শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদরোগ সহ নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। অথচ এ বিষয় জন সচেতনতা একেবারে নেই বললেই চলে। কোলেস্টেরলের উপর সাধারন জন সচেতনতামূলক পোস্ট এটি।
কোলেস্টেরল কি?
কোলেস্টেরল একটি পিচ্ছিল মোম (waxy) ধরনের পদার্থ। এটি শরীরে নার্ভ প্রতিরক্ষা, কোষ এবং কিছু হরমোন তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। লিভার বা যকৃত এই কোলেস্টেরল প্রস্তুতকর্তা। তবে খাবার থেকেও সরাসরি এই কোলেস্টেরল আসতে পারে (যেমন ডিম, মাংস কোনো কোনো ধরনের ডেইরী খাদ্য)। বেশী কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ১
কোলেস্টেরল বেশী হলে ক্ষতি কি?
কিছু কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য দরকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমানে এটি রক্তে থাকলে হৃদরোগ সহ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে আপনার রক্তনালীতে এটা জমে উঠতে পারে। কিছু আর্টারি বা রক্তনালী আপনার হৃৎপিণ্ড থেকে আপনার শরীরে রক্ত পৌছে দেয়। আর্টারিতে কোলেস্টেরল জমে উঠলে একে প্ল্যাক (plaque) বলা হয়ে থাকে। শুরুতে নরম থাকলেও সময়ের সাথে এই প্ল্যাক শক্ত হয়ে যায় এবং আপনার আর্টারিগুলোকে সরু করে দিতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে আপনার আর্টারি একেবারে বন্ধও হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় কোলেস্টরলের কারনে আর্টারি ছিঁড়ে গিয়ে রক্ত জমাট বদ্ধতার সৃষ্টি করতে পারে।
যে সমস্ত আর্টারী হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনটা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সূচনা হতে পারে। আর যে সমস্ত আর্টারী আপনার মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ করে তাদের কোনো একটা বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোকের সূচনা হতে পারে।
স্বাভাবিক রক্তনালি বনাম বন্ধ রক্তনালি
হৃদরোগের পেছনে প্রচলিত কারনগুলো কি?
কখন আমার কোলেস্টেরল লেভেল যাচাই করা উচিৎ?
যদি রক্ত পরীক্ষা না করা হয় তাহলে কোনোভাবে বলার উপায় নেই যে আপনার রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল আছি কিনা। বিশ বছরের বেশী বয়সের সমস্ত পূর্ণবয়স্কের কমপক্ষে প্রতি ৫ বছরে একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা দরকার। যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশী থাকে কিংবা উপরের হৃদরোগের তালিকার কোনো একটি যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আরো ঘন ঘন কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা দরকার।
কোলেস্টেরল সর্ম্পকিত পরিমাপ গুলো কিরকম? কিভাবে বুঝব যে আমার বেশী বা কম কোলেস্টেরল আছে?
রক্তে ভিন্ন ধরনের কোলেস্টরলগুলো দলবদ্ধ ভাবে বিচরন করে। এই দলবদ্ধ কোলেস্টেরল কে বলে লিপোপ্রোটিন।
কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (Low-density lipoprotein বা LDL) শরীরে কোলেস্টেরল পৌছে দেয়। বেশী ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (High-density lipoprotein বা HDL) রক্তস্রোত থেকে অন্যান্য কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে অতিরিক্ত LDL শরীরে ক্রমাগত কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করবে। উল্টোভাবে HDL রক্তস্রোত থেকে কোলেস্টেরল সরিয়ে একে প্রবাহমান রাখবে। সাধারণভাবে তাই LDL কে ব্যাড কোলেস্টেরল এবং HDL কে গুড কোলেস্টেরল বলে। এই দুয়ের তুলনামূলক পরিমান আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের গুনাগুন বর্ণনা করবে। ২
এছাড়া ট্রাইগ্লিসারাইড হোলো আর্টারিতে ইতিমধ্যে জমতে থাকা কোলেস্টেরলসমূহ। রক্তে বেশী পরিমান ট্রাইগ্লিসারাইড থাকা মানে হোলো বিভিন্ন আর্টারিতে ইতিমধ্যেই প্ল্যাক জমতে শুরু করেছে। ৩
মোট কোলেস্টেরল হোলো HDL এবং LDL এর সমষ্টি। অর্থাৎ মোট কোলেস্টেরল = HDL + LDL। ৪
কোলেস্টেরল রেশিও হোলো মোট কোলেস্টেরল বনাম HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের অনুপাত। অর্থাৎ কোলেস্টেরল রেশিও = মোট কোলেস্টেরল / HDL। এই অনুপাত ৫:১ এর কম হলে ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় এই অনুপাত ৩.৫:১ হলে। ৫
উদাহরন স্বরুপ, যদি আপনার মোট কোলেস্টেরলের মান যদি বেশী হয় কেননা আপনার LDL বেশী তাহলে আপনার হৃৎরোগের সম্ভাবনা বেশী। আর যদি HDL বেশী হবার কারনে মোট কোলেস্টেরলের মান বেশী হয় তাহলে তুলনামূলকভাবে হৃৎরোগের সম্ভাবনা কম।
মোট কোলেস্টেরল মাত্রা
LDL বা বদ কোলেস্টেরল মাত্রা
HDL বা ভালো কোলেস্টেরল মাত্রা
ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল মাত্রা
কোলেস্টেরল অনুপাত (মোট কোলেস্টেরল বনাম HDL এর অনুপাত)
আমার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আনতে কি করতে পারি?
যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশী থাকে তাহলে আপনার জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হতে পারে। যদি আপনি ধুমপান করে থাকেন, সেটা ছাড়ুন। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। আপনার ওজন বেশী হলে আড়াই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন কমাতে পারলে আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে আসতে পারে। প্রচুর ফল, মূল, শাক-সব্জি, গম জাতীয় হোল গ্রেইন খাবার, মাছ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স স্নেহ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। হৃদরোগ থাকলে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের কম এবং না থাকলে ৩০০ মিলিগ্রামের কম কোলেস্টেরল খেতে পারবেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে ঔষুধ খেতে পারি?
বিজ্ঞানের কল্যানে এখন বেশ কিছু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন কারী ঔষুধ বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এর মূল্য এখনো অনেক বেশী। সুতরাং প্রাণপন চেষ্টা করুন অন্যান্য উপায়ে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করতে।
আমার চিন্তিত হবার কারন আছে কি?
গবেষনায় দেখা গেছে এশিয়ান বংশদ্ভুতদের তুলনামূলকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার প্রবনতা বেশী থাকে। উপরন্তু পরিবারে কাসুন্দী ঘাটলে দেখা যাবে কারো না কারো এই রোগ ছিলো বা আছে। তাছাড়া জাতিগত ভাবে আমরা একটু ইনঅ্যকটিভ। তার উপর ওজন বেশী হলে তো কথাই নেই। ৬ ৭ ৮
সুতরাং আপনার বয়স যদি ২৫ এর বেশী হয়ে কিংবা পরিবারে যদি কোনো হৃদরোগী থাকে তাহলে বয়স যাই হোক না কেনো অবশ্যই কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে ফেলুন। আমার জানামতে ঢাকায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা সম্ভব। (ধন্যবাদ তানজির এবং তাসনীম ভাই) ঢাকায় একদিনে হাতখরচই এখন ৫০০ টাকা। সুতরাং আর দেরী নয় আজকে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন এবং সুস্থ সবল থাকার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিন।
কোলেস্টেরল না লিপিড প্রোফাইল?
জানতে পারলাম ঢাকায় দুধরনের কোলেস্টেরল পরিমাপের পদ্ধতি আছে। শুধু কোলেস্টেরল এবং লিপিড প্রোফাইল।
শুধু কোলেস্টেরল পরিমাপের খরচ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এক্ষেত্রে মোট কোলেস্টেরল, HDL এবং LDL পরিমাপ করে।
লিপিড প্রোফাইল পরিমাপের খরচ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা। এক্ষেত্রে মোট কোলেস্টেরল, HDL, LDL, ট্রাইগ্লিসারয়েড এবং কোলেস্টেরল রেশিও পরিমাপ করে।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, যদি ডাক্তার না উল্লেখ করে তাহলে লিপিড প্রোফাইল পরিমাপের কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু কোলেস্টেরল পরিমাপ করলেই প্রায় সবকিছু জানা হয়ে যায়।
শুধু মোট কোলেস্টেরল এবং HDL জানা থাকলে বাকি গুলো জানতে নীচের সুত্র ব্যবহার করুন:
LDL = মোট কোলেস্টেরল - HDL
কোলেস্টেরল রেশিও = মোট কোলেস্টেরল / HDL
ঘরে বসে কোলেস্টেরল মাপার কোনো যন্ত্র নেই?
ঘরে কোলেস্টেরল মাপার ভালো যন্ত্রের খুব অভাব। তবু কার্ডিও চেক নামের একটি যন্ত্র পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও রিলায়েবিলিটির কথা ভেবে আমি নিজেই এটি ব্যবহার করতে নারাজ।
টেস্ট স্ট্রিপ কেনার সময় মনে রাখবেন - ট্রাইগ্লিসারয়েড পরিমান জরুরী নয় এবং মোট কোলেস্টোরেল আর HDL জানলেই LDL জানা হয়ে যায়। আলাদা করে ট্রাইগ্লিসারয়েড এবং LDL স্ট্রিপ কেনার দরকার নেই।
(আমি চিকিৎসক নই তাই এ ব্যাপারে কোনো ভুল থাকলে শুধরে দেবার অনুরোধ থাকল।)
মন্তব্য
[শিরোনামে দুইটা বানান: পরিমান> পরিমাণ, নিয়ন্ত্রন> নিয়ন্ত্রণ]
কাজের পোস্ট
হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ায় কদিন ধরেই কোলেস্টরল নিয়ে চিন্তা করছিলাম।
এই লেখাটির শেষে যদি 'কোন ধরনের খাবার' এইটা আরেকটু বিশদে বলা থাকতো তাইলে আরো চমৎকার হতো। যেমন চিংড়ি নাকি গরুর মাংস কোনটাতে কোলেস্টরল বেশি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঠিকমত নিতে পারতাম।
অবশেষে চমৎকার লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খাবার নিয়ে লেখা যায়। কিন্তু আমি নিজেই খুব কম জানি এ বিষয়ে।
আমি নিজে রেগুলার এই জিনিসের দিকে নজর দেই। কম HDL, বেশি LDL অথবা ট্রাইগ্লিসারাইড প্রত্যেকটাই ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিস্ক ফ্যাক্টর। সুতরাং প্রত্যেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। আজকাল ডাক্তাররা HDL/LDL রেশিওর দিকে নজর দিতে চান না। পরিবারে হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আরও বেশি সাবধান হওয়া উচিত।
কিছু কিছু খাবার (যেমন ওটমিল) কোলেস্টেরল কমাতে পারে। ব্যায়াম করলে HDL বৃদ্ধি পায়। শর্করা বেশি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যায়...ভালো থাকা খুব কঠিন কাজ বাহে।
মুর্শেদকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য, এই ধরনের পোস্ট সচলে বেশি আসে না।
কিছু অদ্ভুত ফুড এলার্জি নিয়ে একটা লেখা দেওয়ার ইচ্ছে আছে সামনে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওটমিলের সাথে ডার্ক চকোলেটও কমায় শুনেছি।
ফুড এলার্জি নিয়ে লেখা দিন। আমার নিজের কিছু অদ্ভুত ফুড এলার্জি আছে। এবং এলার্জিস্টের কাছে গিয়ে পরীক্ষা না করলে কখনও জানতাম না সেটা।
খুবই কাজের পোস্ট।
এই যুগের মানুষদের সাবধান হওয়া আরো জরুরী, কারণ "ভালো ভালো" খাবার ( অতিরিক্ত তেল-চর্বি চিনি যুক্ত খাবার দাবার)এখন অনেক বেশী সহজলভ্য।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে এখন সবাই লাইফ-স্টাইল পরিবর্তনের কথা বলেন, শুধুমাত্র কিছুদিন ব্যায়াম করে বা মাঝে মধ্যে খাবার নিয়ন্ত্রণ করে এটা সম্ভব না।
আর কিছু না করলেও মনে হয় সবচেয়ে জরূরী মনে হয় এটা:
সপ্তাহে কমসেকম ৫ বার ব্যায়াম করা।
খাবার দাবারের মধ্যে কোলেস্টরল যুক্ত খাবার বর্জনের পাশাপাশি আরেকটি জিনিস খুব কাজে দেয়:
হাই-ফাইবার খাদ্য গ্রহণ।
হৌল গ্রেইন চাল, আটা, সিরিয়াল ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিনসেও প্রচুর ফাইবার থাকে।
সপ্তাহে ৫ বার ব্যায়াম করা খুব শক্ত। পরপর ২ দিন ব্যয়াম করে একদিন গ্যাপ এইভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যায়াম করলেও অনেক কাজ হয়।
খাঁটি উপদেশ।
আমি নিজে কোলেস্টেরলের রোগী। প্রতিদিন একটা করে এনজিটর ১০ ঔষধ খেতে হয়।
আমার কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হাত পায় ব্যাথা হতে থাকে। সেই ব্যথা আবার কিরকম যেন চাবানো চাবানো ব্যাথা। ঘুম থেকে উঠার পর এটা বেশী দেখা যায়।
ডাক্তার আমাকে বলেছেন ভাত খাওয়া কমাতে, চিংড়ী মাছ, গরুর মাংস, খাসীর মাংস, ঘি সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ইউএসএ তে লিপিটর অথবা ক্রেস্টর এই দুধরনের ওষুধ আছে। ক্রেস্টর এর বদলে বাংলাদেশে রসুভা নামের একটি ওষুধ পাওয়া যায়। লিপিটরের বদলী বাংলাদেশী ওষুধের নাম জানি না। এনজিটরের নাম শুনিনি।
এই ওষুধগুলোর অনেক দাম। এক মাসের ক্রেস্টরের দাম প্রায় দেড়শ ডলার। আমেরিকায় ড্রাগ কাভারেজ না থাকলে প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে এই ওয়েবসাইট থেকে সস্তায় ওষুধ আমদানী করা যায়।
দরকারি পোস্ট।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্ট। আমার ধারণা বাংলাদেশে এই ব্যাপারে (এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে) সচেতনতা ধীরে ধীরে হলেও সৃষ্টি হচ্ছে।
আপনার লেখার তথ্যগুলি মোটামোটি জানাই ছিল, কিন্তু নিচের শকিং তথ্যটা জানা ছিল নাঃ
বয়স কম এবং অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি থাকলে (ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন) দেশে ডাক্তাররা দেখলাম মোট কোলেস্টেরল ২০০+ হলেই মেডিকেশনে চলে যায়...।
হুম, আমারে ডাক্তার কৈছে আমার নাকি সব কানের কাছে!
এখন থেকে নিয়মিত খাবারের সাথে ২পেগ রেড ওয়াইন খাইতে কৈছে, তাইলে নাকি আবার সব লাইনে চৈলা আসবে।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
HDL বাড়াতে হলে দিনে ৪টে করে আমন্ড খেতে পারেন| ওজন বেশী থাকলে ঐ ৪টেই খাবেন, তার বেশী নয়|
বেশী কোলেস্টরল থাকলে ডিমের কুসুম, যে কোন রেড মীট একেবারে বাদ দিয়ে, স্নেহজাতীয় পদার্থ ন্যুনতম খেয়ে আর পর্যাপ্ত হাঁটাহাটি, ব্যয়াম করে মাস দুইয়ের মধ্যেই একেবারে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব| আর শেষমেষ ঐ বাংলা প্রবাদটা মাথায় রাখুন 'স্নেহ অতি বিষম বস্তু' |
পোস্টটা বেশ কাজের|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ।
হৃদরোগের কারণগুলোর মধ্যে শেষেরটা বাদে কোনটাতেই পরিনা, তারপরেও ব্যাপারগুলো জানা থাকল।
পোস্টের জন্য
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট । ৫০০/৬০০ টাকা খরচ করে লিপিড প্রফাইল করে নেয়াই ভালু
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
উঁহু পয়সা খরচ করে লিপিড প্রোফাইল করার মানে নেই। নীচে বিস্তারিত লিখেছি দেখুন।
বেশীদিন বাঁচবো বলে মনে হয়না আর
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুবই দরকারি পোষ্ট
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ডাক্তার হইলেন কবে থেকে?
...........................
Every Picture Tells a Story
এই তথ্যগুলো সবার জানা উচিত।
ট্রান্স ফ্যাট জিনিসটা একটু গোলমেলে। আবার রান্নার তেলের বোতলের উপর লেখা থাকে নো কোলেস্টেরল! চর্বি জাতীয় খাবারেও দেখি লেখা থাকে নো ফ্যাট!
একমত।
ট্রান্স ফ্যাট জিনিসটাকে এখনকার ডাক্তাররা "অতি বিপদজনক" পর্যায়ে ফেলেন, কারণ এটা ২ দিকে কাজ করে--ভাল কোলেস্টেরল কমানো, আর খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ানো।
খুব সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে মার্জারিন, মাখনের একটা ভাল বিকল্প, কেননা তাতে কোলেস্টেরল নেই। কিন্তু ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্যের জন্য ডাক্তাররা কোন কোন মার্জারিনকে বাটারের থেকেও খারাপ বলে থাকেন।
আমাদের দেশের ডালডা বা বনস্পতি ঘি বা ভেজিটেবল ঘি তে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যেটা অনেক সময়ই ঘি এর থেকেও খারাপ। সাধারণ ডালডা দিয়ে বানানো ভাজাভুজি বা বেকারি বিস্কিটও তাই সাবধানে খাওয়া উচিত।
আর যারা খাবারের লেবেল দেখে খাবার কিনতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে "পার্শিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড ভেজিটেবল অয়েল" উপাদানে লেখা আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলা।
লিংক
লিংক
খুবই দরকারী পোষ্ট। বিপদে আছি, গতমাসে মেপে পেলাম ২২৯!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঢাকায় দুধরনের কোলেস্টেরল পরিমাপের পদ্ধতি আছে। শুধু কোলেস্টেরল এবং লিপিড প্রোফাইল।
শুধু কোলেস্টেরল পরিমাপের খরচ ২০০ থেকে ৩০০। এক্ষেত্রে মোট কোলেস্টেরল, HDL এবং LDL পরিমাপ করে।
লিপিড প্রোফাইল পরিমাপের খরচ ৯০০ থেকে ১২০০। এক্ষেত্রে মোট কোলেস্টেরল, HDL, LDL, ট্রাইগ্লিসারয়েড এবং কোলেস্টেরল রেশিও পরিমাপ করে।
যদি ডাক্তার না উল্লেখ করে তাহলে লিপিড প্রোফাইল পরিমাপের কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু কোলেস্টেরল পরিমাপ করলেই প্রায় সবকিছু জানা হয়ে যায়।
শুধু মোট কোলেস্টেরল এবং HDL জানা থাকলে বাকি গুলো জানতে নীচের সুত্র ব্যবহার করুন:
LDL = মোট কোলেস্টেরল - HDL
কোলেস্টেরল রেশিও = মোট কোলেস্টেরল / HDL
দুটো জিনিস অর্ন্তভুক্ত করলাম:
মোট কোলেস্টেরল হোলো HDL এবং LDL এর সমষ্টি। ট্রাইগ্লিসারয়েড কোলেস্টেরলের পরিবর্তীত রূপ এবং মোট কোলেস্টেরলের অর্ন্তভুক্ত নয়।
কোলেস্টেরল রেশিও হোলো মোট কোলেস্টেরল বনাম HDL এর অনুপাত।
ঘরে কোলেস্টেরল মাপার ভালো যন্ত্রের খুব অভাব। তবু কার্ডিও চেক নামের একটি যন্ত্র পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও রিলায়েবিলিটির কথা ভেবে আমি নিজেই এটি ব্যবহার করতে নারাজ।
টেস্ট স্ট্রিপ কেনার সময় মনে রাখবেন - ট্রাইগ্লিসারয়েড পরিমান জরুরী নয় এবং মোট কোলেস্টোরেল আর HDL জানলেই LDL জানা হয়ে যায়। আলাদা করে LDL স্ট্রিপ কেনার দরকার নেই।
কাজের পোস্ট! মুর্শেদ ভাই তো দেখা যায় সব্যসাচী হয়ে যাচ্ছেন! কাটখোট্টা টেকি লেখার বদলে সেদিন দেখলাম রুমান্টিকতা নিয়ে লিখতে। আজকে আবার পাবলিক হেলথ!
খাবারদাবার আর ব্যায়াম নিয়ে আলাদা দুইটা পোস্ট দ্যান। দাবি, আবদার।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পাবলিক হেলথ ঠেকায় পড়ে শেখা। আব্বা অসুস্থ ছিলেন। তখন জেনেছি। অনেকদিন ধরেই জানাবো ভাবছিলাম।
খাবারদাবার নিয়ে নিজেই শতভাগ নিশ্চিত না। ব্যায়ামেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছি। আমার এখনকার টার্গেট ১৫৫ পাউন্ড। সেটা অর্জন করতে পারলে পোস্ট দিবো।
পোস্টটি যথেষ্ট ভাল ছিল । তবে বাকি অনেকের মত আমিও খাবার দাবার নিয়ে একটি বিশদ পোস্ট চাই .........
চিন্তায় ফেলে দিলেন মুর্শেদ ভাই
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
বাহ্ ! চমৎকার পোস্ট ! গুণী মানুষরা যেখানে হাত দেয় সেখান থেকেই রত্ন তুলে আনেন।
চলুক...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুব ভালো লাগলো পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে কখনও গুরুত্ব দিইনি। আজ লিপিড প্রোফাইল করার পর বুঝতে চেষ্টা করছি। লেখকে অসংখ্য ধন্যবাদ তথ্য বহুল পোস্টটির জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন