কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ: কী এবং কেন?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৯/২০১০ - ১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কর্ড ব্লাড কী?
শিশুর ভ্রূণ তৈরির পর মায়ের শরীর থেকে তার শরীরে একটি কর্ড বা রজ্জু দ্বারা পুষ্টি, অক্সিজেন এবং অন্যান্য জৈবিক উপাদান স্থানান্তরিত হয়। এর নাম আমবিলিকাল কর্ড। এই কর্ড হল শিশুর লাইফ লাইন।

auto

এই আমবিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে শিশুর জন্য অতি প্রয়োজনীয় আরেকটি উপাদান স্টেম সেলও পরিবাহিত হয়। স্টেম সেল অনেকটা একটা সাদা কাগজের মত - এতে এখনও কিছু লেখা হয়নি। এই কোষটি শিশুর বিভিন্ন অঙ্গের সাথে গিয়ে যুক্ত হয়ে ঠিক সেই অঙ্গের গল্পটা লিখে নেয়ে নিজের শরীরে এবং পরিণত হয় সেই অঙ্গে।

জন্মের পর পরই আমবিলিকাল কর্ড কেটে ফেলা হয় শিশুর নাড়ি থেকে। এই কর্ডের ভিতর যে রক্তটা থাকে তাকে কর্ড ব্লাড বলা হয়। এই কর্ড ব্লাডে মায়ের শরীর থেকে শিশুর জন্য তৈরী হওয়া স্টেম সেল গুলো থাকে। ঠিক এই কারণেই এই কর্ড ব্লাডের গুরুত্ব অপরিসীম।

রিজেনারেটিভ মেডিসিন চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি শাখা যেখানে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পুনরায় জন্মানোর মাধ্যমে রোগ সারানো হয়। এই ধরনের চিকিৎসকেরা এই বিশেষ স্টেম সেলের মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মতে স্টেম সেল ব্যবহার করে লিউকোমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার), টাইপ ১ ডায়াবেটিস (অল্প বয়সের ডায়াবেটিস), কার্ডিওভাস্কুলার রোগ সহ আরো অনেক রোগ সারানো যেতে পারে।

তবে এ বিষয়ে বর্তমান টেকনোলজি এখনও অনেকখানি অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই শিশুর জন্মাবস্থায় প্রাপ্ত স্টেম সেলগুলো সংরক্ষিত থাকলে অনেকখানি নিশ্চিতভাবে চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে।

কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ
কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ করতে হয়ে হয় ক্রায়োপ্রিজাভেশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ রক্তটাকে যতখানি সম্ভব ঠান্ডায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়। আমেরিকায় দুটো পদ্ধতি আছে সংরক্ষণের।

পাবলিক সংরক্ষণ - সরকার বিনামূল্যে সংরক্ষণ করবে আপনার শিশুর কর্ড ব্লাড। কিন্তু যে কারো প্রয়োজন হলে সেটা ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় আপনার শিশুর জন্য সেটা নাও পাওয়া যেতে পারে।

প্রাইভেট সংরক্ষণ - কিছু সংস্থা শুধুমাত্র আপনার শিশুর জন্যই কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ করে রাখবে। যখন আপনার শিশুর দরকার হবে তখন এই কর্ড ব্লাড ব্যবহার করতে পারবেন আপনি। কিন্তু এতে খরচ অনেক বেশি। বর্তমান বাজার হিসেবে এটার এককালীন খরচ ১৭০০ ডলার থেকে ২২০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তারপর সাধারণত প্রতিবছর ১২৫ ডলার করে খরচ পড়ে। বাংলাদেশী টাকায় বিশ বছরের খরচ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

আমার জানামতে বাংলাদেশে এরকম কোনো সংরক্ষণ পদ্ধতি নেই।

কর্ড ব্লাড সংরক্ষণে সুবিধা
ভবিষ্যতে সন্তানের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে কর্ড ব্লাড প্রাইভেটভাবে সংরক্ষণের খরচ অনেক সময় গ্রহণযোগ্য হতে পারে। বিশেষ করে যদি পরিবারে কারো লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, অন্যান্য ক্যান্সার, সিকল সেল ডিজিজ, থ্যালাসেমিয়া অথবা অন্যান্য রোগ যেটা ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে সারানো যেতে পারে, থাকে তাহলে কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ করা যুক্তিযুক্ত হতে পারে। (সূত্র)

কর্ড ব্লাড সংরক্ষণে অসুবিধা
প্রথম অসুবিধা হল খরচ। যদিও শিশুর জীবনের তুলনায় অর্থ কোনো বিষয় না, কিন্তু যেখানে এই জমাকৃত কর্ড ব্লাড আদৌ কোনো কাজে লাগবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই সেখানে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে কোনো লাভ আছে কি না সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।

আন্দাজ করা হয় হাজারে একজন থেকে দুই লাখে একজন শিশুর একজনের এই কর্ড ব্লাড প্রয়োজন হতে পারে। জমাকৃত রক্তে স্টেম সেলের পরিমানও এত কম যে সেটা দিয়ে কোনো রোগ পুরোপুরি সারানো সম্ভব নয়। অবশ্য অতিসম্প্রতি এই কোষগুলোকে বহুগুনিত করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে।

একটা সমস্যা হল, জেনেটিক রোগের ক্ষেত্রে নিজের কোষ থেকে নতুন কোষ তৈরী করলে তাতেও সেই জেনেটিক সমস্যাটি বিদ্যমান থাকবে। অর্থাৎ সমস্যাটি সমাধানের সুযোগ কমে যাবে। তাছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পরে এই স্টেম সেল আর কোনো কাজে নাও আসতে পারে।

উপরন্তু সংরক্ষিত ব্লাড সেল ছাড়াও রোগগুলো চিকিৎসার অন্যান্য পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে। অর্থাৎ কর্ড ব্লাড না সংরক্ষিত থাকলে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না এমনটা নয়।

সবকিছু মিলিয়ে প্রাইভেট ভাবে কর্ড ব্লাড সংরক্ষণের যৌক্তিকতা খুব জোরালো না। কিন্তু পাবলিক পদ্ধতিতে (সরকারিভাবে), সকলের প্রয়োজনের জন্য কর্ড ব্লাড সংরক্ষণ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

বাংলাদেশের শিশুদের জন্য
বাংলাদেশে এই বিষয়ে কতখানি সচেনতা তৈরী হয়েছে সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। যদিও বাংলাদেশের জন্য প্রাইভেট কর্ড ব্লাড সংরক্ষণটা একটা অপ্রয়োজনীয় ব্যাপার, তবু সরকারি ভাবে এই কর্ড ব্লাড সংরক্ষণের ব্যাপারে একটা পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। নিদেনপক্ষে এরকম একটা ব্যাংক বানাতে কতখানি খরচ হতে পারে এবং কবে নাগাদ এটা চালু করা প্রয়োজন সেটা নিয়েও আলোচনা চলা উচিৎ। সেইসাথে নতুন মা বাবাকে সচেতন করা দরকার এ ব্যাপারে।

জানি যে দেশে প্রতি কেজি চিনির মূল্য পঞ্চান্ন টাকা সে দেশে কর্ড ব্লাড সংরক্ষণের কথা বলাটা বিলাসিতার মত শোনায়। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এখন থেকেই প্রাথমিক পদক্ষেপটা নেয়া জরুরী। কেননা শিশুদের মধ্যেই বেঁচে থাকি আমরা, আমাদের প্রজন্ম।

শিশুরা সুস্থ থাকুক সবদেশে, সবসময়।


মন্তব্য

সংসপ্তক এর ছবি

বস্টন লিগাল এর একটা এপিসোড ছিলো এই বিষয় টার উপর, তখনি প্রথম জানতে পারি এই ব্যাপারে। আজকে ব্যাপারটা ভালো ভাবে বুঝলাম তাই ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

নাশতারান এর ছবি

সরকারিভাবে সংরক্ষণ করাটাই যৌক্তিক। কাজটা ঠিকভাবে করা গেলে আজ একজনের সন্তানের কর্ড ব্লাডে যদি অন্য কারুর উপকার হয় তবে কাল কোনো কারণে তার সন্তানের প্রয়োজনেও দরকারি কর্ড ব্লাডের সংস্থান থাকবে এমনটা আশা করা যায়। সংরক্ষণ খরচ অনেক বেশি আর এর কার্যকারিতা আপাতঅনিশ্চিত হলেও ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি বহুদূর এগুবে এটা আশা করা ভুল নয়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

একজনের স্টেম সেল অন্যের শরীরে কাজ করে না নিশ্চয়ই? কর্ড ব্লাড অন্যজন কি ভাবে ব্যবহার করে - এটা কি রক্তদানের মত ব্যাপার?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

স্টেম সেল এ মুর্হুতে ডোনেট করা সম্ভব না হলেও খুব শিঘ্রী সম্ভব হবে। এ কারণেই পাবলিক অপশনটা রয়েছে।

আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। আপনি আরও তথ্য পেলে আমাকে জানাতে পারেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কৌস্তুভ এর ছবি

ও। আমি এ বিষয়ে প্রায় কিছুই জানি না, আপনার কাছেই জানতে চাইছিলাম।

স্বাধীন এর ছবি

কর্ড ব্লাডের বিষয়টি আমিও জানি আমার ছেলে এখানে হওয়ার সময়। তবে কানাডায় সরকারি ভাবে সংরক্ষনের ব্যবস্থা মনে হয় নেই। সবই মনে হয় প্রাইভেট। তবে রাখা হয়নি। লেখাটা অনেকের কাজে আসবে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কানাডায় তো পাবলিক মেডিক্যাল অনেক ভালো! এটা পেলাম: http://www.acbb.ca/

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মতে পাবলিক সংরক্ষণ'টাই দরকার। সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য সঠিক ও সুন্দরভাবে দেশে-দেশে এই কাজটা করা গেলে আসলেই অনেক ভাল হতো...

"চৈত্রী"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এখনও আসলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন কতটা উপকারী হতে পারে বিষয়টা। তবে পোটেনশিয়াল অনেক।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ষ্টেম সেল এক জনেরটা অন্য জনের ক্ষেত্রে কাজে একেবারেই লাগেনা, কথাটা আমি যদ্দুর জানি ঠিক সত্যি না। চীনে এক ডাক্তার প্যারালাইজড রোগীদের স্পাইনাল কর্ড রিপেয়ারের জন্য অন্য সদ্যজাত মৃত শিশুর সেরেব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইড নিয়ে রোগীর সেরেব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইডে যোগ করে স্পাইনাল কর্ড এর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ অটো-রিপেয়ার করার মতো দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। এতে কোন কোন ক্ষেত্রে স্পাইনাল সার্জারীর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

সদ্যজাত শিশুর সেরেব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইডেও স্টেম সেল থাকে। আমি লিঙ্ক দিতে পারলে আমার কথার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়তো। দিতে পারছিনা। খুঁজে দিয়ে দেবো। তবে সমস্যা হলো পুরো প্রক্রিয়াটি মানবতাবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে ঐ ডাক্তারের বিরুদ্ধে বেশ ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। তিনি এখনও কাজ বা গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন কিনা কে জানে। এখন অবশ্য জানার চেষ্টা করবো। কর্ড ব্লাড এর বিষয়টা নিয়ে ঐ রকম ঝামেলা না হলেই হয়।

হরফ এর ছবি

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি সচলদের সাথে। আমার কন্যা ও পুত্রের জন্মের পর দুইবার-ই আমি হসপিটালকে আমার প্লাসেন্টা দান করি কর্ডব্লাড সংরক্ষণের জন্য (পাব্লিক ব্যাঙ্কে), হসপিটালে ভর্তি হওয়ার পর প্রায় ১১১৭ রকম ফর্ম ভরা আর উপদেশাবলির মধ্যে একমাত্র এটাই আমার মাথায় সামান্য রেজিস্টার করেছিল সেই অবস্থায়। প্রথমবার তা অ্যাকসেপটেড হয় তাতে পর্যাপ্ত পরিমান রক্তকণিকা থাকার দরুণ আর দ্বিতীয়বার রিজেক্টেড হয়, একটু মন খারাপ লেগেছিল, কিন্তু কি আর করা! একসময় নিয়মিত রক্তদান করতাম তাই প্লাসেন্টা দান করে বেশ ভাল লেগেছিল।

--------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আচ্ছা, আমার জানামতে প্ল্যাসেন্টার সাথে আম্বেলিকাল কর্ড সংযুক্ত থাকে। ভাল করে জানি না, সে জন্যেই জিজ্ঞেস করছি, প্ল্যাসেন্টা থেকেও কি কর্ড ব্লাডই সংগ্রহ করা হয়? সেখানেও কি স্টেম সেল থাকে?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

হরফ এর ছবি

ভাল প্রশ্ন। এককথায় উত্তর হল হ্যাঁ, তবে আমি ডিটেল্স বুঝিয়ে বলতে পারব না। আপনি বরং এই উইকি লিংকটা পড়ুন। http://en.wikipedia.org/wiki/Cord_blood
---------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় যাযাবর,
প্লাসেন্টা কে একটা বড়সড় প্লেটের মতো সাকারের মতো ধরে নিন। সেটা মায়ের শরীরের ইউটেরাসের সাথে লেগে থাকে। সেখান থেকে টিউবের মতো একটা নল বেরিয়ে সন্তানের শরীরে যুক্ত হয়। সাকার দিয়ে মায়ের শরীর থেকে রক্ত শোষিত হয়ে সন্তানের শরীরে যায় নলের মাধ্যমে এবং দূষিত রক্ত সেই নল দিয়েই বেরিয়ে মায়ের শরীরে যায়। দূষিত রক্ত মায়ের শরীরে বিশুদ্ধ হয় এবং আবারো একই ছকের পুনরাবৃত্তি। ঐ অবস্থায় যে আমরা বেঁচে ছিলাম তার পুরোটা কৃতিত্ব মায়ের। মা। আমাদের মা। আমার মা। আপনার মা। ভাবলেই মায়ের জন্য মায়া লাগে। অনেকদিন মায়ের সাথে দেখা হয়না। ভালো থাকবেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ।
আর আসলেই! আশা করি শীঘ্রই আপনার মায়ের সাথে আপনার আবার দেখা হবে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। শিশু জন্মের পর প্লাসেন্ট্রাটি মায়ের শরীর থেকে বের করে দিতে হয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

নতুন জিনিস জানলাম চলুক
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভবিষ্যত গতিপথ চিন্তা করলে যেভাবেই হোক সংরক্ষণ করাই ভালো। এক ধরনের ইন্স্যুরেন্স।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বায়োলজীকাল ইন্স্যুরেন্স নামে মার্কেট করে থাকে এরা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

এ বিষয়ে কোন ধারণাই ছিল না। কিছু জিনিস জানা হল।
একটা প্রশ্ন, সন্তানের স্টেম সেল যদি সন্তানের জন্যই ব্যবহার করা হয়, তবে সেক্ষেত্রে একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে না?

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পারে। জেনেটিক সমস্যা হলে তাই সমাধানের সম্ভাবনা কম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

কিছুই জানতাম না এ ব্যাপারে, কত কিছু জানার বাকি।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ তোমার লেখাটার জন্য। স্টেম সেল নিয়ে যে এত হৈ চৈ হয়, হচ্ছে, চারিদিকে, অথচ এটার বিষয়ে খুব ভাসা ভাসা ধারণা ছিলো আমার। তোমার লেখা পড়ে পরিষ্কার হলো ব্যপারটা। নিজের ব্যস্ত জীবন থেকে যেটুকু সময় বের করতে পারি সেটা সচলে এলেই মনে হয় সবচেয়ে ভালো ভাবে খরচ করলাম। কত অজানা জিনিস যে জানলাম এখানে এসে! সচলে অসম্ভব সব গুনী ও সেরা মানুষ গুলির সেরা লেখার সংস্পর্শে আসতে পেরেছি। কী দারুণ দারুন সব লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয় এখানে এলে। আমার কাছে এটাই সচলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

@ বুনোহাঁস তোমার সাথে আমিও একমত পোষণ করছি।

--------------------------------------------------------------------------------

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাবী।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কিছুই জানতাম না এই বিষয়ে। অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অদ্রোহ এর ছবি

একেবারেই আনকোরা একটা ব্যাপার জানলাম।বাংলাদেশে এই কনসেপ্ট এখনো বিশেষজ্ঞ পর্যায় ছাড়া আমজনতা জানে বলে মনে হয়না, এটার ইম্পলিমেন্টেশন এখনো সময়সাপেক্ষই মনে হয়।

---------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার সাথে একমত। তবে 'আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে' - ভেবে লেখা। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

কত অজানারে!

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরত্বপূর্ণ লেখা।
আমার কেন জানি মনে হয়, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যত দ্রুত সামনের দিকে যাচ্ছে, চিকিৎসা বিজ্ঞান এত দ্রুত যাচ্ছে না! গবেষণা'র সল্পতা একটা কারণ হতে পারে।
আপনার এই পোস্ট থেকে সম্পূর্ণ নতুন একতা বিষয় জানা গেল!
ভবিষ্যতের শিশুদের জীবন আরো সুস্থ-সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে উঠুক।

কাজী মামুন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এক কালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিতর্ক করতে গেলে সপ্তাহ খানেক আগে বিতর্কের বিষয়বস্তুটা জানা যেতো। তাতে লাভ যা হতো তা হচ্ছে ঐ সাত দিন ঢাকার লাইব্রেরীগুলো ঘেঁটে ওই বিষয়ে সম্ভাব্য যা কিছু বিস্তারিত জানা হতো। এভাবে জীবনে পড়া হবেনা এমন অনেক বিষয়ে পড়া হয়েছে, জানা হয়েছে। মুর্শেদ এখন অমন একটা কাজ করছেন, আবার সেটা সবার সাথে শেয়ারও করছেন। ব্লগিং-এর লাভটা হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে। জয়তু মুর্শেদ-মৌটুসী! সামনের দিনগুলোতে এমন আরো দরকারী অনেক জিনিষ জানতে পাবার সুবাস পাচ্ছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।