটা নির্দিষ্ট বছর হওয়ার পরে আমি সেই ডিস্ক ব্যবহার করিনা। বর্তমানে ল্যাপটপে সিঙ্কব্যাক নামের একটা ফ্রি সফটওয়্যার কনফিগার করা আছে। এতে দুই ধরনের অটো-ব্যাকআপ সেট করা আছে
(ক) ডেইলি সিঙ্ক্রোনাইজড ব্যাকআপ (রেইড-১ টাইপ, কপি-রিপ্লেস টাইপ)
(খ) সাপ্তাহিক ইনক্রিমেন্টাল ব্যাকআপ
এর সাথে ভিস্তার বিল্ট-ইন ইমেজ ব্যাকআপ নেই, অনিয়মিতভাবে, দুই মাসে হয়তো একবার। অনেকেই বলে ভিস্তার ব্যাকআপ থেকে নাকি রিস্টোর করা যায়না। পরীক্ষা করার জন্য একবার ট্রায়াল দিয়েছি-- ১০০% রিস্টোর করতে সক্ষম হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়নি।
(তথ্যগুলো আম-জনতার কাজে লাগতে পারে বলে শেয়ার করলাম অনেক বস-পাবলিক এখানে আছেন, তাই কথাটা বললাম)
রেইড ১ এর সাথে কপি পেস্ট মিররিংয়ের পার্থক্য আছে। রেইড ১ এ বিট বাই বিট কপি হয়। দুটা হার্ড ড্রাইভ একটা সিঙ্গল হার্ড ড্রাইভ হিসেবে দৃশ্যমান হয় ব্যবহার কারীর কাছে। জোড়া হার্ডড্রাইভে কপি করলে প্রতিটি বিটের দুটা কপি হয়, দুটা ড্রাইভে। যদিও এটাও এক ধরনের মিররিং, তবু এটা অটোমেটেড মিররিং থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ওএস ব্যাকআপ করার প্রয়োজন মনে করি না আমি। নেটওর্য়াক স্টোরেজের মাধ্যমে একটা হোম ভিত্তিক ডেটা ক্লাউডের মধ্যেই রাখি আমার আর আমার স্ত্রীর সব তথ্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আগের মন্তব্য এডিট করতে গিয়ে দেখি আপনি জবাব দিয়ে দিয়েছেন, ফলে এডিট করতে পারলামনা। পোস্টটাকে মারতে চেয়েছিলাম।
হুম, রেইড-১ আর কপি পেস্ট আলাদা। আমি আসলে কপি-রিপ্লেস-পেস্ট চালাচ্ছি। নেটওয়ার্ক স্টোরেজ-- এটা কি কমন ডাইনামিক স্টোরেজ? নাকি ব্যাকআপ-এর জন্য?
ওএস ব্যাকআপ করি সময় বাঁচানোর জন্য। পানির দরে ডিস্ক পাওয়া যায়-- তাই জায়গা নিয়ে চিন্তা নাই হেঃ হেঃ হেঃ
এটা কমন ডাইনামিক স্টোরেজ। ব্যাকআপ নাই, রেইড ১ ই ব্যাকআপ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুভি টুভি আমার নেই
আমি খালি ওয়ার্ড ফাইলগুলোই বেক্যাপ নেই সিডিতে
একবার প্রায় তিন হাজার পৃষ্ঠা ডকুমেন্টের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল
পরে প্রুফ কপি দেখে দেখে আবার টাইপ করেছি
কিন্তু কয়েক মাস নেয়া হয়নি বেকাপ
০২
খাড়ান
অঙ্কাই নিতাছি
০৩
যেই পদ্ধতি বললেন সেটা বুঝতে পারছি অনেক ভালো
কিন্তু সেই পদ্ধতি আমার মাথার উপযোগী হতে হতে আরো কয়েক বছর লাগবে
আপনার বোঝার দরকার নেই। পরেরবার কম্পিউটার কিনলে রেইড শব্দটা মাথায় রাইখেন। বাকি সবকিছু ইউজার লেভেল থেকে দৃশ্যমান হবে না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার বর্তমান কম্পু কেনার সময় আশেপাশে স্বঘোষীত কম্পু বিশেষজ্ঞ দাবিদার পাঁচ জনের একটা বোর্ড বানিয়ে বলেছিলাম- বলেছিলাম কম্পু দিয়ে আমি এই এই করতে চাই এইবার তোমরা ঠিক করো কত টাকা লাগবে আর কোত্থেকে কিনব
তবে মনে রেখো পাঁচ বছরের মধ্যে ঝামেলা হলে এবং কিছু আপডেট করতে হলে একজনের মাথাও আস্ত থাকবে না
যদিও সচলে আসার পরে সেইসব কম্পু বিশেষজ্ঞেদের এখন নিতান্ত নাবালক মনে হয়
তবুও আমার কম্পু পাঁচ বছর পার করে আট বছরেও কোনো ঝামেলা করেনি
এবং এখনও আমার একটা কিছু আপডেট করতে হয়নি
তবে এখন মনে হচ্ছে করতে হবে
০২
এইবার আপডেট/নতুন কেনার আগেও একটা বিশেষজ্ঞ বোর্ড বানাব
সভাপতি হিসেবে আপনার নাম লিখে রাখলাম
হার্ড ডিস্কে রাখছেন ক্রেডিট কার্ডের তথ্য?
হুম। স্ক্যান করে রাখি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লেখা পড়ে আমার ডাটাবেস কোর্সের কথা মনে পরে গেলো। রেইড নিয়ে বিশাল একটা অধ্যায় ছিলো।
এখন নতুন সব মাদারবোর্ডে রেইড সুবিধা থাকে।
------------------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
এই কথাটাই আমিও বলতে চেয়েছিলাম । ডিবি কোর্সের সময় এই পোস্টটা পাইলে রেইডের অনেক কিছু ধুম ধাম বুঝে ফেলতাম । মুর্শেদ ভাই বেশ সহজ বোধ্য করে লিখেছেন । আমাদের যেই বইটা পড়িয়েছিল, সেখানে রেইডের উপর লেখা জিনিস গুলো আমার বুঝতে কিছুটা কষ্ট হয়েছিল প্রথমবার ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমি কাজ করি, লেখা-লেখি করে হাটে-মাঠে-ঘাটে। অফিসের তিনটা ডেস্কটপ, বাসার একটা আর একটা ল্যাপটপ মিলিয়ে আমার কাজ ছড়ানো ছিটানো। এহেন মাকড়সা টাইপ তথ্য সমূদ্রকে বাঁচানোর উপায় কী?
সচলে দেয়া আমার লেখাগুলোর কোন ব্যাকআপ নেই বললেই চলে। সচলের "সাহায্য"-এ বর্ণিত এ সংক্রান্ত পরামর্শগুলো থেকেও কোন ব্যাকআপ তৈরি করতে পারিনি। তাই খোদা-না-খাস্তা সচলের হার্ড ডিস্ক (বা অমন যা কিছু আছে) যদি কখনো ক্র্যাশ করে তবে আমার লেখক জীবনও ক্র্যাশ করবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ ছাড়াই আমার আন্ডারগ্র্যাড থিসিসির পাত্তা পাচ্ছি না। সেই সিডি যে কোথায় গেল ..... ! যা হোক প্রিন্টেড কপি আছে .... ... তবে ওখান থেকে দেড় হাজার লাইনের কোডিংগুলো সফট-আকারে আনতে বড়ই আলস্য লাগে ...। আরেকবার ল্যাবের ছোট নোটবুকটা .... নাহ্ থাক।
ডেটা হারানো বিষয়ে একটা ফিলসফিকাল কথা ....... আগুন লেগে পিসি/হার্ডডিস্ক তার সাথে প্রিন্ট করা ফাইল সবই তো পুড়ে যায়। আবার শূণ্য থেকে শুরু করতে হয়। এ ফ্রেশ স্টার্ট। ... ... এক দিক দিয়ে দেখলে ব্যাপারটা খারাপ না (অভিজ্ঞতা থেকেই বলা)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হু, খুবই কার্যকরি পোস্ট তা বুঝতে পারলেও এবং আধেকটুক পড়ার পরেও শেষ করতে পারলাম না, মাথার উপর দিয়া যাচ্ছে।
সবজান্তা বলছে হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলেও সে নাকি ফাইল উদ্ধার করে দিতে পারবে, সেই ভরসায় আছি।
আমি কখনোই কোনোকিছুরই কোনো ব্যাকআপ রাখি না। এখন ভাবতেছি কম্পিউটার ভর্তি ছবিগুলোর ব্যাকআপ রাখতে হবে। নাইলে আমার মেয়েটার পুরোটা পিচ্চিবেলা হারায়া যাবে।
লেখালেখি যা করি, তা সবই ক্ষ্যাপ, সেগুলা নিয়া মাথা ঘামাই না। তবে একবার আস্ত একটা সিরিয়াল দ্বিতীয়বার লেখতে হইছিলো, খুবই পেইনের কাজ। এখন যেটা করি, স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ হইলে নিজেরই এক মেইল এড্রেস থেকে আরেক মেইল এড্রেসে সেন্ড করে রাখি। ব্যাস।
তবে এসবের চেয়ে বড় একটা সমস্যা আমার হচ্ছে। কম্পিউটারের নানান ড্রাইভে নানান নামে নানান বস্তু ছড়ায়া আছে। এগুলার অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয়। এগুলো, বিশেষ করে ওয়ার্ড ফাইলগুলো সবগুলো দেখে দেখে ডিলিট করা বা ফাইলিং করাটা একটা ঝামেলার হয়ে যাচ্ছে।
ছবির জন্য একটা দারুণ আছে পিকাসা। এখানে যেহেতু একদানে সব ছবি দেখা যায়, অপ্রয়োজনীয়গুলো ডিলিট করে, প্রয়োজনীয়গুলোকে ফাইলিং করা যায়।
ওয়ার্ড ফাইলগুলো সব এভাবে এক জায়গায় দেখার কোনো সিস্টেম থাকলে আমার যে কী উপকার হইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যারা বেশ অনেকগুলো কম্পিউটারে কাজ করেন এবং টেক্সট ফাইল জমা রাখতে চান অনেক, তারা গুগল ডকস ব্যবহার করলেই পারেন।
https://docs.google.com/
যে কোন কম্পুতে বসে ব্রাউজার খুলে লেখা শুরু করে দিন, শুধু নেট থাকলেই হলো।
----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এই প্রথম গুগল ডকস-এ ঢুকলাম। ঢুকেই তো আমার চক্ষু ছানাবড়া ! ই-মেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে দেখি জনৈক কুনাল মিশ্র নামের একজনের বায়োডাটা ! এই সেই কুনাল মিশ্র, প্রতি সপ্তাহে যার কী সব ইমেল এসে আমার গুগল একাউণ্টে। আমি বুঝি না, কেবল ডিলিট করে যাই। এখন তো রীতিমতো ভীত অবস্থায় আছি। কেউ কি বলবেন, কলকাতার কী এক আই টি ইঞ্জিনিয়ার কুনাল বাবুর বায়োডাটা আমার গুগল ডকে এলো কী করে ? ওটার কপি এনে এখানে পেস্ট করে দিলাম-
BIO-DATA
Address :-
A. N Deo Path,
Purani Bazar, Titagarh.
Dist:- 24 Pgs .
Kolkata – 700119.
09836310099
Mr. Kunal Mishra.
Father’s Name : Shiva Nand Mishra
Date Of Birth : 28th February 1987.
Qualification : B. A. Graduate From Calcutta University.
Other Qualification : Diploma In Computer Application from
Mishra Cyber World. Titagarh.
Diploma In Computer Hardware and Network
From Mishra Cyber World
Experience : Worked as Hardware Engineer in B. I. Solution
Barrackpur.
Currently Working as Computer Hardware
Engineer in Sea Infotect.(In IT Bazar).
Working in ICA Barrackpur, as a Hardware
Support.
Language Known : English, Hindi & Bengali.
Nationality : Indian.
Religion : Hinduism.
Sex : Male.
Date : …/…/……
Place : Titagarh.
Signature
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুব সহজ ইমেইল এড্রেস হলে প্রচুর আনওয়ান্টেড মেইল আসে। আমার murshed এট জিমেইল এড্রেসে প্রচুর এরকম ইমেইল আসতেই থাকে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন