• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

"একটি মতবাদের জন্য আমার এমন ছাগুপনা..."

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শনি, ২৭/০৩/২০১০ - ৭:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকা
বাংলা ব্লগে ছাগু শব্দটি বহুল ব্যবহৃত। নতুন নতুন যারা ব্লগ করতে আসেন, কিংবা যারা মডারেটেড ব্লগের বাইরে বিচরন করেননি তাদের কাছে বিষয়টা খুব অদ্ভুত মনে হয়। যাকে তাকে যখন তখন এই ট্যাগটি বরণ করতে হতে পারে। তারপর তার অনলাইন জীবন মোটামুটি দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।

কী এই ছাগুপনা? কিভাবে এই শব্দটির উৎপত্তি ও জনপ্রিয়তা লাভ? কেন একজনকে ছাগু বলা হয়? এর থেকে প্রতিকারের উপায় কী? আসুন আরকটু গভীরে যাওয়া যাক।

ছাগুপনার সংজ্ঞা ও উৎপত্তি
কোন একটি মতবাদের পক্ষে, যুক্তি তর্কের উর্দ্ধ্বে উঠে, শুধুমাত্র বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে, সেই মতবাদকে সত্য প্রমান করার চেষ্টাকে সাধারণতঃ বাংলা ব্লগে ছাগুপনা নামে আখ্যায়িত করা হয়। যারা এই চেষ্টা করেন তারা ছাগু ট্যাগে ভূষিত হন।

প্রথম বাংলা ব্লগে কিছু ব্লগার ছিলেন যারা সেক্যুলার লেখা পড়ে অহরহ আক্রান্ত বোধ করতেন এবং তাদের বিশ্বাসের জায়গাটি থেকে যুক্তি ছাড়াই অনবরতঃ যুদ্ধ করে যেতেন। এই ধরণের বিশ্বাস যখন অসংখ্য যুক্তির মুখেও সত্য গ্রহণ করতে চাইত না তখন তাদেরকে ছাগু নামে ট্যাগিং করেছিলেন তখনকার ব্লগাররা। এই ট্যাগটা ব্যবহার করা হত, যাতে এদের সাথে যুক্তি দিয়ে সময় নষ্ট না হয় সেটা বোঝাতে।

পরে বাংলা ব্লগের প্রসার ঘটলে ছাগুপনা বা বিশ্বাস ভিত্তিক বক্তব্যের ঝড় কমেনি। তাই রয়ে গেছে এই ছাগু শব্দটিও।

"আমিই সঠিক" নামক ভ্রান্ত ধারণা (, )
সার্টেনিটি বায়াস বলে একটি ব্যাপার আছে মনস্তত্ত্ব বিজ্ঞানে। মানুষ সব সময় তার জানা বিষয়গুলোতে সঠিক থাকতে চায়। এতে করে মানুষ খুব "ভালো" অনুভব করে।

আরনল্ড ক্লিং (Arnold Kling) তার সায়েন্স ব্লগে লিখেছেন:

আরনল্ড ক্লিং (ভাবানুবাদ) লিখেছেন:

ইরাক যুদ্ধের আগে প্রেসিডেন্ট বুশ বলেননি যে, "আমার মনে হয় সাদ্দামের একটা সক্রিয় পারমানবিক যুদ্ধ তৈরীর কারখানা থাকার সম্ভাবনা শতকরা ৬০ ভাগ।"

কিংবা আল গোর বলেনা যে, "যদি আমরা পরিবেশ রক্ষায় কিছুই না করি তাহলে পৃথিবী ধ্বংসের সম্ভাবনা শতকরা ২ ভাগ।"

বরং, তারা দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এই দাবী গুলি করে। যেন তার দাবীগুলো একেবারে শতকরা একশত ভাগ সঠিক। কেননা তারা রাজনীতিবিদ। তারা ভালো করেই জানেন মানুষদের বিশ্বাস করাতে হলে কিভাবে কথা বলতে হবে। অর্থাৎ মানুষ যে সবসময় নিজেদের বিশ্বাসে সঠিক থাকতে চায় সেটা জেনেই রাজনীতিবিদরা এমনটা বলে।

কলিন ক্যামেরারের (Colin Camerer) একটি বৈজ্ঞানিক লেখায় বিষয়টি সর্ম্পকে ধারণা পাওয়া যাবে। ক্যামেরারের পরীক্ষাটিকে "এলসবার্গ প্যারাডক্স" (Ellsberg paradox) নামে অভিহিত করা হয়।

ক্যামেরার দুটো পরীক্ষা করেন। প্রথম পরীক্ষাটা এমন: লাল-কালো মিশিয়ে বিশটা কার্ডের একটা স্তুপ থেকে কার্ড টানবে খেলোয়াড়। কার্ড নেবার আগে তাকে কার্ডের উপর বাজী ধরতে হবে। এসময় তাদের ব্রেইনের ছবি স্ক্যান করা হবে। খেলার শুরুতে কতগুলি লাল আর কতগুলি কালো কার্ড আছে সেটা খেলোয়াড়কে বলা হল। এতে করে তারা গানিতিক সম্ভাবনাটা হিসেব করতে পারে।

দ্বিতীয় পরীক্ষাটি আরেকটু জটিল। খেলোয়াড়দের শুধু মোট কার্ডের সংখ্যা বলা হয়। কতটি লাল কার্ড আর কতটি কালো কার্ড আছে সেটা নিয়ে তাদের কোন ধারণাই নেই।

প্রথম বাজীটি অর্থনীতির একটি আদর্শ অবস্থার সাথে তুল্য। বিনিয়োগকারী কিছু জানা বিপদের (রিস্ক) সম্মুখীন হন এবং কিছু সাধারন গানিতিক হিসেবের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে কি কি বিপদ হতে পারে জানা নেই ঠিকই, কিন্তু কতটুকু বিপদ হতে পারে সেটা আন্দাজ করার জন্য গানিতিক হিসাব জানা আছে। বুঝতেই পারছেন যে, এক্ষেত্রে আমাদের মস্তিষ্কের যুক্তিভিত্তিক অংশটি কাজ শুরু করে আর হিসাব করার চেষ্টা করে বিপদ হবার সম্ভাবনা কতটুকু।

দুঃখের বিষয় হল পৃথিবী এভাবে চলে না। বাস্তবে, আমাদের বাজীর খেলাগুলোতে আমাদের অজ্ঞানতা, দুর্বোধ্যতা ইত্যাদি এসে ভর করে। কি ঘটতে পারে সেটার ব্যাপারে খানিকটা ধারনা থাকলেও সেটা অপ্রতুল।

যখন ক্যামেরার এই খেলাটি পরীক্ষা করলেন তখন খেলোয়াড়দের মস্তিষ্ক খুব অদ্ভুত আচরন করল। যখন খেলোয়াড়দের কাছে কম তথ্য ছিল (দ্বিতীয় পরীক্ষা), তখন খেলোয়াড়দের অ্যামিগডালার এবং অরবিটোফ্রন্টাল করটেক্সের কাজকর্ম বেড়ে গেল। জানামতে অরবিটোফ্রন্টাল করটেক্স অ্যামিগডালার কাজকর্ম নিয়ন্ত্রন করে।

অর্থাৎ আমাদের জ্ঞানের অপূর্ণতা ভরে গেল অ্যামিগডালার থেকে সঞ্চারিত ভয়ে। এই ভয় কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে, আমাদের সঠিক থাকার প্রতি একটা জোর প্রবনতা চলে আসে। যার ফলে আমরা জ্ঞানের অভাব থাকা সত্ত্বেও খুব জ্ঞানী জ্ঞানী একটা ভাব ধরতে থাকি। এতে করে খেলোয়াড়রা বেপরোয়াভাবে এবং কনফিডেন্টভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। যেমন বুশ ইরাকে পারমানবিক বোমার আছে এবং সেটা সে জানেই এমন একটা ভান ধরেছিল।

ক্যামেরার লেসনড অর্বিটোফ্রন্টাল কর্টেক্স নামক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়েও পরীক্ষাটা করেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আবেগ তৈরী করতে বা সাড়া দিতে পারে না। দেখা গেল যে এরা যেহেতু ভয় পায় না তাই এরা দুটো পরীক্ষাতেই একইরকম আচরন করল। অজানার ভয়ে তাদের অ্যামিগডালায় কোন সাড়া ফেলেনি, তাই তাদের কার্ড বাছাইয়ে সমস্যাও হয়নি। তাদের মস্তিষ্কের সমস্যার কারনে তারা সম্পূর্ণ যৌক্তিক আচরন ধরে রাখতে পেরেছে। তারা "আমিই সঠিক" এই ভ্রান্ত ধারণার খপ্পরে পড়েনি।

অবশ্যই অনিশ্চয়তার (uncertainty) মত জটিল বিষয়কে আমাদের মস্তিষ্কের দুই একটা অংশের সাথে যুক্ত করে ফেলাটা ঠিক যুক্তিযুক্ত হবে না। তবে ক্যামরার যেটা বলেছেন সেটাকে সত্যি ধরা যায়, "প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমাদের নিউরাল সার্কিট অনিশ্চয়তার সাথে এমন ভাবে আচরন করে যেটা সিদ্ধান্ত তত্ত্বের (ডিশিসান থিওরী) সাথে মেলে না"।

বিশ্বাসগ্রস্ত মানুষের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি কিভাবে কাজ করে? ধর্ম বিশ্বাসকে একটি উদাহরন হিসেবে দেখা যাক। একজন মানুষ যখন ছোটবেলা থেকে পরিবারকে ধর্ম মেনে আসতে দেখে, নিজে ধর্মীয় অনুসঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, তখন তার এই ধর্ম জিনিসটা প্রতি একটা ভালো লাগা তৈরী হয়। একদিন যখন হঠাৎ বিপরীত যুক্তির সম্মুখীন তখন তার মস্তিষ্কে অজানা ভয় কাজ করে। সে এত দিন জেনে আসা বিষয়টিতে সঠিক থাকতে চায়। কেননা সে যেটা এত বছর জেনে এসেছে সেটা যদি সঠিক না হয় তাহলে তার জানা পৃথিবীর অনেক কিছু বদলে যাবে। এই অনুভুতিটা "ভালো" বোধ হয় না। যেহেতু তার নিজের সপক্ষে যুক্তি নেই তাই সেই ফাঁকা অংশটা ভরে যায় ভয়ে। তখন সে সমস্ত যুক্তির বিরুদ্ধে নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে। অর্থাৎ সাধারণ ক্ষেত্রে এখানে যুক্তির জয় হবার কথা ছিল, কিন্তু জয় হয় বিশ্বাসের। ধর্ম বিশ্বাসের বিপরীত যুক্তির সম্মুখীণ হয়ে অতি সাধারন মাঝারী বিশ্বাসের লোক পরিনত হয় অতিবিশ্বাসী ধর্মীয় গোঁড়ায়।

আমাদের নেতাদের এই ব্যাপারে শিক্ষিত করা গেলে খুব ভালো হত। হয়ত ধর্মকে অস্ত্র করে দেশকে অচল করার আগে তারা একটু চিন্তা করে নিতে পারতেন। অথবা নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে হয়ত যাদের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে সমস্যা আছে তাদের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। :P

"আমার সবাই ছাগু আমাদেরই ছাগুর রাজত্বে..."
তাহলে ছাগু কে? শুধু যারা ধর্মীয় ভাবে অন্ধ তারা? নাকি যারা যে কোন অন্ধবিশ্বাস আঁকড়ে ধরে তারা? যারা যুক্তি বুদ্ধি ব্যবহার করে চলে তারা কি ছাগু হতে পারে?

আসলে যে কেউই ছাগু হতে পারে। নিজের একটা উদাহরন দেই। আমি তখন নবম অথবা দশম শ্রেনীতে পড়ি। সদ্য মোটরসাইকেল চালানো শিখেছি। কিন্তু সেটা আমার একটা অহংকারে পরিনত হয়েছে। আমাদের খালাতো ভাইয়েরা ততদিনে আমার চেয়ে ভালো মটরসাইকেল চালানো শিখেছে। একদিন তাদের একজন আমাকে বর্ণনা করল কিভাবে কোথাও দুর্দান্ত বেগে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে একটা বড় দূঘর্টনা থেকে স্কিলফুলী বেঁচে ফিরেছে। আমি তখন আমার শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে গিয়ে বলেই ফেললাম যে এমনটা আমিও পারি। ওদের হাসি তখন থামায় কে? আমাকে প্রমান দিতে বলল। আমিও তখন যুক্তি ছেড়ে আবেগের জায়গায় চলে গেছি। নিজেকে সঠিক প্রমান করতে যে কোন রকম বাজী ধরতে রাজি। ধরেও ফেলেছিলাম একটা বাজী, শুধু মাত্র নিজেকে ইগনোরেন্ট ছাগু হিসেবে উপস্থাপন করতে।

সচলায়তনে কিছুদিন আগে একটা ব্যাপার ঘটল। একজন ব্লগার একটা বিশেষ শব্দের বানান একটু ভিন্ন করে লিখলেন। হয়ত তিনি বিশেষ কিছু ভেবে বানানটি লিখেন নি। হয়ত তিনি বানান নিয়ে এই রকম পরীক্ষা করে থাকেন নিয়মিত। তার লেখা প্রকাশের পর একজন এসে তাকে বললেন বানানটা ঠিক নয়। যেহেতু মানুষ সঠিক জায়গায় থাকতে চায়, লেখক ভুল স্বীকার না করে যুক্তি দেবার চেষ্টা করলেন। যখন তার যুক্তির জায়গাটা শক্ত পাল্টা যুক্তির সম্মুখীন হল তখন তিনি চলে গেলেন তার বিশ্বাসের জায়গায়। এরপর তাকে আর যুক্তি দিয়ে টলানোর কোন উপায়ই থাকল না। এখন হয়ত সারাজীবন তিনি এই বানানটিকেই ব্যবহার করে যাবেন। জাস্ট টু প্রুভ দ্যাট হি ইজ রাইট।

বাংলা ব্লগে এই ব্যাপারটি প্রায়ই ভয়াবহ অবস্থা ধারন করে। ব্যাপারটি ঘটে দুতরফা সার্টেনিটি বায়াসের কারনে। প্রথম পক্ষ - যার বিশ্বাস বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, তিনি ক্লাসিক সার্টেনিটি বায়াসে পড়ে যান। আঁকড়ে ধরেন নিজের বিশ্বাস। উপেক্ষা করতে থাকেন একের পর এক আসা যুক্তির ঝাপটা।

অপর দিকে, যিনি বা যারা যুক্তির সাথে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছিলেন এক পর্যায়ে গিয়ে তিনিও সার্টেনিটি বায়াসের মধ্যে পড়ে যান। কেননা তিনিও সঠিক থাকতে চান। তিনি তখন তার অবস্থানকে আঁকড়ে ধরেন শক্ত করে। প্রতিপক্ষের অল্প বিস্তর যুক্তি থাকলেও সেটাকে মানতে চান না। শুরু হয় দুই পক্ষের অবাধ পতন। অনেক সময় কুৎসিত ব্যক্তি আক্রমন, ঠাট্ট মস্করা আর সর্ম্পকের অবনতির মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সে অধ্যায়।

প্রতিকারের উপায় - আক্রান্ত ব্যক্তি (দি ছাগু)
এখন যেহেতু জানলেন কি কারনে মানুষ এরকম আচরন করে, সেহেতু সর্তক হয়ে যান। কোন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করলে যে কেউ আপনার বিশ্বাসকে আক্রমন করছে এমনটা ধরে নেবার কোন কারণ নেই। আপনিও যদি পাল্টা যুক্তি দিয়ে না পারেন তাহলে যুক্তি দেবার দরকার নেই। সব বিষয়ে যুক্তি দেবার প্রয়োজনও তো নেই। সবাইকে সব বিষয়ে সঠিক হতে হবে এমন দায়ও কেউ দেয়নি।

প্রয়াত শ্রদ্ধেয় জুবায়ের ভাই একটা খুব চমৎকার উপদেশ দিয়েছিলেন। "বুঝলা মাহবুব, যদি আমার রাগ হয় খুব, তাহলে আমি আর বিষয়টা ঘাটাইনা। আমার রাগ না পড়া পর্যন্ত আমি বিষয়টা থেকে দূরে থাকি। কেননা রাগের মাথায় তো যুক্তি কাজ করে না।" খুবই চমৎকার উপদেশ। যখন আপনার সেন্টিমেন্ট আহত হচ্ছে তখন বিষয়টি থেকে দূরে থাকুন। মাথা ঠান্ডা হলে পরে তর্ক চালু করতে পারেন।

আরেকটি বিষয় করতে পারেন। বিষয়টি আংশিক ভাবে মেনে নিতে পারেন। একটা কথা মাথায় রাখতে পারেন, প্রতিবাদ করতে গিয়ে খানিকটা বাঁকা হলে অনেক সময় পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করা যায়।

প্রতিকারের উপায় - আক্রমন কারী (রাখাল বালকেরা)
আক্রমনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে কখন তারা সীমারেখা অতিক্রম করছে। কিংবা নিজেরাই সার্টেনিটি বায়াসের শিকার হচ্ছে কিনা। কখন থামতে হবে সেটা বোঝা খুবই জরুরী। অপরপক্ষ যখন সার্টেনিটি বায়াসের সম্মুখীন হচ্ছে তখনই তাদের ক্ষ্যান্ত দেয়া দরকার। কেননা ঠিক তার পরই কোন যুক্তি তারা মেনে নিবে না।

তাছাড়া হাসি, ঠাট্টা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এসব থেকেও বিরত থাকা জরুরী। কেননা তখন তৃতীয় পক্ষে যারা থাকেন তারা মিরর নিউরনের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে যান এবং আক্রান্ত ব্যক্তির যুক্তির ভুল ভ্রান্তি থাকা সত্ত্বেও তার পক্ষ নিয়ে ফেলেন। মিরর নিউরন একজন মানুষকে অন্য আরেকজন মানুষের কষ্ট, আনন্দবোধ অনুভব করতে সাহায্য করে। এর কারণেই আমরা একজন আরেকজনের দুঃখে কষ্ট পাই, আনন্দে হাসি। ব্লগে যেহেতু তৃতীয় পক্ষই সবচেয়ে বেশী থাকেন, তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী সার্পোট পেয়ে থাকেন। উপরন্তু তৃতীয় পক্ষও আহত বোধ করেন এবং পরিবর্তীতে আক্রান্ত ব্যক্তির বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি দেখাতে চেষ্টা করেন।

আক্রমনকারীর জন্যও বাঁকা হবার বুদ্ধিটি কাজে লাগতে পারে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে খানিকটা বাঁকা হলে অনেক সময় পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করা যায়।

উপসংহার
যতই বৈজ্ঞানিক যুক্তি তর্ক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হোক না কেন আমরা মানুষ এবং আমাদের মধ্যকার সমস্যা গুলো থাকবেই। তাই এই ছাগু সমস্যা, ছাগু ট্যাগিং ঘুরে ফিরে বিভিন্ন ভাবে আমাদের মধ্যে আসতে থাকবে।

তবে ব্লগের ভরসা হচ্ছে চতুর্থ পক্ষ। এরা একটু ঠান্ডা মাথার মানুষ। অথবা প্রত্যক্ষভাবে তর্কে জড়িত হননি। কিংবা তর্কের বিষয়ে হয়ত তার ইমোশনাল এটাচমেন্ট নেই। এরা তখন আগিয়ে আসেন এবং সাম্যাবস্থতা আনার চেষ্টা করেন।

আমরা যতদিন নিজেদের চিনতে পারব, ভরসা করতে পারব, ঝগড়া ঝাটি শেষে নিজেদের ভুল বুঝে নিতে পারবো ততদিন কোন ঝড় ঝাপ্টাই আমাদের আলাদা করতে পারবে না। দিন শেষে "ঝগড়া ঝাটি তক্ক বিতক্ক..." গান গাইতে গাইতে আমরা বাড়ি যেতে পারব।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

ব্লগার ওয়াইল্ড স্কোপ কার্টুন দিয়ে পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেছেন। শেষ পক্ষের ক্ষেত্রে হাস্যরসাত্মক টুইস্টটি খিয়াল কইরা। তার অনুমতি সাপেক্ষে এখানে তুলে দিলাম।
ওয়াইল্ডস্কোপের চোখে ছাগুপনার বিশ্লেষণ


মন্তব্য

সাফি এর ছবি

মুর্শেদ ভাইয়ের এই গানটা মনে হয় খুব পছন্দের, আগেও একবার দিয়েছিলেন। ঃ)

লেখার ব্যাপারে এক্টাই কথা, বিশ্বাসীর সাথে কখনই তর্ক করা যায়না, কারণ সে আপনার কোন যুক্তিই মানবেনা, যতক্ষন না সেই যুক্তি তার পক্ষে যাচ্ছে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একই কনজেকচার খাটে যুক্তিবাদীদের ক্ষেত্রেও। "যুক্তিবাদীর সাথে কখনই তর্ক করা যায়না, কারণ সে আপনার কোন যুক্তিই মানবেনা, যতক্ষন না সেই যুক্তি তার পক্ষে যাচ্ছে।"

বলেনতো কিভাবে এই ফ্যালাসী সমাধান করা যায়? ;)

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অমিত এর ছবি

না মনে হয়। তাইলে তারে যুক্তিবাদী বলি কেমনে ?
লেখা ভাল হইছে। পাঁচু :-)

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

সে আপনার কোন যুক্তিই মানবেনা, যতক্ষন না সেই যুক্তি তার পক্ষে যাচ্ছে

সে কিন্তু তবে যুক্তিবাদী নয়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ঠিক। এই পর্যায়ে যুক্তিবাদীও সার্টেনিটি বায়াসে চলে গেছেন।

মনে রাখবেন, বিশ্বাসী উপসংহার ঠিক রেখে যুক্তি খোঁজে। আর যুক্তিবাদী যুক্তি ঠিক রেখে উপসংহার খোঁজে।

একজন বিশ্বাসী যেমন প্রবল যুক্তির মাঝে যুক্তি খুঁজে পায়না। একরকমভাবে সার্টেনিটি বায়াসে আক্রান্ত যুক্তিবাদী প্রবল বিশ্বাসের মাঝে কিছু যুক্তি থাকলেও সেটাকে গ্রহণ করতে পারে না।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বুঝতে পেরেছি আপনার ব্যাখ্যা। সেক্ষেত্রে যুক্ত্যন্বেষী হওয়াটা কেমন? যে প্রবল বিশ্বাসের ভেতরেও যুক্তি থাকলে সেটাকে অন্বেষণ করতে পারে? মানে যাদের বায়াস।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা খুব ঠুনকো অবস্থান। বিশ্বাসী যদি যুক্তি গ্রহণ করেন তাহলে তার বিশ্বাসের জায়গাটিতে কিন্তু তিনি নিজেই বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। এক্ষেত্রে তাকে একটা কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তিনি যুক্তি বুজেছেন কিন্তু বিশ্বাস থেকে সরে আশার মত মানসিক দৃঢ়তা নেই বলে বিশ্বাসের পক্ষে থাকতে পারেন অথবা বিশ্বাস ছেড়ে চলে যুক্তির উপর নির্ভর করতে পারেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমি আমার কথা বুঝাতে পারি নি।
যখন আমি বলেছি-

যে প্রবল বিশ্বাসের ভেতরেও যুক্তি থাকলে সেটাকে অন্বেষণ করতে পারে

আপনি মনে হয় ভেবেছেন, আমার বর্ণিত যুক্ত্যন্বেষী নিজে প্রবল বিশ্বাসের ভেতরে আছেন। কিন্তু আমি বুঝিয়েছি, সে মূলত যুক্তিবাদী, কিন্তু অন্যের প্রবল বিশ্বাস সম্বলিত বক্তব্যের যুক্তিপূর্ণ অংশটুকু আলাদা করতে পারে।

তবে প্রবল বিশ্বাস সম্বলিত বক্তব্যের ভেতরে ছিঁটাফোঁটা যুক্তি থাকার চাক্ষুষ উদাহরণ দেখতে চাই।

সাফি এর ছবি

মনে রাখবেন, বিশ্বাসী উপসংহার ঠিক রেখে যুক্তি খোঁজে। আর যুক্তিবাদী যুক্তি ঠিক রেখে উপসংহার খোঁজে

কথাটা খুব পছন্দ হলো

টিউলিপ এর ছবি

আফসোস হচ্ছে তারা দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে।

**********************************************************
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

হিমু এর ছবি

অবসম্ভাবনার জায়গায় কি অনিশ্চয়তা আরো লাগসই শোনায় না?

লেখাটা চমৎকার গোছানো হয়েছে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

থ্যাঙ্কস। মাথায় আসেনি শব্দটা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাইছে, "ছাগুইজম"ও দেখি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একটা 'ইজম'। (চিন্তিত)

হ, ঝগড়াঝাটি, তক্ক-বিতক্ক করে কোনো ফায়দা নাই। আইজকা মরলে কাইল বাদে পরশু তিনদিন। কী দরকার হুদা কামে মন কষাকষি করার।
আ জা মেরে বুলবুল, গালে লাগ যা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রায় সবকিছুই বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। তাহলে সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া যায়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

টিউলিপ এর ছবি

কিন্তু আমি জানতাম ছাগু শব্দের একটা যোগরূঢার্থ আছে, সেটা এখানে পেলাম না তো!
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলে নানা ভাবে এই শব্দটাকে এবিউজ করা হয়েছে নানা সময়ে। আমি আসলে এই ট্যাগিংটার চেয়ে কেন মানুষ ইড়্যাশনাল আচরন করে সেটাই এক্সপ্লোর করতে চেয়েছি। যে কেউ যেহেতু এতে ভালনারেবল, তাই কিভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায় সেটাও আলোচনা করেছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কেডা ১ দাগাইলোরে? খাড়া নীতিমালার ডান্ডা নিয়া আইতাছি...
:))

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

মা.মু., আমি লেখলে শেষ প্যারা চেঞ্জ কইরা এমনে লেখতাম - ভাগ্যিস লেখি নাই ;)

হাই রেজুলেশন লিঙ্ক দিলাম

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাঃ হাঃ হাঃ
=))

ফাটাফাটি মিয়া!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ!!!!!!!!!!!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

(হোহোহো)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মূল পোস্টে দেয়ার অনুমতি পেতে পারি?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

অবশ্যই :)
মূল পোস্টে দিলে কমেন্ট থেকে মুছে দিতে পারেন - ব্যাপক বেসাইজ হইছে :D

অতিথি লেখক এর ছবি

-লেখাটা বেশ ভাল হয়েছে। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণসহ আপনার এই লেখা খুব সন্দর করে গোছানো।

-আর ভবিষ্যতে নির্বাচনের আগে একটা আইন করা যেতে পারে যে যাদের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে সমস্যা আছে তারাই কেবল সংসদ হতে পারবে। :D :-P

===অনন্ত ===

দ্রোহী এর ছবি

তর্কে ছাগু চেনার সহজ উপায়:

কোন কিছু নিয়ে ছাগুকে চেপে ধরা হলে ছাগু বলে -

আমি কী বলতে চাইছি তা আপনি বোঝেন নি। আমার লেখাটা আরেকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অথবা

জরুরী কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে। ফিরে এসে দাঁতভাঙা জবাব দিবো।

শামীম এর ছবি

:D
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

বোহেমিয়ান এর ছবি

জটিলস্য কমেন্ট! (Y)

জটিল লেখা । পড়ে ছাগু ব্যাপারখানা বুঝতে পারলাম । আগে তো ভাবতাম... :P

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমার শেষের প্যারাটা আরেকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তারপর আবার ভাবুন।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ছাগু বিষয়ে অনেক জ্ঞান বাড়লো মোর্শেদ ভাই...ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

ওডিন এর ছবি

এতো দেখি ছাগুপনার ওপরে পুরা থিসিস!

আমরা যতদিন নিজেদের চিনতে পারব, ভরসা করতে পারব, ঝগড়া ঝাটি শেষে নিজেদের ভুল বুঝে নিতে পারবো ততদিন কোন ঝড় ঝাপ্টাই আমাদের আলাদা করতে পারবে না। দিন শেষে "ঝগড়া ঝাটি তক্ক বিতক্ক..." গান গাইতে গাইতে আমরা বাড়ি যেতে পারব।
:D :D :D

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

জি.এম.তানিম এর ছবি

দারুণ গবেষণাকর্ম। (চলুক)
ঝগড়ায় ফোড়ন দেওয়া ৫ম পক্ষের কথা বাদ পড়েছে যদিও।

গানটা আমার ব্যাপক পছন্দের...♥ ♥ ♥
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

শরতশিশির এর ছবি

ভাল, সময় নিয়ে গোছানো, প্রায়-থিসিসের সমতুল্য আলোচনা। ভাল লেগেছে। (Y)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা আর চমত্কার বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ।

লাবণ্য় এর ছবি

আমি ত এতদিন মনে করতাম একটি বিশেষ জাতকে (জামাত/শিবির/রাজাকার/তাদের ছানাপোনা) ছাগু বলা হয়!!

অতিথি লেখক এর ছবি

১. সংসদ সদস্য হিসাবে শপথের আগে ফাও মেডিক্যাল চেক আপের নামে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে একটা সার্জারী করে দেয়ার ব্যবস্থা করে ফেললেই হয়! ফাও শুনলেই ওদের রাজী হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ ভাগে ওঠে আসার কথা, তাতে আপত্তি থাকলে চড়া মূল্য বেঁধে দেয়া যেতে পারে,সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা হবে ৯৯ ভাগ! :-D

২. এমিগডালা সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে।

৩. লেখাটার প্রতি মিরর নিউরন কাজ করতে শুরু করেছে বলেই কমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম! :-)

মর্ম

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাহ
এক্কেবারে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ছাগু বিশ্লেষণ

০২

"আমিই সঠিক" নামক ভ্রান্ত ধারণা (১, ২)
সার্টেনিটি বায়াস বলে একটি ব্যাপার আছে মনস্তত্ত্ব বিজ্ঞানে। মানুষ সব সময় তার জানা বিষয়গুলোতে সঠিক থাকতে চায়। এতে করে মানুষ খুব "ভালো" অনুভব করে।

এক্ষেত্রে বোধহয় আরেকটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় কারো কারো মধ্যে কাজ করে। তা হলো; আমার জানা বিষয় যে ভুল হবার সম্ভাবনা থাকতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা/উদারতা না রাখা

পলিটিশিয়ানদের বিষয়টা মনস্তত্ত্বে পড়ে কি না সে সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। কারণ তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্যটা জেনে সত্যটা আড়াল করে কিংবা মিথ্যাটা বলে

এটা বিশ্বাস করার কঠিন যে বুশ ইরাক সম্পর্কে সত্যটা জানতো না
বরং সত্যটা জেনে কোনটা বললে পাব্লিক বিশ্বাস করবে/উদ্দেশ্য হাসিল হবে সেটা সে/তারা ঠিক করেছে

ফলে এখানে এটা আমার কাছে বরং বুশের মনস্তত্ত্বের চেয়ে পাব্লিকের মনস্তত্ত্ব নিয়ে বুশের খেলার (পলিটিক্স) উদাহরণ হিসেবেই বেশি গ্রহণযোগ্য

কোনোকিছু জানার সাথে সাথে সাধারণ লোকের মধ্যে একধরনের জানার অহংকার তৈরি হয় ইনফরমেশনের সঠিকত্বসহ
কারণ বেশিরভাগ জানার সাথেই কিন্তু এই কথাটা যুক্ত থাকে না যে এই জানা শেষ জানা নাও হতে পারে

সম্ভবত এটাই সাধারণ পাব্লিকের ছাগুপনার মূল ভিত্তি
(এইটা সম্ভবত নিরীহ ছাগুপনা। ধর্মীয় বিষয়গুলোতে বেশি দেখা যায়)

শামীম এর ছবি

একমত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হাহাহাহা... পুরা কোপা হইসে...

আর মেম্বরের উক্তি


আমি কী বলতে চাইছি তা আপনি বোঝেন নি। আমার লেখাটা আরেকবার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অথবা

জরুরী কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে। ফিরে এসে দাঁতভাঙা জবাব দিবো।

হোহোহোহো...
_________________________________________

সেরিওজা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা খুবই চমৎকার লাগলো।

প্রয়াত শ্রদ্ধেয় জুবায়ের ভাই-এর উপদেশটা খুব কার্যকরী। আমি সব সময় ব্লগিং করার সময় এই বিষয়টা মেনে চলি। যখন ব্লগে আমার কোন লেখা বিষয়ে কারো সাথে আমার কথা-কাটাকাটি হয় তখন আমি আর সেই লেখায় যাই না কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস। পরে ফিরে গিয়ে যখন দেখি নিজে কী কী লিখেছিলাম, খুব লজ্জা লাগে।

আরেকটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। উইকিপিডিয়ার একটা ডিসকাশন পেইজে বিতর্ক চলছে। একজনের সুবিশাল পয়েন্ট পয়েন্ট করে লেখা আরেকজনের পয়েন্টের জবাব পড়ছি। বায়াসড এবং যুক্তিহীন জবাব। পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হলো জাবাবটা কেমন যেন পরিচিত লাগছে। দ্রুত নিচে সিগনেচারটায় চোখ বুলিয়ে দেখি দুই বছর আগে আমার দেয়া পোস্ট! আবেগ আক্রান্ত হয়ে কী লিখতে যে কী লিখেছিলাম, পরে নিজেই লজ্জা পেলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাগু বিশ্লেষণের বৈজ্ঞানিক কায়দা খুব ভাল লাগল।ছাগুর বিবর্তন নিয়া পোস্ট দেয়া দরকার।আর যুক্তিবাদী হতে হলে অবশ্যই অন্যের যুক্তি শুনতে হবে।ভাল যুক্তি পেলে অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে।আসলে মানুষ যে মনে করে 'আমার যুক্তিই ঠিক,আমার পথই একমাত্র সঠিক পথ' এটা বোধ হয় মানুষের সেলফ ডিফেন্স ম্যাকানিজম।এটা আমাদের টিকে থাকতে সাহায্য করলেও পৃথিবীর যাবতীয় অনাসৃষ্টির মূল বলে আমার মনে হয়।-পথিক রহমান

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

সুসংগঠিত লেখা, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণসহ যাকে বলে দূর্দান্ত। এরকম ছাগুপনার শিকার আমরা বোধয় কমবেশি সবাই হই, যে কোন কমিউনিটি ব্লগে আসলে এর শিকার হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। আমার একবার এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল, একটা লিটারেচার ফোরামে, চিন্তা করলে এখনো লজ্জা পাই।

তবে রাজনীতিবিদদের বিষয়ে আমি মাহবুব লিলেনের সাথে সহমত। তারা এই সমস্যার মধ্যে পড়ে এইসব করে বলে আমারও মনে হয় না। বিশেষ করে বুশ মিয়া ত মোটেই না।
ধর্ম-বিষয়ক বিশ্লেষণটা এই প্রেক্ষিতে বরং ঠিক আছে।

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

বিশ্বাস হারানোর ভয়ে বিশ্বাস আঁকড়ে ধরার প্রবণতা, বা "নিরীহ ছাগুপনা"র একটা চমৎকার বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা করলেন মাহবুব মুর্শেদ। সত্যি, "আমরা সবাই ছাগু আমাদেরই ছাগুর রাজত্বে।"

তবে, ছাগু শব্দটি যে আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ধারণাকে এক করে ফেলতে পারে, এ ব্যাপারে লীলেন ভায়ের মন্তব্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইশারা আছে।

একটা ধারণা সম্পূর্ণ ভুল জেনেও পলিটিকাল হেজেমনি বা রাজনৈতিক সুবিধালাভের স্বার্থে জোরালো ভাবে ঐ ধারণার সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা, যেটার উদাহরণ জর্জ বুশ কিম্বা জামাত-শিবির কিম্বা তাদের পোষা বুদ্ধিজীবির ভূমিকা, (নাম দেই বুদ্ধিছাগু) সেটা মুর্শেদের উপস্থাপিত সাধারণ ছাগুপনার থেকে মৌলিক ভাবে পৃথক।

আমার ব্যক্তিগত অভ্যাসমতে, বুদ্ধিছাগুর বিরুদ্ধে যে ভুমিকা প্রয়োজন সাধারণ ছাগুর বিরুদ্ধে সেই ভুমিকা প্রযোজ্য নয়। বুদ্ধিছাগুর স্বরূপ উন্মোচন করে তাকে বাতিল করতে হবে। কিন্ত সাধারণ ছাগুর ছাগুত্ব মুক্তি সম্ভাবনা প্রবল, সেই পথ খোলা রাখতে হবে।

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

দ্রষ্টব্য: 'বুদ্ধিছাগু" র বদলে 'পলিটিকাল ছাগু" বা "রাজনৈতিক ছাগু" নামটা যুক্তিসঙ্গত।

হাসিব এর ছবি

লেখার প্রথম অংশটা ঠিক আছে । মানে ছাগু ডিফাইন করাটা । ব্লগে (এবং বাস্তবেও) আলাপচারিতার ইতিহাসগুলো স্মরণ করলে উদাহরণগুলোতে এসে একটু নড়ে যায় পুরো বিষয়টা ।

যেমন,

অনেকটা নরম্যাটিভ টোনে বলা হয়েছে -

আক্রমনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে কখন তারা সীমারেখা অতিক্রম করছে। কিংবা নিজেরাই সার্টেনিটি বায়াসের শিকার হচ্ছে কিনা। কখন থামতে হবে সেটা বোঝা খুবই জরুরী। অপরপক্ষ যখন সার্টেনিটি বায়াসের সম্মুখীন হচ্ছে তখনই তাদের ক্ষ্যান্ত দেয়া দরকার। কেননা ঠিক তার পরই কোন যুক্তি তারা মেনে নিবে না।

অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে যেখানে সার্টেইনটি জিনিসটা বায়াসে পরিণত হবার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে ফ্যাক্ট বা সত্য হিসেবে দেখা দিতে পারে । যেমন, হিটলারকে ভারতীয়দের কি দৃষ্টিতে দেখা উচিত, জামাত শিবির সম্পর্কিত অধিকাংশ বিষয়গুলো, ইত্যাদি ।

প্রশ্ন হলো এইসমস্ত বিষয়গুলোতে অপরপক্ষ কোন যুক্তি মেনে না নিয়ে ছাগলামি অব্যাহত রাখলে রাখাল বালকদের ক্ষ্যান্ত দেয়া দরকার কিনা । আমার মতে এটা করলে ঐ ছাগলামি তখন ছাগলের মাথায় স্থায়ীভাবে গেড়ে বসবে । টুকিটাকি জ্বরজারিতে হয়তো ঔষধ না খেলেও চলে, কিন্তু কর্কট রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া বাঞ্ছনীয় যদিও আমরা জানি সেটা করলেও লাভের সম্ভাবনা অনেক কম ।

এরপর আছে তৃতীয় পক্ষ । ব্লগের ইতিহাসে এই তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা খুব সুবিধের না । এনারা সবসময় ইনিয়ে বিনিয়ে রাখাল বালকদের দুষ্টুমিপনায় ক্ষুদ্ধ হলেও বরাবরের মতো কেন রাখাল বালকেরা এইরকম করে সেটা বুঝতে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন । শেষমেষ এদের অবস্থান ঐ প্রতিক্রিয়াশীলতায় গিয়ে দাড়ায় ।

এরপর চতূর্থ পক্ষ সম্পর্কে বলা যায়, তর্কের বিষয়টা যদি সার্টেইনটি বায়াস না হয়ে সার্টেইন ঘটনা বা সত্য হয় তাহলে ছাগুপনায় ব্যস্ত ছাগুমহাশয়ের সাথে রাখাল বালকদের মধ্যে সাম্য আনার চেষ্টা আরো একটা ছাগুপনার উদাহরণ হিসেবে দাড়িয়ে যাবে । এইজন্য সবসময় মধ্যস্থতা করতে যাওয়াটা বিপদজনক হতে পারে ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার স্ট্যান্ডটা হল অনেকটা একরোখা ধরনের। সমাজে ডিসাইসিভি শক্ত স্ট্যান্ডের দরকার আছে। কিন্তু সমাজের বাকি মানুষগুলোকে তো আর অগ্রাহ্য করা যায় না। তাই রাখাল গিরি একটা পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে বন্ধ করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অয়ন এর ছবি

পর্যায়টা বোঝার উপায় কি?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যুক্তির সার্কুলার ফ্যালাসী ব্যবহার করেন অনেকে। মনে করেন দুজন লোক 'ব' বিশ্বাসী, 'য' যুক্তিবাদী। ব একটা কিছু লিখলেন কোন একটা ধর্মীয় বিষয়কে ফোকাস করে। য গিয়ে কিছু যুক্তি দিলেন।

এখন ব প্রথম একটা কারণ বা রিজন '১' দেয়। এটাকে য ডিফেন্ড করে '১ক' দিয়ে। ব তখন '১ক' উপর ভিত্তি করে '১ক'র ফ্যালাসী বের করার চেষ্টা করে। য তখন '১খ' বলে, যেটা '১ক' কে ডিফেন্ড করলেও ব এর দেয়া '১' এর ব্যাপারে কিছু বলে না। এই অবস্থায় ব দাবী করে যে '১খ' কোন যুক্তিই না, কেননা এটা তার যুক্তি '১' কে উত্তর দিতে পারেন নি। যেহেতু '১খ' গ্রহণযোগ্য না তাই '১ক' গ্রহন যোগ্য না। অর্থাৎ যুক্তির যে পর্যায়ক্রমিক, লিনিয়ার সমাধান য দিয়েছিল সেটাকে সার্কুলার গণ্য করে ব আবার গিয়ে '১' এ দাঁড়িয়ে যায়। আপনি যাই বলেন সে এই লুপ ব্যবহার করে এস্কেপ করার চেষ্টা করবে।

তাছাড়া অনেক সময় ইমোশনাল কথা বার্তা শুরু করে। কিংবা এক্সট্রিম ডিনাইয়াল দেখায় ("বিশ্বাসে মিলায় বস্তু", "আমার বিশ্বাস আমার কাছে")। এইসব লক্ষ্য করতে হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

লেখাটি আমার এক কথায় অসাধারণ লাগলো। খুব ভালো বিশ্লেষণ। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যাখ্যা করলেন। আক্রান্ত, আক্রমণকারী, সমব্যাথী আর মীমাংসাকারী। ভালো লাগলো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হালকার ওপরে চোখ বুলালাম। মনে হচ্ছে, কিছু ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করতে হবে। আপাতত মন্তব্যখেলাপি হয়ে থাকি। :)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দ্বিমত পোষণ করেন অবশ্যই। আমি আসলে নিজেই কিছু জায়গায় উল্টো কথা বলতে পারি। কিন্তু অপেক্ষা করছিলাম কেউ এসে কিছু প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বর্ষা এর ছবি

লেখাটা বেশ ভালো লাগলো। প্রায় সবার অবস্থান বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শেষে স্কোপের কার্টুনটা দেখে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম প্রায়।

আসলে নিজেকেই বুঝতে হবে কোথায় থামতে হবে।

উদ্ধৃতিঃ
'আক্রমনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে কখন তারা সীমারেখা অতিক্রম করছে। তাছাড়া হাসি, ঠাট্টা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এসব থেকেও বিরত থাকা জরুরী।'---

জেনেশুনে যারা ঠান্ডা মাথায় যারা তর্ক করেন, তারা মনে হয় না, তর্ক টাকে শ্লেষের পর্যায়ে সহজে নিয়ে যান। সমস্যা হয় আবেগী আর হুজুগী মানুষদের নিয়ে--- আবেগের তোড়ে খেয়াল থাকে না কোথায় সীমা অতিক্রম করছেন।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বেশীরভাগক্ষেত্রেই আক্রমণকারী আর আক্রান্তব্যক্তি দুপক্ষই একই দোষে দুষ্ট থাকেন। বৃহত্তর স্বার্থে আঘাত হানে এমন টপিক না হলে এই আগুনে বাকিদের ঘি না ঢালাই উচিত।

অনেকে আছেন, ঈর্ষা বা ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তৃতীয়পক্ষের কাছে সূক্ষ্ণ ম্যানিপুলেশন করেন। এরা বেশ ক্ষতিকর মানুষ বলেই আমি মনে করি। তাই অন্যের হাতের পুতুল না হয়ে, নিজের মাথা খাটানো উচিত। অন্যের বর্ণিত তথ্যকে ওহী মনে না করে সাধারণ ইনফরমেশন হিসেবে মাথায় রাখুন। তারপর কাউকে বা কোনো বিষয়কে নিজে যাচাই করুন, তারপর ঐ ব্যক্তি বা বিষয় সম্পর্কে নিজের সিদ্ধান্তে পৌছান।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাইছে, এ দেখি বিরাট কাজ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সহজ মানুষ এর ছবি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ সাহেব,
আপনার লেখা ভালো করে পড়লাম, কতটুকু বুঝলাম জানিনা। আপনি 'ধর্ম বিশ্বাস' দিয়ে এখানে একটা উদাহরণ টেনেছেন। তাই আমার একটা সম্পূরক প্রশ্ন আপনার কাছে যে,
সাধারণ ভাবে আমি একজন আস্তিক(ধর্ম বিশ্বাসী), তাই শুধু একারণেই কি আমাকে ছাগু বলা যাবে?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

না অবশ্যই বলা যাবেনা। কিন্তু বিশ্বাসে আস্থা রাখা ব্যক্তি বিপরীত মতটাকে সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। যখন তার বিশ্বাস প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তখন তিনি বিশ্বাসের অবস্থান থেকে যুক্তি খোঁজেন। অর্থাৎ উপসংহার তার আগেই টানা আছে, কিন্তু যুক্তি খুঁজছেন সেটাকে সাপোর্ট দেবার জন্য। কিছুক্ষণ তর্কের পর যখন যুক্তিটাতে স্থির হতে পারেন না তখন সার্টেনিটি বায়াস শুরু হয়।

ছাগু ট্যাগিংটা আসলে আমারও পছন্দ না। আমি ছাগু ট্যাগিংটাকে জায়েজ করতে পোস্টটা দেইনি। কিন্তু কেন মানুষ এরকম আচরন করে। আর কিভাবে সমাধান করা যায় সেটার আলোচনা করতে চেয়েছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সহজ মানুষ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই মাহবুব মুর্শেদ, আমি আর ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না কারণ আমি উত্তর পেয়ে গেছি।
তবে,
যেহেতু আপনি মানুষের বিশেষ কিছু আচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন তাই একটা অনুরোধ আপনার কাছে, 'সমর্থন' আর 'বিশ্বাস' শব্দ দুইটাকে একটু ব্যাখা করুণ। কারণ আমি মনে করি যেকোনো বিষয়ে মানুষ 'বিশ্বাস' করে তার নিজস্ব কিছু যুক্তির দ্বারা বেশিরভাগ সময় যা সে মুখে বলে প্রমাণ করতে পারেনা। আর 'সমর্থন' মানুষ নিজে বিশ্বাস না করেও করে।

উপরে কিন্তু এ বিষয়ে একজনের ইশারা দেয়া আছে।

বর্ষা এর ছবি

আমি আরেকটু উত্তর যোগ করি। আস্তিক ( যে ধর্মেরই হোন না কেনো) মানেই ছাগু হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। ধর্মবিশ্বাসটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়-- এটা আপনার মানবিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। অন্য কারো এই ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার নেই। ছাগু তাড়ানো ব্যাপারটা হলো যারা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে অন্য স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহার করে---- তাদের বিরুদ্ধে।

উদাহরণ দিয়ে বলি- ধরুন, আপনি মুসলিম আস্তিক তাই আপনি হালাল মাংস ছাড়া খাননা। কেউ যদি এই ব্যাপারটি নিয়ে শ্লেষাত্মক কথা বলতে আসে, আপনি কঠোর গলায় বলার অধিকার রাখেন যে এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, দয়া করে নাক গলাতে এসোনা। কিন্তু কেউ যদি এসে বলে,'শোনেন, আমি এই এলাকায় শুধুমাত্র আমি একমাত্র হালাল মাংস বিক্রি করি, আমার থেকেই শুধু মাংস কিনতে হবে'। আপনি সরল বিশ্বাসে তার থেকেই নিয়মিত মাংস কেনা শুরু করলেন। কিছুদিন পরে জানতে পারলেন, হালাল মাংস কাছাকাছি আরো তিনটি দোকানে পাওয়া যায়। তখন এটা অন্যায় হয়ে যায়। আপনার ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে লোকটা আপনাকে মিথ্যা কথা বলে মুনাফা করেছে। ছাগু তাড়ানো এই জাতের লোকের বিরুদ্ধে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আয় হায় - কে আপনার কাছে মিছা কথা বইল্লা গোস্ত বেচছে? বেশি দাম রাখে নাই তো আবার? ;)

বিদেশে বাঙালি দোকানের সব সময় একটা হালাল ট্যাগিং মারার আর ওজনে কম দেয়া বা দাম বেশি রাখার একটা প্রবণতা দেখছি। তুই নিজে হালাল বৈলা বেচছ - আর দাম রাখার সময় ঠকাছ। হালাল যে কয় কতটুকু সত্য কে জানে? ভয়ে ক্রেডিট কার্ড ওই সব দোকানে পাঞ্চ করি না। কিছু বাঙালি মশলার জন্য যাইতে হয়। পুরাই ইসলামী ব্যাঙ্ক স্টাইল - কয় সুদ দেই না - মুনাফা দেই - আরবী থেকে বাংলা বানাইয়া হালালীকরণ আর কি। খুউপ খিয়াল কৈরা।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তোমার সাথে একমত নই। শুধু ধর্মই মানুষের জন্মগত অধীকার হবে কেন? যে কোন ইজম (ধর্ম সহ) মানুষ জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনা করে অনুসরন করলে সেটা করতে পারা তার অধীকার। যতক্ষণ না সেটা অন্যের অধীকারকে ক্ষুন্ন করে।

আর শুধু ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করলে ছাগু হবে কেন। ছাগুর ডেফিনেশনতো আরো অনেক ওয়াইড হিসেবে দিয়েছি মনে হয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

বর্ষা এর ছবি

প্রথম প্যারার সাথে ১০০% একমত।
দ্বিতীয় প্যারা হলো, সহজমানুষের কথার উত্তর--- শুধু ধর্মের উপর। এমনি লেখার মাঝে ছাগুর ডেফিনেশন অনেক ওয়াইড।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

বর্ষা এর ছবি

আপনি ভিডিও ছাড়া মন্তব্য করলেন!!!
দিলেন তো উদাহরণটার ১২টা বাজিয়ে। আস্তিকদের মনের সন্দেহ দূর করার জন্য একটা সাধারণ উদাহরণ দেবার চেষ্টা করেছিলাম--- ধার্মিক আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের মাঝে পার্থক্য দেখাতে।

আর মেট্রো থেকে মাংস কিনে ঘরে ফেরায়......!!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

@ বর্ষা: খুব বিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করতে বাধ্য হচ্ছি।

আপনার মন্তব্যের প্রথম দিকের উদ্ধৃতি:

আস্তিক ( যে ধর্মেরই হোন না কেনো) মানেই ছাগু হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। ধর্মবিশ্বাসটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়-- এটা আপনার মানবিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। অন্য কারো এই ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকার নেই। ছাগু তাড়ানো ব্যাপারটা হলো যারা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে অন্য স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহার করে---- তাদের বিরুদ্ধে।

কিন্তু, ঠিক একই ব্যাপারই মুর্শেদ তাঁর লেখায় (ধর্ম বিশ্বাসীদের কথা) এনেছেন মতান্ধদের কথা বলতে।

প্রথম বাংলা ব্লগে কিছু ব্লগার ছিলেন যারা সেক্যুলার লেখা পড়ে অহরহ আক্রান্ত বোধ করতেন এবং তাদের বিশ্বাসের জায়গাটি থেকে যুক্তি ছাড়াই অনবরতঃ যুদ্ধ করে যেতেন। এই ধরণের বিশ্বাস যখন অসংখ্য যুক্তির মুখেও সত্য গ্রহণ করতে চাইত না তখন তাদেরকে ছাগু নামে ট্যাগিং করেছিলেন তখনকার ব্লগাররা।

আপনি কী বিশ্বাস করবেন সেটা আপনার ব্যাপার, কিন্তু, আপনার বিশ্বাসের পেছনের যুক্তিটি, যেটা স্বাভাবিক মানুষের কাছে সবাই আশা করে, যদি হাস্যকর হয় কিম্বা শেষমেষ আপনার যুক্তির অভাবটাই ধরা পড়ে, তাহলে আপনি শ্লেষের শিকার হবেন না কেন, সে-প্রশ্ন করা কি সাজে? আপনি তো তাহলে এই লেখায় বারবার উল্লিখিত সেই সার্টেনিটি বায়াস-এর কাছেই হাত পাতলেন!!

তাহলে তো অনেককেই এবং অনেক কিছুকেই নির্দ্বিধায় ছাড় দিতে হয়। প্রশ্নই তোলা যাবে না!

যাক, মুর্শেদের ওপরের কথাটাই আমার কথা:

বিশ্বাসে আস্থা রাখা ব্যক্তি বিপরীত মতটাকে সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। যখন তার বিশ্বাস প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তখন তিনি বিশ্বাসের অবস্থান থেকে যুক্তি খোঁজেন। অর্থাৎ উপসংহার তার আগেই টানা আছে, কিন্তু যুক্তি খুঁজছেন সেটাকে সাপোর্ট দেবার জন্য। কিছুক্ষণ তর্কের পর যখন যুক্তিটাতে স্থির হতে পারেন না তখন সার্টেনিটি বায়াস শুরু হয়।

আমি এখনো একজনও আস্তিক পাই নি, যিনি ওপরের দলে পড়েন না। যাক, ব্যক্তিগত মতামত।

অ.ট.: "আপনি আমার ওপরের লেখাটা আবার পড়ুন" বললে একজনের কথাই মনে পৈড়া যায়, যিনি মোট্টে রাখঢাক না করেই ইসলাম, আস্তিক-নাস্তিক ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেন নানা ব্লগে। সম্প্রতি তাঁর আশিকান মুরিদের দল তাঁর একটি ফ্যান ক্লাব উন্মুক্ত করেছেন। আগ্রহীদের মুখোশচোথায় আমন্ত্রণ।

সিরাত এর ছবি

লেখাটা দারুণ লাগলো এবং পাঁচ। কিন্তু আয়রনি হইলো আমি মাত্র ওয়াইল্ড স্কোপ ভাইয়ের ঝগড়া এবং প্রস্থান ব্লগ পড়ে আসলাম।

তয় যতই কন, রাগারাগি ঝগড়াঝাটি না হইলে মজা নাই। সল্ট অফ আর্থ (এবং ব্লগিং, এবং সচলায়তন)। ;)

তবে একটু রয়ে-সয়ে আরকি... ;)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।