আমাদের ডেন্টাল হাইজিন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: রবি, ১৬/০১/২০১১ - ৯:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিষয়টা একটু ইয়ে। অনেকেই হয়ত নড়ে চড়ে বসবেন শিরোনাম পড়ে। অনেকে ভুরু কুঁচকাবেন। তবু আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।

বাঙ্গালীদের ডেন্টাল হাইজিন খুবই খারাপ। আরেকটা ব্যাপার খারাপ। সেটা হল গায়ে ঘামের গন্ধ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। সেটা এক্ষেত্রে অপ্রসাঙ্গিক। আপাততঃ ডেন্টাল হাইজিনে ফিরে আসি।

ডেন্টাল হাইজিনে আমার দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে কতগুলো সাধারণ তথ্য আলোচনা করা হয়েছে লেখায়।

প্রথমে আমার নিজের কথা স্বীকার করে নেয়া ভালো। আমার ডেন্টাল হাইজিন ছিল জঘন্য। আর দশটা বাঙ্গালীর মত ছোটোবেলায় শুধু দাঁতের সমস্যায় ডাক্তার দেখিয়েছি। বড় হয়ে কবে দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছি মনে নেই। দিনে বড়জোর একবার দাঁত ব্রাশ করতাম। মাউথওয়াশ বাংলাদেশে পাওয়াও দুষ্কর। সুতরাং যেমনটা হবার কথা তেমনই ছিল আমার ডেন্টাল হাইজিন।

চাকুরী হবার পর ডেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের কল্যানে ফ্রি ডেন্টাল ক্লিনিং করতে গিয়ে আমার টনক নড়ল। দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাবে আমার মাড়িতে দিকটা গভীরভাবে বিযুক্ত। একটা পেরিডন্টাইটিস প্রসিডিউর করাতে হবে। আমার দাঁত ফাঁকা সেটাও ঠিক করানো প্রয়োজন। নিয়মিত (কমপক্ষে বছরে দু থেকে তিন বার) ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। সকালে এবং রাতে দাঁত মাজতে হবে। রাতে ঘুমুতে যাবার আগে ফ্লস করতে হবে। দু'বেলা মাউথওয়াস ব্যবহার করতে হবে। আবার বাজারে গণহারে মাউথওয়াশ পাওয়া যায় যেটা শুধু মুখের গন্ধ ঢেকে রাখে, জীবানুনাশক নয়। সুতরাং পয়সা বেশী দিয়ে জীবানুনাশক মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। কমপক্ষে তিনমাস পর পর টুথব্রাশ বদলাতে হবে।

প্রায় দুবছর ধরে যথেষ্ট পয়সা খরচ, অসংখ্য ডাক্তার ভিজিট এবং ক্রমাগত চেষ্টায় অভ্যেস বদলের পর এখন মোটামুটি আমার দাঁতের হাইজিন ভালই বলা যায়। কিন্তু আমার বাংলাদেশী আত্মীয় সজন, পরিচিত বাঙ্গালীরা মোটামুটি সেই আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছেন। তাই এই লেখাটা জরুরী মনে হল।

লেখাটি ডাক্তারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত উপদেশাবলীর এবং আমার ব্যাক্তিগত গবেষণার উপর ভিত্তি করে লেখা।

টুথপেস্ট এবং টুথব্রাশ
টুথপেস্ট নির্বাচন করবেন এমনটা যেটা আপনার দৈনন্দিন খাবারের ময়লা বা দাগ তুলতে সাহায্য করে। বাজারের সবচেয়ে স্বস্তা টুথপেস্ট না ব্যবহার করে একটু ভালো টুথপেস্ট নিন। 'দাঁত সাদা করবে' - এই ধরণের টুথপেস্টের চেয়ে 'দাঁত পরিষ্কার রাখবে' এই ধরনের টুথপেস্ট ভালো। অনেক টুথপেস্টে গ্রেইনি পদার্থ থাকে। এধরণের টুথপেস্ট খুব কার্যকরী প্রমানিত হতে পারে। উপরন্তু মাঝে মাঝে ব্র্যান্ড বদলান। আমার সাম্প্রতিককালে ব্যবহৃত টুথপেস্টের মধ্যে কোলগেট প্রো ক্লিনিকাল, সেনসোডাইন এসিড এরোসন ভালো মনে হয়েছে।

টুথব্রাশের ক্ষেত্রে মাঝারী শক্ত, ক্রিসক্রস ব্রিসল যুক্ত এবং সম্ভব হলে দাঁতের মাড়ি থেকে ময়লা সরাতে পারে এরকম প্লাস্টিকের সাহায্যকারী অংশ যুক্ত ব্রাশ কিনুন। ব্রাশের পিছনে জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য খাঁজ কাটা থাকলে ভালো। নইলে আলাদা জিহ্বা পরিষ্কারক কিনত পারেন। কমপক্ষে তিন মাস অন্তর অন্তর ব্রাশ বদলান। ওরাল-বি ক্রস অ্যাকশন প্রো হেলথ টুথব্রাশটি আমার খুব পছন্দ।

প্রতিদিন কমপক্ষে দু'বার (সকালে এবং রাতে) এবং সম্ভব হলে তিনবার খাবার পর ব্রাশ করুন। প্রয়োজনে অফিসে একসেট টুথব্রাশ এবং টুথপেস্ট রেখে দিন। ব্রাশ করার সময় সার্কুলার মোশনে কমপক্ষে দু'মিনিট ধরে দাঁতের উপর, নীচ, ভিতর এবং বাইরের দিক ভালভাবে ব্রাশ করুন। জিহ্বা টাং ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন।

ফ্লস
ডেন্টাল ফ্লস ডেন্টাল হাইজিনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বাংলাদেশে 'ফ্লস করলে দাঁতের ফাঁকা বেড়ে যাবে' এই ধরণের ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, ডাক্তারদের ভাষ্যমতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কমপক্ষে দিনে একবার, রাতে ঘুমুতে যাবার সময় ফ্লস করা জরুরী।

ফ্লসিংয়ের জন্য বাংলাদেশে অনেকে দাঁত খোচানোর কাঠি ব্যবহার করেন। এটা বিপদজনক। কাঠি ভেঙ্গে দাঁতের ফাঁকে থেকে যেতে পারে। কাঠার খোঁচায় ক্ষত তৈরী হতে পারে।

সবচেয়ে সহজ এবং তুলনামূলকভাবে সস্তা পদ্ধতি হল সুতা ব্যবহার করা। ফ্লসিংয়ের জন্য একটু শক্ত কিন্তু সরু, মিন্ট যুক্ত ফ্লসিং থ্রেড পাওয়া যায়। তবে একটু ভালো ধরণের ফ্লস পাওয়া যায় যার এক প্রান্ত একটু সফট কিন্তু খরখরে, আরেক প্রান্ত সাধারণ সুতার মত এবং শেষ অংশ শক্ত। এধরণের ফ্লসার খুব সহজে দাঁতের ফাঁকে ফোঁকড়ে ব্যবহার করা যায়। এরকম একটি ফ্লস হোলো ওরাল-বি সুপার ফ্লস

ফ্লসিং করতে সুতা হাতে পেঁচিয়ে দাঁতের ফাঁকে চালনা করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন গোড়া থেকে ময়লা বেরিয়ে আসে ঠিকমতো। এভাবে প্রতিটা দাঁতের ফাঁকে সুতা দিয়ে ফ্লসিং করুন।

যদি সুতা ব্যবহার করে ফ্লসিংয়ে সমস‌্যা মনে হয় তাহলে সুতা যুক্ত কাঠি বা সুতা যুক্ত ডান্ডা ব্যবহার করতে পারেন।

মাউথওয়াশ
বাংলাদেশে মাউথওয়াশ অপ্রতুল এবং দূষ্প্রাপ্য। বিভিন্ন প্রকারের মাউথওয়াশ আছে। সহজভাবে শ্রেণীবিভাগ করতে গেলে বলা যায় এক ধরণের মাউথওয়াশ শুধুমাত্র মুখের গন্ধ সুগন্ধী দিয়ে ঢেকে রাখে কিন্তু জীবানুকে ধ্বংস করে না। আরেক ধরণের মাউথওয়াশ জীবানু সক্রিয়ভাবে ধ্বংস করে। তাছাড়া কোনো কোনোটি দাঁতকে শক্তিশালী, সাদা ইত্যাদি করতে সাহায্য করে। আমার ব্যবহার করা মাউথওয়াশের মধ্যে কোলগেট ফসফ্লার সবচেয়ে কার্যকরী মনে হয়েছে। এছাড়া থেরা ব্রেথও খুব ভালো। তাছাড়া বায়োটিন, অ্যাক্ট টোটাল কেয়ার মাউথওয়াশ খুব ভালো মনে হয়েছে।

দিনে প্রতিবার দাঁত মাজার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। দুমিনিট মাউথওয়াশ মুখে নিয়ে গার্গল করে ফেলে দিয়ে কমপক্ষে পনের মিনিট মুখ ধুবেন না। পনেরো মিনিট পর কুলকুচা করে নিন।

প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর
নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান। আবার বলি, নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যান। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বছরে কমপক্ষে দু'বার থেকে তিনবার দাঁতের ডাক্তার দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করান। ডাক্তার কোনো রকমের সাজেশন দিলে মন দিয়ে শুনুন। কোনো কিছু করাতে বললে সেটা করান। দাঁতের স্বাস্থ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একবার দাঁত নষ্ট করে ফেললে আর কিছু করার থাকবে না। প্রিভেনশন ইজ অলওয়েজ বেটার দ্যান কিওর।


শেষকথা
দাঁত খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দাঁতের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে আপনার নিজের স্বাস্থ্য। আপনার হাসি এবং দুগন্ধহীন নিশ্বাসের উপর নির্ভর করে আপনার ক্যারিয়ার, বন্ধু পরিধি, আপনার ইমেজ। সুতরাং সময় থাকতে নিজে সচেতন হোন এবং বন্ধুদের সচেতন করুন। বিষয়টি সেনসিটিভ বিধায়, খুব সাবধানে বিষয়টি বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন। এতে করে আপনি এবং আপনার বন্ধুমহল পাবে সজীব নিশ্বাস।

এ লেখাটা সম্পূর্ণ আমার নিজের ডেন্টাল সচেতনতা এবং ডাক্তারদের উপদেশ থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। আমার কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ মনে হলে কিংবা আপনার কোনো সাজেশন থাকলে নির্দ্বিধায় জানান। ধন্যবাদ।


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দাঁত থাকিতে দাতেঁর মর্যাদা নাই, এইটা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝি! আমার তিনটা দাঁত রুটক্যানেল করা। এখনও বছরে এক-দুইবার ডাক্তারের কাছে দৌঁড়াতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

আমি দিনে কমপক্ষে দুইবার দাঁত ব্রাশ করি। রাতে শোবার আগে লিস্টারিন দিয়ে কুলি করি। আগে ধূমপান করতাম তাই দাঁতের ভেতরের দিকে কালচে বাদামী দাগ পড়ত। এখন ধূমপান করি না তাই দাগের অস্তিত্ব নাই। দাঁতগুলো দেখতে ঝকঝকে হলেও রুট ক্যানেল, ফিলিং ইত্যাদি দিয়ে দাঁতের অবস্থা তথৈবচ।

মুখের দুর্গন্ধের জন্য মূলত দায়ী জিহবা। দাঁত যতই পরিষ্কার থাকুক, জিহবা পরিষ্কার না থাকলে মুখে দুর্গন্ধ হতে বাধ্য। সুতারাং, প্রতিদিন ফ্লস/ব্রাশ ব্যবহার করে জিহবা পরিষ্কার করাটা বেশি জরুরী।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শুধু জিহ্বা নয়। দাঁতের গোঁড়ায় ময়লা, পেরিডন্টাইটিস এসবের কারণেও দুর্গন্ধ হয়। লিস্টারিন মূলতঃ মুখের গন্ধ ঢেকে রাখে, জীবানুনাশ করে না। সুতরাং সম্ভবহলে লিসটারিন বদলে ফেলুন।

দ্রোহী এর ছবি

লিস্টারিন মূলত ব্যবহার করি মুখের সতেজতার জন্য। লিস্টারিন দিয়ে কুলি করলে মুখটা বেশ হালকা হালকা লাগে। অভ্যাস হয়ে গেছে। একদিন কুলি না করলে মুখটা কেমন ভারি ভারি লাগে।

লিস্টারিন বদলে কী ব্যবহার করব?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফসফ্লার দামী কিন্তু খুব ভালো। তাছাড়া থেরা ব্রেথ, অ্যাক্টও ভালো। আপনি একটু লক্ষ্য করবেন অন্য আর কি ব্র্যান্ড আছে।

লিসটারিন অনেক পুরোনো ব্র্যান্ড হলেও ২০১০ এ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এটি দুর্গন্ধ শুধু মাস্ক করে। তাছাড়া যে এতে ব্যবহৃত অ্যালকোহল মুখকে শুকিয়ে দেয় (ড্রাই মাউথ)। এখানে দেখুন

দ্রোহী এর ছবি

এখানে ওরাল-বি পাওয়া যায়। ফস ফ্লার তো দেখলাম কলগেটের। সুতারাং, পাওয়া যাবার কথা।

সমস্যা হচ্ছে, আমি বাজার করি পিওর ব্যাটাছেলে স্টাইলে। শেলফের সামনে দাঁড়িয়ে বাছাবাছি ধাতে সয় না। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখি। যাদের বিজ্ঞাপন ভাল হয় তাদের প্রোডাক্টও ভাল হবে এই অনুসিদ্ধান্তের বশবর্তী হয়ে বাজারে গিয়ে দূর থেকে লিস্টারিনের হালকা নীল বোতল টার্গেট করে কাছে যাওয়া মাত্র টান দিয়ে শেলফ থেকে নামিয়ে ফেলি।

দেঁতো হাসি

দিফিও-1 এর ছবি

বাংলাদেশে দাঁত নিয়ে তেমন চিন্তা না করা, আর আমেরিকায় দাঁত নিয়ে বেশী চিন্তাভাবনার পেছনের একটা গূঢ় কারণ--আমেরিকায় দাঁতের চিকিৎসার অত্যধিক খরচ হাসি

এখানকার "দুঃস্থ মেধাবী" গ্রাজুয়েট ছাত্র বেশীরভাগেরই দাঁতের ইনসুরেন্স নেই, তাই সবাই খানিকটা ভয়েই থাকে। যারা জানেননা, তাদের জন্য বলি, আমেরিকার রুট ক্যানালিং এর যে খরচ, তাতে করে দেশের রিটার্ন টিকেট কেটে দেশের ডাক্তারের কাছে করিয়ে আনাটা অনেক সময় কম খরচান্ত হয়!

বাংলাদেশীদের দাঁতের হাইজিন খারাপ---এ বিষয়ে কোন স্ট্যাট আছে কী? আমেরিকার গাঁগেরামের অনেক বুড়াবুড়িরও দাঁতের টাইট অবস্থা দেখেছি। অবশ্য জেনেটিক্যাল এফেক্টও থাকতে পারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

স্ট্যাট নেই। তবে বাংলাদেশে সাধারণভাবে সচেতনতা অনেক কম। এটা একটা প্রতক্ষ্য অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত উপলব্ধি।

(অতিথি)  এর ছবি

সময় অসময়ে বেগতিক অবস্থা সামাল দিতে tiktak বা কোনো চুইং গাম সাথে রাখতে পারেন। -রু

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বড়ই দরকারি পোষ্ট।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

মহাগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট! আমি হইলাম পেরিডন্টাইসিস এর আল্টিমেট উদাহরণ! প্রথমে আমার ডেন্টিস্ট খাড়া একটা দাঁত ফেলে দিল...এরপর প্রতি তিনমাসে একবার ক্লিনিং। দেড় বছর এমন চলার পর বলল, গাম স্পেশালিস্টের কাছে যেতে...গাম স্পেশালিস্ট প্রথম চার সপ্তাহে মাড়ির গভীরে গিয়ে ক্লিন এবং ক্ষত তৈরি করল...বলল নরমালি আমাদের যেমন কোন ক্ষত হলে নতুন সেল গজায় তেমনি হয়ত গজাবে। গত দুই বছর ধরে গাম স্পেশালিস্ট প্রতি তিনমাসে একবার দেখে-ক্লিন করে...এবাবদ প্রায় ১০ হাজার ডলারের উপর গত দুবছরে নিল। খুব একটা ইম্প্রুভ করছে না...৮মিমি ডিপ ছিল...এখন ৫-৬ মিমি...বিরক্ত হয়ে বললাম সার্জারি করতে, ১০ মিমি না হলে নাকি করা যায় না। কবে এই ভেজাল থেকে মুক্তি পাব কে জানে...এখন বলছে ডেন্টিস্ট-গাম স্পেশালিস্ট দুইটা সমানে চালাতে!! ইউনিভারসিটি িন্সুরেন্স বছরে হাজার দেয়, বছরে দুই হাজার দেয় আমার বউয়ের অফিসের ইন্সুরেন্স...বাকিটা আমার। এই দুইটা না থাকলে চাট্টিবাট্টি গোল হয়ে যেত।
আরো কয়েকটা:

-ফলমূল-লেবু-মিষ্টি-চকলেট খাওয়ার পর অবশ্যই মুখ ক্লিন করা
-ফলমূল খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ সাথে সাথে না করা
-ওয়াইন-চা-কফি খেয়ে দাঁত পরিস্কার করা
- বিড়ি খাইলে মাউথ-ওয়াশ দিয়ে ক্লিন করা (এন্টি টারটার)
- ভিটামিন বি ও সি খাওয়া
- ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ বেশ ভালু পাই (ওরাল বি)
- আমিও লিস্টারিন ব্যবহার করি; আপনার পরামর্শ অনুযায়ী দেখি বাকিগুলা ট্রাই করে

ধন্যবাদ ভাইয়া

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পেরিডন্টাইটিসটার ইঞ্জেকশনগুলো খুব কষ্টকর ছিল। কিন্তু পেরিডন্টাইটিস করার পর তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া মোটামুটি চারমাসে একবার করলেই হবে এখন। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাল এবং তথ্যসমৃদ্ধ লিখা, কিছু ব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত না, আপনি টুথপেস্ট, মাউথ ওয়াস এর ব্রান্ড নিয়ে যতটা serious হয়েছেন তার চাইতে বেশি important হল সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা।
আমাদের ডেন্টাল হাইজিন খারাপ হবার এইটাই আসল কারন। সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করার একটা ভিডিও শেয়ার করলাম

আর একজন দন্তচিকিৎসক হিসেবে আমরা টুথপেস্ট, মাউথ ওয়াস এগুলার ব্রান্ড পরিবতন করে করে ব্যবহার করার পরামর্শ দিই। কারন একনাগারে কোন উপাদান ( যেমনঃ sensodyne এর Fluoride ) ব্যবহার করলে কিছু সমস্যা হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ভিডিও শেয়ার এবং সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশের টিপসের জন্য ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে এ বিষয়ে লেখা আশা করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

দাঁত নিয়ে ছোটবেলা থেকেই অবহেলার দরূন আজ আমার মুখের ভয়াবহ অবস্থা। এমনিতে দাঁতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ঠিকমত দুধের দাঁত না তোলায় মগের মুল্লুক ভেবে আশেপাশে থেকে যে যেখানে জায়গা পেয়েছে সেখান দিয়েই গজিয়ে গেছে। মন খারাপ পুরা হেরিংবন্ড রাস্তা। রেগুলার ব্রাশ করি তাই মনে হয় এখনও ঠিক আছে। কিন্তু আন্তঃদন্তীয় জায়গা এবড়োথেবড়ো ভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সেখানে খাবার আটকে যায়। আইসক্রিম খেলে কিছু না হলেও স্কেলিং করার কথা শুনলেই শিরশির করতে থাকে। আর তাই ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয় না।

মুর্শেদ ভাইএর লেখাটা অনেক দরকারী বটে। অনেক কিছু জানলাম। চলুক

-অতীত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

তবে বছরে একাধিকবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ব্যাপারটা ঢাকায় সহজ নয়। অধিকাংশ ডাক্তারের ওখানেই হাইজিন মেনটেন করা হয় না। ঢাকায় যতো হেপাটাইটিসের রোগি আছে, আমার ধারনা তাদের ৮০ ভাগই দাতের ডাক্তারের কাছ থেকে সংক্রামিত।
বিদেশী একটি সংস্থা গত বছর তাদের স্টাফদের জন্য দাঁতের ডাক্তার মনোনয়ন করতে গিয়েছিল। বনানীর যে জনসন বলে বড় ডেন্টাল ক্লিনিক ছিল সেখানকার ব্যস্ততম দাঁতের ডাক্তারের একজনেরই কোনো ডেন্টাল চিকিৎসার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, পিওর হাতুড়ে...এটা ওরা খুঁজে বের করেছে।
আমি আগে জনসনে প্রতি ৬ মাসে একবার দাঁত ক্লিন করাতাম, এখন কী করব জানি না।
-
আমি লিস্টারিন ব্যবহা করি, কিন্তু এখন আপনার কাছ থেকে জানলাম ওটাও জীবানু নাশক না। এখন অন্যব্র্যান্ডগুলো চেক করব। চেক করার পদ্ধতিটা কী?
মানে কোন উপাদানটা আছে কি না দেখতে হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

বনানীর জনসন এ ডাঃ ক্রিস্টফার রুয়েল বৈরাগী নাম এর একজন ডাক্তার আছে, উনি একমাত্র দন্ত চিকিৎসায় গ্রাজুয়েসন করা এবং BMDC 'r লাইসেন্সধারী বাকি সবাই হাতুড়ে ।
lister mouthwash antiseptic বা জীবানু নাশক

অতিথি লেখক এর ছবি

বনানীর জনসন এ ডাঃ ক্রিস্টফার রুয়েল বৈরাগী নাম এর একজন ডাক্তার আছে, উনি একমাত্র দন্ত চিকিৎসায় গ্রাজুয়েসন করা এবং BMDC 'r লাইসেন্সধারী বাকি সবাই হাতুড়ে ।
lister mouthwash antiseptic বা জীবানু নাশক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লিসটারিন জীবানুনাশক হলেও কার্যকরী নয়। উপরের লিংক থেকে একটু ঘেঁটে দেখতে পারেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি নিজে ট্রায়াল দিয়ে দেখি। উপাদান গুলোর কার্যকারীতা পড়ি। প্রয়োজন মনে করলে অনলাইন সার্চ করি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতাই কাজে লাগে বেশী।

মুখের দুর্গন্ধ পরীক্ষা করবার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, পরিষ্কার হাতের পিঠে একটু করে জিহ্বার ছোঁয়া দেয়া। তারপর হাতটা নেড়ে থুতুটা শুকিয়ে যেতে দিতে হবে। এই থুতুর গন্ধ শুঁকে বলা যাবে মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে কিনা। এরপর হাত ধুয়ে ফেলুন।

সাধারণভাবে বেশীরভাগ লোক মুখ থেকে শ্বাস হাতের ভেতরের দিকে ফেলে, সেই শ্বাসটা নাকে পাঠিয়ে গন্ধ শোঁকার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে করে আসল দুগন্ধের বদলে হাতে গন্ধই নাকে আসে।

ফানুস এর ছবি

আপনার পরীক্ষা করে তো বিপদ টের পেলাম । ধন্যবাদ , পোস্ট খুবেই দরকারী ।

দ্রোহী এর ছবি

মুখের দুর্গন্ধ পরীক্ষা করবার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে, পরিষ্কার হাতের পিঠে একটু করে জিহ্বার ছোঁয়া দেয়া। তারপর হাতটা নেড়ে থুতুটা শুকিয়ে যেতে দিতে হবে। এই থুতুর গন্ধ শুঁকে বলা যাবে মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে কিনা। এরপর হাত ধুয়ে ফেলুন।

দারুণ একটা পদ্ধতি শেখালেন। এইমাত্র পরীক্ষা করে দেখলাম। আরেকটু হলে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম!

প্রাসঙ্গিক একটা ভিডিওর লিংক দেবার লোভ সামলাতে পারছি না।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমারো একই অবস্থা। ভিডিও দেখে

দুর্দান্ত এর ছবি

কাজের পোস্ট। আপনার প্রোফাইল দেখে মনে মনে আপনার দাঁত ও মিষ্টি হাসির প্রসংসা করেছি। এবার তার শানে নুযূল কিছুটা জানা হয়ে গেল।
লিস্টারিন ব্যাবহার করি। এর বিকট স্বাদের জন্য ভাবতাম, জীবানুর দফা বুঝি রফা। দেখি এইবেলা অন্য কিছু টেরাই দিতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ।

চট্টগ্রামে বেশিরভাগ দাঁতের ডাক্তার হাতুড়ে। তাদের কাছে গেলে হাইজিনের পরিবর্তে অন্য রোগ বাধার আশংকা আছে। ডাক্তার নির্বাচন করার আগে ভালোমতোন যাচাই করা প্রয়োজন।

আর দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলেই অনেক টাকার শ্রাদ্ধ। এই ভয়েই অনেকে যান না।

sopan এর ছবি

খুব দরকারি পোস্ট , ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই উপকারি লেখা। দেখি এই সপ্তাহেই দাঁতের ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে।

--
কালো ও সাদা

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
মাউথওয়াশ হিসেবে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H2O2) [হাইড্রোজেন-পারঅক্সাইড:পানি=১:১] ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের দাঁতের dental caries হয় সাধারণত Streptococci group বিশেষ করে Streptococus mutans ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। H2O2 Strp. mutans ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে ফেলে। এছারাও আরও অনেক অনুজীব (microorganism) যা কিনা আমাদের মুখে থাকে এবং দাঁতের ক্ষতি করতে পারে, H2O2 ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যাবে।

শুধু দাঁতের ডাক্তার না, যে কোন রকমের সার্জিকাল (যার কারণে রক্তক্ষরণ হতে পারে) প্রসিডিয়রের আগে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে যে তার যন্ত্রপাতি sterile (ভালমত পরিস্কার করে ফুটিয়ে নেয়া হয়েছে) কিনা।

ওডিন এর ছবি

দুর্দান্ত এবং দরকারি একটা লেখার জন্য মুর্শেদ ভাইকে উত্তম জাঝা!

লিস্টারিন মাউথওয়াস বাংলাদেশে বানায় অথবা প্যাকেজিং করে- জেনারেল ফার্মা। আমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করি।

গত বেয়াল্লিশ বছর ধরে ক্রমাগত চকলেট খেয়েও যে দাঁত মোটামুটি সাইজে রাখতে পেরেছি তার একটা কারন এইসব খুব সামান্য কিন্তু দরকারি স্টেপগুলো ফলো করা! এখন পর্যন্ত ক্যারিজ হয় নাই মুহাহাহাহা দেঁতো হাসি আমি এর প্রায় সবগুলোই মেনে চলার চেষ্টা করি, কিন্তু খালি নিয়মিত দাঁক্তারদের কাছে হাজিরা দেয়া বাদে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের পছন্দ করিনা। ছোটবেলায় কয়েকটা দাঁত পড়ার আগেই তার ওপরে দাঁত উঠে যাচ্ছিলো, তখন কয়েকবার তাদের সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিলো অ্যান্ড দ্যাট, মাই ফ্রেন্ডস, ওয়াজ নট এ গুড এক্সপিরিয়েন্স ওঁয়া ওঁয়া

আমার মনে হয় এই ভয়ের কারণেই এখনো দাঁত সম্বন্ধে আমি অতিসচেতন দেঁতো হাসি

তানজিমুর এর ছবি

বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, মুর্শেদ ভাইকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-...অনেক কিছু জানলাম...
বলা হয় ব্যাকটেরিয়া আধিক্য বিবেচনায় Anus is cleaner than mouth....
খেয়াল রাখতে হবে দাঁতের ভেতর বাহির দুই দিকই যেন পরিষ্কার থাকে...অনেকের বাইরে ফিটফাট কিন্তু ভেতরের অবস্থা করুন।যাদের হার্ট ভাল্ভে সমস্যা আছে অবশ্যই এন্টিবাইওটিক নিতে হবে দাঁতে কোন ইনভেসিভ কিছু করার আগে।খাবার পরে ব্রাশ করা খুবই জরুরি...খাবার আগের চেয়ে।আমাদের দেশে সবাই খাবার আগে দাঁত ব্রাশ করে আর খাবার পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়...হে...হে...
তবে মন খারাপ এর কিছু নেই...জাপানিদের দাঁতের অবস্থা ভয়াবহ...অনেকেই এক বা একাধিক মেটাল দাঁত নিয়ে ঘুরছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খুব কাজের পোস্ট। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আরো সহজ সমাধান দরকার।

এতোবার ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা আমার পছন্দ না। ডাক্তার এড়িয়ে চলতে চাই আর দাঁতের ডাক্তারের কাছে এখন পর্যন্ত একবারও যাওয়া হয় নাই।

সুস্থ শরীরের জন্য কেমিক্যালের চেয়ে সুস্থ জীবনযাত্রা (লাইফস্টাইল) অনেক বেশি দরকার। সুস্থ খাবার, ঠিকমতো ঘুম এবং ব্যায়াম করতে পারলে ডাক্তার এড়ানো যায় খুব সহজেই। দাঁতের জন্য কী পয়েন্ট হলো খাবার পরে (সকাল-বিকাল, দিনে ২/৩ বারের হিসাবের চেয়ে এটা গুরুত্বপূর্ণ) দাঁত পরিস্কার করা। ব্রাশ করার সুযোগ থাকলে ব্রাশ করা (বেশিবার ব্রাশ করা বা হার্ড ব্রাশ ব্যবহার করা আবার খারাপ), না থাকলে ভালোমতো কুলি করা। কুলি করাটা খাবারের সময়ের বাইরেও যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে, করলে কাজ দেয়। সাথে নিয়মিত বিরবতিতে পানি পান করতে হবে। ডাক্তারেরা ভালো বলতে পারবেন, তবে মুখের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে পেটের স্বাস্থ্যের ওপর। পানি পেটের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

এরপরে ফ্লসিং, মাউথওয়াশ হলো ফাইন টিউনিং।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কৌস্তুভ এর ছবি

আঁ আঁ আঁ... দ্বিতীয় দাঁতটায় রুট ক্যানাল করাচ্ছি এখন...

যথারীতি (গুড়) প্রবন্ধ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সবচেয়ে ভালো হয় দাঁত বুলডোজার দিয়ে (বেসম্ভবে পুতা দিয়ে গুঁতিয়ে) ফেলে দিয়ে ফলস দাঁত লাগায়ে নেয়া। তিনমাসে টুথব্রাশ বদলানোর হ্যাপা নাই, দাঁক্তারের কাছে গিয়ে হাক্তার দাঁক্তার মারফত সাইজ হওয়ার ভয় নেই, সেন্সোডাইন ভালো নাকি কোলগেট, তিব্বত ডি ফাইভ নাকি ক্লোজআপ- এই নিয়ে পরিবারের সাথেও মতোবিরোধের ঝামেলা নেই। বছরে ছয় মাসে একবার ফলস দাঁতের পাটি জামা কাপড়ের সাথে ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলেই হবে।

সব দিক দিয়েই ভালো বুদ্ধি। টাকাও বাঁচে, দাঁতের পিছে নষ্ট করা সময়ও বাঁচে।

তানভীর এর ছবি

হ! তাপ্পর কনে দেখতে গিয়ে যখন দাঁতের পাটি খুলে আসবে তখন আর কুনো শালীই কপালে জুটবে না দেঁতো হাসি ...আন্নে আঁর কতা বুইচ্চেননি? চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অক্রুর মাঝি এর ছবি

মেসওয়াক ব্যবহার করি, টুথপেস্ট না, আদি ও অকৃত্রিম দাঁতন। দেঁতো হাসি দেখেন, এখনও কী মজবুত!

অতিথি লেখক এর ছবি

(ভক ভক ভক)
মুখের গন্ধে মন্তব্য ঢাকা পড়ে গেছে! চোখ টিপি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমার আর আমার ভাইয়ের প্রতি বছরই দাঁতের ব্যথায় কাতর হয়ে দাঁক্তার দেখাতে হয়। আমার দুইটা ক্যারেজ ফিল, একটা রুট ক্যানাল, একটা আক্কেল দাঁত তুলে ফেলা (বাঁকা হয়ে বেরুচ্ছিল, এবং আরো দুইটা এইভাবেই বেরুচ্ছে!! ওঁয়া ওঁয়া ), আর আমার ভাইয়ের ফিরিস্তি দিতে লাগলে শেষ হবেনা। আমরা মোটেও চক্কেট খেয়ে খেয়ে দুধ দাঁতই ক্ষয়ে ফেলা বাচ্চা ছিলাম না, (ফ্র্যাংক্লি এই বাচ্চাগুলোকে বাজে লাগে পুরা, আর এদের বাবা-মাদেরকে ধরে মাইর লাগাইতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে)! তবে আমার ভাইয়ের অনেক অনীহা ছিল আগে দাঁতের ব্যাপারে যত্ন করতে এখন বাধ্য হয়ে চেষ্টা করে, কিন্তু আমি ছোট থেকেই দুইবার দাঁত ব্রাশ করতাম। দাঁতের সমস্যায় ওরটা তাই ব্যাখ্যা করা যায়, আমারটা যে কেন বুঝি না! আমার আব্বা-আম্মার দাঁতের সমস্যা খুব কম হলেও, চাচা-ফুপুদের একজন করে স্কিপ করে করে দাঁতের সমস্যা এবং সেগুলো ভয়াবহ! আমি এ ব্যাপারে ঠিক জানি না, কিন্তু এসব কারণে আমার ধারণা হয়েছে যে দাঁতের প্রবলেম কিছুটা হলেও জেনেটিকালি হতে পারে। মন খারাপ

আমার দাঁত খুবই ঘন, সমস্যা হয় মাংস জাতীয় জিনিস খেলেই দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়, আর ফ্লস ব্যবহার করলে মাড়িতে ব্যথা পাই। মন খারাপ মাউথওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করি না। কিন্তু মাড়ির প্রবলেম হলে, গুণাগুণের হিসাব অত বলতে পারি না তবে একটা আমি খুব ভালো পাই, সেটা হলো সুলভে স্কয়ারের ভায়োডিন। ও আর আপনার টেকনিক অ্যাপ্লাই করলাম দুর্গন্ধ বুঝতে - নাই!! দেঁতো হাসি \m/ দেঁতো হাসি

টুথব্রাশ আসলেই ৩ মাস পরপর বদলানো উচিত, আর যেরকম বললেন, তবে ব্রিসলগুলো ভয়ানক শক্ত হওয়া উচিত না বলে আমার মনে হয়। আর দেশে টুথব্রাশের ঢাকনি/ক্যাপ আছে এমন কেনা উচিত, মনে করি আমি, ধুলোবালি, পোকামাকড়, টিকটিকি জাতীয় আক্রমণের ভরসা নাই! আর টুথপেস্ট কোলগেট ভালো, কিন্তু আমি দেশে তৈরি হওয়া জিনিস কিনতে আগ্রহী সম্ভব হলে, এক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে পেপসোডেন্ট জার্মিচেক বেশ ভালো লাগে। ১২ ঘন্টার প্রোটেকশন দেবার বাণী দেয় এটা, আসলে মন্দ না (তবে সাম্প্রতিক SRK-এর ভারতীয় টিভি অ্যাডটাই দেখাচ্ছে, এইটা অপছন্দ। ভেরি ভেরি ডিস্লাইক)!

চমৎকার পোস্ট! (গুড়) লেন। খেয়ে দাঁত মাজতে ভুলবেন্না! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

গৌতম এর ছবি

দারুণ পোস্ট। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দরকারী পোস্ট।

MamunurRashid এর ছবি

ভাইরে ভাই! আমেরিকাতে মানুষ দাতের য্ত্ন নেয় না! এদের দাত আর খারাপ। আর অনেক অনেক research দরকার। রাতে প্রতিদিন ২ মিনিট দাত মাজা আর ফ্লস করলেই হবে। ২ বা ৩ বার দাত মাজা দরকার নাই। Mouth is not very important. কুলকুচি করুন। Most of the mouthwash cases stain on teeth. আগে য্ত্ন না করে পরে কামান নিয়া টানাটানি করলে খুব একটা লাভ হবেনা। পরে আবার কিছু বলাযাবে এই টপিকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।