এক্ষুনি খবর পেলাম বিন লাদেনকে আমেরিকান সৈন্যরা হত্যা করেছে। এব্যাপারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি জরুরী বক্তব্য রাখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে। বিস্তারিত পাবেন সিএনএন এ। এব্যাপারে আরো আপডেট দিচ্ছি শিঘ্রী।
প্রায় এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্থানে ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতি সর্ম্পকে জানা যায় এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা তাকে ধরার বা হত্যা করার নির্দেশ দেন। এরপর রবিবার ছোট একটি দলের অপারেশনে পাকিস্থানের ইসলামাবাদের উত্তরে এবোত্তাবাদ নামকে শহরে বিন লাদেন মারা যায়। ডিএনএ টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে বিন লাদেনের মৃতদেহ শনাক্ত করার পর প্রেসিডিন্ট ওবামা জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। ৯/১১ এর হামলার প্রায় একদশক লেগে গেলে লাদেনকে কব্জা করতে। সুত্র
প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্য।
কিন্তু এর মানে কি বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সমাপ্তি? বিষয়টি কি এতই সহজ?
মন্তব্য
যদি সত্য হয়ে থাকে, তবে ব্যাপারটা মূলত সিম্বলিকই হবে। তবে "ইসলামী সন্ত্রাসবাদী"রা তাদের সবচেয়ে বড় মিডিয়া স্টারকে হারালো। "লাদেনের অডিওটেপ" বললে টিভি বা ইন্টারনেট নিউজে যে পরিমাণ হিট পাওয়া যায়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হিটও অন্য কোন সন্ত্রাসবাদীর পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়।
সমাপ্তি? আমার তো মনে হয় লাদেনের 'শহীদ' হওয়া উল্টো আগুনে ঘি ঢালবে!
শহীদ শব্দটার ব্যাপারে আপত্তি থাকলো।
আমি কী বলেছি, সেটা বুঝে আপত্তি করসেন না কী না বুঝে?
সম্ভবত নতুন 'স্ট্রাটেজিক' ভিলেইনকে লাইম লাইটে আনা দরকার, বিন লাদেন এর রোল শেষ।
love the life you live. live the life you love.
কেবলই বিবিসির ব্রেকিং নিউজ আর প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্য দেখলাম।
এত দীর্ঘদিন কেন লাগলো এইটা একটা বড় প্রশ্ন আমার কাছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওবামা আর বুশের স্ট্র্যাটেজি পার্থক্যের কারনে। বুশ সৈন্যদেরকে ইরাকেই বসিয়ে রেখেছিল। যদিও লাদেন তখন আফগানিস্তান অথবা পাকিস্থানের অবস্থান করছিল। ওবামা এসে ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং আফগানিস্থানে সৈন্য নিয়োগ শুরু করে। আফগানিস্থানের প্রশাসনে পরিবর্তন ঘটায়। পাকিস্থানের বর্তমান সরকারের সাথে জোট বাঁধে। তারপরে এটা সম্ভব হয়।
একদম এটাই আমি এতক্ষণ আলোচনা করছিলাম। ওবামা স্ট্র্যাটেজিতেই জিতে গেছে। তবে পাকিস্তানে এর ফলে বেশ কিছুদিনের জন্য অস্থিরতা শুরু হতে পারে। দেখুন এখনও পাকিস্তানের সরকারী তরফে কোনো বক্তব্য আসে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বলছে মৃত্যুর সময়ে ইসলামামাবাদের ৫০ কিমি দূরেই আবোতাবাদ-এ এক 'ম্যানশনে' ছিল লাদেন । আমি এই ব্যাপারটাই বলছি, যে লাদেন আগেও বনে-পাহাড়ের গুহায় না, হয়তো এভাবে প্রকাশ্যেই ছিল। আমেরিকান ইন্টেলিজেন্সের জন্যে লাদেনের হদিস দশ বছরেও বের করা সম্ভব হয়নি এটা মানতে কষ্ট হয়। এবং বুশ সরকারের তো বটেই, ওবামার সরকারেরো স্ট্রাটেজি এবং পাকিস্তানের সাথে জোট বাঁধার পরেও তাহলে এত দিন লাগবে কেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কোথায় জানি দেখলাম ১৫০ কিমি দূরে ওই শহরটা।
পাকিস্তানের সঙ্গে জোট বাঁধলে তো এতদিন সময় লাগবেই - আমেরিকার পর ওরাই যাকে খাইয়েপরিয়ে গুরুদেব বানিয়ে তুলেছে পশ্চিমি পাপিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জেহাদের উদ্দেশ্যে, তাকে কি আর প্রাণে ধরে আমেরিকার কাছে তুলে দিতে মন চায়?
উইকি বলছে ইসলামাবাদের ৫০ কিমি উত্তর-পূর্বে।
আর বাকিটায় - হ!
এইটায় মজা পেলাম অবশ্য, এই নিউজ অ্যাংকর কি তেমন পরিচিত মুখ নাকি, তার চাকরিটা যাবে মনে হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কিজানি, এখানে তো বলছে আবার ১০০ কিমি...
ওখানে killed last week ক্যাপশনটাও তো ভুল। মনে হয় অনিকেত নিচে যা বলেছেন ওই কারণেই ওরাও ভুল করেছে।
আর সিএনএন বলছে - "A senior administration official told reporters that Obama's administration did not share intelligence gathered beforehand with any other country -- including Pakistan -- for security reasons." ভাগ্যিস!
ইসলামাবাদ থেকে চিন যেতে হলে রাস্তার (হাইওয়ে ৩৫) ওপর প্রথম বড় শহর। ১৫০ কিমি রাস্তার দূরত্ব হবে, গুগল ম্যাপে তেমনই লাগছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ইসলামাবাদ থেকে আড়াই ঘন্টার ড্রাইভ। ১৫০ কিমি থেকে সামান্য কিছু কম-বেশি হতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইটা ইসলামী জঙ্গীগ্রুপের জন্যে একটা বড় আঘাত সন্দেহ নেই। মোটের উপর লাভের গুড় ওবামার পাতেই যাবে বলে মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহে বার্থ সার্টিফিকেট দেখিয়ে কিছু কিছু নাছোড়বান্দা অবিশ্বাসীদের শায়েস্তা করেছেন। হোয়াইট হাউসে করেস্পন্ডেন্স ডিনারে অবিশ্বাসীদের হিরো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডোনাল্ড ডাম্ব বানিয়ে দিয়েছেন। আর আজকে এই 'সাফল্য'। সমস্যা হল এই আনন্দ মুহূর্ত দীর্ঘজীবি না হবারই কথা। জঙ্গী গোষ্ঠি নির্ঘাত বলবে ঐটা লাদেনের দেহাবশেষ ছিল না---ছিল কোন বডি ডাবলের। ওবামা যতই ডিএনএ-র কথা বলুন, FOX News গোষ্ঠি আর ডোনাল্ড ট্রাম্প উঠে পড়ে লাগবেন এইটা ভুল প্রমাণ করার জন্য। বলা যায় না বার্থ সার্টিফিকেটের পর এইবার ডোনাল্ড লেগে পড়বেন ডেথ সার্টিফিকেট বের করার জন্য। কিন্তু এইসবের চেয়েও গুরুতর হল---জঙ্গী গোষ্ঠী আবার আক্রমন শানাতে পারে। কাজেই আম্রিকার নিশ্বাস ফেলার জন্যে কেবল আজকের রাতটুকুই আছে মনে হয়। কাল থেকে নতুন উদ্যমে লেগে পড়তে হবে ওসামা-উত্তর পৃথিবীর নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য।
সেটাই। কিন্তু এটা ওবামার ২০১২ নির্বাচনে একটা বিরাট পজিটিভ ব্যাপার হবে নিঃসন্দেহে।
ঠিক এই কারণেই লাদেনের মৃত্যু নিয়ে নিঃসন্দেহ হওয়াটা অনুচিত বলে মনে করি। লাদেনের মরার টাইমিংটা একটু বেশিই পার্ফেক্ট মনে হচ্ছে।
অনেকেই এই খবর নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, মৃতদেহের ছবি দেখতে চাইছেন। মরদেহের ছবি দেখালে অনেকে আবার সেটার মধ্যে কারসাজি খুজে পাবেন। কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকের কারণে সংশয়কে নির্বাসনে পাঠানো যাবে না। এক্ষেত্রে যুতসই প্রমাণ কিরুপ হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
আর লাদেন মারা গিয়ে থাকলেও কিছু যায় আসে কিনা সেটা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। একজন নেতা গেলে আরেকজন নেতা আসবে, কিন্তু একজন patron গেলে আরেকজন patron আসবে এমন কোন কথা নেই। সারা বিশ্বে যারা সন্ত্রাসবাদীদের অর্থায়ন করছে, তাদের পাকড়াও করতে না পারলে হাজারটা লাদেন মেরেও লাভ নেই। আর আমেরিকা নিজেই যদি নিজের তুচ্ছ স্বার্থের জন্য দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষে থাকে, তাহলে তো আর কিছু বলার নেই।
আশাকরি কোনো কন্সপিরেসি থিয়োরীর সূত্র দেখব না। টাইমিং পারফেক্ট হতে গেলে আরও মাস ছয়েক পরে হওয়া উচিত ছিল - টাটকা স্মৃতি থেকে ভোট আরও বেশী পাওয়া যেত।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একমত।
রয়টার্সের খবরে দেখলাম প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে পাকিস্তানের বাহিনীও ছিল অপারেশনে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডনের খবরে পড়লাম লাদেন বেশ আরামেই ছিলেন এবং সম্ভবত কিছু আই এস আই অফিসিয়াল বিশ্বাসঘাতকতা করে লাদেনের উপস্থিতির খবর সি আই এ-র কাছে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ওবামার বক্তৃতায় কোথাও এরকম কিছু নেই। বক্তৃতার ট্রান্সক্রিপ্ট এখানে পাবেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মার্কিন দেশের নির্বাচনে এগুলো কখনোই মূল প্রভাবকের তালিকায় ছিলো না। ইলেকশনের ফল আন্দাজ করতে এগুলো কোন উল্লেখযোগ্য সাহায্য করে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
উহুঁ। ভুল অবজার্ভেশন। বুশের নির্বাচিত হবার জন্য এই ইস্যু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এবার একই ব্যাপার ঘটবে ওবামার ক্ষেত্রে।
এইটা অবজারভেশন না। পলিটিকাল সায়েন্টিস্টরা ইলেকশন রেজাল্ট প্রেডিক্ট করার জন্য কিছু মডেল ব্যবহার করে। ওগুলো থেকেই বললাম।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভাল কথা, ওসামা এক সপ্তাহ আগে মারা যান নি। এক সপ্তাহ আগে ওবামা নির্দেশ দিয়েছিলেন 'গেট বিন লাদেন'---আর গত রবিবার অপারেশান পরিচালিত হয়। বিবিসির বরাতে জানা গেল।
সিএনএন এটা বলেছিলো একসময়। বিবিসর সুত্র অনুযায়ী শুধরে নিলাম। ধন্যবাদ।
খাস ইসলামাবাদের পাশে বসেই এতদিন লাদেন খাইদাই করছিলেন, তারপরেও পাকিস্তান সরকার সেই পুরোনো ফাটা রেকর্ডই বাজিয়ে যাবে, যে না, লাদেন পাকিস্তানে নেই, আমাদের আইএসআই-এর সাথে ওর কোনো সম্পর্ক নেই...
রেকর্ড এখনো শুরু হয় নাই। ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দেখা যাক কি রেকর্ড বাজে। এ্যাব্বোট্টাবাদ হচ্ছে এমনই এক জায়গা যেখানে মানুষের থেকে 'এজেন্ট' বেশি। আমরা একজন বিদেশী ওখানে গেলে পিছনে চারজন এজেন্ট লেগে যায়। আর ওসামা বলে কথা ............
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
'এজেন্ট' মানে ঠিক কী? সিআইএ এজেন্ট? নাকি আইএসআই?
আইএসআই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্যাপার হলো, পাকিস্তানকে হয়ত এর মূল্য দিতে হবে। মাঝখান দিয়ে ওবামা মামার ইমেজটা বাড়ল অনেক।
পুরো বক্তব্যে ইরাক নিয়ে একটা কথাও বলা হলো না। বলবেনা , জানতামও।
অতিথি।
ভোর বেলায়ই সিকিউরিটি এ্যাডভাইসরি পেলাম অফিসে না যেতে। বাসায় বসে বসে ডলার গুনছি। এখনও কোন গোলমালের খবর পাইনি। বিস্তারিত জানতে পারলে আমিও শেয়ার করবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ডলার গুলা শেয়ার করবেন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
একশো বার শেয়ার করবো!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার কিন্তু ধারণা ছিল লাদেন বছর দশেক আগে সেই তোরাবোরা পাহাড়ের যুদ্ধেই নিহত হয়েছে।
অনেকের কাছে কথাটা বালখিল্য বলে মনে হতে পারে। কিন্তু তুলনা করে দেখুন একটা সময় ২/৪ মাস পর পর একটা করে ভিডিও পাওয়া যেত যেটা রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেছে। ২/১ টা অডিও বা ভিডিও টেপ যা পেয়েছি তা খুব একটা নির্ভরযোগ্য ছিল না।
লাদেন নামক জুজুকে বাঁচিয়ে রাখলে গোটা বিশ্ব মার্কিন সৈন্যরা চষে খেতে পারবে সেটা মাথায় রাখা দরকার।
ব্রিটিশদের ফূর্তিতে উইলিয়াম ! আর মার্কিনীদের ফূর্তিতে ওবামা
ওছামা ব্যাটায় মইরা আমারে এক ঝামেলায় ফালাইয়া দিলো। বাসার বাইরে যাওয়া মানা। আমি তো বাসায় রান্না করি না। তাইলে এখন খামু কি? যাইতাছি পাশের বাসায়, পাউরুটি আর কলা হাওলাত করতে, সাথে এক কাপ চা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সাবধানে থাইকেন।
বিন লাদেন কোন ব্যাক্তি নয়, একটি নাম। আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশ গুলোর যতদিন ওকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন ছিল, ততদিনই সে বেচে ছিল, তার শরীরের উপর মিজাইলের আঘাতেও সে মরেনি। সম্ভবত এখন একটা পটকা ফাটিয়েই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। বুঝলেননা বড়দের রাজনীতি এর মধ্যে মাথা গলানো কি ঠিক? ইদানিং দেখছেননা হঠাৎ করেই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশ গুলোতে সতস্ফুর্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। নেতা নেই, নেতৃত্ব নেই অথচ আন্দোলন তুঙ্গে। বুঝিনা বাবা কি হচ্ছে?
দুনিয়ার সব জায়গায় "স্বতঃস্ফুর্ত" আন্দোলন করার জন্য সবসময় হাসিনা-খালেদার দরকার হয় না। এমনকি বাংলাদেশেও না।
****************************************
তখন হোক কী এখন, এই ভয়ংকর লোকটা মরেছে এতেই আমি খুশি।
লাদেনের মৃত্যু ওদের নেটওয়ার্কের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার বিষয়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন নাটক
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
খোদ ওবামাই ছবি ফটুশপায়, আমাগের মিছে আব্রাহামদার আর কী দুষ?
উবামা না, এই ছবিটা মিডিলিস্টের কোন এক সাঙ্বাদিকের কাম -
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
খবরটা শুনে আমার মনে প্রথমেই আসলো, পাকিস্তান ধরা খেয়েছে। এইজন্যই বাঙ্গালির উন্নতি হয়না, খালি অন্যের ধরা খাওয়াতে খুশী হই।
তবে পাকিস্তান এর একটা বিশয় নিশ্চিত আল কায়্দাও মারব, আমেরিকাও মারব মরন কাউ রুখতে পারবে না। পাকিস্তান তোমাকে বোলতে চাই "পাপ বাপেরেও ছারে না"
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কখনই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও লাদেন 'তালেবান' নামক যে অমানবিক রাষ্ট্রের বা ধারণার জন্ম দিয়েছিল সেখানে পশুত্ব ছাড়া আর কিছু চর্চা হত বলেও আমি মনে করি না!!
আজ দেখলাম অনেকে মাইন্ড করছে। লোকজনের আচরণ দেখে দশ বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল। ট্রেড সেন্টারে হামলার পর একটা বাসায় লাদেনের বিশাল বড় পোষ্টার টানানো দেখেছিলাম, লাদেন তখন চে গুয়েভারার ইসলামী সংস্করণ হয়ে গেছিল। এরপরে যখন আমেরিকা আফগানিস্তানে গেল, তখন ওই বাসারই এক ছেলে পোষ্টার নামিয়ে ফেলে বলা শুরু করল যে লাদেন বলে আসলে কেউ নাই, সব আমেরিকার সৃষ্টি। ফেসবুকে দেখলাম অনেকে লাদেনকে "লিজেন্ড", "হিরো" উপাধি দিচ্ছে। আমেরিকা ইরাক-আফগানিস্তানে হাজার হাজার লোক মারছে, তাই লাদেন আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা কইরা হিরো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর আগের কাহিনী দেখি সবাই ভুলে গিয়েছে।
তার আগের কাহিনী সবার আগে ভুলসে আমেরিকা নিজে। লাদেন কে তারাই বানাইসিলো তো সেই জন্য।
আমেরিকা আগে সমাজতন্ত্রীদের ঠেকানোর জন্য জঙ্গী তৈরী করেছে এটা ঠিক, কিন্তু আমি যাদের কথা বলছি তারা সমাজতন্ত্রের কিছুই বোঝে না। তাদের কাছে সমাজতন্ত্র আর নাস্তিকতা সমার্থক, এবং লাদেন বিধর্মীদের মারছে দেখেই হিরো। এরকম মানসিকতা যে ছাগু ছাড়াও জনসাধারণের অনেকের মধ্যে বিদ্যমান, সেটা এরকম কিছু অকেশনের মাধ্যমে পরিস্কার দৃশ্যমান হয়ে পড়ে।
আর আমেরিকা লাদেনদের সৃষ্টি করেনি, অর্থায়ন করেছে মাত্র। জঙ্গীবাদী আদর্শও একটা আদর্শ আর আদর্শ এককভাবে কোন মানুষ বা দেশ সৃষ্টি করতে পারে না, কেবল উৎসাহিত করতে পারে। আমেরিকার কুকর্মের ছুতোয় যারা লাদেনকে হিরো বানানোর চেষ্টা করছে, তাদের বোঝা উচিত যে তারা পারতপক্ষে জিহাদী চেতনাকেই সমর্থন করে যাচ্ছে। বিপ্লবী আর সন্ত্রাসীর মাঝে পার্থক্যটা বোঝা উচিত। বিপ্লবীরা বিমানবন্দর আর পাবলিক প্লেসে বোমা ফুটায় না।
"বিন লাদেনের মৃত্যু, কিন্তু এরপরে কি?"
এরপর?- নতুন গল্প,নতুন নায়ক,নতুন প্লটে,নতুন লোভনীয় লোকেশন।
কিবরিয়া
না, মোটেই এত সহজ না। এটা অনেকটা ক্যান্সারের মত। কেমো/রেডিওথেরাপি দিয়ে ক্যান্সার সাময়িক ভাবে সারানো যায় বটে (একে 'রেমিশন' বলে), কিন্তু বীজ কিছু থেকেই যায় শরীরের কোনাকাঞ্চিতে। ঐ বীজ থেকেই আবার ক্যান্সারের পুনর্জন্ম ঘটে কিছুদিন পরে। এক্ষেত্রেও অমনই সাময়িক 'রেমিশন' হয়েছে (বা হওয়ার আশা করা হচ্ছে) হয়তো।
আমার মনে হয় ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের (BMT) মত এখানেও একরকম আইডিওলজিকাল-কালচারাল-সাইকোলজিকাল-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের প্রয়োজন আছে। শুধু কেমো দিয়ে হবে না।
****************************************
লাদেন বইলা কিছু আছে কিনা এই নিয়াই সন্দিহান। তার মৃত্যু তো বহুদূর
যারা দেখেননি তারা দেখে নিতে পারেন। বিফলে মূল্য ফেরত।
নতুন মন্তব্য করুন