জনাব আব্দুন নূর তুষার অতি সম্প্রতি সাপ্তাহিক নামক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। প্রতিবেদনটি আনিস রায়হানের লেখা আরেকটি আর্টিকেলের সমালোচনা।
প্রতিবেদন দুটির লিংক আমি লেখার শেষে দিচ্ছি। উল্লেখ্য যে সাপ্তাহিকের লিংকটিতে একটি ম্যালওয়ার ইনস্টল করতে চায় কম্পিউটারে। তাই সাপ্তাহিকের লিংকটি না খোলার উপদেশ থাকল। পাঠকের সুবিধার্থে রায়হানের মূল লেখাটি এবং তুষারের প্রতিবাদের একটি কপিও নিচে দেয়া হল।
আরও জানতে পারলাম জব্বার সাহেব এই লেখাটি ঘষামাজা করে বিচিত্রায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বোঝাই যায় লেখকের সাথে জব্বার সাহেবের দহরম মহরম কীরকম এবং কেন লেখাটি পক্ষপাতদুষ্ট।
দুই খন্ডে প্রকাশিত এই লেখায় আমি তুষারের লেখাটির পয়েন্ট বাই পয়েন্ট যুক্তি খণ্ডন করব। এখানে আপাতত আমার অবস্থান পুরোপুরি ব্যাখ্যা করবনা। আমার উদ্দেশ্য আব্দুন নূর তুষারের এই গরু-রচনাবৎ লেখাটির অসারতা তুলে ধরা।
'গরু রচনা' বলতে আমি বুঝাতে চাচ্ছি মুখস্থ/শেখানো বিদ্যাকে যে কোনো সুযোগে ব্যবহার করার অপচেষ্টার কথা। এটি একটি কৌতুক থেকে এসেছে। এক ছেলে গরু রচনা মুখস্থ করে গেছে পরীক্ষা দিতে। কিন্তু পরীক্ষায় এসেছে নদী রচনা। ছেলেটি কোনোভাবে নদীতে গরুকে পানি খাইতে নিয়েছে রচনায়। তারপর বাকি পৃষ্ঠা ভরেছে গরু রচনা লিখে। আমার কাছে তুষারের যুক্তি প্রদর্শন এই রকমই মনে হয়েছে। আগে থেকেই তিনি বায়াসড ছিলেন। তাই যুক্তি নামের কুযুক্তি ব্যবহার করে দাঁড় করাতে চেয়েছেন তার বক্তব্য।
ব্যক্তি আক্রমণ নিয়ে একটি নোট
ব্যক্তি আক্রমণ হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যেখান একটি বিষয়ে তর্কের সময় একজন ব্যক্তির ধর্ম, বর্ণ, কিংবা তার অন্যান্য অসর্ম্পকিত কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিকে খাটো করা কিংবা বিষয় থেকে সরে যাবার চেষ্টা করা হয়। এই রূপে বিষয়টিতে জিতে যাবার একটা প্রচেষ্টা থাকে।
আমার এই বিশ্লষণে আমি সচেতনভাবে এই ব্যক্তি আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আব্দুন নূর তুষার সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং কলামিস্ট। তার সাথে আমার শত্রুতা নেই এবং সেটা শুরুও করতে চাই না। কিন্তু এমন একটি বিষয়ে তিনি এহেন একটা আর্টিকেল লিখেছেন যে আমি তার যুক্তি গুলো খণ্ডাতে বাধ্য হচ্ছি।
প্রসঙ্গতঃ কিছু মন্তব্য চলে এসেছে এই বিষয়টিতে তার জ্ঞানের অসারতা লক্ষ্য করে। কিন্তু সেটা মোটেই তাকে মানুষ হিসেবে খাটো করবার জন্য নয়, কিংবা তাকে অপমান করে জিতে যাবার চেষ্টা করার জন্য নয়। আমার আলোচনার গণ্ডি শুধুমাত্র তার এই আর্টিকেলটাই। আশা করি তার্কিক আব্দুন নূর তুষার তর্কটাকে তর্ক হিসেবেই নিবেন। তবুও তিনি আহত হলে আমি শুরুতেই তার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিশ্লেষণ
১। প্রথমে আব্দুন নূর তুষার রায়হানের স্ট্যাটিসটিকস তুলাধুনা করেছেন। কিন্তু তুষার কি অবগত আছেন যে মুস্তাফা জব্বার বিবিসিকে বলেছেন যে, 'বর্তমানে কম্পিউটারে বাংলা ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ বিজয় দিয়েই কাজ করছেন'? তুষার কি আদৌ জানেন, শতকরা ৯৯ শতাংশের কৃতিত্বের দাবি করতে কত শক্ত পরিসংখ্যানগত ভিত্তি এবং উপাত্ত থাকা প্রয়োজন?
পাঠকের গোচরে আনার জন্য বলি, শতকরা ৯৯ মানে একটি ঘরে যদি দশজন বাংলায় কম্পিউটার ব্যবহার করে তাহলে জব্বার সাহেবের দাবি অনুযায়ী তাদের দশজনকে (আরো সঠিকভাবে ৯.৯ জন) ই বিজয় ব্যবহার করে। চট করে একটা টেস্ট করা যায়। আপনার পাঁচজন বন্ধু, যারা বাংলায় লেখে, তাদের জিজ্ঞেস করুন তারা বিজয় ব্যবহার করে কি না। যদি একজনও বিজয় না ব্যবহার করে তাহলে জব্বার সাহেবের এই দাবি ভুল। কিন্তু তুষারকে এই যুক্তি বোঝাবে কে?
তুষার সাহেব রায়হানের তথ্য থেকে বের করলেন, ৬০% (বাংলা) × ১৫% (ইন্টারনেট) × ২০% (ইন্টারনেটে বাংলা) = ১.৮%। কিন্তু রায়হান যে এই হিসেবে বিরাট একটা ভুল করেছেন সেটা লক্ষ্য করলেন না। রায়হান বাংলা ব্যবহারকারীদের দুবার অর্ন্তভুক্ত করেছেন। সুতরাং সূত্রটা হবে ইন্টারনেটে বাংলা ব্যবহারকারী = X (বাংলা ব্যবহারকারী)% × Y (বাংলায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী)%। এই হিসেবে শতকরা হিসাবটি আরো বড় আসা উচিত।
যদি এই ভুল হিসাবটাই ধরি, শুধুমাত্র ১.৮% লোকই অভ্র ব্যবহার করে; তাহলেও জব্বার সাহেবে হিসেবের ৯৯% লোক বিজয় ব্যবহার করেন না। গুরুর এহেন ম্যানিপুলেশনের জবাবে এখন কী বলবেন তুষার সাহেব?
উপরন্তু কিন্তু রায়হান কোথাও দাবি করেন নাই বিজয় কতখানি ব্যবহার করে। তুষার কেন রায়হানের মুখের উপর কথা বসিয়ে দিতে চাইলেন বোধগম্য হলো না।
২। আমি জানতাম তুষার বির্তক করেন। অভ্রের শ্লোগান কেন আপনার গাত্রদাহের কারণ হল বুঝলাম না। বিতার্কিকরা মূল প্রসঙ্গে যুক্তি না পেলে সম্ভবত এই "রেড হেরিং" উপস্থাপন করতে শেখেন। অভ্রের শ্লোগানটিকে অভ্রের কৌশল মনে হয়? নাকি একটি সৎ আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ?
৩। সফটওয়্যার সেবা আর সফটওয়্যার পণ্যের মধ্যে পার্থক্য আছে। বিজয় পণ্যটি পয়সার বিনিময়ে দেয়া হয়। সঙ্গে হয়ত কর্পোরেটদেরকে সেবাও বিক্রয় করা হয়। কিন্তু অভ্রে সফটওয়্যারটি এবং সেবা (ওমিক্রনল্যাব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে) দুটোই বিনামূল্যে দেয়া হয়। অর্থাৎ বিজয় পণ্য এবং সেবা দুটোই বিক্রয় করছে, অভ্র দুটোই ফ্রি দিচ্ছে। তাই আপনার আর্গুমেন্ট ভিত্তিহীন।
অভ্র কোনোভাবেই কারো বুদ্ধি ধার করেনি। এই কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবে। তুষার সাহেব বুঝতে পারেননি। যদিও মেহদী হাসান খান একজন চিকিৎসক, কিন্তু সব চিকিৎসকই প্রোগ্রামিং সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখেন না, অন্তত 'একজন চিকিৎসক' এ ব্যাপারে চরম মূর্খতার পরিচয়ও দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের আলোচ্য তুষার। আফসোস, তিনিও কলম ধরেছেন এই বিষয়ে!
৪।
সারা পৃথিবীতে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় লেআউট
এখন সেই জনপ্রিয় লে আউটটির কয়েকটি কী বদলে একটু সুবিধা বাড়িয়ে বা কমিয়ে সেটিকে ফ্রি করে দেয়া কখনোই নতুন কোনো সৃজনশীলতা না।
আপনি ওপেন অফিসের নাম শুনেছেন? কিংবা গিম্প? সম্ভবতঃ না। ওপেন অফিস, মাইক্রোসফট অফিসের একটি ফ্রি অল্টারনেটিভ। আর গিম্প হল অ্যাডোবি ফটোশপের ফ্রি অল্টারনেটিভ। এখন ফ্রি সফটওয়্যারের জন্য মাইক্রোসফটের বা অ্যাডোবির ব্যবসা কি শেষ হয়ে গেছে? হয়ে যায়নি। কেননা তার প্রতিযোগিতায় এইসব ফ্রি সফটওয়্যারের থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। প্রতিযোগীতার বাজারে এইটাই সুবিধা - টেকনলজি এগিয়ে যায়। সুবিধা ভোগ করে উভয়পক্ষই। অপরপক্ষে গত বিশ বছরে কিছু চাটুকার, সুবিধাভোগী হায়েনার সহায়তায় বিজয় বাজার দখল করে আছে একই জায়গায়। নিজেও আগেও বাড়েনি কাউকে আগে বাড়তেও দেয়নি। নতুন কোনো টেকনলজি বাজারে আনেনি, কাউকে আনতেও দেয়নি।
আপনার কি ধারণা অভ্র তৈরি করতে শ্রম দিতে হয় নাই? নাকি আপনিও মনে করেন যে অভ্র বিজয়ের কোনো কম্পিউটার থেকে পাইরেট করে তৈরি করে দিয়েছেন। সফটওয়্যার তৈরির শ্রম বুঝবেন কীভাবে? সফটওয়্যার তৈরি করে দেখেছেন কখনও? প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? অভ্র কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি, আর বিজয় কোনটি দিয়ে তৈরি, বলতে পারবেন তুষার?
৫। কোনো পণ্য দীর্ঘদিন বাজারে থাকলে এবং তার পাইরেটেড কপি বাজারে থাকলে তার ওপর মানুষের অধিকার জন্মায় না। কিন্তু এটাকে বাজার দখলের নীরব পদ্ধতি হিসেবে লক্ষ্য করা যায়। অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের কথা জানেন নাকি তুষার সাহেব?
পিসি উত্তরণের সাথে সাথে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের মাধ্যমে এক চেটিয়া বাজার দখল করে। তখন থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের সাথে বিনামূল্যে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার সরবরাহ করতে শুরু করে। শর্ট টার্মে এতে মাইক্রসফটের ক্ষতি। কিন্তু লং টার্মে এটা একটা বিরাট জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করতে। সেইসাথে পুরো ইন্ডাস্ট্রি তাদের ইন্টারনেটভিত্তিক প্রোডাক্ট বানাবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য। অর্থাৎ মাইক্রোসফট থেকে মুক্তি নেই।
এর ফলাফল হল বাজারে অন্যান্য প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা না পাওয়া। অন্য প্রোডাক্ট দাঁড়াতে না পারা। বিজয় এই দোষে দুষ্ট। এই কারণেই বাজারে দ্বিতীয় কোনো বাংলা প্রোডাক্ট দাঁড়াতে পারছে না। এটা বিজয়ে কৃতিত্ব নয়, এটা বিজয়ের কুচক্র।
সমস্যাটির ব্যপ্তিটি ছবিতে দেখুন। বাংলাদেশের সরকারি ফর্মে দাবি করা হচ্ছে যে বিজয় দিয়ে যেন ফর্ম পূরণ করা হয়। বাংলা লেখার বাজার বিজয়ের এমনই দখলে যে, সরকার পর্যন্ত বিনামূল্যে বিজয়ের বিজ্ঞাপন করছে। কারণ অল্টারনেট সমস্ত প্রচেষ্টাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আর এই খুনের রক্ত জব্বার সাহেবের সাথে তুষারের হাতেও লেগে আছে।
কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হল বাংলাদেশে অ্যান্টিট্রাস্ট আইন নাই। তাই বিজয় আস্ফালন ঠেকানোর কোনো উপায় নাই।
৬। যাক একটা বিষয় ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেছেন। একটা লিংক দেই এটা শুনুন: http://www.bbc.co.uk/bengali/in_depth/2010/03/100311_sma_big_interview_jabbar.shtml। তাছাড়া মুস্তাফা জব্বারের ব্যক্তিগত পেইজে কিছু আর্টিকেল আছে ওইগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
৭। অভ্র সর্ম্পকে কিছু লেখার আগে আপনারও উচিত ছিলো ভালো করে জেনে নেয়া। অভ্র ডেভলপ করেছে মেহদী হাসান খান। তার সাথে অন্যান্য কয়েকজন আছেন, যাদের নাম আমি এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অভ্র সফটওয়্যারটিতে লেখা আছে যে এটি ফ্রি। চিরকালের প্রশ্নটি কেন আসছে বুঝছি না - সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ফ্রি বললে সেটা চিরদিনের জন্যই বুঝায়। কালকে যদি অভ্র বা অভ্র ক্লোন ফ্রি না হয় তাহলেও অভ্রর বর্তমান ভার্সন ফ্রি থাকবে। আপনার দ্বিমত থাকলে সফটওয়্যার লাইসেন্সের আইনি রেফারেন্স দেখতে পারেন (এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী দাবি করবেন)।
বাই দ্যা ওয়ে, আপনার কিন্তু অভ্র বিষয়ে লেখার আগে অভ্রের ডেভলপারের সাথে কথা বলে নেয়া দরকার ছিলো।
৮। ফোনেটিকে বাংলা লিখলে মানুষ বাংলা ভুলে যাবে?????
প্রথমতঃ অভ্র ফোনেটিক মানুষকে বাংলা ভোলানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছে বাংলা লেআউটকে সহজ করার উদ্দেশ্যে। এ-এম-আই লিখলে 'আমি' তৈরি হয় কিন্তু 'এ-এম-শিফট-আই' কিংবা অন্য কোন কম্বিনেশনে লিখলে 'আমী' হয়। অর্থাৎ বানানটি কিভাবে লেখা হচ্ছে তার সাথে বানান জানার বিষয়টি সর্ম্পকযুক্ত নয়। 'আমি' লিখতে হলে 'আমি' বানানটাই জানা চাই। অর্থাৎ বানান না জানা থাকলে ফোনেটিকও যা, বিজয়ও তাই।
অভ্র বা বিজয় "কীভাবে" লেখা হবে তার সমাধান দেয়। কিন্তু অভ্র বা বিজয় দিয়ে "কী" লেখা হবে তার দায় বা কৃতিত্ব অভ্র বা বিজয় কোনোটাই দাবি করতে পারে না? অভ্র বা বিজয় দিয়ে লিখে যদি কেউ নোবেল পুরস্কার পায় তাহলে কী এই সফটওয়্যারের কোনোটি তার ভাগ দাবি করতে পারবে? তাহলে ভুল বানানের দায়ই এদের কোনটা বা নেবে কেন?
বরং এই ফোনেটিক বিষয় অত্যন্ত এমপাওয়ারিং। যে কেউ যে কোনো কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং না শিখেই বাংলা লেখা শুরু করতে পারবে। এটা কম্পিউটারে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বিদেশে জন্ম হওয়া বড় হওয়া বাচ্চাদের কথা ভাবুন। শুধুমাত্র ফোনেটিক আছে বলেই অন্তঃত এরা বাংলা লেখার কথা ভাবতে সাহস করবে। এই ফোনেটিক টেকনোলজীটা যে কতবড় একটা রেভোল্যুশন তা বলে বোঝানো যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ফোনেটিক বাংলা প্রথম ১৯৯৯ সালে আবিষ্কার (উন্মোচন অর্থে) করে ন্যাচারাল বাংলা। পরে স্বতন্ত্রভাবে ২০০২ এ শাব্দিক এবং ২০০৩ এ অভ্র এটি উদ্ভাবন করে। শাব্দিক টিম গবেষণা করে এও দেখিয়েছে যে ফোনেটিক টাইপিংয়ে প্রথাগত টাইপিংয়ের সমমানের গতি আনা সম্ভব। এই পেপারটি আইত্রিপলীতে প্রকাশিত। বিজয়ের পা চাটতে গিয়ে আপনি তিনটি সফটওয়্যার এবং আইত্রিপলীতে প্রকাশিত একটি পেপারকে শুণ্যমানের বলেছেন। কীসের ভিত্তিতে তুষার সাহেব?
৯। বিভ্রান্তিমূলক প্রচারনা তো করছেন আপনি। জব্বার সাহেব নিজেই স্বীকার করেছেন ৬টি কী তে পার্থক্য আছে (অর্ধসত্য)। মেহদী দেখিয়েছে ৮ টি কীতে পার্থক্য আছে। আর আপনি বলছেন একটি!!! গুনতে শিখবেন কবে?
১০। মূল লেখার কিছু ইন্ডিকেট করছেন হয়ত। অপ্রাসঙ্গিক বিধায় আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি না।
১১। বোঝা গেল না এই পয়েন্টটি যুক্তি নাকি পাগলের প্রলাপ।
১২।
যারা অভ্র ব্যবহার করেন তারা এটা ভালো বলবেন।
আপনি অভ্র ব্যবহার না করেই কথা বলছেন? বিজয় ব্যবহার করেন বুঝি? এতো বিবিসির মতো হয়ে গেল - নিজেদের ওয়েবসাইট বিজয় দিয়ে বানিয়ে বিজয়ের গুণগান করা। "কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট" কথাটি শুনেছেন?
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি আমি বিজয় কিংবা অভ্র কোনোটাই ব্যবহার করিনা। আমি আমার নিজের তৈরি করা সফটওয়্যারে প্রভাত লেআউট ব্যবহার করি। তবে দুটিই দীর্ঘ সময় নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি।
ফন্ট কেবল কোডিং না, এটার চেহারাটাই আসল।
বলেছেন মহামতি আব্দুন নূর তুষার! আপনার এই দাবিটির পিছনে আপনার কত দিনের ফন্ট তৈরির অভিজ্ঞতা কাজ করছে? ফন্টের কোনো অংশটি আসল দাবি করার আগে ফন্ট তৈরির একটা অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি না? আমার তো তা-ই মনে হয়।
আপনার যুক্তিতে তো তাহলে জমজ ভাই বোন বা ক্লোনিং করা শিশুরা সব পাইরেটেড! বাই দ্যা ওয়ে সফটওয়্যার পাইরেসির সংজ্ঞা জানেন তো?
উপরন্তু ফন্ট নিয়ে এই আলোচনাও হয় "রেড হেরিং"এর অথবা জ্ঞানের অগভীরতার আরেকটি উদাহরণ। ফন্ট টেকনলজির সাথে অভ্রর কোনো সরাসরি সর্ম্পক নেই। ইউনিকোড টেকনলজিতে তৈরি অভ্র ফন্টের উপর নির্ভর করে না। আবার বলি, ইউনিকোড টেকনলজিতে তৈরি কোনো সফটওয়্যার ফন্টের উপর নির্ভর করে না। এটাই ইউনিকোড টেকনলজির বৈশিষ্ট্য। তাই উপরের সরকারি চিঠির মত কোনো নির্দিষ্ট ফন্টের কথা উল্লেখ করতে হয়না। ইউনিকোডে লেখা যেমন অমিক্রন ল্যাবের যে কোনো ফন্টে পড়া যাবে, তেমনি একুশ.অর্গের ফন্টে পড়া যাবে; পড়া যাবে মাইক্রোসফটের ভ্রিন্দায়। বিজয়ের সাথে অভ্র এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্থক্য।
ভিন্ন কোডিংএ একই চেহারার ফন্ট তৈরি করা সম্ভব। সেটাও কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন কারণ সেখানে ডিজাইন নকল করা হয়েছে।
পাইরেসি বা কপিরাইট এই বিষয়ের কিছুই যে জানেন না সেটা আপনার এই লাইনটি পরিষ্কার করে দিল। তুষার সাহেব, কোনো বিষয় নিতে জানতে সেটা নিয়ে একটু পড়াশোনা করে নিতে হয়। নাহলে এইরকম পাগলের প্রলাপ লেখার ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
(চলবে...)
মন্তব্য
মুর্শেদ ভাই সেইরকম ফর্মে! আপনার এ্যাপ্রোচটা দারুণ লাগলো।
এ প্রসঙ্গে আমিও আমার বিবৃতিটা দিয়ে দেই: আমি অভ্র বা বিজয় কোনটাই পারি না। আমি শুধু একটাই পারি, 'মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০ আলফা ১(সেপ্টেম্বর ১৮, ২০০৭)'-এর সামহোয়্যার-ইন নামক রেডিও বাটনটা (এটা মুর্শেদ ভাইয়ের 'প্রভাত'-এর ঠিক পাশের বাটনটা)। এটা আমার সকল কম্পিউটারের ডেস্কটপে লেজ উঁচিয়ে অবস্থান করে, এবং ইহা দ্বারাই আমার বেশিরভাগ লেখা রচিত হয়।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই!
সিরাত আপনাকে ধন্যবাদ এই অপশনটির কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য। ম্যাকে একুশে রূপালী কিবোর্ডে লিখার চেষ্টা করছিলাম। হিমু ভাই বললেন অ এর পর গোল্লা আসে। এখন "মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী"এর অনলাইন ভার্শন ব্যবহার করে প্রভাত কিবোর্ডে লিখছি। অনেকটা রূপালী কিবোর্ডের মতই।
মুর্শেদ ভাই, ডাউনলোড লিংকে গেলে কোন কিছু আসে না। আর সেটা কি ম্যাকে চলবে? অনলাইন টেক্সটবক্সই যদি আমার একমাত্র অপশন হয়, সেটার ড্রাফট সংরক্ষণ করা যায় এমন ভার্শন আছে?
আশা করি এখন অ এর পর গোল্লা আসছে না।
ম্যাকের জন্য ডিবাগিং করা দরকার। ম্যাক মেশিন নাই আমার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মহামতি তুষারের লেখাটা পড়ে আমার তাঁকে রামছাগল বলতে ইচ্ছা করছে ... কিন্তু মাহবুব ভাই যেহেতু ব্যক্তি আক্রমণ করতে চাচ্ছেন না তাই বললাম না
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
মুর্শেদ ভাই, শেষ লাইনট আগে চোখে পড়লেই, গোড়া থেকে পড়ে হইত না। আর না চলুক। এদের নিয়ে টাইম লস। ওভাররেটেড ফুলস।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বেশ হয়েছে। দুকলম পড়াশোনা করা দরকার ছিল ওনার। অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
মুর্শেদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
কিছু না জেনে এভাবে ঢালাওভাবে পত্রিকায় (হোক না অনলাইন) লিখে কি করে! জনাব তুষারের এই পোষ্টটা পড়া অবশ্য কর্তব্য।
মোস্তফা জব্বার কি তুষারের দুলাভাই লাগে নাকি? পয়সা দিয়াও আজকাল এত ভালো দালাল পাওয়া যায় না।
মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে পড়ে। পরে এসে মন্তব্য করবো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
জ্বি। তুষারের খালাতো বোন হলেন মোস্তাফা জব্বারের প্রথম স্ত্রী।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
--আমার জিন্সের প্যান্টগুলোর লেআউট একদম আমার সূতির পায়জামার মতন। সুতরাং তাদের উপকরণ ও একই
তুষার সাহেবের জ্ঞাতি মিডিয়ার ওয়েবসাইট খানাও খাসা।
এ যেন উইন্ডোজ আর ম্যাকের দুটাতেই মাউস উইজ করা যায় কিংবা দুটাই উইন্ডো ভিত্তিক সিস্টেম - এটা দেখেই বলে দেয়া যে একটা আরেকটাকে পাইরেট করেছে!!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আব্দুন নূর তুষারকে পছন্দ করতাম ওনার উপস্হাপনার জন্য। না জেনে বুঝে(?) সে এরকম দালালি করলো, তার উপর শ্রদ্ধা চলে গেল।
জব্বার কাগু মিডিয়াতে অপপ্রচার করার জন্য আটঘাট বেধে নেমেছে। আজ বৈশাখী চ্যানেলে রাত ৯.৪৫ মিনিটে সরাসরি টকশোতে থাকবে। এখান (http://www.somewhereinblog.net/blog/comjagat/29156684) থেকে জানলাম।
সব কিছুই আসলে মুস্তাফা জব্বারের দখলে। খবরের কাগজ, টেলিভিষন, কপিরাইট অফিস, কোর্ট - সবকিছু। একারণে এতদিন কোথাও কোন প্রতিবাদ শুনিনি আমরা।
শুধু ইদানীং ইন্টারেনেটে ব্লগগুলো তার অগোচরে অনেক বাড় বেড়ে গেছে। একেও সাইজ করবেন তিনি। দেখে নিয়েন। খালি অভ্রকে সাইজ করা শেষ হোক, এরপর ব্লগগুলোকে তিনি দেখে নিবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লাস্ট প্যারাটা রেস্ট্রিক্ট করে দাও। উনি কিন্তু এসে এসে সব পড়েন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
+ রে......+
---------
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
রেস্ট্রিক্ট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
+ রে ...... +
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বিতর্ক আর ওকালতি এক নয়। তবে ভালো কোনো বিতার্কিক স্বেচ্ছায় ওকালতি করতে চাইলে তাঁর উচিত নিজের মেধার সমকক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করা যাতে প্রতিপক্ষ তাঁর মিথ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না পারে।
বিজয়ে অভ্যস্ত যাঁরা তাঁদের মধ্যে ফিক্সড কী-বোর্ড নিয়ে একধরনের রোমান্টিসিজম দেখা যায়। 'নিজের ভাষায় লিখছি, ইংরেজি হরফে বাংলা লিখব কেন?' এমন যুক্তি শোনা যায়। যুক্তিতে না পেরে আবেগমথিত হওয়া জব্বার সাহেবের পুরোনো প্রবণতা। তাই এই রোমান্টিসিজমও তিনি ব্যবহার করছেন। আমার মতে না বুঝে পড়া মুখস্থ করা আর বুঝে পড়ার মধ্যে যে পার্থক্য, বিজয় আর ফোনেটিকের পার্থক্য তা-ই।
জব্বার সাহেবের উদ্দেশে একটা অনুরোধ: বাংলার প্রতি এতটাই যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে কী-বোর্ডের ত্যানাপ্যাঁচানির পরিবর্তে বাংলা ভাষায় একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে কিংবা তার চেয়েও ভালো কিছু তৈরিতে মনোনিবেশ করুন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সে কী!! তুমি কি শোনো নাই আজকের একতরফা আলোচনা মনোযোগ দিয়ে?? জব্বার সাহেব বলেছেন যে, অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে যাবার দরকার নাই আমাদের দেশের! আমরা স্বল্প-উন্নত, গরীব দেশ। আমাদের আপাতত সফট্ওয়্যার ঘষা-মাজা, তৈরির অপ-প্রয়াসই যথেষ্ট। উনি পারবেন না, তাই তোমার-আমার মত, আমাদের বন্ধুদের মত নবীন প্রোগ্রামারদেরকে কষ্ট করতে হবে কেন??! আমদের দেশের প্রোগ্রামাররা যেহেতু কিছুতেই যেহেতু O/S তৈরি করতে পারবে না (!), কাজেই চেষ্টা করাই একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছেন উনি!
(ইয়ে, আমি ভাবছি আম্রিকায় কী প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলা সব অন্য শিখায় নাকি? মানে এখানে মনে হয় আমরা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলোরও পাইরেটেড ভার্সন শিখি বুঝলা!)
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তুষার সাহেবকে আজকাল আর কেউ পুঁছে না। সেই কষ্টে উনি ভাষা বণিকের পদলেহনের সুমহান চাকুরিটি কব্জাগত করে আবার কিছুটা জাতে ওঠার চেষ্টা নিয়েছেন। আমি আদ্যোপান্ত অভ্রবাদী, তাই এই বিষয়ে কোনো আপোষ নাই।
ব্যক্তি আক্রমণ অবশ্যই। অ্যান্ড আই উইল কল ইউ মিঃ তুষার, টু অ্যাপোলোজাইজ ইফ ইউ আর হার্ট, ইফ নট বাই ফোন,ডেফিনিটলি থ্রু মাই টোস্টার।
মুর্শেদ, এই তুষার ভাইকে যারা অনেকদিন ধরে চিনেন, তাতে ওনার এই স্ট্যান্স নেয়াটায় কেউ অবাক হননি। আমরা সেই স্কুল লাইফ থেকে ডিবেট করতে গিয়ে কাছাকাছি ওনাকে দেখেছি, মিশেছি, ভাল করে চিনি। কাজেই, যুক্তি দিয়ে তার বক্তব্য খন্ডন করছো, ঠিক আছে, কিন্তু খুব বেশী বদার্ড হয়ো না।
+ রেস্ট্রিক্ট +
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
তাকে মেইলানোর চেষ্টা করা যেতে পারে...
_________________________________________
সেরিওজা
এভাবে বিশ্লেষণের দরকার ছিলো।
গতরাতে আমি এই পোস্টটি দিয়েছিলাম আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন
প্রসঙ্গ বিজয় বনাম অভ্র :ডা. আব্দুন নূর তুষারের প্রতিক্রিয়া এবং প্রতু্যত্তর
পোস্টটি মূলত সাপ্তাহিক.কম এ আমার করা তার ২৫টি পয়েন্টেরই উত্তরের সংকলন।
- ভাই, আগেও দেখেছি আপনি সচলে এসেই আপনার লেখার লিংক ধরায়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, ঘটনা কী?
যদি সচল পাঠকদের আপনার লেখা পড়াতে চান, তাহলে সচলেই লিখুন না কেনো! আমরা মন দিয়ে পড়বো। অন্য কোথাও লিখে এখানে এসে সেই লেখার পাবলিসিটি করার জন্য তো ভাই সচল না।
আর হ্যাঁ, আরেকটা কথা। নিজের যুক্তির রেফারেন্সে নিজের লেখার লিংক দেয়া থেকেও ভবিষ্যতে বিরত থাকবেন দয়াকরে। এইটা ভালো অনুশীলন না। এক জাতীয় ছাগু আছে যারা এই কাজটা করে। সামুজীবনের সেই শুরু থেকে দেখা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার এই লেখাটার লিংক বোধহয় দরকারি'ই ছিলো, অস্বীকার করবেন?
আগের পোস্টগুলোতে বিশেষ করে জ্বীনের বাদশা সাহেবের ব্লগে আমার মন্তবে্যও ইচ্ছা করেই আমার সবগুলো অভ্র-বিজয় সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছি।
তার কারণ ব্যাখ্যা করছি। যারা আজকেই অনলাইনে এলেন। যারা কেবল বিজয়েই লিখতে শিখেছেন। কিংবা যারা কেবল অভ্রতেই লিখেছেন তারা অনেকেই খণ্ডিত ইতিহাস জানেন। আমার পোস্টগুলোতে দেয়া মতামত এবং প্রতিউত্তরগুলো একটি বার্নিং ইস্যুর উপরে সেকারণে সচল কেন শুধু আমি মনে করি সব পরিমণ্ডলের বাংলা ভাষাভাষিদেরই এইসব আলোচনা সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা ভালো। আমার লিংকে আত্মজাহিরি বা এমএলএম বা মার্কেটিং বা স্প্যামিং টাইপ কোনো কিছুই ছিলোনা।
স্টেরিওটাইপড 'ছাগু' কিনা আমি তা আমার সামুতে বিচরণ দেখলেই বুঝবেন। কারো ব্লগে গিয়ে কখনোই নিজের পোস্টের লিংক দিয়ে আসিনা।
আর আপনি অন্যতম একজন মডু হিসেবে নিশ্চয়ই আমার মন্তবে্যর ফুটনোটে খেয়াল করেছেন আমি আপনাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আমি ২০০৮ বা ২০০৯এই এখানে সাইনআপ করেছিলাম। কিন্তু সেই একাউন্ট এখন দেখতে পাচ্ছি সচল নয়। দু'একটা পোস্টও করেছিলাম হয়তো। সেগুলোও খুঁজে পাইনি। আমি একাধিক নামে/নিকে ব্লগ করিনা। একাধিক মেইল/মেসেঞ্জার আইডিও(একই ডোমেইনের ক্ষেত্রে) ব্যবহার করিনা। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমি পুরানো অ্যাকাউন্টই ফিরে পেতে চাই।
লেনিন, সচলায়তনের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা contact অ্যাট sachalayatan.com। আপনার সমস্যার কথা সেখানে মেইল করে জানান।
সচলায়তনে নিবন্ধনের সাথে সাথেই অ্যাকাউন্ট সচল করা হয় না। বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন। আপনি লিখতে আগ্রহী হলে এখানে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। অন্যত্র আপনি প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান লেখা লিখে এখানে লিঙ্ক না দিয়ে বরং একটু কষ্ট করে এখানে লিখুন। সেটা করতে না চাইলে লিঙ্ক না দিয়েই আলাপ করুন।
ধূগোদা মডু?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
- ভাই, শোনেন আপনার লেখা দরকারী না অদরকারী সেইটা আমি বলতে চাচ্ছি না। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনি অন্য কোথাও প্রকাশিত লেখার লিংক দিয়ে সেটার পাবলিসিটি সচলে কেনো করেন? আপনার নিজের একাউন্টে এক্সেস না থাকলে অতিথি একাউন্টেই লিখেন। দরকারী লেখা সচলে অবশ্যই প্রত্যাশিত। কে লিখলো, সেইটা তো কখনো বিবেচ্য হয় বলে শুনি নাই।
আর আপনার ভুল ভাঙাই। আমি মডুদের কেউ না। সুতরাং, অন্যতম মডু নাকি বিশেষ মডু, এগুলা বলার কোনো মানে নাই। আপনি সচলে লেখা শুরু করার যে নিয়ম আছে সেটা অনুসরণ করেন, নিয়ম মতোই আপনি আপনার একাউন্টে লিখতে পারবেন। এর পরেও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে আপনি contact AT সচলায়তন ডট কম বরাবর ইমেইল করে দেন। আশাকরি জবাব পাবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি যেটা বললেন, তা আপার নীতিতে অত্যন্ত আপত্তিকর। সাদ আমার হয়ে আমার বক্তব্য ইতোমধে্যই বলে দিয়েছেন। আপনি বা অন্য কেউ আর কোন বিষয়ে আমার লিংক পেস্টিং দেখেছেন? আমি যত লিংক দিয়েছি সব এই অভ্র বিষয়ে। আরো ইনফরমেশন হচ্ছে আমি কট্টর অভ্রবাদী নই। আমি অভ্র ব্যবহারকারি নই। আমি উইন্ডোজ ব্যবহারকারি নই। আমি ফোনেটিক ব্যবহারকারী নই। তারপরও কেনো অভ্রের প্রতি সমর্থন করছি? আমার লেখা এবং অন্যদের সাথে আলোচনায় সেটাই বোঝা যাবে।
কিন্তু, সেই লেখার লিংক পেস্ট করলে এভাবে সস্তা এপার-ওপার, তুমগো-আমগো ইত্যাদি বলবেন তা আমি গদগদভাবে মেনে নেবো কখনোই নয়।
কই আপনার এই গায়ে পড়ে সাহায্য বা ধমকানির উল্টোটা তো দেখলাম না?
আমি জনাব জ্বীনের বাদশা, মুখফোড়, মেহদী হাসান খান, এবং এই মাহবুব ভাইদের পোস্টে কমেন্টের নীচে মডু বা অ্যাডমিনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছি যোগাযোগের উপায় জানাতে। মেইলও করেছি। মাহবুব ভাইয়ের আগের একটি পোস্টে প্রাইভেট কমেন্ট করেছি মুছে দেয়ার নোট রেখে। তখন তো কোনো হাত বাড়ানো উদে্যাগ দেখিনি কারো?
আর আমি তো বলিনি আমি এখানে লিখবো না। আমার প্রথম সাইনআপ করা অ্যাকাউন্ট লগিন হচ্ছে না "পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?"ও কাজ করছে না। সেকারণেই আমি যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতিটি মন্তবে্যর সাথে তো মেইল আইডি দিয়েই থাকি, তবে যোগাযোগ করতে এতো উন্নাসিকতা কেনো? আর মডু না হয়ে থাকলে অ্যাডমিন হবেন বা সেই গোত্রেরই কিছু একটা হবেন তা'না হলে সামান্য ব্যাপারে এভাবে মন্তবে্যর চেইন বাড়ানো মানে তো পোস্টের বিষয়বস্তুকেই উপেক্ষা করা।
ভাই, অনেক সময় নিজের অবস্থান পজিটিভ থাকলেও সেটাকে যদি কেউ ভুল বুঝে ফেলে সেক্ষেত্রে নিজেকে আরো শান্ত রাখা দরকার। আপনি তো দেখছি বেশ রুদ্র মূর্তি নিয়েছেন। এমনটা আশা করিনি। আর উন্নাসিকতার অভিযোগটা একপেশে হয়ে গেলনা? আপনার সাথে সচলায়তন যোগাযোগ করবে নাকি আপনি সচলায়তনের সাথে যোগাযোগ করবেন? সচলায়তনে কতটুকু সময় আপনি ব্যয় করেন তা এখান থেকেই কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। পাতার উপরে যোগাযোগের ঠিকানা এবং হিমুর মন্তব্যের পরেও আপনি এমনটা বলবেন তা আশা করিনি।
ভাই লেনিন, আপনি পোস্টে পোস্টে সাহায্য কামনা না করে যদি একটু কষ্ট করে পেইজের নিচের দিকটা দেখতেন, তাহলে দেখতে পেতেন যোগাযোগ বলে একটা লিঙ্ক আছে। আর সচলের ওপরে অতিথিদের জন্যে একটা ব্লিংকিং হাইলাইটেড লিঙ্ক আছে যাবতীয় তথ্যসহ। এটা যদি আপনার চোখ এড়িয়ে যায়, সেটার দায় কি আপনার নয়?
আর "সচলায়তনের মডু/অ্যাডমিনেরা সামান্য ব্যাপারে মন্তব্যের চেইন বাড়ায়", এই আপত্তিকর ইনসিনুয়েশনে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি জানিয়ে গেলাম। আপনাদের দুইজনের কথার মাঝখানে ঢুকে পড়তে হলো দেখে দুঃখিত।
এখানে ক্লিক করে দেখেন।। এইটাতো আপনারই কমেন্ট। এর ঠিক নিচেই খাঁটি বাংলায় হিমু দুইটা লিংক দিয়ে রেখেছে। আপনি কি দুইটা লিংকে ক্লিক করে দেখেছেন ভুলেও?
ভাই, সচলায়তন একটা নিয়মের ভেতরে চলে। এই নিয়মকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করেই তবে সচল হই। আপনি একটা আইডি নিয়ে সারাজীবন কাটাতে চান কি চান না, সেটা কি সচলায়তনের দেখার বিষয়, আপনিই বলেন!
আর আপনাকে আমি একটা ছোট্ট অনুরোধ করি। এই "মডু, এ্যাডমিন বা সেই গোত্র" টাইপের সিন্ড্রোম থেকে বের হোন দয়াকরে।
আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করবো না বলেই ঠিক করেছিলাম। রাখতে পারলাম না নিজের কথা নিজের কাছেই, দুঃখিত।
আসুন আমরা এই পোস্টের বক্তব্য নিয়েই কথা বলি। প্রসঙ্গক্রমে, প্রয়োজন হলে রেফারেন্স আমরা টানতেই পারি অন্যকোনো লেখার। কিন্তু কথা নাই বার্তা নাই, হুট করে আমাদের লেখার লিংক দেয়া-নেয়ার অনুশীলন নাহয় আমরা পরে কখনো করবো নি, কেমন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জনাব, ধূ.গো. আপনার ভাষায় নাহয় 'কান্নাকাটি'ই করছি। ২৪ঘন্টা বোধহয় পার হয়েছে, মেইল করেছি। আর ঐ লিংকদুটো আমার কমপক্ষে ৬মাস আগেই পুরোপুরি পড়া। অন্ততপক্ষে যে সময় সাইন আপ করেছিলাম সেসময়েই পড়ে ফেলেছি। সচলের নিয়মনীতিও ভালো করেই জানা।
@ধুসর গোধূলি,
আমি অনেকদিন ধরেই সচলায়তন পড়ি। সুন্দর লেখাগুলোর জন্যই পড়ি। পড়ে কোন লেখা ভাল লাগলে তা বন্ধু এবং অন্য ব্লগারদের সাথেও শেয়ার করি। আমি সচলায়তনের প্রকাশিত ইবুকগুলো নিয়ে সামু ব্লগে একটা পোস্টও দিয়েছি। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমার কাজটা চরম অপরাধ হয়েছে।
অভ্রের জন্য সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে ফাইট দিচ্ছে। কারন আমরা সবাই ন্যায়ের পক্ষে। অভ্র তো এর জন্য কোন পয়সা দিচ্ছে না। কটু কথা বলে বিভেদ সৃষ্টি করলে তা মোস্তফা জব্বারের দিকেই যাবে। আর এমন মনোমানিল্য চলতে থাকলে অনেকেই অভ্রকে নিয়ে লিখতেও আগ্রহী হবেন না। সুতরাং দয়া করে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। অভ্রবিরোধী প্রচারনা রুখে দেওয়াই বড় কথা। অভ্রের জন্য যারা লিখছেন, তাদের এক থাকতে হবে। অভ্রের জন্য কোন নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম থেকে লিখতে হবে এমন কোন নিয়ম আছে নাকি?
লেনিন আগে কি করেছেন জানিনা, তবে গতকালের দেওয়া লিংকটা নেহায়েত ফ্লাডিংয়ের জন্য দেওয়া হয়নি তা আপনি তার লেখা পড়লেই বুঝবেন। আর মাহবুব ভাইয়ের বর্তমান লেখার মত গুরুত্বপূর্ণ লিংক কি আমি কারও সাথে শেয়ার করব না? আপনি বলুন আর না-ই বলুন আমি অবশ্যই শেয়ার করবেই।
আশাকরছি বিষয়টি বুঝতে পারবেন। আর সচলায়তনের অন্য ব্লগাররা আপনার মত একই ধারনা পোষন করেনা বলেই আমার বিশ্বাস।
ভাল থাকবেন।
-- সাদাচোখ
"সাদাচোখ", আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার মন্তব্য পড়ে আপনার মারাত্মক অপরাধ হয়েছে কি হয় নি, সেটা জানার আগে অনুরোধ করবো সচলায়তনের নীতিমালা ভালো করে পড়ুন। শুধু আপনি না, যাঁরা এখানে লিখবেন, লিখার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন তাঁদের জন্যও একই অনুরোধ থাকবে।
অভ্রের জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্লাটফর্ম থেকে লিখতে হবে, এমন দিব্যি আপনাকে কেউ দিচ্ছে না কিন্তু। শুধু বলা হচ্ছে, কিছু বলার থাকলে, যোগ করার থাকলে করুন, কিন্তু দয়াকরে কেবল লিংক পেস্ট মাইরেন না। দুঃখিত, এই কেবল লিংক পেস্ট মারার জন্য সচল না।
ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই বিষয়ে আমাদের এক থাকা এখন সবচেয়ে জরুরী।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই কনটেক্সটে লিংক দেয়া ঠিকাছে। ছাগুরা আলোচনা এড়ানোর জন্য লিংক ধরায়। উনারটা আলোচনায় কিছু যোগ করার জন্য। এক্ষেত্রে তার পোস্টটা প্রাসঙ্গিক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১.
যে কোন বিষয়ে যে যত কম জানে সে তত বড় বিশেষজ্ঞ!!!
আংরেজিতে একটা কথা আছে।
Light travels faster than sound. This is why some people appear bright until you hear them speak.
তুষারের জ্ঞানগর্ভ কথাগুলো পড়ার পর আংরেজি কথাটার গুরুত্ব আরেকবার অনুধাবণ করলাম।
২.
বিজয়, অভ্র ইত্যাদি বিষয়ে মহামতি তুষারের সাথে তর্ক করা অর্থহীন কারণ আংরেজিতে কবি বলেছেন, "Do not argue with an idiot. He will drag you down to his level and beat you with experience."
এই ঝাজাপ্রাপ্ত সেলিব্রেটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই । ব্লগজগতে উনার আগমনের পর উনারে একটা উপদেশ দিছিলাম । উনারে বলছিলাম যে বাস্তব দুনিয়াটারে বিতর্কের টিএসসির বিতর্ক মঞ্চ ভাবলে উনি ভুল করবেন । সেইটা উনি কানে তুলেন নাই বলাইবাহুল্য ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
উনারে বলছিলাম যে বাস্তব দুনিয়াটারে বিতর্কের টিএসসির বিতর্ক মঞ্চ ভাবলে উনি ভুল করবেন --উনি ডিএমসির বিতার্কিক। টিএসসির বিতর্ক মঞ্চ অভ্রদের দখলে। তাই বাস্তব দুনিয়াটারে টিএসসির বিতর্ক মঞ্চ ভাবলেও অসুবিধা নাই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
দ্রোহীদা দারুণ কইছেন! নমস্য:
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বস, সেই রকম হয়েছে । T20 ক্রিকেটের মত যুক্তি খণ্ডন। তুষার ভাই-এর হাস্যকর যুক্তি শুনে আমার বিতর্ক জীবনের কথা মনে পড়ে গেলো। আমরা যখন অসার বিকর্ত করতাম তখন বিচারকরা সামনে বসে নিজেদের মধ্যে হাসতো। তুষার ভাই-এর যুক্তি উপস্থাপন দেখে আমার অবস্থাও সেরকম হয়েছিল।
বাংলাদেশে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভবিষ্যত বড়ই উজ্জ্বল। কিছূদিন আগে আমাদের জ্ঞান দিয়ে ছিলেন একজন সাংবাদিক, এখন দিলেন ডাক্তার।
টুইটার
একজন সাংবাদিক বা ডাক্তার জ্ঞান দিলে কোন অসুবিধা নাই যদি তার যথেষ্ট জ্ঞান থাকে
অভ্রের মেহেদীও কিন্তু ডাক্তার, সেই জন্যই হয়ত জব্বার সাহেব তার্কিক ডাক্তার এনেছেন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফাডায়ালায়ছেন ভাই। তুষার ভাইরে বিতার্কিক হিসেবে পছন্দ করতাম কিন্তু প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য যেসব যুক্তি আমরা দেখাই সেসব উনি এখানেও দেখাবেন ভাবতে পারিনি!!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একটা জিনিসই প্রমাণ হয় এই তুষার ভদ্রলোক ঠিক মত ঠিকভাবে না জেনে ওকালতি করেছেন ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সব বাতিল মালগুলি কাগুর লিজিয়নে নাম লেখাচ্ছে।
[মডারেশন নোটঃ মন্তব্যটি আংশিক মডারেট করা হলো]
যারা ভাষা চর্চা করতে চান তাদের জন্য মূলত ফনেটিক নয়। এটা করা হয়েছে, যারা নিতান্তই বাংলা লিখতে জানেন না তাদের জন্য। আমার বাবা এখন যে বয়স (৭৬), তাতে উনি আর বাংলা শিখতে পারছেন না। সম্ভবও না। তই তার জন্য ফনেটিকই অনেক সুবিধার, আর যাই হোক বাংলা তো লিখতে পারছেন। তার নিতান্ত প্রয়োজনে। তা না হলে উনিতো সেটা ইংরেজীতেই সারতে বাধ্য হতেন। সেদিক থেক এটা কি আমার বাবার জন্য মঙ্গল কর নয়?
হুইল চেয়ার তৈরি হয়েছে পঙ্গু মানুষের জন্য। তাই বলে সুস্থ মানুষের দোহাই দিয়ে হুইল চেয়ার তৌরি বন্ধ করে দেয়া যায় না।
robinhood
জব্বার সাহেবের মূল বক্তব্য ফনেটিক নিয়ে নয়। অভ্রের সাথে দেয়া ইউনিজয় লে-আউটটাই তার গাত্রদাহের মূল কারণ। তুষার ভাই এবং মাববুব ভাই -- দুজনের লেখার মূল বিষয়বস্তুও সেটাই।
টুইটার
আপনি তুষারের লেখাটা মন দিয়ে পড়ে দেখেন। সে ফোনেটিক নিয়েই ঘ্যানঘ্যান করেছে।
হিমু ভাই, ৮ নাম্বার পয়েন্টটা ছাড়া অন্য পয়েন্টগুলোতে আমার মনে হয়েছে তুষার ভাই ইউনিজয় লে-আউটকে আক্রমন করার চেষ্টা করেছেন অথবা অভ্র সফটঅয়্যারটা ফ্রি হলে তার মতে কী কী সমস্যা হতে পারে সেটার যুক্তি (অবশ্যই অসার) তুলে ধরেছেন।
জব্বার সাহেবের একটা লেখায় পড়েছিলাম তিনি বলেছেন, অভ্র সফটঅয়্যারে শুধু ইউনিজয়েই তার আপত্তি, যদিও তার আচরণ থেকে বোঝা যায় তিনি পুরো অভ্রের প্রতিই খেপেছেন। কারণটা সহজেই অনুয়েম - কাল যদি সবাই বিজয় লে-আউট দিয়ে লেখা ছেড়ে দেন তাহলে তিনি কোর্ট-কাচারি করেও অভ্রের বিপক্ষে কথা বলতে কোন দালাল ম্যানেজ করতে পারবেন না।
টুইটার
আচ্ছা, সেই বাংলা প্রবাদটা যেন কী?
"গরু মেরে জুতা দান"? নাকি "জুতা মেরে গরু দান"?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
বলার লোভ সামলাতে পারলাম না... এই প্রবাদের নতুন সংস্করণটা মুখার... এবং এইটা একটা ক্লাসিক...
"গুয়া মেরে টিসু দান"
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ফোনেটিক লেআউট হুইলচেয়ার না। এটা অন্য কোনো লেআউটের অক্ষম অনুকরণ নয়, বরং সহজতর মাধ্যম। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের কারণে আমি নিজে আদিম লেআউটটিই ব্যবহার করি। আমি জানি এটা শিখতে আমার কতোদিন লেগেছিলো আর কতো কষ্ট করতে হয়েছিলো।
অথচ প্রায়-কম্পুকানা লোকদেরকেও ফোনেটিক লেআউটে আনন্দ নিয়ে টাইপ করতে দেখছি; কীবোর্ড ধরে তাদের অধিকাংশই প্রথম চেষ্টায় নিজের নাম লিখে ফেলছে। এটা কি হুইলচেয়ার?
ভাষাচর্চার সাথে কীবোর্ড লেআউটের সম্পর্ক কী, সেটা কি একটু পরিষ্কার করে বলবেন? হিমুর লেখা দেখে কি বোঝা যাচ্ছে সে কোন লেআউট ব্যবহার করছে?
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
যুক্তি খণ্ডন এবং লেখা খুবই ভালো হয়েছে।
একবার ভাবলাম, তুষাড়ের লেখা নিয়ে প্রতিক্রিয়ার কি আছে। হুদা সময় নষ্ট। পরে দেখলাম, এই আ..গুলাই পত্রিকায় লেখে, দেশের বৃহত্তর পাবলিকই এখনো এদের লেখা পড়ে। সুতরাং স্পষ্ট কথাগুলোও স্পষ্ট করে বলার দরকার আছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেটাই। একজন এস এম মাহবুব মুর্শেদের লেখা যতটা মানুষ গুরুত্ব দেবে তারচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেবে আব্দুন নূর তুষারের লেখা। সেলিব্রিটি বলে কথা। আমার দ্বিতীয় পর্বের উপসংহার তাই আব্দুন নূর তুষারকে করজোড়ে অনুরোধ করতে চাই, আপনার শক্তি অনেক বেশী এভাবে ভুল পক্ষকে আপনার শক্তি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্লীজ!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গাল ফোলা বাটপার তো কাগুর চামচামি করবে, এতে একটুও অবাক হই নাই, এরাম মহাজ্ঞানিদের জানার প্রয়োজন হয় না, তেনারা পীরবাবাদের মতন স্বপ্নে জ্ঞান আহরণ করেন কিনা! প্রথম থেকেই এই ছাগুটারে আমার সহ্য হয় না, এইবার ব্যাটা ডাক্তার সম্প্রদায়ের নাক নতুন করে কাটার জন্যে উঠে পড়ে লাগছে।
সবচেয়ে বড় কথা হল, অভ্র নিয়ে মতামত দিবেন, ভালো কথা, কিন্তু কি যোগ্যতায়, সম্ভবত, মেহদী ডাক্তার হয়ে অভ্র বানিয়েছে, তাই ডাক্তার হয়ে আমিও মতামত দিব, এই যুক্তিতে? কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, মেহদী বেচারা আপনার মত স্বপ্নে পেয়ে অভ্র বানায়নি, তার জন্যে তাকে বিস্তর পড়াশুনা এবং খাটনি করতে হয়েছে! কাজেই এটুকু বোঝার চেষ্টা করেন, সবাই সব পারে না, সরকারের যে সম্পদ ব্যবহার হয়ে ডাক্তার হয়েছেন, সেই বিদ্যাটাকে ঠিকমত কাজে লাগান, দেশের উপকার করেন। যদি তা না পারেন, মুখ খুলে নিজের মুখের দুর্গন্ধ দিয়ে অন্তত পরিবেশ দুষন করবেন না।
আর মুর্শেদ ভাই, আপনে ব্যক্তি আক্রমণ না করে থাকতে পারেন, কিন্তু আমার পক্ষে তা সম্ভব না, কারণ মিস্টার গালফোলা তুতু অপ:প্রচার করছেন এবং তা করছেন চরম অজ্ঞনতার সাথে, এখনও এতটা মহৎ হইতে পারি নাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উহুঁ ব্যক্তি আক্রমণ করা উচিৎ হয়নি আপনার। তুষার ভাইয়ের বোধোদয় হোক এটাই কাম্য। ব্যক্তি আক্রমণ করলে উনি ভুল বুঝতে পারেন। এই দুঃসময়ে সবাইকেই দরকার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার যুক্তি মেনে নিলাম, এটা আমার ভুল হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকলে মনে হয় না আপনে উনার বোধদয় হবার ব্যাপারে আশাবাদী হতেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ, যতই রাগ উঠুক না কেন, আমরা এখন এইসব আবেগী বক্তব্য দিবো না, ঠিক আছে? দিজ ইস নট দ্য টাইম ফর ইট। বরং মাথা ঠান্ডা করে কীভাবে কন্ট্রিবিউট করবা, সেটা মনে মনে ঠিক করা শুরু করো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
মজা পাইলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনার মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছি। দুঃখিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বিতার্কিক তুষারের এহেন দালালীতে সত্যিই বেশ আহত হয়েছি। স্কুল জীবনে বিতর্কের শুরু থেকেই আমাদের সবসময় একটি কথা বলতেন বড় ভাই আর আপুরা। আর সেটি হচ্ছে স্টান্টবাজি না করা। অর্থাৎ যে ব্যাপারটা জানি না তা নিয়ে চাপাবাজী না করতে।
সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ছোটবেলা থেকেই এই মানুষটিকে পছন্দ করতাম। পরবর্তীতে শুনলাম তিনি নাকি অসাধারণ একজন বিতার্কিকও বটে। আজ ঠিক কি কারণে ব্যাক্তি তুষার একটি বিষয়ের উপর নূন্যতম জ্ঞান না রেখেই সে বিষয়ে এই রকম একটি মহাকাব্য রচনা করে বসলেন তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এটিকে স্টান্টবাজি ছাড়া আর কীইবা বলা যায়। তবে হ্যা একটি কথা না বললেই নয় "হ্যাটস অফ টু জব্বার কাগু"। কাগু আসলেই একটা জিনিস। তুষারের মত একজন বুদ্ধিমান মানুষকেও উনি বিভ্রান্ত করতে সমর্থ হয়েছেন।
তার্কিক
তুষার বুদ্ধিমান এই কমেন্টে মজা পাইলাম । নাই বনে ভ্যারেন্ডাই বৃক্ষ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তুষারের লেখার ষ্টাইল তো কাগু কাগু লাগে, কাহিনী কি?
আমারও আন্দাজ জব্বার সাহেবের কাছ থেকে একটা ক্র্যাশ কোর্স পেয়ে লেখাটি অনুপ্রানিত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী, মুর্শেদ ভাই আরও একবার সেটি প্রমান করে দেখালেন। ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই, আপনার লেখাটির জন্য...
বানান ভুল ধরে দেবার জন্য বুঁনোহাসকে ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বুনোহাঁসকে বুঁনোহাস বানায়া দিলেন? এখন দেখেন, কী ধরাটা ধরে আপ্নেরে।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
দুঃখিত বুনোহাঁস।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার নিক ভুল বানানে লিখলে ধরি না আমি। ভালোবেসে যে যা ডাকে তা-ই সই। অনেকেই বুনোহাস লেখেন। বুঁনোহাস-এ তাও তো একটা চন্দ্রবিন্দু আছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রযুক্তি-মূর্খ ব্যক্তিরা যখন একসাথে হয়, তখন এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না। মুর্শেদ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এই লেখার জন্য। পরের পর্বের আশায় বসে রইলাম।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ।
তুষার সম্বন্ধে ধারনা ভালোই ছিল এতদিন, লেখাটা পড়ে হোঁচট খেয়েছি। জব্বার সাহেবের দৌড় বিরাট, উনি হয়ত ভবিষৎতে আরও "বিদূষক" যোগাড় করে আনবেন এই একই সুরে গান গাওয়ার জন্য।
নেট কমিউনিটি এখন অভ্রের পিছেই আছে, আশাকরি থাকবে, যদিও আমার ধারণা কাগু এখানেও কাউকে ধরতে চেষ্টা করবেন অভ্রকে "ছিলার" জন্য।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরোনো ঘটনা মনে পড়লো। আমাদের ছাত্রজীবনে এবং ছাত্রত্ব শেষ হবার পরেও একটা বিষয় খুব প্রায়ই দেখতাম, তা হলো সারাদিন আমাদের সাথে মিটিং মিছিল করে সন্ধ্যায় এরশাদের কোলে উঠে পড়া। এমনও হয়েছে মন্ত্রীত্বের শপথ নেয়াটা রেকর্ডিং করে এসে আমাদের সাথে মিটিং এ যোগ দিয়েছেন এবং ঠিক রাতের খবরের আগে আগে উঠে গেছেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
জিয়াউদ্দিন বাবলুর কথা বলছেন নাকি মুস্তাফিজ ভাই?
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাবলু, শেখ শহিদ দুজনই।
ছাত্রদলের আরেক প্রেসিডেন্ট ছিলো কী যেন নাম (জালাল সম্ভবত) ভুলে গেছি। রাত সাড়ে এগারো পর্যন্ত মিটিং করে ভোরের ফ্লাইটে অষ্ট্রেলিয়া।
...........................
Every Picture Tells a Story
ফোনেটিক বিষয়ে আরো দুটি পয়েন্ট।
গুগল অতিসম্প্রতি ফোনেটিক টাইপিং টেকনলজী তৈরী করেছে। তুষার সাহেবের ভাষ্যমতে গুগলও তাহলে বাংলা ভাষাকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করছে!
শাব্দিকের সাথে একটিভ স্পেলার বলে একটি টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ভুল টাইপ করলে তৎক্ষণাৎ সেটা সঠিক করার ব্যবস্থা থাকছে। সুতরাং এতে ভুল করার সম্ভাবনা বরং অনেকখানি কমে যাচ্ছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পুরানো ব্যথা দেখি সারে নাই তুষার সাহেবের...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আজ কাগু আরেক বেনিয়াকে সাথে নিয়ে বৈশাখি টিভি তে পক-পক করে গেলো। তারা পাইরেসি-কপিরাইট আইন ও বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্প নিয়ে দেখলাম খুবই চিন্তিত। আমাদের দেশে প্রচুর ভালো সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ার আছে, সেটা সকলেই জানি। কিন্তু যারা এটা নিয়ে ব্যাবসায় নেমেছে ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে তারা কী ভয়াবহ পরিমান ভাঁওতা যে মারে তা কল্পনারও বাইরে। আমাদের একাউন্টস -এর জন্য একটা দেশী স্বনামধান্য সফট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হলে তারা ৬মাস সময় চেয়ে প্রায় ১৫ মাস পর যে সফটওয়্যারটি তৈরি করে দিয়েছিলো তা দিয়ে ব্যালেন্সশিট করলে সব ঠিক থাকা সত্বেও পয়সার ফ্রিকশান গুলোর কারনে ডেবিট-ক্রেডিট মিলত না। ৩ লক্ষ টাকা গচ্চা দিয়ে অবশেষে আমরা একটা বিদেশি সফট কিনেছিলাম মাত্র ১লক্ষ টাকায়, যা গত ৪ বছর যাবৎ খুবই ভালো ভাবে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কী আমরাই (যারা এই বিষয়ক বেনিয়া) এই শিল্পের গুয়া মেরে সারা করছি না???
সেই দিন শেষ, 'কান নিয়ে গেছে চিলে' - বললেই লোকে এখন আর চিলের পিছে ছোটে না। তাই আজ অনুষ্ঠানে দর্শকের ফোন আর অন-লাইন প্রশ্ন ও মন্তব্য মিলে ৮-১০ টি বক্তব্যে কেবল যাত্রাবাড়ির এক দর্শক ছাড়া আর কাউকে দেখলামনা কাগু & তার বর্তমান কর্মকান্ডকে সাপোর্ট করতে।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনার এই আরেক 'বেনিয়ার' নাম হচ্ছে মাহবুব জামান। তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে ডাটাসফট। তার যথেষ্ট দেশপ্রেম আছে। আপনি সম্ভবত উনার সম্পর্কে না জেনেই মন্তব্যটা করেছেন।
পুরো অনুষ্ঠানে তিনি জব্বারের পক্ষে কোন কথা বলেছেন বলে আমি শুনলাম না।
কপিরাইট নিয়ে কথা বলা কি অপরাধ নাকি? তিনি বেসিসের প্রতিনিধি হলে তার সমিতির কথা বলবেন না?
মুস্তাফা জব্বার বা মাহবুব জামান এই দুজনের কাছেই প্রশ্ন ছিল যে কয়টা কম্পিউটার তাদের ফার্মে ব্যবহৃত হয় তাদের কয়টি সফটওয়্যার সত্যিকারের ভেন্ডরের কাছ থেকে কেনা। বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ড্রিস্ট্রিতে চাকরীর সুবাদে জেনেছি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইরেটেড সফটওয়্যার দিয়ে কাজ চলে সবখানে।
মুস্তাফা জব্বার গত বিশ বছরে বিজয় ডেভলপমেন্টে ব্যবহৃত মেশিনগুলো ওএস এবং ভিজুয়্যাল স্টুডিওর (অথবা ব্যবহৃত ডেভলপমেন্ট এনভায়নমেন্টের) লাইসেন্সের কপি দেখাতে পারবেন? মাহবুব জামানের কাছেও একই প্রশ্ন থাকল। অন্যকে চিনি খেতে মানা করার আগে নিজের চিনি খাবার অভ্যাসটা ঠিক করা ভালো নয় কি?
একই প্রশ্ন থাকল তুষারের কাছে। বাংলাদেশের প্রথম দিককার কম্পিউটার ব্যবহারকারী এটা বলুন যে আপনি কি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করেননি জীবনে? যে সাপ্তাহিকে তুষারের লেখা প্রকাশিত হয়েছে খোঁজ করলে দেখা যাবে তারাও পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করেই তুষারের আর্টিকেল প্রকাশ করেছে। তখন কোথায় যায় আপনাদের নীতি কথা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গুড পয়েন্টস...এই প্রশ্নগুলো কি কেউ জিজ্ঞেস করেছে?
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কে জিজ্ঞেস করবে?
দেখা যাবে, মুস্তাফা জব্বার সফটওয়্যার ডেভলপ করছেন পাইরেটেড ভিজ্যুয়াল স্টুডিও ব্যবহার করে। বিক্রী করছেন পাইরেটেড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের কাছে। তুষার পাইরেটেড মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখছেন। সাপ্তাহিক পাইরেটেড কোর্য়াক এক্সপ্রেসে লেখা কম্পোজ করছেন। বৈশাখী টিভি আবার পাইরেটেড অ্যাডোবি প্রিমিয়ার দিয়ে। নির্মাতা, ভোক্তা, বক্তা সবাই দেখা যাবে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করে আসছে।
নো ওয়ান্ডার, জব্বার বা তুষার সাহেবের পাইরেটেড শব্দটি এত প্রিয়। নিজেরা এগুলোই ব্যবহার করেন তো, আর কিছু চিনবেন কী করে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নো ওয়ান্ডার, প্রশ্নটা ছিল টিভির লাইভ আলোচনাতে কেউ জিজ্ঞেস করেছে কিনা? বাংলাদেশে কেউ কোন সফটওয়ার টুল পয়সা দিয়ে কিনবেন না, অথচ ফ্রি ওয়্যারকে পাইরেটেড বলবেন। লাইভ আলোচনাতে মুখের উপর এটা আসলে ভালো হোত।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- লাইভ আলোচনায় কেউ যদি এই প্রশ্নটা না-ও তুলে থাকেন, আমার অনুরোধ থাকবে মুর্শেদের এই লেখাটা প্রিন্ট মিডিয়ায় ছাপার ব্যবস্থা করা গেলে যেনো সাথে এই প্রশ্নটাও যায়। অন্তত আব্দুন নূর তুষারের জানা উচিত 'পাইরেসি' শব্দটা আসলে কী! তিনি যার হয়ে ওকালতি করতে নেমেছেন তিনি নিজে পাইরেসি মুক্ত কি না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লাইভ আলোচনায় কেউ কোন কাজের প্রশ্ন তোলেননি রে ভাই। লাইভ কলার-ই ছিল মাত্র দু'জন, তাও প্রথম জন খুব চমৎকার সময়মাফিক অভ্র-এর কথা তুলল। মনে হল সব শিখায়ে পড়ায়ে নিয়ে আসছে। জব্বার সাহেবের কপিরাইট কচকচানি শুনলাম শুধু।
ও! না, আরো শুনেছি, জব্বার সাহেবের মতে আমরা এখনো কিছুতেই অপারেটিং সিস্টেম বা এম এস ওয়ার্ড-এর মত সফটওয়্যার স্যুট ডেভলপের মত জ্ঞানী-গুণী হই নাই। আমাদের উচিত হবে না ওসব তৈরিতে হাত দেওয়া। শুধু আম্রিকান্দের মত উন্নত দেশের মানুষদের মাথা বেশি উন্নত-তো, তাই ওদের প্রোগ্রামাররাই ওগুলা তৈরি করবে! আমরা ছোট-খাট গেম-টেম তৈরি করতে চেষ্টা করতে পারি বরং।
আর হ্যাঁ, অভ্র-এর উচিত ফোনেটিক লে-আউটটা প্যাটেন্ট করিয়ে নেয়া (পারলে ওনার কাছ থেকেই আর কি)!
আরও বলেছেন যে অভ্র কিন্তু ওপেন-সোর্স না, এটা ফ্রী-ওয়্যার, যেগুলো দুদিন পরেই ব্যবহারকারীদেরকে লাইসেন্স কিনতে বলে, (এটা ওনার নতুন প্রাপ্ত জ্ঞান থেকে বলা আমি ধরেই নিচ্ছি)!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কাগু তো একজন ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। দুইদিন পর যে কাগু সরকারের কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিবে না তার কী নিশ্চয়তা? অতএব কাগুর যুক্তি মোতাবেক, আজকেই কাগুকে "দুইদিন পর ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারার সম্ভাবনা ধারণ করা"র অভিযোগে শাস্তি দেয়া হোক।
একইভাবে এই যুক্তির আওতায় কাগুকে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, চুরিসহ দুনিয়ার সব অপরাধের দায়েই শাস্তি দেয়া যায়।
..এম এস অফিস-এর* মত সফটওয়্যার স্যুট..
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এ প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক হলো কীভাবে আমাকে বোঝান। তবু উঠলো যখন বলি। পাইরেটেড টুল দিয়ে সফটওয়ার তৈরি করলেই তা পাইরেটেড হয় না। যিনি তৈরি করেন তার নৈতিক অবস্থানটা কেবল নড়ে যায়।
আপনি ঢাকায় কোন ফার্মে কাজ করেছেন জানি না। অনুপমের অফিস কোন ফার্মের সফটওয়ার কিনে ধরা খেয়েছে তাও জানি না। কথা হলো কাউকে তুচ্ছ করার আগে তাকে ভালোমত জানা দরকার। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলা ঠিক না।
ডাটাসফটের সাথে আমি যখন যুক্ত ছিলাম, ভিজু্য়্যাল স্টুডিও, ডেলফি দুটোই লিগ্যাল ভার্শন ছিলো (এগুলোর মূল সিডিই আমি দেখেছি)। উইন্ডোজগুলোর কথা জানি না।
কারো কাছে লাইসেন্সের কপি দেখতে চাওয়া আর বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাওয়া একই ব্যাপার।
নৈতিক অবস্থান টাই নড়বড়ে সেটাই বলতে চেয়েছি। পাইরেসি ঠেকাতে এসে নিজেরাই পাইরেসি করলে কীভাবে চলবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পাইরেটেড টুল দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করলে যে সেটা পাইরেটেড হয় না, সেটা বুঝতে বোধকরি সবাই বোঝে। কিন্তু যখন দিবারাত্রি পাইরেটেড বলে চিৎকার করছেন কেউ, তখন তাঁর নৈতিকতার প্রশ্নটাও অবান্তর নয়।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবাই বোঝে বলে মনে হয় না।
বৈশাখী টিভির প্রোগ্রামটা আমি দেখেছি। তাতে মাহবুব জামান বড়জোর মিনিট চারেক ধরে কথা বলেছেন। বাকী সময় জব্বার সাহেব তার গান গেয়েছেন। মাহবুব জামানকে তুচ্ছ জ্ঞান করার আগে তার সম্পর্কে জানা জরুরী- সেটাই আমি বলেছি।
অভ্রকে বাঁচাতে যদি আমাদের এই ডিফেন্স আর্গুমেন্ট দিতে হয় যে "বিজয় সম্ভবত পাইরেটেড কম্পাইলার দিয়ে তৈরি, না হলে লাইসেন্স দেখাও" তাহলে আমাদের খবর আছে।
সহমত।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
মুর্শেদ ভাই বললেন -
আমি বলতে চাছি, সারা দেশের মিডিয়া যখন বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছিলো আমরাই [সাপ্তাহিক] তখন অভ্র'র পাশে দাড়িয়েছি। প্রতিক্রিয়া আমরা ছেপেছি, প্রতিবাদও ছাপবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ কাগু আরেক বেনিয়াকে সাথে নিয়ে বৈশাখি টিভি তে পক-পক করে গেলো। তারা পাইরেসি-কপিরাইট আইন ও বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্প নিয়ে দেখলাম খুবই চিন্তিত। আমাদের দেশে প্রচুর ভালো সফটওয়্যার ইঙ্গিনিয়ার আছে, সেটা সকলেই জানি। কিন্তু যারা এটা নিয়ে ব্যাবসায় নেমেছে ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে তারা কী ভয়াবহ পরিমান ভাঁওতা যে মারে তা কল্পনারও বাইরে। আমাদের একাউন্টস -এর জন্য একটা দেশী স্বনামধান্য সফট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হলে তারা ৬মাস সময় চেয়ে প্রায় ১৫ মাস পর যে সফটওয়্যারটি তৈরি করে দিয়েছিলো তা দিয়ে ব্যালেন্সশিট করলে সব ঠিক থাকা সত্বেও পয়সার ফ্রিকশান গুলোর কারনে ডেবিট-ক্রেডিট মিলত না। ৩ লক্ষ টাকা গচ্চা দিয়ে অবশেষে আমরা একটা বিদেশি সফট কিনেছিলাম মাত্র ১লক্ষ টাকায়, যা গত ৪ বছর যাবৎ খুবই ভালো ভাবে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কী আমরাই (যারা এই বিষয়ক বেনিয়া) এই শিল্পের গুয়া মেরে সারা করছি না???
সেই দিন শেষ, 'কান নিয়ে গেছে চিলে' - বললেই লোকে এখন আর চিলের পিছে ছোটে না। তাই আজ অনুষ্ঠানে দর্শকের ফোন আর অন-লাইন প্রশ্ন ও মন্তব্য মিলে ৮-১০ টি বক্তব্যে কেবল যাত্রাবাড়ির এক দর্শক ছাড়া আর কাউকে দেখলামনা কাগু & তার বর্তমান কর্মকান্ডকে সাপোর্ট করতে।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
পাল্টাপাল্টি লেখার কোন শেষ হবে না। তারচে' ভাল হয় আইনি পথে আগালে।
শাব্দিকের পেপারের সারমর্মটা একটু ভিন্ন: শাব্দিক প্রতিটি বাংলা শব্দের বিপরীতে কতগুলো কীস্ট্রোক লাগল সেটা মেপেছে পেপারে। ফোনেটিকে লেখার সময় মাথার মধ্যে যে বাড়তি বাংলা->ল্যাটিন অনুবাদ কাজ করে, সেটি বিবেচনায় আনা হয়নি।
অট: সচলে ইউনিজয় স্ক্রিপটা দেখছি না। লাস্ট টাইম ছিল মনে হয়।
@ দ্রোহীদাঃ ৩৪ নাম্বার মতামতের সাথে সহমত।
@হিমুভাইঃ "সব বাতিল মালগুলি কাগুর লিজিয়নে নাম লেখাচ্ছে।"সহমত।
@মুর্শেদ ভাইঃ আপনার সফটওয়্যার বা কি বোর্ডটা কি পাওয়া যেতে পারে? ব্যবহার করে দেখতাম।
বলার কিছু নাই ভাই। নিজের পকেট খালি হলি সব হাইকাউ লাগায়। আর দেশের পকেট খালি হলে চুপ থাকে। এই একটা কারণে বাঙ্গালিদের উন্নতি হয় না, অন্তত দেশের মাটিতে তো নয়ই।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
এই যে বেশুমার ব্লগার ব্লগিং করছেন তাঁরা কেউই হয়তো বিজয় ব্যবহার করছেন না। আর যে ক'জন করছেন শতকরা হিসেবে তারা ধর্তব্যের বাইরে।
কাজেই মোস্তফা জব্বার হোক আর তুষার নূরানীই হোক দুজনেই মিথ্যাচার করেছেন।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এই আব্দুন নূর তুষার যে সেই আব্দুন নূর তুষার এটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়েছে।
১০ বছর আগের জ্ঞান দিয়ে এখনকার প্রযুক্তি মাপা যায়না। ওনার উচিত আরও পড়াশুনা করে নিজ বিবেচনায় সঠিক পথ বেছে নেয়া, কারো কথায় প্রভাবিত হয়ে নয়।
এ লেখাটাও সাপ্তাহিকে আসা উচিত।
সিয়াম,
কষ্ট পায়েন্না... আপনি হয়তো উনাকে বিতার্কিক হিসাবে চেনেন... কিন্তু আমি উনারে চিনি একেবারে ছোটবেলা থেকে। যেহেতু আমরা একই এলাকার মানুষ... এবং এক সময়ের সহকর্মী...
বিশ্বাস করেন... আজকে সঞ্জীবদারে খুব মিস করছি... আপনারা যারে চিনেন দলছুটের গায়ক হিসেবে। সঞ্জীবদা থাকলে একটা কাহিনী করা যাইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
চমৎকার পোস্ট, ধন্যবাদ।
মুর্শেদ, পোস্টের শুরুতে ব্যক্তিগত আক্রমণ সংক্রান্ত নোট, আর মন্তব্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টার জন্য আপনাকে আলাদা করে ধন্যবাদ আর ।
২/২ এর জন্য অপেক্ষা করছি।
আমার এখন আর ইচ্ছে করছে না ব্যক্তিগতভাবে তুষার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
তবু এই পোস্টের লিঙ্কটা আমি উনার ফেসবুকে দিয়ে দিলাম...
আশাকরি উনি নিজেকে গর্দভ প্রমানিত করবেন না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস, তারে অভ্রের লিংক দেন, আমার মনে হয় না আগে অভ্র ব্যবহার করেছেন, করলে মনোভাব অন্যরকম হইত।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার পোস্ট করা লিঙ্কটা ওনার ফেসবুকে কালকেও ছিল আজকে কিভাবে জানি গায়েব হয়ে গেসে...
তুষার সাহেব কী বুঝে এই লেখা লিখেছেন? আশ্চর্য তো।
মুর্শেদ
খুব ভালো হয় এই অনেক ভালো লেখাটা পত্রিকায় দেয়ার ব্যবস্থা করলে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
তুষার ভাই লেখাটা লিখে ভালই করেছেন। উনার জ্ঞানের পরিধিটা জানতে পারলাম।
একটা ব্যাপার আমার মাথায় খচখচ করছে। মুস্তাফা জব্বারের হয়ে যেসমস্ত ডেভলপার কাজ করেন তারা কখনই পাবলিকলী কথা বলেন না। আমরা জানিও না যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কারা এতে কাজ করেছে। পাপ্পানা ভাইয়েরটা মানুষ কীভাবে যেন জেনে ফেলেছে। কিন্তু এরা সবাই নীরব। এই নীরবতার কারণ কী?
আমার মনে হয় বিশাল কোন লিগাল ডকুমেন্ট সই করানো হয় এদেরকে দিয়ে। ম্যানহাটান প্রজেক্টের মত গোপন কোন প্রজেক্টের চুক্তি। এরা যে ডেভলপ করছে সেটা কাউকে জানাতে পারবে না। জানালে চৌদ্দ পুরুষ জেলের ঘানি টানবে। অবশ্যই এটা আমার স্পেক্যুলেশন। কিন্তু আর কী কারণ থাকতে পারে?
প্রশ্ন হচ্ছে এই আইনি চুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য? এধরণের চুক্তি কী আইনতঃ সিদ্ধ? নৈতিকতার বিচারে এই ধরণের চুক্তিই বা কতটা গ্রহণযোগ্য? মেধাসত্ত্ব ডেভলপমেন্টে চাকুরীদাতার চুক্তি কী ধরণের হতে পারে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কোন আইন বা গাইডলাইন আছে? সরকার কী এখন এব্যাপারে বিজয় সংস্থাটিকে কারণ দর্শাতে পারেন?
কারো এব্যাপারে কারো ধারণা থাকলে জানাতে পারেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুব সম্ভব বিজয়ের ২০০৪ ভার্সনের ডেভেলপার এবং বর্তমানে অভ্র টিমের সদস্য রিফাত নবী আমার সহকর্মী ছিল। কিন্তু বিজয় সংক্রান্ত ব্যাপারে কথা বলাতে কখনো তাকে আগ্রহী দেখিনি।
মোস্তফা জব্বার তো ইদানিং তার ডেভেলপারদের নাম প্রকাশ করেছেনই। সুতরাং ডেভেলপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বললেই তো হয়।
অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করে যে পাপ্পানাই একমাত্র বিজয়ের ডেভেলপার। কিন্তু তিনি ছিলেন তৃতীয় বা দ্বিতীয় ধাপের। উইন্ডোজে বিজয়ের প্রথম প্রোগ্রাম করেন কম্পিউটার ভিলেজের গোলাম ফারুক(লেখনি'র প্রবর্তক)। এরপর বিজয় ২০০০ এর সময় পাপ্পানা কাজ করেন। ২০০৪ এর দিকে হয়তো রিফাত নবী। এরপর আরো অনেকে কাজ করেছেন। যারা যারা কাজ করেছেন তার কোথায় কোথায় আছেন সেটি এবং তাদের মতামত বা সাক্ষাতকার নেয়া যেতে পারে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বিজয় লেআউটের পেছনে কারা কারা কাজ করেছেন? কী গবেষণা আছে এর পেছনে? এটাই সেরা ফিক্সড লেআউট কিনা? এটির কপিরাইট বা প্যাটেন্ট এটিকে প্রটেক্ট করে? কতোটা পরিধি পর্যন্ত বিজয় লেআউট অন্যদের হেনস্তা করতে পারবে এইসব প্রশ্নের উত্তর জানা।
প্যাটেন্ট করার শর্ত হচ্ছে, কোনো পণ্যকে সবার মাঝে অভ্যস্ত করিয়ে তারপর তাকে প্যাটেন্ট করা যাবেনা। কারণ তা মনোপলি ভিন্ন অন্য কিছু নয়। সুতরাং বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষেরই উচিৎ 'বিজয়' লেআউটের মনোপলি ভাঙ্গার জন্য এগিয়ে আসা।
তার সফটওয়্যার 'বিজয়' তিনি তার মর্জিমতো ফ্রি রাখবেন না বিক্রি করবেন করতে পারেন। কিন্তু লেআউটকে করতে পারেন না। আর আগেও বলেছি, লেআউটটি তার মেধাসত্ত্বের মধে্য যদি পড়ে সেক্ষেত্রে তিনি মূল্যায়ন আশা করতে পারেন কিনা? --- এই প্রশ্নটির উত্তর আবেগহীনভাবে জানতে হবে। এই প্রশ্নটিও এই বিতর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ধন্যবাদ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এধরনের চুক্তি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর । আমার কোম্পানির সাথে এরকম আমারো এই ধরনের চুক্তি আছে । এই চুক্তির কারনে আমি গত ৫ বছরের ব্লগিং লাইফে আমার কাজের ফিল্ড নিয়ে কিছু লিখতে পারি নাই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সেরকমটা আমারও। আমি আমার কাজের ভিতরের খবর বলতে পারবনা। কিন্তু তার মানে এই না যে, আমি আমার পজিশন কী বা কোন ধরণের কাজ করি সেটা জানানো যাবে না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
NDA
দ্বিতীয়াংশ লিখে শেষ করলাম। কালকে পোস্ট করব। অথবা করব না, সাপ্তাহিকে দিবো? নাকি সচলায়তনেই থাকবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অবশ্যই দুটোতেই। যত প্রচারণা বাড়ে গণমাধ্যমে ততই ভালো। লোকেরা পড়ুক, জানুক সব কিছু।
ভাষা উন্মুক্ত হবেই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমার তো এমন সব ইস্যুতেই মনে হয়- এইগুলা শুধু আমাদের চুলকাচুলকি-মন/মেজাজখারাপের মধ্যে না রেখে সবই ওইসব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুদের ধারেকাছেও আরো কোনোভাবে পৌঁছানো উচিত। একটা কিছু ফিডব্যাক বা ব্যাকল্যাশ তো ডিজার্ভ করে।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আব্দুন নূর তুষারকে কে তথ্যপ্রযুক্তির এক্সপার্ট বানালো? বেটা তুই ডাক্তার, ডাক্তারি কর।
এইবার 'প্রফেশনাল' বিতার্কিকরাও কাগুর পক্ষে মাঠে নামল দেখি! বিতর্ক করার সুবাদে তুষার ভাইএর সাথে কিঞ্চিত পরিচয় ছিল। স্টান্ট মেরে বিতর্ক জেতার কৌশল বিতর্কে বহুবার ব্যবহার করেছি কিন্তু তুষার ভাই লিখিত বক্তব্যের ক্ষেত্রেও এই কৌশল অবলম্বন করে নিজেই নিজের ধরা খাওয়ার পথ সুগম করবেন বুঝতে পারি নাই। আসলে অভ্রের বিরুদ্ধে এগুলো সুপরিকল্পিত ধারাবাহিক অপপ্রচারের অংশ। বিচ্ছিন্নভাবে আমরা সবাই প্রতিবাদ করছি,বিভিন্ন ব্লগে পোস্ট দিচ্ছি কিন্তু একটা সমন্বিত ও অফিশিয়াল ফ্রন্ট খুলে এসব অপপ্রচারের যোগ্য জবাব দিতে পারলে খুব ভাল হত। কারণ অনেকেই অভ্রের প্রতি সমর্থন ও সাহায্য ব্যক্ত করে মন্তব্য করছেন কিন্তু সবার উদ্যোগগুলো সমন্বয় না করতে পারলে এসব প্রতিশ্রতির সর্বোচ্চ সদব্যবহার করা সম্ভব নয়। (অভ্র টিমের মুখপাত্র কেউ আছেন কি ? আমি অন্য একটা ব্লগে অভ্রের সমর্থন প্রতি ব্যক্ত করে পোস্ট দেয়ার পর অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করে অভ্রকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু আমি যেহেতু অভ্র পরিবারের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না তাই সেসব প্রস্তাব যথাস্থানে পৌঁছে দিতে পারি নি।)
পথিক রহমান
কম্পিউটার জগতের মে, '১০ সংখ্যায় 'বিজয়-ইউনিবিজয় নিয়ে সাম্প্রতিক প্রাযুক্তিক বিতর্ক" শিরোনামে একটি লেখা এসেছে। লেখক: অনিমেষ চন্দ্র বাইন।
সেখানে মেহদীর একটি লেখা, মোস্তফা জব্বারের একটি সাক্ষাৎকার, আইন কী বলে শিরোনামে কপিরাইট ও প্যাটেন্টের আইনি বিষয় আলোচনা, কপিরাইট অফিসের বক্তব্য এবং বিসিসির সিনিয়র সিস্টেম এ্যানালিস্ট তারেক বরকতউল্লাহর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
মূল লেখায় লেখক শুধু দুটি অংশ লিখেছেন। ভূমিকা ও আইন কী বলে অংশটি।
'আইন কী বলে' অংশে তিনি বলছেন:
যাক, বাঁচা গেল। কমপিউটার জগতের আদালতে অভ্র পুরোপুরি দোষী হিসেবে চিহ্নিত। মামলার আসামীর শাস্তি হবে: অনূর্ধ চার বৎসর কিন্তু অন্যূন ছয় মাসের করাদণ্ড এবং অনূর্ধ চার লক্ষ টাকা কিন্তু অন্যূন এক লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
হাত গুটিয়ে বসলাম। দেখি মুর্শেদ কী বলেন!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমি একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল তৈরী করছি। কোন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের ইচ্ছে আছে। সেখানেই বলি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
চেষ্টা করুন প্রথম আলো কিংবা এ জাতীয় পত্রিকায় যাতে প্রকাশ করা যায়। সেটার ইফেক্ট বেশি। যদি যুগান্তর বা সমকাল পত্রিকায় ছাপাতে চান; তাহলে আমার কাছে পাঠালে আমি একটা চেষ্টা করে দেখতে পারি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনি এখানে আমার লেখার যে অংশটি পোস্ট করেছেন এটি সম্পূর্ন সাক্ষাতকারদাতাদের নিজস্ব বক্তব্য। তাছাড়া আমি পুরো লেখাটাতে তাদের সবার বক্তব্য সমানভাবে উল্লেখ করেছি যা তারা বলেছেন।
আমি অনিমেষের পুরো লেখা পড়তে আগ্রহী। কোন সহৃদয় ব্যক্তি একটা কপির ব্যবস্থা করলে খুবই উপকৃত হতাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যেখানে মাহবুব ভাইদের মতো যুক্তিবাদী মানুষেরা অভ্রের পাশে আছেন, সেখানে পাগলের প্রলাপ নিয়ে "তুষার" এর চাইতে বড় সেলিব্রেটিরাও আল্টিমেটলি কিছুই করতে পারবেনা! একটা কথা না বলে পারছিনা,সফটয়্যার শুধু ফ্রী হলেই হয়না, সাথে ইউজার ফেন্ডলীও হতে হয়! অভ্রের তো দুটোই আছে, আর বিজয়ের? বিজয়, কী নিয়ে বিজয়ের স্বপ্ন দেখে?
এইটাই মোদ্দা কথা। রাগোদ্দীপক ব্যাপারস্যাপার!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হাসি লাগছে -আপ্রতে বিজয় আর অভ্রের পার্থক্যের উপর আমার দেয়া যুক্তিগুলি অনেকেই তাদের লেখাতে ব্যবহার করছেন। তার পাল্টা যুক্তি আবার তুষারের লেখায় দেখতে পেলাম।
মিঃ তুষার খুব সম্ভবত আইটিকে তার উপস্থাপনা বা তর্কের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। সফটওয়্যার এ কোডিং কিভাবে হয়- ফন্ট কি জিনিস - চেহারা এক হলেই পাইরেটেড হয় কিনা (যেমন ওপেন অফিস বনাম এমএস অফিস)- কি-বোর্ড এর ক্ষেত্রে কপিরাইট কিভাবে প্রয়োগ করা হয় ইত্যাদি অনেক অনেক বিষয় রয়েছে। এগুলি সম্পর্কে জেনে মতামত দেয়া উচিত। আশা করি তুষার সামনে এরকম হাসির পাত্র হবেন না।
"তবে লে আউট এর মিল দেখে মনে হয় এখানে খানিকটা হলেও একই কোডিং থাকতেই হবে" - তুষারের এ উক্তিটা নিঃসন্দেহে অজ্ঞতার পরিচায়ক। সি++/ ভিবি/ প্যাসকেল/ আলাদা আলাদা প্রোগ্রামেও কি কোডিং এক থাকবে।
কিছুদিন আগে পত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত-মিতানূর এর ছেলে শেহজাদ নূরের কীর্তির কথা মনে পড়ে গেল। আমরা কি আর এক নূরের ঝলকানি দেখতে পাচ্ছি!!!
মিতানূরের সাথে আব্দুন নুরের লে-আউটে অনেক মিল আছে। আমার মনে হয় এই মিলের পেছনে একই কোডিং থাকার সম্ভাবনা আছে।
মিতা নূরের শ্বশুড়বাড়ি আর আব্দুন নূরের নিজের বাড়ি কিন্তু একই এলাকায়... এই মিলের পিছনেও কি একই কোডিং
_____________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই দুই 'নূর' নামের ক্ষেত্রে কে কার কপিরাইটে হস্তক্ষেপ করছেন সেটা জানা দরকার। জব্বার কাগু কী বলবেন এই ব্যাপারে?
পুনশ্চ: আসাদুজ্জামান নূর না আবার তেড়ে আসেন
টুইটার
একটা ফুটোস্কোপিক গীতিনাট্য লেখা যায় জব্বাঙ্গদা নামে।
...
বনপথে আবদুন নিদ্রিত
ব্যবসায় বাধা মনে করে জব্বাঙ্গদার সখী তাঁকে তাড়না করলে
আবদুন। অহো, কী দুঃসহ স্পর্ধা !
আবদুনে যে করে অশ্রদ্ধা
সে কোনখানে পাবে তার আশ্রয় !
জব্বাঙ্গদা। আবদুন ! তুমি আবদুন !
বালকবেশীদের দেখে সকৌতুক অবজ্ঞায়
আবদুন। হাহাহাহা হাহাহাহা, বালকের দল,
কপিরাইট অফিসে যাও চলে– নাই ভয়।
অহো, কী অদ্ভুত কৌতুক।
... প্রভৃতি।
কেমন হয়?
অনেকে দেখলাম আব্দুন নূর তুষারের অতীত, তার্কিক হিসেবে তিনি কেমন, মানুষ হিসেবে কেমন এই প্রসঙ্গগুলো তুলে এনেছেন। তাদের জন্য বলি, আব্দুন নূর তুষারের এই বিষয়গুলো একেবারেই অবান্তর। তিনি আব্দুন নূর তুষার না হয়ে অন্য কেউ হলেও এই যুক্তিগুলো এভাবেই থাকত। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, ব্যক্তি আক্রমণ না করে যুক্তির সীমারেখার মধ্যে থাকুন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ব্যক্তির নৈতিকতায় যখন অধঃপতন ঘটে, তখন ব্যক্তি তো আক্রান্ত হতেই পারে ! কেননা তুষার তার স্টার ইমেজটাকেই এখানে হীনভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন বা ব্যবহার করেছেন। স্টার ইমেজ কোন জন্মগত সম্পত্তি নয়, এটা মানুষ বা সমাজের দেয়া একটা পদবী বা সম্মান। এটা সামাজিক সম্পদ, পাবলিক এসেট। তা ব্যবহার করার আগে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা যারা ভুলে যায়, তাদের জন্য সমাজের দেয়া নিন্দা বা গালাগালিও অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের প্রাপ্য হয়ে যায়।
অতএব এগুলো এখন তুষারের প্রাপ্য। ইমেজের রসগোল্লা যদি রসিয়ে রসিয়ে গিলে পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারেন, তাহলে কিছু না জেনে না শুনে অনৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে ইমেজ নষ্ট করার দায়দায়িত্ব তাকে নিতেই হবে। পাবলিক যাকে ফুলের মালা দেয়, বালখিল্যতায় দুষ্ট হলে তাকে সেই পাবলিকই জুতার মালা দিতে পারে। কেননা তিনি আগে ফুলের মালা ঠিকই গ্রহণ করেছেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রেস্ট্রিক্ট ট্যাগ ঠিক হয়েছে তাই একটা গোপনীয় মন্তব্য করি:
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন আলমগীর ভাই। অনুগ্রহ করে সবাই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আলমগীর ভাই কী বললেন, কিছুই দেখতে পারলাম না। তার মানে ''হাচল''-রাও রেস্ট্রিকটেড মন্তব্য দেখতে পাবে না? নাকি খালি আমিই দেখতে পাচ্ছি না?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আমিও দেখতে পাচ্ছি না।
টুইটার
নতুন মন্তব্য করুন