খবরটা চোখে পড়ল প্রথম আলোতে। এক আড়তে কলা পাকাতে ইথেফোন নামক একটা রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে দেয়া হয়। এতে করে দ্রুত কলা পেকে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে এদের ধরে।
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত কেন 'অভিযানে' যাবে? এটা পুলিশের কাজ না? ভ্রাম্যমান আদালতের কাজ আসলে কি এটাই? আড়তে আড়তে গিয়ে জরিমানা করা?
বিষয়টি প্রথমে আমার কাছে এলার্মিং মনে হলো। নিশ্চয়ই ভীষণ খারাপ একটা রাসায়নিক দ্রব্য এটা। কিন্তু ইথেফোন কী এই প্রশ্নটি মাথায় আসায় একটু গুগল করে দেখতে গিয়ে বরং উল্টো এটাকে 'তেমন খারাপ নয়' মনে হল আমার। উইকি এবং কয়েকটি ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন রসায়নের বিষাক্ততা সর্ম্পকে একটি নেটওয়ার্ক এক্সটোক্সনেটের এই রিপোর্টটি পেলাম। রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকায় আইনসিদ্ধভাবে এই যৌগটি ব্যবহৃত হয় আপেল, বার্লি, ব্ল্যাকবেরী, কফি, গম, তুলা, ইক্ষু ইত্যাদির উপর। টক্সিকোলজি রিপোর্টটা পড়েও আমার তেমন 'ভয়াবহ' কিছু মনে হল না।
আমি মানি যে, আমেরিকায় এটাকে ব্যবহার করা হলেই এটাকে বাংলাদেশে ব্যবহার যোগ্য বলা যাবে না। আমি এটাও জানি যে আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। সুতরাং এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তমূলক মন্তব্য আমার নেয়া সাজে না। কিন্তু যে "ভ্রাম্যমান আদালত" জরিমানা করলেন তারা কীসের ভিত্তিতে এটা করলেন সেটা আমার জানবার খুব আগ্রহ। কিংবা প্রথম আলোর রিপোর্টার কেন আরেকটু অনুসন্ধিৎসু রিপোর্ট করলেন না? পুরো বিষয়টি বের করতে আমার পাঁচ মিনিটের কম সময় লেগেছে। প্রথম আলোর রিপোর্টারের এটুকু সময় নেই? নাকি গরজ নেই?
খাদ্যে যে কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার নিয়ে আমার সবসময় আপত্তিই থাকবে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটির মধ্যে আমি রেগুলেটরি ফাঁক ফোঁকড় দেখতে পাচ্ছি। আর সেটাই আমার আপত্তির কারণ। কোন রাসায়নিক দ্রব্যটি ব্যবহার করা যাবে আর কোনটি যাবে না এটা যেমন প্রথম বৈজ্ঞানিকে পদ্ধতিতে নির্ধারণ করতে এবং জানাতে হবে, তেমনি সাংবাদিকদের আরেকটু অনুসন্ধিৎসু হয়ে রিপোর্টিং করতে হবে। নইলে আমরা যে আঁধারে আছি সে আঁধারেই থেকে যাবো।
মন্তব্য
শুধু কলার ক্ষেত্রেই নয়, বাংলাদেশে অনেক ফল পাকানোর জন্য রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। কাঠাল পাকাতে এক ধরণের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়, এবং যারা এই রাসায়নিক ব্যবহার করে তাদের অনেককে রাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে। অথচ এই রাসায়নিক দেশে ফলের উপরে প্রয়োগে নিষেধ আছে কিনা, এটা আমরা কেউই জানিনা।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
মুর্শেদের পর্যবেক্ষণের সাথে আমি একমত। বাংলাদেশে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের ব্যাপারে নিশ্চয়ই আইন আছে, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি মনিটর করার দায়িত্ব কার, আমরা পরিষ্কার জানি না। একটি কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই থাকবে, যারা যাবতীয় রাসায়নিক দ্রব্যের ওপর নজরদারি করবেন।
নিমতলীতে শতাধিক মানুষ মারা গেলেন রাসায়নিক সম্পর্কে একটি পরিবারের অজ্ঞতার জন্যে। একই ভাবে নির্বিকারে নানা রাসায়নিক চলে যাচ্ছে এর সম্যক ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষের কাছে। এটি কীভাবে ঘটতে পারে? ইথেফোন তো লোকে ঘরে বসে বানাচ্ছে না। এর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা শাস্তিযোগ্য হয়ে থাকলে এর উৎস ও বিতরণের চ্যানেল নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সরকারের কর্তৃপক্ষ কী করে?
কার্বাইড দিয়ে ফল পাকানোর ক্ষতিকর দিক কিছু আছে, কারণ কার্বাইড নিজে টক্সিক। ইথোফেন গ্যাস ব্যবহৃত হলে তেমন ক্ষতিকর কিছু দেখলাম না।
এই রাসায়নিক গুলি উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত হলেও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে রেগুলেশন কিছুটা ভিন্ন হবার কথা। আমাদের আড়তদাররা এই সব রাসায়নিকের সঠিক মাত্রা জানেন না। আবার এগুলি অপরিকক্ক ফলকেও পাকায়। এই জিনিসটা প্রতারনা। উন্নত দেশ গুলিতে এসবের জন্য সফিষ্টিকেটেড রিসার্চ হয়েছে এবং কেবল পরিপক্ক ফল পাকানোতেই ব্যবহৃত হয়।
প্রিয় ইফতেখার,
আপনার এই দুটি দাবী সপক্ষে যুক্তি আছে কী? হয়ত আপনার দাবী দুটি সত্য কিন্তু বিনা প্রমানে এ ধরনের ক্লেইম একটু ক্ষতিকর। আর পরিপক্ক ফল আবার পাকাবে কেন? পরিপক্ক আর পাকা একই শব্দ নয় কি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
@মুর্শেদ
আসলে maturity এবং ripening টার্ম দুটির মধ্য তাল্গোল পাকিয়ে গেছে। প্রাকৃতিক ভাবে ফল ধারন থেকে প্রাকৃতিক পাকা এই সময়টাকে ১-১০০% স্কেলে ধরুন। ১০০% mature হবার পরেই ফল পাকে। এক্ষেত্রে ৬০% mature হবার পরে এক্সটার্নালি ইথিলিন প্রয়োগ করলে অনেক ফলই পেকে যায় (ripening) যেমন- কলা। 'অপরিকক্ক ফলকেও পাকায়' বলতে আমি বুঝিয়েছি ৯০-৯৫% এর কম maturity এর আগেই ফলে ইথিলিন প্রয়োগ করা। বানিজ্যিকভাবে অনেক দেশেই পুর্ণ mature ফলের uniform ripening/ সুন্দর রঙ এর জন্য ইথিলিন প্রয়োগ করা হয়। এই বিষয়ে অনেক রিসার্চ পেপার আছে, হাতের কাছে চট করে [url=http://www.google.com/url?sa=t&source=web&cd=1&ved=0CBQQFjAA&url=http%3A...(BARMORE).pdf&rct=j&q=ETHYLENE%20PRERIPENING%20OF%20MANGOS%20PRIOR%20TO%20SHIPMENT&ei=sxKLTJWANtKqcbDf5cIE&usg=AFQjCNF5EaTszBksAOnAAW0xKUfpuwslIQ&sig2=bcVHiyK4v1YAOjkxZqHnpw&cad=rja]এটা [/url]পেলাম।
ফল পাকাতে কী ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে তার কোন সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে কি?
কাকস্য পরিবেদনা
কাজটা পুলিশের না, কারণ পুলিশের ক্ষেত্রঅনুযায়ী দক্ষতা নেই। কাজটা করবে সিটি কর্পোরেশনের ফুড ইন্সপেক্টর কিংবা বিএসটিআইএর পরিদর্শক। খাদ্যে কী রাসায়নিক দ্রব্য দেয়া যায় এবং তা কী পরিমাণে সেটা দু'জনেরই জানা থাকে (থাকার কথা)। এরা এককভাবে অভিযানে গেলে কারবারিদের হাতে লাঞ্ছিত হন, সেজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিএসটিআই, সব দপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।
কোন ক্যামিকেল বৈধ আর কোনটি বৈধ না, তা বিএসটিআই বলতে পারবে।
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই একটি সময়োচিত বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার জন্য। বাংলাদেশে যেখানে আরো অনেক মৌলিক বিষয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই এখানে তো সামান্য ইথোফেন মেশানো। আমাদের দেশে যে আইনটির মাধ্যমে খাদ্য দ্রব্যের গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ করার কথা তার নাম The pure food ordinance 1959। এই আইনে কোন খাবারকে ভেজাল বলা হবে তার ব্যাখ্যা দেয়া আছে। যেমন
৩.১.চ) এতে মেশানো হয় বা এটিকে অন্যের সাথে মেশানো হয় বা দ্রবীভূত করা হয় এমন পরিমাণে যে, ক্রেতা বা ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা এমন অনুপাতে এটিকে মেশানো হয় বা এর সাথে অন্য বস্তু মেশানো হয় যাতে বিশুদ্ধ, স্বাভাবিক, অবনতিহীন এবং সুষ্ঠু অবস্থায় এর যে খাদ্যমান বা পুষ্টিগুন তা কমিয়ে ফেলে; অথবা
ছ) এতে কোন বিষাক্ত অথবা ক্ষতিকারক উপাদান থাকে যার ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে পড়ে...ইত্যাদ।
এখন প্রশ্ন হলো কে নির্ধারণ করবে যে উপর্যুক্ত ব্যাপরগুলো ঘটেছে। তার বিধানও আছে আইনে। চার নং ধারায় Appointment of public analyst এর কথা বলা আছে। তবে কী কী যোগ্যতা থাকলে একজন ওই পদে নিয়োগ পেতে পারেন তা উল্লেখ করা নেই। বলা আছে যে তিনি খাদ্য দ্রব্য পরীক্ষা করবেন বা করাবেন। কীভাবে করবেন বা করাবেন তাও বলা নেই। আসলে এতো পুরনো আইন দিয়ে এই জটিল সময়কে মোকাবেলা করা দুষ্কর। এ বিষয়ে হাল নাগাদ আইন এবং তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা জরুরী বলে মনে হয়। তবে শুধু কটা টাকার লোভে অজ্ঞ লোকজন জনস্বাস্থ্য নিয়ে যে কী ছিনিমিনি এখানে খেলে তা ভাবলেও গা শিরশির করে ওঠে। আমাদের সব কিছু অর্থহীন হয়ে পড়বে যদি আমরা বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম খাবারের (অবশ্যই বিশুদ্ধ কারণ অবিশুদ্ধ খাবার বলে কোনো বিশেষণ থাকতে পারে না) নিশ্চয়তা না দিতে পারি। সরকার মনে হয় ব্যাপারটির গুরুত্ব এবং ব্যাপকতা নিয়ে মোটেই বিচলিত নন। কিন্তু এই নিয়ে কিছু একটা এখনই করতে হবে।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আইনের ধারাগুলো জানা ছিল না। জানা হলো। ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সম্ভবত ২০০৬ সালে ঘাটাইলের কলার হাটে গিয়ে আমার চক্ষু ছানাবড়া হয়েছিলো দুটি কারনে। প্রথমত- এত বড় কলার হাট আমি জীবনে দেখিনি যদিও সেটি নাকি আসলে আনারসের হাট হিসেবে বিখ্যাত। অন্তত ২০/২৫ টা ট্রাক ভর্তি কলা, আরো ট্রাকে কলা লোড হচ্ছে, অন্তত আধা কিলোমিটার রাস্তার ওপর শুধু কলা আর কলা। ছেলেপুলে পড়ে থাকা যে কলা টোকাচেছ তাতেও ব্যাগ ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।
আর দ্বিতীয়ত, দেদারছে ওষুধ বা কলা পাকানোর ক্যামিকেল ছিটানো হচ্ছে। লোড করা ট্রাকের ওপর চড়ে স্প্রে মেশিনে বিনা সংকোচে এবং প্রকাশ্যে ধুমধামের সাথে একাজ হচ্ছে। শুনলাম যে ট্রাক যতদূর যাবে সে ট্রাকে ঠিক সেই হিসেবে ক্যামিকেল ছিটানো হয়, যাতে সময় মত কলাতে পাকন ধরে। এ কেমিকেল কী তা আমি জানতাম না। তবে একটা বিষয় ঠিক কলা কাঁঠাল আম এসব ফল গাছেই পাকতে শুরু করলে বা পাকার কাছাকাছি চলে এলে ঘরের বাজার পর্যন্ত আসার সময় দেয়না, দূরে তো প্রশ্নই ওঠে না। পাকানোর জন্য বৈজ্ঞানিক কোন স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি না বের করলে ভোক্তা আর উৎপাদক দুয়েরই করুন দশা হবে ।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
বাজারকেন্দ্রিক এই যুগে একটা পদ্ধতি অবশ্যই দরকার হবে যাতে করে পচনশীল খাবারগুলো ভোক্তার কাছে ঠিকঠাক পৌছাতে পারে। কিন্তু কোন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য আর কোনটি নয় সেটা কেউ বলে দিচ্ছে না। কাজেই কনফিউজড আড়তদাররা হয়ত জানেনও না কী করা যাবে, বা কী করা যাবে না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটিতে পাঁচতারা। আশাকরি বিজ্ঞজন এখানে আলো ফেলবেন।
তবে এখানে একটা কথা বলতেই হয়, আমাদের দেশে আইনের মারপ্যাচ খুব ঘোলাটে, এর প্রয়োগও অনেক সময় বাড়াবাড়ি পর্যায়ের।
এক আইন করেছিল মাঝখানে ( আছে কি না জানি না এখনও, থাকারই কথা) যে গার্মেন্টের জন্যও 'কেমিক্যাল রেস্ট্রিকশনের' কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। এটা আসলে নীট গার্মেন্টের জন্য করা, ওখানে কাপড় ডাই করা হয়, সুতরাং রঙের ক্যামিকেল নিয়ে কাজকারবার আছে।
ওভেন গার্মেন্ট মুলত দর্জি ঘর, কাপড় আসে- কেটে সেলাই করা হয় আর বাক্সে ভরা হয়। কিন্তু সরকারী কর্মকর্তারা এসে গুতাতে লাগলো, এখানেও ঐ ক্যামিকেল রেস্ট্রিকশনের সব কাগজপত্র আপটুডেট করতে হবে, ক্যামিকেল রাখার আলাদা গুদাম করতে হবে এবং লেবেলিংয়ের জন্য ক্যামিকেলে বিএসসি এরকম একজন লোক লাগবে।
তাঁদের বুঝানোই গেল না যে এই কোম্পানিতে মেশিনের তেল ছাড়া আর কোনো ক্যামিকেল নাই, থাকার প্রয়োজনও নাই। আলাদা গুদাম বানাবো কেন?
আমার তো খালি মনে হয় এরা টাকা খাওয়ার জন্য এইগুলি করে বেড়ায়। যত প্যাঁচ দিতে পারবে তত টাকা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই যে এখানে দেখি সুপারস্টোরে কলা আসছে ঘানা থেকে, টমেটো আসছে স্পেন থেকে, আঙ্গুর আসছে ইসরেল থেকে- এগুলো তো আর গাছ থেকে পড়লো আর দোকানে চলে আসলো তা নয়। এই প্রক্রিয়াতে ও সময় লাগে। এই সময়ে এগুলোকে কৃত্রিমভাবে(সম্ভবতঃ রাসায়নিক ব্যবহার করেই) সংরক্ষন করে।
হম্বিতম্বি করে আতংক ছড়িয়ে আর আড়তদার, খুচরাবিক্রেতাকে আইনের লম্বা হাত দেখিয়ে লাভ নেই বরং এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিক তথ্য এবং প্রশিক্ষন দেয়াটা জরুরী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কলা খাওয়া বন্ধ করেছি ২০০৫ থেকে। বেশ কিছুদিন মধুপুর বনে কাজ করার সুবাদে খুব কাছ থেকে দেখেছি রাসায়নিক পদার্থের ভয়ানক ব্যবহার। চারা লাগানোর পর থেকে শুরু করে ফল পাকা(নো) পর্যন্ত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, হরমোনের ব্যাপক ব্যবহার নিজ চোখে দেখলে আমার মনে হয় যে কোন কেউই কলা খাওয়া ছেড়ে দিবে। কলা চাষ পদ্ধতি আর বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহারের মাত্রা কোথায় যেন নোট করে রেখেছিলাম, খুঁজে পাচ্ছিনা।
একটু আগে এক রসায়নবিদকে প্রশ্ন করে জানলাম ইথেফোন ব্যবহার তেমন ক্ষতিকারক নয়, কারন ফল পাকানোর পরে এটি অন্য একটি যৌগে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
আপনার মধুপুর বনের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে লিখুন না, আমরা একটু জানি।
জেবতিক ভাইয়ের সাথে একমত। এই বিষয়গুলো সামনে আসা দরকার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নোটগুলো হারিয়ে গেছে, স্মৃতি থেকে লিখলে তথ্যগত ভুল হওয়ার আশংকা আছে। কিছু তথ্য হাতে এলে লিখবো।
কলা পাকানোর জন্য আজও গ্রাম দেশে কৃষকরা তুঁতে(copper-sulphate) ব্যবহার করেন ।এই ব্যবহার ক্ষতি কারক।আর বেশীর ভাগ কৃষকরা তা না জেনেই করে থাকেন ।কিন্তু যে সব অসাধু ব্যবসায়ী সচেতন ভাবে এই সব ক্ষতি কারক রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকেন,তাদেরকে শাস্তি বিধানের জন্য সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পোস্টের লিংক এবং মন্তব্য পড়ে মনে হলো ভ্রাম্যমান আদালতের মোদ্দা কৌশল হলো রাসায়নিক দ্রব্যাদি পেলেই ধরো। কোন দ্রব্যের কী কাজ, এবং কোনগুলো ক্ষতিকর সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই বলেই মনে হয়।
রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার খুবই সাধারণ ঘটনা উন্নত এবং কৃষিপন্য রপ্তানিকারক দেশগুলোতে। তাদের উদাহরণ নিয়ে বাংলাদেশের উচিত হবে কৃষিপন্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে কী কী রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে ও যাবে না, ব্যবহার করা গেলে ব্যবহারের হার কী হবে, তার একটি তালিকা বানানো এবং সেই তালিকা নিয়মিত পরিমার্জন করা। তেমন কোনো তালিকা থেকে থাকলে ভ্রাম্যমান আদালতের উচিত হবে তালিকা অনুসরণ করে কৃষক ও বিক্রেতাকে গ্রেফতার কিংবা জরিমানা করা। সুস্পষ্ট নীতিমালা ছাড়া কৃষকদের ধরাটা মোটাদাগে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।
পাঁচতারা পোস্টটাকে ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
http://eprothomalo.com ডাউন কেনো? http://www.prothom-alo.com আমার এখানে লোড হতে তুমুল সময় লাগতো বলে আমি eprothomalo ব্যবহার করতাম। এটা বন্ধ হলো কেন বুঝলাম না!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন