লেখার শুরুতে একটি দুঃসংবাদ দিয়ে শুরু করি। অতি সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার একটি বহুল প্রচলিত বাংলা ম্যাগাজিন পড়শী বন্ধ হয়ে গেল। দশ বছর ধরে চলার পর এই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেল। কারণ হিসেবে সম্পাদক সাবির মজুমদার জানালেন:
‘পড়শী’র আর্থিক অবস্থা দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছিল এবং ‘পড়শী’র প্রকাশনা বন্ধ না করে আর কোন উপায় ছিল না।
এই পত্রিকায় ২০০৮ এ আমার একটি লেখা ছাপা হয়েছিল। সেকারনে খানিকটা খারাপ লাগা ছিল। কিন্তু শুধু অর্থনৈতিক কারণের বাইরে আমার আরো কিছু ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
সংবাদপত্রের মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০০৯ সালে আমেরিকায় ১০৫টি খবরের কাগজ বন্ধ হয়ে গেছে। চাকুরী চলে গেছে প্রায় দশ হাজার সংবাদ সর্ম্পকিত লোকের। প্রথম ২৫টি সংবাদপত্রের ২৩ টিই ৭% থেকে ২০% সার্কুলেশন কমে গেছে বলে জানিয়েছে। [১]
অতি সম্প্রতি ইমার্কেটার নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে আরো ভীতিকর তথ্য। ২০১০ নাগাদ পুরো ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনের পিছনে যা খরচ করা হয়েছে খবরের কাগজে (প্রিন্ট মিডিয়ার বিজ্ঞাপন এবং খবরের কাগজ কেন্দ্রিক ইন্টারনেট প্রকাশনার বিজ্ঞাপন) তারচেয়ে কম খরচ করা হয়েছে। এরপর বছর বছর এই পার্থক্য বাড়তেই থাকবে শুধু। [২]
খবরের কাগজগুলো কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। তারা ইন্টারনেটে তাদের খবর পড়ার জন্য সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস অনলাইনে পত্রিকা পড়ার জন্য মাসে $১০ ডলার অর্থ চাইবে বলে ঠিক করেছে। আন্যান্য পত্রিকাও এদের পদাঙ্ক অনুসরন করবে হয়ত অচিরেই।[৩]
পড়শী বা বাংলাদেশের ট্রাডিশনাল মিডিয়াগুলোর অবস্থান কোথায়? কেন তারা মৃত্যু বরন করল বা করতে যাচ্ছে? কিভাবে এটা ঠেকানো যেতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে আমাদের ইন্টারনেট প্রকাশনার বিবর্তনের কয়েকটি পর্যায় আলোচনা করা প্রয়োজন।
প্রিন্ট মাধ্যমের যুগ (ওয়েব ০?)
প্রিন্ট মাধ্যমের যুগে সংবাদপত্র কিনে পড়তে হলেও সংবাদপত্রের খরচের মূল অংশ উঠে আসত বিজ্ঞাপন থেকে। বাংলাদেশের মত ছোট দেশে বড় বিজ্ঞাপন দাতার সংখ্যা হাতে গোনা হওয়ায় সত্য প্রকাশ আর কর্পোরেট স্বার্থের মধ্যে একটা স্বার্থ সংঘাত থেকে যায়। এছাড়া বড় বড় শিল্প গোষ্ঠী মিডিয়ায় তাদের একটা প্রভাব রাখতেও বের করে গৃহপালিত সংবাদপত্র। সুতরাং বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে এই মিডিয়া চরিত্রগত ভাবে দুর্বল থেকে যায়।
স্থির পাতার ইন্টারনেট (ওয়েব ১.০)
ইন্টারনেট জনপ্রিয় হবার পর কিছু কিছু খবরের কাগজ তাদের স্ট্যাটিক পাতা দিয়ে ওয়েবসাইট বানায়। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশে এখনও বেশীর ভাগে খবরের কাগজ স্ট্যাটিক খবর দিয়ে বানানো। সারাদিন ভর খবর পেস্টিং করে দিন শেষে পিডিএফ করে ওয়েবসাইটে তুলে দেন তারা। ইন্টারনেটকে এই পর্যায়ে সংবাদপত্রগুলো একটা ফ্যাশন হিসেবেই দেখছিল।
এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে তাদের অর্থ সংকুলান হতনা। সুতরাং একই ভাবে প্রিন্ট মাধ্যমের ফান্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করত সংবাদপত্র গুলো।
ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ওয়েব ২.০)
ওয়েব ২.০ আসার পর অনেক কিছু বদলে গেল। মানুষ এখন আর শুধু ইন্টারনেট থেকে তথ্য হাঁতড়ে মরে না। সক্রিয়ভাবে তথ্য যুক্ত করে। একটা রায়ট লাগলে হাজার হাজার ছবি তুলে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে। কবিতা লেখে, গান রেকর্ড করে, ছবি তোলে, ভিডিও রেকর্ড করে।
তথ্যের এই বন্যায় সংবাদপত্রগুলো ভেসে লাগল। মানুষ হাত বাড়িয়ে দিতে চায়, একজন আরেকজনের সাথে তথ্য আদান প্রদান করে। তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বিচারের আগে তথ্যে অংশগ্রহণ চায়। অপরপক্ষে সংবাদপত্র শুধু মাত্র তথ্য সরবরাহ করে, তথ্যের উপর কাঁচি চালায়। কর্পোরেট স্বার্থ চিন্তা করে আগে।
প্রচলিত টিভি এবং রেডিও মিডিয়াও কিন্তু যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছে ইন্টারনেটের কাছে। ইউজার জেনারেটেড ভিডিও কিংবা ভিডিও অন ডিমান্ডের মতো টেকনলজি গুলো এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে।
এই পর্যায়ে কিছু কিছু স্ট্যাটিক সংবাদপত্রের ওয়েবসাইট খানিক বদলে মন্তব্য করার সুবিধা যোগ করল। কিছু সংবাদপত্র একই সাথে ছবি, ভিডিও নেবার ব্যবস্থা করল (যেমন সিএনএন)। কিন্তু এইটুকুই। তাই এদের ঠিক ওয়েব ২.০ না বলে ওয়েব ১.৫ বলা যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ খবরের কাগজ এখন এই মাধ্যম ব্যবহার করে।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে অর্থ যোগান করা যায় কিভাবে? যারা পুরোপুরি ইন্টারনেটে সুইচ করেছে কিংবা ইন্টারনেটেই প্রকাশনা শুরু করেছে তাদের ক্ষেত্র দুটো অপশন থাকতে পারে। পেইড সাবস্ক্রিপশন এবং বিজ্ঞাপন।
পেইড সাবস্ক্রিপশন - অর্থাৎ অর্ন্তভুক্তি খরচা ব্যাপারটা এখন খুব খাপছাড়া শোনাতে পারে। এবং এই মডেল ব্যার্থ হতেই পারে। কিন্তু কিন্ডল, ন্যুক এবং আইপ্যাডের আর্বিভাবের পর এই দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যায়। নিয়ন্ত্রিত এই সমস্ত ডিভাইসে পেইড সাবস্ক্রিপশন মডেলটা খুব ভালো ভাবে কাজ করতে পারে।
বিজ্ঞাপন মডেলটা গুগল আর বর্তমানে অ্যাপেলের কারনে খুব ভালো একটা অপশন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কাছে। কিন্তু তাদের বিজ্ঞাপন মডেল কয়েকটি দেশ এবং কয়েকটি ভাষার মধ্যে সীমিত হওয়ায় বাংলাদেশী ওয়েবসাইটের জন্য কার্যকরী পদ্ধতি নয়। এক্ষেত্রে দেশী অনলাইন বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা গেলে খুব এফেক্টিভ হোতো (আছেন কোন আগ্রহী বিনিয়োগকারী?)।
আর ছাপা কাগজের প্রাইভেট ফান্ডিং মডেলও এক্ষেত্রে চলতে পারে। তবে আরেকটি ইন্টারেস্টিং মডেল হোলো ডোনেশনের ভিত্তিতে অর্থসংকুলান। আমেরিকার কয়েকটি ওয়েবসাইট, যেমন উইকিপিডিয়া এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।
তথ্য কনিকা, সোশ্যাল ওয়েব এবং সেমান্টিকস(ওয়েব ২.৫-৩.০?)
ফেইসবুক আর টুইটার আসার পর আবার সব বদলাতে শুরু করেছে। মানুষ এখন আর হাজার শব্দের গল্প পড়তে চায় না। ১৪০ শব্দের টুইটার অনেক সহজে হজম করা যায়। তথ্যের বন্যায় বন্ধুদের সব স্ট্যাটাস আর দেখতে চায় না, শুধু মাত্র গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেটা সেটা জানলেই চলে। কথা কম, লাইক বেশী। পড়ো কম, সার্চ বেশী। তথ্য এখন সাগরের মত বিশাল নয়, বৃষ্টির মত ক্ষুদ্র, বিন্দু বিন্দু। সব কিছু জানারও দরকার নেই। যেটুকু প্রয়োজন যখন প্রয়োজন।
একই সাথে আরেকটি বিষয় চলে আসে। সেমান্টিকস। বা তথ্যের মানে। এই যে, কোটি কোটি তথ্য কনিকা তেরী হচ্ছে প্রতিদিন এর কোনটার মানে কি? কোনটা আপনার দরকার? এই সিদ্ধান্ত আপনার হয়ে ইন্টারনেট নিয়ে নেবে ভবিষ্যতে। আর তখনই আসবে ওয়েব ৩.০ এর যুগ।
এখন এই ধরণের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে আয়ের পদ্ধতি কি হতে পারে? সোশ্যাল বিজ্ঞাপন, কনটেক্স সেন্সিটিভ, লোকাল বিজ্ঞাপন। এছাড়া আরো কোনো মডেলে সফলতা দূরূহ হতে পারে।
তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো?
পড়শী বাংলাদেশের খবরের কাগজের মতো একটি পথ অনুসরন করেছে। প্রথমে প্রিন্ট, পরে স্ট্যাটিক ওয়েবপেইজ এবং সর্বশেষে অনলাইন প্রকাশনা মন্তব্য সহ। কিন্তু বাংলা খবরের কাগজ হলেও এর পরিধি ছিল উত্তর আমেরিকায়। তাই উত্তর আমেরিকায় ঝাপ্টা এর উপর দিয়েও গেছে।
যদিও বাংলাদেশ সর্ম্পকিত খবরের কাগজের বাজার ভিত্তিক তথ্য আমার কাছে নেই, তথাপি আমেরিকার তথ্য এবং ইন্টারনেট প্রকাশনার গতি আলোচনার পর এটা আনাজ করা যায় যে বাংলাদেশের খবরের কাগজে একই রকম ধাক্কা খুব শিঘ্রী ঘটতে যাচ্ছে। খুব শিঘ্রী মানেও হয়ত ৫ থেকে ১০ বছর। কিন্তু এটা অবশ্যম্ভাবী। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাগজগুলোর প্রস্তুতি খুবই সামান্য এবং নিম্ন মানের। খুব শিঘ্রী খুব এবং খুব দ্রুত প্রস্তুত না নিলে আমরা খবরের কাগজ গুলোর পতন দেখব অচিরেই।
সচলায়তনের অবস্থান কোথায়?
সচলায়তনে জন্মলগ্নে তৎকালীন ওয়েব ২.০ টেকনলজির সম্পূর্ণ ব্যবহার ঘটিয়ে সচলায়তনের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু সময় মোবাইল টেকনোলজী, সোশ্যাল ওয়েব এসব টেকনলজীর পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেনি সচলায়তন। সাম্প্রতিক আপডেট তাই এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। আগামী ছয় মাসে সচলায়তন এই ফাঁকা জায়গাগুলো পূরণ করে ফেলবে।
উপরন্তু তথ্য কণিকা (সচলায়তন স্ট্যাটাস) এবং সোশ্যাল ওয়েব ভিত্তিক (সচলায়তন খালাম্মা ) এটি লেয়ার সচলায়তনে দেয়া যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে এটাকে অপ্রয়োজনীয় এবং সচলায়তন পরিপন্থী একটি পদক্ষেপ মনে হলেও এই অবস্থানটি ধরে রাখা জরুরী। তাছাড়া সেমান্টিক ওয়েব, এইচটিএমএল ফাইভ ভিত্তিক অডিও ভিডিও ইনপুট আরেকটি দিক হতে পারে।
মোদ্দাকথা, সচলায়তন খানিকটা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে হলেও এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে সব সময়। আর সচলায়তন চালানোর জন্য পয়সা? ওয়েল, সে নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে।
রেফারেন্স
[১] http://www.businessinsider.com/the-death-of-the-american-newspaper-2009-7
[২] http://www.emarketer.com/PressRelease.aspx?R=1008125
[৩] http://newspaperdeathwatch.com/timesspotting/
মন্তব্য
শিরোনাম, লেখা দুটোই দারুণ
ধন্যবাদ।
চমৎকার আলোচনা।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার/ব্যবহারের বৈচিত্র কিছুটা কম, কিন্তু দ্রুতই বাড়ছে/বাড়বে। আবার আরেকটা দিকে দেখলে প্রিন্ট মিডিয়া সরাসরি কিনে যারা পড়ে, তাদের বড় অংশেরই এখন ইন্টারনেটে এক্সেস আছে। সুতরাং পরিবর্তন খুব দ্রুতই হবে।
গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন সিস্টেম আছে। কিন্তু বাংলাদেশে দেশে মার্কেটিংয়ের জন্য যে খরচ সে তুলনায় গুগলের লাভ উঠে আসেব খুব কম। তাই গুগল হয়ত এখন এটা করবে না। কিন্তু বাংলাদেশী একটা অনলাইন বিজ্ঞাপনী সংস্থার জন্য এই মুনাফাটা যথেষ্ট হতে পারে। ইনফ্যাক্ট আগামী পাঁচবছরে ব্যবসা লাভের মুখে দেখবে এই ধরণের একটা অবস্থান থেকে শুরু করলে একটা দেশী কোম্পানী খুব ভালো অবস্থানে যেতে পারবে। অথচ এই দিকে কারো কোনো নজর নেই।
ইতিমধ্যেই চাকুরীর সাইটগুলোতে কিছুটা বিজ্ঞাপন দেখি মনে হচ্ছে, তাছাড়া চাকুরির নোটিশগুলোও পয়সার বিনিময়ে পোস্ট করে কর্পোরেটগুলো, যা পত্রিকায় দেয়ার মতই একটা খরচের খাত হিসেবে দেখা হয় অফিসে - এভাবেই প্রিন্ট মিডিয়ার সাহায্য ছাড়াই এরা চলছে এবং টিকে আছে বলে মনে হয়। এছাড়া অনলাইন পত্রিকাগুলোতেও কিছু বিজ্ঞাপন দেখি -- সেগুলো এদের প্রাণরক্ষার জন্য সম্ভবত যথেষ্ট নয়।
লেখা ভাল লেগেছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমার মতে অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলো সবচেয়ে কার্যকরী হবে এখানে, যখন আমরা অনলাইনে কিছু কেনার সুযোগটা দয়া করে পাব!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একটু যোগ করি। সাধারণ পত্রিকা আর চাকুরীর সাইট - দুই জায়গাতেই কর্মখালি'র বিজ্ঞাপন দেবার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সাধারণ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটা দিলে বেশিরভাগ চাকুরীর সাইটেও সেটা চলে আসে, তবে হাইলাইট করা হয়না। স্বাভাবিকভাবে এর উল্টোটা ঘটেনা। তাই আজকাল শুধু সাধারণ পত্রিকাতেই কর্মখালি'র বিজ্ঞাপন দেই। তাছাড়া যে পরিমাণ মানুষ সাধারণ পত্রিকা অ্যাক্সেস করতে পারে সেই পরিমাণ মানুষ এখনো ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পায়নি। তাই সাধারণ পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত আবেদনের সংখ্যা বহু বহু গুণ বেশি। তবে একটু বড় কোম্পানী যারা, তারা নিজেদের সাইটে একটা পার্মানেন্ট কর্মখালি'র অপশন ঝুলিয়ে রাখে। দরকার মতো সেখান থেকে আবেদনকারীদের ডাকলেই হয়। এই ব্যবস্থাটা আরো জনপ্রিয় হলে সাধারণ পত্রিকা বা চাকুরীর সাইট উভয়েই ভবিষ্যতে অনেক কাস্টমার হারাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পত্রিকাগুলো বাঁচানোর জন্য এখনকার বিজ্ঞাপনগুলোকেই অনলাইনে ট্রান্সফার করে নিলে হবে না? ধরো, জাতীয় দৈনিকগুলোতে যে বা যারা এখন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, ওয়েবেও তারাই দিবে। একই বা পরিবর্তিত হারে। বিজ্ঞাপনদাতারা যদি তাদের বিজ্ঞাপনকে অনলাইনভিত্তিক করতে চায় তাহলে এগজিস্টিং গ্রহীতার সঙ্গেই নয় কেনো!
এভাবে বিজ্ঞাপন পেলেও কি পত্রিকাগুলোর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই জায়গাতেই পার্থক্য আসলে। ওয়েবে বিজ্ঞাপনের মডেল ভিন্ন। এখানে বিজ্ঞাপনী সংস্থা (যেমন গুগল) লোকেদের কাছে বিজ্ঞাপন বিক্রী করে পেইজ ভিউ এবং কতগুলো ক্লিক হয়েছে তার ভিত্তিতে। গুগলের বিজ্ঞাপনী উইজেট বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। ওয়েবসাইটের কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে গুগল বিজ্ঞাপন সার্ভ করে। একই ভাবে পয়সাও কাটে। পুরো ব্যাপারটাই ডাইনামিক। ওয়েব মার্কেটিং তাই একবারে ভিন্ন বস্তু।
সোশ্যাল মার্কেটিং আরও ভিন্ন। ধরো তোমার এক বন্ধু একটা জিনিস কিনল। অবশ্যই তুমিও জিনিসটার প্রতি আগ্রহী হবা। তার তোমার পছন্দের সাথে মিলিয়ে তোমার বন্ধু কোন একটা জিনিস কিনলে তোমাকে সেই জিনিসটার বিজ্ঞাপন দেখানো হল। তাহলে অবশ্যই তুমি গিয়ে দেখবা জিনিসটা কি। হয়ত কিনেও ফেলতে পারো। এই প্রতিটা স্টেপে বিজ্ঞাপন দাতে পয়সা দেবে ফেইসবুককে।
অত্যন্ত সময়োপযোগী আলোচনা।
আরেকটা কথা দারুণ লাগলো "তথ্য এখন সাগরের মত বিশাল নয়, বৃষ্টির মত ক্ষুদ্র, বিন্দু বিন্দু।" এই সত্যি কথাটা এখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাই, কিন্তু আপনি বলেছেন খুব সুন্দর করে।
তবে "সচলায়তন খালাম্মা" ব্যাপারটা বুঝি নাই।
সোশ্যাল ওয়েবসাইটের একটা গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হল ইউজার রিলেশনশিপ। এই আমার ওয়াইফ কিডা, ভাই কিডা, বন্ধু কিডা। এইসব তথ্য। এই রিলেশনশিপ ইনকর্পোরেট করা এবং কাজে লাগতে পারে এইভাবে ইমপ্লিমেন্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই রিলেশনশীপটাকে ঠাট্টা করে "সচলায়তন খালাম্মা" বলেছি।
দারুণ ভালো একটা আলোচনা।
আমি পড়শীর গ্রাহক ছিলাম। পেপার এডিশনটা বাংলাদেশ থেকে আসত, আমার বন্ধু এহসান নাজিম একটা কলাম লিখতো সেখানে। অনলাইন হওয়ার পরেও পড়তাম। নাজিমের কাছে কিছুদিন আগে এটা বন্ধের সংবাদ শুনি। আজকের পৃথিবীতে কর্পোরেট স্পন্সরশিপের বাইরে গিয়ে শুধু বিজ্ঞাপন নির্ভর পত্রিকা (অনলাইন/অফলাইন) বেঁচে থাকা অত্যন্ত দুরূহ একটা ব্যাপার। পড়শীর মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছি।
টেকনলজির সর্বোত্তম ব্যবহার করে সচলায়তন এগিয়ে থাকবে, আর এর সাথে কিছু মানুষের প্যাশন আছে...এটাই সচলের সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি। জয়যাত্রা অব্যাহত রইবে সচলের, এই প্রত্যাশা রইল।
অস্টিন প্রবাসী বাংলাদেশিরা ইন্টারনেট ভিত্তিক বাংলা টিভি চালু করেছেন। এটার উপর পরের ব্লগটা লিখব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্লিজ! আপনি জানতে খুবই আগ্রহী।
আপনার সংগে আমি আর মুর্শেদও জানতে আগ্রহী
লেখাটা বেশ ভাল লাগল
আপনাদের তিনজনের পাশাপাশি আমিও আগ্রহী
বস্ নাজিম ভাইরে কলামটা সচলে জারী রাখতে কন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এ অংশটার সাথে একমত। অনেকেই হয়তো ভাববেন এখন যেমন আছে তেমনইতো ভালো। কিন্তু এই ওয়েব ২,৩,৪... এর যুগে এগিয়ে না যাওয়া অর্থ পিছিয়ে পড়া নয়; বিলুপ্তি। আমরা (হয়তো জাতি হিসাবে) খুব বেশি অভ্যস্ততায় অভ্যস্ত ফেসবুক যখন একেকটা আপগ্রেড করে বন্ধুতালিকার ৮০% কেই দেখি নাখোশ। কিন্তু দুবছর আগের ফেসবুকের কথা ভাবুন। তখন থেকে নিয়মিত বিরতিতে আপগ্রেড করেছে বলেই আজকের ফেসবুক এমন জায়ান্ট।
অনেকে সচলায়তন আর ফেসবুকের তুলনাতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। আমি আসলে ওভাবে তুলনা করছিও না। আমার তুলনা মূলত 'প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোন' থেকে। মোদ্দাকথা সব ধরনের আপগ্রেডের জন্যই প্রস্তুত (এবং আগ্রহী) থাকা প্রয়োজন।
যেমন হয়তো, ভিডিও, লাইভ স্ট্রিমিং, অডিও(এখনই আছে) ...
উদাহরণ হিসাবে স্পেসকালেকটিভ নামক এই ব্লগটা দেখুন http://spacecollective.org/
এটা ঠিক যে এখনকার অবকাঠামো এবং পরিকল্পনা, সাধ্য, সামর্থ - এসব বিবেচনাতেই বর্তমান অবস্থাটা নির্ধারিত হবে।
কিন্তু, ...এই তো আছি ভালোই আছি... এভাবেই যায় যদি দিন যাক না... এমনটা ভেবে বসে থাকার সুযোগ নেই। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যেতে হবে আমাদেরও।
সবশেষে মুর্শেদ ভাই এবং পুরো সচলায়তন টিমকে আবারো অভিনন্দন। সাইট আপগ্রেডের মত এমন একটা ম্যামথ কাজ চমৎকার ভাবে করে ফেলার জন্য।
এই লেখাটা ভালো লাগলো। আশাকরি বাংলাদেশের সব মিডিয়া এগুলো নিয়ে ভাববে।
শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যটা পছন্দ হইছে। আরো পছন্দ হইলো লিংকটা। অনেক ধন্যবাদ।
দারুণ একটা ফিচার।
-অতীত
ধন্যবাদ!
ছাপা কাগজ যে হারে মারা গেল, অনলাইন কাগজ কি সেই হারে মারা যাচ্ছে নাকি কম? ছাপা পত্রিকার হালতও কী একই রকম?
পশ্চিমবঙ্গ-ভিত্তিক বিনোদনের উপর সাইট চালান এমন কয়েকজনের কাছে শুনলাম, দেশের গ্রাহকদের জন্য অ্যাডসেন্স উপযুক্ত নয়, কারণ দেশের অধিকাংশ ভিজিটরই নেট দিয়ে কিছু কেনেন না। অতএব দু-এক মাসের পরই যখন গুগল দেখে যে ক্লিক হলেও আসলে বিক্রিবাটা হচ্ছে না, তখনই ক্লিক-প্রতি অর্থ প্রচুর কমিয়ে দেয়।
অনেকদিন লোকজন (গুড়) দেয় না আর। আমিই দিয়ে গেলুম।
সচলে পরিবারতন্ত্র এনে খালাম্মা কিংবা ছোটপিসির খুড়শ্বশুরের ভাইপোর মেজশালার সুযোগ করে দেবার তেব্র প্রেতিবাদ করে গেলাম।
তবে নেটওয়ার্কের ইনফো'টা ইন্টারেস্টিং হতে পারে। এই ধরুন এক কলেজের খানচারেক বন্ধু একসঙ্গে অতিথি লেখক হয়ে ঢুকে পরস্পরের পোস্টে কেবল মিষ্টি মিষ্টি কমেন্ট করে যাচ্ছে কি না, এটা মডুদের খেয়াল রাখতে হয়, সেটা এরা পরস্পরের ফেসবুক ফ্রেন্ড জানা গেলে হিসাব রাখতে সুবিধা।
এখানেই দেশী বিজ্ঞাপন সংস্থার কিছু করার আছে। ভারতে তো আইটি নিয়ে আরো এগিয়ে থাকার কথা। বিস্তারিত কিছু জানেন নাকি?
আমি যা দেখছি, দেশীয় সাইটে অনলাইন বিজ্ঞাপনের ধরন তিনরকম ধাঁচ নিয়েছে।
১, এটাই প্রধান, যে টিভিতে যে বিজ্ঞাপনগুলো হত সেগুলোই নেটেও হচ্ছে। এটারই ভাগ বোধহয় সর্বাধিক। তবে আইপি-অনুসারে বোধহয়, দেশের বাইরের পাঠক হলে হয়ত কিছু বিজ্ঞাপন বাদ যায়। তবে তারা এনআরআই হবার সম্ভাবনাও অনেক, সেক্ষেত্রে দেশের গ্রাহকদের কেনার সিদ্ধান্তেও তারা প্রভাব ফেলতে পারে।
২, যে জিনিসগুলো দেশেও এখনকার নেট-স্যাভি জেনারেশন নেটে কিনছে প্রায়ই, যেমন প্লেনের টিকিট, সেগুলোর বিজ্ঞাপন।
৩, অনলাইন মিডিয়া সাইট, যেমন ক্রিকিনফো ইন্ডিয়া, সাইফাই, এসবের বিজ্ঞাপন। তারা ভিজিটরদের সঙ্গে সরাসরি বিক্রিবাটা করে না ঠিকই, কিন্তু তাদের ভিজিটর বাড়লে, বা তাদের সাইটে কেউ বিজ্ঞাপন দেখলে, সেভাবেই লাভ।
ঠিক আমিও তাই ভাবছিলাম। সচলদের অনলাইন জীবনের কোনো পরিসংখ্যান থাকলে দেখা যাবে আমরা অনলাইনে থাকলে বেশিরভাগ সময়ই কাটাই হয় সচলায়তনে না হয় ফেসবুকে। এই দুইয়ের মধ্যেকার দূরত্ব কমানোর পক্ষপাতি আমি। ইতিমধ্যেই সচলায়তন ফেসবুক কানেক্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পেরিয়েছে। কিন্তু আমার মতে, সচলায়তনের প্লাটফর্মেই যদি ফেসবুকিও ব্যাপার রাখা যায় সেটাও যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ হবে।
অনলাইনভিত্তিক জীবনাচারণ এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে যে সময়মত তাল মেলাতে পারাটাই এখন অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের পত্রিকাওয়ালারা হয়ত ভাবছে যে দেশের কোটি কোটি মানুষের অনলাইনে সংবাদ পড়ার সময় এখনো সুদূর ভবিষ্যতের ব্যাপার। আসলেই কি তাই? পাঁচ বছর আগে যা কেউ ভাবে নি, আজ তাই মোবাইল সংস্কৃতি নামে শাখা মেলছে। কেউ কি ভেবেছিল এত দ্রুত মোবাইল সবার হাতে হাতে পৌছে যাবে? এই মোবাইলই এখন দেশের মানুষকে ইনটারনেটের সাথে যোগ করছে। এবং এই যোগটা হচ্ছে তুমুল দ্রুতগতিতে। হাতের মুঠোয় তথ্য থাকলে কে হকার রেখে কিনে পত্রিকা পড়বে?
অনলাইনে তথ্য যাচাই করার সামর্থ্য মানুষকে হার্ডপ্রিন্ট মিডিয়া থেকে অচিড়েই দূরে সরিয়ে নেবে।
ধরুন, আপনি ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেন সেটা সচলায়তনেও আপনার একাউন্টে দেখা গেলো। অথবা সচলায়তনে দিলেন, চলে গেলো ফেইসবুকে। এইধরণের ইন্টিগ্রশন সম্ভব এবং অনেকে করছেও।
ঠিক বলেছেন! সবাই আপনার মূল্যবান সময়ের পাঁচটা মিনিট চায়। ফেইসবুক বলে আরে তোমাদের দোস্তদের স্ট্যাটাস দেখবা না? টুইটার বলে আরে কোন বিষয়টা ট্রেন্ডিং দেখবা না? নেটফ্লিক্স বলে আরে নতুন কোন ছবি বসে আছে দেখবা না? ফ্লিকার বলে তোমাদের দোস্তদের কি সুন্দর সুন্দর ছবি সেটা দেখবা না? ইউটিউব বলে আরে এ মুহুর্তের জনপ্রিয় ভিডিওটা দেখবা না? কাকে সময় দেই?
অপেক্ষায় থাকলাম এটারও।
সচল খালাম্মা প্রসঙ্গে অন্যপাশ থেকেও একটু দেখে আসি ব্যাপারটা। ব্র্যান্ডিংয়ের জায়গাটি আসলে একেকটি প্রতিষ্ঠানের চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উৎপাদন প্রকৌশলে 'ফোকাস ফ্যাক্টরি' বলে একটি টার্ম আছে। দেখা যায় একটি কারখানা যদি দিনের পর দিন একই পণ্য তৈরী করে তাহলে তার একটি গুডউইল দাঁড়ায়। সেই গু্ডউইলটি ফোকাস ফ্যাক্টরি থেকে সরে এলে হুমকির মুখে পড়ে।
ধরা যাক আমার গার্মেন্ট শুধুই শার্ট বানায়,গত কুড়িবছর ধরে শার্টই বানিয়ে আসছে। এখন যদি আমি এখানে প্যান্টও বানানো শুরু করি, তাহলে ট্রাউজারের বায়াররা আমার উপর যেমন আস্থাটা বেশি রাখতে পারবে না, একই ভাবে পুরোনো শার্টের বায়াররাও ভাববে এই ফ্যাক্টরিতে তো কোয়ালিটির গ্যাঞ্জাম হবে, ওরা তো প্যান্টও বানায়।
নতুন পণ্য যোগ করে ব্র্যান্ড আপডেট যে সবসময় সফল হয় এমন হয়তো নয়। ম্যাকডোনালস তো পিজা বানাতে লেগেছিল, কিন্তু সফল হয় নি। সাদাচোখে দেখলে ম্যাক এর প্রোডাক্টে পিজা যুক্ত করারই কথা, সেক্ষেত্রে বার্গার খেকোদের পাশে পিজাখেকোদেরও একটি নতুন ক্রেতা লাইন তৈরী হওয়াই স্বাভাবিক যুক্তি।
কিন্তু ম্যাক সে পথে হাটতে পারে নি। পিজা বানানো বন্ধ করেছে।
সচলের ব্র্যান্ডিংটা দাঁড়িয়েছে একটা সিরিয়াস লুক নিয়ে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে সচলের লেখাগুলো দিয়ে গোটা একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা তৈরী করা সম্ভব। এই সিরিয়াস লুকের সঙ্গে খালাম্মার ফিউশনটা করতে হবে খুব যত্নে,নইলে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য তফাৎ আনা কষ্টকর হবে।
-
(আগামীদিনের সংবাদপত্রের সার্কুলেশ নিয়ে আলাদা মন্তব্য করব।)
অবশ্যই, অবশ্যই! একদম পার্ফেক্ট বলেছেন।
ফেসবুক একদিনে বিশাল হয়নি, কিন্তু এর বিশালত্বটা আকর্ষন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ হারিয়ে যাওয়া কোন বন্ধুর গুগল/জিমেইল প্রোফাইল না থাকতে পারে কিন্তু ফেসবুক প্রোফাইল পাওয়া যেতে পারে। মানুষ খোঁজার জন্য ফেসবুক দারুন, আবার তথ্য'র (সেটা প্রফেসর সংক্রান্তও হতে পারে) জন্য গুগল রকস্ ....
এদিকে সচলায়তন ক্লোজড গ্রুপ। খালাম্মার পরিধীও তাই সীমিত থাকবে হলে ধারণা করছি। আর এই সীমিত গোষ্ঠীর মধ্য সামাজিকতা বৃদ্ধি পেলেও ফেসবুকিং ছাড়া যাবে না। তবে সচল, হাচল ছাড়াও পাঠকগণও (অর্থাৎ যে কেউই হতে পারে) যদি খালাম্মার আদর পায় তাহলে নিঃসন্দেহে দারুন কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখি, আবার ছাগুসংক্রান্ত গিয়াঞ্জামও বাড়তে পারে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ফেসবুকিং বাদ দেয়ার প্রসঙ্গ আসছে কেন বুঝলাম না। আমরা শুধুমাত্র সচলায়তনে ইউজার রিলেশনসএর কথা বলছি।
খালাম্মাতন্ত্রে আস্থা রাখছি।
লেখাটা গোছালো হয়েছে, বেশ গোছালো।
ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি বাড়লেও কার্যকারিতা বাড়েনি। ইন্টারনেট কানেকশনটাই বড় কথা নয়, সেই কানেকশনকে হতে হবে দ্রুতগতির। বাংলাদেশে আনাচে কানাচে বসে মোবাইলে ধুঁকে ধুঁকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারার সাথে না পারার পার্থক্য সামান্যই। এই ব্যাপারে গণমাধ্যমে শোরগোলও ওঠে কম। অথচ আমরা যদি ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে এর যাবতীয় উৎপাদনশীলতা নিয়ে কাজে লাগাতে চাই, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যযোজনীয়। সম্ভবত পত্রিকাঅলারাও চা্য়, যতদিন এমন খোঁড়া সংযোগ চালু থাকে ততই ভালো।
কাঁচা-আধকাঁচা সংবাদের আবেদন থাকবে, পত্রিকাগুলোও তাই চলবে আরো অনেকদিন। তবে বিজনেস মডেল রিডিজাইন করতে হবে কিছুটা।
সচলায়তন যেহেতু তথ্য নয়, বরং তথ্যের বিশ্লেষণের ওপর জোর দিয়ে আসছে বরাবর, এই কাজেই তাকে এগিয়ে যেতে হবে সামনে। পাশাপাশি সচলায়তন অডিও-ভিডিও কনটেন্টেও আগামীতে পুষ্ট হয়ে উঠবে, এ আশা রাখি।
খানিকটা দ্বিমত পোষণ করি। ধুঁকে ধুঁকে হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারাটাই প্রধাণ। ওয়েবসাইটগুলোকে এজন্য মোবাইল ফ্রেন্ডলী ওয়েবসাইট তৈরী রাখতে হবে।
লেখাটি ও সবগুলো মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে নিজেকে বিশিষ্ট জ্ঞানী জ্ঞানী বোধ হচ্ছে। দিন বদলের পক্ষেই আছি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শুধু দিন বদলের পক্ষে বা অপেক্ষায় থাকলে হবে না। দিন বদলের সঙ্গে এবং দিন বদলের মধ্যে থাকতে হবে। আমরা যদি দিন না বদলাই তাহলে দিন বদলাবে কেমনে?
অডিও-ভিজুয়াল কন্টেন্টের ব্যাপারটা দ্রুত হোক। কিন্তু সচলায়তনকে আমি কেন জানি কখনোই সোশাল নেটওয়ার্কের মত করে দেখতে চাই না। তবে সদস্যদের আপডেট, স্ট্যাটাস, জরুরি ফিডের জন্যে অন্য পাতা এবং সাবস্ক্রিপশনের ব্যাবস্থাটাকেও ফালতু লাগছে না।
বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে আপনার মন্তব্যের জবাবে উপরেও বলেছি, আমাদের এখানে খুবই জরুরি হয়ে গেছে ক্রেতার অনলাইনে কিছু কিনতে পারার ব্যাপারটা, এটা করা যাচ্ছে না বলে অনলাইন বিজ্ঞাপনটা কেমন যেন একপেশে হয়ে আছে। কিন্তু আমাদের এখানে ইন্টারনেট স্পিড সবার জন্যে সমান না হলে আসলে কিছুতেই লাভ হবে না।
লেখার শিরোনাম দারুণ! আর লেখাটাও ইন্টারেস্টিং লাগলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সে কারনেই দেশী বিজ্ঞানপন সংস্থাকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের দিকে নজর দিতে হবে। পড়ার অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এমন একটি প্রাসঙ্গিক বিষয় চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। পড়শী নিয়ে আলোচনা শুরু করায় বেশি আগ্রহী হলাম পড়তে। এক সময় নিয়মিত লিখতাম পড়শীতে। পাঁচ বছরের বেশি লিখেছি। অনেক গুলো বিশেষ সংখ্যা অতিথি সম্পাদক হিসেবে সম্পাদনাও করেছি। গত বিশ্বকাপ ফুটবল সংখ্যা ছিল সর্বশেষ। কিন্তু ক্রমশঃ লেখার আগ্রহ হারাচ্ছিলাম। স্ট্যাটিক মাধ্যম বলেই সম্ভবত। সচলায়তন যে কারণে পড়শী থেকে আলাদা। লেখকের জন্য পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানাটাও জরুরী। মনে হয় এজন্যই সচলায়তন দীর্ঘজীবি হবে!
জহিরুল ইসলাম নাদিম
জহিরুল ইসলাম নাদিম
সেটাই। ধন্যবাদ।
দারুন লেখা। একখান লও।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আজকে তরকারী রান্নাতে ধইন্যাটা কাজে লাগবে।
সচলায়তন যদিও অনলাইন লেখক সমাবেশ, তাও বলছি, এরকম কোন কর্নার রাখা যায় কিনা সচলে যেখানে সচলরা নিজেদের বানানো ৫ মিনিট/ ১০ মিনিটের শর্টফিল্ম, গান এসব যোগ করবেন। বা সচলদের আঁকা ছবি/ ফটোগ্রাফি। অনেকেই আলাদা করে পোস্ট দিয়ে এই মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে নিজেদের চিন্তা-অনুভূতি প্রকাশ করছেন। কিন্তু অফিসিয়ালি সচল থেকে যখন এরকম উদ্যোগ নেয়া হবে, তখন মনে হয় এসব ক্ষেত্রে ইনপুট আরো বাড়বে। এটা লক্ষ্য করেছি ব্যানারের ক্ষেত্রে। সচলায়তন আলাদা করে ব্যানার সংরক্ষণ করায় অনেক নতুন ব্যানার শিল্পীকে পেয়েছি, আর সহজে সব ব্যানারগুলো দেখাও যাচ্ছে, এই উদ্যোগ অনেককে ব্যানার বানানোয় উৎসাহ দিয়েছে।
যাদের গল্প/কবিতা/ প্রবন্ধ এসবে আগ্রহ নেই, কিন্তু গান শোনা/ ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ আছে তারাও তখন সচলে আসবেন। সৃষ্টিশীল মানুষদের যা যা প্রকাশমাধ্যম হতে পারে, সবকিছুকেই কি সচলায়তন ধারণ করতে পারে না? আনঅফিসিয়ালি করছে তা দেখতে পারছি গানের পোস্ট বা ছবিব্লগের ব্যক্তিগত পোস্ট থেকে, কিন্তু বলছিলাম অফিসিয়ালি করার ব্যাপারে।
প্রিন্ট মিডিয়ার সীমাবদ্ধতা সচলায়তনের নেই, তাই যতদূর সম্ভব সেটার সর্ব্বোচ্চ ব্যবহার করা যায়।
ছবি আপলোডের বিষয়টা আরো সহজ করার চেষ্টা চলছে। একটা ছবি কর্ণার এবং অডিও কর্ণার এই আইডিয়াটা ভালো।
এটা করা গেলে খুব ভাল হয়
ছবি, ভিডিও, সুর, টেক্সট, এসবের সীমান্তই তো সচলে উঠে গেছে। একটা পোস্টের উপকরণ তো এ চারটা মিশিয়েও হতে পারে।
পোস্টের উপকরণ এই চারটা হতেই পারে। কিন্তু আমি বলছিলাম ব্যানার যেভাবে আলাদা করে সংরক্ষিত হচ্ছে, সেভাবে অডিও এবং ভিডিও আলাদা কর্নার করে সংরক্ষিত হতে পারে কিনা।
আর একটা গল্প বা কবিতার সাথে কোন প্রাসঙ্গিক কোন টিউন বা ভিডিও যোগ করা কতটা কার্যকারী সে ব্যাপারে আমি কনফিউজড। প্রবন্ধ/ ব্লগরব্লগর এসবের সাথে অডিও/ ভিডিও কনটেন্ট পোস্টকে সহজ/ ইন্টারেস্টিং/ কার্যকরী করে, তাতে সন্দেহ নেই।
চিত্রশিল্পের সাথে অডিও/ ভিডিও মাধ্যম যোগ হচ্ছে অনেকদিন ধরে। আমরা কি আমাদের লেখা গল্প/কবিতার সাথে এমন অডিও/ভিডিও যোগ করে মিশ্র-শিল্প তৈরি করতে পারি? না সেটা পাঠকের চিন্তা কে বেঁধে ফেলা হবে?
অডিও-ভিডিও কর্নার আলাদা করে - এই আইডিয়াটা ইন্টারেস্টিং লাগছে এই দিক থেকে যে তুমি যেমন বললে, যারা শুধু শিল্পের ব্যাপারেই আগ্রহী তারা ঢুঁ মারলো ঐ সেকশনে, প্রবন্ধ, গল্প পড়লো না ইচ্ছা না হলে, এই দিক থেকে। তবে অডিও কর্নার জাতীয় একটা জিনিস কিন্তু আছে সচলায়তনে, তবে সেটা এইখানে আপলোড করা অডিও কালেকশন শুধু।
আর লেখালেখি যেমন গল্প, ভ্রমণ, স্রেফ দিনলিপি বা এমনি ব্লগরব্লগর এসবে তো ভিডিও, গান, সুর, ইচ্ছা মতো যুক্ত করেই ব্লগ পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই, আগে থেকেই। আমারতো বেশ ভালো লাগে সেগুলো পড়তে/শুনতে/দেখতে।
সবার এই অংশগুলো নিয়ে আলাদা একটা আর্কাইভ থাকলে ভালো হত এইটা আমারো মনে হয়েছে, মাঝে মাঝে কন্টেন্ট খুঁজে বের করতেও অনেক সুবিধা হয় তাইলে, বড় পোস্ট লোড হবার থেকেও সময় বাঁচে, বা ইন্ডেক্সিং করা থাকলে খুঁজতে সুবিধা হয়, আর মূল লেখার লিংকটা দেয়া থাকলো মিডিয়া কন্টেন্টের ঐখানেও। এমনটা কি করা যায়?
অট: মুর্শেদ ভাই, আবার এই ঘটনা ঘটলো, মন্তব্য করেছি আনন্দীর মন্তব্যের 'জবাব' হিসেবে, কিন্তু মন্তব্যটা চলে গেছে সবার শেষে! এখন আবার নতুন করে এইটা লিখলাম, আর মন্তব্যের নাম্বারিং দরকার মনে হয়, রেফারেন্স দিতে
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই স্পিরিটটাই আসল ব্যাপার
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সময়োপযোগী লেখা। মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক কিছুর জন্য অপেক্ষায় আছি।
একটু ভিন্নমত জানাতে চাই। বাংলাদেশ আর আমেরিকার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বাংলাদেশে, অন্তত এখন পর্যন্ত, খবরের কাগজের পাঠকের সংখ্যা ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী। কেবল জনসংখ্যা বাড়ছে বলেই নয়, শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বৃদ্ধিই এর মূল কারণ। অন্যদিকে কাগজগুলোর অনলাইন সংস্করণের পাঠকও বাড়ছে, তবে দু-একটা বাদে বেশির ভাগ কাগজই এ ব্যাপারে এখনও তেমন সচেতন নয়। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, দিন দিনই অনলাইনের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে কাগজগুলো। সেই সাথে কর্পোরেট হাউসগুলোও, যাদের বিজ্ঞাপনের টাকায় কাগজগুলো চলছে। কাজেই আমার মনে হয় না বাংলাদেশের খবরের কাগজগুলোর খুব সহসাই পতন ঘটতে যাচ্ছে।
কুটুমবাড়ি
নোট: এই মন্তব্যটা উপরে আনন্দীর মন্তব্যের জবাবে করেছিলাম। এখানে পোস্ট হয়েছে, তাই আবার উপরে লিখেছি। এই নিয়ে এইরকম ৩ বার হলো, তিনটা ভিন্ন পোস্টে।
অডিও-ভিডিও কর্নার আলাদা করে - এই আইডিয়াটা ইন্টারেস্টিং লাগছে এই দিক থেকে যে তুমি যেমন বললে, যারা শুধু শিল্পের ব্যাপারেই আগ্রহী তারা ঢুঁ মারলো ঐ সেকশনে, প্রবন্ধ, গল্প পড়লো না ইচ্ছা না হলেই এই দিক থেকে। তবে অডিও কর্নার জাতিয় একটা জিনিস আছে সচলায়তনে মনে হয়েছে, কিন্তু সেটা এখানে আপলোড করা অডিও শুধু।
আর লেখালেখি যেমন গল্প, ভ্রমণ, স্রেফ দিনলিপি বা এমনি ব্লগরব্লগর এসবে তো ভিডিও, গান, সুর, ইচ্ছা মতো যুক্ত করেই ব্লগ পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই, আগে থেকেই। আমারতো বেশ ভালো লাগে সেগুলো পড়তে/শুনতে/দেখতে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জবাবে ক্লিক করতে গিয়ে নতুন মন্তব্য করুনে ক্লিক করে ফেলোনি তো? আমার এরকম হয় নি এখনো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নাহ্! এই যে দেখ, আমি ঠিক ঠিক 'জবাবে' ক্লিক করতারি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখা ভাল্লাগসে। চিন্তা করতে বসলাম।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নতুন মন্তব্য করুন