প্রিয় সংসদ সদস্য,
আজকের দৈনিক মারফত জানতে পারলাম আপনারা ৪৪০ থেকে ৮৩০ শতাংশের শুল্ক ছাড়াই গাড়ি ক্রয় করতে পারবেন। এই গাড়ি আমদানী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আপনারা তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষের দেশের সংসদ সদস্যরা ল্যান্ড ক্রজার আর প্রাডো কেনার জন্য লাইন দিয়েছেন।
যে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ খেতে পায়না। জনগন বিদ্যুতের অভাবে ঘুমাতে পারে না। চিনির দাম যে দেশে বায়ান্ন টাকা কেজি। যে দেশে মানুষ ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের মানুষের তুলনায় সে দেশের একজন জন প্রতিনিধি হয়ে শুল্ক মুক্ত গাড়ি কিনতে আপনাদের লজ্জ্বা লাগেনা? তিন কোটি থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি পঞ্চাশ লাখ টাকায় কিনে যে শুল্ক জনগনের সেবায় না দিয়ে পকেটে ভরে রাখতে লজ্জ্বা লাগে না? প্রতিদিন জনগনের সামনে ৪০০০ সিসির এই বিশালকৃতির গাড়ি নিয়ে ঘোরার সময় একবারও মনটা কেঁপে উঠে না? মনে হয় না যে এদের মুখে ভাতের জোগান দেবার কথা বলেই ক্ষমতায় এসেছিলেন? একবারও মনে হয় না যে পৃথিবীর অনুসরনীয় দেশগুলোর সংসদ সদস্যরা শুল্ক প্রদানে আরও বেশী দায়বদ্ধ থাকেন?
এই দানবাকৃতির গাড়ির জন্য আরো তিনটি গাড়ির সম পরিমান তেল খরচ করার সময় একবারও মাথায় আসে না যে দেশের কোটি কোটি মানুষ বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট করছে? কিংবা মনে হয় না কাদের ভাগ্য পুড়িয়ে এই বায়ু দুষণ করছেন?
ধিক আপনাকের প্রিয় সংসদ সদস্য। শত ধিক। অনেক আশা করে আপনাকে নির্বাচিত করেছিলাম আমরা। আজ সদলবলে জনগনের মুখে মুতে দেবার জন্য আপনার জন্য রইল তীব্র ঘৃণা।
- আপনার নির্বাচনী এলাকার জনগন।
সুত্র: http://eprothomalo.com/contents/2010/2010_09_02/content_zoom/2010_09_02_1_1_b.jpg
মন্তব্য
এই একটা বিষয়ে বরাবর সব দল সংসদে একমত হয়ে যায় ! রাষ্ট্রের সব কাজে যদি উনারা এভাবে একমত হতেন !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
সংসদ সদস্য, মন্ত্রী আর সচিবদের পাবলিক যানবাহনে চড়াতে না পারলে বাংলাদেশে যানব্যবস্থার কোনো উন্নতি হবে না। এরা চক্কর মারে বিলাসবহুল গাড়িতে, তাই তাল পায় না।
"দুর্গম" জায়গার অজুহাত দিয়ে এরা চার হাজার সিসির ফোরহুইলড্রাইভ কেনে। আরে ব্যাটা দুর্গম জায়গা থাকবে ক্যান? রাস্তাঘাট ঠিক করতে পারস না?
বিবেক থাকলে তো সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ান যায় না ভাই। গাড়ি নিয়া ফুটানি না মারলে তো পাব্লিক ভাববো নেতার খুঁটির জোর কম, এরে ভোট দিয়া লাভ নাই। যদি কোন রকমে সংসদ হইয়াও যায়, এর কাছে ২-১টা আবদার তদ্বির নিয়ে গেলে কিছুই করতারবো না, নিজের'ই বেইল নাই, আমগোর উপকার করার আশা তো বাদই দিলাম। যার গাড়ি যত বড়, তার দাপট ততো বেশি।
বাঙ্গালী বড় বেশি আদেখলা। কাজ না করে সারাক্ষণ নানারকম আজাইরা আব্দারের ধান্দায় থাকে। মন্ত্রী সংসদদের অফিসের বাইরে তদ্বিরকারীদের যে লাইন থাকে, সেখানে কয়টা লোক এলাকার উন্নয়নের দাবি নিয়ে আসে, আর কয়জন ভাগ্নে-ভাইস্তার চাকরির আবদার বা এই জাতীয় ব্যক্তিগত আবদার নিয়ে আসে। সব যে ন্যায্য আব্দার তাও না, যার আছে, সে আরেকটু সের এর উপর সোয়া সের সুবিধা বাগাইতে আসে।
বাঙ্গালীর নিজের চেহারা আয়নায় দেখা উচিত, এইসব বেশরম, বিবেকহীন মনুষ্য চরিত্র গুলোই আমাদের সঠিক জনপ্রিতিনিধি। যতদিন না মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের উত্তরণ ঘটবে, ততদিন এরাই আমাদের প্রতিনিধি থেকে যাবে।
-শিশিরকণা-
লজ্জা থাকলে সংসদ সদস্য হওয়া কঠিন।
এই গাড়ি নাকি অনেকে বাইরে বেচে একটু লাভও করেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটু না, আমি নিজে দেখছি আমার এলাকার সাংসদ একটা বিএমডব্লিউ জিপ বিক্রি করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা লাভ করেছেন। গাড়ি বিক্রির পর তিনি নিজেই বলছেন, ইলেকশনে খরচের টাকাটা তুলে ফেললাম। অথচ তার একটা মার্সিডিস বেঞ্চ জিপ, একটা নিশান পেট্রোল, বিএমডব্লিউ'র জেড ৮৪ সবসময় তার গ্যারেজে থাকে।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
একমত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এসব দেখলে কষ্ট হয়।
রাজশাহীর মোট ছয় সাংসদের পাঁচজন শিল্পপতি,তাদের একাধিক পাজেরো,নিশান প্যাট্রল,অধুনা প্রাডো আমি নিজের চোখে দেখেছি, দেখি সেই পাঁচজন কী করে নইলে ব্লগ পোস্ট।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মাসকাওয়াথ ভাই,
বাদশা ভাই আর লিটন ভাই - এরা কি গাড়ি ব্যবহার করেন? নিছক কৌতুহল থেকে জিজ্ঞাসা করলাম। জানলে জানাবেন।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মেয়র হিসেবে লিটন গাড়ী পেয়েছেন। তবে বাদশা ভাইয়ের গাড়ী দরকার,উনি একজন সৎ মধ্যবিত্ত নেতা। বাকি পাঁচ বণিক,অধুনা সাংসদের বেশ কটা করে গাড়ী আছে। এইতো। এই পাঁচটা গাড়ী বরং রাজশাহীর পুলিশ বাহিনীকে উপহার দিলে,ভবিষ্যতে প্রত্যন্তের জঙ্গী ও অন্যান্য চরমপন্থী দমনে কাজে আসবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
ধিক্কার জানালাম। যদিও এতে উনাদের বাল ছেঁড়া যাবে না।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আশা করছি শুভাশীষের প্রজন্মের বাংলাদেশের সাংসদদের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইলে মানে সামনেবার এই প্রজন্মের ভোট পেতে চাইলে সাংসদরা প্রয়োজন না থাকলে এই প্রায় শুল্কমুক্ত মুফতের(আমজনতার রক্তজাতমুদ্রার বিনিময়ে ট্রয়ের ঘোড়াটা নেবেন না। রাজশাহীর বণিক সাংসদ তিনাধিক গাড়ী প্রাসাদ অলা পাঁচজনের দিকে নজর রাখছি, দেখি মহোদয়েরা কী করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
দেশের মন্ত্রীদের আমাদের সাধারনের জন্য প্রচলিত লোকাল বাস গুলোতে চড়তে হবে।
ভাই, এক কাজ করলে কেমন হয়? মন্ত্রীর যাবার পথে আমরা সব লাইন ধরে দাড়াই, হাতে থাকবে লাল গোলাপ। প্রতিটি গোলাপ একটা ছেঁড়া স্যান্ডেলের সাথে আটকানো থাকবে। তারপর মন্ত্রীর গাড়ীর দিকে আমরা লাল গোলাপ ছুড়ে দেবো। সাথে বোনাস হিসেবে ছেঁড়া চটি। মাদার... গুলা বেহায়া অমানুষ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কি এই চেতনা দিয়ে হয়েছিলো? লীগ তো খুব মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলে, বঙ্গবন্ধুর দোহাই দিয়ে কথা বলে।বঙ্গবন্ধু নিজে কি এইরকম চশমখোর ছিলেন? ছিলেন না। তিনি নিজের মানুষদের কথা ভাবতে গিয়ে নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলেন। কি সহজ-সরল একটা মানুষ, আর এই অমানুষগুলা কি একটুও মানুষের কথা ভাবতে পারেনা? হায় বঙ্গবন্ধু ! আপনি আপনার সোনার বাংলা গড়ার জন্য যাদের ভেবেছিলেন, তারা সব এখন ব্যাবসায়ী। নিজের আখের গোছানো ছাড়া আর কিছু এরা পারেনা।
বঙ্গবন্ধু, স্বর্গে থেকে এই দুর্দশা দেখে আপনি কি করে আছেন আমি জানিনা। হয়তো আপনি সারাদিনই কাঁদেন।
মোর্শেদ ভাই, পার্থক্যটা টের পেয়েছিলাম কুমিল্লার পাশে ত্রিপুরাতে গিয়ে, আমার এক বন্ধু'র নানা ছিল মন্ত্রী, তাঁর ছেলেরা এম পি, ওদের বাড়ি দেখে আতকে উঠেছিলাম। ৫০ বছরের রাজনীতি এবং ব্যবসা ওদের, পারিবারিক একটা গাড়ি ছিল সেটাও কম করে হলেও ১৫ বছরের পুরোনা, আমাদের ভাঙা ট্যাক্সিগুলার মতো। মজার ব্যপার হলো, ঐ মন্ত্রীবাড়িতে কোনো ইটের দালান ছিল না! ছিল বেড়ার ঘর।
গুরত্বপূর্ণ একটা বিষয় উত্থাপন করেছেন ।
কাজী মামুন
সাংসদ দের জন্য শুল্ক মুক্ত গাড়ী আমদানির বিপক্ষে কেউ যদি হাইকোর্টে একটা রিট করে দিত!
বাংলাদেশে গাড়ী কিনতে হলে সম্ভবত ট্যাক্স নাম্বার লাগে।
আমাদের অধিকাংশ সাংসদই যতদূর জানি ট্যাক্স দেবার ক্ষেত্রে তেমন দরাজদিলের নন, অনেকে নাকি এতই সাদাসিধা যে তাদের ট্যাক্স নম্বরই নেই। যে বছরে দশ হাজার টাকার ট্যাক্স দেয়না, সে পঞ্চাশ লাখ টাকার গাড়ী কেনে কিভাবে?
গাড়ীগুলো কি সাংসদের অর্থে না জনগণের অর্থে কেনা হচ্ছে সেটিও খুব স্পষ্ট হল না, তবে ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে মানে সম্ভবত জনগণের টাকায় কেনা না। সমস্যা নেই, কদিন পরেই ছেড়ে দিলে সূদে আসলে দাম উঠে আসবে।
ফরিদ
অস্ট্রেলিয়ায় কমকার বলে একটা সরকারি ট্যাক্সি সার্ভিস আছে। কোন সংসদ সদস্য সরকারী গাড়ী, তেল বা আনুষঙ্গিক খরচ পান না। কিন্তু সংসদে (ক্যানবেরাতে) এলে তারা সরকারি কাজে এই ট্যাক্সি সার্ভিসটা বিনেপয়সায় ব্যবহার করতে পারেন। সংসদকে শুধু বিলে স্বাক্ষর করতে হয়।
আমাদের উচিত এমন একটা ব্যবস্থা চালু করা। নিজ এলাকায় সংসদ নিজের মতন থাকবেন। ঢাকায় শুধু তার বাসা আর সংসদে যাতায়াতের জন্য সরকার তার ট্যাক্সি ভাড়াটা দিবে। আলাদা টাক্সি সার্ভিস চালুর দরকার নেই, বর্তমান কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করে নিলেই হলো। ব্যক্তিগত কাজে এর অপব্যবহার হলে ড্রাইভারের লগবুকে তার নাম থাকবে। যেহেতু, শতশত ট্যাক্সি চলে ঢাকায়, কোন সাংসদের পক্ষে একএকদিন একএক ড্রাইভার "ম্যানেজ" করা কঠিন হবে... তাছাড়া ট্যাক্সি মালিকেরা নাকি কড়ায়গন্ডায় হিসেব রাখে।
সংসদ-সদস্য পদটাকে "অলাভজনক" করা দরকার।
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
দুর্নীতির সুযোগ আরো বাড়বে। তখন গাড়িও কিনবে। আবার এই ট্যাক্সি সার্ভিস ফ্রি ব্যবহার করবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
না, বিবেকে বাধে না - সোজা উত্তর। এইসব খবর আজকাল গা সওয়া হয়ে গেছে। তবে প্রতিদিন যখন অফিস যেতে ২ ঘন্টা আর ফিরতে ২ ঘন্টা, মোট ৪ ঘন্টা (কখনো আরো বেশি) লাগে তখন মনে হয় এইগুলাকে টানা কয়েকদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করানো যাইতো!
ধিক্কার।
১. গণতন্ত্রের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর এই রীতিটির বিরুদ্ধে ধিক্কার
২. পরিবহনখাতের সম্পূর্ণ জাতীয়করণ হোক (অ.ট)
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
"পরিবহনখাতের সম্পূর্ণ জাতীয়করণ হোক (অ.ট)"
তাতে কী লাভ হবে? আপনি যদি আশা করেন জাতীয়ভাবে বিএমডব্লিউ চড়বেন, তবে বলব ধন্য আশা কুহকীনি।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
পরিবহনখাতের জাতীয়করণের সাথে বিএমডব্লিউ চড়ার কী সম্পর্ক?
পরিবহনখাত জাতীয়করণ করা হলে লস কী হবে, একটু বুঝিয়ে বলে যাবেন।
প্রথমতঃ পরিবহন খাত জাতীয়করণ করার প্রস্তাবনার অন্তর্নিহিত অর্থ ধরে নিয়েছি এর মাধ্যমে সকলের জন্য ভাল পরিবহনের বন্দোবস্ত, পরিচালন এবং সমানাধিকার নিশ্চিতকরণ।
আমার ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র বিশ্লেষণে বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্রের (সিভিল বুরোক্রেসি) পক্ষে এটা অসম্ভব। এধরণের হঠকারী প্রচেষ্টা আদমজী পাটকল অথবা চিনিকলগুলির পরিণতি বরণ করবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। রাষ্ট্রযন্ত্রের নিকট অতীত ও বর্তমান নিয়োগ নাটকের ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যৎ আশাও পরাভূত।
আর, বিএমডব্লিউ? সে অসহায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
বিবেক??!!! সেটা আবার কী জিনিষ ভায়া??
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আমার এক বান্ধবীর বাবা চট্টগ্রামের খুব পরিচিত রাজনৈতিক মুখ| গতবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগেই ওর মুখে শুনেছিলাম ওদের ঢাকার ফ্ল্যাটটা শিগগির'ই ভাড়া দিয়ে দেওয়ার প্ল্যান, কারণ জিতলেই তো পাওয়া যাবে ন্যাম ফ্ল্যাট!
জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দাঁড়ানোর আগেই নিজের সুযোগসুবিধার হিসেব কষার কাহিনি শুনতে অদ্ভুত লেগেছিলো!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নিজের দেখা উদাহরন দেই-
কিছুদিন আগে ডেনমার্ক গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম-
১. অর্থমন্ত্রী পাবলিক ট্রাম থেকে নেমে হেঁটে নিজের অফিসে ঢুকে গেলেন।
২. অন্য একজন মন্ত্রী বাইসাইকেল চড়ে আফিসে আসলেন। তিনি নিয়মিত বাইক চালান।
৩. রাজার ছোট ভাইকে দেখলাম কোথা থেকে যেনো হেঁটে এসে রাজপ্রাসাদে ঢুকে গেলেন। রাজপ্রাসাদের বাইরে ডিউটিরত কোনও প্রেনিডেন্সিয়াল গার্ড দর্শনার্থীদের ভীড় সরিয়ে তাকে ঢোকার জায়গা করে দিলো না।
আর আমাদের সাংসদদের হাগতে-মুততেও গাড়ি লাগে।
রাতঃস্মরণীয়
এই লেখাটা পোস্ট করে অফিস থেকে বেরিয়ে দেখি আমাদের সিইও আমার সাথেই পার্কিং লটে যাচ্ছেন। আমাকে হাই বলে গিয়ে বসলেন একটা সাদামাটা ১৯৯৫/১৯৯৬ হোন্ডা একর্ডে। যেখানে আমার নিজের গাড়ি ২০০৮ এর হোন্ডা একর্ড সেখানে সিইওকে দেখে আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে গেলাম। আরা আমাদের সংসদ সদস্যরা? ...
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ব্যাপার না।
এখনতো মাত্র শুল্কমুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারী কোষাগার থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
উনাদের বিবেক থাকলে না বিবেকে বাধবে?
খুব একটা অপ্রত্যাশিত না। ইন্টারেস্টিং যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আনার সুযোগ রহিত করেছিল।
অন্যান্য যে সকল সংস্থা কিংবা ব্যাক্তি শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানীর সুযোগ পেয়ে থাকেন (পাসবুকধারী ডিপ্লোমেট ছাড়া এধরণের সু্যোগ এখন আর আছে কিনা জানিনা) তারা তো শুল্ক পরিশোধ ব্যাতিত অন্য কোন ব্যাক্তি বা সংস্থাকে সেই গাড়ি বিক্রী করতে পারেনা (তা ছাড়া আরও শর্ত প্রযোজ্য)। সাংসদরাও তো সেই গাড়ি তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রী করতে পারার কথা না।
একমাত্র আদালতই সম্ভবত এই আইন প্রণেতাদের নিজেদের তৈরী শুল্কমুক্ত গাড়ির আইনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অন্ততপক্ষে আদালত এটা নিশ্চিত করতে পারে যে সাংসদের মেয়াদ পূর্ণ হলে এই গাড়ি সরকারি গাড়ির-পুলে দান করতে হবে।
এই যে ‘দামি গাড়ি স্টেটাস সিম্বল’ এটা বোধহয় আমাদের দেশের অনেক ‘ডিপ-রুটেড’ – সাংসদদের এলাকার আমজনতার কাছে, উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞাণীগুনী কিংবা ঢাকার ইংরজি মিডিয়ামে পড়া ম্যংগোপাব্লিক সবার কাছে, একসাথে। শুধু পাশ্চাত্য দেশ নয়, সিঙ্গাপুর কিংবা ফার ইস্টার্ন দেশ গুলি এথেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। যার ফলে আমাদের পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট এখনও মেগল্যাভ, স্কাই-ট্রেন ইত্যাদির রূপকথা কিংবা বাস্তবের কাছাকাছি চিন্তা ভাবনাতেই সীমাবদ্ধ।
(অট)ইদানিং আবার রাস্থায় মাঝে মাঝে দেখি ডিপ্লোম্যট, আদালতের লোকজ়ন, জলপাই লোকজন আরও নাম-না-জানা লোকজন সাইরেন ফাইরেন বাজিয়ে রাস্থা ক্লিয়ার চায়। জানি না এই সুবিধা কারা পাবে এ ব্যাপারে কোন আইন আছে কিনা?
সংবিধানের কোথায় যেন লেখা আছে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা। কেবল সাংসদরা শুল্কমুক্ত গাড়ি কিনতে পারবে, এমন যে কোনো বিধি সংবিধানবিরোধী হবার কথা।
সংসদে যেটা পাশ হবে সেটাই সংবিধান। এখন, সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করাটা তারা যদি যায়েজ করে নিতে পারে তাহলে জনগণের বাপের সাধ্য কি যে সেটা ঠেকাবে? তখন সেটাই তো সংবিধান!
'সকলের সমান অধিকার' - সেটা জনগণের জন্য প্রযোজ্য। সাংসদরা তো আর জনগণ নন।
পরস্পরবিরোধী আইন সংসদে থাকতে পারে কি না সেটা প্রথম প্রশ্ন। দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের আইন সংবিধানের মৌলচরিত্রকে নষ্ট করে কি না। আজকে চাইলে সাংসদরা আইন করে লাল জাঙ্গিয়া পরা বাধ্যতামূলক করতে পারে, কিন্তু এই ধরনের তুঘলকি আইন সংবিধানের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ কি না, তা পরখ করে দেখার এখতিয়ার উচ্চ আদালতের রয়েছে।
সকল নাগরিকের সমান অধিকার ব্যাপারটা আসলে কি ? কিসের অধিকার ? ধর আর্মিরা যে রেশন পায়, সেটাও কি সংবিধানবিরোধী ? অথবা ঢকা ভার্সিটির টিচারের ছেলে-মেয়েরা যে কোটাভিত্তিক সুবিধা পেয়ে থাকে ?
ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট।
রাষ্ট্র যদি সাংসদকে গাড়ি কিনে দেয়, তাহলে সেটা ঠিকাছে। কিন্তু সাংসদ নিজের খুশিমতো গাড়ি বিনাশুল্কে আমদানি করতে পারে না। আর্মিকে রেশন দেয়া হয়, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আর্মি যদি বলে আমি যেমন খুশি তেমন ব্র্যাণ্ডের আটা যেমন খুশি তেমন দেশ থেকে আমদানি করবো, আমার কাছ থেকে শুল্ক নেয়া যাবে না, সেটা ঠিক নাই।
সরকারী কর্মকর্তাদের তো কোয়ার্টার দেয়া হয়। বলা হয় না যে তুমি তোমার পছন্দমতো একটা বাড়ি দখল করে ফেলো, কোনো ভাড়া দেয়া লাগবে না।
ধর রাষ্ট্র যদি হিসাব করে বের করে যে সাংসদদের গাড়ি কিনে দিলে সেগুলার দাম, ট্যাক্স, মেইনটেনেন্স আর রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বছর বছর যে খরচ হত, সেটার তুলনায় এককালীন শুল্ক মউকুফ অনেক কম, তখন ?সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুল্ক মউকুফের একটা আপার লিমিট থাকতে হবে।(বাই দা ওয়ে, রাষ্ট্র কি সাংসদদের অফিশিয়ালি কোনও গাড়ি দেয় না ?)
আর সরকারী কোয়ার্টারের কথাই যখন আসল, তোর কি মনে হয়, এই বিপুল পরিমাণ সরকারী কর্মাকর্তাদের (সেটা আমলা, ভার্সিটর টিচার যেই হোক) আবাসস্থলের ব্যবস্থা যে রাষ্ট্র করে (মনে হয় একটা নামমাত্র ভাড়া দিতে হয়), সেটা কি ঠিক ?
পরিস্থিতি বিচারে আমার মনে হয় মোটা দাগে সবার জন্য সমান অধিকার ব্যাপারটা একটা ভ্রান্ত ধারণা।
গাড়ির মালিক তখন সরকার হতো। এখন হচ্ছে সাংসদ। সে একটা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন করছে, যার বিনিময়ে রাষ্ট্রকে শুল্ক দেয়ার দায় থেকে সে মুক্ত হচ্ছে, তা-ও নিজের তৈরি আইনে। আড়াই কোটি টাকা শুল্ক মাফ করে দেয়ার চেয়ে ৫ বছর ধরে মেইনটেইন করা সস্তাই পড়ে।
ব্যাপারটা অনেকটা এমন, ট্রাফিক সার্জেন্টকে সরকার মোটর সাইকেল কিনে না দিয়ে বলছে, তুই একটা কিনে নে, ডিউটি দিতে হবে না। সে একটা বিএমডব্লিউ কিনে আনলো নিজের সম্পত্তি হিসেবে, যেহেতু সে ট্রাফিক সার্জেন্ট। আমি যদি একটা বিএমডব্লিউ মোটর সাইকেল কিনতে চাই, আমাকে শুল্ক দিতে হবে। আমরা দুইজনই ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন করছি, কিন্তু একজন শুল্ক দিচ্ছে, আরেকজন দিচ্ছে না। তফাতটা বুঝলি?
রাষ্ট্র যেহেতু কর্মকর্তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে নীতিগতভাবে সম্মত, কোয়ার্টার ব্যবস্থায় আপত্তির তো কিছু নাই, কারণ সরকারী কর্তাদের বেতন কম। রাষ্ট্র বলছে, আমি আমার সরকারের কর্তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করবো, সেটাকে অফসেট করার জন্যে বেতন কম দেবো। কিন্তু রাষ্ট্র যদি বলতো, আমার কর্তারা সারা দেশ ঘুরে যে যার পছন্দ মতো বাড়ি বেছে নিয়ে বসে পড়বে, তাহলে সেটা ঠিক হতো না। সাংসদদের গাড়ি কেনার সময় শুল্কমুক্তি দেয়া সেই ধরনের তুঘলকি কাজ। আবার এই নিয়মটাও সাংসদরা নিজেরাই তৈরি করেছে। এর কোনো জনকল্যাণগত ভিত্তি নেই। সাংসদরা তাদের এলাকা পরিদর্শনে যাবে কী কাজে? এলাকায় তো সরকারের নির্বাহী আছে। একজন লেজিসলেটর তার এলাকায় চক্কর মারবে নিজের উদ্যোগে, সেখানে তার কোনো নির্বাহী ভূমিকা নাই। এই কথা জেনেই সে নির্বাচনে দাঁড়ায়। রাষ্ট্র কোন দুঃখে আইন প্রণেতাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, যা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত হবে, কেনার জন্যে শুল্ক ছাড় দিবে?
রাষ্ট্র একজন দরিদ্র পেনশনারের সঞ্চয়পত্রের ওপর কর বসাতে এতটুকু দ্বিধা করে না, আর আড়াই কোটি টাকা ঝড়াক করে মওকুফ করে দেয় পেটমোটা সাংসদদের জন্যে। এটা যদি নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের বিষমাচরণ না হয়, তাহলে এটা কী?
আপনার প্রশ্নটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে এর উপর আলোচনা হওয়া উচিত। আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু সমঅধিকারের ব্যাপারটা বোধহয় মৌলিক অধিকারের (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, ইত্যাদি)র মধ্যেই সীমাবদ্ধ। খুব সম্ভবত সমঅধিকারের ব্যাপারটাতেই সংবিধানে কোনো একটা ফাঁক আছে, যে কারণে শুল্কমুক্ত সুবিধা সব নাগরিকের অধিকার হচ্ছে না, হচ্ছে কেবল সাংসদদের।
সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে জানতে পারলে ভাল হত। খুব সম্ভবত উচ্চ আদালতের যে কোনো সাংঘর্ষিক বিলের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ার আছে। তবে সেটা বোধহয় সংসদকে কেবল সাজেশন দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, আল্টিমেট সিদ্ধান্তটা সংসদেরই।
শিক্ষা এখনো মৌলিক অধিকার হয় নাই। সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্র সবার জন্য শিক্ষার সংস্থান করতে 'অঙ্গীকারাবদ্ধ'; কিন্তু বাধ্য নয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে মাত্র কয়েক মাস আগে ভারত শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এরা সংসদে এসেছে আমাদের চামড়াটা ছিলে পুরো শরীরটাকে কেনটাকি ফ্রাইড চিকেন স্টাইলে ভেজে হাড্ডিসহ চুষে খাবার জন্য। বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, হামার, লেক্সাস, রোলস রয়েস সহ ১১ ধরনের বিলাস বহুল গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই তারা টয়োটার সবচেয়ে দামি এসইউভি ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্যে লাইন দিচ্ছে। সাড়ে চার হাজার সিসির এই অশ্লীল গাড়ি যখন রাজপথে চলবে তখন আমি হয়তো সিটিং বাসের লাইনে কিংবা লোকাল বাসের হ্যান্ডেলে!
বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। তিনি এর্শাদের শুল্কমুক্ত গাড়ির প্রথম ব্যাচের বেনিফিশিয়ারি খুলনার সাংসদ শেখ আবুল হোসেন। খুলনার স্থানীয় রাজনীতির দাপুটে কাশেম সাহেঁবের বড় ভাই। শাহ মোয়াজ্জেমের স্নেহধন্য কাশেম তার নিজ দলের কাজী আমিনকে ধরা খাইয়ে দেন নিজের ভাইকে স্বতন্ত্র দাঁড় করিয়ে দিয়ে।
অপ্রাসংগিক মন্তব্যের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
রাতঃস্মরণীয়
মতিহারির গেছোদাদাই ঠিক কথা কইসেন, " সকলেই সমান, কেউ কেউ বেশি সমান।"
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঢাকার পথঘাট গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত নেই আর। সামনে অবস্থা খারাপ বৈ ভালো হবে না। বাংলাদেশে এখন ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানাই বেআইনি ঘোষণা করা দরকার। তার বদলে সারাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবলিক বাস চালু করা দরকার। আর এই সংসদ সদস্যদেরকে ঘাড়ে ধরে ওইসব বাসে ওঠানো দরকার। তাতে আপত্তি থাকলে এনাদের জন্য ভিয়াইপি বাইকের ব্যবস্থা করা যায় যাতে তারা দুর্গম, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে গিয়ে জনগণের সেবায় প্রাণপাত করতে পারেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
শুধু কি তাই, আজকের খবর সাংসদদের বেতন-ভাতা করমুক্ত।
যতদিন পর্যন্ত রাজনীতিবিদদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই নির্লজ্জতা চলতেই থাকবে । আমাদের দেশের গাল ভরা "গণতন্ত্রতো" আদতে এক বিশাল ফানূস। গনতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র যেদিন শেষ হবে, জনগণের মনস্তত্ত্ব থেকে ব্যক্তিপূজার মানসিকতা দূর হবে, প্রকৃত গণমুখী বিকল্প শক্তি হবে, শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি হবে সেদিনই শুধু এই নির্লজ্জতার শেষ হবে । তার আগে পর্যন্ত আমাদের তথাকথিত "গণ প্রতিনিধি"রা দেশের সম্পদকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তিই মনে করবেন ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
যে দেশের জনগণ ঠিকমতো পেট পুরে ভাত খাইতে পায় না, সেই দেশের জনগণের এলাকার এমপি সাব চড়বেন কোটি টাকা দামের গাড়িতে। এইটাই আসলে অধিকার। এমপিদের অধিকার। এই অধিকার আদায়ের জন্য এরা সংসদে বিল পাস করায়। একবারও ভাবে না যাদের ভোটে সংসদে ঢুকার পাস পাইলো, তাদের কথা। শুয়োরের বাচ্চা রাজনীতিবিদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা.. শুধু গাড়ি নয়, তারা ঠিক করেছেন তাদের আয়ের উপর কোন ট্যাক্স দিবেন না।
ঠিক যখনি মনে হয় এর থেকে নিচে তো আর নামা সম্ভব না, ঠিক তখনি নির্লজ্জতার একটা নতুন স্কেল তৈরি হয়
ধিক!
আমার একটা লেখার লিঙ্ক দেই।
All animals are equal, but some are more equal than others
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
যানজট কমানোর লক্ষ্যে যেখানে জনগণকে ব্যক্তিগতখাতে গাড়ির মালিক হবার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে ( দেশিটিভিতে এমন ধরনের কিছু একটা শুনেছিলাম যেন) পাবলিক যানবহন ব্যবহারের দিকে যেতে বলা হচ্ছে, সেখানে সাংসদেরা নিজেদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানী করছেন কোন যুক্তিতে? পৃথকফল পাবার মত এমন কী মহাযজ্ঞ তারা দেশের উন্নতিতে যোগ করছেন???
'লজ্জা ঘৃণা ভয় তিন থাকতে নয়' প্রবাদটি বুঝি এমন সংসদ সদস্যদের জন্যই..সাথে মনুষ্যত্বটাও যোগ করে দেয়া যায় অনায়াসেই.......এরাম সাংসদদের প্রতি 'প্রিয়' শব্দটি যোগ করায় মুর্শেদ ভাইকে মাইনাসসসসসসসসস
কিছুই বলার নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিবেক থাকলে তো ভাই!
গাছের তো খাবেই, তলারও কুড়াবে আবার শেষবেলায় পাশের আর দশটা গাছ থেকেও ফল পেড়ে নিয়ে আসবে!! :(
সামান্য ফ্রি চাল ডালের লোভ সামলাতে পারেন না এনারা। প্রাডোর লোভ কীভাবে সামলাবে!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান হল অনেক অনেক ভাল পাবলিক বাস সার্ভিস, বাকি সব বন্ধ। বিশেষ করে বাচ্চা-কাচ্চাদেরকে বাড়ির আধা কিমির বেশি দূরত্বের স্কুলে দেয়া একদম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা (প্রতিটা স্কুলের শিক্ষার মান এমনিতেও একটা নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড মানা জরুরি)।
সকল সাংসদকে বাস পাসও না দিয়ে সাইকেল কিনতে বাধ্য করা উচিত। সাইকেল চালালে মেদও কমবে, এক্সারসাইজ হলে ব্রেইনও খুলবে, দেশের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে ভাল, আর পরিবেশ বাঁচবে, জ্যামের হাত থেকে মানুষও বাঁচবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"সকলের সমান অধিকার" কথাটা যে অর্থে ব্যবহার করতে চাইছেন ঠিক সেই অর্থে নয়। সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়ে বসতে পারে, কথা বলতে পারে। "সকলের সমান অধিকার" এর দোহাই দিয়ে প্রত্যেক বাংলাদেশী নিশ্চয় সেই অধিকারও পেয়ে যায় না।
সংসদ সদস্যরা কি ভিনগ্রহের প্রাণি যে কেবল তারাই সংসদে বসতে পারবে? আমি তো জানতাম নিজেদের মধ্যে কারা কারা সংসদে বসবে সেটা ঠিক করে জনগণ, ভোটের মাধ্যমে। বাংলাদেশে এখন ভোটাভুটি হয় না আর?
"সংসদ সদস্যরা সংসদে গিয়ে বসতে পারে, কথা বলতে পারে" - এই অধীকার তারা পায় কিসের বিনিময়ে? জনগনের সেবার করার বিনিময়ে না? সেই সেবার বিনিময়ে তারা কিজন্যে ট্যাক্স মওকুফ পান কিংবা বিশেষ সুবিধায় গাড়ি কেনার সুযোগ পান? পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশেই তো এমনটা হয় না! বাংলাদেশ কেন ব্যতিক্রম হবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
যাঁরা ভোগ করেন, তাঁদের কারুরই কিছু মনে থাকে না! আমরা সাধারণ মানুষ বিস্মিত হই কিন্তু চুপ করে থাকি!
নতুন মন্তব্য করুন