ব্যক্তি আক্রমণ নিয়ে একটি নোট
ব্যক্তি আক্রমণ হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যেখান একটি বিষয়ে তর্কের সময় একজন ব্যক্তির ধর্ম, বর্ণ, কিংবা তার অন্যান্য অসর্ম্পকিত কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিকে খাটো করা কিংবা বিষয় থেকে সরে যাবার চেষ্টা করা হয়। এই রূপে বিষয়টিতে জিতে যাবার একটা প্রচেষ্টা থাকে।
আমার এই বিশ্লষণে আমি সচেতনভাবে এই ব্যক্তি আক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আব্দুন নূর তুষার সম্মানিত ব্যক্তিত্ব এবং কলামিস্ট। তার সাথে আমার শত্রুতা নেই এবং সেটা শুরুও করতে চাই না। কিন্তু এমন একটি বিষয়ে তিনি এহেন একটা আর্টিকেল লিখেছেন যে আমি তার যুক্তি গুলো খণ্ডাতে বাধ্য হচ্ছি।
প্রসঙ্গতঃ কিছু মন্তব্য চলে এসেছে এই বিষয়টিতে তার জ্ঞানের অসারতা লক্ষ্য করে। কিন্তু সেটা মোটেই তাকে মানুষ হিসেবে খাটো করবার জন্য নয়, কিংবা তাকে অপমান করে জিতে যাবার চেষ্টা করার জন্য নয়। আমার আলোচনার গণ্ডি শুধুমাত্র তার এই আর্টিকেলটাই। আশা করি তার্কিক আব্দুন নূর তুষার তর্কটাকে তর্ক হিসেবেই নিবেন। তবুও তিনি আহত হলে আমি শুরুতেই তার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিশ্লেষণ (দ্বিতীয়াংশ)
১৩।
আগে এ কার, পরে একার, দুবার চাপ, একবার চাপ এগুলো মৌলিক পার্থক্য না।
এটার মানদণ্ড নির্ধারণ করবে কে? বিশেষজ্ঞ তুষার সাহেব?
ইউনিকোড এবং সর্টিং পদ্ধতির একটা ধারণা দেই। তাহলে হয়ত আকার একার আগে পরে করার কারণ বুঝতে পারবেন। অন্ধ হলে সবকিছু চোখে পড়ে না।
বাংলা সর্ট অর্ডার এইরকম হওয়া উচিত যেন - ব্যঞ্জনবর্ণ অনুযায়ী শব্দগুলো আগে আসে। যদি দুটি শব্দের প্রথম ব্যঞ্জনবর্ণটি একই হয় তাহলে যুক্তাক্ষরের ক্ষেত্রে তুলনা করা হবে সঙ্গের ব্যঞ্জনবর্ণটিকে। তৃতীয় তুলনায় আসবে সঙ্গের স্বরবর্ণটি। এরপরে, শুধুমাত্র এরপরেই আসবে দ্বিতীয় অক্ষর তুলনার ব্যাপারটি।
প্রতিটি বাংলা যৌগিক বর্ণ তুলনার গ্রামারটি নিম্নাকারে উপস্থাপন করা যেতে পারে:
[ব্যাঞ্জনবর্ণ+ব্যাঞ্জনবর্ণ+...][স্বরবর্ণ]
ঠিক এইকারণেই, ঠিক এইভাবেই ইউনিকোডে অক্ষর গুলো সংরক্ষণ করা হয়। এতে করে স্বরবর্ণ অক্ষরের পূর্বে বসে সর্ট অর্ডার ভন্ডুল না করে।
সুতরাং ইউনিকোড অনুযায়ী: "ক্ষরা, কিরে, কাক, খাওয়া, কিসে" শব্দগুলো সর্ট হবে (আপাত তুলনায় ম্যানুয়ালী সর্ট করা):
কাক (কা এর আকার)
কিরে (কি এর হ্রস্ব-ই-কার)
কিসে (দন্ত স)
ক্ষরা (ক-হসন্ত-ষ)
খাওয়া (খ)
এখানে স্বীকার করছি যে, বাংলা সর্টিং নিয়ে আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। বিষয়টি জটিল। এমনকি এব্যাপারে একটি পেপারও প্রকাশিত হয়েছে আইত্রিপলীতে। যতদূর জানি অংকুর এ বিষয়ে কাজ করছিল।
মোদ্দকাথা, ইউনিকোড বাংলা সর্টিংয়ের সমস্যা বর্ণবিন্যাসের মাধ্যমে আংশিক ভাবে সমাধান করে। বাকীটুকু সমাধানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থা কাজ করছে। বিজয় কিন্তু সর্টিং নিয়ে আমার জানামতে কোন কাজ করেনি। সর্টিং এবং সার্চিং কম্পিউটারের এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিজয় দিয়ে ডাটাবেইজ জাতীয় অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করা যাবে না (বা গেলেও শ্রমসাধ্য হবে)।
তাই টেকান্ধ চোখে মনে হতে পারে যে স্বরবর্ণ আগে বা পরে বসে, এটা এমন বড় কী বিষয়? কিন্তু বিষয়টি ক্ষুদ্র হলেও এর পিছনে একটি অত্যন্ত শক্ত এবং গভীর বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। আর এটি অভ্রেরও আবিষ্কার নয়, ইউনিকোড কনসোর্শিয়াম এটি প্রণয়ন করেছে।
মৌলিক পার্থক্য বুঝতে হলে দেখতে হবে, জে চাপলে ক হয় কিনা? কিংবা জি চাপ দিয়ে দিয়েই যুক্তাক্ষর বানাতে হয় কিনা?
দুটি কিবোর্ডে আশিংক মিল থাকলেই তাদের মৌলিকভাবে একই কিবোর্ড দাবী করা যায় না। এবিষয়ে QWERTY কিবোর্ডের ভ্যারিয়েশন নিয়ে তৈরী কিবোর্ড প্যাটেন্টের ঘটনাটি স্মর্তব্য। বিস্তারিত পাবেন এই লিংকে।
তাছাড়া আপাত দৃষ্টিতে ৮ টি বোতামের পার্থক্য দেখা গেলেও “আগে এ কার, পরে একার, দুবার চাপ, একবার চাপ” এসব মৌলিক পার্থক্য ধরলে অভ্র এবং বিজয়ের পার্থক্য শুধুমাত্র ৮ টি বোতামেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো ব্যাপরটি মিলিয়ে পার্থক্য গুলো দুটো কিবোর্ডকে একেবার ভিন্ন ব্যবহার পদ্ধতিতে পরিণত করে। উপরন্তু অভ্যন্তরীণ টেকনোলজিও একেবারে ভিন্ন।
আবারও এই মন্তব্য এই বিষয়ে আপনার জ্ঞানের ঘাটতিই প্রমাণ করল!
১৪।
অভ্রে ভুল তাড়াতাড়ি সংশোধন করা যায় এটা অবশ্যই একটি সুবিধা। কিন্তু এটা তো লে আউটের সঙ্গে সম্পর্কিত না।
সঠিক। রায়হান ভুল প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন হয়ত। আপনার সাথে আমি একমত।
কিন্তু এটাসহ আরও অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি ফিচারই আসলে অভ্রকে জনপ্রিয় করেছে। বিজয় কিবোর্ডের সাথে আপাত মিল এর জনপ্রিয়তার কারণ নয়।
সফটওয়্যারের সাফল্য অনেকে বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তার মধ্যে কতগুলো মুখ্য উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সফটওয়্যার এমন একটি পণ্য যা ক্রমাগত বিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়। ইউজারদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত ঘষে মেজে উন্নততর করতে হয়। ছোটখাটো সমস্যা সারাতে হয়। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন তৈরী করে দিতে হয়। নন-ফ্রি সফটওয়্যার বিক্রির জন্য সঠিকভাবে বাজারজাত করতে হয়। সেটা ব্যবহারে ঝামেলা হলে পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। এত বিশাল একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসে সফটওয়্যারের সাফল্য।
শুধুমাত্র বিজয় লেআউটের সাথে অভ্রর একটি লেআউটের আপাত আংশিক মিল আছে বলেই অভ্র এতগুলো মানুষের হৃদয় জয় করেনি। এই কলেজ পড়ুয়া ছেলেগুলো মানুষের হৃদয় জয় করেছে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া সফটওয়্যারের কোয়ালিটি, সার্ভিস এবং তাদের মেধা দিয়ে।
১৫।
বিজয়ের ব্যবহারকারীরা অভ্যস্ত বলেই বিজয় তার ফন্ট সিলেকশন ও স্টার্টিংয়ের ব্যাপারটি একই রেখে দিয়েছে।
আমি আপনার সাথে একমত নই। ফন্ট হল আসকি ভিত্তিতে গড়া বিজয়ের টেকনোলজির অন্যতম একটি অংশ। ফন্ট বদলালে লেখা ভেঙে যাবে। তাই বিজয়ে ফন্ট পরিবর্তনের জটিলতা দূর হবে না।
কিন্তু অভ্র ইউনিকোড ভিত্তিতে গড়া বলে ফন্টের উপর লেখা নির্ভর করে না। যেকোন ইউনিকোড ফন্টে লেখা একই থাকবে।
ঠিক এই কারনে বিজয় দিয়ে লেখা ডকুমেন্ট আপনি অন্য কম্পিউটারে কিংবা অন্য প্রোগ্রামে খুলতে পারবেন না। বিজয়ের ফন্টগুলোও এক ভার্সন আরেক ভার্সনের সাথে মেলে না। যেমন বিজয় ২০০০ এর সাথে পাওয়া ফন্ট ব্যবহার করে লেখা ডকুমেন্ট পূর্ববর্তী বা পরবর্তী ভার্সনে পাওয়া ফন্টে ভিন্ন চেহারা নিতে পারে। ইউনিকোডে এই সমস্যা নেই।
১৬।
অভ্রের লিনাক্স ভার্সন আছে কারণ এটি ফ্রি। বিজয় যেহেতু ব্যবসায়িক পণ্য তাই এটার লিনাক্স ভার্সন না থাকাটাই স্বাভাবিক।
হা হা হা... অনেক দিন এরকম মজার কোন কথা শুনিনা!
লিনাক্সের জন্য সফটওয়্যার বানালেই সেটা ব্যবসায়িক পণ্য হবে না সেটা একদম ভুল। আজকাল একটা বাচ্চা ছেলেও মনে হয় এটা জানে। আমি যে সফটওয়্যার কোম্পানীতে চাকুরী করি তাদেরও একটা পণ্য আছে লিনাক্সের জন্য - ফ্রি তো নয় মোটেও। আজই আমি লিনাক্সের জন্য আমাদের প্রোডাক্টের একটা মডিউল বানাচ্ছিলাম।
লিনাক্সের জন্য ব্যবসায়িক পণ্যের উদাহরণ দেই কিছু। যেকোন ইঞ্জিনিয়ারিং সফটওয়্যার (ইউনিগ্রাফিক্স, প্রো-ই, অ্যানসিস) লিনাক্স ভার্সন বিক্রি হয়। তাছাড়া অ্যাডোবী কিছু প্রডাক্ট যেমন অ্যাডোবী রিডার, ফ্লেক্স বিল্ডার, বোরল্যান্ডের ডেভলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট ইত্যাদি প্রচুর প্রোডাক্ট লিনাক্সের জন্য হলেও পয়সা দিতে কিনতে হয়। এমনকি রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ এবং সুস লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমও কিন্তু বিক্রি হয়। আসলে উইন্ডোজের মত সুবিশাল সফটওয়্যার লাইব্রেরী না থাকলেও লিনাক্সের জন্য অনেকর কমার্শিয়াল ভেন্ডর আছে। একটা কষ্ট করে গুগল করলেই জানতে পারবেন।
বিজয় লিনাক্সের জন্য তৈরী করা হয়নি কারণ বাংলাদেশে লিনাক্সের বাজার ছোট। লিনাক্সের জন্য ডেভলপ করলে কোন মুনাফার সুযোগ নেই। বাঙালি পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহার করুক তাতে মুস্তাফা জব্বারের কী? তার তৈরি সফটওয়্যার কিনলেই হল। একেবার ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত।
এহেন ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি লিনাক্স ভার্সন বের করে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধের একটা সুযোগ তৈরী করতে পারতেন। তিনি তা করেননি। বৈশাখী টিভিতে বড় বড় কথা বলার সময় কিন্তু ঠিকই বলেছেন।
একটা প্রকাশনা সংস্থার কথা চিন্তা করুন। তারা বিজয় কিনেই ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু যেহেতু বিজয় লিনাক্সের জন্য পাওয়া যায় না তাই তারা বাধ্য হয়ে পাইরেটেড উইন্ডোজের সাথে বিজয় ব্যবহার করতে শুরু করে। ইটস অল অ্যাবাউট চয়েস, এবং বিজয় সেই চয়েসটা রাখে নি।
অভ্র কিন্তু ব্যবসার কথা চিন্তা করেনি। লিনাক্সে ডেভলপমেন্ট কিন্তু ছেলেমানুষী কথা না। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, প্রায় পাঁচগুণ বেশী কাজ করতে হয় ডেভলপ করতে গিয়ে। তবু এই সোনার ছেলেরা সেটা করেছে। কারণ তারা সফটওয়্যারের মুক্তি চায়, মুনাফা নয়।
১৭।
অভ্র বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় আর বিজয় টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এটা অবশ্যই পার্থক্য।
একমত।
যেমন সাপ্তাহিকে নেট ভার্সন ফ্রি কিন্তু আমি ছাপানো পত্রিকা টাকা দিয়ে কিনি। আমি কি এখন বলতে পারি যে ছাপানো সাপ্তাহিক বের করা যাবে না অথবা এটা ফ্রি করে দেয়া উচিত? প্রতিবেদক চাকরি না করে শুধু নেটে লেখালেখি করে ফ্রি সংবাদ দিলে মানুষের অনেক উপকার হতো এতে? কিন্তু একদিন তিনি নিজেই সাংবাদিকতা ছেড়ে দিতেন পেট চালাতে গিয়ে। এ কারণেই সফ্টওয়্যারও বিক্রি করতে হয় কাউকে কাউকে।
সফটওয়্যার পত্রিকা নয়। সফটওয়্যারের সাথে ম্যানুফ্যাকচার করা পণ্যের সরাসরি তুলনা চলে না। এই যে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ফ্রি জিমেইল ব্যবহার করছে, ফেইসবুক ব্যবহার করছে পয়সাটা কোথা থেকে আসছে? কিংবা ওপেন অফিস, গিম্প, উবুন্তু ওএস এইগুলো যে ফ্রি ব্যবহার করছে মানুষ সেগুলোর রেভিনিউ সোর্স কী?
আপনাকে উপদেশ দিব কিছু বই পড়াশোনা করতে। ক্যাথিড্রাল এন্ড দ্যা বাজার বইটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাছাড়া ওপেন সোর্স মডেলে কীভাবে আয় করা যায় সেটাও গুগল করে কিছু আর্টিকেল পড়ে দেখতে পারেন।
তাছাড়া বিজয়ের খরচ কতটুকু? বিশ বছরে নতুন কোন ডেভলপমেন্ট তো দেখি নাই। আমি একলাই (অরূপ কামালের প্রাথমিক সাহায্যের পর) অনলাইন কিবোর্ড ইনপুট সেস্টেম তৈরী করেছি একমাসে। অভ্র মেহেদী একলাই বানিয়েছে। একই ভাবে ন্যাচারাল বাংলা, হাসিন হায়দারের উদাহরণ দেয়া যায়। অর্থাৎ বিজয় বানাতে একজন প্রোগ্রামার অ্যাপয়েন্ট করলেই চলে।
তবু ধরি, দুজন প্রোগ্রামার আর দুজন টেস্টার দিয়ে বছর বছর বিজয় ডেভলপ করা হয়। এতে কেমন খরচ হতে পারে? আসুন একটা সহজ এবং রাফ হিসাব করি।
ধরি, দুজন প্রোগ্রামার বিশ হাজার করে এবং টেস্টার পনের হাজার করে বেতন নেন। আর মোস্তফা জব্বার নেন মাসে একলাখ। ধরি আরও গোটা পাঁচেক কর্মচারী আছে যাদের বেতন গড়ে ধরি দশ হাজার করে মাসে। বছরে তাহলে খরচ মাসে কর্মচারীর বেতন বাবদ ২লাখ বিশ হাজার করে খরচ ২৬ লাখ চার হাজার টাকা।
অফিস খরচা মাসে ২০ হাজার করে বছরে দুই লাখ চল্লিশ। মোট হল ২৮ লাখ ৮০ হাজার। ধরি মোট ৩০ লাখের মত খরচ।
গত বিশ বছরে তাহলে খরচ মোট ছয় কোটি টাকা। শুনেছি সফটওয়্যার পন্য ডেভলপমেন্টে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না। আরও আন্দাজ করছি তিনি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। তাই প্রতি ডেভলপারদের জন্য ১২ হাজার ডলার করে মাইক্রোসফট ভিজ্যুয়াল স্টুডিও কিনতে হয় না প্রতিবছর। তাছাড়া আমার ধারণা আমি একটু ওভার এস্টিমেট করেছি, খরচ অবশ্য এর অনেক কম কিংবা বেশী হলে মার্জিনালী বেশী হবে।
তাহলে শুধুমাত্র একটা সরকারী প্রজেক্টেই তার এই ছয় কোটি উঠে আসার কথা। বিশ বছরে কম পক্ষে তিনি চল্লিশটি এইরকম প্রজেক্টের বেশী পেয়েছেন আন্দাজ করছি।
এতকিছুর পরও মুস্তাফা জব্বারের বিরুদ্ধে প্রোগ্রামারকে পয়সা পরিশোধ না করার অভিযোগও পাওয়া যায়। এই ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন।
সুতরাং সরকারী (আসলে সেটাও জনগনের টাকা) কিছু প্রজেক্টে উনার সমস্ত খরচ উঠে আসে এসে আরও লাভ থাকার কথা। অর্থাৎ খাওয়া পরে টিকে থাকার যে যুক্তিটা দেয়া হয় সেটা খুবই ঠুনকো।
কিন্তু তারপরও মুস্তাফা জব্বার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিজয় ফ্রি করবেন না। ঠিক আছে। এটা অবশ্য আমি মেনে নিতে পারি। এটা উনার বিজনেস পলিসি হতেই পারে।
কিন্তু কারও সফটওয়্যারে বিজয়ের সাথে ন্যূনতম মিল থাকলেই কেন তিনি হা হা করে ছুটে আসবেন? কারণ আসলে কিছুই না - মনোপলি। একচেটিয়া বাজার ধরে রাখার চেষ্টা। নিজেও টেকনোলজিকে সামনে আগাবেন না কাউকে আগাতেও দেবেন না।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এটাও বলেছেন নতুন কোন টেকনলজি তিনি বের করেন নি কেননা তিনি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পাননি। পাইরেটেড সফটওয়্যার দিয়ে (আন্দাজ করছি) সফটওয়্যার বানাবেন তিনি, সরকার এবং জনগণের কাছে বিক্রি করে মুনাফা করবেন তিনি আর দাবি করবেন সরকার জনগনের টাকা দিয়ে তার গবেষণার পৃষ্ঠপোকতা করবেন! মামা বাড়ির আবদার নাকি?
১৮।
কেননা এরপর সেই ডকুমেন্টটি এডিট করতে হলে সেই লোকটাকেই লাগবে আপনার। আপনার প্রতিষ্ঠানের একেকটি কম্পিউটারে থাকবে একেক লে আউটের কী-বোর্ড। সাপ্তাহিক-এর কর্তৃপক্ষ নিজে এটি তার অফিসে করতে রাজি হবেন?
না লাগবে না! এটাই তো ইউনিকোডের মজা। ইনপুট মেথড এবং রেন্ডারিং এর সাথে টাইপিং এর কোন সর্ম্পক নেই। ইনফ্যাক্ট এটা প্রতিটা ব্লগে ব্লগে ঘটে থাকে প্রতিদিন। কে কোন কিবোর্ডে টাইপ করছে কেউ জানে না। কিন্তু শেষমেষ এন্ড প্রোডাক্ট সবার জন্যই একই। এখানটাতেই ইউনিকোডের জয়।
এখানে কিন্তু আবারও তুষারের অজ্ঞানতা বিকট ভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ল। একটু জেনেবুঝে কথা বলার জন্যে মুখটা খুলবেন দয়া করে।
১৯।
অটো কারেক্ট ফিচারের সমস্যাটিও কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য না। অটো কারেক্ট অফ করে দিলে বিজয়ের অক্ষর বা শব্দ পাল্টে যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
কথাটা অ্যাম্বিগিউয়াস। বিজয়ের (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের?) অটো কারেক্ট নাকি অভ্রের অটো কারেক্ট (একার, ইকার অবস্থান শুধরে নেয়া) ফীচারের কথা বলছেন সেটা বোধগম্য নয়।
যদি অভ্রের অটো কারেক্ট ফীচারের কথা বলে থাকেন তাহলে ১৩ নম্বর পয়েন্ট দেখুন। বিজয় দিয়ে মানুষ ভুল সর্ট অর্ডারে (একার, ইকার অক্ষরের আগে) টাইপ করে। অভ্র সেটাই ঠিক করে দেয়।
যদি বিজয়ের (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের?) অটো কারেক্ট ফীচারের কথা বলেন তাহলে বলতে হয় যে, বিজয়ে আসকি ব্যবহৃত হওয়ায় তা স্পেলচেকার বা গ্রামার চেকার ইংরেজী বর্ণের সমন্বয় এবং ভুল শব্দ মনে করে অটোকারেক্ট করতে চায়। কিন্তু ইউনিকোডে তা যেহেতু ইংরেজী বর্ণে থাকে না তাই মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অটোকারেক্টে ধরার প্রশ্নই আসেনা।
২০।
মোস্তফা জব্বারকে কাবুলিওয়ালার সঙ্গে তুলনা করাটা অন্যায়। একজন মানুষ ৩০ বছর একটি খাতে শ্রম দিলেন, দেশের কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের বার বার নেতৃত্ব দিলেন,
একমত। মুস্তাফা জব্বার তৎকালীন সময়ে একটি সফল সফটওয়্যার পণ্য তৈরী, বাজারজাত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাপ পূরণ করেছেন। তাকে এজন্য অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাই।
বাংলা ভাষাকে কম্পিউটারে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন। এর সঙ্গে সুদে ধার দেয়া কাবুলিওয়ালার মিল কোথায়? তার নিজের ধারণাপ্রসূত সফ্টওয়্যারটির স্বত্ব নিজের কাছে থাকবে না এটা কি দাবি করা উচিত? তার মানে বিল গেটস, স্টিভ জবস কিংবা ফেসবুকের জুকারবার্গ সবাই তো কাবুলিওয়ালা। ফেসবুকের ভেতরে বিজ্ঞাপনের টাকা তো তাহলে জুকারবার্গের উচিত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা।
একমত। ব্যবসা করাটা অবশ্যই অন্যায় কিছু নয়।
কিন্তু ব্যবসা করতে গিয়ে টেকনলজির পথ রোধ করা, যে কোন মূল্যে উঠতি প্রতিদ্বন্দ্বী সফটওয়্যারের পথ রোধ করা অন্যায় - মোনোপলি। এই মনোপলির চেষ্টা থেকে মাইক্রোসফটেরও মুক্তি মেলেনি। এই মাইক্রোসফট পিসির রেভোল্যুশনের জন্মদাতা। কিন্তু এখন ইউকে তে উইন্ডোজের সাথে অন্যান্য ব্রাউজার বাছাই করার সুযোগ দিতে হয় মাইক্রোসফট কে। বাজারের সেরা সফটওয়্যার বানায় বলেই কিন্তু ছাড় পায়নি মাইক্রোসফট। বরং সেকারণেই তাদের দায়বদ্ধতা বেড়ে গেছে। মুস্তাফা জব্বার কেন ব্যতিক্রম হবেন?
২১।
২০০৩ সালে ইউনিবিজয় তৈরি করেছেন যারা, তার অনেক আগে থেকেই মোস্তফা জব্বারের বিজয় লে আউট বাজারে ছিল। তাই মাত্র ৮টা কি অদল বদল করে ১০৫ টা কী-বোর্ডের একটি লে আউটের সঙ্গে কোনো মিল নেই বলাটা কতটুকু যৌক্তিক দাবি।
এ প্রসঙ্গ আগেও এসেছে। পয়েন্ট ৯ এবং ১৩ দেখুন।
২২।
একজন ব্যবসায়ী যদি মনে করেন কেউ তার স্বত্ব লঙ্ঘন করেছে তিনি তো তার প্রতিকার চাইতেই পারেন। এটা নিয়ে আইনসঙ্গত লড়াই না করে, পত্রপত্রিকা, নেট কিংবা ব্লগে মোস্তাফা জব্বারকে কাবুলিওয়ালা, লোভী, কার্টুন ক্যারেকটার কিংবা তাকে নিয়ে অসম্মানজনক ছড়া কবিতা লেখা প্রকৃতপক্ষে অভদ্রতা ছাড়া আর কিছু না।
একমত।
তবে সেটা করতে গিয়ে আরেকজনের কলমের ডিজাইন বা কনসেপ্ট চুরি করে নিজে সেই একই ধরনের কলম বাজারে ফ্রি ছেড়ে দিলে সেটা কি ঠিক হবে?
ভুল তুলনা। ১৭ নম্বর পয়েন্ট দেখুন।
অভ্র কিছু চুরি করেনি। একদম স্বতন্ত্র্য ভাবে নিজের মেধা দিয়ে, প্রোগ্রামিং করে প্রতিটি লাইন লিখেছে। শুধু মাত্র, এবং শুধু মাত্র কিবোর্ডের কয়েকটি অক্ষর মিলে গেলেই তাকে চোর বলাটা খুবই অনৈতিক। উপরন্তু চুরির সংজ্ঞানূযায়ী জব্বার সাহেবকে প্রমাণ করতে হবে যে অভ্র তার বিজয়ের সোর্স চুরি করেছে। আইন বলে কেউ যদি নিজস্ব মেধা দিয়ে কিছু একটা তৈরী করে যা অন্য কারো উৎপাদনের সাথে মিলেও যায় তাহলে সেটা চুরি না। অভ্র আর বিজয়ের সোর্স সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব।
আপনার মত বিজ্ঞ (!) ব্যক্তি অভ্রকে চোর বললে ইন্টারনেটে আস্ফালন করা দুষ্ট লোকের সাথে আপনার কী পার্থক্য থাকে তুষার সাহেব?
উপরন্তু জব্বার সাহেবে কে গালাগালির ব্যাপারটা সুকৌশলে অভ্র এর উপর চাপানোর প্রয়াসটাও অবশ্যই নিন্দনীয়। এমন কোন প্রমাণ নেই যে এতে অভ্র টিম জড়িত। অভ্র আইনী পথেই অগ্রসর হচ্ছে এবং যারা জব্বারের সাথে তাল মিলিয়ে অভ্রকে চোর বলছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী লড়াইয়ে যাবার কথা ভাবছে বলে শুনেছি।
২৩।
একটি দেশে জনপ্রিয় স্বদেশী সফ্টওয়্যার মাত্র একটি। তার নাম বিজয়। দেশে ভালো সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামাররা থাকতে চান না কারণ এই দেশের চাইতে বিদেশে তাদের কাজের দাম বেশি। এই দেশে সফ্টওয়্যার শিল্প দাঁড়ায়নি ভালোভাবে তার কারণ আমরা সবাই পাইরেটেড সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পছন্দ করি কারণ আসলের দাম অনেক বেশি। সবাই তাদের সব সফ্টওয়্যার জনপ্রিয় হয়ে গেলেই যদি ফ্রি করে দিতে বাধ্য হন সেটা কি এই শিল্পের অভ্যন্তরীণ বিকাশের জন্য সহায়ক হবে।
নিজেই স্বীকার করছেন পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। আবার নিজেই সেটার বিরুদ্ধে কথা বলছেন!!!! কিরকম হাস্যকর রকমের কন্ট্রাডিক্টরী!!!! তার্কিক মহাশয়ের মাথা ঠিক আছে তো? আর দেশে ডেভেলপ করা কয়টা সফটওয়্যারের নাম জানেন আপনি, সে ব্যাপারেও আপনার পাঠক জানলো।
২৪।
প্রতিবেদকের কম্পিউটার সংক্রান্ত জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই না। তবে তার উচিত ছিল এই ব্যবসাটি সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেয়া।
আমি আপনার কম্পিউটার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। কম্পিউটার নিয়ে কী কাজ করেছেন আপনি?
আমার কম্পিউটার বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন আন্দাজ করছি। ছোট্ট একটা বায়ো দিয়ে দেই। তবে, কবে কী করেছি সেটা ব্যবহার করে বাহবা না কুড়িয়ে আমি সবসময় আমার লেখা, মন্তব্য এবং কাজ দিয়ে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে আগ্রহী। এখানে নিজের বায়ো দিতে বাধ্য হলাম বলে আমাকে ক্ষমা করবেন পাঠক।
আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচলর করেছি। মার্স্টাসে মেজর ছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইনর কম্পিউটার সায়েন্স। আমার আন্ডারগ্রাজুয়েট গবেষণা ছিল কম্পিউটার এইডেড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এবং মাস্টার্সে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বিষয়ে। এ পর্যন্ত আমার তিনটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাচেলর শেষের পর অল্প কিছুদিন আমি একটি সফটওয়্যার কোম্পানীতে চাকুরীরত ছিলাম। বর্তমানে আমি একটি কম্পিউটার এইডেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীতে সফটওয়্যার ডেভলপার পদে নিয়োজিত।
একাডেমিক/প্রফেশনাল অ্যাচিভমেন্ট ছাড়াও আমি এসিএম প্রোগ্রামিং কনটেস্টে প্রায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছি একসময়। বুয়েটের আইআইসিটিতে ভিজ্যুয়াল স্টুডিও পড়িয়েছি এক সেমিস্টার। নিজের প্রয়াসে বেশ কিছু প্রোগ্রাম বানিয়েছি একসময়, যেগুলোর বেশীরভাগ বাজারজাত করা হয়নি। তাছাড়া নিজে থেকে অফলাইন বাংলা পরিবর্তক এবং অরূপ কামালের ইনিশিয়েটিভে অনলাইন বাংলা লেখনী এবং পরিবর্তক বানিয়েছি ২০০৬/২০০৭ সময়কালে। সচলায়তন ওয়েবসাইটটাও অরূপ কামালের সাথে যৌথভাবে ডেভলপ করেছি।
২৫।
ভাষা উন্মুক্ত করার নামে সফটওয়্যার ফ্রি করে দিতে হবে এই দাবি করার আগে তাহলে দেশে সব কলম ফ্রি করে দেয়া উচিত। কারণ কলম দিয়েও তো আমরা লিখি। ওটার জন্য পয়সা নেয়াও তাহলে অন্যায়। ভাষা তাহলে বন্দি হয়ে গেল কলম বিক্রেতার কাছে?
বারবার একই কথা বলছেন কেন? পয়েন্ট বাড়ালেই যুক্তি বাড়ে না। কলম আর সফটওয়্যারও একই ধরণের বস্তু নয়। দেশে যদি আমি একটি বলপয়েন্ট পেনের কপিরাইট করে অন্য সব বলপয়েন্ট পেনের বিরুদ্ধে মনোপলি করা শুরু করি, আপনি মানবেন?
আশা করছি আদালতে দেশের কপিরাইট আইন অনুযায়ী বিজয় ও অভ্রের এই দ্বন্দ্ব মিটবে।
মিটবে আর কীভাবে? যা টের পাচ্ছি জড়িত সবাই হয়ত জব্বার সাহেবের পকেটে।
পত্রিকাতে যারা লিখবেন তারা যুক্তি দিয়ে লিখবেন এবং গালাগাল করে দামি নিউজপ্রিন্ট এবং ব্যান্ডউইথ খরচ করবেন না।
আমিও তাই আশা করি। সেইসাথে একটু জ্ঞানও দরকার। নাহলে আপনার আবর্জনা পড়ে আমাদের সময় নষ্ট করাই সার হবে।
উপসংহার
তুষারের প্রায় প্রতিটি পয়েন্টে আমার দ্বিমত থাকলেও একটা বিষয়ে আমি আশাবাদী। তুষার একজন তার্কিক। সুতরাং আমি আশা রাখি যুক্তির আলোকে তিনি তার ভুল গুলো শুধরে নিতে পারবেন।
একজন এস এম মাহবুব মুর্শেদের লেখায় যত অকাট্য যুক্তিই থাকুক না কেন একজন সাধারণ মানুষ মুখচেনা আব্দুন নূর তুষারের কথার মূল্যই বেশী দেবে। তাই তুষারের কাছে আমার করজোড়ে অনুরোধ নিজের ভুল গুলো শুধরে আপনার অবস্থানটাকে শুধরে নিন। তাহলেই বিজয়ের মনোপলির এই অপপ্রয়াস আমরা রুখতে পারব।
এটা তাই শুধু অভ্র বনাম বিজয় যুদ্ধ নয় এটা আমাদের ডিজিটাল বাংলা মুক্তির রূপরেখা। আসুন আমরা এক সাথে গলা মিলিয়ে বলি, "ভাষা হোক উন্মুক্ত"।
মন্তব্য
আশা করি আব্দুন নূর তুষার এটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
অসাধারণ! নিখুত এবং নিরপেক্ষভাবে যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। এখন অপর পক্ষের জবাবের অপেক্ষায় থাকলাম!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
১৬ তে, "বিজয় লিনাক্সের জন্য তৈরী করা কারণ বাংলাদেশে লিনাক্সের বাজার ছোট।" বাক্যটি কি ঠিক আছে? না থাকলে ঠিক করে দেবেন। মন্তব্য প্রকাশের দরকার নাই।
"বিজয় লিনাক্সের জন্য তৈরী করা হয়নি কারণ বাংলাদেশে লিনাক্সের বাজার ছোট।"
হবে
ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- তোমারে নিজের হাতে চা বানায়া খাওয়ামু আমি।
লেখাটা ছাপা হোক এটা চাই আমি। চাই এই জন্যে যে এই তথ্যগুলো সবারই জানা দরকার। বিশেষ করে যাঁরা অনলাইনের সাথে এতোটা সম্পর্কায়িত নন। তাঁদেরও জানা উচিত যে সব তথ্য পত্রিকার মাধ্যমে চোখের সামনে আসে নিয়ত, সেগুলোর খুবই যুক্তিসঙ্গত "দ্য আদার সাইড" বিদ্যমান।
আব্দুন নূর তুষারকে অনুরোধ করবো মিথ্যে অহংকারের জায়গা থেকে সরে এসে মুর্শেদের যুক্তিপূর্ণ উপস্থাপনা সাদরে গ্রহণ করতে। অজ্ঞানতা কোনো অন্যায় না, সবাই সব ব্যাপারে জ্ঞানীও হয় না। এই নির্মম সত্যটা নিশ্চই তুষারের মতো তুখোর তার্কিক বুঝতে পারবেন।
আর তার মতো সবার জানাশোনা একজন ব্যক্তিত্ব সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন, এটা আশা করা মনে হয় না খুব বেশি কিছু হয়ে যাবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আব্দুন নূর তুষার এই প্রবন্ধ লিখে কত পেলেন জানি না তব তার জ্ঞানের দীনতা ও চাটুকারিতার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে এটা আজীবন তাকে তাড়া করে ফিরবে। প্রথম প্রজন্মের ডিজিটাল রাজাকারদের লিস্টটা ধীরে ধীরে লম্বা হচ্ছে দেখি!
তুষার সাহেবের কাছে আমারও একই আহবান। আপনাদের মত করেই বলি: আসুন, সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করি। শুধু তর্কের খাতিরে তর্ক নয়, সত্যের পাশে সবাই দাঁড়াই, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করি।
আব্দুন নূর তুষার,
আপনি কি প্রতুলের একটা গান শুনেছেন? আপনার জন্য গানের দুটি লাইন লিখছি,
"ঘরদোর বেচো ইচ্ছে হলে, করব নাতো মানা
হাতের কলম জনম দুঃখী, তাকে বেচোনা"
আপনার মতো একটা লোক নিজের কলম বেচে দিলেন!!! কত মানুষের শ্রদ্ধা হারালেন ভেবে দেখেছেন!!! নাকি আপনিও কাগুর মতো বাণিজ্যে বিশ্বাসী!!! ধিক!!! আপনাকে ধিক্কার জানালাম!!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মুর্শেদ ভাই, কিছু মনে করবেন না, এটা তুষার সাহেবের দিকে ব্যক্তি আক্রমণ হবে কিনা জানি না, কিন্তু এই মহামূর্খকে যতদূর জানি, আপনার ভাল কথার যুক্তিতর্ক তার মাথায় ঢুকবে না, অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। কিন্তু আপনার এই অকাট্য যুক্তিগুলো আর সবার মাথায় ঢোকা উচিত, সেজন্যই লেখাটা অবশ্যই পত্রিকায় ছাপা হওয়া দরকার, যাতে আরো অনেক বেশি মানুষের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হয়। কেউ কি ব্যবস্থা করতে পারবেন?
আব্দুন নূর তুষার কে আহব্বান জানানো হউক যুক্তি খন্ডনের জন্য। এখানে বা অন্য কোথাও। উনার আসা আর না আসার মাঝেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
অপেক্ষায় থাকলাম।
...........................
Every Picture Tells a Story
অসাধারণ বিশ্লেষণ। এই লেখাটি প্রিন্ট মিডিয়াতে আনা জরুরী।
একমত
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপিএকমত
______________________________________
লীন
আব্দুন নূর তুষারের প্রতিবক্তব্য খুব জানতে ইচ্ছে করছে! তিনি এই যুক্তিগুলোর কোন জবাব না দিলে, ধরে নেব তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মিথ্যাচার করেছেন!
আরেকটি কথা, এই লিখাটির লিঙ্ক ওনার ই-মেইল & ফেইসবুকে পোস্ট করা হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কেউ কি কনফার্ম করবেন?
"দেশে যদি আমি একটি বলপয়েন্ট পেনের কপিরাইট করে অন্য সব বলপয়েন্ট পেনের বিরুদ্ধে মনোপলি করা শুরু করি, আপনি মানবেন?"
-চমৎকার বলেছেন। আমি ঠিক এ পয়েন্ট-টিই তাকে মনে করিয়ে দিতে চাইছিলাম। যাক আপনার লেখায় তা এসে গেছে।
আবদুন নূর তুষার এখন জরুরী কাজে বাইরে গেছেন।
ফিরে এসে মোক্ষম জবাব ঝাড়বেন। হু..
এই লেখাটা আরো অনেক কারণের সাথে এই কারণেও অসাধারণ যে মুর্শেদ ভাই কোন রকম মাথা গরম করেন নি। শ্লেষ বা বিদ্রুপাত্মক স্বর যতোটুকু ছিলো, তা একদমই না থাকলে তর্কই হতো না।
তুষার সাহেবের যুক্তিগুলো মোটামুটি কুযুক্তি পর্যায়ের। নিজের স্টার ইমেজকে ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে যা খুশি তাই বোঝানোর এই চেষ্টাটাই এতো বিরক্তিকর যে কটু কথা না বলে, ব্যক্তি আক্রমণ না করে কিছু লেখাটা প্রায় অসম্ভব।
আপনি সেই কঠিন কাজটিই করেছেন। অভিনন্দন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না, শুধু অনেকের সাথে আমার পুনরাবৃত্ত সংশয় ভাগ করে নিতে চাই। তুষার আসলে ঠিক কী কারণে "স্টার"? কিংবা কোন পদের স্টার? ব্রাউন ডোয়ার্ফ? আমি তাকে একজন দাম্ভিক ওভাররেটেড বিতার্কিক হিসেবে চিনি, যে সুদূর অতীতে টিভিতে একটা হাবিজাবি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতো। পরবর্তীতে হরলিক্সের একটা সাধারণ জ্ঞান অনুষ্ঠানে তাকে হাস্যকর কুইজমাস্টারিং করতে দেখেছি। টিভিতে চেহারা দেখালেই যদি স্টার হওয়া যায়, তাহলে শাহেদা ওবায়েদও স্টার।
তুষার শিক্ষাগত যোগ্যতায় চিকিৎসক বলে আইটি নিয়ে কিছু বলতে পারবে না, এ আমি মনে করি না। কিন্তু কোনো কিছু সম্পর্কে মুখ খুলতে হলে সেটা নিয়ে অল্পবিস্তর জানতে হয়, পড়াশোনা করতে হয়। আমি আজ হৃদরোগ নিয়ে পত্রিকায় গুরুগম্ভীর বাণী ছাড়লে সেটা যেমন হাস্যকর হবে, তুষারের এই আইটিবিশ্লেষণও তেমনি।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, মঞ্চবিতর্ক একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন চর্চা। সেখানে যুক্তির ভার আর ধারের সাথে বাচনিক ও শারীরিক উপস্থাপনা কৌশলের গুরুত্বও অনেক। সেই স্কিলের ভরসায় যদি কোনো কিছু সম্পর্কে ভালোমতো না জেনে খবরের কাগজ বা অনলাইন মাধ্যমে মুখ খুলতে যায় কেউ, বিরক্তি চেপে রাখা একটা খুব কঠিন কাজ হয়ে যায়। তুষারকে এই পোস্টের লিঙ্ক কেউ না কেউ তো দেবেই, কাজেই আমি ধরে নিচ্ছি সে আমার কথা পড়তে পারবে। ভাইডি, যেটা জানেন না, বোঝেন না, সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে যাবেন না।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে ঠিক জায়গায় ঠিক লোকজন কখনও থাকে না। এ কারণে মোস্তফা জব্বার হয় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আর তুষার হয় তার অ্যাপলজিস্ট। দুইদন পর মাজারের খাদেমরাও বোধহয় এসে আইটি নিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করবে।
বিতার্কিক হিসেবে তুষারের একজন ভক্ত ছিলাম আমি। কিন্তু এবারের মতো কুযুক্তি তুষারের কাছ থেকে কখনোই শুনিনি, শুনবো বলে আশাও করিনি।
তুষারের বক্তব্যগুলো পড়ে বারবার মনে হচ্ছে সুনীলের সেই কবিতার লাইন, 'যোগ্য হও যোগ্য হও'.......যে বিষয়ে তুমি বলছো সেই বিষয়ে বলার মতো যোগ্য হও।
আইনি লড়াইয়ে বিজয়ের যুক্তি টিকবে না। বিজয় জেতার কোন কারন নেই। কিন্তু আজকাল বিচারক নাকি যেদিকে বেশী উকিল হৈ চৈ করে সেইদিকে রায় দেয়। কারন মামলার মেরিট যাচাই করার মতো সময় এবং মেধা দুই জিনিসের অভাব আছে। হয়তো এমন একজন বিচারক দায়িত্ব পেলেন যিনি অভ্রও চেনেন না বিজয়ও জানেন না। কিন্তু মোস্তফা জব্বারের ছবি পত্রিকায় দেখেছেন, নামডাক শুনেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের জনক হিসেবে। শেখ হাসিনার পাশে ছবিটবিও দেখেছেন। অন্যদিকে মেহদী হলো চিকনা পাতলা অখ্যাত এক ছোকরা। সেক্ষেত্রে বিচারক বয়স্ক খ্যাতিমান মানুষটাকেই সম্মান দেবেন। মনে মনে হয়তো বলবেন, পোলাপানের বেয়াদবীটা আজকাল অসহ্য হয়ে গেছে। শিক্ষা দেয়া দরকার। শিক্ষা দিয়েই বসবেন হয়তো। সেটাই ভয়।
গতপর্বে একজনের কাছে শুনেছিলাম মোস্তফা জব্বার নাকি তুষারের দুলাভাই। শ্যালক হিসেবে দুলাভাইয়ের কর্মের সাফাই গাওয়া অপরাধ না। কিন্তু পত্রিকায় পাতায় সেই সাফাই দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করাটা নিঃসন্দেহে গুরুতর ব্যাপার। তুষারের জন্য মায়াই লাগছে। জব্বারের জন্য নিজেকে খেলো করে ফেলেছেন বেচারা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি সুইজারল্যান্ড বসে সব ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করি আমার রিসার্চ কাজে.
Hydrological modeling: SWAT
GIS: GRASS
Graphical work: GIMP
Reporting: Open Office org
এত ধনী দেশ হয়েও এরা টাকা বাচাতে ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আর আমার নিজের দেশে একটা সফটওয়্যারকে গলা টিপে মারার কত ফন্দি ফিকির
কি বলব, বলার কিছ নেই, তু-ষার সাহেবের ভুল ভাঙ্গবে কে?
আমি হিমু ভাই এর কথাটাই রিপিট করলাম
"সব বাতিল মাল গুলা এক হইতাসে"
সুমন
জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
ব্যক্তি আক্রমণ আমিও করতে চাইনা কিন্তু জনাবকে সামনে থেকে দেখেছি বলে ওনার এই বেফাঁস বাগাড়ম্বর বড়ই হাস্যকর লাগে...কোন যোগ্যতায় উনি অভ্র-বিজয় বিতর্কে রা করতে আসেন সেটাই আমার মাথায় ধরে না।
তুষার সাহেবের যুক্তিগুলো শুনে মনে হলো দুই পাতা আমপারা পড়েই ফতোয়াবাজি করে যাচ্ছে কোন এক গ্রামীন মৌলভী...তিতা হয়ে গেলাম।
ধরে নিচ্ছি আপনি লেনিন।
আমার অভিজ্ঞতায় বলে কন্ট্যাক্ট-এ মেইল করলে একটা অটোরিপ্লাই যায়। সেটা কি পেয়েছেন?
সেই মেইলে স্পষ্ট দুই/তিনটা লিংক দেয়া থাকে। সেই লিংকগুলো কি দেখেছিলেন? সেখানে আপনার উত্তর পাননি?
সেখানে যদি আপনার প্রশ্নের উত্তর থাকে, তাহলে তো আর জবাব পাওয়ার কথা নয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ইমেইল উত্তর দেয়া হয়েছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দু'খন্ড পড়ে অবাক হলাম। আশা করি আব্দুন নূর তুষার এখানে বা অন্য কোথাও যুক্তি খন্ডনের চেষ্টা করবে, যদি খন্ডন করা সম্ভব হয়, অথবা...। মাহবুব মুর্শেদের লেখাটার লিঙ্কটা কিছু জায়গায় পাঠালাম।
...অপেক্ষায় রইলাম।
১৯ নম্বর পয়েন্টে সম্ভবতঃ বিজয়ের অটোকারেক্ট ফীচার নিয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু লাইন আমার কাছে অ্যাম্বিগুয়াস মনে হয়েছে। আমি অভ্রের একার, ইকার অটো কারেকশনের কথা ভেবেছিলাম। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। লেখা শুধরে দিচ্ছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১৯।
কথাটা অ্যাম্বিগিউয়াস। বিজয়ের (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের?) অটো কারেক্ট নাকি অভ্রের অটো কারেক্ট (একার, ইকার অবস্থান শুধরে নেয়া) ফীচারের কথা বলছেন সেটা বোধগম্য নয়।
যদি অভ্রের অটো কারেক্ট ফীচারের কথা বলে থাকেন তাহলে ১৩ নম্বর পয়েন্ট দেখুন। বিজয় দিয়ে মানুষ ভুল সর্ট অর্ডারে (একার, ইকার অক্ষরের আগে) টাইপ করে। অভ্র সেটাই ঠিক করে দেয়।
যদি বিজয়ের (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের?) অটো কারেক্ট ফীচারের কথা বলেন তাহলে বলতে হয় যে, বিজয়ে আসকি ব্যবহৃত হওয়ায় তা স্পেলচেকার বা গ্রামার চেকার ইংরেজী বর্ণের সমন্বয় এবং ভুল শব্দ মনে করে অটোকারেক্ট করতে চায়। কিন্তু ইউনিকোডে তা যেহেতু ইংরেজী বর্ণে থাকে না তাই মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অটোকারেক্টে ধরার প্রশ্নই আসেনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আগে এ কার, পরে একার, দুবার চাপ, একবার চাপ এগুলো মৌলিক পার্থক্য না? ৮ টা কী এদিক সেদিক হলেও সেটা পার্থক্য না?
আচ্ছা, এরা কি পারমুটেশান-কম্বিনেশানের নাম শোনেন নাই জীবনেও? একটা কী-বোর্ডে তিনটামাত্র কী যদি থাকে তাতেই ছয় রকমের আলাদা আলাদা লেআউট হওয়া সম্ভব। তিনটার মধ্যে একটা স্থির রেখে বাকি দুটো অদল বদল করে হতে পারে দু'রকমের লেআউট। আর এতগুলো কী-এর মধ্যে ৮ টা বদলে কতরকমের কী-বোর্ড হতে পারে সেটা তো হাতে গুনেও বলা সম্ভব না।
কী-বোর্ডের কী তো আর স্টিকার না যে এক জায়গা থেকে উঠিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিলাম। এই পরিবর্তনের জন্যও প্রোগ্রাম করতে হয়েছে যেটা নিঃসন্দেহে জব্বার সাহেব করে দেন নি। এটা যদি চুরি হয় তাহলে যারা একই পাঠ্যপুস্তক পড়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে তারা সবাই আসলে চুরি করেই পাশ করে। কারণ সবার লেখার বিষয়বস্তু একই। মেধার হেরফেরের কারণে একজনের লেখা আরেকজনের থেকে আলাদা হয় শুধু। ওই পার্থক্যটা আসলে ধর্তব্য না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
তুষার সাহেবের ডিএনএতে একটা জায়গায় অদলবদল করে ক্লোন করে দেখা যেতে পারে ঐটা কী জিনিস দাঁড়ায়। আর আটটা জায়গায় করলে তো কথাই নাই।
আমি এই মন্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। সম্ভবত রেস্ট্রিক্টেড। আমার মন্তব্যের জবাবে কেউ কিছু একটা লিখেছেন। আমার পড়তে পারা দরকার বোধহয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কয়েকটি জায়গা আপত্তিকর বিবেচিত হতে পারে বলে এক শুভাকাঙ্ক্ষী জানালেন। জায়গাদুটি ঠিক করে দিলাম। ব্যক্তি আক্রমন আমার কাম্য ছিল না।
ধন্যবাদ শুভাকাঙ্ক্ষী।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুবি সুন্দর যুক্তি দিয়ে জিনিসগুলি আপনি তুলে ধরেছেন। হ্যাঁ অনেকেই হয়তো আপনার নয়, তুষার সাহেবের যুক্তি বেশি পছন্দ করবেন। কিন্তু যারা কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করেন তারা ঠিকই বুঝবেন কার যুক্তি সঠিক। আমি যে এই কমেন্টস টা বাংলায় দিলাম তাও অভ্র এর সৌজন্যে। বিজয় ব্যবহার করে নয়।
ঠিকাছে।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
১ম পর্বের চেয়ে বেশি ভালো লাগল । . কমেন্টগুলাও চমৎকার ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
যারা তুষারকে বড়ো বিতার্কিক, চিকিৎসক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের বলছি, এখানে তার সেইসব পরিচয় তো মুখ্য নয়। তিনি একটি বিষয়ের উপর দীর্ঘ অথচ কুযুক্তিপূর্ণ, ভুল পরিসংখ্যান, ভুল তথ্য দিয়ে লেখা প্রসব করেছেন; এর দায়ভার-ও তাকে নিতে হবে।
ব্যক্তিস্বার্থ, তোষামোদীর চূড়ান্ত উদাহরণ তার লেখাটি। যার প্রমাণ মিলে মাহবুব মুর্শেদের যুক্তিখণ্ডনে।
কেউ পারলে এই লেখাটি প্রিন্টমিডিয়াতে প্রকাশ করুন, অন্ততপক্ষে প্রতিবাদলিপি হিসেবে। লোকজন দেখুক "ছেলেভ্রিটি" হওয়াটাই মুখ্য যোগ্যতা নয়।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
মুর্শেদ ভাই দারুন লিখছেন লেখাটা প্রিন্টমিডিয়াতে প্রকাশ করা জরুরী।
আশা করি আমাদের জ্ঞানবান তুষার সাহেবের ভ্রম দূর হবে। আমাদের মিডিয়ার পরিচিত মুখদের কমন সমস্যা হলো, না পারলেও সবক্ষেত্রে নিজের পান্ডিত্য জাহির করা, কিন্তু এতে যে অনেক সময় তাদের হাড়ির খবর প্রকাশিত হয়ে পড়ে এটা বুঝে না। তুষার সাহেব আমার প্রাইমারিতে পড়ুয়া মামাতো ভাই যা জানে কম্পিঊটার বিষয়ে, ঊনিতো আমার ঐ ভাই এর ধারে কাছেও নেই।
বাস্তব সত্যটা জানলাম।
হ্যাটস অফ টু লেখক। অভ্রের জয় হোক।
[এটাও অভ্রে লেখা, ভাষা নিয়ে ব্যবসাকারীদের ষড়যন্ত্র দূর হোক, ভাষা সবার জন্য উন্মুক্ত হোক]
দুটো পর্বই খুবই ভালো হয়েছে, এই পর্বে একদম নৈর্বক্তিকভাবে যুক্তি খন্ডন। সবার সাথে সুর মিলিয়ে আমি বলব যে প্রিন্টমিডিয়াতে এই লেখাটা আসাটা খুবই জরুরী।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মুর্শেদকে অভিনন্দন, লেখা এবং এ্যাপ্রোচ দুটাই দারুণ!!
সিরিজ পইড়া বিশেষ আনন্দ পাইলাম। যারে কয় হাইসতে হাইসতে হেট বিষ! জাইনতাম মন চায় হেতনে এই জিনিস দেকি কি কইতে চায়।
দৃশা
দারুণ একটা সিরিজ। এটা পড়ার পর তুষার সাহেবের কি বক্তব্য তা জানতে পারলে ভালো হতো।
আমার পড়া সচলে সবচেয়ে নির্মোহ আর যৌক্তিক যুক্তিখন্ডন সিরিজ এটা।
এই লেখা পত্রিকায় আসুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রথম অংশ পড়ার পর কোনো মন্তব্য করিনি, সিরিজ শেষ হলে করবো ভেবে।
আমি আশা করবো আপনারা এই সিরিজটা কে প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের চেষ্টা করবেন। কারন এরকম মোক্ষম যুক্তি খন্ডনের পর আমাদের যুক্তিতর্কবাগিশ তুষার সাহেব আর কতগুলো ছ্যাবলামি মার্কা যুক্তি উপস্থাপন করেন, তা দেখতে খুবই ইচ্ছা হচ্ছে।
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
নতুন মন্তব্য করুন