F..ing snow!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ৭:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সাড়ে পাঁচটার দিকে শুনলাম আশেপাশের কিউব থেকে লোকে বলতেছে, সারছে রে সারছে, গ্রিডলক। বাইরে তাকায় দেখি ফাটায়ে স্নো পড়তেছে। আকাশ দেবী মনে হয় পুরা কাপড় খুইল্যা ছাড়তেছে।

সকালে বিরাট দেরী হইছিল অফিস যাইতে। এমনিতেও তাই ৭টার আগে বাইর হওয়া যাবে না। সুতরাং গ্রিডলক ছুটুক। তারপর বাড়ি যাবো। এই লক্ষ্যে কাম করতে করতে খিয়াল কইরা দেখলাম লোকে গ্রিডলকের তোয়াক্কা না কইরা ছুটছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে আমি পার্কিংলট থেইকা বাইর হইতে পারুম কিনা কেডা জানে?

সুতরাং বাইর হইলাম। বিশ মিনিট ধইরা গাড়ি পরিষ্কার কইরা কুলাইতে পারতেছিনা। হাত হুত জ্যাম হয়া গেছে। একদিক দিয়া ক্লিন করি আরেক দিক ভইরা যায়। শ‌্যাষ ম‌্যাষ গাড়ি ইর্স্টাট দিলাম।

আমার গাড়ীতে অ্যন্টি লক ব্রেইক (এবিএস), আর ভ্যাহিক্যাল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট (ভিএসএ) আছে। ব্রেক চাপার সময় চাক্কা স্লিপ করতে থাকলে এবিএস ক্রমাগত ব্রেক ধইরা ছাইড়া চাক্কার স্লিপ কমাইতে চেষ্টা করে। আর সাধারণভাবে গাড়ী চলার সময় স্লিপ করতে থাকলে ভিএসএ যেই চাক্কা স্লিপ করে সেটা ছাইড়া অন্য চাক্কায় ব্রেক দেয়, এইভাবে গাড়ীর গতিমুখ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

কিন্তু ঘটনা হইল আমার গাড়ীর চাক্কা বদলানো দরকার ছিলো। সেটা করি করি কইরা করা হইতেছে না। চাক্কার তলা পুরা টাকলা। তাই দেখা যায় ব্রেক ঠিক মতই হয়, কিন্তু থামা থেইকা চলা শুরু করতে আর পাহাড়ে চড়তে খবর হয়া যায়।


রাস্তা ভর্তি স্নো আর স্নো-নাশী লবনের মিশ্রন। বালির মতন পিচ্ছিল করে রাখছে রাস্তাটা। ৪৫ মাইল/ঘন্টার রাস্তা যাইতেছি ১৫-২০ মাইল/ঘন্টায়। রাস্তা আর শ‌্যাষ হয়না। মাঝখানে স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট কয়েকবার জানান দিলে তুমি কিন্তু পিছলাইতে গেছিলা। অ্যন্টি লক ব্রেইক (এবিএস) ঘটঘট কইরা জানান দিল আরেকটু হইলে ধপা থ্যাং হইতো।

এমনে গুট গুট কইরা প্রায় বাসা পর্যন্ত আসলাম। বাসাটা একটা ছোট্ট পাহাড়ের উপর। এই পাহাড়ে উঠতে তো গাড়ি আর যাইতে যায় না। দুই চাক্কাই স্লিপ করতেছে। এট্টু এদিক নড়ে, এট্টু ওদিক নড়ে। আমি ইমার্জেন্সী বাত্তি জ্বালাইলাম।

এমনে কতদূর আগাইলো। লাল লাইটে খাড়ায় আছি। একটা লেফট নিতে হইব। লেফট নিলেই বাড়ি। সবুজ বাত্তি জ্বলার লগে লগে আস্তে কইরাই টান দিয়া লেফটে ঘুরাইছি। গাড়ি দেখি রাইটে জায়গা।

ওহহোরে নিয়ম কি যেনো, নিয়ম কি যেনো? হ হ। ডাইনেই ঘুরাও চাক্কা। একি বায়ে ঘুরাইলাম কেন? ওহহো!!! রাস্তার মাঝখানে পিছলায় গেলো!!!!

রক্ষা করলো এবিএস। ব্রেক কইরা আবার আস্তে আস্তে গাড়ি ঘুরায়া ঢুইকা পড়লাম বাড়ির পার্কিং লটে। পার্কিং লটে গাড়ি রাইখাই কইলাম। ফা... ইউ স্নো। রিয়েলি, বিগ বিগ ফা... ইউ স্নো। আর যারা বাংলাদেশের ঠান্ডা বা ৬০-৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে বইসা ঠান্ডা নিয়া কান্না কাটি করেন, কিংবা স্নো নিয়া কবিতা লেখার মত গদগদ হন, তাদের কই - প্লিজ... ... ডোন্ট।

পিটসবার্গ স্নো জানুয়ারী ২০, ২০১১পিটসবার্গ স্নো জানুয়ারী ২০, ২০১১


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভয়াবহ অবস্থা দেখি!!! মন খারাপ
আমেরিকার গ্রিডলকের সাথে বাংলাদেশের রিকশালকের সাথে দারুণ মিল তো! তবে বাংলাদেশের রিকশা-লক আরো প্রচুর জটিল এবং উত্তরাধুনিক হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হ রিকশা-লক পুরা উত্তরাধুনিক। এর লাইগাই এইটার নাম গ্রিডগিট্টু। দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি ঠিক্কর্সি যেহেতু 'লাইকানোর' অপশন নাই, (মানে হাতে মোয়া তুলে দিয়ে কেড়ে নেয়া আরকি!), আমি সব মন্তব্যে 'লাইক' লিখে যাব! চিন্তিত

নীড়দার এই মন্তব্যে লাইক!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ছোডকালে যখন শিলাবৃষ্টি হইত, তখন ওইডিরে মনে করতাম বাংলাদেশী তুষারপাত। দেঁতো হাসি
তুষার পাত যতই খারাপ জিনিস হউক, একবার যদি একদিনের জন্য দ্যাখতে পারতাম, তয় ভালাই লাগত।

আর আপনে ডট ডট দিয়া যাই বুঝাইয়া থাকেন না কেন বস, আমি কিন্তু ধইরা লইসিলাম এইটা কবিতা বা তুষারপাতের রোমান্টিক উপাখ্যান টাইপ কিছু, কারণ আমি ভাবছিলাম শিরোনামটা ...Falling Snow দেঁতো হাসি

ধৈবত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেঁতো হাসি
আকালমান্দকে লিয়ে ইশারাহি কফি হায়। সুরুক সুরুক কইরা খাতা হায়।

পল্লব এর ছবি

আমার স্নো ভালই লাগে। একবার স্নোম্যানও বানাইসি (আমার লাইফলং ড্রিমগুলার একটা) দেঁতো হাসি বাংলাদেশে বৃষ্টি আর এইদেশে স্নো। কিন্তু খুব বেশি পড়ে না। এই বছর যাও পড়সে, ঐসময় আমি বাংলাদেশে। মিস করসি। আইজকা আবার পড়তেসে দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হে হে মামু আরো নর্থে আসো। তারপর স্নো ম্যান বানাইতে হবে না। বাইরে বের হইলেই স্নো ম্যান হয়ে যাবা।

পল্লব এর ছবি

দেঁতো হাসি আয়াম। শীতকালের মধ্যেই টাইম কইরা নিউ ইয়র্ক টাইপ জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আকাশ দেবী মনে হয় পুরা কাপড় খুইল্যা ছাড়তেছে।

ছিহ্ মুর্শেদ, এগুলা কী? পোলা বড় হৈছে, দুইদিন পর পোলা বিয়া দিবা, কই মুখে আল্লা খোদার নাম নিবা, দুইটা ভালোমন্দ কথা কৈবা, তা-না দেবী'র কাপড় চোপড় নিয়া দুষ্টু কথা কও! কন্যার পিতারা শুনলে তারা কন্যা দিবো?

চাক্কার তলা পুরা টাকলা।

আম্রিকায় শীতকালীন চাক্কা লাগানোর নিয়ম মনে হচ্ছে তেমন কড়াকড়ি না। এইখানে দেখি পুরা আইন করে বলা আছে। শীতকালে তোমার গাড়িতে শীতকালীন চাক্কা না থাকলে খালি জরিমানা গুনবা তাই না, লাইসেন্সও বাতিল হয়ে যেতে পারে তোমার। ব্যাপারটা এতোই গুরুত্বপূর্ণ।

ওহহোরে নিয়ম কি যেনো, নিয়ম কি যেনো? হ হ। ডাইনেই ঘুরাও চাক্কা। একি বায়ে ঘুরাইলাম কেন?

এই ব্যাপারে ব্যকরণটা তো জানো। নুড়ি বিছানো রাস্তা, পিচ্ছিল রাস্তা সমূহে তীব্র গতির মুখে কোনো মোড় ঘোরার সময় ডানে যেতে হলে বামে যাওয়ার এইম নিতে হবে আর বামে যেতে হলে ডানে যাওয়ার এইম নিতে হবে। এই ব্যকরণের ফলিত একটা ব্যবহার দেখলাম সেদিন, এ্যানিমেশন ম্যুভি "কারস" এ। জীয়ন মিয়ারে দেখাইও, ও প্রেম শিখতে পারবে। হে হে হে

আর, একটু সাবধানে ড্রাইভ কইরো এই দিনগুলোতে ম্যান।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আইছেন ছিনেমার বিবেক... হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ডাবল লাইক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লাইক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সজল এর ছবি

এখন পর্যন্ত আছাড় খাই নাই, তাই স্নো খারাপ লাগেনা। আবার তেমন আহামরিও লাগেনা, প্রথমদিন শখ করে যা একটু দেখতে বাইর হইছিলাম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কোথায় থাকেন তার উপর নির্ভর করে। যেমন, নিউইর্য়কের মতো শহরে, যেখানে নিজেকে ড্রাইভ করতে হয়না, কিংবা এতো মানুষ যে নিয়মিত স্নো পরিষ্কার করে সেখানে সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাছাড়া স্নো জোন যেমন, মিনেসোটা, শিকাগো, মিশিগান, ম্যাসাচ্যুসেটস, সানি বাফেলো, নিউ ইংল্যান্ড এগুলো খুবই খারাপ।

কৌস্তুভ এর ছবি

ম্যাসাচুসেটস আর নিউ ইংল্যান্ড আলাদা করলেন ক্যান?

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ছবিটা ব্যাপক ভাল পাইলাম হাসি


love the life you live. live the life you love.

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছবিটা আমার তোলা না। ইন্টারনেট থেকে পেলাম। ছবির উৎস দেখলেই বুঝতে পারবেন।

স্পর্শ এর ছবি

আমি কখনো স্নো দেখি নাই। তার উপর আজ সকালে উঠেই কেন যেন রবার্ট ফ্রস্টের Stopping by Woods on a Snowy Evening এই কবিতা পড়ে স্নো নিয়ে মনে মনে 'আহা উহু' করতেসিলাম। তারপর সচলে ঢুকে দেখি এই পোস্ট!
ছবিটা কি আপনার বাড়ির আশেপাশের? এরকম আরো কিছু ছবি দিয়েন তো!

যাক ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরতে পারছেন জেনে ভালো লাগলো। স্নোর মধ্যে চালানোর জন্য নাকি চাকায় এক ধরনের চেইন লাগায়? ঐটা কি আপনার লাগানো আছে??


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছবিটা ইন্টারনেট থেকে পাওয়া। স্নো চেইন আরো ঠান্ডা জায়াগায়, যেমন মিশিগানে, ব্যবহৃত হয়।

শামীম এর ছবি

নিরাপদে বাড়ি ফিরছেন সেটা ব্লগ লিখেছেন দেখেই বোঝা গিয়েছিলো। কিন্তু সেই কাহিনী পড়ার সময় আসলেই ভয় লাগতেছিলো।

৪৫ মাইল/ঘন্টার রাস্তা যাইতেছি ১৫-২০ মাইল/ঘন্টায়।

ঢাকায় যদি এই গতিতেও যাওয়া যাইতো।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তা অবশ্য ঠিক। আমি প্রতিদিন ১২ মাইল (১৯ কিমি) ড্রাইভ করে অফিসে যাই। এটা ঢাকায় চিন্তাই করা যায় না। প্রতি দুই সপ্তাহে ৩৫০ মাইল (৫৫০ কিমি) দূরে ড্রাইভ করি সাড়ে পাঁচ ঘন্টায়। বাংলাদেশে তো মনে ঢাকা-কক্সবাজারই লাগে ঘন্টা দশেকের মতো। তাই না?

শামীম এর ছবি

৩/৪ দিন আগের ঘটনা: বউয়ের বসের শালিকারা পোলাপাইন সহ প্যাকেজ ট্যুর নিয়ে কক্সবাজার ইত্যাদি যাওয়ার জন্য গ্রিনলাইনের বাসে উঠেছিলো রাত ১১টায়। পৌছিয়েছে পরদিন রাত ১২টায়!!

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সারছে!!!

দিফিও-১ এর ছবি

আমাদের এইদিকে এইবার ব্ল্যাক আইস হইল, গাড়ি চালানো অনেকক্ষণের জন্য আইনত বন্ধ ছিল। খুব বেশী বরফ পড়েনা এইদিকে (নর্থ ক্যারোলাইনা) তাই বরফ পড়ার খবর পাওয়ামাত্র লোকজন আর মিডিয়াগুলা পুরাই ক্রেজী হয়ে যায়, অতিরিক্ত আনন্দ আর অতিরিক্ত ভয় মিশে একটা দেখার মত অবস্থা দাঁড়ায় হাসি

তবে দেশের ঠান্ডাটাও বেশ ভালই টের পায় লোকজন---কারণ দেশের ঘরবাড়িগুলো মোটেও ঠান্ডার জন্য বানানো না, ফাঁক-ফোকর দিয়ে অনেক বাতাস ঢোকে। এবার ঢাকায় আমাদের বাসার ভেতর তাপমাত্রা নিয়ে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসও পাওয়া গেছে, যেটা প্রায় ৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইট, আমেরিকার বাসা-বাড়িতে থার্মোস্ট্যাট আমরা এর থেকে বেশ বেশীই রাখি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা অবশ্য ঠিক যে ঢাকার বাসাগুলোতে হিটার থাকে না। এ অবস্থায় বাস করা একটু শক্তই। আমার মনে পড়ে গতবার ঢাকায় গিয়ে সকালে খুব থেকে উঠে মনে হোতো মাথা বরফ হয়ে গেছে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

আর কইয়েন না বস! সকালবেলা গাড়ির স্নো পরিস্কার করে গরম করে বের হওয়ার চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু নাই! মাঝে মাঝে কান্দন চলে আসে...ঠান্ডায় কানদুটা মনে হয় ভঙ্গুর হয়ে গেছে, আর হাতে ফ্রস্ট-বাইটতো আছেই! চাক্কা লাগাইয়া নেন ভাল দেখে, ভাল উইন্টার টায়ারের উপর জিনিস নাই- যে যাই বলুক। আর একটু কম স্পিডে চালাইয়েন, আমার এবিএস নাই...তাই আগে থেকে স্টেপে স্টেপে ব্রেকই সম্বল...

আমগো এইখানে ১৫ দিনের -৩০ সেলসিয়াস থেকে Chinook নামক প্রকৃতির আশীর্বাদের কারণে আজকে +৫! এখন ভেজাল হইল ব্ল্যাক আইস...মন খারাপ স্নো নিপাত যাক...সৌভাগ্য যে আমাদের এখানে গ্লুমি থাকেনা...নাইলে আমি নিজেই কয়েকটা লাশ ফালাই দিতাম স্নো-পড়লে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আহারে! একজন সমব্যাথী পাইলাম। সকাল বেলা স্নো পরিষ্কার করতে গেলে মনে হয়, কেউ যদি স্নোটা পরিষ্কার করে দিতো!

দিফিও-১ এর ছবি

নেন আপনাদের মন ভাল করার জন্য এই ভিডিওটা দিলাম
http://www.youtube.com/watch?v=3PiQiuA-WbI

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার একনো ভেজাল শুরু হয় নাই, কারণ ইউনিভার্সিটি থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা রাস্তা (-৩০ এ ওই ১০ মিনিট অনন্তকালের চেয়ে ৫ মিনিট বেশি)! আর আমি যাইও দুপুরে...হাসি বউ ভোরে অফিস যায়, কষ্ট ওরই বেশি! গত একমাস একটু বেশি ঠান্ডা থাকায় (আর অসুস্থ থাকায়) ওর গাড়ি পরিস্কার করে গরম করে দিই...এতেই জানের পানি বরফ হয়ে যায়! আবার বিকালে পরিস্কার করে আসে...আসল সমস্যা স্নো যখন কাঁচের গায়ে বরফ হয়ে যায়, আর এত ঠান্ডায় গাড়ি বেচারাও গরম হতে টাইম নেয়!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গাড়িগুলার শীত লাগে না?

স্বপ্নহারা এর ছবি

লাগে বস। তাই ওগোরে প্লাগড ইন করে রাখতে হয়...নাইলে ঠান্ডায় জমে গেলে বাইরে থেকে ইস্টার্ট দিতে হয়...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লাইক! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

কৌস্তুভ এর ছবি

ঠিক্কথা। বেরোবার সময় দেবীর কাপড়চোপড় নিয়ে দুষ্টু কথা না ভেবে তাঁদের করুণাটরুণা নিয়ে ভাবুন। অথবা জুনিয়ারের হাতে পুরো ব্যাপারটা হ্যান্ডোভার করেন। ইয়ং ব্লাড, ঠিক সামলে নিতে পারবে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আমার মাইনাস চল্লিশ সেলসিয়াস মন খারাপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

স্নো বড়ো সমস্যা না, সমস্যা হলো স্নোর জন্য প্রস্তুত না থাকা।
উইন্টার টায়ার থাকলে গাড়ি খুব বেশি টের পায় না। আর রাস্তা নিয়মিত পরিস্কার করলে জ্যামও লাগে না।

তবে শীতের ভয়াবহতার দিক দিয়ে আমার মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বাংলাদেশে প্লাস ১০ ই বেশি মারাত্মক। ঘরে হিটিং, বাইরে পোশাক, মুখের অনাবৃত অংশ ছাড়া ঠান্ডা টের পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে হিটারের ব্যবস্থা নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

স্নো পরিষ্কার, গাড়ি পরিষ্কারের ঝামেলায় শীতকালে গাড়ি চালানো বন্ধ। বাস-ট্রাম ই ভরসা।
আমাদের এখানে খুবই কড়াকড়ি অবস্হা। শীতকালে অবশ্যই অবশ্যই টায়ার বদলাতে হবে।
(ধুগো যা বলেছেন )
এই ঠান্ডায় রিক্স নিয়ে ২/৩ দিন গাড়ি দৌড়াইছিলাম। পুরো হলিউডের মতো স্লিপ করে।মাফ চাই।
পাথর আর লবনের সাথে স্নো মিলেমিশে গাড়ি ময়লা।
সব থেকে হন্টন পদ্ধতিই ভালো
ফ্রুলিক্স

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

রাজশাহীতে প্রতি বছর ৪ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। এবার ঘরের মাঝেও ৯ডিগ্রি দেখলাম একদিন রাতে! মাইনাস না হলেও বাড়িঘর তো আর এয়ার টাইট না, কারণ তিন মাস পরেই আবার ৪৬ ডিগ্রিতেও উঠে যায় তাপমাত্রা!! আর যখন শৈত্যপ্রবাহের হিম উত্তুরে হাওয়া ছোটে, তখন ইউরোপের মতোই মনে হয়। সবচেয়ে কষ্টের জীবন গৃহহীন মানুষের। এখানে কিন্তু এমন মানুষ অন্য শহরের চেয়ে কম, তাও পলিথিন আর চটের ব্যাগের বাড়িতে থাকে যে মানুষগুলো ৩-৪এ তাপমাত্রা নেমে যাওয়াটা তাদের জন্যে প্রকৃতির মহা উপহাস ছাড়া আর কিছু না। আমারই মনে হয় ওর চেয়ে ইউরোপে চলে গেলেই বাঁচা যায়, বাড়ি-দোকান-অফিস টু বাস-ট্রেন সবই তো হিটেড হবে, খালি এমনি এমনি বাইরে থাকলেই কষ্ট, তাও একটা স্নো-ম্যান তৈরি করার শখটা মেটানো যেত! মন খারাপ

চাক্কা পাল্টান। সাবধানে ড্রাইভ করেন। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এক বন্ধুর কাছ থেকে গতরাতে পিটসবার্গের ছবি দিলাম।

তাসনীম এর ছবি

সাউথ ডেকোটাতে দুই বছর ছিলাম, তোমার এই লেখাটা হাড়ে হাড়ে অনুভব করলাম, আর ধন্যবাদ দিলাম ওই দেশ থেকে পালায়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

গাড়ির টায়ার অবিলম্বে বদলে ফেল, গাড়ি বরফে স্কিড করলে সূত্র মনে থাকে না, এইটা আমারও হয়েছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

গৌতম এর ছবি

দিন কয়েক আগে দিল্লিতে ছিলাম। ১-২ ডিগ্রির অভিজ্ঞতাও হলো। তবে সূর্যের চেয়ে যেমন বালি গরম বেশি, তেমনি আবহাওয়ার চেয়ে পানি কিংবা মেঝের ভুগিয়েছে আরো বেশি।

ছবিটা দারুণ লাগলো।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ছবিটা তো জোস!

ফাহিম হাসান এর ছবি

এডমন্টনেও তুষারপাত একটু কম কিন্তু ঠান্ডা উররে বাবা! দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

লন্ডনে +৫। পুরো গরম দেঁতো হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।