(এই লেখাটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্যাম হ্যারিসের ধর্ম এবং মাদক[১] লেখাটি থেকে অনুদিত বা অনুপ্রাণিত।)
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও আনন্দ লাভের কতিপয় উপায় নিষিদ্ধ। আপনি যদি এইসব নিষিদ্ধ উপায়ে, নিজের ঘরে বসে, কারও ক্ষতি সাধন না করে আনন্দ লাভ করতে চান তাহলে খুব সম্ভবতঃ একদল ঠোলা বন্দুক হাতে আপনার দরজায় লাথি মেরে বলতে পারে, এই ব্যাটা দরজা খোল। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমরা এই বিষয়টাকে খুব স্বাভাবিকভাবে নেই - যেন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। যুক্তি বুদ্ধির সাবলীল গতি যেন স্তব্ধ হয়ে যায় এ সময়।
মাদকাসক্তি, বেশ্যাবৃত্তি, পায়ুকাম (সডোমি) এবং নীলছবি দর্শনের মত অপরাধকে বলা হয় 'বলি' হীন বা 'ভিকটিম' ছাড়া অপরাধ। অবশ্য সমাজ হচ্ছে মানুষের সব অপকর্মের আল্টিমেট ভিকটিম। উচ্চস্বরে শব্দ করা, কেমিক্যাল বর্জ্য নদীতে ফেলা এইগুলোও কিন্তু সমাজের ক্ষতি করে। অথচ একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত সেটা করলে আমরা তাকে অপরাধ হিসেবে ধরি না। উপরন্তু বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে এই মাত্রাটাও অনেক শীথিল। অবশ্য কেউ কেউ এটা দাবী করতে পারেন যে, কিছু কাজ ব্যক্তিগতভাবে করলেও, যেমন নিজের ঘরে বসে যৌন উত্তেজক ছবি দেখা, মানুষকে সত্যি সত্যি খারাপ কাজ করতে অনুপ্রানিত করে। এজন্যই ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং জনস্বার্থের মাঝে খানিকটা বিরোধ রয়েছে। কিন্তু যদি এমন কোন মাদক, বই, ছবি বা সেক্সুয়াল পজিশন থাকত যেটা অনুসরণ করে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ রাস্তায় নেমে ধুমধাম মানুষ খুন করা শুরু করত তাহলে এই দাবীটি গ্রহণযোগ্য হত।
আবার এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে সুস্থ মানুষ কখনই চাইবে না যে এক জেনারেশনের বাচ্চারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করে আর রসময় গুপ্তের লেখা পড়ে বড় হোক। সাধারণভাবে সমাজ সার্বজনীন ভালোর জন্য বাচ্চারা কিভাবে বড় হচ্ছে এবং তাদের বাবা মায়েদের আচরণ কেমন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তবে এর সাথে আমাদের মিডিয়ারও (সংবাদপত্র, টেলিভিশন ইত্যাদি) একটি ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু আমাদের নিজেদেরকে এই প্রশ্নটাও করা উচিৎ যে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, অন্যের ক্ষতি করে না এইরকম ব্যক্তিগত অভ্যাসের কারণে শাস্তি দেবার প্রশ্নটাই বা উঠবে কেন? অথচ অবাক কান্ড হচ্ছে, একেবারে সত্যি সত্যি ভিকটিম বিহীন অভ্যাসের জন্যও কিছু মানুষ শাস্তি দিতে বদ্ধ পরিকর এবং একেবার নির্দ্বিধায় অভ্যাসটিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বসে। এই সব ক্ষেত্রেই আসলে আইনের পিছনে লুকিয়ে থাকা ধর্মীয় প্রভাবের কালো থাবাটি বেরিয়ে আসে।
ধর্ম বিশ্বাসীরাদের ক্ষেত্রে অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করতে চাওয়াটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। এই ব্যাপারটি ধর্মের ইতিহাসের চেয়ে ধর্মের 'যুক্তি'র (!?) সাথে বেশী জড়িত। কারণ 'ব্যক্তিগত' ব্যাপারটি সৃষ্টিকর্তার ধারণার সাথে যায়না। ধর্মীয় মতে সৃষ্টিকর্তা সব কিছু দেখতে এবং জানতে পারে, অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা একই সাথে পৃথিবীর সমস্ত মানুষের যৌন ক্রিয়া কিংবা মানসিক অবস্থার খবর নিতে পারে। তাই মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে কিছু করলে, সেটা যদি অন্যের ক্ষতির কারণও না হয়, ধর্মের চোখে কিন্তু সেটা আর ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়।
দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো ধর্মীয় ধারণার এই ক্ষেত্রে এসে একীভূত হয়ে যাচ্ছে। যেমন যে ধরণের যৌনমিলনে বাচ্চা হবার সম্ভাবনা নেই (পায়ুকাম, মুখকাম), নিজের ঘরে মুর্তি পূজা এসব ক্ষেত্রে অনেক ধর্মই এর চর্চাকারীকে শাস্তি দিতে দ্বিধা বোধ করে না। অনেক ক্ষেত্রে বেশ চরমভাবেই এদের শাস্তি দেয়া হলেও, দেখা যায় এই ধরণের চর্চায় অন্য কারো ক্ষতিই হয়নি। ধর্ম সংক্রান্ত বেশীরভাগ অযৌক্তিক উদাহরণের মত মানুষের আনন্দ লাভের উপায় গুলো বন্ধ করার ক্ষেত্রে ধর্মের ভূমিকা এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ। পায়ুকামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আইন পরিষ্কার ভাবে উল্ল্যেখ না থাকলেও একইরকম কারণে যে আইনটি আছে সেটা স্পষ্টভাবে সৃষ্টিকর্তাকে খুশী করার উদ্দ্যেশেই তৈরী। বাংলাদেশ পেনাল কোডের ৩৭৭ক ধারা অনুযায়ী, 'এডাল্ট হোমোসেক্সুয়াল সেক্স' কর্মটি নিয়ম বর্হিভূত এবং এর জন্য দেশ থেকে বহিষ্কার, অর্থ দন্ড সহ ১০ বছর থেকে আজীবন পর্যন্ত কারা দন্ড হতে পারে [২,৩]। উপরন্তু এধরণে মানুষ কখনই জনপ্রতিনিধি হতে পারবেন না। এমনকি আমেরিকার মত আধুনিক দেশের তেরটি রাষ্ট্রেও এই ব্যপারটি আইনত অপরাধ।
আমাদের আইনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রভাবটি অনেক সময় অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। মাদকের কথাই ধরা যাক। দেখা যাচ্ছে অনেক পদার্থ, যাদের অনেকগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই পাওয়া যায়, সেবন করলে মানুষ সাময়িকভাবে আনন্দ লাভ করে। অনেক সময় এই মাদক সেবন অনেক ক্ষতিও করে। তবে আনন্দলাভের ব্যাপারটিই মুখ্য, নইলে মানুষ যুগ যুগ ধরে এই মাদকের কাছে ফিরে যেত না। অবশ্য এই আনন্দ লাভের ব্যাপারটিই এক্ষেত্রে ধর্মের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরী করে।
বাংলাদেশের মাদক আইন ১৯৯০ ধারা ২০ [৪] অনুযায়ী অ্যালকোহল ব্যতীত অন্য যে কোনো মাদক জাতীয় দ্রব্যের যে কোন রকম ব্যবহার, বিক্রয় এবং বহন করলে ক্ষেত্রে বিশেষে দুই বছর থেকে পনের বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে এবং অতিরিক্ত পরিমান বহন করলে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। যদিও দুর্নিতির কারণে এই আইন কতটা প্রযোজ্য হয় তা প্রশ্ন সাপেক্ষ, কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। লাইসেন্সধারী অ্যালকোহল বিক্রেতারাও একটি বিশেষ 'অ্যালকোহল ট্যাক্স' দিতে বাধ্য। উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই মাদক নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশে আইনগত ভাবে যে পলিসি তৈরী হয়েছে তার ব্যাপ্তি। এই আইনের অংশ হিসেবে জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রন বোর্ড তৈরী করা হবে এবং জাতীয়ভাবে এটি দমন, পরিশোধন এবং বিতাড়ন অভিযান করা হবে। যে দেশে একটি উল্ল্যেখযোগ্য অংশ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে সেই দেশে মাদক দমনে আইন বিভাগের বিপুল আয়োজন এবং ব্যায় লক্ষ্যণীয় ভাবে দৃষ্টিকটু। দারিদ্র্য দমন কর্মসূচী [৫] ছাড়া এমন ব্যাপ্তির কোনো কার্যক্রম উল্ল্যেখযোগ্য ভাবে চোখে পড়ে না।
এটা খুবই হাস্যকর যে, মানুষের গাঁজা বা মারিজুয়ানা সেবন করার জন্য জেল, জরিমানা হলেও পরিমান মত 'অ্যালকোহল ট্যাক্স' দেবার পর অ্যালকোহল সেবন অপরাধ নয়। অ্যালকোহল যে কোন হিসেবে অন্য যে কোনো মাদকের চেয়ে ক্ষতিকর। তাই 'মাদক আইন করা হয়েছে নিজেদের এবং অন্যদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য' এই ধরণের যুক্তি খুবই হাস্যকর। বর্তমানে ঔষুধ হিসেবে অ্যালকোহলের কোনো ব্যবহার নেই। উপরন্তু যে পরিমান অ্যালকোহল সেবন করলে চরম ক্ষতি হতে পারে সে পরিমান অ্যালকোহল চাইলেই পাওয়া সম্ভব। অ্যালকোহল সেবনের পর বাস, ট্রাক এবং প্রাইভেট গাড়ীর চালকদের দূর্ঘটনার খবর প্রায়ই খবরের কাগজে পাওয়া যায়। অ্যালকোহল পানের পর মতিভ্রষ্ট হয়ে মানুষের ভায়োলেন্স, আহত হওয়া, অপরিণত প্রেগন্যান্সি এবং যৌন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। ক্রমাগত অ্যালকোহল পান এতে নেশাসক্ত করে ফেলতে পারে। অনেক বছর ধরে অধিক পরিমানে সেবনের ফলে মানসিক ভারসাম্যহীণতা, লিভার সরোসিস সহ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশের সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও আমেরিকায় প্রতিবছর দশ লক্ষ লোক অ্যালকোহল সেবনের কারণে মৃত্যুবরণ করে। অন্য যে কোনো মাদকের চেয়ে অ্যালকোহল সেবনে মাতৃগর্ভের শিশুর সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়।
অথচ এই সমস্ত ক্ষতির কোনটাই মারিজুয়ানার বা গাঁজার [৬] জন্য প্রযোজ্য নয় বা প্রযোজ্য হলেও ক্ষতির পরিমান অনেক কম। ঔষুধ হিসেবে মারিজুয়ানার অনেকগুলো ব্যবহার রয়েছে। অতিরিক্ত মারিজুয়ানা সেবনে মৃত্যু হবার সম্ভাবনা নেই। এমনকি অ্যাসপিরিন এবং আইব্যুপ্রোফেনে (প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষুধ) আমেরিকায় প্রতিবছর ছিয়াত্তর হাজার লোক পাসপাতালমুখি এবং ছিয়াত্তর শত লোকের মৃত্যু হলেও মারিজুয়ানা সেবনে মৃত্যুর খবর নেই। উপরন্তু মানুষ যে সমস্ত কাজ নিত্যপ্রয়োজনে করে থাকে যেমন, গাড়ী ড্রাইভ করা, প্লেনে চড়া, এসব কিছুই কিন্তু নিজ ঘরে বসে মারিজুয়ানা বা গাঁজা সেবনের চেয়ে বেশী ভয়ঙ্কর। অর্থাৎ 'মানুষের নিজের এবং অন্যের ক্ষতি হতে পারে বিধায় মারিজুয়ানা বা গাঁজা সেবন আইন করে বন্ধ করা দরকার' - এই ধারণার পিছনে দেবার মত তেমন কোনো যুক্তি কিন্তু নেই।
বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত আরেকটি মাদক হচ্ছে ফেন্সিডিল। ফেন্সিডিলেরও কোনো মারনঘাতী ডোজ নেই [৭]। বরং এটি একটি বহুল প্রচলিত ঔষুধই। উপরন্তু ফেন্সিডিলের ক্ষতির পরিমানও অ্যালকোহল সেবন থেকে অনেক অনেক কম।
এই প্রসঙ্গে ইয়াবা [৮] নামের একটি মাদকের কথাও উল্ল্যেখযোগ্য। ইয়াবা হল মুলতঃ মেথামফেটামাইন [৯] গোত্রের একটি ঔষুধ। ইন্দোনেশিয়ায় ইয়াবা, ভারতে ভুলভুলাইয়া এবং আমেরিকায় মেথ নামে এই মাদকটি প্রচলিত। অতিরিক্ত ডোজের ব্যবহারে সাময়িক উত্তেজনা, উদ্দীপনা জাগায় এটি। অন্যান্য অনেক মাদকের মত এটিও অ্যালকোহলের চেয়ে অনেক কম ক্ষতিকর।
অথচ দেখা যায় মাদক ব্যবহার, ব্যবসা এবং সেবন করার জন্য কঠিন কঠিন শাস্তি দিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমেরিকায় অনেক ক্যান্সার রোগী মারিজুয়ানা সেবন করে কষ্ট উপশম করত বলে তাদের এক দশক পর্যন্ত জেলে পাঠিয়ে দেবার ঘটনাও আছে। পত্রিকায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিয়মিত খবর আসে [১০, ১১, ১২]। পেটের দায়ে মা-ছেলে হেরোইন ব্যাবসা করতে নেমে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে [১০]। সাধারণ মানুষকে হতে হয় হয়রানির শিকার [১১]। পুলিশের ডিআইজি ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মাদক সেবন নিয়ে হন উদ্বিগ্ন [১২]।
মাদকের পিছনে এই ধরণের বিপুল জনশক্তি এবং অর্থ অপচয়ের যুক্তি কি? এই বিষয় নিয়ে কোথাও কোন যুক্তিযুক্ত আলোচনাও চোখে পড়েনি। এটা ধরে নেয়া যায় যে বর্তমান আইন অনুযায়ী, যদি এমন একটা ড্রাগ তৈরী করা হয় যার কোনো প্রকার শারীরিক ক্ষতি বা আসক্তি নেই; কিন্তু এটা ব্যবহারকারীর মধ্যে আনন্দ ও প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয় তাহলেও সেই ড্রাগটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে এবং এটা ব্যবহার করলে নির্দয়ভাবে শাস্তি দেয়া হবে। আর এর পিছনে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে মানুষের ধর্মীয়বোধকে।
ইতিহাস থেকে দেখা যায় যে, মাদক রোধে নিয়ম করে কড়াকড়ি করা হলে কখনোই কাজ হয়নি। আমেরিকায় ধর্মীয় সংগঠনের উদ্দ্যোগে করা অ্যালকোহল প্রতিরোধের আইন করে দেখা গেছে অ্যালকোহল সেবন করার পরিমান বেড়ে গেছে বহুলাংশে।
মাদককে ঘিরে গড়ে ওঠা ব্যবসার কারণে মাদক প্রতিরোধী আইন সাধারণতঃ কাজ করে না। ইউনাইটেড নেশনসের তথ্য অনুযায়ী পুরোবিশ্বে ড্রাগ প্রতিবছর ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বা প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য করে। এটা এমনকি আমেরিকার ডিফেন্সের বাৎসরিক বাজেটকে অতিক্রম করে। এই তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আর্ন্তজাতিক বানিজ্যের শতকরা ৮ ভাগ হয় ড্রাগকে কেন্দ্র করে, যেখানে ৭.৫% টেক্সাটাইলকে এবং ৫.৩% মোটরগাড়িকে কেন্দ্র করে। আইন করে বন্ধ করা হয় বলেই মাদক ব্যবসা হয়ে ওঠে অস্বাভাবিকভাবে লাভজনক। ড্রাগ ব্যবসায়ীরা তাদের পুঁজির ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ গুনে থাকে, তাও সেটা ট্যাক্স না দিয়েই। রাস্তায় পাওয়া ড্রাগের পরিমান, গুনাগুন ইত্যাদি থেকেই এটাই প্রতীয়মান যে এত বড় লাভের আশা থাকলে সরকার কখনই এটা ঠেকাতে পারবে না। উপরন্তু এটা ঠেকাতে আশা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দুর্নীতিবাজ হয়ে উঠতে বাধ্য। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এই দুর্নীতিই চরম বাস্তবতা। চড়া দামে বেআইনী ড্রাগ কিনতে গিয়ে কর্পদকশূণ্য নেশাখোরের হয়ে ওঠে অপরাধ প্রবন। আবার ড্রাগ ব্যবসায়ীও বেআইনী ড্রাগ লুকাতে এবং সামলাতে গিয়ে আশ্রয় নেয় অপরাধের। এসবই কিন্তু এই ড্রাগ নিষিদ্ধকরণেরই পরোক্ষ কুফল। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ড্রাগ গুলো কিন্তু আসছে আফগানিস্থান, পাকিস্থানের মত প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চল থেকে। আর এই ড্রাগ বিক্রী লব্ধ অর্থই মদদ জোগাচ্ছে টেররিস্ট অর্গানাইজেশনগুলোকে।
বাংলাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক অসহনশীলতা এবং সংবেদনশীলতাও উল্ল্যেখযোগ্য। উচ্চবিত্তদের মাঝে প্রচলিত ইয়াবা ড্রাগটি এখন যৌন অনাচারের সমার্থক হয়ে উঠেছে [১৩,১৪]। বছর কয়েক আগে ইয়াবা কে কেন্দ্র করে এক উচ্চবিত্ত নারীর ঘটনা পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়। এ নিয়ে তাদের কম হয়রানির শিকার হতে হয়নি। পত্রিকায় নাম ঠিকানা সহ প্রতিদিন প্রকাশিত হওয়া অগুনতি মানুষকেও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। অথচ কোন প্রতিবাদ নেই কোথাও - যেন এটাই স্বাভাবিক।
কিছুদিন আগেও প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘরে মদের বোতল এবং পর্ণো পত্রিকা পাওয়া গিয়েছে বলে বিরাট হৈ চৈ হয়। খালেদা জিয়ার বাড়িটি দখলের বৈধতা আছে কি নেই, খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগের বের করা ঠিক হয়েছে কি হয়নি - সে সমস্ত প্রশ্নকে ধামা চাপা দিতেই কি করা হয়েছে এসব? মধ্য-ডানপন্তী কনজারভেটিভ বিএনপির আইডিওলজীর [১৫] সাথে এই বিষয়টি কতটা যায় সেটাও মূখ্য নয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ঘেঁটে এসব বের করে সেটা নিয়ে পত্রিকায় মাতামাতি করাটা নৈতিক এবং যৌক্তিক ভাবে গ্রহণযোগ্য নয় সেটা নিয়ে কাউকে কিছু বলতে কেনো দেখা যায়নি সেটাই অবাক কান্ড।
আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি। আমাদের প্রতিবেশী যদি নিজের ঘরে ব্যক্তিগত আনন্দ লাভের জন্য ডাইল কিংবা ইয়াবা সেবন করে, তাহলে আমাদের বিচলিত হবার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। আমাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, দারিদ্র্য সহ যে পরিমান সামাজিক সমস্যা রয়েছে, মাদক নিধনের পিছনে না ছুটে সেগুলো সমাধান করা জরুরী সবচেয়ে আগে। কোন যুক্তি তর্ক ছাড়া কিভাবে আমারা আমাদের মূল সমস্যাগুলো সমাধানের আগে মাদক নিধণের পিছনে উঠে পড়ে লাগলাম কে জানে! কর্তৃপক্ষের কাছে কি জবাব আছে?
রেফারেন্স
[১] স্যাম হ্যারিস - ধর্ম এবং মাদক
[২] বাংলাদেশে গে-লেসবিয়ানদের অধীকার
[৩] বাংলাদেশের পায়ুকাম আইন
[৪] বাংলাদেশের মাদক আইন ১৯৯০ ধারা ২০
[৫] পর্ভাটি রিডাকশন স্ট্র্যাটেজী পেপারস
[৬] ক্যানাবিস (মারিজুয়ানা বা গাঁজা)
[৭] ফেন্সিডিলের (প্রোমিথাজাইন) এর ড্রাগ ফ্যাক্ট
[৮] ইয়াবা
[৯] মেথামফেটামাইন (মেথ)
[১০] মা ও ছেলের যাবজ্জীবন
[১১] সাধারণ মানুষের হয়রানি
[১২] প্রকৌশলী এবং চিকিৎসক আসক্ত - অল্ট
[১৩] বাংলাদেশে ইয়াবা
[১৪] ইয়াবা নিয়ে ডেইলী স্টারের রিপোর্ট
[১৫] বিএনপির আইডিওলজী
মন্তব্য
তথ্য সংগ্রহে সাহায্যের জন্য সিমনকে ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আগ্রহোদ্দীপক। শেষ পর্যন্ত সেই আদি প্রশ্নেই ফিরে যাওয়া---চূড়ান্ত ব্যাক্তি-স্বাধীনতা, না, চূড়ান্ত এফিশিয়েন্ট সমাজব্যবস্থা, কোনটা বেছে নেব? এখন পর্যন্ত, ব্যালান্স করে চলাটাই আপাতবুদ্ধির পরিচয় বলে অনেকে মনে করে
তবে এই কথাটা অবিশ্বাস্য লাগল--"মাদকের পিছনে এই ধরণের বিপুল জনশক্তি এবং অর্থ অপচয়ের যুক্তি কি? এই বিষয় নিয়ে কোথাও কোন যুক্তিযুক্ত আলোচনাও চোখে পড়েনি।"
লেখার আর্গুমেন্টে কিছু সমস্যা দেখলাম। এক এক করে বলি -
আগ্রহীরা দেখতে পারেন।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
২। যৌনাচারের যে পদ্ধতি বিপদজনক সেটা আমি একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ আরেকজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সাথে, দুজনের সর্বসম্মতি ক্রমে পালন করলে তৃতীয়পক্ষের মাথা ব্যাথা কেন? যৌনাচারের কথা বাদ দিন। ধরুন একজন অ্যাক্রোব্যাট চেইন-স এর উপর মাথা দেবার একটা অ্যাক্ট প্র্যাকটিস করছে। অবশ্যই তার কাজটি বিপদজনক। কিন্তু বিপদজনক বলে আপনি তাকে বাঁধা দিবেন কিসের ভিত্তিতে?
৪।
না যায় না। সে চেষ্টাও করা হয়নি। দেখানো হচ্ছিল যে বহুল প্রচলিত বলে বেশী ক্ষতিকর হওয়া সত্ত্বেও অ্যালকোহলকে ছাড় দেয়া হচ্ছে কিন্তু গাঁজা বা অন্য ড্রাগের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। অর্থ্যাৎ এই সিদ্ধান্তে যুক্তির চেয়ে অন্ধত্ব বেশী কাজ করছে।
পরের পয়েন্টগুলোতে আসছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
৫। আমেরিকার উদাহরনটা দেয়া হয়েছে যেহেতু মূল লেখার সাথে উদাহরনটি ইনস্ট্যান্টটি অ্যাভেইলএবল ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এরকম উদাহরন পাওয়া যাবে না সেটা বলা যায়না। উদাহরন যে দেশেরই হোক, বিষয়টা হোলো আইনের দোহাই দিয়ে আমেরিকায় আপাত নিরীহ ব্যবহারকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশে দারিদ্রের দায়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়ীকেও শাস্তি দেয়া হল সেই একই আইনের দোহাই দিয়ে।
মানছি যে বাংলাদেশের এই উদাহরণটি খুব বেশী গ্রহণযোগ্য হয়ত নয়। কিন্তু এটা আমার পয়েন্টটাকে ভ্যালিড করে। যেমন আপনি বলছেন:
কাজটা যে অনৈতিক সেটার পক্ষে তো আপনাকে আগে যুক্তি দেখাতে হবে! বাংলাদেশের আইনে আছে বলেই সেটা চোখ বুজে অনৈতিক মেনে নেয়াটার বিরুদ্ধেই তো কথা বলতে চাইছি।
আর আমি যদি মনে করি মাদক সেবন করা আমার ব্যক্তি অধীকার তাহলে সেটার জন্য আমাকে জোর করে কেন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হবে? অথচ বাংলাদেশের আইন সেটাই বলে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
৬। ড্রাগ লিগালাইজ করা হলে ক্ষতির পরিমান বেশী কিনা আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে সেটার একটি আলোচনা রয়েছে স্যাম হ্যারিসের লেখাটিতে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেরকম একটা গবেষণা করা যেতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে সেটা আমি করতে পারিনি।
৭। অ্যলকোহল কনজাম্পশন তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও আপনার পাড়ার একদল ছেলে কেন এতে আসক্ত নয়? প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সচেতনতা গড়ে তুললে অন্য যে ড্রাগই উন্মুক্ত থাকতে পারে। অ্যালকোহল অধিকতর ক্ষতিকর হওয়া সত্ত্বেও যেমন পুরো জাতি পাঁড় মাতাল হচ্ছে না, তেমনি অন্য ড্রাগের ক্ষেত্রেই ঘটবে। আমি এবিষয়ে আরেকটু আলোচনা করব সুযোগ পেলে।
৮। কিন্তু সমস্যা গুলোকে প্রায়োরিটাইজ করতে হবে। সেটার জন্য দেখতে হবে কোনটি সত্যিকারের সমস্যা আর কোনগুলো ম্যানুফ্যাকচারড। আর সেটা চিন্তা করতে গেলেই মাদক সেবন বিষয়টির গুরুত্বহীনতা বেরিয়ে আসে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হাসিব ভাই,
বিবিকোড কমানো যায়? ফর্মেটিং ভচকে গেছে। আপনার সব কোডই মনে হয় ঠিকাছে। তবু কেন ভচকালো বুঝতে পারছি না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাহ! বেশ সাজানো, গোছানো লেখা।
আমার খুব শখ একবার এলএসডি ট্রাই করার। কিন্তু সাহস হবে বলে মনে হয় না।
কাকস্য পরিবেদনা
আরো অনেকের মতো আমারো শখ ছিলো LSD "ট্রাই" করার। কিন্তু হ্যালুসিনেশন জিনিসটা যে কী রকম মারাত্মক হইতে পারে, তার একটা হাতে নাতে প্রমাণ পাওয়ার পর আমার সেই শখ পুরাপুরি মিটে গেসে। আমার মনে হয় যাদের শখ আছে LSD এর ব্যাপারে, তাদের প্রায় সবাই-ই জিনিসটার ভয়াবহতা সহ্য করতে পারবেন না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বীট জেনারেশনের লোকজনের কাজকার্বার দেইখা LSD টেরাই দেয়ার শখ আছিলো। শখ এখনো যায় নাই। মর্লে মরুম। ক্ষতি তো আমারই।
আরে আরে ... আমি তো ম্যারিড। আমি মর্লে পরিবারের ক্ষতি। পরিবারের ক্ষতি মানে দ্যাশের ক্ষতি। বাপ্রে। খামু না, যান।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হল্যান্ড এ আসলে আওয়াজ দিও। মাশরুম আর সিন্থেটিক দুইধরনের এল এস ডিই আছে।
ডুপ্লি ঘ্যাচাং!
করে ফ্যালেন, নিজের উপর বিশ্বাস রাখেন। 'ডরাইলেই ডর...'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
২ গ্রাম মাশরুম জুসের সাথে মিশায়ে ট্রাই মারতে পারেন। হ্যালুসিনেশনের মজা বুঝতে পারবেন একটু হলেও। সতর্কতাঃ কমপক্ষে একজন সুস্থ বন্ধুকে সাথে রাখবেন। অবস্থা খারাপ হলে আপনারে যেন বান্ধে রাখতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে এই চেষ্টা ভুলেও করবেন না । আর LSD ট্রাই করিয়েন না।
রেলিভ্যান্ট মনে হলো তাই লিংক দিচ্ছি:
Government must drop gambling business: family group
কিছু অংশ কোট করছি
অবশ্যই রেলেভেন্ট। কিন্তু একই বক্তব্য প্রযোজ্য এই ক্ষেত্রে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লেখাটা পড়ে বেশীরভাগ পাঠক একটা ধাক্কা খাবেন প্রথমে। ভাববেন বলে কি এই লোকটা! স্যাম হ্যারিসের লেখা পড়ার পর ঠিক একই অনুভুতি হয়েছিল আমারও। ছোট বেলা থেকে ধর্মীয় অনুশাসন, পাঠ্যপুস্তক সব কিছুতে এতোবার আমাদের মাদকের বিষয়টা সেখানো হয় যে প্রথমবার শুনলে এই অনুভুতি হওয়া স্বাভাবিক। আমি অনুরোধ করব প্রথম পাঠে বিষয়টাকে রাবিশ বলে উড়িয়ে না দিয়ে একটু যুক্তি যুক্ত ভাবে চিন্তা করতে। তাহলে হয়ত বিষয়টা নিয়ে চিন্তা/আলোচনা করা অপেক্ষাকৃত সহজতর হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই লেখাটায় আলোচনার অনেক সুযোগ আছে। তবে এমন ড্রাগ যদি থাকতো যেটা খেয়ে কেবল নিজেকেই প্রভাবিত করা যেতো, অন্যকে নয়-- তাহলে কোন সমস্যা ছিলনা। আপনার বক্তব্য অনেকটা সেই ধারনাকে সমর্থন করে। এরকম হলে আসলে আপত্তির কিছু থাকতোনা।
কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ জিনিসটা মনে হয় সোনার হরিণের মতো। সেটা মাদকদ্রব্য হতে পারে, এমনকি প্যারাসিটামলও হতে পারে। কেউ যদি প্যারাসিটামল খেয়ে নেশা করে তার প্রভাব কি পরিবারের উপর পড়বেনা? নেশা মানেই এমন একটি জিনিস যেখানে আত্ননিয়ন্ত্রণ থাকেনা কিংবা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
লেখাটা অনেক কষ্ট করে গোছানো। প্রেজুডিসের বাইরে এসে দেখলেও আপনার যুক্তির অনেক কাউন্টার দেয়া সম্ভব, উদাহরণ সহকারে। কিন্তু বস্, সেরকম সময় দেয়ার মতো সময় এবং মানসিকতা এখন নাই। কারণ তো আপনি জানেনই
ফলো করতেছি।
মাদক সেবনে (তা অ্যাল্কহল, গাঁজা বা হেরোইন যাই হোক না কেনো) ব্যাক্তির শারিরীক ও মানসিক ক্ষতি হয়। একে ব্যাক্তিগত স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এর পক্ষবলম্বন করাটাই অনৈতিক। আপনার প্রতিবেশী যদি আপনার সামনে আত্মহত্যা করে, তাহলে কি আপনি বলবেন সেটা ব্যাক্তি স্বাধীনতা? তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না? মাদক সেবন আত্মহত্যারই অপর নাম। বরং এখানে পরিবার ও সমাজও ক্ষতির সম্মুখিন হয়। ধর্ম মানুষ্কে আনন্দ থেকে বঞ্ছিত করতে চায়, এই ধারনাটাও অদ্ভুত লাগলো। আনন্দ পাবার নিষ্কলুশ কোন উপায় নেই?
আপনি এই ধারণাটা গ্রহণ করতে পারেননি সেটা বুঝলাম। কিন্তু খানিক যুক্তি দিলে আলোচনা করতে সুবিধে হত। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রাগিব ভাই ঠিক বলেছেন...লেখকের কথা স্ববিরোধি।
ঠিক কোন কথাটা স্ববিরোধী সেটা যুক্তি দিয়ে আলোচনা করলে আমার বক্তব্যটা আপনাকে জানাতে পারতাম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার মুল কথা কি? যেহেতু এটা ব্যক্তিস্বাধীনতা(!!!) এবং আপাতদৃষ্টিতে প্রচলিত আইনে মাদক নিয়ন্ত্রনে সফলতা আসছে না, তাহলে মদককে বৈধ করে দেওয়া।
রাগিব হাসান স্যারের সাথে একমত
আপনার বক্তব্য কি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় ব্যক্তি স্বাধীনতা তাকেই বলা যায় যা যে আমি নিজের মতো বাঁচতে চাই অন্যের কোন ক্ষতি না করে।
মাদকাসক্তির প্রভাব যে কি ভয়ংকর সে আমার নিজের চোখে দেখা। গোটা পরিবার কে ধংস করে দেয় আর এর এর সময়কাল কিন্তু খুব অল্প। খুব দ্রুত একজন মানুষকে শেষ করে দিতে পারে।
অ্যলকোহল এর সাথে এর তুলনা করা বোধকরি ঠিক হবে না। নিদৃষ্ট পরিমান অ্যলকোহল পান করে একজন মানুষ সুস্থ ভাবে অনেকদিন বাঁচতে পারে কিন্তু ড্রাগ এর বেপারে এমন এক্সাম্পল আমি এখনও পাইনি।
বেশ্যাবৃত্তি, সডোমি বা নীলছবি দর্শনের সাথে কোনভাবেই মাদকাসক্তির তুলনা চলে না এবং একে ব্যক্তি স্বাধীনতার নাম দেয়াতো ভয়াবহ
- মেঘলা
অনুগ্রহ করে লক্ষ্য করুন যে মাদকাসক্তি যে ভয়ঙ্কর সে ব্যাপারে আমার কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু সচেতনতা বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র আইন করে বন্ধ করা হলে লাভের চেয়ে ক্ষতই বেশী আমার আর্গুমেন্টটা সেখানে। আইন করে বন্ধ করার পরেও কিন্তু তার কুফল ঠেকানো যায়নি আপনার উদাহরণের ক্ষেত্রে। বরং বন্ধ না করে একটা রেগুলেটেড উপায়ে এটাকে দেবার ব্যবস্থা করা গেলে ড্রাগ যখন আসক্তির দিকে গড়ায় তখন সেটাকে সামাল দেবার উপায় করা যেতে পারে।
উপরের এক মন্তব্যে প্রকৃতিপ্রেমিক জুয়ার উদাহরণ এনেছেন। লক্ষ্য করুন, আইন করে জুয়া বন্ধের প্রচুর উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে আমেরিকায়। ফলাফল হয়েছে এমন, যে জুয়া তো বন্ধ হয়ইনি বরং এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আইন বহির্ভুত হওয়ার সরকার এই বানিজ্যের ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত থেকেছে। যাদের জুয়ার নেশার হবার তাদের ঠিকই হয়েছে। কিন্তু তারা কোথাও সাহায্য চেয়েও পায়নি। এখন করা হচ্ছে কি, জুয়াটাকে লাইসেন্সের মাধ্যমে রেগুলেটেড পদ্ধতিতে ছাড়া হচ্ছে। জুয়া থেকে যে ট্যাক্সটা আসছে সেটা জুয়ার আসক্তিতে জড়িয়ে পড়া মানুষের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা জুয়া খেলতে আসছে তারা আইনানুগ পদ্ধতিতে আসছে বলে তাদের অভ্যাসটা নেশাতে পরিনত হচ্ছে কিনা সেটা যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে। উপরন্তু জুয়াড়ীও অপরাধ বোধে ভুগছে না।
এরকম উদাহরণ আমি লেখাতেই দিয়েছি। গাঁজা বা ফেন্সিডিল খেয়ে ৩০ বছর পর্যন্ত নেশা করে যাচ্ছে এরকম উদাহরণ ইন্টারনেটেই পেয়েছি। যদিও তাদের অবস্থা খারাপ (যেমন খারাপ অ্যালকোহলিকদের অবস্থা) কিন্তু তারা বেঁচে আছে।
একটা ইন্টারেস্টিং উদাহরণ দেই। বরফের দেশে গাড়ি চালাতে গেলে কয়েকটা জিনিস জানতে হয়। সেটা হল,
১। যদি বরফে গাড়ির চাকা স্কিড করে তাহলে গাড়ি পিছলে যেদিকে যাবে আপনার স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে সেদিকে প্রথমে নিতে হবে। তারপর আবার স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে নিজের রাস্তায় ফেরাতে হয়।
২। যদি চাকা পিছলাতে (স্লিপ) শুরু করে তাহলে ব্রেক একবারে চেপে ধরে না রেকে বার বার চাপতে হয়। অবশ্য ইদানীংকার অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম কাজটা সয়ংক্রিয়ভাবে করে।
এই দুইটা নিয়ম কিন্তু আমাদের ন্যাচারাল রেসপন্সের সাথে কাউন্টার অ্যক্টিভ। গাড়ি যদি পিছলে একটা দেয়ালের দিকে গিয়ে ধাক্কা খেতে চায় তাহলে আপনার গাড়ির স্টিয়ারিং সেদিকে ঘোরাতে মন চাইবে না। বরং উল্টো করতে মন চাইবে। ফলাফল হল - পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়ি বনবন করে ঘুরে অ্যাকসিডেন্ট করা। একই ভাবে গাড়ী স্লিপ করার সময় ব্রেক ছেড়ে ব্রেক করার কথা চিন্তাও করা যায় না। মনে হবে, ব্রেক ছাড়লেই তো গাড়ীর গতি কমে না গিয়ে বেড়ে যাবে, তাহলে ছাড়বো কেন? ফলাফল, ফেন্ডার বেন্ডার।
ড্রাগ নিয়ে আলোচনায় এই ব্যাপারটিই ঘটে। ড্রাগ খারাপ, নো ডাউট অ্যাবাউট ইট। কিন্তু এটা একটা নিয়ন্ত্রিত উপায় লিগালাইজ করলে যে সুফল আসতে পারে, প্রাথমিকভাবে কখনই এটা মনে হবে না। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে হয়ত বিষয়টির যুক্তিগুলো চোখে পড়বে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একেক মানুষের একেক ধরণের ভাবনা চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু লেখকের এই লেখাটার পেছনের ভাবনাটা খুবই একপেশে আর অস্বাভাবিক লাগলো। আমার ধারণা লেখক এখন পর্যন্ত এমন কোন পরিবারের সান্নিধ্যে আসেননি যে পরিবারে কোন মাদকাসক্ত আছে, এজন্যই এই লেখাটা লিখতে পেরেছেন। একজন মাদকাসক্ত শুধু নিজেকেই ধ্বংস করেনা, একটা পুরো পরিবারকে নিঃশেষ করে দেয়। আর মাদকাসক্তরা নেশার টাকা যোগাড়ের জন্য কোনো অপরাধ করতেই কুন্ঠাবোধ করেনা। দেশে যত ধরণের খুন-খারাবি, ছিনতাই হয় তার অধিকাংশের পেছনেই মাদকের ভূমিকা রয়েছে, এমনকি প্রায় শত ভাগ খুনি-ই খুন করার আগে নেশা করে।
"আমি মাঝে মাঝে ড্রাগস নেই, পিউর রিক্রিয়েশনাল ড্রাগস। ধরা যাক, বছরে কয়েকবার, তার মানে আমি এডিক্টেড-ও নই। আমার যথেষ্ঠ পয়সা আছে, সুতরাং ছিনতাই-রাহাজানির দিকেও আমার যেতে হয় না। বাড়িতে একা বসে খাই, তাই আর কারো সমস্যারও প্রশ্ন আসে না।" এ ধরনের সিনারিও কি খুব একটা আছে? না থাকলে বোধ করি মাদক নিয়ে নেগেটিভ আইডিয়াটা থেকেই যাবে।
মফিজ,
এধরণের সেনারিও নেই তার পিছনে প্রমাণ কি? নাকি সিম্পলী আপনার মনে হয়না আছে সেজন্য একথা বললেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আইব্যুপ্রোফেন ব্যথার ঔষধ, এটি নন-স্টেরইডাল এন্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগ, প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষুধ নয়।
শুধরে দেবার জন্য ধন্যবাদ। অ্যাসপিরিন আর আইবিউপ্রোফেন দুটোই ব্যাথা বা জ্বরের ঔষুধের বলে বাংলাদেশের পাঠকের সুবিধার জন্য তুলনামূলক একই রকম ঔষুধের কথা উল্ল্যেখ করেছি। অ্যাসিটোমেনোফেন গোত্রের প্যারাসিটামল খেলে আমার নিজেরই শরীরে হাইভস বা চাকা চাকা অ্যালারজিক রিঅ্যাকশন হোতো। এবং সেটা প্রতিরোধে অ্যান্টিঅ্যালারিজক ঔষুধ (যেমন হিস্টামিন) খেলে বমি, পায়খানা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ
লেখা পড়ে খুব অবাক হয়েছি।
ফেন্সিডিল কিংবা ইয়াভার ভয়াবহতা আপনি কি নিজে দেখেছেন?
এগুলো ঠিক ঘরের দরজা বন্ধ করে খেলাম, জগতসংসারের কিছু এলো গেলো না টাইপের নয়। শারিরীক ক্ষতির ব্যাপারে বলছি না। মানসিক ক্ষতি কী রকম হয় তা যদি না জেনে থাকেন, জানাবেন। আবার মন্তব্যের ঘরে জানিয়ে দেবো।
ফেন্সিডিল খেয়ে মারা যায় না বলেই যে এটা সত্যায়িত, এরকম একটা সহজ সমীকরনে কী করে পৌঁছে গেলেন? এই নেশা গুলোতে যারা আসক্ত হয় তারা নিজেরাতো মরেনা, মারা যায় তাদের কাছের মানুষগুলো।
সরকারের কাজ শুধু টাকা আয় করা নয়। নাগরিক দের দেখাও তার কর্তব্য।সরকার যদি আজ ট্যাক্স পাবার জন্য নেশার জিনিসগুলোকে বৈধ করে দেয়, এ কি খুব ভালো কাজ হবে?
বাংলাদেশে যখন আট বছরের একটা ছেলের হাতে ফেন্সিডিল কিংবা হেরোইন দেখা যায়, তখন এরকম একটা লেখা যে কতটুকু বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে, সেটা ভেবেই প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।
আমি দুঃখীত মুর্শেদ। মন্তব্যে কড়া কথা বলছি খুব বেশি টেকনিক্যাল যুক্তি ছাড়া। রেটিংয়ে এক দিয়েছি। আসলে এই ব্যাপারে আমার অভিগ্গতা এতোটাই বাজে, মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছিনা।
আপনি কিছু বলুন। পরে হয়তো মাথা ঠান্ডা করে উত্তর দিতে পারবো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা,
আপনার প্রশ্নের প্রতিটার উত্তর লেখায় অথবা মন্তব্যের ঘরে দিয়েছি। আপনার প্রচলিত বিশ্বাসে বা ধারণায় আঘাত লেগেছে বলে মাথা গরম করে ঝাড়ি না দিয়ে, অনুগ্রহ করে মাথা ঠান্ডা হলে খানিকটা যুক্তি দিয়ে বা খন্ডন করে যাবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ব্যাক্তি স্বাধীনতার সংজ্ঞাটা আবারো অপরিস্কার হয়ে গেল আমার কাছে, যদিও আমি ব্যাপক অন্ধভাবে ব্যাক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। মাদকসেবনকে কি ব্যাক্তিস্বাধীনতার ছায়ায় এনে জেনারেলাইজ করা যায়? ড্রাগ কে ফ্রী করে দিয়ে কি ফল পাওয়া গেছে এমন কোন পরীক্ষিত সুত্রের উদাহরণ পেলে হতো।
আমি কিছুদিন ফেন্সিডিল খেয়ে দেখেছি...সমপরিমাণে প্রতিদিন খেয়ে গেলে আপনার নেশা হবে না, একটা নির্দিষ্ট সময় পর-পর পরিমান বাড়াতেই হবে, ধরুন প্রথম কিছুদিন আপনি হাফ-ফেন্সি খেলেন, ব্যাপক মজার ব্যাপার, কিন্তু বাজি ধরে বলতে পারি, একই জিনিস এই পরিমানে করে খেয়ে গেলে এক মাসের মধ্যেই আপনার পরিমান কিছুটা হলেও বাড়াতে হবে।
কৃত্রিমভাবে তৈরী কোন সুখানুভূতিকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন করা সম্ভব নয় বলেই আমার ধারনা, এবং সেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে ব্যাক্তির রুচি/মর্জীর উপর ছেড়ে দিলে সামগ্রীকভাবে ফলাফল ঋণাত্বক হবার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হয়। তবে এক্ষেত্রে ধর্ম, সংস্কৃতি বা আইন এসবের তোয়াক্কা না করে আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা হলো, কোনকিছু সেবন করে আরোপিত নেশায় মাথা টং করে রেখে আমার পোষায় না।
লেখাটি ভাবনা উদ্রেককারী
একজন মানুষ একা কোন কাজ করতে পারে , এবং একজন মানুষ চাইলে সারাজীবন চাইলে তার কোন একটা কাজ বন্ধ ঘরের মধ্যে কারো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্ষতি না করে চালিয়ে যেতে পারে, এরকম কোন প্রমান কি আমরা এখনো পেয়েছি? আমরা যে সব জ়িনিষ কে খারাপ বলে চিনি, কিভাবে চিনি? আমাদের আশেপাশে সেগুলো ঘটতে দেখি বলেই আমরা জানি। এইসব জিনিশ গুলোই কি ট্যাবু হিসেবে বন্ধ ঘরের ভেতরে শুরু হয় না? তারপরে সেগুলো ঘরের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে কিভাবে? এভ্যুল্যুশ্ন অফ পারভার্শন বলে একটা ব্যাপার আছে। এর অর্থ হচ্ছে মানুষ এর বিকৃত মানসিকতার বিবর্তন ঘটে। আজকে যেই মানুষটা অত্যাধিক পরিমান যৌন স্বাধীনতা ভোগে ক্লান্ত, কালকে সেই নতুন কোন যৌন বিকৃতির জন্ম দিচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, এগুলোকে বাজারজাত করার জন্য উৎসাহী ব্যাবসায়ী ও আছে প্রচুর। আমার একটা প্রশ্ন আছে। অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে, তাও করছি – ইন ব্রড সেন্স, বিকৃত যৌন মানসিকতায় আক্রান্ত লোকজনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে বেশী, না অন্য সেসব দেশে বেশী, যেসব দেশে অপেক্ষাক্রত কম বয়সেই ছেলেমেয়েরা এই বস্তুর স্বাদ পায়? এবং মোটামুটি, যৌবনের প্রথম দিকেই এই বিষয়টিকে পানিভাতের পর্যায়ে না নিয়ে গেলেও আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের মতো জ়িনিষটা অতটা পোলাও-কোরমার পর্্যাতয়ে অন্তত থাকে না তাদের জন্য।
মাদকাসক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে টেকনিক্যাল আলাপ এ যাবো না - আমি নিজে প্রায় ৪ বছর মাদকাসক্ত ছিলাম।আমি বাংলাদেশের মাদক এর চক্রটা কিভাবে কাজ করে, খুব ভাল করে জানি। প্রত্যেক মাদক সেবক যে কিভাবে একজন করে মাদক সাপ্লায়ার এ পরিনত হয়, তাও জানি। এই জ়িনিষগূলোকে ভেতর থেকে না দেখলে, বোঝা খুব মুশকিল, যে কেন মাদক নিজের বন্ধ ঘরে বসে করলেও সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
মানুষের স্বাভাবিক টেন্ডেন্সি হচ্ছে সে একা একটা কাজ বেশিক্ষন চালিয়ে যেতে পারে না। এটা যেমন ভালো কাজগুলোর ক্ষেত্রে সত্য, খারাপ কাজগুলোর ক্ষেত্রেও সত্য। একজন মনের আনন্দে কবিতা লিখে যায়, কিন্তু দিনের শেষে সে চায়, তার কবিতা কেউ একজন পড়ুক, ভালোমন্দ যেরকমই হোক , একটা কিছু মন্তব্য করুক। খারাপ কাজগুলো ও একই ভাবে বন্ধ দরজার পেছন থেকে বেরিয়ে আসে।
-মেফিস্টো
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। এই যে আমাদের দেশে হাস হাস, চুপ চুপ মেন্টালিটি আছে তার ফলে কী বিকৃত যৌনাভ্যাস কমে গেছে আমাদের দেশে? এই লিংক থেকে বাংলাদেশের গে মানুষের একটা ধারণা পাবেন। অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর গ্যারি ডাওসে একটা গবেষণায় দেখেছেন বাংলাদেশের জটিল এবং বিচিত্র এক প্যাটার্ণের গে সেক্স বিদ্যমান। পুরুষ কাজিন, শালা-দুলাভাইয়ের মধ্যে এধরণের গে সেক্স হয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা কতটুকু?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পরোক্ষ ধূমপানে বছরে ১ লাখ ৬৫ হাজার শিশুর মৃত্যু
Lancet এর লিংক। এটি এসব বিষয়ের এক নম্বর জার্নাল।
এটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা দেয়া যায়? বা এরকম নিয়ন্ত্রণ করা কিভাবে সম্ভব?
কিন্তু ধুমপান লিগ্যাল। ইলিগাল করে দিলে সমস্যার সমাধাণ হবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লিগ্যাল হওয়াতে তো সমস্যা মিটছে না। আর মাদকদ্রব্য তো ধূমপানের চেয়ে ভয়াবহ। সেটা কিভাবে এ্যাডাপ্ট করা যাবে?
সিগারেটের সেকেন্ড হ্যান্ড এফেক্ট অনস্বীকার্য। যেহেতু এখানে ধুমপায়ী ছাড়াও আশেপাশের অন্যদের ক্ষতি করছে তাই ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যাপারটি আর এপ্লিকেবল হয় না। ব্যক্তি স্বাধীনতা আর ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকে না যদি সেটা অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে।
হ্যাভিং সেইড দ্যাট, সিগারেট ব্যানও কোন পূর্ণ সমাধান নয়। কারণ এখানে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকারদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ফার্স্ট হ্যান্ড স্মোকারদের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। উপরন্তু ব্যান করলে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোক এফেক্ট আরো খারাপ হবে। কেননা মানুষ তখন ঘরে লুকিয়ে স্মোক করবে। এই ক্ষতি থেকে তখন তার নিজের পরিবারের লোকজনই বেশী আক্রান্ত হবে।
যেটা করা যায়, সেটা হল ডিজাইনেটেড স্মোকিং স্পেস করে দেয়া। ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের পর অ্যারিজোনাতে এটা করা হয়েছে। আমাদের দেশে এরকম একটা ব্যবস্থা নেবার আগে সায়েন্টেফিক পদ্ধতিতে এর সুফল এবং কুফল মেপে দেখতে হবে। যেমন, একটা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে কন্ট্রোলড উপায়ে এই নিয়ম খাটিয়ে দেখতে হবে কাজ করে কিনা। তারপর আরো বড় স্কেলে এটা এপ্লাই করতে হবে।
মোদ্দা কথা হচ্ছে একেকটি মাদক কিভাবে বর্তমানে (ব্যান থাকাকালীন সময়ে) মানব জীবনে কিরকম এফেক্ট ফেলছে এবং ব্যান তুলে দিলে কিরকম এফেক্ট ফেলতে পারে, এর সমাধানই বা কি; সেটা গবেষণা করা প্রয়োজন। আমি বলতে চেয়েছি যে এই এফেক্টটা এখনকার চেয়ে খুব বেশী খারাপ হবে না, বরং যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছি যে এটা উল্টো সুফল বয়ে আনতে পারে। চোখ বন্ধ করে বিনা প্রশ্নে ধর্মীয় এবং প্রচলিত আইনের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছু মেনে না নিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং গবেষণা হোক। সেটাই হবে মানুষ হিসেবে আমাদের মঙ্গলতর পৃথিবীর দিকে উত্তরণ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রিসার্চ হাইপোথিসিস হিসেবে এই প্রস্তাবনা আমাদের দেশের জন্য অনেক উচ্চাভিলাষী। শুধু মাত্র অবজারভেশনাল কাউন্ট থেকেই যে ধারণা পাই/পাওয়া যায় তাতে এ ধরনের স্টাডির প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না। উপরে একজনের মন্তব্য পড়লাম সেখানে লিখেছেন মাদক এমনই জিনিস যেটা একসময় ডোজ বাড়াতেই হয়। তার কথা আমার কাছে সত্যি বলেই মনে হয়।
তবে আপনার একটা পয়েন্টে আমি দ্বিমত করতে পারছি না-- এটা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা হওয়া উচিত। যদিও এধরনের গবেষণা (বিদেশে করলে) রিসার্চ এথিক্স বোর্ড অনুমোদন করবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আর বাংলাদেশে যেখানে সাধারণ ড্রাগের জন্যই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়না (আমার জানা মতে) সেখানে মাদক নিয়ে এধরনের গবেষণা বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য কিনা সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ।
সকলের সব যুক্তি অগ্রাহ্য করে লেখকের নিজের যুক্তির পেছনে আঠার মতো লেগে থাকাটা খুবই অদ্ভুত! লেখক তো বুয়েট'র ছাত্র ছিলেন, বুয়েটের কোন উদাহরণ কি উনার খেয়াল নাই, নাকি উনি জানেন না কে জানে! ৯৬ ব্যাচের সিইসি'র একজন বিখ্যাত ছাত্র, যিনি এইচ, এস, সি-তে কোন একটা বোর্ড এ প্রথম হওয়া, মাদকাক্তির জন্য তার কি অবস্থা হয়েছিল সেটা বুয়েটে তার সমসাময়িক ব্যাচের সবার'ই জানার কথা। আর রশিদ হলে কোন এক অনেক অনেক সিনিয়র ভাইয়ের মাদকাসক্তির প্রভাব কি পর্যায়ে ছিল তার বর্ণনা দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার নুরু মিয়া আর আউলা'র ক্যান্টিন ম্যানেজার।
আর আইন না করে শুধু সচেতনতা দিয়ে কিভাবে মাদক থেকে আসক্তদের দূরে রাখা যায় সেটা একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হতো।
আপনার কি ধারণা আমি চিন্তা ভাবনা না করে সিম্পলি একটা লেখা পড়ে অনুবাদ করে দিয়েছি? আর এখন সবাই আমাকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে। সুতরাং আমার হাতে পায়ে ধরে মাফ চাইতে হবে? ব্যাক অফফ...
মাদক সেবন আর মাদক আসক্তির পার্থক্য বোঝেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুর্শেদ ভাই, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন। এবং জটিল বিষয়ে। আপনি এমন জায়গায় কলম ধরেছেন, যে জায়গায় মানুষের জ্ঞান ম্যাচিউরড নয়। ম্যাচিউরড বলতে বোঝাতে চাচ্ছি, নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে কোন একটি বিষয়কে না দেখে, সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তা বিশ্লেষণ করা এবং এর একটা বৈশ্বিক, সাধারণ সমাধান বের করা। অনেকটা mathematical formulation and solution এর মতো। স্থান, কাল, পাত্র ভেদে যা সত্য বলে গৃহীত হবে। এখানেই সমস্যা। মন্তব্যকারীদের মধ্যে যাঁরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর। বুঝতে পারছেন সমস্যা কোথায়??
আসলে, মাদক সেবন ব্যাধি নয়। ঠিক তেমনি অপরিচিত যৌনাচারও ব্যাধি নয়। যদি এগুলো ব্যাধি হতো, তাহলে আপনি যেমনটি বললেন, অন্যান্য আরও অনেক বিষয়ও ব্যাধি হবার কথা ছিলো। কিন্তু, ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত গন্য করা হয় না। কারন, সেগুলো সাধারনে 'গৃহীত'।
সমস্যাটা আসলে মাত্রা নিয়ে। এবং এ নিয়ে বেশী কিছু বলার মতো জ্ঞান আমার নাই।
আপনার বিষয়বস্তুর জটিলতার আরেকটি দিক হলো, এর সাথে নৈতিক শাস্ত্র জড়িত। আধুনিক sophisticated সমাজের নৈতিক শাস্ত্র অনেক জটিল এবং এর উত্তর বের করাও অনেক কঠিন।
আমি বুঝতে পারছিনা কিভাবে বলবো। কারন, বলা কঠিন। একটা উদাহরন দেই, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন,
এখন বলেন, এই যৌনাচার, সিদ্ধ না অসিদ্ধ, তার সিদ্ধান্ত কিভাবে নেবেন? অনেকে আছেন, এই ধরনের যৌনাচারে বমি করে দেবেন। আমার ধারনা, তারা সংখ্যায় নগন্য। অনেকেই আছেন যারা বলবেন, 'বিমলানন্দ পেলুম।'
আসলে এই ব্যাপারগুলো এমন, আমরা যদি আমাদের অভিজ্ঞতা, নৈতিক ধ্যান-ধারনাগুলোকে, a set of assertions আকারে প্রকাশ করতাম, তাহলে আমার ধারনা, ঐসব assertion'র ভ্যারিয়েবলগুলোর valueর এমন কোন কম্বিনেশন পাওয়া যাবে না যার জন্য সব assertion ই true হয়।
আমি কি বোঝাতে পারলাম, না গেজাইলাম?
ধন্যবাদ,
সাজ্জাদ বিন কামাল
চমৎকার ব্যাখ্যার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি সবচেয়ে পার্ফেক্টলি ধরতে পেরেছেন আমার পয়েন্টগুলো। এবং আপনার কনসার্ণগুলোও ভ্যালিড। কিন্তু "আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?"
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই, বেশ কৌতুহল নিয়ে ফলো করছি। বেশ স্পর্শকাতর একটা বিষয় এটা। জর্জ কার্লিনের ভিডিওটা প্রাসঙ্গিক মনে হলো।
এক অতিথি লিখেছেনঃ
আমি কিন্তু অনেককেই চিনি এমন। নিজেও বেশ কয়েকবার গাঁজা খেয়েছি। খারাপ লাগেনি, কিন্তু আসক্তও হইনি। আমার কেসটা অবশ্যই ইউনিক না, সচলায়তনে খুঁজলে নিশ্চয় পাওয়া যাবে আরো। তবে আমার আসক্ত না হবার একটা কারণ সম্ভবত আমার পারিবারিক পরিবেশ, আমি খোলাখুলিভাবেই এসব বিষয়ে মা-বাবার সাথে কথা বলতে পারি। কিন্তু সমাজের বাস্তবতা হলো, সবাই আমার মতো লাকি না। কোথায় থামতে হবে এই ম্যাচিউরিটি বেশিরভাগেরই থাকে না, ফলাফলটা হয় ভয়াবহ।
________________________________
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সময় করে ভিডিওটা দেখব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয়না, মুর্শেদ ভাই নিজের কোন সিদ্ধান্ত জানাতে চাচ্ছেন। আমি যতোটুকু বুঝেছি, তাহলো, ওনার প্রশ্ন, 'ক' যদি সাধারনে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে 'খ' তার চেয়ে কম ক্ষতিকর জিনিস হয়েও কেন অগ্রহণযোগ্য বা নিষিদ্ধ থাকবে? শুধুমাত্র, বেশীরভাগ লোকে করেনা এজন্য??
ধন্যবাদ
সাজ্জাদ বিন কামাল
ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কেন যেন লেখকের বক্তব্য একটু অগোছালো বলে মনে হল। এই অর্থে যে পূর্ব ও পশ্চিমের সমাজে বেশকিছু কর্মকান্ড সামাজিকভাবে অবৈধ মনে করা হয় এবং তাতে প্রচলিত ধর্মেরও সমর্থন আছে এই নিয়ে ভূমিকা করার পরে মূল বক্তব্য নেশাদ্রব্যের সিদ্ধতার সমর্থন আদায়ের জন্য এলকোহলজাতীয় পানীয়ের নিয়মতান্ত্রিক বৈধতাকে সহযোগী যুক্তি হিসেবে ধরে বর্তমান সমাজে নেশাদ্রব্যের ব্যাবহার ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক বা ধর্মীয় রীতির বদলে বৈজ্ঞানিক ও আধুনিক গবেষণার প্রয়োজন বলে অভিমত পেশ করা হয়েছে।
এইখানে একটু মনে হয় ফাঁক আছে, অধিকাংশ সমাজেই সমাজপতিরা ধর্মের ঢাল ব্যাবহার করলেও খুব কম দেশেই নেশাদ্রব্যের ক্ষেত্রে সরাসরি ধর্মীয় আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে লাইসেন্স নিয়ে ট্যাক্স দিয়ে লালপানি খাওয়া বৈধ হলেও সেটির সমর্থন কোনভাবেই ইসলাম ধর্মে নাই। এখন সেটাকে ভিত্তি ধরে নিয়ে গাঁজা বা ফেন্সিডিল ট্যাক্স দিয়ে খাওয়ার সুযোগ করা উচিৎ কি উচিৎ না সেটি নিয়ে আলোচনার সময় ধর্মের কল সম্ভবত আসে না।
’১০ সালের আমেরিকার প্রতিরক্ষা বাজেট ৳৬৬৩ বিলিওন, যদিও নেশাদ্রব্যের বাজারও বেড়েছে মনে হয়।
পুরনো চুটকিটা পুরো লেখাতেই বার বার মনে হচ্ছিল, মিথ্যা তিন রকমেরঃ মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা আর পরিসংখ্যান। )
আপনি আপনার পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেশার কালো ছোবল থেকে বেঁচে থাকুক।
১.মাদক সেবন আর আসক্তি দুইটা ভিন্ন ব্যাপার।
২. মাদক সেবন বৈধ করলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করবে আর আসক্ত হবে যুক্তিটায় খানিকটা গলদ আছে, কারণ প্রবাসে তো এলকোহল ফ্রি, সেই হিসাবে তো সকল বাংলাদেশীদের(প্রবাসী) এতে আসক্ত হবার কথা।
৩. আমাদের দেশে মাদকদ্রব্য(মূলত এলকোহল জাত পানীয়) নিয়ে একধরনের ধর্মীয় ভণ্ডামি আছে। আপনার প্রবাস থেকে বৈধ ভাবে কেনা এলকোহল বাংলাদেশ বিমানবন্দরের কাস্টমস আটকে দেবে। শুধুমাত্র বিদেশী পাসপোর্ট ধারীরা এটা বহন করতে পারবে(ডিক্লেয়ারেশন ফর্মে এর উল্লেখ আছে)। একই মাদকদ্রব্যের জন্য বাংলাদেশী এবং বিদেশীদের জন্য দুরকম কানুন আবার দেশের ভেতর বার চালু যেখানে যে কোন দেশের লোক পান করতে পারে!
৪.
এটাই মূল কথা। (একটু অফ টপিক তাও বলি সংবিধানে আছে মহান আল্লাহর উপর আস্থা স্থাপন, এইটা যদি সবাই বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিত তাহলে দেশে হুমায়ুন আজাদ এর মত মুক্তমনা পাওয়া যেত না)
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ। ফলো করছি।
তারাপ কোয়াস wrote : একই মাদকদ্রব্যের জন্য বাংলাদেশী এবং বিদেশীদের জন্য দুরকম কানুন আবার দেশের ভেতর বার চালু যেখানে যে কোন দেশের লোক পান করতে পারে!
তাই কি? বাংলাদেশীদের জন্য বারে পান করা কি অবৈধ নয়?
-কুটুমবাড়ি
বাংলাদেশীদের জন্য বারে পান করা অবৈধ নয়, কমপক্ষে ডেটা সেই কথাই বলে। তাহলে লাইসেন্স প্রাপ্ত বারগুলি ভাতে মারা যেতে অনেক আগেই
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
বাংলাদেশের লাইসেন্স প্রাপ্ত বারগুলি অ-লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ্যপায়ীদের জন্যই টিকে আছে এখনও। ওয়ান ইলেভেনের পরে অভিযানের ভয়ে বারগুলি কিছুদিনের জন্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। যাঁরা বিক্রি করছেন তাঁদের লাইসেন্স থাকলে কী হবে, বেশির ভাগ ক্রেতা-গ্রাহকের লাইসেন্স না থাকাই ছিল এর কারণ।
-কুটুমবাড়ি
+ বারের ভেতর "বাংলাদেশীয় নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ" এজাতীয় কোন নোটিশ চোখে পড়েনি।
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
কিন্তু বারের ভেতর "বাংলাদেশীয় নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত" এ-জাতীয় কোনো নোটিশও কখনো দেখেছেন কি? বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনা লাইসেন্সে অ্যালকোহল বিক্রি করা যেমন নিষেধ, পান করার ক্ষেত্রেও তেমনি। অবশ্য নন-মুসলিমদের (যাঁরা মোট জনসংখ্যার খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ) জন্য আলাদা বিধান থাকলেও থাকতে পারে, আমি শিওর নই।
-কুটুমবাড়ি
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বিষয়ে যেসব বিধি প্রযোজ্য, সেগুলো মুসলিম আর অমুসলিমের জন্যে ভিন্ন, এই ধারণাটা আপনি ঠিক কীভাবে পেলেন?
আর বাংলাদেশে অমুসলিমরা মোট জনসংখ্যার "খুবই ক্ষুদ্র" অংশ, এটা আপনি কোথায় পেলেন? একটা রেফারেন্স দেবেন প্লিজ।
কিছু মনে করবেন না, আগেও দেখেছি, আপনার মন্তব্যে মাঝে মাঝে সূক্ষ্ম আঁশটে সাম্প্রদায়িক দুর্গন্ধ থাকে। এর আগে আপনি ট্যুরিজম নিয়ে লিখতে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে মদখোর বানিয়ে দিয়েছিলেন, আমার স্মরণে আছে।
এ ধরনের মন্তব্য যদি চালিয়ে যেতে চান, তাহলে একজন সদস্য হিসেবে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সচলায়তন বোধহয় প্রশস্ত জায়গা নয়।
আমি শুধুমাত্র অ্যালকোহলের কথাই বলেছি। অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যাপারে একই বিধান থাকলেও অ্যালকোহলের ব্যাপারে কিছুটা ভিন্নতা আছে বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবের সাথে অ্যালকোহলের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তা ছাড়া ঢাকাসহ জামালপুর, টাঙ্গাইল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি জেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মেশার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। অন্তত আমার কাছে অমুসলিমদের অ্যালকোহলের ব্যাপারে অনেক বেশি উদার মনে হয়েছে। এমনকি তাঁদের বাড়িতেই তৈরি হতে দেখেছি, নিজেও অংশ নিয়েছি। বিষয়টি প্রশাসনের জানা থাকলেও তাঁদের কখনো আপত্তি আছে বলে শুনিনি। তবে প্রশাসনের এই অনাপত্তি শুধুমাত্র খাওয়ার ক্ষেত্রে, বিক্রি করাটা তাঁদের পক্ষেও অবৈধ।
কথাটা বলেছি বারের গ্রাহক সংখ্যা বিচার করার জন্য। বারে যাঁরা যান তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলিম এ কথাটা বোঝাতে। আমার কয়েকজন মুসলিম বন্ধুকে দেখেছি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তাঁদেরকে মিথ্যা ডাক্তারি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়েছে।
হিম্ভাই, একটা রেফারেন্স দেবেন প্লিজ। অবশ্য আপনি আমার ট্যুরিজম নিয়ে লিখার কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সেখানে আপনি কোনো মন্তব্য করেছিলেন বলে মনে পড়ছে না। ওই সিরিজের লেখাগুলো মূলত অনুবাদ ছিল, অর্থাৎ কোনো বক্তব্যই আমার মনগড়া ছিল না। তবুও অনেকের কাছে অতিরিক্ত সরলীকরণ মনে হওয়ায় আমি সেখানে দুঃখও প্রকাশ করেছিলাম বলেই মনে পড়ছে।
আমার অনেক বন্ধুই অমুসলিম। তাঁদের ধর্মীয় উৎসবেও আমি অংশগ্রহণ করে থাকি। শুধু সম্প্রদায় নয়, ধর্ম, লিঙ্গ, বয়স, গোত্র, বংশ বা শ্রেণি বিচার করে আমি বন্ধু তৈরি করি না। এসব ভেদবিচার প্রকাশ পায় এমন কোনো মন্তব্য বা লেখাও আমার কোথাও প্রকাশিত হয়নি বা কেউ শুনেছে বলে দাবি করতে পারবে না। না অনলাইনে, না অফলাইনে। এমনকি আমি নিজে কোন ধর্মের অনুসারী বা আদৌ কোনো ধর্মের অনুসারী কি না তাও তো আপনার জানার কথা নয়। আশা করি আপনার এই অমূলক ধারণা পোষণ করার একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা পাব। ধন্যবাদ।
-কুটুমবাড়ি
আমি মন্তব্য করি কম। আপনার লেখায় মন্তব্য দেখেননি বলে তার মানে তো এই নয় যে লেখা পড়িনি।
আপনি কোন ধর্মের অনুসারী, সেটা জানার কৌতূহলও আমার নেই। সাম্প্রদায়িক হওয়ার জন্যে একটা নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীও হতে হয় না, তাই না? আপনাকে আমি বিচার করবো আপনার লেখা আর মন্তব্য দিয়েই, অমুসলিম বন্ধুর সংখ্যা দিয়ে নয়। আপনার ব্যক্তিজীবনকে অনুসরণের অবকাশ তো আমার নেই। কাজেই যদি আপনার লেখা আর মন্তব্যে আমি সাম্প্রদায়িকতার পুনরাবৃত্ত প্যাটার্ন পাই, পাঠক হিসেবে সরাসরি জানিয়ে যাবো। আমার ধারণা অমূলক হলে, ভালো।
বুঝলামনা। অমুসলিমরা কি মাইনরিটি গ্রুপ না?
আমারও তাই মনে হচ্ছে। সচলের নীতিমালা পড়ার পর, এখানে সচল হবার ইচ্ছা ওদায় গেছে। সচলায়তন কিছু ব্যাপারে সংবেদনশীল, এই জাতীয় কিছু লেখা ছিলো। যেমন, দেশপ্রম ইত্যাদি বড় বড় ব্যাপার। আমার কাছে এই নীতিমালা পুরোপুরি সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। যদি Free Speech এর কথা বলা হয়, তাহলে সেটা সবখানে যতোদুর সম্ভব সমানভাবে প্রয়োগ হওয়াটাই নৈতিক নয়কি? আল্লাখোদার গুষ্ঠি নিয়া কথা বললে সেটা একেবারে আধুনিক যুক্তিপূর্ণ হবে, আর বাদবাকী বিষয়গুলো, যেগুলো আমার সংবেদনশীলতার তালিকায় আছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলা যাবে না, এটা কেমন নীতি?
বুঝতে পেরেছি। হাওয়া যেদিকে যায়, পাল সেদিকেই ঘোরাতে হবে। নাইলে হবে কেমনে? বিশেষ করে যখন আছি, মুক্তমনাদের দেশে?
খোদা হাফেজ
সাজ্জাদ বিন কামাল
The speech is free but the platform is not.
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আর আমার মত অবিশ্বাসীর সংখ্যা শুধু ক্ষুদ্র না, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সেটা জানার জন্য মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশের কারও সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পড়ে না।
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
আপনার এই মন্তব্যটি আপত্তিকর হিসেবে অভিযুক্ত করা যেত, তবে আমি তা করতে চাচ্ছি না।
আপনার প্রথম দিককার মন্তব্যগুলো আবারও পড়লাম। এখন আপনি বলছেন বটে আলাদা বিধানের কথা আগেই জানতেন, কিন্তু আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে তো তা মনে হলো না।
আপনি কি বলতে চাইছেন বাংলাদেশে বিমানবন্দরের জন্য এক ধরনের আইন আর বারের জন্য আরেক ধরনের আইন প্রচলিত? কোনো রেফারেন্স দিতে পারবেন? "দেশের ভেতর বার চালু যেখানে যে কোন দেশের লোক পান করতে পারে"! পারে তো বটেই, তবে সেটা আইনত বৈধ না অবৈধ তা জানার চেষ্টা করেছেন কখনো?
"বাংলাদেশীদের জন্য বারে পান করা অবৈধ নয়, কমপক্ষে ডেটা সেই কথাই বলে।" আপনি এই ডেটা কোত্থেকে সংগ্রহ করেছেন জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
আপনার যদি দেশের আইন-কানুন জানা না থাকে তাহলে বার কর্তৃপক্ষের কী ঠেকা পড়েছে সেটা আপনাকে জানানোর? তাও আবার নিজের ব্যবসার ক্ষতি করে!
এই বার বলুন, অ্যালকোহল গ্রহণের পারমিট পেতে বাংলাদেশের ক-জন মুসলিম (মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৮ ভাগ) মিথ্যা স্বাস্থ্যগত অজুহাত দেখিয়ে ডাক্তারি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে থাকেন বা করতে পারেন? সে হিসাবে বারগুলি শুধুমাত্র পারমিট প্রাপ্তদের কাছে অ্যালকোহল বিক্রি করতে গেলে যে ভাতে মারা যাবে তাতে কি আপনার কোনো সন্দেহ আছে? আপনি একটি ফোরামে এসে আপনার মনগড়া তথ্য বা ধারণা প্রকাশ করবেন কিন্তু সেটা ধরিয়ে দিলেই চটে যাবেন তা তো হয় না, তাই না? ভাই, আপনি সারা জীবন ভুল ধারণা নিয়ে কাটিয়ে দিতে চান দেন, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে আরও অনেক লোকের বিভ্রান্ত হওয়ার অবকাশ ছিল বলেই আমি মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছি।
"মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ" বলতে কাকে বোঝাতে চাইছেন? যদি আমাকে বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বলি, আমি জনসংখ্যার "ক্ষুদ্র অংশ" না "বৃহৎ অংশ" তা আপনি কী করে জানলেন? এভাবে শ্রেণিবিভাজন করাটা কি খুব জরুরি? অন্তত আমার কাছে খুবই দৃষ্টিকটু লাগল জিনিসটা। আরেকটা ব্যাপার, কেউ আপনাকে কোনো সার্টিফিকেট দিতে চেয়েছে এমন ধারণা আপনার কী করে হলো? একটু বুঝিয়ে বলবেন, প্লিজ?
-কুটুমবাড়ি
এবার আপনার কয়েকটি মন্তব্য দেখি
অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশের এলকোহল লাইসেন্স এর ব্যাপারে ভালোই ধারণা রাখেন, তবে "নন-মুসলিমদের" এর ব্যাপারে আপনার ধারণা স্পষ্ট নয়।
এবার দেখি পরবর্তীতে আপনার মন্তব্যগুলি
আপনি নিজেই বলছেন বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে মেশার সৌভাগ্য হয়েছে আপনার, উৎপাদন সম্পর্কে প্রশাসনের সম্মতির কথাও জানেন(!), আপনার "কয়েকজন মুসলিম বন্ধুদের মিথ্যা ডাক্তারি সার্টিফিকেট সংগ্রহের ব্যাপারে অবগত, এত কিছু জানার পরও নন-মুসলিমদের(বিধান) ব্যাপারে জানেন না।
এখন কোট করা ধারার সাথে আপনার করা মন্তব্যগুলো মিলিয়ে দেখলে মনে হয় আপনি পূর্ণভাবেই মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১০(২)সম্পর্কে আগে থেকই অবগত, অথচ ফোরামে এসে বললেন ভিন্ন কথা তার উপর আবার "শিউর" না! কি চমৎকার!
আর আইনে তো স্পষ্টভাবেই বলা আছে সবার জন্য পারমিট প্রযোজ্য শুধুমাত্র একটি বিশেষ ধর্ম মতাবলম্বী জন্য বিশেষ বিধান এর কথা। আর আপনি তথ্যটা উপস্থাপন করলেন উল্টোভাবে!
হিমু ভাই এর প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আপনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শোনান "নন-মুসলিম"দের এলকোহল উদারতার কথা, উৎপাদনের কথা আর চেপে যান মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে পূর্ব থেকই অবহিত হবার কথা। কেন বললাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? কারণ আপনার বর্ণনা থেকে এটা ধারণা করাই স্বাভাবিক যে শুধু "নন-মুসলিম"রাই এলকোহল সম্পর্কে উদার বা এটা উৎপাদন করে। আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু আপনার দেয়া চিত্রের চেয়ে বিপরীত চিত্র দেয়, কিন্তু সেটা দিয়ে কিন্তু একটা গোটা সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করতে যাইনি কারণ সেটা হয়তো হবে একটা ভুল চিত্র।
স্পষ্টভাবে আপনার সাম্প্রদায়িকতার ইংগিত করা লাইন সম্পর্কে হিমু ভাইয়ের করা প্রশ্নের উত্তরে শুনি আপনার বিপরীত মেরুর ব্যাখ্যা! আপনি লিখবেন কলম আর সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলবেন আরে আমিতো কাঁঠাল বুঝিয়েছি, তাইলে ক্যাম্নে কি?
এবার আমার সম্পর্কে মন্তব্যে দেখি আপনার আবারো সূক্ষ্ম ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য আর, একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বী পক্ষে সাফাই গাওয়া:
আপনার বোধহয় ধারণা আমি মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা আর বাংলাদেশের মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসী কতজন সে সংখ্যা সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই কি বন্ধনীর ভেতরের সংখ্যাটা কোট করার করেছেন?
বাংলাদেশে মিথ্যা ডাক্তারির সার্টিফিকেট পাওয়া কি খুবই দুর্লভ?(উপরে আপনিই কিন্তু বলেছেন আপনার কয়েকজন মুসলিম বন্ধুদের মিথ্যা ডাক্তারি সার্টিফিকেট সংগ্রহের কথা)।
আমার প্রথম মন্তব্য সম্পূর্ণ কোট করেছেন আর দিয়েছেন আপনার মনগড়া ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশ গণ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র, কোন ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়। ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের বিভাজন করতে পারে না, যদি করে সে ক্ষেত্রে আমার মন্তব্য ছিল এটা রাষ্ট্রের ধর্মীয় ভণ্ডামি। এর পরের লাইনে করা মন্তব্যে স্পষ্ট বলা হয় একই মাদক আইনের দুই জায়গায় ভিন্ন প্রয়োগ সম্পর্কে, আপনি নিরীহ টাইপের প্যাঁচানো প্রশ্ন তুলে মন্তব্যের ফোকাস সরিয়ে আনেন।
প্রথমত আপনার অভিযোগ (আমার সম্পর্কে) আংশিক সত্য। বারে পান করতে হলেও পারমিট দরকার হয় সেটা জানা ছিল না। কেন ছিল না তার সংক্ষেপিত ব্যাখ্যা আমার পরের দুই মন্তব্যে দিয়েছিলাম।(আবারও বলি বৈধ কি অবৈধ, আমার মন্তব্যে তার ফোকাস ছিল না)
১. বলেছিলাম "কমপক্ষে ডেটা সেই কথাই বলে।" তা কি সেই ডেটা তা আপনি ঢাকার ফার্মগেটে দুইটা বারের ভিতর সন্ধ্যা থেকে লক্ষ করুন, তাহলেই উত্তর পাবেন। দেখুন কতজন ক্রেতার লাইসেন্স চেক করছে বার কর্তৃপক্ষ।
২. "বারের ভেতর "বাংলাদেশীয় নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ" এজাতীয় কোন নোটিশ চোখে পড়েনি" এটা নিয়ে আপনার চমকপ্রদ উত্তর পাই "আপনার যদি দেশের আইন-কানুন জানা না থাকে তাহলে বার কর্তৃপক্ষের কী ঠেকা পড়েছে সেটা আপনাকে জানানোর? "
হাসবো না কাঁদবো ঠিক বুজতে পারলাম না। "সংরক্ষিত এলাকা, সর্বসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ" এ জাতীয় সাইনবোর্ড কি কখনো দেখেছেন(না দেখে থাকলে সংসদ ভবন এলাকায় যেতে পারেন) আপনার থিউরি মানলে মনে হয় কর্তৃপক্ষ মশকরা করার জন্য এই ধরণের নোটিশ লিখে রেখেছে। দেশের নাগরিকবৃন্দের উচিত সমস্ত আইনকানুনের সমস্ত ধারা সবসময় মনে রাখা! প্রবাসে লিকার শপে বা বারে বা সুপার মার্কেটে ২১বছরের নীচে(এখানে ১৮বছর) এলকোহল এবং সিগারেট কেনা নিষিদ্ধ বড় করে লেখা এই বিজ্ঞপ্তি সেও বোধহয় মজা করার জন্য। জনগণকে অবহিত করার জন্য না।
আপনি সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিত দিয়ে মন্তব্য করবেন আবার কেউ তা কটাক্ষ করলে আবার চোখও রাঙাবেন, তা বেশ ভালো লাগলো!
হিমু ভাইয়ের ২য় মন্তব্যের ২য় প্যারাটা বোধহয় আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে, তা না হলে একই প্রশ্ন আবারও করতেন না। তাই হিমু ভাইয়ের মন্তব্যটুকু সরাসরি কোট করছি:
(আপনার সাথে আর বিতর্কে অংশগ্রহণে আগ্রহী নই, তাই এটাই শেষ মন্তব্য। শুভরাত্রি )
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা
love the life you live. live the life you love.
জনাব তারাপ কোয়াস,
আপনার সম্পর্কে আমার অভিযোগ (আংশিক!) সত্য বলে মেনে নিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ, যদিও কেন আংশিক সত্য অর্থাৎ কেন অভিযোগটি পরিপূর্ণ সত্য নয় তার ব্যাখ্যা না দিয়ে বরং আমার মন্তব্যগুলোর অপব্যাখ্যা করে এমন সব পালটা মনগড়া অভিযোগ এনেছেন যা প্রচণ্ড আপত্তিকর (অথচ আবার বলছেন বিতর্কে অংশগ্রহণের ইচ্ছে নেই! তাহলে এসব মিথ্যে অভিযোগ ছুড়ে দেয়ার উদ্দেশ্যটা কী?)। একে একে বলি-
সবগুলো মন্তব্য পড়ার পরেও আপনার মনে হলো, "আমি আগেই পূর্ণভাবে অবগত" ছিলাম? আজিব (ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশন, রাগিব ভাইয়ের মন্তব্যের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাটি দেখার পরই বিষয়টি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পেরেছি, তার আগ পর্যন্ত ভাসা ভাসা একটা ধারণা বা অবজারভেশন ছিল শুধু)!
আরে ভাই, আমি আপনার মতো মনগড়া কথা বলতে শিখিনি। যেটুকু শিওর ছিলাম সেটা সরাসরিই বলেছি, আর যেটুকু সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা ছিল সেটুকু কোট করে দিয়েছি যেন আমার সেই কথাটা কেউ রেফারেন্স হিসেবে না নেয়।
হুম! আইনের ধারাটি যদি আগেই জানতাম তাহলে হিমু ভাই যখন জানতে চাইলেন, "বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বিষয়ে যেসব বিধি প্রযোজ্য, সেগুলো মুসলিম আর অমুসলিমের জন্যে ভিন্ন, এই ধারণাটা আপনি ঠিক কীভাবে পেলেন?" তখন কি আমি বলে দিতাম না যে, এটা "আমার ধারণা" নয় বরং এটাই "বাস্তবতা", এবং বাংলাদেশের অমুক আইনের তমুক ধারায় ওই বিধি উল্লেখ করা আছে? আপনার কী মনে হয়?
সরকার যে অ্যালকোহলের ব্যাপারে শুধুমাত্র "মুসলিম"দের জন্য আলাদা বিধান রেখেছে তার জন্য কি তাহলে আমিই দায়ী?!! আপনার কথায় কিন্তু সে রকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আপনি যদি একান্তই কাউকে "সাম্প্রদায়িক" গালি যদি দিতে চান তাহলে সেটা আমার জন্য বরাদ্দ না রেখে বাংলাদেশ সরকারের জন্য বরাদ্দ রাখেন। কারণ অ্যালকোহল-সংক্রান্ত সাম্প্রদায়িক আইনটি আমি করিনি, প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় সেটা সম্পর্কে ধারণা (যতটুকু জানা ছিল ততটুকু, বাগাড়ম্বর করা আমার স্বভাবে নেই) দিয়েছি মাত্র।
কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বীর পক্ষে সাফাই গাওয়ার কী ঠেকা পড়েছে আমার (কেন আপনার এমন মনে হলো তার পক্ষে কোনো যুক্তিও তুলে ধরেননি)? যিনি একটি পাবলিক ফোরামে এসে বলতে পারেন, "বাংলাদেশীদের জন্য বারে পান করা অবৈধ নয়, কমপক্ষে ডেটা সেই কথাই বলে।" তাকে "মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা" মনে না হলেও "বাংলাদেশের বাসিন্দা" বলে বিশ্বাস করা কঠিন। সেজন্যই কোট করা। অন্যকিছু ভাবলে দুঃখ পাব।
আমি দু-চার জনকে মিথ্যা সার্টিফিকেট নিতে দেখেছি, কিন্তু এমন অন্তত দু-চার হাজার লোকের কথা বলতে পারব যাঁরা অ্যালকোহল গ্রহণ (পিরিয়ডিক্যালি বা অকেশনালি) করলেও এ ধরনের সার্টিফিকেট নেননি। তাহলে এবার আপনিই বুঝে নিন এ ধরনের সার্টিফিকেট সংগ্রহের ঘটনা (সার্টিফিকেট ছাড়া পারমিট পাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না, তা সত্ত্বেও) দুর্লভ কি না? আগে এক জায়গায় আপনিও ইঙ্গিত দিয়েছেন মুসলিমরাও ব্যাপক হারে অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন (আপনার এ ধারণার সাথে আমিও কিছুটা একমত)। আপনি বরং এক কাজ করুন, যাঁদেরকে দেখেছেন তাঁদের কাছ থেকেই জেনে নিন। তাহলেই বুঝতে পারবেন শতকরা কত জন এ ধরনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন বা করতে পেরেছেন।
আপনার মন্তব্যে যেটুকু আপত্তিকর অংশ ছিল শুধু সেটুকু নিয়েই আমি প্রশ্ন তুলেছি। বিশেষ করে আপনি যখন বলেন, "বিমানবন্দরে এক আইন আর বারে আরেক আইন", তাও একটি পাবলিক ফোরামে, তখন তো সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতেই হয়। আপনি একটি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করবেন আর সে ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন তুললেই বলবেন আপনার মন্তব্যের ফোকাস সরিয়ে দেয়া হয়েছে এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? রাষ্ট্রের অনেক রকম ধর্মীয় ভণ্ডামি আছে এটা সত্যিই। তা, দিন না সেগুলোর মুখোশ খুলে। অন্তত আমাকে আপনার পাশে পাবেন এই নিশ্চয়তা আপনাকে দিতে পারি।
এ ধরনের নোটিশ যত্রতত্র দেখতে পাওয়া যায়, সংসদ ভবন এলাকায় যেতে হয় না। কিন্তু আপনি বারের ভেতর "বাংলাদেশীয় নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ" এজাতীয় কোন নোটিশ চোখে পড়েনি বলে হা-হুতাশ করছেন কেন তা আবারও বুঝতে ব্যর্থ হলাম। বার এমন কোনো সংরক্ষিত এলাকা নয় যে সেখানে কোনো বাংলাদেশী প্রবেশ করতে পারবে না। তবে সেখানে বিনা পারমিটে কেউ অ্যালকোহল গ্রহণ করলে তা তাঁর নিজ দায়িত্বে করতে হবে, এবং প্রপার অথরিটি তাঁকে পাকড়াও করতেই পারেন (বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী)। অবশ্য ওই নির্দিষ্ট গ্রাহক যদি অ্যাডাল্ট না হন তাহলে বার কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারবেন না এটুকু কিন্তু আন্দাজ করাই যায়।
ঘুরে ফিরে ওই একই প্যাচাল বারবার! আমি কোন কথাটায় সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিত দিয়েছি তা আগে বলেন তার পরে যত খুশি কটাক্ষ করেন কেউ কিছু বলবে না। আমিও না। বরং চুপচাপ কানমলা খেয়ে চলে যাব, কথা দিচ্ছি।
জি না, হিমু ভাইয়ের মন্তব্য আমার চোখ এড়িয়ে যায় নাই। বরং আপনারই বোধ করি রাগিব ভাইয়ের এই মন্তব্যটি চোখ এড়িয়ে গেছে-
কারণ আমি যতটুকু জানি ততটুকুই বলতে শিখেছি, তাই যত্রতত্র এমন কোনো মনগড়া বেফাঁস কথা বলে বসি না যা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হতে পারে। ধন্যবাদ।
(আমার কোনো কথায় যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে দুঃখিত, কিন্তু যদি আরও বিতর্ক করতেই চান তাহলে দয়া করে আবারও মনগড়া যুক্তি সাজিয়ে আমার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করে স্ববিরোধী কথামালার ফুলঝুড়ি নিয়ে হাজির হবেন না, এটাই শুধু আপনার কাছে চাওয়া। শুভরাত্রি। ভালো থাকুন।)
বিদ্র. মুর্শেদ ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কিছুটা অফটপিক হওয়ার জন্য।
-কুটুমবাড়ি
সচলে আমার আনাগোনা খুব বেশি দিন না, কিন্তু সেই শুরু থেকেই মোর্শেদ ভাই এর লেখা, মন্তব্য খেয়াল করেছি এবং আপনার জন্যে একটা আলাদা শ্রদ্ধার জায়গা তৈরী হয়েছে। কিন্তু আপনার কাছ থেকে এই ধরনের লেখা আশা করিনি কখনো।
মাদককে হালাল করে কার কোন লাভটা হচ্ছে? যদি আপনার কথা মেনে নেই যে এতে সমাজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না, কিন্তু সমাজের কোন লাভটা হচ্ছে? আপনি কি সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্নকে অস্বীকার করতে চাইছেন?
[ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করবেন]
আপনার আশাভঙ্গের জন্য দুঃখিত। কারো মন রক্ষা করার জন্য লিখলে একটু চিন্তিত হতাম। কিন্তু সেজন্য লিখিনা এবং এবিষয়ে কোনো আফসোস নেই।
আপনি তিন বেলা খাওয়া দাওয়া করে সমাজের কী এমন লাভ করেন? বরং একজন লোকের খাদ্য ধ্বংস করছেন আপনি। সমাজের লাভ হচ্ছে না বলে তো আপনি আর খাওয়া বন্ধ করে সেটা অভুক্ত আরেকজনকে দিয়ে দিচ্ছেন না। দিচ্ছেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে মাদক সমস্যাটাকে দেখার ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং।
একটা উদাহরণ আমরা দেখতে পাই তামাকে। তামাকের বিপণনের ওপর কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও বাংলাদেশে তামাক একটা খুবই সহজলভ্য নেশাদ্রব্য। এটাকে বেঞ্চমার্ক ধরে সমাজের ওপর আইনসিদ্ধ নেশাদ্রব্যের প্রভাব আমরা দেখতে পারি। তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কেও প্রচারণা খুব কম নয় আমাদের সমাজে। তারপরও তামাকের আবেদন তামাকসেবীদের কাছে খুব কমেছে বলে মনে হয় না। আমার কাছে স্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই, কিন্তু কেন যেন মনে হয় একটা নির্দিষ্ট অনুপাতের মানুষ বাংলাদেশে তামাক সেবন করে।
আইনসিদ্ধ করলে মাদকের দাম কমে যাবে, ফলে মাদকের কিছু ত্রাসজনক প্রভাব কমবে, এমন একটা অনুসিদ্ধান্ত টানা যায় তোমার লেখা পড়ে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দাম কমলে তার ডোসেজ আর কাভারেজ যে বাড়বে না, সেটার নিশ্চয়তাই বা কোথায়? ফেন্সিডিল, ইয়াবা বা হিরোইটেনর মতো মাদকের প্রভাব কখনোই ঠিক কেবল ব্যক্তির নিজের পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকে না, পরিবার ও প্রতিবেশকেও প্রভাবিত করে। মাদককে আইনসিদ্ধ করে তার দাম কমিয়ে তাকে সর্বজনের নাগালের মধ্যে আনলে, সেই প্রভাববলয়টা কমবে নাকি বাড়বে, তা সিস্টেম অ্যানালাইসিস টুল ব্যবহার করে দেখতে হবে। এ জন্যে যে পরিমাণ তথ্যের প্রয়োজন, সেটাও সম্ভবত আমাদের হাতে নেই।
রাষ্ট্র ব্যক্তিকে নিজের সক্ষমতা হ্রাসে বাধা দিতে পারে কি না, এটা বেশ গভীর ভাবনাজাগানিয়া প্রশ্ন, এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রচুর আলোচনা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে নিজের জ্ঞানের বলয় সংকীর্ণ বলে সেই চেষ্টা করছি না, অন্যদের আলোচনায় চোখ রাখলাম কেবল।
এই কথায় লাইক। আমি ভাবছি আরেকটা ব্যাপার এখানে। যেমন, এগুলো লিগ্যাল করে দেবার পর অপরাধ পরিসংখ্যানিকভাবে বাড়ুক না বাড়ুক, রাষ্ট্র অপরাধ দমনের ততোধিক ব্যবস্থা নিতে পারে জনগণের মারিজুয়ানা খাবার অধিকার রক্ষা করে। কেন নয়? ওটাই সত্যিকারের গণ-কল্যাণমুখী রাষ্ট্র।
এমন অসাধারণ লেখাটা মিস হয়ে গিয়েছিল।
বহু মানুষ ধর্ম মানে না, কিন্তু ধর্মের যে দাদাগিরি, সেটা মজ্জায় মজ্জায় রয়ে গেছে। কারো ক্ষতি না করেও আপনি আপনার খুশিমত সজ্ঞানে কিছু একটা করতে যান, নানান আপত্তি নিয়ে আসবে। রাষ্ট্র তো আসবেই, মিডিয়া আসবে, সমাজ আসবে, বন্ধু আসবে, বুদ্ধিজীবী আসবে। এরা সবসময় সমাজের নানা ক্ষতির দোহাই দিবে। স্বাধীনতার বলি দিয়ে দিবে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য। এটা নিয়ে আরো কয়েকবার লেখা দরকার। বিষয়টা অবধাবন অবশ্যই সহজ নয়। আপনি যেহেতু ওই মুল্লুকে আছেন, আপনি তো জানেনই, দশজন আমেরিকানের সামনে এ বিষয় তুললেও ওরা কিভাবে চক্ষু চরক গাছ করে (অবশ্য নির্ভর করে কি ধরনের গ্রুপের স্যাম্পল)।
শিক্ষিত বাঙালি আর তাদের মিডিয়া রিপোর্টাররা একেকজন হলো ন্যায়-নীতির কাণ্ডারী। মিডিয়ার এখানে অপ-অবদান অনেক। মিডিয়া আমাদেরকে বহু আগে থেকে এসব নৈতিকতা শিখিয়ে আসছে, আর আমরা সেটা গিলে আসছি। বাঙালি শিক্ষিত সমাজের এখন সময় এসেছে ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে কদর করতে শেখা। ব্লগ থেকে তার শুরু হোক।
ব্যাক্তিগত সুরাপানের স্বাধীনতার দাম সমাজকেই চুকাতে হয় এই লিঙ্কে হালসমাজের গবেষণার ফল আছে
স্যাম হ্যারিসের উল্লেখিত আর্টিকেলটার অডিও বুক ভার্সন:
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১।
মাদক ব্যবসা চাল কেনাবেচার মত ব্যাবসা না। ভাত খেতে খেতে মানুষের ভাতাসক্তি দেখা দেয় না। (আবার হয়তো বা দেয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ খাদ্য বলতে এখনও ভাতকেই বুঝে, আলু খেয়ে পেট ভরানো তাদের কাছে ফাজলামো।) মাদকসেবীরা একসময় চড়া দামে মাদক কিনতে বাধ্য হয়, যা তারা একসময় তুলনামূলক কম দামে কিনত। চালের ব্যাপারে এটা হয় না। মাদকসেবীরা একসময় ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
সাধারণ হিসাবে, মাদক ধীরে ধীরে মানুষের মস্তিষ্ক অক্ষম করে দেয়। সে স্বাভাবিক কোন কাজ করতে পারে না। আপনি যদি উদাহরণ দেখাতে চান যে পারে, তবে আমি বলব ব্যতিক্রম উদাহরণ হতে পারে না।
২।
যৌন উত্তেজনামূলক ছবি, চলচ্চিত্র যে মোটামুটি ভালোই দেখে, সে একটা বাচ্চা মেয়ের দিকেও কুনজর দেয়। নইলে শিশুধর্ষণ ঘটত না। যৌনতা নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনার ফল সমকামিতা।
৩।
মাদক এবং নীলচলচ্চিত্র কেবল সাময়িক আনন্দের সৃষ্টি করে। কোন কাজেই আসে না সেই আনন্দ।
এইটাও দুঃখজনক
আলোচনা মিস করে গেছি বলে হাত কামড়াচ্ছি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রথমেই মুর্শেদ ভাইকে ধন্যবাদ, একটা জটিল বিষয় তুলে আনার জন্য। সব কথাই মোটামুটি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই যদিও। তবে মূল বিষয়টা হল আমার কাছে মনে হয়ছে ব্যক্তি স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রীয় আইনের conflict। রাষ্ট্র কিন্তু ট্যাক্স দিয়ে অ্যালকোহল ও সিগারেট পান করার অনুমতি দিছে। কিন্তু গাঁজা খাওয়াকে দেয় নাই। এর পরিষ্কার কোন ব্যাখাও আজ পর্যন্ত খুঁজে পাই নাই। তবে নিন্দুকেরা বলে, অ্যালকোহল corporate দের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। তবে কয়েকজন অতিথি মন্তব্য করেছেন, শুধু মজা করার জন্য কয়জন নেশা করে?? তাদের জন্য বলি কানাডার সরকারী হিসাব মতে প্রায় ৭০% কানাডিয়ান জীবনে একবার হলেও গাঁজা খেয়েছেন। কিন্তু সবাই আইন ভেঙ্গেছেন নেশা করার পর এই রকম কোন তথ্য নাই। সরকার যদি ঘরে বসে ট্যাক্স দিয়ে কেনা মদ পান করার অনুমতি দিতে পারে, তবে আমি গাঁজা খাইতেও পারি ঘরে বসে, কার ক্ষতি না করে। এইটা আমার অধিকার। এই ব্যাপারে কানাডাতে ঘটে যাওয়া দুই/তিনটা বিখ্যাত মামলার শুনানির রেফারেন্সও দিতে পারি। অবশ্য Google করলেই পাওয়া যাবে এই শুনানির রেফারেন্স ।
কলারাডোতে গাঁজা বৈধ করা হয়েছে পহেলা জানুয়ারী ২০১৪ তারিখ থেকে। এর মধ্যে অতিরিক্ত সেবন মৃত্যু বরণ করেছে কয়েকজন। এই ঘরানার প্রথম পরীক্ষা এটি। দেখা যাক শেষমেষ কোথায় দাঁড়ায় বিষয়টি।
নতুন মন্তব্য করুন