(ডিসক্লেইমার: সঙ্গত কারণেই দ্রুত লিখে পোস্ট করে দিচ্ছি। টুকটাক বানান ঠিক করা এবং বাক্য বিন্যাস ঠিক করে নিচ্ছি। তাছাড়া একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে এই পোস্ট করা হয়েছে। মডারেটররা অনুপযুক্ত মনে করলে সরিয়ে দেয়ার সম্পুর্ন ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।)
খবরে দেখেছি মাই নেইম ইজ খান চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভারতে ছবিটি মুক্তি করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ছবির প্রযোজকদের। শুনলাম আমেরিকাতেও নাকি হৈচৈ ফেলে দিয়েছে ছবিটি। আরও শুনেছি ছবিটি শুটিং করতে আসার সময় শাহরুখ খানকে আমেরিকান এয়ারপোর্টে অযথা হেনস্তা করা হয়েছিল এই মুসলিম নামের কারনেই। আগ্রহ নিয়েই ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। মুক্তির দু সপ্তাহ পর। ইন্ডিয়ানাপলিস শহরের ইন্ডিয়ান পাড়ার এক হলে। হলে দর্শক ছিল মাত্র দুজন - আমি আর আমার স্ত্রী। হৈ চৈ নিয়ে যা শুনেছিলাম সেটা না দেখে একটু সন্দেহে পড়ে গিয়েছিলাম বৈকি।
গল্প
হতাশার আরো বাড়ল যখন দেখলাম যখন খুব সরল একটি বিষয়কে ২ঘন্টা ৪১ মিনিট ধরে তেনা প্যাঁচানো হল। সংক্ষেপে কাহিনী হল এইরকম। রিজওয়ান খান আর জাকির খান দুই ভাই। রিজওয়ান অ্যাসপারজারস সিন্ড্রোমে আক্রান্ত। এতে করে মানুষের সাথে মিশতে তার সমস্যা হয়। জাকির বড়ে হয়ে আমেরিকা আসে। সেই রিজওয়ানকে স্পন্সর করে স্যান ফ্র্যান্সিসকো নিয়ে আসে।
রিজওয়ানের সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় বিউটিশিয়ান মন্দিরার। মন্দিরার আগের ঘরের সন্তান সামীর সহ তারা মন্দিরার ব্যবসার উপর নির্ভর করে সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকে। বিয়ের পর সামীর এবং মন্দিরা তাদের লাস্ট নেইম বদলে খান রাখে।
৯/১১ র ঘটনার পর প্রতিবেশী ভদ্রলোক ইরাকে যান এবং মারা যান। এতে করে প্রতিবেশীদের সন্তান রিস, সামীরের খুব ভালো বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। সামীর স্বভাবতঃই বন্ধুত্ব পুনরুদ্ধার করতে চায়। বড় ক্লাসের কিছু দুষ্টটাইপের ছেলেও লেগে যায় সামীরের পিছে। ঝগড়াঝাটি, মারপিট শেষে ফুটবল মাঠে পড়ে থাকে সামীরের লাশ।
পাগল প্রায় মন্দিরা দোষ চাপিয়ে দেয় রেজওয়ানের উপর। রেজওয়ান বৌয়ের খোঁটা শুনে সত্যি সত্যি ধরে নেয় মন্দিরা তাকে বলছে যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে জানাতে হবে যে সে টেররিস্ট নয়। তাহলেই মন্দিরা মেনে নেবে যে সামীর হত্যার জন্য খান দায়ী নয়।
শুরু হয় তার যাত্রা। প্রেসিডেন্ট (তখন জর্জ বুশ) যেখানে যায় সেখানেই সে যেতে থাকে, আর চেষ্টা করে প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করার। এখানে কিছু ড্রামা চলবার পর ছবির শেষে এসে তার দেখা মেলে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে। তারপর ছবির সমাপ্তি। আগ্রহীদের জন্য উইকির লিংকও থাকল।
সুমন রহমানের রিভিউ
ছবিটি এই সরলরৈখিক ধারায় বানানো হয়নি। শুরু থেকে রেজওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করে, "আমার নাম খান এবং আমি টেররিস্ট নই", এই কথাটি বলার প্রয়াস আর পেছনের ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে দেখানো হতে থাকে। সামীরের মৃত্যুর পর রেজওয়ানের কোয়েস্টটা পরিষ্কার ভাবে ফুটে ওঠে এবং তারপর এটাই সরলরৈখিকভাবে উপস্থাপিত হয়।
সুমন রহমান মনে হয় এই সমান্তরাল ধারাটি ধরতে পারেননি (!!!)। তিনি বলেন
ছবিতে দেখা যায়, নয়-এগারো-পূর্ব পরিস্থিতিতে ভারতীয় অটিস্টিক যুবক রিজওয়ান খান (শাহরুখ খান) মার্কিন দেশে অভিবাসিত হয়। এই অভিবাসনের একটা দুর্বোধ্য রাজনৈতিক মহিমা দাঁড় করানোর চেষ্টা আছে গোড়া থেকেই: তিনি মার্কিন দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলতে চান ‘মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আই অ্যাম নট অ্যা টেরোরিস্ট!’ বলাবাহুল্য, অটিস্টিক রিজওয়ান খানের এই অভিলাষকে দর্শক সহজভাবেই নেয় এবং সম্ভবত তার মনে এই প্রশ্ন জাগে না যে কেন নয়-এগারো-এর আগেই মার্কিন দেশে অভিবাসনপ্রয়াসী মুসলমান খানের ‘টেরোরিস্ট’ পরিচয়কে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করা প্রয়োজন হয়ে পড়ল? বোঝা যায়, খানের অভিবাসনের কাহিনি নয়-এগারো-পূর্ব হলেও তাতে নয়-এগারোর আঁচ ভালোমতোই লেগেছে।
রিজওয়ান খান মার্কিন দেশে এসে তার কাজের ফাঁকে ফাঁকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির পিছু ধাওয়া করেন তাঁর ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশ্যে। একপর্যায়ে তিনি প্রেসিডেন্টের (জর্জ বুশ জুনিয়র) এক সভায় উপস্থিত হয়ে বলতে চেষ্টা করেন যে তিনি টেরোরিস্ট নন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা কেবল ‘টেরোরিস্ট’ শব্দটাই শুনতে পান। জর্জ বুশ জুনিয়রের পলিসিতে এটুকু শোনাই স্বাভাবিক এবং আরও স্বাভাবিক হলো এরপর রিজওয়ানের গ্রেপ্তার হওয়া। বেচারা রিজওয়ান নানা ইন্টারোগেশন, নির্যাতন পার হয়ে অবশেষে তার আল-কায়েদা কানেকশন আবিষ্কৃত না হওয়ায় মুক্তি পান।
আমি এটা পড়ে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারিনা। বিশিষ্ট কবি এবং কথাসাহিত্যিক সুমন রহমান যে ছবিটা না দেখে, কারো কাছ থেকে গল্প শুনে লিখতে বসেছেন, কিংবা কোন রিভিউ থেকে মেরে দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমার কোন দ্বিধা থাকে না। বিবমিষা ঠেকিয়ে রিভিউয়ের বাকী অংশের দিকে তাকাই।
তৃতীয় প্যারায় তিনি লিখেছেন:
কাহিনির আরেকটা অংশে দেখা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা আরেক ভারতীয় অভিবাসী হেয়ার ড্রেসার মন্দিরাকে (কাজল) রিজওয়ান খান বিয়ে করেন। মন্দিরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী, নিয়মিত পূজা-অর্চনা করেন। আবার রিজওয়ানও একই ঘরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। যে সেক্যুলারিজম অর্ধশতাব্দীকাল ধরে প্রযুক্ত থাকার পরও সংবিধান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনে সফলভাবে অবতরণ করেনি, রিজওয়ান-মন্দিরার দাম্পত্য সম্পর্ক তাকে অবলীলায় নামিয়ে আনে একটি ভিনদেশি ফ্ল্যাটবাড়িতে। শেষমেশ সবই ইচ্ছাপূরণের গল্প!
হিন্দু-মুসলিমের বিবাহ সংক্রান্ত যে মন্তব্য তিনি করেছেন সেটা নিয়ে আমার প্রবল সন্দেহ জাগে। কেননা আমি যতদূর জানি এই বিষয়টা শাহরুখ বাস্তব জীবনের প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। মুসলিম শাহরুখের স্ত্রী হিন্দু গৌরী। কিসের ভিত্তিতে তিনি ভারতীয় নাগরিকদের প্রাত্যহিক জীবনে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন এখনও এত পরিষ্কার ভাবে বিদ্যমান ভাবছেন তার কোন সুত্র তিনি উল্লেখ করেননি। তারপরও তার এই "আন্দাজ" হয়ত বাস্তবের অনেকটাই কাছাকাছি ধরে নিয়ে এইটুকু বেনিফিট অভ ডাউট তাকে দিয়েই দিলাম।
যাই হোক, নয়-এগারো-উত্তর পরিস্থিতিতে কাহিনি দ্রুত বাঁক নেয়। মন্দিরার আগের তরফের স্কুলগামী সন্তানটি, যে তার নতুন পিতার (রিজওয়ান) উপাধি নিজের নামের সঙ্গে ব্যবহার করছিল, তাকে তার অমুসলিম সতীর্থরা খুন করে। সেই খুনটিও যথাসম্ভব কম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: কিছু মারধর করাই হয়তো উদ্দেশ্য ছিল এদের, এমন একটা ইঙ্গিত আছে হালকাভাবে।
"কম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলতে সুমন রহমান কি বুঝিয়েছেন সেটা ঠিক বোঝা গেল না। উনি যদি এটাকে "ঠিক বর্ণবৈষম্য মূলক নয়" বোঝাতে চান তাহলে আমার সুমন রহমানের বর্ণবৈষম্যের ধারণা নিয়ে সন্দেহ জাগে। হিন্দু ছেলের শেষ নাম খান, সেকারনে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের ঘৃণা এবং সাদা ছেলেদের অযাচিত আক্রমন, এসব যদি হেইট ক্রাইম না হয় তাহলে কোন কিছুই হেইট ক্রাইম নয়। সুমন রহমান নিশ্চয়ই ভাবেন না যে, সাদারা, 'এই তুই কালা, ইয়ালী ভিসুমাইক', এই বলে কালোদের খুন করে। কিন্তু আমার আশংকা যে সুমন রহমান হয়ত সেরকমটাই আশা করেছিলেন।
এ যাবত্কাল আমরা ফিল্মে এ সংক্রান্ত যতটুকু দেখেছি তা মূলত প্রবাসী ভারতীয়দের জীবন, কর্ম, সম্পর্ক, স্মৃতি, স্বদেশপ্রেম ইত্যাদি বিষয়ে।
সুমন রহমান শুধু যদি এইসব দেখে থাকেন তাহলে এসব বিষয়ে তার দেখার পরিধি নিয়ে সন্দেহ জাগে।
এই ছবির অভিমুখ ভারত নয়, বরং এই ছবিতে নয়-এগারো-উত্তর মার্কিন রাষ্ট্রকাঠামোয় ভারতীয় অভিবাসীর রাজনৈতিক অভিযোজনের রাজনীতিটুকু অনুসন্ধানের বিষয় হয়ে উঠল। সম্ভবত এই প্রথম। মুসলিম অভিবাসী রিজওয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাক্ষাতের পর কিন্তু ভারতে প্রত্যাবর্তন করে না বা করার ইচ্ছাও পোষণ করে না। এটা একটা ইশারা।
সুমন রহমান "ইশারাটা" ধরতে পেরেছেন বলে তার জন্য একটা জোরসে তালিয়া। সুমন রহমান বোধহয় "মার্কিন রাষ্ট্রকাঠামোয় ভারতীয় অভিবাসীর রাজনৈতিক অভিযোজন" (বাপরে দাঁত নড়ে গেল!) নিয়ে ততটা ওয়াকিবহাল নন, যতটা তিনি ইমপ্লাই করছেন। মার্কিন রাজনীতিতে ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই অভিযোজিত। লুইজিনিয়ার ৫৫তম গর্ভনর ববি জিন্দাল ভারত বংশদ্ভুত আমেরিকান। রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে ২০১২ তে তাকে একটা শক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া ফরিদ জাকারিয়া, ডঃ সঞ্জয় গুপ্তা সহ আরো অনেক ভারতীয় ব্যক্তি মার্কিন সংবাদ সংস্থায় জায়গা করে নিয়েছেন। এরা মার্কিন সংবাদ গঠনে এখনই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। এই বিষয়ে সুমন রহমানের তথ্যে একটু ঘাটতি পড়ে গেছে বলে ধারনা হয়।
করণ জোহর (মাই নেম ইজ খান ছবির পরিচালক) যতখানি সপ্রতিভভাবে প্রবাসী মুসলিম তথা ভারতীয়র নাড়ি ধরেছেন, ততখানি সপ্রতিভভাবে মার্কিন রাজনীতির নাড়ি বুঝে উঠতে পারেননি। পারলে তিনি এতটা সমালোচনাহীনভাবে প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে আসা একজন ‘আফ্রিকান-আমেরিকান’ প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় গলে যেতেন না। কালা-আমেরিকানদের সঙ্গে বাদামি ভারতীয়দের যে সম্প্রীতির সম্ভাবনা তিনি আমেরিকার মাটিতে আবিষ্কার করতে চাইলেন তাও অনৈতিহাসিক এবং এক অর্থে বর্ণবাদীও বটে।
করণ জোহর পারেননি, তবে সুমন রহমান কিন্তু ঠিকই মার্কিন রাজনীতির নাড়ি বুঝতে পেরেছেন। হুঁ হুঁ বাবা, সুমন রহমান বলে কথা। সুমন রহমান মার্কিন কালোদের সাথে মিশেননি, কিন্তু কালোদের সাথে বাদামীর কেন সর্ম্পক হতে পারে না সেটা ঠিকই বুঝে গেছেন। হুঁ হুঁ বাবা, সুমন রহমান বলে কথা। তবে এটা কিভাবে অনৈতিহাসিক এবং কোন অর্থে বর্ণবাদী সেটা পরিষ্কার ভাবে বলেননি। না বললে কি হবে? হুঁ হুঁ বাবা, সুমন রহমান বলে কথা। উনি বলেছেন যখন, তখন সত্য তো হতেই হবে।
হাস্যকর।
শেষকথা
স্পষ্টতঃ বোঝা যাচ্ছে সুমন রহমান না দেখে কিংবা ঠিকমত না বুঝে নিজের ধারণা এবং আন্দাজের উপর ভিত্তি করে দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোতে একটা রিভিউ লিখে বসেছেন। অথবা উনি যেহেতু "কথাসাহিত্যিক", তাই হয়ত তার রিভিউয়ে কথা চেয়ে ফ্যান্টাসী নির্ভর সাহিত্যই চলে এসেছে।
আরেকটি কী যেন মনে পড়ি পড়ি করেও পড়ছে না। কী যেন, কী যেন! ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে। সুমন রহমানই না সচলায়তনকে শিক্ষানবিসদের চারণ ক্ষেত্র বলেছিলেন? আজ এই গার্বজের পাশে দাঁড়িয়ে সচলায়তনকে ভাগ্যবানই মনে হচ্ছে।
প্রথম আলো আপনাদের সাবাস জানাই। এই স্বঘোষিত শিক্ষাগুরুদের লেখাই ছাপাতে থাকুন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বা রিভিউ দরকার নেই। ফ্যান্টাসী নির্ভর হলেই বরং আপনারা দেশের সর্বাধিক বিক্রিত সংবাদপত্র হতে পারবেন। আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা।
আবর্জনা ঢাকার প্রচেষ্টা
এই সমস্যাটি সচলায়তনের কনফুসিয়াস প্রথম ফেইসবুকে আমার নজরে আনে। তাকে ধন্যবাদ।
সুমন রহমান, কনফুসিয়াসের পোস্ট দেখার প্রায় ঘন্টাখানেক পর লেখাটা ঠিকঠাক করে সামহোয়ার ইন ব্লগে এবং ফেইসবুকে পুনঃপোস্ট করে। তারেককে ধন্যবাদও জানায়। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ছবিটা আবার দেখে ফেলেছেন বলে রাগিব ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে জানান(!)।
নিজের এই আবর্জনা ঢাকার ব্যার্থ প্রচেষ্টায় গুরুজীকে পেন্নাম জানাই।
মন্তব্য
পেন্নাম হই ঠাকুর। আউফ দ্দীণূ!
মুভটা আমার কাছে প্রথম থেকেই আজাইরা মনে হয়েছিল.......
(জয়িতা)
আন্নের প্যাডে হিংসা ...আপ্নে অরজিনিয়াল মুভি থিকা নকল মাইরা এট্টা রিভু লিক্সেন, উনি অরজিনিয়াল মুভি না দেইখা এট্টা অরজিনিয়াল রিভু লিক্সেন ... কার পতিভা বেশি?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
- তোমার মিয়া ধৈর্য্যও আছে। এই আদমের করা রিভিউ নিয়া লেখছো!
আমি শতভাগ শিউর সুমন রহমান সিনেমাটা দেখে নাই, সিনেমার পোস্টার দেখে রিভিউ লিখছেন। তবে লোড শেডিং হোক বা অন্যকোনো কারণেই হোক, সিনেমাটার টুটাফুটা কোনো অংশ দেখে থাকলেও ভাষা না বুঝার কারণে বাংলায় সাবটাইটেল দেখে দেখে রিভিউ লেখার একটা খায়েশ থেকে এই পাতলা পায়খানাসুলভ জিনিষটা উগড়ে দিয়েছেন। বাংলায় সাবটাইটেল সম্বলিত সিনেমা তিনি যোগাড় করেছেন কোনো জায়গা থেকে, কারণ ইংরেজীও তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না নির্ঘাৎ!
তাঁর উল্লিখিত তৃতীয় প্যারায় এসে আমি কিছুই বুঝি নাই। তুমি এটলিস্ট কিছু বুঝতে পারছো দেখে সালাম লও।
তাঁর রিভিউ পড়ে মনে হলো, অক্টোবর ফেস্টের জনা পঞ্চাশেক লোকের দোয়া কাজে লাগে নাই। তাঁর 'অসুখ' তো দেখি নিরাময়ের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যাইহোক, সেরে উঠবে না জানি, তাও দোয়া করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন। আউফ দ্দীণূ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উত্তরাধুনিক রিভিউ।
মামু নিশ্চয়ই উত্তরাধুনিক রিভিউর সাথে পরিচিত না। শীঘ্রই দ্দীণূরে উত্তরাধুনিক রিভিউর শিক্ষাগুরু হিসাবে বরণ করেন।
- দ্দীণূরে নিয়া একটা গান বানছি, হুনবেন?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রিজওয়ান খান মার্কিন দেশে এসে তার কাজের ফাঁকে ফাঁকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির পিছু ধাওয়া করেন তাঁর ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশ্যে।
এই একটা লাইনই বলে দেয় উনি সিনেমাটি দেখেননি। আর যদি দেখে থাকেন, কিছুই বোঝেননি !
যে লোক বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের কবিতাকে মুসলিম কবিতা-হিন্দু কবিতায় বিভাজন করে, চেপে ধরলে পরে উত্তরাধুনিক কাঁইকুঁই করে- তার কাছ থেকে এর বেশী আর কি আশা করা যায়?
তবে শিক্ষানবিশ সুমন যে শিক্ষাগুরু সু-মন'রে এইভাবে ইয়ে মেরে দিলে- কাজটা কি ঠিকৈলো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সচল খুলেই দেখি দ্দীণূ। দিনটাই আজ খ্রাপ যাবে ।
আলুপেপারের উপসম্পাদকীয় পাতার কেষ্টুবিষ্টুদের সাথে ওঠবোস থাকলে মুদির দোকানের বাকির হিসাবও মনে হয় আর্টিকেল হিসাবে চালিয়ে দেয়া সম্ভব।
সুমন রহমান নামক এই কবি-গবেষক-কথাশিল্পী-গল্পকাররূপী হাইব্রিড প্রতিভাটি অল্পদিনের জন্য হলেও সুকুমার রায়ের হাঁসজারু হয়ে বাংলা অনলাইন কম্যুনিটিতে আমোদ জুগিয়ে গেছে।
প্র-আলোয় প্রকাশিত তার বেশ কিছু কলাম নিয়ে এর আগে পালটা মত/প্রতিবাদ এসেছিল বলে মনে পড়ছে।
এবার তার উত্তরাধুনিক সিনেমা রিভিউ এবং এই পোস্ট পড়ে অবাক হলাম না, মজা পেলাম। আর মনে পড়ে গেল এই উত্তরাধুনিক শিক্ষাগুরুর ব্লগ ইতিহাস লেখার অপচেষ্টার এক হাস্যকর কাহিনী।
সামহোয়ারনামা ৩ পর্বে রহমান লিখেছিল -
মিথিলা কাহিনী, অতীত ইতিহাস নয়, ২০০৭ এর জানুয়ারীর কথা। সচলায়তন শুরু হয়েছে ২০০৭এর জুনে। আর এই ইতিহাস লেখক সচলায়তনেই শুনেছিল শোকের মাতমের শব্দ!!!
হে হে হে দ্দীণূর ইতিহাসের নায়ক হচ্ছে ত্রিভুজ!
টাইমিং এ তো দেখি, এই লোকের বিয়াপক প্রোব্লেম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
তো সচলায়তন কি এখন শিক্ষানবিস থেকে শিক্ষাগুরুতে রুপান্তরিত হয়েছে নাকি? আর ডয়েস ভেলেতে আপনাদের শ্রেষ্টব্লগ প্রতিযোগিতার ফলাফল টা জানাবেন আশা করি।
দ্দীণূদা নাকি? নাম দেয় না কেনু?
আমরা ডয়েচে ভেলের পেতিযোগিতায় চাট্টিবাট্টিসহ হারিয়া গিয়াছি গো কত্তা। দ্দীণূর গীবতব্লগ জয়দ্রথ উহাতে ভূমিধ্বস বিজয় পাইয়াছে।
- ওরে কে কুতায় আছিস, কুলা-ডালা-দূর্বা-ধান নিয়া হাজির হ। মোদের দ্দীণূ আজি চোখ মেলিয়া চাহিয়াছেন!
এসো হে দ্দীণূ, এসো এসো...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছি ছি মাহবুব সাহেব। আপনি এত খারাপ। বাতাসে না হয় কারো লুঙ্গি একটু উড়ছিলই, সেটাকে এভাবে কেউ টেনে নামায়
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ছবি না দেখেই ছবি সর্ম্পকে দেয়া বক্তব্য কিভাবে গ্রহণযোগ্য তাকে তা আমার বোধগম্য নয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ওহ এখন মুভি রিভিউয়ের নতুন সংজ্ঞা তৈরী করা হইছে। এরা যে শব্দের বাহু মুঁচড়ে কিভাবে নিজের দখলে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে তা দেখলেও করুণা হয়।
সুত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/sumonrahmanblog/29120653
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওরে বাবা, হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। সিনেমা টিনেমা না দেখেই রিভিউ!!!!!!!!!!!!
বাচ্চাকাচ্চা না হতেই তার ইস্কুলের অ্যাডমিশান টেস্টের জন্য দৌড়াদৌড়ি!!!!!
না না, হয়তো বাপু এসবই হলো যারে কয় উত্তরাধুনিক অ্যাডভান্সড ব্যাপার।
হি হি হি, ওরে বাপা!!!!!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি ভালোই করলাম। এক সাথে দুই পড়লাম। আজকে অফিসে পেপারে দেখেছিলাম ভিতরের পাতায় কিন্তু পড়া হয় নাই। বাহ্ দারুণ প্রথম আলো কত বিশ্বস্থ খবর আর তথ্য প্রদানে, তার একটা ছবি প্রকাশিত হলো আবার।
আমার জানা নেই কোন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি এই কলামের জন্য কয়টা ডিভিডি নিয়েছিলেন কিনা ! কারণ আমার পরিচিত একজন একটি বইয়ের রিভিউ লিখে জমা দেয়ায়- তাকে বইটির তিনটি কপি জমা দিতে বলেছিলেন! (বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে, তিন কপি শুনে) তখন এক বন্ধু হাসতে হাসতে বলেছিল তিন স্তরের রিভিউ যাচাই করে, তারপর প্রথম আলো আম পাঠককে তথ্য প্রদান করে। হায় ফ্রেন্ড! তুমি ভুল বুঝিয়াছ, শুধু তেল আর তেলালিই প্রকাশের একমাত্র পন্থা।
লেখার জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
দেশে এখন সৃজনশীল ধারায় পড়াশোনা হচ্ছে আর আমরা তার ফলও পেতে শুরু করেছি
কিন্তু মুভিটা তো আমার ভাল লাগে নাই! খালি মনে হইল ফরেস্ট গাম্পের চোথা মারতেসে। কিন্তু হিউমার নামক সসটার কমতি পড়ায় উহা উপভোগ্য হয় নাই। মুভি শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই "মাই নেম ইজ খান..." বক্স অফ চকলেটের কথা মনে পড়ে না? তারপর দেড় ঘণ্টা আগের ঘটনা, দেড় ঘণ্টা পরের ঘটনা। শুরুতে নায়কের ছোটবেলা, কাবিলাতি, মায়ের দোয়া ইত্যাদি, মাঝখানে আপাত সাধারণ নায়কের ঘটনাবহুল জীবন (বলিউডি নায়কের অবশ্য প্রেম করতেই দিন যায়গা), একটা এপিক জার্নি, অচেনা মানুষের সাথে ইন্টারেকশন। আর সিম্পলিসিটি আমদানি করতে অটিসমের উপ্রে কথা আছে? সোজা ফর্মুলা। তার সাথে বলিউডি মাসালা-- সেকুলার ভারতীসম, পেম-ভালবাসা, আম্রিকার ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ইত্যাদি ইত্যাদি।
সিনেমা বানানোর জন্য টেনিদার একটা ফর্মুলা ছিল। "ছয়টা মারামারি, আটটা গান আর গোটাকতক ঘরবাড়ি দেখালেই ফিলিম হয়ে যায়।" মনে হৈতেসে ব্যাপারটা আসলেই এতটা সোজা। আসেন আমরাও বানায় ফেলি কিছু একটা।
সচলায়তনকে আমি আমার নিজের প্লাটফর্ম মনে করি-- এর সাথে জড়িতদের জন্য এক ধরনের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা পোষণ করি।সম্ভবত এই কারণেই এই কথাটা এখানে জানিয়ে যাওয়া জরুরি মনে হল যে এই পোস্টটাকে আমার কাছে খুবই অশ্লীল মনে হল।আমি আগের অনেক কিছু জানি না বলেই হয়তো বা!
সুমন রহমানের রিভিউটাকে কেমন মনে হয়েছে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই,
আমি আমার মন্তব্যটি ফিরিয়ে নিচ্ছি। পোস্টটাকে এখন আর অশ্লীল লাগছে না।
সহমত। সুমন আনোয়ার সচলায়তনের বিরুদ্ধে কিছু বললেন,আর তাই আমরা তাঁর লিখার এরকম সমালোচনা করে ফেললাম,যেখানে ব্যাক্তির প্রতি আক্রমণই বেশি চোখে পড়ল......ঠিক বুঝলাম না।
সুমন আনোয়ার কে?
নিচের মন্তব্যগুলো দেখুন। পারলে লিঙ্ক।
নামটা লিখতে ভুল করেছি...দুঃখিত।
-স্নিগ্ধা করবী
আপনার মন্তব্য দেখে লেখাটি আবার দেখলাম। নীচের অংশটুকুকে ব্যক্তি আক্রমন বলা যেতে পারে।
সুমন রহমান যে মার্কিন রাজনীতিতে ভারতীয় অভিযোজন নিয়ে একটু কম ওয়াকিবহাল সেটা আগেই উল্লেখ করেছি। তাছাড়া আমেরিকার প্রতি একটা নেতিবাচক ভূমিকা তার রিভিউ পড়লেই লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং তিনি যখন করণ জোহরের মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সমালোচনা করেন সেটাকে আমার হাস্যকরই মনে হয়।
যে কোন দেশের মাইনরিটি বা সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের একে অপরের প্রতি একটা সহানুভুতিশীল মন থাকে। সেটাই হয়ত খানিকটা প্রকট হয়ে পড়েছে ছবিটিতে। তবে ছবিটিতে সাদাদের সাথেও চমৎকার বন্ধুত্ব দেখানো হয়েছে। যেমন, মন্দিরাদের প্রতিবেশীদের সাথে মন্দিরা পরিবারের বন্ধুত্ব। অথচ সুমন রহমান শুধু কালো-বন্ধুত্বকেই সামনে নিয়ে আসলেন। কেন? কোন বিশেষ উদ্দেশ্য?
কিভাবে কালো আর বাদামীর বন্ধুত্ব অনৈতিহাসিক সেটাও জানালেন না। কেন বর্ণবাদী সেটাও ঠিক বোধগম্য হল না। বরং আমার জানামতে বারাক ওবামাই প্রথম ভারতীয়দেরকে ফেডারেল আইটি ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ভারতীয় ডাক্তার সঞ্জয় গুপ্তাকে প্রেসিডেন্টের প্রধাণ মেডিকেল উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার কথাও চলছিল।
এই সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে সুমন রহমানের মন্তব্যগুলোয় আমার হাসিই চলে আসে। ব্যক্তিগত আক্রমন হলে আসলে আমি দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লিখা নয়, লেখা। লেখার "এরকম" সমালোচনার খুঁতগুলো ধরিয়ে দিন। পরবর্তীতে অন্যদের কাজে আসবে। আর ঠিকমতো না বুঝে কোন কিছু নিয়ে কথা বলা বিপদজনক। সবাই সুমন রহমানের মতো হয়ে গেলে তো মুশকিল।
ধন্যবাদ হিমুদা,ভুল ধরিয়ে দিলেন বলে।
-স্নিগ্ধা করবী
বলিউডি ছবির গারবেজ রিভিউ, সেটাকে এত গুরুত্ব দেবার অর্থ বুঝলাম না। ক্ষোভ ঝাড়াই মূখ্য উদ্দেশ্য হলে সেটা ভিন্ন কথা। তবে সেটাও গারবেজ রিভিউর আগা-পাশ-তলা কাঁটাছেড়া না করে আরেকটা যুৎসই রিভিউ লিখে তার সাথে আলোচ্য লেখাটির লিংক যুক্ত করেও করা যেত। পোস্টের মূলসুর এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট মন্তব্যের অনেকগুলোর ব্যক্তিবিশেষের প্রতি ঢালাও বিষেদগার বলে মনে হলো। অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে এ ধরনের পোস্ট থেকে সাধারণ পাঠকদের আসলে পাবার তেমন কিছু নেই।
দুঃখিত ভালো লাগলোনা এই লেখাটি।
মাঝে মাঝে শিক্ষানবিসরাও গুরুর কারবার দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেনা; এ পোস্ট তারই বহিঃপ্রকাশ
চলচ্চিত্রটি আসলে রিভিউ লেখার মতো মানের না। কিন্তু ছবির রিভিউয়ের সাথে গুরুজীর গভীন জ্ঞান চর্চিত (!) মন্তব্যগুলো রিফিউট করা দরকার ছিল। আর প্রথম আলোর এইরকম একটা সমস্যা তুলে ধরাও প্রয়োজন ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই আসলে লেখাটি লিখেছি।
আপনার সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাখ্যা দেবার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
সামুতে লেখাটা জায়েজ করার অপচেষ্টা দেখেন।
একটা জিনিস পরিষ্কার হওয়া দরকার: এটি মোটেও মুভি রিভিউ নয়। মুভিটাকে ধরে তার নির্মাণের সামাজিক শর্তগুলো পরিষ্কার করতে চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। ফলে এখানে লেখক, মুভি দর্শক মাত্র, এবং তিনি এর নির্মাণ এবং প্রদর্শনের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন। এটুকুই।
পাবলিককে বালছাল একটা বোঝালেই হয় বলে উনার ধারমা।
কথা হচ্ছে, সচলে এই কিম্ভূতকিমাকার রিভিয়্যু অথবা মুভিটাকে ধরে তার নির্মাণের সামাজিক শর্তগুলো পরিষ্কার করার চেষ্টা নিয়ে পোস্টানোর দরকার আছে কি? আমার ব্যক্তিগত মত -দরকার আছে। না হলে সুমন রহমানকে মানুষ চিনবে কি করে? অসৎ লেখকে দেশ ভরে যাচ্ছে। চেনানো দরকার সুমন রহমানদের।
একটু সৎ হলে ক্ষতি কি, সুমন রহমান?
মামুন ভাই
পেয়ারা মনে করে ছোট একটা উত্তর দিই (কিছু মনে নিয়েন না প্লিজ)।
কেউ যদি আমারে সম্বন্ধির পুত কয়, আর আমি যদি তা না হই, সেটা প্রমাণ করার দরকার আছে।
এ লেখার পেছনে কিছু তিক্ত স্মৃতি আছে। এ পোস্ট ধরেন একটা ছোটখাট মধুর প্রতিশোধ
আপাতত দুইটা লিংক দিই আপনাকে:
http://www.sachalayatan.com/shubinoymustofi/17017
http://www.sachalayatan.com/ashimul/17045
পিছনে আরো গোপন কথা আছে সেগুলো আপতত গোপনই থাক।
আমি বরং পুরোনো তিক্ততাকে সরিয়ে রেখেই নিমোর্হ ভাবে সুমন রহমানের রিভিউটি পড়তে অনুরোধ করব। সুমন রহমানের গার্বেজটি পড়তে আসলে আর কোনো ভুমিকার দরকার হয় না।
তবে সুমন রহমানের অহমিকার পুরোনো ইতিহাস জানলে পোস্টটির সুক্ষ্ম কৌতুকগুলো আরেকটু মজা লাগবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লিংকগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, অনেক কিছু জানা হলো। সু.র. এর প্রতি অনেকের ক্ষোভ বোধগম্য না হওয়াতেই জানতে চেয়েছিলাম। মনে নেয়ার কিছু নাই, পেয়ারা ভেবেইতো বলছেন। মিডিওকার মিডিওকার ভাই ভাই
তবে আমারে কেউ নবিশ বললে আমি মাইন্ড খাইনা, নবিশ না হলে শিখবো কেমনে?
মামুন ভাই, আগের কথা না জেনে যে অপছন্দের কথা জানালেন, এবং, আমি মোটামুটি জেনে, সেই অপছন্দ জ্ঞাপন করলাম।
গোস্তাখি মাফ করবেন, কিন্তু, প্রতিশোধ নেয়া, 'দেখিয়ে দেয়া' বা পূর্বতন তিক্ততার জের টেনে বিদ্রুপ করবার জন্যে পোস্ট লিখাটা সচলের রীতি নয় বলে মনে হইসে আমার এতদিন।
সুমন ভাই সচলের প্রতি কিছু বেশ বাজে আচরণ করেছিলেন, দৈনিক পত্রিকা ও অন্যান্য জায়গায়, এটার জন্যে আমার তার উপর একটা ক্ষোভ এখনো রয়ে গেছে।
সেটার জন্যে তাকেও এখানে এভাবে মেলা বসিয়ে অপমান করবার চেষ্টার মধ্যে এক ধরণের ক্লেদ আছে।
আমি এই ফিল্ম দেখিনি, রিভিউ গুলো পড়বার পরে, এই ফিল্ম এর প্রভাব বা উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু ধারণা তো হয়েছেই।
সুমন রহমানকে খুবই প্রতিভাধর ও মেধাবী কবি ও বুদ্ধি-বৃত্তিকভাবে আগানো চিন্তক মনে হয়েছে আমার। তার সাথে আমার ছিন্ন/অছিন্নব্যক্তি-সম্পর্কের ওপর আসলে এই মানটা নির্ভর করে না। করবে না।
পোস্টটা ভালো লাগলো না।
জিফরান ভাই,
প্রতিভাধর, মেধাবী এইসব হেজেমোনি বাদ দিয়ে সুমন রহমানকে কি আপনার সৎ মনে হয়?
আঁরে এক্কানা কন।
সততার সাথে প্রতিভা/মেধা এগুলোকে এক করে দেখা ঠিক?
আমি পল এলুয়ারে কেন আগ্রহী ছিলাম জানেন? 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' পড়েছিলাম যে ঐ সমসাময়িক কবিদের মধ্যে সত্যিকারের সততা ও অসাধারণ মনুষ্যত্ব ছিলো, সেটা অন্যদের মধ্যে ছিলো না। কিন্তু, এর ফলে ভার্লেইন বা মালার্মে তো কম গুরুত্বপূর্ণ হোন না।
আমি সুমন ভাই এর রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন নোটস এবং অনেক আলোচনায় তার অংশগ্রহণের ধরণে ঐ আলোচনাতে/গুলোতে তার রাজনৈতিক/সামাজিক উদ্দেশ্য বা মোটিভ নিয়ে ধন্ধে ছিলাম, আছি। একধরণের অস্বচ্ছতা। নাহ, আমি তার এই দিকটা নিয়ে অসহজ/অপরিষ্কার একটা ধারণা পোষণ করি তো বটেই।
কিন্তু, সেটার সাথে আমি তার কবিতা/গল্পকে মেলাতে অনাগ্রহী। তার প্রতিভা/মেধা/চিন্তার প্রখরতা-কে বাতিল করতে নারাজ।
প্রতিভা থাকলে সততার প্রয়োজন নেই? এটা কি শোনালেন? বিদ্বান দুর্জন হইলেও পরিত্যাজ্য, কথাটা কী তাহলে ভুল?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
প্রয়োজন আছে নিশ্চয়ই। সেটা সামাজিক চাহিদা, নৈতিক চাহিদা। নান্দনিক/দার্শনিক চাহিদা নয় বোধ করি।
ওটা ভুল কি ঠিক, এই নির্ণয় আমি আপনার জন্যে করতে পারবো না, তবে, আমি ঠিক ঠিক এভাবে দেখতে পারি না ব্যাপারটাকে।
'সততা' নিয়ে কথাটা বললাম শুভাষীশ দা'র উত্তরে। আমার মূলতঃ এই পোস্টের উদ্দেশ্যটি, যেটা মোটামুটি প্রতিভাত, ভাল লাগেনি। ঘৃণা-জাত নিন্দার আনুষ্ঠানিক মচ্ছব মনে হয়েছে।
আমার এই মনে হওয়া আপনাকে দুঃখ দিলে মাফ করবেন।
তারমানে আপনার "সামাজিক চাহিদা, নৈতিক চাহিদা" র প্রয়োজনে দুর্জনের সাথে সখ্যতা গড়তে আপত্তি নেই?
সুমন রহমানের অনুগত্য পাশে সরিয়ে পোস্ট পড়ে দেখুন। কোথায় "ঘৃণা-জাত নিন্দার আনুষ্ঠানিক মচ্ছব" আছে আমি আমার শিক্ষানবিস মন দিয়ে ধরতে পারছি না।
তবে আপনার সততার ব্যাপারে মন্তব্যেই আসলে আমার যা বোঝার বোঝা হয়ে গেছে। উত্তর দেয়া লাগবে না। আপনাকে পেন্নাম দাদা। ভাল থাকবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একটু দ্বিমত আছে।
সুমন রহমানের কবিতা আমার ভালো লাগে। তাঁর লেখা ভাল লাগে বলেই তার সমালোচনা করতেও আমার খারাপ লাগে না।
কিছু মন্তব্য অন্যরকম হলেও পোস্টের উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি যেমনটা বলেছেন পোস্ট পড়ে আমার তেমন মনে হয়নি; বরং সমালোচনার সমালোচনা হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। এটা শুধু আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া।
আচ্ছা। আমার অবশ্য বেশ চড়া আর রূঢ় মনে হয়েছে।
এটা আনুগত্যের কারণেও হতে পারে কি? জানি না। সুমন রহমান এর সাথে অনেক অনেক দিন ধরেই যোগাযোগ খুব কম, বরঞ্চ এক ধরণের শীতলতা আছে। তার অনেক আন্তর্জালিক আচরণ নিয়ে আমার ধারণা ঠিক নিশ্চিত না, এবং, কিছুটা সন্দেহও আছে।
কিন্তু, সেটার পরেও আমি আসলে এরকম পোস্ট ঠিক সচলে দেখি না তেমন। এবং, তা নিয়েই বলা।
দুটা ব্যাপার হতে পারে, (১) সুমন রহমানের সাথে সচলায়তনের শীতলতা, (২) সুমন রহমানের (লেখার) প্রতি আনুগত্য।
পোস্টটিকে অনেকের কাঝে প্রতিক্রিয়ামূলক মনে হতে পারে। কিন্তু অতীতের ঘটনা মন থেকে সরিয়ে রেখে পড়লে তা আর মনে হয়না। অন্তত আমার তাই ধারণা।
এ পোস্টে অতীত কেন টেনে আনা হচ্ছে বুঝলাম না, পোস্টের টু দ্য পয়েন্ট আলাপ করলে ভালো লাগবে।
অবশ্য রহমান হুজুর যদি আলোচনার উর্ধ্বে চলে যান, তার মুরীদরা সেরকম কিছু ইংগিত দিতে চান - তাহলে অন্যকথা।
অতীত টেনে এখানে তেনা পেঁচানোর উপায় নাই। ভন্ড সমালোচক, স্থুল সৌন্দর্য্যধারকদের রূপ চিনে নেয়া জরুরী।
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই,
হু। এই দুটো হতে পারে তো বটেই। আমার প্রথমটি চোখে পড়লো বেশি। আমার সুমন রহমানের এমনতরো লিখার প্রতি আনুগত্য নেই, এইটুকুই বলতে পারি। তার কিছু গল্প ও বেশ কিছু কবিতার প্রতি একটা সহজ মুগ্ধতা আছে।
কনফু ভাই-এর যে স্ট্যাটাস বা নোট থেকে এটার উতপত্তি, সেখানেই এই পোস্টের লেখকের পোস্ট-পূর্ব কথাটা ছিল এরকম 'দাড়াও, ছিলি!'
ওখান থেকে অনেক কিছু বোঝা যায় আরকি।
শিমুল ভাই,
আমাকে উদ্দেশ্য করে যদি বলে থাকেন, তাহলে - নাহ, আমি সুমন রহমানের মুরীদ নই।
আপনার টোন খুব শ্লেষে-ভরা এবং কারণহীনভাবে আগ্রাসী। স্বরটুকু অনাগ্রাসী করুন, তারপর না হয় 'স্থূল'/ 'সূক্ষ্ণ' সৌন্দর্যবোধ নিয়ে আলাপ করা যাবে।
'তেনা' প্যাঁচানোর জন্যে কিছু আসলে বলিনি। এখানে 'ইতিহাস'টাই ব্যাপার। সেটাই স্পষ্ট।
সিম্পলী, আমি এই রিভিউয়ের একটা কড়া সমালোচনা লিখব এর চেয়ে আর বেশী কি বুঝলেন আমার বোধগম্য হল না। অবশ্য আপনি তো সুমন রহমানের আনুগত্য স্বীকারই করলেন আগের মন্তব্যে। ধরে নিচ্ছি সেই আনুগত্যের অবস্থান থেকে আপনার গুরুজীর মত একটু বেশীই বুঝতে পারেন বৈকী!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নাহ, ওরকম তো বলি নি! বললাম যে, তা নেই।
আনুগত্য থাকলে কিংবা ধরেন, মুগ্ধতা, সেটা আমি দ্বিধাহীনভাবে স্বীকার করি। আমি এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোনো আপত্তি বোধ করি না।
এরচেয়ে বেশি এটাই হয়তো বোঝা যায় যে, আপনি বিশেষভাবে 'সুমন রহমান'কে 'ছিলতে' আগ্রহী। ভিন্ডিকটিভ একটা টেনার যেন। তবে, আমার বোঝার ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আমি দুঃখিত।
লম্বা হয়ে যাওয়ায় মন্তব্য নীচে করেছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কেউ আর নিচে মন্তব্যের সাহস পাচ্ছে না - সবাই উপরে চিপা-চাপা খুঁজতাছে - খ্যাক
আফনেও।
নিচে মন্তব্য করবার ফারলেন্না।
জিফরান, এই কমেন্টটা খেয়াল করিনি।
আবার পড়লাম, আপনি বলেছেন -
"সুমন রহমানকে খুবই প্রতিভাধর ও মেধাবী কবি ও বুদ্ধি-বৃত্তিকভাবে আগানো চিন্তক মনে হয়েছে আমার।"
আমার মতামত আগেই দিয়েছি, তাই -দুঃখিত অনাগ্রাসী স্বর নিয়ে আপনার ক্লাসের ছাত্র হতে আমার আগ্রহ নেই, স্যার!
সুমন রহমানের কবিতা বা গল্প নিয়ে তো আসলে কেউ কোনো আপত্তিও তুলছে না। নাকি গল্প কবিতা লিখলে আর্টিকেলে ভুলভাল বিনা সমালোচনায় লেখার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে?
জিফরান ভাই, ভুয়া রিভিউ দেয়া একজন লোক এই বিশেষণগুলি কেমনে পায়?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা,
তার রিভিউটা ভুয়া হয়ে থাকলে তিনি ভুয়া রিভিউয়ার। তার গল্প ও কবিতায় আমি যদি এরূপ ব্যাপার ধরতে পারি, তবে, সেক্ষেত্রে এই বিশেষণগুলো উঠায়ে নেবো। একটা সময়ে তার কবিতা পড়ে একটা খুব দুর্দান্ত আনন্দ পাইসি, সেই আনন্দের সাথে হেরফের করবার মতো এখনো কিছু ঘটে নাই।
আপনি আসেন কেমন?
ফেসবুক লিংক ধরে পত্রিকার পাতায় গেছিলাম। গুরুজীর লেখা দেখে একে একে কিছু শব্দ সার্চ করলাম -- ফুকো, দারিদা, উত্তরাধুনিক, ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমন কিছু নাই দেখে আগাই নাই আর।
মন্তব্য লম্বা হয়ে যাওয়ায় এখানে দিচ্ছি।
সুমন রহমান প্রসঙ্গে জিফরান খালেদ বললেন:
আরও বললেন, সততার
অথচ আমার ব্যাপারে এই লেখা প্রসঙ্গে বললেন:
অর্থাৎ সুমন রহমানের ব্যাপারে জিফরান খালেদ সততা পর্যন্ত্য ত্যাগ করতে রাজি। কেননা তার কাছে প্রতিভাটাই আসল।
কিন্তু আমার ব্যাপারে মূল পোস্টের চেয়ে ফেইসবুকে করা দুশব্দের মধ্যেই তিনি ভিন্ডিকেশনের ছায়া খুঁজে পান। তখন আর আমার লেখাটা বা সমালোচনাটা বড় না। এর পিছনের রাজনীতিই বড় হয়ে যায়।
এই ডাবল স্ট্যার্ন্ডাডের কারন কি জিফরান খালেদ?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বক্তব্যগুলোকে রিলেইট করবার ধরণ দেখে অবাক হলাম।
আমি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখি না। সততা'র ব্যাপারে ওটা আমার বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান। এবং, আমি এটা বলছি যে, যার দার্শনিকতা, নন্দন আমার আগ্রহের জায়গা, সেখানে তার ব্যক্তিগত/সামাজিক/নৈতিক/রাজনৈতিক সততা/অসতততা গুরুত্বপূর্ণ না। এটার জন্যে আমি ওনাকে ছাড় বা না-ছাড় কিছুতেই আগ্রহী না।
কিন্তু, তাকে যখন আমি সামাজিক/রাজনৈতিকভাবে দেখছি, তার আচরণ আমার সামনে আসছে, তখন সততার ব্যাপারটা জরুরী হয়ে দাঁড়ায়, কেননা, এক্ষেত্রে অসততার ফলে আমিও বিপণ্ণ হতে পারি। সুমন রহমান ওমন অসততা করে থাকলে, আমি তার এমনতরো আচরণ ও ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবো।
পক্ষান্তরে, আপনার লিখার জায়গায় জায়গায় এবং পূর্ব-ক্রোধের সংক্রমণ থাকায় আপনার পোস্টটি ভিন্ডিকটিভ-ই শোনায় আমার কাছে। প্রতিশোধ নেয়ার একটা স্পৃহা যেন। এই প্রবণতাটাকে আমার সচলের পরিপন্থী মনে হয়েছে।
আপনার এ মনে হওয়াটাকে ভুল মনে হলে, তা-ই সই। উই ক্যান এগ্রি টু ডিস্যাগ্রি।
ভাল থাকুন।
কিন্তু জিফরান, পত্রিকায় একটা বিষয় সম্পর্কে ঠিকমতো না জেনে ফস করে একটা আর্টিকেল লিখে ফেলে, পরে সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধোঁয়াটে কথাবার্তা বলা, এটা কি দার্শনিক বা নান্দনিক দিক থেকে গ্রহণযোগ্য? দর্শন বা নন্দনে কি এসবের জন্যে কোন চ্যানেল আছে? থাকলে একটু শেখাও। আমাদের সবারই এটা শিখে রাখা জরুরি। কখন কাজে লেগে যায় কে জানে।
পুরা ব্যাপারটায় সবচেয়ে হাস্যকর এবং বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে, সুমন রহমান নিজে সম্ভবত সিনেমাটা দেখেনই নি (অন্তত যে মাত্রার ভুল তথ্য উনি দিয়েছেন, তাকে অন্য কোন মডেলে খাপ খাওয়ানো অসম্ভব)। সিনেমাটা না দেখার কারণ কী হতে পারে জানি না, হয়তো কোন ধরনের উন্নাসিকতা কিংবা প্রয়োজন বোধ না করা (!!)। তবে সমালোচনাটুকু যখন পুরা মাত্রায় করেছেন, তখন সিনেমাটা না দেখা এক ধরনের অসততা, যা লেখকের অন্যান্য বিশ্লেষণকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার তো বরং মনে হয় উনি সিনেমাটা দেখেছেন, কিন্তু সিকোয়েন্সগুলো ভুল বুঝেছেন। কারণ না দেখে থাকলে উনি নেটের কোনো ভালো রিভিউয়ের সাহায্য নিতেন, এবং সেটা করলে সিকোয়েন্স নিয়ে গোলমাল অন্তত ওনার লেখায় থাকত না।
এটা মনে হচ্ছে সিনেমা দেখে না বুঝে রিভিউ লেখার ফল। সেক্ষেত্রে সিনেমাটা দেখার পর দু চারটা রিভিউ পড়ে নিয়ে লিখলেও বরং ভালো হত।
জিফরান, তোমার বক্তব্য কেন আমি পুরাপুরি সমর্থন করি না সেটা তোমাকে ইতোমধ্যেই বলসি। তবে এই পোস্টের প্রতিও আমার সমর্থন নাই একই কারণে। সুমন রহমানের সাথে সচলায়তনের যদি আগের কোন ইতিহাস না থাকতো, বা সুমন রহমান যদি বিভিন্ন সময়ে ফালতু কিছু কথা না বলে থাকতো - তাহলে এই পোস্টের শিরোনাম নিয়ে আমার কোন আপত্তি থাকতো না। এখন সেই আগের নানা সময়ে ঘটে যাওয়া নানা কথা এবং সেগুলার প্রতি ইঙ্গিত ইত্যাদি এই পোস্টকে - যেটা in its own merit, justified otherwise - কেমন একটা ব্যক্তিগত ফ্লেভার দিসে। আমার অপছন্দটা সেখানেই।
একইভাবে, তুমি যখন সুমন রহমানের অন্য কোথাও লেখা কিছু দিয়ে তার প্রতিভার বিচার করো, তুমি সে যে এই রিভিউটা লিখে একটা অনৈতিক/অসৎ কাজ করসে, এবং সেটা রাজনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রে না - একদম সোজা সাপ্টা তার প্রতিভা/নান্দনিকতা/... ইত্যাদির ক্ষেত্রে - সেটা মানো না, তখন তুমিও হয়তো এই রিভিউটাকে ব্যক্তি সম্পর্কের কারণে ছাড় দিচ্ছো এরকম মনে হয়। একইরকমই কি হয়ে গেলো, তাইলে?
@ মুর্শেদ - একজন পাতি ব্লগার হিসাবে একটা কথা বলি, আমি নিজেও একসময় সুমন রহমানকে ঠেস দিয়ে তার সচলায়তনকে শিক্ষানবিস বলায় সংসারে এক সন্ন্যাসীর ছোট্ট গোল রুটির একটা গল্পের প্যারোডি লিখসিলাম, তাই বোধহয় আপনাকে খুব বেশি কিছু বলার মুখ আমার নাই। তবে, তারপরও কেন জানি এরকম সরাসরি নাম ধরে বলাটা আপনার কাছ থেকে আসাতে একটু দু;খিতই হইসি। জানি না কেন।
জিফরান, পারলে এবার তর্কটা থামাও।
স্নিগ্ধা আপা,
যোগ্য সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বলছি, আপনি সুমন রহমানের লেখা না পড়ে (আপনার পরবর্তী মন্তব্য দ্রষ্টব্য) প্যারোডী করলে ঠিক আছে। অথচ আমি তার লেখার (শুধু মাত্র লেখার) যুক্তিনির্ভর সমালোচনা করলে সেটার জন্য দুঃখিত হন! ইনফ্যক্ট আমি লক্ষ্য করছি আমি কোথাও কোন বির্তকিত বিষয়ে মন্তব্য করলে আপনি আইসা দুঃখ প্রকাশ কইরা যান।
মনটা খারাপ হইল স্নিগ্ধা আপা। আপনে খালি বকা দেন। এ্যাঁ এ্যাঁ এ্যাঁ .....
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আহারে
ডাইনোসর দিদিভাইটা আসুলেই পাজি। কাইল কই জানি কইল আমার নাকি মাথাগরম।
মুর্শেদ, যোগ্য সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বলছি - আপনি আমার পরবর্তী দ্রষ্টব্য মন্তব্যকে আবার একটু দৃষ্টিদান করুন আমি বলেছি সচলায়তন সংক্রান্ত কোন লেখা ছাড়া সুমন রহমানের আর কোন লেখা পড়ি নি। যেই লেখাটা পড়ে গোল রুটির প্যারোডি করেছিলাম, সেটা সচলায়তন ব্যান হওয়ার সময়ে সচলায়তনকে শিক্ষানবিসদের জায়গা বলে বক্রোক্তি করে কোন এক পেপারে (মনে নাই ঠিকমতো) ছাপা হয়েছিলো। সেটা পড়িনি কোথায় বললাম, বা আমার কোন কথা থেকে বোঝা গেলো?! আমি তো তার সাহিত্যকর্মের সমালোচনা করি নি, বা সেগুলো নিয়ে ব্যঙ্গ করিনি যে সেক্ষেত্রে না পড়ার দায়ভার বর্তাবে?
আর, আপনার যদি মনে হয়ে থাকে যে আপনি কোথাও কোন বিতর্কিত (কথাটার মানেই কি এটা না যে কেউ কেউ এই বিষয়ে দ্বিমত/বিতর্কএর অবস্থানে থাকে?) বিষয়ে মন্তব্য করলেই আমি গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে আসি - তাহলে স্পষ্ট করেই বলে দেই সেটা একদমই ইচ্ছাকৃত না বা আপনার প্রতি ব্যক্তিগত কোন বিদ্বেষ বা ক্ষোভ থেকে না! আপনার সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়ে পোস্টটাতে না এই সেদিনই 'আনন্দ/প্রশংসা' প্রকাশ করলাম! ঠিক আছে, আপনার যখন এরকমই মনে হলো, তাহলে সবচাইতে নিরাপদ হবে আপনার লেখা বা মন্তব্যে অহেতুক বা পারতপক্ষে কোন মন্তব্য যেন না করে ফেলি, সেটা খেয়াল করে চলা
(আচ্ছা, কোন পোস্টের কথা বললেন, আমার জানার খুবই কৌতূহল হচ্ছে!!)
বকা টকা যদি দিয়ে থাকি দুঃখপ্রকাশ করছি এবং জানাচ্ছি যে এসব ঝামেলা আশা করি আর বেশিদিন নিতে হবে না
স্নিগ্ধাপা,
প্রথম অংশ খানিক খোঁচা দিয়েছি ঠিকই (সেতো আপনিও দিয়েছেন ), কিন্তু দ্বিতীয় অংশে কিন্তু আপনাকে যথেষ্ট আপন ভেবেই বলেছি। জানিনা টোনটা ভুল ছিল কিনা। তবে আমি কিন্তু আপনার কনসার্নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেই এবং উপভোগ করি (পজেটিভ অর্থে)। বরং আমার বলার ধরণে দুঃখে পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরে না রে ভাই, দুঃখ পাই নাই। শুনেন মুর্শেদ, একটা কথা প্রকাশ্যে বলি আপনাকে - 'ডায়নোসর' ( ) বিধায় জীবনে কয়েকটা জিনিষের মূল্য বুঝতে শিখসি, তার একটা হচ্ছে নিজেকে সবসময় ঠিক না ভাবা এবং দরকার মতো ভুল স্বীকার করা বা দুঃখপ্রকাশ করা - যেটা আপনাকে নানাসময়ে করতে দেখসি। এবং এই গুণটা সবার থাকে না। অতএব শেষমেষ আপনিই কিন্তু আপার হ্যান্ডে থেকে গেলেন
মোবাইলে আপনার মন্তব্য পড়ে মনের দুঃখে আবার টেবিলে বসেছিলাম। আপনি অ্যাপোলজী গ্রহণ করেছেন বুঝতে পেরে আশ্বস্ত হলাম। ঘুমুতে যাই এখন।
ভালো থাকবেন স্নিগ্ধাপা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
My name is Khan এর ট্রেইলার দেখেই আমার মনে হয়েছিল অতি সাধারণ বলিউড মুভি। আমার খুব একটা দেখার ইচ্ছে ছিল না, তারপরও দেখেছি, তাও আবার হলে গিয়ে, শুধুমাত্র 'আমার' শাহ্রুখ খানকে দেখার জন্য । ট্রেইলার দেখে আমার যে ধারণা হয়েছিল, মুভি দেখে সেই ধারণাটাই সত্যতা পেয়েছিল। যদিও এরকম একটা বক্তব্য নিয়ে মুভি করার জন্য আমি বলিউডকে ধন্যবাদ জানাব।
সামহ্যোয়ার ব্লগে পোষ্টটি প্রথমে দেখে পরার আগ্রহ পাইনি। তারপর সচলে এসে এই পোস্টটি দেখে দুটি পোস্টই পরলাম। সুমন রহমানের পোস্টটি একেবারেই ফালতু। না দেখেই যে মুভি রিভিউ লিখা যায়, এটা তার প্রমাণ। তবে মুর্শেদ ভাইয়ের পোস্ট এবং বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝা গেল এখানে শুধুমাত্র রিভিউ নিয়ে সমস্যা না, অন্য কোথাও ক্ষোভ আছে। আলমগির ভাইয়ের দেয়া লিংকগুলো পরে ইতিহাস কিছুটা বুঝলাম। তারপরও আমার কিছু প্রশ্ন আছে।
সুমন রহমান কেন সচলায়তন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন?
২০০৮ এ কেন সচলায়তন বাংলাদেশে বন্ধ করা হয়েছিল? সেই সময় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের ঘটনা আমার হালকা মনে আছে। কোন এক সভাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজাকারদের দেখে তিনি প্রতিবাদ করায় তাকে অপমান করা হয়েছিল। এটা কি সেই ঘটনা? সেটা নিয়ে ত প্রত্রিকাতে অনেক প্রতিবাদের কথা পড়েছিলাম। তাহলে সচলায়তনকে কেন ভয় পেল সরকার? সেই সময়ের কোন পোস্ট কি আর্কাইভে আছে?লিংক কি দেয়া যাবে?
ব্লগে আমি নতুন এবং অনিয়মিত। আশা করি আমার অজ্ঞতায় কেউ বিরক্ত হবেন না।
ফিল্মটা দেখি নাই। দেখে এই পো্স্টে মন্তব্য করবো।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
মেধাবী কবি ও গল্পকাররা দলে দলে বালছাল আর্টিকেল লিখতে এগিয়ে আসুন। দৈনিকে ছাপা হবে। কেউ সমালোচনাও করতে পারবে না কারণ আপনারা মেধাবী।
মুর্শেদ যতোই নির্মোহ থেকে, অতীত ইতিহাস না টেনে এই পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করেন না কেন তিনি জেনেশুনে সুমন রহমানকে বাঁশ দেওয়ার জন্যই পোস্টটি লিখেছেন। 'পাইছি হালারে' টাইপ একটা আনন্দ মুর্শেদের চোখেমুখে খেলছে। সুমন রহমান কবে কোথায় আর কী রিভিউ লিখেছিলেন এবং মুর্শেদ তার সমালোচনা করেছিলেন কিনা কিংবা সুমন রহমানের আর কোনো গল্প/ কবিতার তাৎপর্য মুর্শেদ ব্যাখ্যা করেছিলেন কিনা তা জানা যায় না। তবে এতো তাড়াহুড়ো করে লিখে (ডিসক্লেইমার দিয়ে), সময় নষ্ট করে সুমন রহমানের রিভিউ-র রিভিউ করতে মুর্শেদের এমন কী ঠ্যাকা পড়ল? কারণ মুর্শেদ নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুর্শেদ লিখেছেন,
তো শিক্ষানবিস হিসেবে এই যে ট্যাগিং সুমন রহমান দিয়ে গেলেন সচলদের এটার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তক্কে তক্কে থাকা লাগে। নয়তো একটা থার্ড ক্লাস মুভির থার্ড ক্লাস রিভিউ-র জন্য প্রোগ্রামিং বাদ দিয়ে মুর্শেদ আদাজল খেয়ে লাগতেন না। লাগলেন এবং লিখলেন মুর্শেদ কারণ রিভিউটা সুমন রহমান লিখেছেন বলে।
মাই নেম ইজ খান একটা ছবি, তার আবার রিভিউ !! আচ্ছা তাও না হয় রিভিউ লেখা গেল। কিন্তু পুরো পোস্টের মূল ফোকাস ছবির দিকে না হয়ে রিভিউ রাইটার সুমন রহমানই মুখ্য হয়ে উঠলেন।
এদিকে পোস্টলেখক বলছেন নির্মোহ থাকতে ... হাসি পেয়েছে খুব।
পোস্টলেখকের কাছ থেকে সুমন রহমানের একটি গল্পের সমালোচনা আশা করছি। অথবা অন্য কোনো মুভিরিভিউ রাইটারের ওপর তিনি নিশ্চয়ই কিছু একটা লিখবেন অচিরেই ....প্রোগ্রামিংয়ের সময় বাদ দিয়ে
------------
কমেন্ট পাবলিশ হবে কিনা জানি না। হলে ভালো না হলে মডারেটররা তো অন্তত পড়লেন।
নিঝুম ভালো আছেন?
আমি কখন কি লেখব বা কি করব সেটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছা। এটা স্পষ্টতঃ একটা ব্যক্তি আক্রমন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি নিঝুম নই।
এখন কি এ অজুহাতে আমার কমেন্ট মুছে দেবেন? ব্যক্তি আক্রমণ করেছি বলে আমি মনে করছি না।
অনেকে আমার পোস্টটিকে ব্যক্তি আক্রমন বলে দাবী করছেন। তাদের জন্য উইকি থেকে একটা অংশ তুলে দেই।
Ad hominem বা ব্যক্তি আক্রমনের ক্ষেত্রে নীচের বেসিক আকারটি থাকে:
ভদ্রলোক '১', 'ক' দাবীটি প্রচার করেন।
কিন্তু ভদ্রলোক '১' এর কোন একটি বিষয় গ্রহণযোগ্য নয়।
তাই 'ক' দাবীটি গ্রহণ যোগ্য নয়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ব্যক্তি সুমন রহমান সর্ম্পকে আমি আমার লেখায় কিছু বলেছি কী? কিংবা ব্যক্তি সুমন রহমানের কোন ব্যক্তিগত সমস্যাকে ব্যবহার করে তার এই লেখা অথবা তার অন্য কোন লেখাকে অগ্রহণ যোগ্য প্রমান করতে চেয়েছি? তাহলে ব্যক্তি আক্রমনের প্রসঙ্গটি আসছে কেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই পোস্টে একটা মজার জিনিস খেয়াল করলাম। হিমু সাহেব সুমন রহমানের ভূত দেখছেন( হয়তো আইপি-টাইপি দেখেই করছেন) , আবার মাহবুব দেখছেন নিঝুমের ভূত( তিনিও নিশ্চয়ই আইপি দেখেই নিশ্চিত হয়েছেন)।
এভাবে যিনি নিজেকে প্রকাশ করতে চাইছেন, তাকে এভাবে ওপেন করে দেওয়া কি সচলায়তন সাপোর্ট করে কিনা সেটা সবাইকে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
হুঁ, ভূতদের পর্দে মে রেহনে দো, পর্দা না উঠাও ...
আর আপনে লুঙ্গির আড়ালে মুখ লুকাচ্ছেন, ব্যাপক কমেডি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আইপির ব্যাপারটা তো আমি কোথাও বলিনি!
আইপির ব্যাপারটা যেমন আপনি আন্দাজে গুলি ছুঁড়লেন, তেমনি এটা আসলে আমার একটা হাঞ্চ (hunch)। তবে ছবি না দেখে হাঞ্চের উপর নির্ভর করে রিভিউ লিখে বসি নাই।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই, এই লেখায় এটা আমার প্রথম মন্তব্য । আমি আজকেই সিডনী থেকে ফিরে সুমন রহমান এর লেখার সূত্র ধরে ভাবীর লেখা পড়লাম ফেসবুকে বদ্দার দেয়া লিঙ্ক ধরে এবং আপনার লেখাও অই একি সূত্রে পড়া । সুতরাং জানিনা নিঝুম বলতে আপনি আমাকেই বুঝিয়েছেন কি না । বুঝিয়ে থাকলে বলি, আপনার ধারনা ভুল । তবে আপনি অন্য নিঝুম বুঝিয়ে থাকলে অন্য কথা ।
সুমন রহমান ও তার বাংলাদেশী ও "লন্ডনী" মুরিদদের নিয়ে নিজের দেখা কিছু অভিজ্ঞতা বলতে চাই এবং তা শিঘ্রি নাগরিকে লিখব বলে আশা রাখি । এইসব মুরিদ রা রাত জেগে কি ভাবে সুব্রত,ব্রাত্য আর সুমনের পুচ্ছ দেশ অলংকৃত করে দশকের কবি হয়ে উঠতে চায় , তা না বললেই নয় । এসব লেখক ও মুরিদের বিষয়ে বলার সময় হয়েছে বলেই মনে করি ।
সে যাক, মূল কথা হলো নিঝুম বলে আমাকেই গেস করে থাকলে তা ভুল । আর লেখার সাথে পূর্ণ সহমত ।
লেখায় । ছিনিমা দেখি নাই, দেখবোও না, কিন্তু এই পুষ্টে মন্তব্য করতে আইলাম একমাত্র কারনে যে, এই পুষ্টের দরকার আছে, 'সু র' তো রাস্তার কোন আবাল না যে যা খুশি তাই লিখবেন, সেগুলা আমার মতন রাস্তার ভুদাই করলে শোভা পায়। উনারা কিছু কইলে সেইটার একটা আফটারম্যাথ হবে। তাই এরাম ভণ্ডগো ৪০"X৩০" পোস্টার বানায়া সবাইরে দেখানির কাম। তবে কয়েকটা মন্তব্য পইড়া ব্যাপক মজা পাইছি।
পোস্টটারে স্টিকি করেন বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুভিটা দেখেছি। কাজলের জন্য। রিভিউ পড়িনাই। পোস্টও অল্প-স্বল্প পড়লাম। যার ইচ্ছা সুমন রহমানকে ঝাড়েন, যার ইচ্ছা এই পোস্ট লেখককে ঝাড়েন, যার ইচ্ছা হিন্দি সিনেমাকে গালি দেন---সমস্যা নাই। কিন্তু আমার কাজলকে নিয়ে একটা উলটাপালটা কথা বললে কিন্তু হেস্ত নেস্ত হয়ে যাবে।
সাবধান।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ওইদিন ইউটিউবে কাজলের একটা ভিডিও দেখলাম। ওকে ব্যংগ করে বানানো। ভদ্রসমাজে লিঙ্ক দিতে পারতেসি না।
খুঁজে পাইলে পি এম করে দিবো নে। অশ্লীল !!!
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সব্জুদা, আমাকেও দিয়েন। কাজল বড় ভালো মেয়ে...
_________________________________________
সেরিওজা
আমি গলা মিলিয়ে বলতে চাই, 'কিন্তু আমার শাহ্রুখ খানকে নিয়ে একটা উলটাপালটা কথা বললে কিন্ত...... '
ধন্যবাদ মুর্শেদ ১টা দারুণ পোস্টের জন্য।
প্রথম আলোর মতো ১টা পত্রিকায় এইমানের ১টা রিভিউ কিভাবে যায়?
এটা ঐপাতার দায়িত্বে থাকা সম্পাদক-কে প্রশ্ন করা উচিৎ!
কোন যোগ্যতায় তিনি ঐ পাতার সম্পাদক? নাকি তিনিও জিফারানের মতো সুমন রহমানের প্রতিভায় অন্ধ!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
রিভিউপুরাণে নবদিগন্ত উন্মোচিত হৈল। একসাথে শতশত রিভিউ মাথায় গিজগিজ করতে শুরু করেছে। রিভিউ লেখার এমন টিউটোরিয়াল শেষ স্টোনএজ'র পরে আর দেখা যায় নাই। আগের ব্যাপারে শিওর না। আমার এখনি কয়েক খাবলা রিভিউ লিখতে ইচ্ছা করছে। তার আগে ভাবতে হবে কোন কোন ছবি দেখি নাই ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নমস্য বদ্দা! ভাবতেছি সামুব্লগে থুক্কু ছাগুব্লগে গিয়ে কিছু রিভিউ লেইখা আসুম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- যারা অতীত কাহিনী জানেন না বলে দাবী করছেন এবং এই পোস্টটিকে "অশ্লীল" বা "ব্যক্তিবিশেষের প্রতি ঢালাও বিষেদগার" মনে হয়েছে তাদের জন্য জানাই, সুমন রহমান এমনই এক চার ফুটি ব্যক্তিত্ব যিনি কথায় ছয়ফুটি জাহির করলেও কার্যত তিনি নিজেকে দেড় ফুটিও প্রমাণ করতে পারেন না।
তার চরিত্রের সবচেয়ে বড় দিক হলো, "আমি কি হনুরে"। তিনি পত্রিকায় লিখেন বলে যারা পত্রিকায় লিখেন না তাদেরকে "যাচ্ছেতাই" জ্ঞান করেন। তার মতে পত্রিকার বাইরে যারা লেখালেখি করেন, তারা সবাই "শিক্ষানবীশ"। এবং তাদের সকলেরই সুমন রহমানের কাছ থেকে "অনেক কিছু" শেখার আছে!
এমন একজন কথা সর্বস্ব ব্যক্তি যখন কোনো একটা সিনেমা না দেখেই সেটা নিয়ে ভুলভাল তথ্য দিয়ে সর্বাধিক প্রচলিত একটি দৈনিকের পাতা ভড়ান তখন সঙ্গতঃই এটার প্রতিক্রিয়া হবে। এবং এটা কিঞ্চিৎ কাঁচাছোলা টাইপেরই হবে কারণ তিনি নিজেও যখন প্রতিক্রিয়া দেখান, "পেয়ারছে" দেখান না। ছিটকা পানি দিলে লগির গুঁতা খেতেই হয়, এটা প্রবচনেই আছে।
তবে হ্যাঁ, যারা সুমন রহমানের অনুরাগী, অনুরক্ত, ভক্ত আশেকান, তাদের এধরণের বাঁশাত্মক কথাবার্তা ভালো না লাগারই কথা। কিন্তু আমরা এখানে সুমন রহমানদের মতো জ্ঞানপাপীদের মুরীদানা দিতে বসি নাই। আউল ফাউল, না জেনে কথা বললেই বাঁশ দেয়া হবে, তিনি যেই হোন! এতে করে কারো যদি আঁতে ঘাঁ লাগেও, কিছুই করার নেই। দুঃখিত।
আর প্রথম আলু পেপারের মাননীয় সম্পাদকদের বলি, আপনারা যদি সুমন রহমানদের মতো কথা দিয়ে বাঙ্গি ফাটানো রামছাগল দিয়ে হালচাষ করাতে চান তাহলে কিছুদিন পরে পাবলিক আপনাদের পেপার হাগু করার পর পোছার জন্যও ব্যবহার করবে না।
মুর্শেদ, তুমি ঠিক আছো। তুমি কেনো এই পোস্ট লিখছো সেটা নিয়ে তোমার অবস্থান ব্যক্ত করার কোনো দায় তোমার নাই। কেউ যদি সুমন রহমানকে পীর ধরে ত্যানা প্যাঁচাইতে চায়, লেট হিম/হার ডু ইট। সুমন রহমানদেরও যে চ্যালা চামুন্দা আছে। সেইটা আমরাও জাইনা নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এটার দরকার ছিল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মন্তব্যগুলি পড়ে মনে হচ্ছে, সুমন রহমানের পাশাপাশি কথার আঁচটা জিফরান খালেদেরও উদ্দেশ্যে।
আমি জিফরান খালেদের মন্তব্যগুলি পড়ে যা বুঝতে পেরেছি, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থানকে ঠিকভাবেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তাঁর এই অবস্থানের পক্ষে বা বিপক্ষে তর্ক হতে পারে- কিন্তু বিদ্রুপ কিংবা ব্যঙ্গের কোন অবকাশ কিংবা প্রয়োজনীয়তা দেখি না। অনেকগুলি মন্তব্যই তাই আমার ভালো লাগলো না।
আরেকটা জিনিসও খুব সংকোচের সাথেই জানাই- আজকাল প্রায়ই দেখতে পাই, অনেক সচল, যারা হয়তো পূর্বের একটা ঘটনা কিংবা একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সবটুকু (কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিছুই) জানেন না- কিন্তু স্রোতে গা ভাসিয়ে সবার সাথেই গালিটুকু দিয়ে যান।
সচলায়তন ইস্যুতে সুমন রহমানের কাণ্ডকীর্তির সাথে যারা পরিচিত আছেন, তারা হয়তো জানেন সুমন রহমান কী জিনিস (ঋণাত্মক অর্থে) ! তবে সেই সাথে মনে হয় তারা এটাও জানেন যে, সুমন রহমানের খুব চমৎকার কিছু ছোটগল্প এবং কবিতা আছে- যেগুলিকে ব্যক্তি সুমন রহমানের অসংখ্য সীমাবদ্ধতার পরও বাতিল করা যায় না।
তাই আমার মনে হয় যারা গলায় গলা মিলিয়ে যাচ্ছেন, তারা অন্তত একটু জেনে নিন, একটু পড়ে নিন- তারপরই না হয় গালি টুকু দিন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আল মাহমুদের কেইস অনেকটা। নাকি?
সবজান্তা - সুমন রহমানের আসলে আমি সচলায়তন সংক্রান্ত ছাড়া আর কোন লেখাই পড়ি নাই তাই সেটা নিয়ে কিছু বলতে পারলাম না। আর মানুষ হিসাবে তার সম্বন্ধে আমার ধারণা ভালো না। কিন্তু, তোমার মন্তব্যের মূল বক্তব্যের সাথে একমত।
সহমত
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জিফরানকে ব্যঙ্গ বা বিদ্রুপ করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। সেরকমটা মনে হলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি আমার পোস্টে অনটপিক আলোচনা আশা করেছিলাম। সেটার বদলে জিফরান ব্যক্তি সুমন রহমানকে ডিফেন্ড করা শুরু করলে আমি জিফরানের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছি। আমার সমালোচনাতো আমাকেই ডিফেন্ড করতে হবে নাকি? আমি তো গুরুজী নই, বরং সাধারণ মিডিওকার। তাই আমার হয়ে কেউ ডিফেন্ড করে দিবে সেই দূরাশা নেই।
যারা গলা মিলিয়েছেন, এই লেখার ক্ষেত্রে তাদের সুমন রহমান অমনিবাস পড়তে হবে বলে মনে করিনা। এই প্রয়োজন হত যদি সুমন রহমানের পুরো সাহিত্যের আলোচনা হত। ইন ফ্যক্ট, আপনার এই আর্গুমেন্ট আমার খানিকটা আপত্তিকরই মনে হল। "আমার লেখার আলোচনা করতে হলে ফুকো দেরিদা পইড়া আইসো" - ধরণের কথা সাধারণতঃ গুরুজীরা বলেন।
তবে আপনার ওভারঅল অবস্থান আমি বুঝতে পেরেছি। আপনার বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সবজান্তার মূল বক্তব্যের সাথে আমিও একমত।
প্রায় জোর করেই জিফরানকে সুমন রহমানের মুরীদ, ভক্ত ইত্যাদি বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্যাপারটা আপত্তিকর এবং বিরক্তিকর।
@ধুগো, ঢালাও বিষেদগার জনিত আমার অভিযোগটার প্রমাণ এই পোস্টেই আছে। শুধু হয়তো তোমার দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া...
এক কাজ কর ভাই, কিছুদিনের জন্য কোথা থেকে একটু বেড়িয়ে টেরিয়ে আস, আমার এইদিকেও আসতে পার
- আপনার অভিযোগ নিয়ে তো অনুযোগ করি নাই মামুন ভাই। কেনো সেই অভিযোগ, সেটার কারণ যোগ করার চেষ্টা করেছি কেবল।
জিফরানকে জোর করে কেউ মুরীদ বানাতে চাইছে না। সে নিজে ইচ্ছে করেই মুরীদানা প্রকাশ করতে চাইছে। তার কাছে সুমন রহমানের প্রতিভাটাই আসল কথা। সেই প্রতিভা দিয়ে সুমন রহমান হেগে গেলেও সেখানে জিফরান কোনো গন্ধ পাবে না। কারণ, সুমন রহমানের আছে প্রতিভা!
এখন এই প্রতিভার সূত্রে আপনি কী মনে করেন? গো আ, মইত্যা এদেরও কিন্তু প্রতিভা কম না মামুন ভাই। তারা কী করলো না করলো সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কী দরকার। শুরু করি চলেন তাদের মাথায় তুলে নাচানাচি। প্রতিভার কদর করি।
জানি বলবেন, এদেরকে সুমন রহমানের সঙ্গে এক কাতারে আনা ঠিক না! কিন্তু কেনো রে ভাই? সুমন রহমানের প্রতিভা আছে, এদের প্রতিভা নেই? প্রতিভার তো কোনো জাত-পাত-বর্ণ নাই। তো শুরু করে দেন জিফরান আর আপনি গোলাম আজমদের প্রতিভা নিয়ে লাফালাফি। আমরা দেখে যাই কেবল!
সবজান্তার বক্তব্যটা আমার কাছে সুশীল টাইপের বক্তব্য মনে হয়েছে। সুমন রহমানের কী রচনা আছে যেগুলো মাথায় রাখা লাগবে সুমন রহমান নিয়ে কথা বলতে গেলে! সুমন রহমানের মতো অমন দুয়েকটা পোমো কোবতে আর গল্প এই ধুগো প্রতিদিন হাগতে বসে ল্যাখে। তারপর সেগুলো ফ্লাশের সাথে পাড় করে দেয়। হাগন কুঠিতে এইসব বালছাল লিখে পরে এসে "আমি কি হনুরে" ভাব দেখালে লোকজন তো কষে চটকানা লাগাবে। সুমন রহমানের ভাগ্য ভালো যে মুর্শেদ খুব ভদ্র ভাষায় চটকানাটা মেরেছে।
আপনার প্রথম মন্তব্যটা পড়ার পরে ভাবছিলাম বেড়িয়ে যাওয়ার দাওয়াতটা বরং আপনাকেই দেই। ভাবী বাচ্চাদের নিয়ে এদিকে বেড়িয়ে যান মামুন ভাই। ভালো লাগবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্যে আপত্তি জানালাম। মাথা ঠাণ্ডা রাখ ধুগো, বেহুদা ঝগড়ায় ভাইটামিন নাই, খালি আসে কেরোসিন।
- আপত্তি জানানোর বোতাম একটা আছে বটে! সেটা যখন তখন টেপাও যায়। কিন্তু "ঠিক কী কারণে" আপনি সেই বোতাম টিপলেন, একটু পরিষ্কার কইরেন। এটা জানতে চাইলাম, অফিসিয়ালি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তো শুরু করে দেন জিফরান আর আপনি গোলাম আজমদের প্রতিভা নিয়ে লাফালাফি। আমরা দেখে যাই কেবল!
--এই লাইনটার জন্যই আপত্তি জানাইছি। কথাটা আমাকে আহত করছে। তোমার থেকে এটা আশা করি নাই।
আমি শুধু আমার অংশটুকুর জবাব দেই
লক্ষ্য করবেন, এই লেখাতে আমি দুটি মন্তব্য করেছি যার প্রথমটিতে আমি সুমন রহমানের রিভিউয়ের বিশ্লেষণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছি।
দ্বিতীয় মন্তব্যটি এই লেখার প্রেক্ষিতে করা না, জিফরান খালেদের প্রতি ছুড়ে দেওয়া মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা।
আমার স্বল্প জ্ঞানগম্যিতে যা বুঝি, জিফরান ভাই তাঁর অবস্থান খুব স্পষ্টভাবেই ডিফাইন করেছেন- যদিও তাতে ভুল বোঝার অবস্থানটা কোথায় তা স্নিগ্ধা আপুই সুন্দর করে বলেছেন। আমি যে জিনিসটা বুঝতে পারছি না, স্পষ্ট বাংলা অক্ষরে লেখার পরও কেন জিফরান ভাইয়ের মন্তব্য কেউ বিশ্বাস করছেন না- কেন জোর করেই সুমন রহমানকে তাঁর গুরু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারো লেখার প্রতি ভালো লাগা কিংবা মুগ্ধতা থাকা মানেই কি তাঁর মূরীদ হয়ে যাওয়া ? জিফরান ভাই একটা অবস্থান থেকে লেখার সমালোচনা করেছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তর্ক হতে পারে। কিন্তু 'ব্যক্তি আক্রমন' করে তর্কে জিততে চাওয়ার এই প্রবণতা আমার কাছে আপত্তিকর ঠেকে। আমার আপত্তি সেখানেই।
আমি সুশীল মানুষ- মন্তব্য সুশীল হবেই . এইবার বরং আরেকটু অসুশীল মন্তব্য করি।
আপনার এই মন্তব্যটা আমার কাছে গলার জোরে করা মনে হলো।
সুমন রহমানের চারিত্রিক অনেক বৈশিষ্ট্যের জন্য তাকে অনেকেই সঙ্গত কারণেই পছন্দ করেন না- কিন্তু তাঁর লেখাকে বোধহয় কেউই বাতিল করতে পারবেন না। আমি তার লেখা না পড়ে এ কথা বলছি না। তার একটি কবিতার বই এবং একটি গল্প গ্রন্থ আমি পড়েছি- এছাড়াও তাঁর অনেক লেখাই ইন্টারনেটের সুবাদে পড়া হয়েছে। আমি স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, তাঁর লেখার মেধা আমার কাছে কখনোই 'হাগনকুঠিতে' বসে লেখার গোত্রের মনে হয় নি।
আর আপনি যদি রোজই এমন পোমো গদ্য কিংবা কবিতা লিখে ফেলতে পারেন, তবে আমাদের শেয়ার করলেই পারেন। আর কেউ না পড়লেও, তেমন কবিতার নিয়মিত পাঠক (এবং সম্ভবত মুগ্ধও) আমি হবো।
কারো সম্পর্কে যতো বিরক্তিই থাক, সমালোচনার সময় যথাসম্ভব বস্তুনিষ্ঠ কথা বলাই ভালো, না হলে সমালোচনাটা নিছক ব্যক্তি আক্রোষে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- জিফরান কোন বক্তব্য পরিষ্কার করেছে জানি! এই যে সুমন রহমান প্রতিভাবান, প্রতিশ্রুতিশীল লেখক। সুতরাং তিনি বালছাল যাই লিখবেন সেটাই আমাদের জন্য বেদবাণী— এই জাতীয় কিছু নাতো!
আর আপনার উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যটা মোটেও গলার জোরে করিনি। গলায় মাশাল্লা বেশ ভালোই জোর আছে, জোর দিলে এতো মিহি করে কথা বের হয় না। আপনার মন্তব্যের নিচে হিমু'র করা একটা প্রতি-মন্তব্য আছে। সেটা দেইখেন।
আজকে সুমন রহমানের মহাশক্তিধর, প্রতিভাময় লেখনি জেনে নিতে বলছেন তার সম্পর্কে কথা বলতে গেলে। কালকে কী বলবেন? আল মাহমুদের লেখা জেনে তারপর তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করতে হবে! নয়া দিগন্তে লেখা সাহিত্যবেশ্যাদের সমালোচনা করতে হলে হৈ হৈ রৈ রৈ করে তেড়ে আসবেন, "জানিস, এঁরা কারা? এঁরা অমুক বেদগ্রন্থ রচনা করেছেন। অতএব এঁরা পাছা মারতে এলেও পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে যাস। সওয়াব হবে!" দুঃখিত সবজান্তা, এটা আমাদের মধ্যকার দুমুখো সর্প, সুশীলদেরই প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা..... লেখালেখি না করার মতো চমৎকার সিদ্ধান্তের কারণে নিজের পিঠই আমার নিজের চাপড়ে দিতে ইচ্ছা করছে
কারণ, একটা খুব সরল কথাকেও যখন আমি বাংলা ভাষায় লিখে বোঝাতে পারি নি তখন মনে হয় আমার লেখালেখি বিশেষত সচলায়তনের মতো প্ল্যাটফর্মে লেখার যোগ্যতাই নেই।
ওহ হ্যাঁ, আরেকটা কথা-
এখানে মনে হয় "আমাদের" না লেখাই ভালো। এমন তো আর সবার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য না। বরং যেটা ভাবছেন সেটাই বলুন, এটা "আপনার" মধ্যকার দুমুখো সর্প সুশীলদের প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
লিখে যখন নিজের চিন্তা/যুক্তিগুলিকে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারি না, তখন মনে হয় না আর এখানে আমার কিছু লেখার আছে।
সবাই ভালো থাকুন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
[[আমার এই মন্তব্যটি অফটপিক, হাল্কা এবং সিম্পলী মজা করে বলা]]
সবাই দেখি খালি চইলা যাইতে চায়! সবজান্তা আপনার মত ড়্যাশনাল মানুষ যদি রাগ কইরা এমন কথা বলেন তাইলে কেমন কী?
নেন এই গানটা শোনেন:
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঝগড়ায় পেলাস। গোস্বায়তনে মাইনাস।
অহন একটা মিলনায়তন দরকার
সহজ কথা সবাই সহজে বুঝবো ভাবলা কি কইরা?
কিন্তু একটা কথা বঙ্কা, একটা দলের সদস্য কিন্তু কখনোই পুরা দলরে রেপ্রেজেন্ট করে না। তুই সদস্যের উপরে হতাশ হইতে পারস কিন্তু দলের উপর না, এখনো না। যদি দেখস দলের সবাই সেই সদস্যের ভাষায় কথা কইতাসে বা কিছু না কইয়া চুপ কইরা আছে, তাইলে যাইস গা।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এই কথাটা যদি সবজান্তাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়ে থাকে - তাহলে আমার আপত্তি জানাচ্ছি!!! এতোখানি না হলেও এর কাছাকাছি ধরণের কথা সচলায়তনে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু, সেটা সাধারণত 'যারা অমুক কাজটা করেছে' ইন জেনারেল তাদেরকে বলা হয়।
সাবাশ ধুসর গোধূলি! কোথাকার কোন সুমন রহমানের লেইগা আপনে জিফরানরে দিয়া তার গু শুঙ্গাইলেন, সবজান্তারে বানাইলেন দুইমুখা সাপ (সাথে আরো বিশ্রী কথা কইসেন, রুচি হইলো না রিপিট করার)! আপনার এলেম নাই দাদা, আপনের খুরে খুরে নমস্কার!
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- পণ্ডিত জী, ব্যাপারটা আমার আর সবজান্তার মধ্যেই থাকুক নাহয়, প্লিজ!
আমাদের দু'জনের মধ্যে তো কোনো জাতি দুশমনি নেই, শুধু শুধু মাঝখান থেকে তৃতীয় জনের কোনো কথা হয়তো জটিলতাই বাড়াবে। ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি ৪র্থ জন, স্নিগ্ধা আপারে গুনেন নাই বা গনায় ধরেন নাই।
যাউকগা আপ্নের আর সবজান্তার এই 'ব্যাপার'টা নিজেদের মধ্যে মধ্যে নাই তো..এইটা আপনাকে বুঝতে হবে তো...
সচলের পাতায় সবাই দেখতাছে 'ব্যাপার'টা, তাই একজন সচল হিসাবে যতটুকু বলা উচিত মনে করলাম তাই করলাম। ইউ আর ওয়েল্কাম ।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভায়েরা! দয়া কইরা সবাই একটু ঠান্ডা হোন! কি শুরু হইলো সাতসকালে এইগুলা। অনেকদিন পরে ভাবতেছিলাম কিছু পুরনো ্পোস্টফোস্ট পড়ুম। এখন দেখি সচলে ঢুকা যাইতেছে না। প্রক্সি দিয়া ঢুকলাম। এখন তো দেখি আগুন লাগে লাগে। কি এক ্লের সিনিমা আর কার কি ্লের কথা নিয়া এত হাউকাউ!
তবে আজকে মন খারাপ করুম না বলেই ঠিক করছি। পিসিটা বন্ধ করেন- তারপরে জানালাটা খুইলা মাথাতে একটু হাওয়া লাগান। কি চমৎকার একটা দিন আজকে- খেয়াল করছেন নাকি আপনেরা? ঠান্ডাও না- আবার গরমও না- কেমুন সুন্দর বাতাস ছাড়ছে- একেবারে শার্ট খুইলা হাটা দিতে মন চায়। তা আপনেরা নাহয় শার্ট পইরাই একটু নাহয় ঘুইরাই আইলেন বাইরে... কি আছে দুনিয়ায়।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সবজান্তার প্রতি মন্তব্যটা তাহলে এক্ষেত্রেও খাটে। আবার বলি:
জিফরানকে ব্যঙ্গ বা বিদ্রুপ করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। সেরকমটা মনে হলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনারা শুধু শুধু গিয়ানজাম করতেছেন। মাথা ঠাণ্ডা করে শোনেন ফ্যাতাড়ু কবি কী বলেছেন।
কবি বলেছেন,
দ্রোহীদা গন্ধ কয়। এইসব ছড়া রেস্ট্রিকটেড থাকা জরুরী মনে হয়। মডুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জানিনা এই মন্তব্যটা করে কোন লাভ হবে কিনা। তবুও করছি। একদম ভাল লাগছে না এই পোস্টে আর ঝগড়াঝাটি দেখতে। অনেক তো হল। সবার যা যা বলার মনে হচ্ছে বলে দিয়েছেন। আর মনে হচ্ছেনা নতুন কথা কিছু বলার আছে। এবার কি সবাই সবার সাথে ভাব ভাব ডাব ডাব করে নেয়া যায়না? অনুরোধ রাখলাম, প্লীইইইজ।
মুভি রিভিউ এর রিভিউ নিয়ে আর কেউ কথা বলতাসে না দেখা যায়। সবাই সুমন রহমান আর জিফরানরে নিয়া লাগসে। সুমন রহমান রে চিনি না, সবাই যখন গাইলাইতাসে তখন হয়তো সাম্থিম রম। কিন্তু জিফরানরে চিনি, আর তারে একইভাবে তুলাধুনা করতে দেইখা খারাপ লাগলো। বুঝাই যাইতাসে জিফরানের কথাবার্তা অনেকের ভাল লাগে নাই। এর যথেষ্ঠ কারণও হয়তো থাকতে পারে। তবে হয়তো আরো ভদ্রভাবে জিফরানের অবস্থানের বিরোধীতা করা যাইতো।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পুরাতন ইতিহাস পাতিহাস কিছুটা জানি, তারপরেও সমালোচনার সমালোচনাকে খুব একটা ব্যক্তি আক্রমন মনে হয়নি। ডিস্ক্লেইমারের 'সঙ্গত কারণেই দ্রুত লিখে' পড়ে যদিও অনেকটা 'পাইছি তোরে' স্বরুপ মনে হয়েছে। যাই হোক, সেসব কথা থাক।
সচলে যখন লাল/নীল/আসমানী/বেগুনী/সাদা মডুদের আবির্ভাব হল তখন উদ্যোগটা খুবই ভাল লেগেছিল। কারণ একজন ব্লগারের যেকোন তীর্যক কমেন্টই মডু সুলভ ধমকি হয়ে যায় যদি তার মডু স্ট্যাটাস জানা থাকে। তারপরেও নিয়মিত যারা তাঁরা অনেকেই জানেন লাল/নীল/বেগুনীদের আড়ালে থাকা ব্যক্তিরা কারা, সেসব ব্যক্তিরা যদি অতিথির আড়ালে থাকা কারও পরিচয় প্রকাশ করে দেন (আন্দাজেই হোক বা অন্য যেকোন উপায়েই হোক), তা আমার কাছে খুব একটা শোভন মনে হয়না। কেউ যদি ভাববাদী নিকের আড়ালে নিজের মুখ লুকাতে চায়, তাহলে তাকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিৎ অথবা নিয়ম করা উচিৎ নিবন্ধিতরা ছাড়া অন্য কেউ মন্তব্য করার সুযোগ যেন না পায়।
সঙ্গত কারণটা আসলে আপনি যা ধরে নিয়েছেন তার থেকে ভিন্ন। সুমন রহমান খুব দ্রুত ভুল বুঝতে পেরে পোস্ট শুধরে অনলাইনে বিতরন শুরু করে দিয়েছিলেন। সেখানে আমার পোস্ট লিখতে লিখতে ভোর হয়ে যাবার দশা। যদি বানান দেখার মত বিষয় নিয়ে দেরী করি তাহলে পরদিন দুপুর নাগাদ পোস্ট ছাড়া পাবেনা। আর কে চায় বাসী লেখার বাসী রিভিউ পড়তে। সেকারনে দ্রুত ছাড়ার তাগিদ অনুভব করেছি।
দ্বিতীয় অংশের সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ব্যাপারটি মাথায় রাখব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভুল বুঝার জন্য দুঃখিত মুর্শেদ ভাই। ক্লারিফিকেশনের জন্য ধন্যবাদ।
সাফি, নিয়মটা কিন্তু সেরকমই। নিবন্ধিত হয়ে সচলে নিয়মিত অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ সবার জন্যে। পর্দার আড়ালের সুযোগ নিয়ে ক্ষণিক চিমটি কাটার বিলাস আসলে এন্টারটেইন করা সম্ভব না। যারা সে কাজ করতে চায়, তারা যেন ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামে। সব আরাম তো দুনিয়ায় একবারে করা যায় না, তাই না?
'আঁতেল' শব্দটা কিভাবে একটা গালি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাইলো, সেইটা বুঝতে এক সুমন রহমান সাহেবই যথেষ্ঠ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
এই পোস্ট দেয়ায় দোষের কিছু দেখছি না। অনেকেই আবেগের বশে পুরনো ইতিহাস ধরে টেনেছেন খানিকটা, কিন্তু সেসব বাদ দিয়ে, একটা 'অপরিপক্ক সিনেমা সমালোচনা'র সমালোচনা হিসেবে এই লেখাকে মানতে কী সমস্যা?
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আরেকটা কথা, না-জেনে-বুঝে সিনেমা সমালোচনা করলে পরে তুলোধুনো খাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। স্বয়ং সত্যজিৎও কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। মুর্শেদ ভাই তো সেই পথেই হেঁটেছেন।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
প্রথমত - এস এম মাহাবুব মোর্শেদকে ধন্যবাদ এ লেখার জন্য ।
দ্বিতীয়তঃ - কনফুসিয়াস ভাইয়ের সাথে একমত ।
গত কাল থে'কে এই পোষ্ট, মন্তব্য গুলো অনূসরন করছিলাম । শেষমেষ যা দাড়ালো - তাতে ব্যাক্তি সুমন রহমানই আলোচ্য হয়ে গেলেন । এস এম মাহাবুব মোর্শেদের পোস্ট - বিষয় থেকে আলোচনা দূরে সরে গেল ।
এই জট পাকানোর পুরো কৃতিত্ব জিফরান খালেদের । খেয়াল করে দেখলাম - জিফরান এসে এমন দিকে মোড় নিল আলোচনা ,তাতে করে সাহিত্যিক সুমন রহমান মুখ্য হল ।
জিফরান ক্কালেদ সফল । সুমন রহমানের মুগ্ধ অনুজ জিফরান তার গুরুকে বাঁচাতে এসে এরকম ভজঘট লাগিয়ে এখন মুচকি মুচকি হাসছেন নিশ্চয় !
প্রথম সারির দৈনিকে ভুয়া রিভিউ লেখার পরে , এরকম স্পষ্ট পোষ্টের শেষ পরিনতি এমন হতে পারে ভেবে অবাক হচ্ছি । আরো অবাক হলাম - পূর্ণ সচল কেউ কেউ সুমন রহমানের সাফাই গাইলেন , সুশীল মন্তব্য করলেন । অচল পাঠক হিশাবে সচলদের কাছ থেকে আরো স্পষ্ট বক্তব্য আশা করি ।
১.
দ্দীণূ পত্রিকায় প্রায়শই উপসম্পাকদীয় পাতায় অনেক কিছু লেখে। এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে কেন তার ছোটগল্প বা কবিতার প্রসঙ্গ তুলে আনতে হয়, সেগুলি বাতিল করা না করা নিয়ে কথা হয়, এটা আমি বুঝতে পারছি না। গ্রাম্য শালিসে শুনেছি ধর্ষণকারী কত বড় বংশের ছেলে, সেগুলো নিয়ে বিস্তর বাহাস হয়। দ্দীণূর গল্প-কবিতা নিয়ে কথাও এই পোস্টের প্রেক্ষিতে ওরকমই মনে হলো, সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। দ্দীণূ ভালো গল্প কবিতা লেখে, নাকি ভালো লুডু খেলে, নাকি উচ্চ ফলনশীল কৎবেলের চাষ ভালো করে, এই প্রত্যেকটা আলাপ সমান অপ্রাসঙ্গিক।
সবজান্তার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করি, জিফরানের অবস্থান জিফরান স্পষ্ট করতে পারেনি। কী কারণে তর্কটাকে অপ্রাসঙ্গিক দিকে সে নিয়ে গেলো, তা অস্পষ্ট। আমার মনে আছে, সুমন রহমান যখন বাতাসে ভেসে বেড়ানো একটা গুজবকেই ফ্যাক্ট বানিয়ে দিয়ে আলুপেপারে উপসম্পাদকীয় ফেঁদে বসেছিলো, আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তাতে জিফরানের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিলো, সুমন রহমান ঠিকই বলেছে। ঐ অবস্থান থেকে জিফরান সরে এসেছে এমন কোনো নমুনাও আমি দেখি না। আমার ধারণা জিফরান সুমন রহমানের লেখার চেয়ে ব্যক্তি সুমন রহমানকে ডিফেন্ড করতে অনেক বেশি উন্মুখ। তবে একে আমি মুরিদানি বা চামচামি বলছি না। সুমন রহমানের লেখা পড়ে কিংবা তার কত্থক নাচ দেখে কিংবা তার বিড়ি খেয়ে গোল করে পাকানো ধোঁয়ার রিং দেখে জিফরান মুগ্ধ হতেই পারে, এবং সেই মুগ্ধতা প্রকাশের পূর্ণ অধিকারও সে সংরক্ষণ করে, কিন্তু প্রসঙ্গকে কৌশলে পাল্টে তর্কের মোড় বদলানোর জন্যে যখন তা ব্যবহৃত হয়, তখন সে ব্যাপারেও জিফরানের দৃষ্টি আকর্ষণ আমি করতে পারি।
কেউ কারো লেখা বাতিল করতে পারে না। পড়ে ভালো লাগার ব্যাপারটা সাবজেকটিভ, একেক জনের চোখে একেক লেখা ভালো লাগে। এ কারণেই বোধহয় সে আলোচনায় এই পোস্টের লেখক যায়নি। কথা হচ্ছিলো ফ্যাক্ট টুইস্ট করার ব্যাপারে দ্দীণূর পারফরম্যান্স নিয়ে। এ আলোচনাকে কেবলই থামিয়ে, মোড় ঘুরিয়ে, ভিন্ন তর্কে নিয়ে যেতে যে চেষ্টা করছে, সে ব্যক্তি সুমন রহমানের স্বার্থ সংরক্ষণ করছে। আমরা আলাপ করছি কলামিস্ট সুমন রহমানকে নিয়ে, ব্যক্তি দ্দীণূ চুলায় যাক।
২.
প্রিয়জনের মৃত্যুশোক নিয়ে রাজনীতি থেকে শুরু করে অটিজমের রাজনীতি, মাঝখানে সম্ভাব্য সবরকমের রাজনীতি নিয়ে দ্দীণূ অনেক বকেছে। এবার আমরা এই উপসম্পাদকীয় লেখার রাজনীতির দিকে পাল্টা তাকাই।
ভৈরব জেলা হবে কি হবে না, কিংবা ভালো মুসলমান খারাপ মুসলমান স্টেরিওটাইপিং, অথবা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আগুন নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা, সবকিছু নিয়েই রাজনীতিপ্রেমী দ্দীণূ দেশের একটি প্রথম সারির দৈনিকে উপসম্পাদকীয় ফেঁদে বসে। সম্ভবত সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজনের সাথে তার ওঠবোস আছে। ওরকম একজন বাংলাদেশের ইমার্জিং ইয়াং জেনারেশন নিয়ে লিখতে গিয়ে বুড়ো হাবড়া দ্দীণূকেও তরুণ বানিয়ে অনেক কথাবার্তা বলেছিলেন হঠাৎ একদিন, মনে আছে আমার। তো সখ্যের সূত্র ধরে কলামে সবকিছুর মধ্যে রাজনীতির ভূতকে টেনে বার করে প্যাঁচানোর পেছনে দ্দীণূর কী রাজনীতি কাজ করতে পারে?
আমার ধারণা, এটা এক ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ঊরু প্রদর্শনী। এখনও কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠী দ্দীণূকে ভাড়া করেনি। পুরাকালে রাজারাজড়ারা ডালকুত্তা পালতো, এখনকার রাজনীতিক বা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পালে ডালদার্শনিক। ডালদার্শনিকদেরও প্রয়োজন বিজ্ঞাপনের। সেই বিজ্ঞাপনে যেমন সরলচিত্ত মধ্যবিত্তের হৃদয় জয় করতে হয়, তেমনি ইঙ্গিত পৌঁছে দিতে হয় কুটিলচিত্ত উচ্চবিত্তের কাছে, যে এই দ্যাখো, আমি কিন্তু পারি! তাই যতই দিন যাচ্ছে, উদ্বিগ্ন ডালদার্শনিকের কলম মরিয়া হয়ে মোড় নিচ্ছে "ভালো মুসলমান"-"খারাপ মুসলমান" ডাইকোটমির দিকে, এর সাথে "মাই নেম ইজ খান"-এর মিল থাকুক বা না থাকুক, কোনো সমস্যা নেই। লেখা তো ছাপা হয়েই গেছে, বিজ্ঞাপন পৌঁছে গেছে যাদের কাছে পৌঁছানোর। ব্লগে শুদ্ধিপত্র গেছে, কাগজে তো আর যাবে না!
এরচেয়ে সহজ পদ্ধতি দেখিয়ে গেছে আমাদের নীড় সন্ধানী। দ্দীণূ সাহেব, একটা বিজ্ঞাপন দেন চার কালারে। বলুন যে ভাড়া হতে চান, সামনে কিছুদিন ফ্রি আছেন। ভাড়াটে ডালদার্শনিক হতে নেমেছেন যখন, ঘোমটা দিয়ে কী লাভ?
আছেন কোনো পয়সাঅলা গোষ্ঠী? ডালদার্শনিক লাগবে আপনাদের? আর দেরি নয় ... এখনই যোগাযোগ করুন। যা খুশি তাই বলিয়ে নিতে পারবেন একে দিয়ে, প্রতিবাদও করতে পারবো না আমরা, কারণ এর আছে চমৎকার কিছু ছোট গল্প আর কবিতা লেখার ইতিহাস। দ্দীণূ ঠাকুর যুগ যুগ জীয়ে।
মন্তব্যটার সাথে পূর্ণ সহমত ব্যক্ত করে গেলাম।
সুমন রহমান একজন অসামান্য গল্পকার। কবিতা বুঝি না, তবে হয়তো তিনি কবি হিসেবেও দারুণ। তাঁর এই গুণগুলোর প্রতি মুগ্ধতা থাকতেই হবে। আমার নিজেরও ছিলো একটা সময় পর্যন্ত। তবে, এই সাহিত্যিক পরিচয়ের বাইরে তাঁর আনুষাঙ্গিক কিছু দিক জেনে আর মুগ্ধতা টেকেনি।
স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে থাকে -- খুব সম্ভব এই আলু পত্রিকায়ই প্রবাসে সুমন রহমানের কীর্তির কথা লেখা হয়েছিলো। বেতন ও সুবিধাদির দাবীতে যখন বাঙালি শ্রমিকরা প্রতিবাদমুখর, তখন তিনি ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে তালিকা করছিলেন প্রতিবাদীদের। সচলায়তন ব্যানের সময়কার কথা তো অন্যদের মন্তব্যে এসেছেই।
গল্পে নিজের মতো বাস্তবতা তৈরি করা যায়। সেই বাস্তবতায় আলেখ্য রচনায় সুমন রহমান খুবই পারদর্শী। ঝামেলাটা হয়ে যায় তিনি সর্ববিদ্যাবিশারদ রূপে আত্মপ্রকাশ করতে গেলেই। জিফরান ও অন্যান্য যাঁরা সুমন রহমানের অনুরাগী, তাঁদের উচিত সুমন রহমানকে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া -- নিজের সীমানার মধ্যে থাকুন।
তিনি কবি/গল্পকার-এর গণ্ডির বাইরে বের হলেই তাঁর ব্যক্তিগত চরিত্রে কিছু আপত্তিকর/কুৎসিত দিকের সাথে আমাদের পরিচয় হয়ে যাচ্ছে। ফলাফলঃ এরিস্টটলের মতো একই অঙ্গে অনেক রূপ ধারণ করার চেষ্টা করতে গিয়ে তিনি চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফত হয়ে যাচ্ছেন।
একটা ফেসবুক লিংক রাখলাম। আমার ফেসবুক এ যারা আছেন, দেখতে পারেন পন্ডিত স্যারের সাম্প্রদায়িক পন্ডিতী।
প্রতিভা এবং প্রতিভার আড়ালে মকারী- এই দুটোর মধ্যকার সুক্ষ দেয়াল সেটা যারা চেনেন এবং যারা চেনেননা এবং যারা চিনে ও অন্ধ থাকেন প্রলয় বন্ধ হবার দুরাশায় অস্তিস্ত্বহীন ঈশ্বর তাদের সকলের মঙ্গল করুন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একজন লেখক মুভি না দেখে (এছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না) একটি প্রথম সারির দৈনিকে উপসম্পাদকীয় কিভাবে লিখতে পারেন এটা আমি ভাবতে পারছি না। মুভিটি দেখা না থাকলে মুর্শেদের এই লেখাটিকে শুধু ব্যক্তি সুমনের প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই মনে হবে আর সুমন রহমানের রিভিউটিকেও তেমন খারাপ কিছু মনে হবে না। একজন লেখকের এমনতর অসততাকে কিভাবে সহমত জানানো সম্ভব সেটাও মাথায় ঢুকছে না। দুঃখিত, নিজের পেশার প্রতি যদি কেউ সৎ না থাকতে পারে তবে তার কর্ম যতই শ্রেষ্ঠ হোক না কেন সেই ব্যক্তির গ্রহযোগ্যতা থাকা সম্ভব নয়। কারোর শুরুর দিককার কর্ম হয়তো টিকে থাকতে পারে, কিন্তু সেই ব্যক্তি অবশ্যই পরিতাজ্য।
সিনেমা ঠিকঠাক না দেইখা মনের মাধুরী মিশায়ে প্রথম আলোয় লিখা পাঠাইসে...বেক্কল সম্পাদক ঐটা আবার ছাপসে...আমরা আমপাঠক তা নিয়া সমালোচনা করতেই পারি...সুমন রহমানের এ জাতীয় ডায়রিয়া মাঝে মাঝেই আলু পত্রিকায় দেখি (কবি, কথাসাহিত্যিক তকমা নিয়েও হেন বিষয় নাই যে তিনি লিখেন না) ...এ ঘটনার পর যদি লজ্জা-শরম থাকে তো (যদি আসলেই সু-মন হয়ে থাকেন আরকি) এই ডায়রিয়া বন্ধ হওয়ার আশা করা যায় ...আমরাও জাতীয় পত্রিকায় দুর্গন্ধের হাত থেকে পরিত্রাণ পাই...
পোস্টের তাই প্রয়োজন ছিল।
তানভীর ভাই, আসলে সম্পাদককে দোষ দিয়ে খুব একটা লাভ নাই। কারণ দুনিয়ার সবকিছু চেক করে সম্পাদক লেখা হয়তো ছাপাতে পারবে না সবসময়। কেষ্টুবিষ্টুদের সাথে ওঠবোসের সুবাদে দ্দীণূর একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে আলুপেপারে, অনেকটা সেই অতীত ছোটগল্প আর কবিতা লেখার কিচ্ছার মতো। তিনি যে ছাইপাঁশ যা খুশি লিখে জমা দিতে পারেন, এ কথা হয়তো সম্পাদক আঁচ করতে পারেনি। একনজর চোখ বুলিয়ে দেখেছে ওটাতে "ভালো মুসলিম" "খারাপ মুসলিম" "অটিজমের রাজনীতি" "সাদা কালো বাদামী" "আমেরিকা" "ভারত" প্রভৃতি শব্দাবলী ব্যবহৃত হয়েছে, যা আমজনতা খায়, ব্যস চালিয়ে দিয়েছে।
বিপদটা এখানেই। একবার গ্রহণযোগ্যতা তৈরির পর যা খুশি হেগেমুতে ছাপাতে পাঠিয়ে দেয়া যাচ্ছে।
লেখাটা যতটা না লেখা হয়েছে, তারচে বেশি তৈরি করা হয়েছে। সম্ভবত লোকমুখে বা এখানে ওখানে পড়ে কিছু ঘটনা জেনে দ্দীণূ কতগুলো পয়েন্ট টুকে ফেলেছে খাতায়
১. "ভালো মুসলমান" বনাম "খারাপ মুসলমান"
২. "কালো" বনাম "বাদামী"
৩. "হলিউড" বনাম "বলিউড"
৪. আর ... আর ... আর ... অটিজম নিয়া কিছু কমু? আইচ্ছা অটিজমের রাজনীতি ...
৫. অভিবাসী সম্প্রদায়ের রাজনীতি
৬. মার্কিন সমাজ লৈয়া হালকার উপ্রে ঝাপসা ...
ব্যস তৈরি হয়ে গেলো লেখা। ওপরে সীলছাপ্পড় মারতে হবে "মাই নেম ইজ খান" এর। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে গরমাগরম পরিবেশন করতে হবে আলুর পাতায়।
তর্কের উত্তেজনায় বাৎসরিক বলির রেওয়াজ থেকে সচল মুক্ত থাকুক।
উরিবাবা। আমারও এখন এমুন রিটার্ডেড ভিউ লেখতে ইচ্ছা করতাছে।
______________________________________
লিনলিপি
______________________________________
লীন
এই লেখায় নৈতিক সমস্যা কোথায় আমি ঠিক বুঝি নাই। এইটা নিয়ে ফালাফালি কেন হচ্ছে তাও বুঝি নাই.... লেখা নিয়ে আমার কিছু বলার নাই... ব্যক্তিগত আক্রমণ হইলে হোক, না হইলেও কিছু যায় আসে না.. গোলাম আজম, নিজামী টাইপ মানুষদের ব্যক্তিগত কেন, কোনোরকম আক্রমণ করলেই কোনো সমস্যা হওয়া উচিত না বলে আমি মনে করি.... আলোচ্য ব্যক্তিকে আমি চিনিনা... বেশ কয়েকবারই গু.আ দের সাথে তুলনা করায় আমি ধারণা করছি ইনিও খুন-ধর্ষণ-যুদ্ধাপরাধ জাতীয় কিছু করেছেন.. তাই হইলে কি সমস্যা ব্যক্তিগত আক্রমনে? খুশি মনে সবাই মিলে করি.. আর কেউ দ্বিমত জানালে তাকেও ছাগু বলে গু.আ র কাছে পাঠায় দেই..
কিন্তু তা না হলে, সামান্য মত বিরোধ থেকে সবজান্তা / জিফরান খালেদ (আমি কিন্তু তাঁকে চিনি না.. আমি শুধু জানি তিনি এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান) দের ঢালাও ভাবে ছাগু বানিয়ে দিলে কিন্তু এটা একটা ফ্যাশন হয়ে যাবে... "আমার সাথে একমত না?" তাইলে তুমি ছাগু... বোধহয় সেটা খুব একটা ভাল ফল বয়ে আনবে না... আমি নিচের উদ্ধৃত মন্তব্যটুকু দেখে সে কারণেই রীতিমত অবাক হয়েছি্....
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
চামচাদের ক্রুসিফিকেশনের তালিকায় হাসান মোরশেদ কীভাবে যেন বাদ পড়ে গেছে। বাকিদের দেখি। মুর্শেদ, চেক। হিমু, চেক। ধূসর গোধূলি, চেক। শুভাশীষ, চেক।
দ্দীণূ ঠাকুরের কীর্তিকলাপ নিয়ে একটু বেশি ভোকাল এমন আর কে আছে? নাই। হুমমমম।
সাবধান হাসান মোরশেদ। পালিয়ে তুই বাঁচতে পারবি না রে দুষ্টু মুহাহাহাহাহা (সিনেমাটিক তুইতোকারি) ...
গত কিছুদিন পড়া হয়নি। কাল গেলো অনিকেতদার পোস্ট পড়তে পড়তে। আজ এটা পড়লাম মন্তব্যগুলো সহ।
পোস্টে কোনো সমস্যা চোখে পড়লো না। এখানে সুমন রহমানের জায়গায় মদন রহমান আর এস এম মাহবুব মুর্শেদের জায়গায় খোরশেদ থাকলে কী হইতো? এরকম একটা ভুল রিভিউ নিয়ে এরকম একটা পোস্ট হতেই পারে। সুমন রহমানের ভুল ধরায় সমস্যা কোথায়? কোনো অতীত ছাড়াই এই ভুল ধরা জায়েজ। এমনকী অনেক বড় কবি সাহিত্যিক হলেও।
মুর্শেদ ভাই বার বার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানানোর চেষ্টা করেছেন, যে অতীত কিছু না, শুধু রিভিউয়ের সমালোচনাই করছেন তিনি। কিন্তু তারপরও তাকে সুমন রহমানের শত্রু বানানোর চেষ্টাই বহাল থাকলো দেখে অবাক হয়েছি।
এরই প্রতিক্রিয়ায় জিফরান খালেদকে সুমন রহমানের মুরিদ বানানো হলো।
সবজান্তা কেন জিফরানের পরিষ্কার অবস্থানটাই দেখলো, মুর্শেদের অবস্থানটা বোঝার চেষ্টা করলো না বুঝতে পারিনি।
পুরো ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার কি সব কলার ছাড়া পাঞ্জাবি নাকি? ভালো শার্ট কিন্না পিন্তারেন্না মিয়া? কলার না থাকলে ধরুম কই? নাকে খত দেওয়ামু কীসে ধইরা?
ডরাইছি, অখনই কলার ওয়ালা শার্ট সব পানিত ফেলে দিতেছি। কে হায় কলার পরে নাকে খত খেতে ভালুবাসে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চলেন বস, একদিন জুম্মার নামাজটা সেরে, আতর আর সুরমা লাগিয়ে দ্দীণূ আর তার চামচাদের কাছে গিয়ে মাপ আর দোয়া দুইটাই চেয়ে আসি। অনেক তো পাপ করলাম। এবার একটু জাতে উঠি। হে দ্দীণূ দয়াময় রহমান রহিম, তুমি নিত্য সত্য অনন্ত অসীম ... ♪♫
আমার তো অজু নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ন-ঞ অজু থেকেই যে নজু, সে তো জানতেম না!
কলার নাই, অজু নাই ... আপনার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্লগিং করতে যাওয়াই একটা ভুল হইসে ।
স্যরি, আমি ছেলেদের কাধেঁ কাঁধ মিলাই না... যে কোনো মিলনে আমি কোমলতাই খুজিঁ। যদিও আশরাফীয় কোমলতা না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হেঃ হেঃ সুমন রহমান-এর রিভিউটা নিশ্চিত মজাদার। আমার মনে হচ্ছে "মাই নেম ইজ খান" রিভিউ করার সময় দেশে দেশে সমস্যা হচ্ছে, কেন খুদায় মালুম! বোধহয় কেই ভুডু/তুকতাক করেছে। কয়েক হপ্তা আগে আনন্দঅবাজারে দেখ্লাম লিখেছে প্রেসিডেণ্ট ওবামা মুসলমান!! অঞ্জন দত্ত-র ডিটেইল্ড রিভিউ-এর এটাই থিসিস! এবার মনে হচ্ছে প্রতিঞ্জা ভঙ্গ করে মুভিটা দেখেই ফেলব
ঃ-)
-------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
কিছু ফ্যাক্ট সোজা করা দরকার বলে মনে করি।
প্রথমতঃ সুমন রহমানের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নেই। তার ছোট গল্পের বিরাট ভক্ত আমি। অতীতে তার ছোট গল্প নিয়ে রিভিউও লেখা শুরু করেছিলাম। আমার অন্য অনেক সিরিজের মত সেটা শেষ করা হয়ে ওঠেনি।
সুমন রহমানের রিভিউ নিয়ে আলোচনার এই পোস্টটি দিয়ে এটাই পরিষ্কার করতে চেয়েছি যে সবাই সব বিষয়ে পারদর্শী নয়। সুমন রহমান সচলায়তনের কয়েকজনের উপর রাগ ঝাড়তে গিয়ে দেশের প্রথম সারির পত্রিকা প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয়তে পুরো সচলায়তনের সবাইকে শিক্ষানবিশ বানিয়ে ফেলেন। এই পোস্টটা সুমন রহমানের রিভিউয়ের দুর্বলতার পাশাপাশি সেটাকেও রিফিউট করে খানিকটা।
এই পোস্টে জিফরানকে আমি ব্যক্তি আক্রমণ করিনি। ইনফ্যাক্ট কাউকেই ব্যক্তি আক্রমণ করিনি। যদি কারো মনে এরকম ধারণা হয় তাহলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সুমন রহমানের রিভিউটাকে খানিকটা ব্যঙ্গ করেছি কিন্তু ব্যক্তি সুমন রহমানকে কখনই নয়। তিনি তার ক্ষেত্রে সেরাদের একজন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে বিদ্যা জাহির করাটা বোধহয় একটু বেশী হয়ে যায়।
এই পোস্টের পর আবেগতাড়িত হয়ে অনিকেত একটা পোস্ট দেন। আমার মনে হয়েছে অনিকেতের পোস্টটা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়, অবিবেচনাপ্রসূত এবং বিভাজনপ্রবণ। সেটা নিয়ে সেই পোস্টেই আলোচনা হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মেহবুবা জুবায়েরের সাথে মডারেটরদের কারো যোগাযোগ হয়নি এবিষয়ে। আমরা সাজানো নাটক, বা রাজনীতির অংশ হিসেবে এসব কিছু করিনি। পোস্টের একদিন পরে ভাবীর সাথে আমার কথা হয়। এবং জুবায়ের ভাই মৃত্যুর পর এই প্রথম কথা হল তার সাথে। পোস্ট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে আন্দাজ করে, তিনি নিজেও আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বটমলাইন হচ্ছে, সুমন রহমানকে নিয়ে আমাদের কোন পূর্বাপর পরিকল্পনা নেই। আমি সচলায়তনের একজন রেগুলার কন্ট্রিবিউটর হিসেবে লেখা দিয়েছি। এর জন্য আমি লজ্জিত নই। কিন্তু এটাকে একটা বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখলে অবশ্যই ভুল হবে।
এসব দেখে বিরক্ত ব্লগারদের এই পোস্ট এবং এর অব্যবহিত পরে অন্যান্য পোস্ট নিয়ে বিব্রত হতে দেখে আমি খুবই দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এইভাবে একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোককে নেংটু করার অপরাধে আপনার জেল চাই!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন