সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ঘটে যাওয়া দুঘর্টনা নিয়ে বোধ করি সবাই অবগত হয়েছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু তারচেয়ে বেশী দুঃখজনক ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অন্যান্য ঘটনাগুলো।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে লাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লাশের রাজনীতি দেশের মানুষের কাছে সহজে বিক্রী করা সম্ভব। প্রতিটা ক্ষমতা বদলের অব্যবহিত পূর্বে লাশের বন্যা বয়ে যায়। তারপর শুরু হয় এই হত্যার দাবীতে ভাঙ্চুর, জালাও পোড়াও এর অপকর্ম। ফলশ্রুতিতে দরিদ্র দেশ হয় আরও দরিদ্র, দেশ হয় অচল। সেই সুযোগে ঘটে ক্ষমতা বদল।
এবারের ঘটনায় প্রথমেই যে খটকাটি লাগে সেটি হল বি.এন.পির জনসভাটি রেললাইনের পাশেই কেন করতে হল? আর কোথাও কোন জায়গা ছিল না? এটি কি পরিকল্পিত?
দ্বিতীয় খটকা লাগে খালেদা জিয়ার উক্তি 'একটি এজেন্সী হামলা চালিয়েছে'। তিনি এত নিশ্চিত হলেন কি করে? এর পিছনে এটাই উদ্দেশ্য ছিল - অন্য পক্ষকে দোষ দেয়া? ক্ষমতাসীন একটা দল কেন আগ বাড়িয়ে মানুষ মেরে বিপক্ষ দলের হাতে রাজনীতির গুটি তুলে দিবেন?
সন্দেহটি আরো ঘনীভূত হয় ট্রেনের সহকারী চালকের কথা শুনে। ঘন ঘন সাইরেনের আওয়াজেও নাকি এই কয়েকজন সরছিলেন না। সেচ্ছা মৃত্যুই কি এদের উদ্দেশ্য ছিল? তবে ট্রেনের সহকারী চালকের কথার মধ্যে খানিক অসংলগ্নতা আছে - একবার বলেছেন চলন্ত অবস্থায় ট্রেনের ব্রেক করা সম্ভব না, আবার বলেছেন প্রধান চালক ব্রেক করে ট্রেন থামিয়েছেন। চলন্ত অবস্থায় ব্রেক করা সম্ভব না হলে ব্রেক করে থামালেন কিভাবে? কিংবা গন্তব্য পৌছে কিভাবে থামানো হয় ট্রেইন। অবশ্য বিশালাকারের লোকোমোটিভের গতিজড়তার কারনে আসলেও ট্রেন থামাতে অনেক সময় লেগে যাবার কথা।
পুরো ব্যাপারটি কি তাহলে বি.এন.পির পরিকল্পিত?
নাকি আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা? কিন্তু কেন?
নাকি স্রেফ একটি নিছক দুর্ঘটনা? তাহলে এটা নিয়ে দুদলের রাজনীতি কেন? মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এধরনের সস্তা রাজনীতি আর কতকাল?
দ্বিতীয় যে ব্যাপারটি খারাপ লাগল সেটা হল দুর্ঘটনার পর মানুষের আচরন। ঢিল ছুঁড়ে যাত্রীদের আহত করেছে সমাবেশে থাকা মানুষজন। লুটপাটের ঘটনাও নিশ্চয় ঘটেছে। একটি দুর্ঘটনায় বাঙ্গালীর এই পশুর মত আচরন কবে ঠিক হবে?
তৃতীয় ব্যাপার হল, আওয়ামী লিগ সরকারের আচরন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন-চার হাজার লোককে আসামী করা হয়েছে। আর ইউ সিরিয়াস? বুঝলাম এটা হয়ত ষড়যন্ত্র কিন্তু তাই বলে তিন-চার হাজার লোককে আসামী!!?
একটা কৌতুক শুনেছিলাম। একজন ব্যক্তির দুই ছেলে। ব্যক্তিটি দাবী করেন তার এক ছেলে ভালো আর এক ছেলের মাথায় সমস্যা। কিন্তু লোকে দেখে যে ছেলেটিকে ভালো দাবী করা হচ্ছে সেইই গাছে উঠে প্রসাব করে।
স্থুল কৌতুক - কিন্তু মূল পয়েন্ট হল যে দলটিকে আপাত দৃষ্টিতে ড়্যাশনাল মনে হয় তারাই নিবুদ্ধের মত কাজ করে। তাহলে আমরা ভরসা করব কাদের উপর?
মন্তব্য
এটা নিছকই একটা দূর্ঘটনা এবং এটা নিয়ে বিএনপি রাজনীতির মাঠ ঘোলা করা চেষ্টা করছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত না বদলেই পোস্টের কিছু প্রশ্ন রাইটঅফ করে দেয়া যায় সহজেই। যেমন,
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এইগুলারে নিয়া কথা বলতেও আর ভালো লাগে না আজকাল।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
আপনার তৃতীয় প্রশ্নের ক্ষেত্রে যতটুকু জানি মামলা করা হইছে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কারণে।
লাশ না হলে রাজনীতি জমে না। বাসে আগুন দিয়ে হোক আর ট্রেনে কেটে হোক লাশ লাগবই। আজিব দেশ একটা আমাদের। এখন যদি তদন্ত করে বেরও করে যে অমুকরা দায়ী তাহলেও কিন্তু বিশ্বাস করা যাবে না। কারন ক্ষমতা পরিবর্তন হলে তদন্তও পরিবর্তন হবে।
"আমরা সবাই হ্যাঁ ভাই হ্যাঁ ভাই ভালো মানুষের দল
নিষ্ফল শোকে নামে না দু'চোখে মেকি কান্নার ঢল!"
রোমেল চৌধুরী
প্রথমে ভাবলাম, বিরোধী দলের দোষ। এমন জায়গায় জনসভা করার জন্য। কারণ রিস্ক তো ছিলোই।
পরে ভাবলাম, সরকারী দলের দোষ। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে হিন্দিতে বিরোধী দলের দোষ দিয়ে বললেন যখন, "ডাল ম্যায় কুছ কালা হ্যায়!"
আরও পরে পেপারে দেখলাম, জনগণ ট্রেনের চালককে পোড়ানোর জন্য পেট্রল খুঁজছিলো!
অনুভূতিই হারিয়ে ফেললাম। সেটা মনে হয় বজায় থাকলো, কারণ মাত্র অফিসে আসার সময়, আমাদের কাউন্টারের বাসের নিচেই একজন পড়লো। তেমন কিছুই মনে হলো না।
আমি যতটুকু জানি, রেললাইনে কেউ কাটা পড়লে ট্রেনমাস্টারের কোন দায় নেই, কারন ট্রেন তো বললেই থামানো যায় না, জনসাধারনেরই দায়িত্ব রেললাইন থেকে সাবধানে থাকা।
এখাঙ্কার ঘটনা দুঃখজনক, এবং যথারীতি একে ইস্যু বানিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে গেছে...
আজ খবরটা শুধু একঝলক দেখলাম। রাজনীতির হিসাবটা পর্যন্ত চিন্তা করা হয় নি, খুব মন খারাপ হয়ে আছে। পুরো ঘটনাটাই অসুস্থতা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হাসিব ভাইয়ের সাথে একমত। 'কাক উড়েছে তাই তাল পড়েছে' মত যুক্তি আউমিবিয়েম্পি দুই শিবির থেকেই উঠছে। আউমিবিয়েম্পির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চরম আযোগ্যতার কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই।
দুঃখের কথা হল, মিডিয়াও কিন্তু এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকেই দেখছে। স্থানীয় সরকার ও দেশের রেলব্যাবস্থার কাঠামোগত গর্তগুলো নিয়ে কোথাও কোন কথা শুনতে পাইনি। সিরাজগঞ্জের প্রশাসক বা রেল মহাপরিচালক কে কেউ প্রশ্ন করছে না যে তাদের এখতিয়ারের ভেতরে এত বড় দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে তার কি ব্যাবস্থা তারা নিয়েছেন।
শুনলাম আদতে বিয়েম্পির এই সভাটি সিরাজগঞ্জ শহরের কেন্দ্রে হবার কথা ছিল, সে ঘোষনা সপ্তাহ খানেক আগেই দেয়া হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দরকারি ছাড়পত্র নেয়া হয়েছিল কিনা, অথবা এরকম ছাড় পত্র নেয়ার কোন ব্যাবস্থা ঢাকার বাইরে আছে কিনা আমি জানিনা। এই ঘটনার মাত্র দুদিন আগে মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন উপদেষ্টার সিরাজগঞ্জ আগমন উপলক্ষে শহরের কেন্দ্রে সিরাজগঞ্জ আউমিলীগ শুভেচ্ছা সভার ডাক দেয়। যেজন্য নাকি কর্তৃপক্ষের চাপে বিয়েম্পিকে কেন্দ্র থেকে দুর্ঘটনাস্থলে তাদের সভা সরিয়ে নিতে হয়। এগুলো শোনা কথা। ঘটনা যাই হোক, একটি জেলায় বড় লোকসমাগমের অনুষ্ঠানের কোন ছাড়পত্র নিয়ন্ত্রন থাকবেনা কেন?
আর রেলে কাটা পড়ার এই খবরটি রাজনৈতিক সম্পর্কের কারনে কাগজের প্রথম পাতায় এসেছে। কিন্তু রেললাইনে কাটা পড়ে অহরহই তো বাংলাদেশের মানুষ মরছে। রেলের হাতে টাকা নেই, লোকবল নেই এসব যুক্তি খাটেনা যখন বগুড়ার বাগবাড়ী আর গোপালঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার মত চিপাচাপায় রেলরাস্তা বসাতে বহুমিলিয়ন ডলার ঢালে।
এই দলগুলিকে কি আজীবন ছাগলামি করতেই দেখে যাবো?
দুর্ঘটনার মধ্যেও গভীর ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করার প্রেসনোটিয় সংস্কৃতি থেকে বিএনপিও বেরুতে পারলো না, আওয়ামীলীগও বেরুতে পারলো না। রেলক্রসিং এ ট্রেন আসার সময় জ্যাম লাগানোকেও ষড়যন্ত্র বানানো যেতে পারে, নাকি? ওটা কি কম মর্মান্তিক ছিল?
আজব দেশের আজব ছাগল!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ঘটনাটা দুঃখজনক এ নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে এইসব ঘটনা আর তৎপরবর্তী নোংড়া কথাবার্তার ছোড়াছুড়ি নিয়ে ব্লগ লেখার কোনও প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয়না। এই লেখাটা একটু মোর্শেদ ভাইয়ের বৈশিষ্ঠবিরোধী ঠেকলো।
রাতঃস্মরণীয়
দরকারি কথাটা সময়মতো স্বাধীনভাবে বলা হবে এইটাই ব্লগের উদ্দেশ্য। আশপাশের ইস্যুগুলো নিয়ে কাউরে না কাউরে বলতে হবে এবং মুর্শেদ সেটাই করেছে। এটা ভালো যে মুর্শেদের যে বৈশিষ্ট্যের কথা আপনি ভেবেছিলেন সে সেইরকম বৈশিষ্ট্যের না।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এপর্যন্ত ঠিক ছিলো।
হাসিব ভাই, আপনি মনে হচ্ছে একটু বেশি রিএ্যাক্ট করে ফেললেন। মুর্শেদের বৈশিষ্ঠ সম্পর্কে আমি কি ধারণা করেছিলাম সেটা তো আপনার বুঝে ফেলার কথা না ভাই।
রাতঃস্মরণীয়
ইন্টারেস্টিং!
আমার বৈশিষ্ট্য কী ভেবেছিলেন?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালোবাসি, এবং পড়ি। আর আপনাকে রেসপেক্ট করি আপনার গঠনমূলক এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যগুলো পড়ে।
আপনার বৈশিষ্ট সম্পর্কে আমার মত হয়তো আপনার সাথে বা অনেকের সাথে মিলবে না। ব্যাক্ত করলে তর্ক বাড়তে পারে। তবে আমি আপনার ব্যাক্তিক বৈশিষ্ঠের উল্লেখ এখানে করিনি, করেছি আপনার লেখার ধারার। কারও ব্যাক্তিগত বৈশিষ্টে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, অন্ততঃ যাদের ব্যাক্তিগতভাবে চিনিনা। তবে একজন ভক্ত পাঠক আশাকরি লেখকের কোনও লেখাজনিত বৈশিষ্ঠের অনুরাগি হতে পারে।
আশাকরি ক্লিয়ার করতে পারলাম।
রাতঃস্মরণীয়
"এইসব ঘটনা"র মধ্যে যে অনেকগুলা মানুষের জান চলে গেসে ভাই। আর নোংরা কথাবার্তা? এইগুলাই আমাদের বাস্তবতা। খালি কোকিল পাখির গান শুনে দিন গুজরান করলে হবে?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনিন্দ্য ভাই, 'এইসব ঘটনা' আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে, জানিনা সামনে কি আছে তবে মোর্শেদ ভাই যে প্রশ্ন এবং বিশ্লেষণগুলো এখানে তুলে ধরেছেন তা আজকাল দেশের সবাই এরকম একটা ঘটনা ঘটার পরে করে। রাস্তায়-অফিসে-বাসায় সব জায়গাতেই এই প্রশ্ন এবং বিশ্লেষণগুলো শুনতে পাবেন। তাই বলেছিলাম মোর্শেদ ভাইয়ের লেখাটা কতটা প্রয়োজনীয় ছিলো।
আমি মোর্শেদ ভাইয়ের সব লেখাই পড়ি এবং পছন্দ করি। তিনি কি লিখবেন এটা একান্তই তার বিষয়। পাঠক হিসেবে মতামত রাখতে পারি, অন্যের সাথে দ্বিমতও হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। এটা স্বাস্থ্যকর চর্চার একটা অংশ।
সবশেষেঃ কোকিল পাখির গান তো ভাই শুনতে ভালু পাই কিন্তু পাই কই। যেখানে থাকি সেখানে সকালে ঘুম ভাঙে মেশিন গানের শব্দে আর রাতে ঘুমাই মেশিন গানের শব্দ শুনতে শুনতে। সবথেকে শান্তিপূর্ণ দিনেও ৫ জন মানুষ খুন হয়। আর দেশে গেলেওতো গান শুনতে পাইনা, খালি ঝগড়া-ঝাটি, হাউকাউ। এই মনে হয় জীবন।
রাতঃস্মরণীয়
আহারে ...
(মাইন্ড খায়েন না)
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মাইন্ড খামুনা মানে! মাইন্ড উপর দিয়ে খাই আর নিচে দিয়ে বের করে দেই, তাই মাইন্ড দাঁড়ায় না। দাড়ালে হয়তো অনেক আগেই সচল ত্যাগ করতাম। আর অনিন্দ্য রহমানের মতো লোকগুলো থাকলে সে জলসা ছেড়ে তো যাওয়া বেশ কঠিন। (পাম নিয়েন না)
রাতঃস্মরণীয়
অঃ টঃ বাংলাদেশ জিতেছে।
লীগ-দল, দোষ কারুরই না; দোষ আমাদের, এই অভাগা জাতির।
আসলে সমস্যাটা রাজনীতি না। সমস্যা হলো পুষ্টিগত, জনস্বাস্থ্য। যে মানুষগুলো ট্রেনের মতো একটা জলজ্যান্ত ভারি বস্তু চোখে দেখতে পায় না, কিংবা তার প্রচন্ড বিরক্তিকর কান ফাটানো শব্দও শুনতে পায় না, তাদের চোখ এবং কানের স্বাস্থ্যের যে কী অবস্থা তা সহজেই অনুমান করা যায়। রেললাইনের উপর বসে বসে উনারা বয়ান শুনছিলেন, এটাই বা কেমন কথা?
একটা জোকস শুনেছিলাম। অনেকে শুনে থাকবেন।
এক ট্রেন তার লাইন ছেড়ে মাঠের উপর উঠে গেছে। পরে, চালককে কারণ জিজ্ঞাস করা হলে সে জানালো, লাইনের উপর এক লোক বসে ছিল। "আরে, ব্যাক্কল! লাইনের উপর লোক বাঁচাইতে তুই ট্রেন মাঠে নামায়ে দিলি? লোকটাকে চাপা দিয়ে দিলি না কেন? ট্রেনের অন্য যাত্রীরা তো বাঁচতো?" "আরে, আমি তো চাপা দিতেই চাইছিলাম, ঐ বেটাই লাইন ছাইড়া মাঠের দিকে দৌড় লাগাইলো।"
ট্রেনচালক যদি মানুষ মারতেই চাইতো, তবে তাকেও ট্রেন মাঠে নিয়ে যেতে হতো।
নতুন মন্তব্য করুন