আমি নিশ্চিত অনেকেই ক্যারিয়ারের একটি প্রান্তে এসে এধরনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হন। কিন্তু এ রকম বিষয়ে আলোচনার একটি জায়গা পাওয়া মুশকিল। অনলাইনে যদিও প্রচুর আলোচনা রয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকের ইস্যু স্বতন্ত্র্য বলে বেশীরভাগ আলোচনাই অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের সহায়ক নয়। আমি একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এই ব্লগটির মাধ্যমে আমার চিন্তাভাবনাকে স্ট্রিমলাইন করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি আলোচনাটা হয়ত আরো অনেকের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।
যদিও আসল ডিলেমা আসে শুধু মাত্র পিএইচডি এবং এমবিএ এর মধ্যে, আমি প্রেক্ষাপটটা বিস্তৃত করতে তিনটি উচ্চ শিক্ষার ধারাই আলোচনা করবো - মার্স্টাস বনাম পিএইচডি বনাম এমবিএ। তাছাড়া আলোচনাটা আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে করলেও প্রায় সব দেশের প্রেক্ষাপটে একই ধরনের আর্গুমেন্ট কার্যকরী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
উচ্চ শিক্ষা - কত উঁচু?
একটা সময় ছিলো যখন শুধু আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট করলেই নির্ভরশীল এবং ভালো বেতনের একটি চাকুরী নিশ্চিত ছিলো। কিন্তু যুগ বদলেছে, বেড়েছে প্রতিযোগীতা। তাই নিদেনপক্ষে মার্স্টাস ছাড়া ভালো চাকুরী পাওয়াটা শক্ত।
কিন্তু উন্নত দেশে বিষয়টি আরো এক ধাপ বেশী শক্ত। তার উপর যদি আপনি বহিরাগত হন তাহলে তো কথাই নেই। পিএইচডি, একাধিক মাস্টার্স, মার্স্টাস বা পিএইচডির সাথে এমবিএ করা লোকজনের একেবার অপ্রতুল নয়। সুতরাং ক্যারিয়ারে এক ধাপ এগিয়ে যেতে আপনারও প্রয়োজন কম্পিটিটিভ অ্যাডভ্যান্টেজ। আরো উচ্চ শিক্ষা, আরো একটি ডিগ্রী।
বিষয়টি আপনার শিক্ষার বিষয়টির সাথেও জড়িত। ডাক্তারী পড়লে যেমন অতি উচ্চশিক্ষার খুব প্রয়োজনীয়তা নেই বলা যায়। তেমনি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার সায়েন্স পড়লে শুধু একটি মার্স্টাস থাকলেই ভালো চাকুরীর সুযোগ রয়েছ। অর্থাৎ বাজার বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।
অবশ্যই পুরো বিষয়টি আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর উপরও অনেকখানি নির্ভর করে। "মানুষ তার স্বপ্নের সমন বড়।"
মার্স্টাস - মার্স্টাস কিন্তু মাস্টর সাব নয়
আন্ডারগ্র্যাজুয়েটর পর মার্স্টাস শিক্ষা নেয়াটা নো ব্রেইনার। তবে যদি পিএইচডি করার ইচ্ছা থাকে তাহলে মার্স্টাস না করে সরাসরি পিএইচডি শুরু করে দেয়া ভালো। নইলে হয় সরাসরি এমবিএ কিংবা মার্স্টাসটা করে তারপর এমবিএ করা যেতে পারে। যে সিদ্ধান্তই নিন না কেনো আজকের বাজারে মার্স্টাস করাটা দরকারী।
পিএইচডি - পার্মানেন্ট হেড ড্যামেজ
পিএইচডি করার বৈশিষ্ট্য হোলো: স্পেশালাইজেশন। আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করছেন সে বিষয়ে (মতভেদে) প্রায় সবটুকু শিক্ষা নিয়ে ফেলছেন। সঙ্গে থাকছে একটি থিসিস। এই ডিগ্রী নিয়ে ক্যারিয়ারের পথগুলো হবে খুব সংকীর্ণ কিন্তু উঁচুমাত্রায় স্পেশালাইজড।
পিএইচডি করার একটি আকর্ষণ হোলো অতি সম্মানজনক একটি পদবী। তাছাড়া থিসিস, পেপার এসবের মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানের ভান্ডারে একটা অমরত্ব লাভ করা সম্ভব হয়। গবেষনার মাধ্যমে মানব সভ্যতাকে আরো এগিয়ে নেয়া যায়। আর থাকে মোটা বেতনের নিশ্চিত ভবিষ্যত।
কিন্তু বাস্তবে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পিএইচডি ধারীকে। পিএইচডি ধারীদের একটা বড়সড় অংশের গন্তব্য এবং লক্ষ্য থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে দেখেছি পিএইচডি করার পর প্রফেসর পদে চাকুরী পেতে এক থেকে দুই বছর পোস্ট ডক করতে হচ্ছে অনেককে। ইন্টারভিউয়ের পর ইন্টারভিউ দিয়েও অনেকের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না। উপরন্তু খুব ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে খুব ভালো বিষয়ে ডক্টরেট না করলে সহজে ভালো কোথাও চাকুরী পাওয়াও সহজ নয়। ইদানীং অর্থনৈতিক মন্দার কারনে স্বস্তায় অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর দিয়ে কাজ চালাচ্ছে ইউনিভার্সিটি গুলো।
আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশী ডক্টরেট রয়েছে বাজারে। উপরন্তু বুড়ো প্রফেসররা অনেক দিন ধরে তাদের পদ আঁকড়ে ধরে আছে। তাই নতুন প্রফেসর পদের জন্য ভালো বেতন কিংবা সুযোগ সুবিধাও বেশী দিচ্ছে না ইউনিভার্সিটগুলো।
প্রফেসর পদে চাকুরী পাবার পরও শান্তি নেই। গবেষনার জন্য ফান্ডিং নিয়ে যুদ্ধ এবং টেনিউর পাবার জন্য ক্রমাগত পেপার প্রকাশের দৌড়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয় সদ্য প্রফেসর হওয়া ডক্টরেটদের। তাই দুঃখজনক হলেও পিএইচডি চাকরীর বাজার হিসেবে অ্যাকাডেমিয়া আর অতটা আকর্ষণীয় নয়। ১ ২
এরপরে রইলো বিভিন্ন গবেষণা সংস্থায় গবেষণার কাজ করা। কিন্তু উচ্চমাত্রায় স্পেশালাইজড এসব গবেষণাগারে অনেক সময় ঐ দেশের নাগরিকত্ব প্রয়োজন হয়। কিংবা সুযোগ এতো অপ্রতুল থাকে যে সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগ হাতে আসে না।
ডক্টরেট পাবার পর সাধারণ চাকুরীতে যেতে চাইলেও সমস্যা। একটা ডক্টরেটকে সাধারণতঃ মার্স্টাসের পর তিন থেকে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার সমতুল্য ধরা হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি মার্স্টাসের পর তিন থেকে পাঁচ বছর চাকুরী করেছেন তিনি পিএইচডি করে নব্য চাকুরীতে ঢোকা ব্যক্তির সমতুল্য বেতন পাবেন। কিন্তু যেহেতু অভিজ্ঞতা নেই তাই ডক্টরেট ব্যক্তিকে দিয়ে আসলে কোম্পানীর অতটা লাভ হয় না। আর মাস্টার্স করা লোকজনও অপ্রতুল নয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই কোম্পানী ডক্টরেট কে কাজে নিয়োগ দিতে চান না।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে বাস্তব ক্ষেত্রে ডক্টরেট করা লোকের সংখ্যাধিক্যের কারনে, স্পেশালাইজড গবেষণাগারে অভাবে এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারনে ক্যারিয়ার হিসেবে পিএইচডির পথ অনেক বন্ধুর। কিন্তু পিএইচডির আসল লক্ষ্য যেটা - মানব সভ্যতার নেতৃস্থানীয় অবস্থানে গিয়ে গবেষণার মাধ্যমে একে এগিয়ে নেয়া - সেটা অর্জন করা সম্ভব হতে পারে। উপরন্তু, এভরি পিএইচডি ইজ নট ট্রিটেড ইক্যুয়ালি। সুতরাং ভালো বিষয়ে ভালো ইউনিভার্সিট থেকে পিএইচডি করলে স্রোতের বিপরীত চলা সহজ হতে পারে।
এমবিএ - মিডিওকোর বাট অ্যারোগেন্ট
এমবিএ ডিগ্রীর বৈশিষ্ট্য হোলো: জেনারেলাইজেশন। এটি এমন একটি বিষয় যেটা সাধারণভাবে প্রায় সব ধরণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়।
এই জেনারেলাইজেশনটাই হোলো এমবিএর সবচেয়ে বড় শক্তি। চাকুরীর বাজারটা যেমন প্রশস্ত হয় তেমনি নিজের ক্যারিয়ার ট্র্যাক বদলে ভিন্ন দিকে যাবার সুযোগ আসে। এর সাথে সায়েন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো বিষয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট, মাস্টার্স বা পিএইচডি থাকলে তো কথাই নেই। এ ধরণের চাকুরী গুলোকে তাই বলা হয় গোল্ডেন কলার জব। ৩
কিন্তু সমস্যা হোলো এমবিএর এই সুবিধে বুঝতে পেরে প্রচুর ইউনিভার্সিটি এখন এমবিএ ডিগ্রী দিচ্ছে। তাই খুব ভালো কোনো ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ না করলে আর মূল্য নেই তেমন একটা। উপরন্তু প্রতিটা এমবিএ ডিগ্রী পাওয়া মানুষ একে অপরের থেকে আলাদা। তাই, এভরি এমবিএ ইজ নট ট্রিটেড ইক্যুয়ালি আইদার।
এমবিএর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা হোলো অতি উচ্চ মাত্রার শিক্ষা ব্যয়। বর্তমানে আমেরিকার টপ ইউনিভার্সিটিগুলোতে এমবিএ করতে প্রায় ৫০,০০০ ডলারের (প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা) মতো লাগে। এর মধ্যে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা এবং আনুসঙ্গীক খরচ অর্ন্তভুক্ত নয়। শিক্ষা শেষে ১০০,০০০ ডলারের ঋণ মাথায় নিয়ে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়েছে এরকম ছাত্রের সংখ্যা কম নয়।
এই জেনারেলাইজেশনের আরেকটি অসুবিধা হোলো নিজের পছন্দের বিষয় থেকে সরে গিয়ে ম্যানেজমেন্ট চলে যাওয়া। এতে করে আপনি যে বিষয়ে কাজ করে আনন্দ পেতেন সে বিষয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। এমবিএর আরেকটি সুবিধে, উচ্চ মানের বেতন। হরেক রকমের এবং প্রচুর এমবিএ করা লোকের কারনে সেটাও আর অতটা আকর্ষণীয় নেই।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে এমবিএ করে জেনারেলাইজেশনের পিঠে ভিড় করে চাকরীর বৃহত্তর বাজারে ভালো মানের বেতন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এতে করে নিজের পছন্দের বিষয় থেকে সরে ম্যানেজমেন্টের কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে হবে। উপরন্তু ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে ভালো মানের শিক্ষা গ্রহণ না করলে সেই এমবিএর মূল্য নেই। এছাড়া এমবিএ করতে নিজের পকেট থেকে একটা চড়া মূল্যের অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
কেইস স্টাডি - একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের ডিলেমা
বিষয়টি খানিকটা ব্যক্তিগত। তবে কেইস স্টাডি হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়োজন নিজেকেই বলির পাঁঠা হিসেবে বেছে নিলাম। এতে করে আমার নিজের ডিলেমাটার খানিকটা সমাধাণ হতে পারে সে আশাও রয়েছে।
আমার আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। এরপর একই বিষয়ে মার্স্টাস করেছি আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমার মার্স্টাসের মাইনর ছিলো কম্পিউটার সায়েন্স এবং গবেষণার বিষয় ছিলো কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন। গত তিনবছর যাবৎ আমি একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন এর সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট পদে নিয়োজিত আছি।
কেনো আমি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী? আমি যে পদে নিয়োজিত সে পদে একজন কম্পিউটার বিষয়ে পিএইচডি এবং কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন নিয়োজিত ছিলো। আমি তার সমপরিমান কাজ তো করছিই উপরন্তু আমাদের সফটওয়্যারে আমি আরো কিছু ইনোভেটিভ সমাধান যুক্ত করেছি। অথচ অন্য ডিপার্টমেন্টের কর্মরত একজন কম্পিউটার সায়েন্সে মার্স্টাসের চেয়ে আমার বেতন কম। আমি দ্বিতীয় বারের মতো চাকুরী খুঁজতে গিয়ে বিষয়টা আরো ভালোভাবে অনুভব করলাম। অর্থাৎ সমপরিমান স্কিল থাকার সত্ত্বেও আমার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী এবং আমার এলিয়েন স্ট্যাটাস আমার ক্যারিয়ারের পথে একটা বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর আমি একটু সামনের দিকে তাকালাম। এভাবে চলতে থাকলে আমি কতদূর আগাবো? দশ বছরে ম্যানেজার, পনের বছরে টেকনিকাল লিড। এইটুকুই।
আল্টিমেটলি আমি কতদূর যেতে চাই? আমার ইচ্ছে ছিলো ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট এন্ট্রিপিনিওরশিপে যুক্ত হবার। একটা লিডিং টেকনোলজি ডেভলপমেন্টের সাথে যুক্ত হবার।
কি করলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব? যেহেতু কম্পিউটার টেকনোলজিতে আমার থাকার ইচ্ছে তাই কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্সে আরেকটি মার্স্টাস, পিএইচডি নাকি এমবিএ করবো?
কম্পিউটার সায়েন্সে আরেকটি মার্স্টাস করার চেয়ে আরেকটু কষ্ট করে পিএইচডি নিয়ে নেয়াটা বেশী লাভজনক। কিন্তু পিএইচডি সময়সাপেক্ষ ও শ্রম সাপেক্ষ। আর প্রোডাক্ট লিডিং বা এন্ট্রিপিনিওরশিপের জন্য পিএইচডি কতটা সাহায্য করবে সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। পিএইচডির কল্যানে গবেষণা ও পাবলিশিং একটা বড় প্রাপ্তি। এটা আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও আমার মূল লক্ষ্য মনে করি না।
এমবিএ করলে যে জেনারেলাইজেশনটা হবে সেটা আমাকে প্রোডাক্ট লিডিং বা এন্ট্রিপিনিওরশিপের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে ঠিকই কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রী ছাড়া টেকনিক্যাল বাজারে সেটা কতটা কার্যকরী হবে সেটা প্রশ্নাতীত নয়। এই ডিগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল অর্থ জোগাড় করা আমার জন্য দুরূহ হয়ে যাবে?
এমবিএ এবং কম্পিউটার সায়েন্সে মার্স্টাস যৌথ ভাবে করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু প্রায় চার বছরের এই শ্রমসাধ্য শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বহন করাটা আরো দুরূহ হয়ে যাবে। কথা হচ্ছে, প্রাপ্তির তুলনায় বিনিয়োগ বেশী হয়ে যাবে কিনা।
এই হোলো আমার ডিলেমা।
আপনার কাছে প্রশ্ন
আপনার শিক্ষা এবং বর্তমান পেশা কি? আপনার ভবিষ্যত লক্ষ্য কি? সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপনার পরিকল্পনা কি? আপনি আমার জায়গায় হলে কি করতেন?
উপসংহার
উচ্চ শিক্ষার পথ বেছে নিতে হলে দেখা যায় প্রতিটা মানুষের গল্প স্বতন্ত্র্য। আর প্রতিটা মানুষের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা ভিন্ন বলে ফলাফল ভিন্ন হয়। তাছাড়া এধরনের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে সিদ্ধান্ত নেয়াটা অনেক সময়ই দুরূহ হয়ে পড়ে।
তাই প্রত্যেকের উচিৎ নিজের লক্ষ্যটাকে নিশ্চিত করে একটা পরিষ্কার পরিকল্পনা মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেয়া। যদিও নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতেই পারছি বিষয়টা কত অনিশ্চয়তার জন্ম দিতে পারে।
আপনার ভবিষ্যত জীবনের জন্য রইল সমবেদনা এবং শুভকামনা।
মন্তব্য
খুবই প্রয়োজনীয় একটা লেখা। আপনার এইসব ডাইলেমার সাথে, আমি আমার ডাইমেনশনের ডাইলেমাগুলিও যোগ করি একটু-
আমি পাশ করেছি তড়িৎ প্রকৌশল থেকে, চাকরি করছি দেশেই একটা মাল্টিন্যাশনাল টেলিকমুনিকেশন কোম্পানিতে। পাশ করার পর থেকেই দেখছি বন্ধুদের বিদেশ যাওয়ার ঢল- আমেরিকা আর কানাডা। কিন্তু সেখানেও শান্তি নাই, ফান্ডিং-এ টানাটানি। দেশের চাকরির মূল সমস্যা হলো একটা সময় পর বিরক্ত লাগতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত দেশে এমন কোন কোম্পানি নেই যেখানে কিছুটা মাথা খাটানো যায়। একঘেঁয়ে সব কাজ- সমস্যা কিছুটা জটিল হলেই ভেন্ডরের ফরেন সাপোর্ট থেকে সলিউশন চলে আসে। সত্যিকার অর্থে ক্যারিয়ার পাথ জিনিসটাও ঠিক বোঝা যায় না- কোন পথে যাচ্ছি আর কোন পথে গেলে ভালো হতো।
এদিকে দিন আগের মতোও নেই। বিদেশ থেকে পড়ে দেশে আসলেই ভালো চাকরি, এদিন এখন পুরোপুরি শেষ। আমার পরিচিত এক ইঞ্জিনিয়ারের কথা জানি, বি এস সি পাশ করে একটা কোম্পানিতে জয়েন করলো, খুব ভালো করছিলো। হঠাৎ মাস্টার্স করতে বাইরে গেলো। শেষ করে দেশে আসলো। শেষমেশ আগের কোম্পানিতেই, আগের পজিশনেই অল্প কিছু বেশি বেতনে ঢুকতে হলো। কাজেই বাইরে পড়া শেষ করে বাইরে চাকরি করতে হবে, কিন্তু সেইটার জন্য ঝামেলাগুলি আপনিই বললেন।
সমস্যা আসলে মেলা রকমের
অলমিতি বিস্তারেণ
বাইরে থেকে যাওয়াটা খুব খারাপ বিষয় নয়। ইদানীং যোগাযোগ মাধ্যম এতো ভালো হয়েছে যে বাইরে থেকে দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব এবং যোগাযোগ রাখা সম্ভব।
আমেরিকায় ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাজার খুব ভালো। একটা মার্স্টাস করে ভালো চাকুরীতে ঢুকে যাওয়া সমস্যা হবে না।
এখানে অন্য একটা সমস্যা আছে, কিছুটা হয়তো তাসনীম ভাইয়ের সমস্যার সাথে মিলে।
আমার আগ্রহ মূলত পুরোটাই প্যাকেট নেটওয়ার্ক নিয়ে, বিশেষত আইপি বেইজড টেকনোলজি নিয়ে। যদিও আমাদের ব্যাচ থেকে ইলেকট্রিক্যালের সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে এবং আসলেই অনেক উন্নত এবং আধুনিক হয়েছে, তবু কোন এক বিচিত্র কারণে আমাদের শিক্ষকদের প্যাকেট নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছুটা উদাসীনতা কাজ করেছে। তাঁরা চারটি ডিসিপ্লিন ভাগ করেছেন- পাওয়ার, ইলেকট্রনিকস, কমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং। আমরা প্রথম ব্যাচ হওয়ার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও কম্পিউটার নিতে পারিনি কারণ আমাদের ক্লাসে আগ্রহী কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো কমিউনিকেশন এবং কম্পিউটারের মেজর-মাইনর কম্বিনেশনে পড়তে। তবু ভরসা না পাওয়াতে ইলেকট্রনিকসই নিলাম মাইনর হিসাবে, সাথে মেজর কমিউনিকেশন।
আমার লজিক অনুযায়ী বর্তমানের এই পৃথিবীতে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিউনিকেশনের সিলেবাসে যথেষ্ট পরিমাণে নেটওয়ার্ক এবং আপার লেয়ার (OSI Layer আর কি) অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিলো। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা কেন যেন ফিজিক্যাল লেয়ারের উপরেই উঠতে চাইলেন না। মোটামুটি থোড় বড়ি খাড়া-খাড়া বড়ি থোড় হিসাবে ওই OFDM, MIMO, Modulation ইত্যাদিতে বিরাট বড় কামেল হয়ে (সেই সাথে সিগন্যাল প্রসেসিং) পাশ করলাম ঠিকই, কিন্তু আপার লেয়ারে বলার মতো কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পেলাম না। এর ফল যেটা হলো আমি এখন যখন রাউটিং, সিকিউরিটি কিংবা ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো কোন টপিকে আগ্রহ দেখাই তখন সে ব্যাপারে আমার বলার মতো কোন অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখাতে পারিনা। এছাড়া এখন বাংলাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, সেখান থেকেও প্রচুর কম্পিউটার প্রকৌশলীরা অ্যাপ্লাই করেন, কাজেই তাঁদেরকে বাদ দিয়ে আমাকে নেওয়ার মতো কোন যুক্তি আমি নিজেই খুব একটা দেখি না।
এই সমস্যার কী সমাধান হতে পারে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনার সাথে আমার সমস্যা অবিকল মিলে গেল। তড়িৎ প্রকৌশল থেকে পাশ করে টেলিকমে আইপি ব্যাকবোন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কামলা খাটছি। রাউটিং, সুইচিং বা ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আন্ডারগ্র্যাডের সিলেবাসে কিছুই ছিল না। যার কারনে আগ্রহের এই বিষয়টা নিয়ে উচ্চশিক্ষার কোন সুযোগ দেখি না। কেবল সিসকো, জুনিপারের কিছু সার্টিফিকেশন করে কিছুটা উচু মানের কামলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একদমই খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে
সিসকোর হায়েস্ট লেভেল সার্টিফিকেশন CCIE (মুখে মুখে রাজা উজির মারলাম আর কী!!) ও যদি করি, তবু কেন যেন মনে হয় এই সেক্টরের অ্যাকাডেমিক গ্রিপটা ঠিক আসবে না। মাঝে মধ্যে খুবই অসহায় লাগে যখন চাইনিজ R&D এর সলিউশন অর্ধেক বুঝে না বুঝে ইম্পলেমেন্ট করা লাগে। এই কামলার জীবন বড়ই খ্রাপ
অলমিতি বিস্তারেণ
তের বছর দিনমজুরী খেটে আমারও একই অভিমত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যটা করে আর রাখতে ইচ্ছে করলো না। তাই এডিট করে মুছে দিলাম।
গালি টালি দিলে ব্যক্তিগত মেসেজে পাঠিয়ে দিয়েন।
উঁহুঁ গালি টালি নয়...
চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। দেখি আলোচনা কোন দিকে যায়...।
শুধু দেখলে হবে? আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন।
বেশ উপকারী পোস্ট।
প্রশ্ন গুলোর উত্তর:
আমি গণকযন্ত্র বিজ্ঞান ও প্রকৌশল পড়ছি, শেষ বর্ষ। সি জি খুব ভালো না, তাই লক্ষ্য নিয়তই পরিবর্তনশীল, স্থৈর্য দরকার মনে করি, অনেক কিছুই ভেবে বসি। আমার প্রতি কোন উপদেশ দিলে প্রীত হব। আর আপনার জায়গায় থাকলে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করতাম। তাতে সময় কম লাগত আবার ডিগ্রিটাও পাওয়া হয়ে যেত।
অ.ট. ভাইয়া অনুগ্রহপূর্বক কোট টোট করতে দেন, শান্তিমত মন্তব্যই করতে পারছি না।
পিএইচডি করার আগে খুব ভালো করে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন। ভালো মতো তথ্য নিয়ে বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিন।
আমার ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া। চোখ কান খোলা রাখায় সচেষ্ট আছি।
অনেকদিন ধরেই এই ব্যাপারটা ঘামাচ্ছে আমাকেও । ভাবতেই আছি কেম্নে কি ?! !
এসি ঘরে বসে একটু ঠান্ডা হয়ে নিন। তারপর আপনার ভাবনাগুলো আমাদের জানান।
আর এসি ! হিমঘরে বসে থেকে টনসিল ফুলে গেল, তবু উপায় খুঁজে পাইনা । পি এইচ ডির হাঁড়িকাঠে মাথা পেতে খড়গের অপেক্ষায় থেকে কেবল ভাবছি কাজটা কদ্দুর ঠিক হল...
আমার নিজের কথা বলি। আমি তড়িৎকৌশলী, আমেরিকাতে মাস্টার্স করেছি তড়িৎ কৌশলে। প্রথম দুই বছর কাজ করেছি এম্বেডেড সিস্টেমস, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়ার দুটোতেই কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কাজে লাগতো। এরপর ইউনিক্স সার্ভারের ফার্মওয়ারের কাজে ঢুকি, ডিভাইস ড্রাইভার ধরণের কাজ, সফটওয়ারের অংশটাই বেশি। ১০+ বছর এই লাইনে কাজ করার পরে দেখছি কাজগুলো ভারতে চলে যাচ্ছে। আমার কাজের স্কোপ একটু লিমিটেড, সফটওয়ারের অন্য ফিল্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতাও নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবটাও আজকাল অনুভব করি। আবার তের বছর এক লাইনে কাজ করে অন্য কিছুতে এন্ট্রি লেভেল নেবে না, বয়েসও প্রতিকূল।
সবার জন্য এমবিএ, এটাও আমি বিশ্বাস করি না। যেটা বলেছ...এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটা শিক্ষা, এরপরে চাকরি পাবো কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট (পিএমপি বলে একটা পরীক্ষা আছে) সার্টিফিকেশন করে হয়ত লাইন সামান্য পাল্টাতে পারি। বিরাট কোনো ডিগ্রির ভেতরে না গিয়ে এখন অল্পের উপর দিয়ে চালাতে চাই। বয়েস অনুকূল থাকলে পিএইচডিতে যেতাম হয়ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
আপনার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে সেটা হোলো সময়ের প্রয়োজনে আপনি একটা বিশেষ স্পেলাইজেশনের দিকে গ্যাছেন। কিন্তু এখন যখন এই স্পেলাইজেশনের লোকজন বাজারে আসা শুরু করেছে তখন আপনার ওপর মনে হয় একটা বিরূপ হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
আপনার অবস্থানে থাকলে আমিও সার্টিফিকেশনের দিকে ঝুঁকতাম। একটু উপরের দিকে উঠে গেলে মনে হয় সুবিধেই হবে আপনার।
সমস্যা হচ্ছে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট খুবই বোরিং লাগে। সামান্য কিছু এখনও করতে হয়। যেটা করতে চাই সেটা করতে না পারাটা বেশ বিরক্তিকর। তবে সুনীলের কিছু লাইন মাথায় রাখলে একটু শান্তি- পৃথিবীতে নাই কোনো বিশুদ্ধ চাকুরি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার পোস্টটা ফেস বুকে শেআর দিলাম দেখি বন্ধুরা কি বলে. ব্রাস্সেল্স থেকে মাস্টার্স করে প্রথমে বেলজিয়ামে একটা কনসাল্টেন্সি ফার্মে এক বছর কাজ করার পর রিপোর্টিং পর্বে এসে মনে হলো আরো কিছু ইনুভেটিভ গ্রাফ আর রেফারেন্স গুলা অর্গানাইজ করলে হয়ত একটা পাব্লিকেসন দাড় করানো যাবে, পাব্লিকেসন তৈরী করার সময় মনে হলো রিপোর্টের ফিউচার স্টেপ গুলা দিয়ে একটা পি এইচ ডি প্রপসাল তৈরী করলে কেমন হয়. প্রপসাল তৈরী শেষ হবার পর চোখ বন্ধ করে করে ৮/১০ টা প্রফেসর কে মাইল করলাম তার মাঝে ২ জন আগ্রহ দেখালো বাকিরা নিরব. কনসাল্টেন্সি ফার্মে যে কাজ করতাম এখন তার খুব কাছাকাছি কাজ করি কিন্তু এখন আরো বেশি ফ্রীডম[ মূলত বেশি বেশি ফেস বুকিং আর সচলায়াতন ] পি এইচ ডি ব্যপার টা আমি তিন বছরের একটা জব মনে করি তার চেয়ে বেশি কিছু না ডিগ্রী হলে হবে না হলে নাই, আমি যে আইনস্টাইন হতে পারবনা এটা আমি ভালো করে জানি তাই চেষ্টাও করবনা. এখন কথা হলো পি এইচ ডি শেষে কি করব? একাডেমিক জব আমার কোনোকালেই ভালো লাগেনি তাই জব মার্কেট স্টাডি করি মাঝে মাঝে. একটা জিনিষ আবিস্কার করেছি জব মার্কেট স্টাডি করে সেটা হলো জব প্লাটফর্ম পরিবর্তন করে, এই ধরেন পোস্ট ফুকুশিমা ঘটনার পর অনেক নতুন জব আসছে Renewable এনার্জি সেক্টরে. তার মানে ক্যেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের জব (নিউক্লিএর রিয়েক্টর বন্ধ করা হবে আগামী ...বছরে ) মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের
কাছে চলে আসছে.( তার মানে আপনার সামনে ভালো দিন আছে হে মোর্শেদ ভাই...). আমি নিজেও ভাবছি পি এইচ ডি শেষ সেমিস্টারে কোনো বড়সড় Renewable কোম্পানিতে একটা ইনটার্ন করে কোনো একটা চিপা চাপা রাস্তা দিয়ে ঢুকে পরতে..
mahmud.geneva@gamil.com
আমি কিন্তু মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরী পাচ্ছি না বলে সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট যাইনি। আমি সিস্টেম্যাটিকালি কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন পড়াশোনা করে একই বিষয়ের সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টে এসেছি। কারন আমি এই বিষয়েই পড়তে চেয়েছি, এই বিষয়েই চাকরী করতে চেয়েছি।
কপালে যা থাকে থাকুক, আমি ভূতত্ত্ব ছাড়ছি না।
চাক্রি-বাক্রি? সে আল্লার দান, তিনি বড়ই মেহেরজান থুক্কু মেহেরবান।
প্রথমেই ধিক্কার জানাই আমার প্রচন্ড ব্যস্ত সময়ে এইরকম একটা বিষয়ে সুন্দর একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য।
আন্ডারগ্র্যাড গণকযন্ত্র প্রকৌশলে, তারপর ছয় বছর ইনফরমেশন সিকিউরিটিতে কন্স্যাল্টেন্সী। চাকুরীকালে অনুভব করলাম এম্বেডেড সিস্টেমের (VHDL/FPGA) সাথে প্রথম প্রেম ভুলতে পারছি না। কিন্তু মাঝখানে অনেকদিন যোগাযোগ না থাকায় ফিল্ড বদলাতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই মাস্টার্সে ঢুকলাম, আবারো সেই গণকযন্ত্র প্রকৌশলে। অনেকটা ফান্ডিং জোগাড় করতেই থিসিস করলাম বায়োমেড-এ। কাজের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা/ভালো লাগা, আর পারিবারিক দায়িত্ব এতো বেশি ডাইভার্স যে ভবিষ্যতের প্ল্যান আর করতে পারছি না। বর্তমানের প্রয়োজন মিটাতেই দৌড়ে বেড়াচ্ছি।
পিএইচডি করবো না, যদি না আমার ভবিষ্যৎ কোন এমপ্লয়ার তাদের টাকায় করায়। তবে রিসার্চের প্রতি ঝোঁক আছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ করতে মন চাইলেও মাসিক আয় আমার যেকোন সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। তার উপরে দেশে ফেরত যেতে চাই। দেশে ফিরে কি করে খাওয়া যাবে সেই চিন্তাও আছে।
কিছুক্ষণ আপনার জুতায় নিজের পা ঢুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম, কোন উত্তর খুঁজে পাইনি। আপনার প্রতিও সমবেদনা এবং শুভকামনা থাকল।
বায়োমেডে তো ফাটাফাটি সুযোগ এখন! দেশে ফিরি না গিয়ে এখানেই চাকুরী করুন। ভালো করবেন।
পিএইচডি শুরু করেছেন?
দ্রোহীদার ভূতত্ত্বরে খালি 'পানিসম্পদ প্রকৌশল' দিয়া রিপ্লেস করলে আমার মন্তব্য হইয়া যায় !!!!
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দ্রোহী ভাই, আমি অস্ট্রেলিয় সরকারের বৃত্তি নিয়ে খনি প্রকৌশলে ব্যাচেলর করতে এসেছি কিছুদিন হল। বিষয়টা ইন্টেরেস্টিং লাগে এবং আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়াতে প্রসপেক্টও দেখলাম খারাপ নয়। ঠিকঠাক ভাবে সব শেষ করতে পারলে ইচ্ছা দেশে ফিরে যাওয়ার...দেশের জন্য কাজ করার। কিন্তু দেশে এই সম্পর্কিত কাজের ক্ষেত্র/ সুযোগ কোথায় কোথায় আছে ? আপনিও যেহেতু বলতে গেলে এই সম্পর্কিত একটি ফিল্ডেই আছেন; তাই প্রশ্নটা করলাম...ধন্যবাদ।
রাগিব ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ, চাকরীর বাজারে না ঢুকলে বাইরে থেকে বোঝা যায়না।
আমার ব্যাচেলর ইলেক্ট্রিকাল ইনজিনিয়ারিং, মাস্টার্স করছি কম্পিউটার ইনজিনিয়ারিং এ। সামনে মেডিকেল স্কুলে ঢোকার ইচ্ছা আছে (অবশ্যই টাকা সাপেক্ষে) । যদি না হয়, তাহলে হয়তো বায়োমেডিকেল ইনজিনিয়ারিং এ মাথা ড্যামেজ করে ফেলবো। ম্যানেজমেন্ট আমার কাছে ধান্দাবাজি মনে, যেটা আমাকে দিয়ে হবে না।
মেডিক্যাল স্কুলে ঢুকলে অনেক বেশী কষ্ট হয়ে যাবে আপনার। বরং কাছাকাছি কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করুন। তবে একবার চাকরীর বাজারে ঢুকে দেখতে পারেন।
এটা কেমন কথা হোলো? এই আমি যদি এখন আরেকটা মার্স্টাস বা পিএইচডি করি তাহলে ঠিকাছে, কিন্তু যদি এমবইএ করি তাহলে ধান্দাবাজ হয়ে যাবো? কথাটা এমন হয়ে গেলো না, "ক্রিকেট খেলাটা আমি পছন্দ করি না তাই ক্রিকেট একটা খারাপ খেলা।" কথাটার পিছনে ড়্যাশন্যাল কি?
ম্যানেজমেন্ট আমার কাছে ধান্দাবাজি মনে, যেটা আমাকে দিয়ে হবে না।
এক বন্ধুর ফেইসবুক মারফতে পেলাম...
পিএইচডি কাকে বলে?
গণকযন্ত্র প্রকৌশলে আন্ডারগ্রেজুয়েশন শেষ করে কিছুদিন লোকাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলাম। এখানে হয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের অভাব, না হলে কাজের পরিবেশের। আমার ইচ্ছা অ্যাকাডেমিয়াতে সুইচ করার, গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড সবসময়ই বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। এখন পিএইচডি শুরু করার ইচ্ছা... বাকিটা দেখা যাক... সেটায় কতটা সফল হওয়া যায়।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লিংকটা দুর্ধর্ষ!!!!
সাংঘাতিক সত্য।
চমৎকার এই লিংকটা জুড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখার সময় খুঁজে পেলাম না।
কেনো? ভবিষ্যত লক্ষ্য কি?
অ্যাকাডেমিয়ায় থাকার ইচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির থেকে এখানে পথটা একটু কঠিন মনে হয়। কিন্তু গবেষণাকর্মের মজাটা ভালো ভাবে পেতে আগ্রহী।
(টেনশন যে নেই একদমই সেটা বললে অবশ্য মহাপাপ হবে)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড সবসময়ই বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে।
টাকা পয়সার হিসেবে ইউরোপে পিএইচডি করা ভালো, বেতন কোম্পানি জবের কাছাকাছি। আমার মতে, রিসার্চে থাকতে হলে পিএইচডি করা উত্তম, রিসার্চে না থাকলে পিএইচডি দরকার নেই। ইউনিভার্সিটিতে ঢোকা ঝামেলার, শিক্ষকতার জব করতে হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একমত।
কম্পিঊটার সায়েন্স পাশ করে বের হলাম একটা পাবলিক ভার্সিটী থেকে,জিপিএ ভালো না,প্রায় একমাস হলো ইন্টারভিঊ দিয়ে বেড়াচ্ছি বিভিন্ন কোম্পানিতে আর বুঝছি সব কোম্পানীর এক্কেবারে হাফেজ লোকেরই দরকার, ইউনিভার্সিটি থেকে মাত্র পাশ করে বের হলাম, হাফেজ তো হই নাই আর একাডেমিক আর প্রফেশনাল কাজকর্মের যে একটা বিস্তর ফারাক সেটা জানা আছে, তাই ট্রেইনী হিসেবে কোন কোম্পানীতে পাঁচ ছয়মাস কাজ করে তারপর ভালো লাগলে কন্টিনিঊ করতে চাই, তবে কাজ শেখার এনভায়রন্টমেন্ট আছে এমন জায়গায় যোগ দিতে চাই, আর ২-৩ বছর চাকরি করে ভবিষ্যতে চাকরির পাশাপাশি সিএসইতে মাস্টার্স ও একটা এমবিএ করার ইচ্ছা আছে, এই আপাতত ক্যারিয়ার প্লান, কিন্তু যেভাবে কোম্পানিগুলো স্যালারী কম বলে, সার্টিফিকেট জমা দেওয়া সহ আরও অদ্ভুত শর্ত দিচ্ছে তাতে বিরক্ত লাগছে, ফ্রেশার হিসেবে অবশ্যই অনেক বেতন চাইনা, কিন্ত মফস্বলের ছেলে হিসেবে অন্ততপক্ষে ঢাকায় নিজের স্বাচ্ছন্দ্যে চলার মত স্যালারী চাই তাও জ়ুটছেনা, দেখি কালে কালে নৌকা কোন ঘাটে গিয়ে ফিরে
এই ইচ্ছের পিছনে কারন কি? এই ডিগ্রীগুলি কিভাবে কাজে লাগাবেন?
ইউরোপের মাত্র কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে পি.এইচ.ডি-র বেতন ঈর্ষণীয় যার বেশিরভাগই স্ক্যান্ডিক দেশ। জার্মানিতে পি.এইচ.ডি-র বেতন আহামরি কিছু নয়।
জার্মানিতে পিএইচডি করতে থাকা স্কলারদের একটু টাকা-পয়সা কম। ডাড সম্ভবত মাসে ১০০০/১২০০ ইউরো দেয়। আরো কিছু স্কলারশীপের ক্ষেত্রে ১২০০/১৪০০। সব ট্যাক্স-ফ্রি।
তবে স্কলাররা সংখ্যালঘু। সংখ্যাগুরু হলো কামলা দেয়া লোকজন। এদের ফান্ডিং কয়েকটা উপায়ে হয়। কিছু পায় লান্ডেসস্টেলে, কিছু ডিএফজি বা ইইউ প্রোজেক্টের কাজ। এক্ষেত্রে ফুল টাইম কন্ট্রাক্টে বেতন শুরুতে মাসে ট্যাক্স দেয়ার পরে প্রায় ১৭০০ ইউরোর মতো থাকে। বিবাহিতদের ক্ষেত্রে ২০০০/২১০০। প্রতি বছরে মাসে ১০০ ইউরোর মতো বাড়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে স্টার্টিং স্যালারি মাসে এর থেকে বড়জোর ১০০-২০০ ইউরো বেশি। জার্মানি কম লিভিং কস্টের দেশ। একজন ব্যাচেলরের জন্য মাসে ৫০০ এবং বিবাহিতের জন্য ৮০০/৯০০ ইউরো মিডিয়াম-সাইজড সিটিতে যথেষ্ট। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বছর শেষে দেশে বাপ-মা-শ্বশুর-শ্বাশুড়ি-নানা-নানী-দাদা-দাদী-ছেলে-মেয়ে এই ট্রির যাদের জন্য টাকা পাঠানো হয়, সে বাবদ ট্যাক্স মওকুফ পাওয়া যায়। প্রতি জনের জন্য সর্বোচ্চ ১৯৮০ ইউরো পাঠানোর বিধান আছে। এভাবে ফেরত পাওয়া ট্যাক্সের পরিমাণ সাধারণত পাঠানো টাকার প্রায় তিন ভাগের একভাগ হয়।
স্ক্যান্ডিক দেশ নরওয়েতে পিএইচডি স্টুডেন্ট আফটার ট্যাক্স ২১/২২০০০ ক্রোনার (২৭/২৮০০ ইউরো প্রায়); কিন্তু লিভিং কস্ট জার্মানির তুলনায় অন্ততপক্ষে দ্বিগুণ। (আমার নিজের ক্ষেত্রে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি, যদিও ডেভেলাপড থেকে ডেভেলাপিং দেশে আসায় জীবনযাত্রার মানে অবনতি হয়েছে বলে ধারণা)। ট্যাক্স ফেরত পাওয়ার সুবিধা নাই বললেই চলে।
জার্মানি থেকে ইউরোপের অন্য দেশে মুভ করা সহজ; কিন্তু ভাষার কারণে তার উলটোটা সহজ নয়। জার্মানির জব মার্কেটও বিশাল। অন্ততপক্ষে সিএসই পাবলিকদের জন্য মাস্টার থাকলে জব পাওয়া সহজ, আফটার পিএইচডিও জব পাওয়া কঠিন না। আমি নিজেও জব খুঁজছি, না পেলে তখন এ ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই মন্তব্য পড়ে জার্মানীর ফান্ডিং নিয়ে পরিচ্ছন্ন ধারনা হোলো। ধন্যবাদ। ইউরোপে ডিগ্রীগুলো কি ইন্টারচেইঞ্জেবল? এক দেশের ডিগ্রী অন্য দেশে কতটা কাজে লাগে?
ডিগ্রি অফিশিয়ালি (খুব সম্ভবত) ইন্টারচেইঞ্জেবল। তবে কনটেক্স (প্রফেসর, বস, এক্সপার্টাইজ, ভাষার দক্ষতা) ডিপেন্ডেন্ট। আমার অভিজ্ঞতামতে, জার্মানি থেকে বের হওয়া (ইউকে, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ---) সহজ। তার উলটোটা কঠিন। সুইডিস মাস্টার্স থেকে জার্মান পিএইচডি প্রোগ্রামে ইন করতে দেখেছি। নরওয়ে অনেক ওপেন। পিএইচডি স্টুডেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে এরা ইউরোপের প্রায় সবদেশের এমএস ডিগ্রিই অ্যাক্সেপ্ট করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সম্পুর্ণ একমত আপনার সাথে। তবে উল্টোটা কঠিন বলতে কী বুঝালেন বুঝিনি।
আ্যাকাডেমিয়াতে যারা আছেন পিএইচডি টা তাদের জন্যই সবচেয়ে উপযুক্ত এবং প্রয়োজনীয়। আর যারা ডিগ্রী শেষ করে চাকরি খুঁজবেন তারা ইনভেষ্টমেন্টের (টাকা, সময়, শ্রম) তুলনায় রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
পরিষ্কার হোলো না। সব ডিগ্রীর ক্ষেত্রে কি এই কথা সত্য?
এই জীবনে লক্ষ্য স্থির করে কোনদিন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলাম না। তাই ঠিক করেছি আর লক্ষ্যই ঠিক করবো না।
যদিও এতেও ভুগতে হবে। কিন্তু কিছু করার নাই। প্ল্যান করলে প্ল্যান মত কিছু হয় না। তখন আরো খারাপ লাগে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
লক্ষ্যে না পৌছালেও লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছেন। এটাই লক্ষ্য ঠিক করার সুবিধা। নইলে এইটুকুও অর্জন সম্ভব হোতো না।
চারিদিকে আজ হতাশার বাণী।
পৃথিবীটা একটা বিরাট প্রতিযোগীতা। ত্রি ইডিয়টস সিনেমায় ঠাট্টা করে বলেছিলো:
"Life is a race..if you don't run fast ..you will be like broken anda.."
কিন্তু কথাটা হাড়ে হাড়ে সত্য।
বুঝলাম
ইহা শুধু আম্রিকানিবাসী কম্পুবৃত্তিধারীগণের জন্য প্রযোজ্য
আরেকটু জেনারেলাইজ করে চিন্তা করলে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। আমাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য কি সেটা ঠিক না করে আমরা দৌড়াই। লোকের কাছে বড় মুখ করে বাপে/মায়ে বলতে পারবে ছেলে/মেয়ে বুয়েটে পড়ে, তাই বিষয় যাই হোক, তোমার পছন্দের বিষয় হোক বা না হোক, ভবিষ্যত লক্ষ্য যাই থাকুক ঢোকো বুয়েটে। লোকের কাছে বড় মুখ করে বাপে/মায়ে বলতে পারবে ছেলে/মেয়ে ডক্টরেট করেছে তাই ভবিষ্যত যাই হোক করো পিএইচডি। এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বাপের মান সম্মানের জন্যই পারমানেন্ট হেড ড্যামেজ করছি। আর একটা কারণও আছে সেটা হল টাকা। দেশে চাকুরিতে বছরে যে টাকা জমত, তা এখন ৩ মাসেই জমে যায়।ভাল লাগে না পড়তে একটুকুও, তাও পড়ছি ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্ত জানি না কি আছে কপালে। যদিও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি-" A man without destiny doesn't have anywhere to go"
লেখাটা খুবই প্রয়োজনীয় অন্তত যারা দুই বা তিন সিদ্ধান্তের মাধে দোদুল্যমান। অন্তত আমার মতো অস্থিরচিত্তের লোকেদের জন্যে এই ধরনের লেখা খুবই প্রয়োজনীয়, যথেষ্ঠ ভাবনার খোরাক জোগায়। পাশাপাশি অন্যদের মন্তব্য থেকেও গুরুত্বপূর্ণ টিপসও বেরিয়ে আসে। এই দেখেন আমি, হিসাব বিজ্ঞানে ব্যাচেলর্স (তৃতীয় শ্রেনী) করে তারপর এমবিএ করলাম মার্কেটিং মেজর নিয়ে, তা'ও চাকরি করতে করতে। আবার কাজ করার জন্যে জুটলাম এনজিও সেক্টরে। তবে শেখার আগ্রহ এবং অভিজ্ঞতা, এগুলো কিন্তু অমুল্য, আমাকে দেখে বুঝি। আমি এমন দুটো পজিশনে কাজ করা সুযোগ পেয়েছি যার একটা (হিউম্যানিটারিয়ান ও ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট) মোটেও আমার শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে মেলেনা আর অন্যটায় (বিজনেস সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট) নিদেনপক্ষে সিএ-রা বা সিপিএ-রা কাজ করছেন। এই সেক্টরে বাংলাদেশে আমার সমসাময়িক অন্য কাউকেই দেখিনা যার একইসাথে এই দুটো জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা আছে।
বড়াই করার জন্যে এগুলো লিখিনি। একটু ব্যাক্ত করতে চাইলাম যে সাফল্য পেতে হলে প্রবল ইচ্ছের প্রয়োজন, ডিভোশন প্রয়োজন, কাজকে ভালোবাসা প্রয়োজন। এগুলো পেশাগত এ্যাম্বিশনকে সহজসাধ্য করে দেয়। আমি অবশ্য এখনও পিএইচডির স্বপ্ন দেখি। এটা সম্ভবত নিজেকে একটু কুলীন শ্রেনীতে তোলার জন্যে। 'সঠিক সিদ্ধান্ত' বিষয়ে আমার এক বন্ধু রতনজী টাটার করা একটা উক্তি খুব বলেন, " আমি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিশ্বাস করিনা। আমি সিদ্ধান্ত নেই এবং তারপর তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত করতে চেষ্টা করি। আমি সবসময় সক্ষমতা এবং প্রচেষ্টায় বিশ্বাসী। "
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একমত।
ভুল কারন। গবেষণার ইচ্ছে না থাকলে বলে বেড়ানোর জন্য পিএইচডি করা বোকামী।
কথাটা সুন্দর কিন্তু খানিকটা ফ্লড। এরকম হলে একমত হতাম:
"আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করি। কোনো সিদ্ধান্তই শতকরা ১০০ ভাগ সঠিক নয়। তাই তাকে এই সিদ্ধান্তকেই কাজে লাগাবার চেষ্টা করি। আমি সবসময় সক্ষমতা এবং প্রচেষ্টায় বিশ্বাসী।"
এই জন্য প্রতিটি অফিসে সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী মেয়েদের নিয়োগ দেওয়া উচিত। এতে করে বাকিদের কাজের ইচ্ছে, প্রয়োজন আর ভালোবাসা বাড়বে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আমাদের সেক্টরে কিন্তু 'জেন্ডার' নামের এক 'থিমেটিক দানব' জেঁকে বসে আছে। জেন্ডার এখন ডেভেলপমেন্টের একটা গ্লোবাল ক্রসকাটিং থিম। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও এর অনেক ইমপ্যাক্ট আছে, নারী কর্মীদের অনেক বিষয় সংস্থাগুলো গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে। কিন্তু 'জেন্ডার কেস' খেয়ে অনেক নিরাপরাধ পুরুষ সহকর্মীকে চাকরী খোয়াতে দেখেছি। তাই ইদানিংকালের প্রক্ষাপটে সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী মেয়েদের নিয়োগ দেওয়ায় কিছু বিপদও রয়ে যায় বৈকি!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
খুবইপ্রয়োজনীয় একটি লেখা। রিসার্চ কিংবা টিচিং এই দুইটা লাইনে না গেলে পিএইচডির দরকার নেই। তবে যারা বিদেশে আসবেন তাদের নুণ্যতম একটি মাস্টার্স করা অবশ্যই কর্তব্য। ইউরোপের কথা বলতে পারি না, তবে উত্তর আমেরিকায় তাদের নিজ দেশের কোন ডিগ্রি ছাড়া জব মার্কেটে সুবিধে করতে পারবেন না। ইন্টারভিউতেই ডাক পাবেন না। মাস্টার্স হলেই যে ডাক পাবেন তাও না, ভালো রেফারেন্স, কানেকশান লাগবে। কিন্তু নর্থ আমেরিকান ডিগ্রী ছাড়া একদম ব্যক্তিক্রম না হলে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যেতে পারবেন না। তাই দ্রুত একটি মাস্টার্স করে জব মার্কেটে ঢুকে পড়াই ভালো। শখ করে পিএইচডি না করাই ভালো। তাতে জব পাওয়া আরো কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে জব যে নেই, তা ঠিক না। কানাডাতে কোন পিএইচডি ধারী বসে নেই। কিন্তু যে পাঁচ/ছয় বছর খাটুনী যায় তার তুলনায় রিটার্ন সামন্যই। এমবিএ পড়ার খরচ অনেক এবং ফান্ডিং থাকে না। এমবিএ সম্পর্কে ধারণা কম, তাই তুলনা হতে বিরত থাকছি।
ঠিক।
একমত।
রাগিব ভাই এর মন্তব্য বড় বেশি বিষয়ভিত্তিক (শুধু সি এস ই দের জন্য প্রযোজ্য) হয়ে গেছে বলে মনে হলো। আমি ইইই তে আন্ডারগ্র্যাড করে আমেরিকা তে মাস্টার্স এ এসেছিলাম (পাওয়ার এ)। গত সেমিস্টার এ কোয়ালিফাইং দিয়ে পি এইচ ডি তে ঢুকেছি। এখানে আমাদের ল্যাব থেকে গত ১ বছরে যারা বেরিয়েছে সবাই বেশ ভালো ভালো চাকরি নিয়ে গেছে। মাস্টার্স, পি এইচ ডি সব রকমই আছে। একাডেমিয়া তে ক্রাইসিস আছে, তবে আমার মনে হয় ইন্ডাস্ট্রি জব এর জন্য (অন্তত ইলেক্ট্রিকাল এ) আপনি মাস্টার্স না পি এইচ ডি, রেজাল্ট কেমন, ইউনি’র র্যাঙ্ক এগুলা কোন ব্যাপার না। ভালো এডভাইজর\ভালো থিসিস এবং এবং এডভাইজর এর রিকমেন্ডেসন টাই জরুরী। আর পাওয়ার এ চাকরির বাজার বেশ ভালো, এটাও বলতে পারি।
বি দ্রঃ মাস্টার্স না পি এইচ ডি ব্যাপার না, মানে এটা নয় যে পি এইচ ডি করা অর্থহীন। বলতে চেয়েছি যে মাস্টার্স করলে চাকরি আছে, পি এইচ ডি করে তেমন বিশেষ কোন লাভ নেই, এটা সব ক্ষেত্রে ঠিক নয় বলে আমার মনে হয়।\
chandan2u@gmail.com
একই মন্তব্য সাতবার করলেন যে ভাই!
সম্ভবত মডারেশন পার হয়ে আসতে সময় লাগে এটা উনার জানা ছিল না, তাই বার বার নিজের কমেন্ট পেইজে না দেখতে পেরে বিভিন্ন আইডি দিয়ে ট্রাই করেছেন। মডারেটর কেউ বাকি ৬টা মুছে দিলে ভালো হয়...
আগে তো কমেন্ট করলে সাথে সাথে তো দেখাতো না, এখনো নিশ্চয়ই সেই নিয়ম আছে, নাকি??
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কনফিউসন আরো বেড়ে গেলো!!
দুঃখিত। কিন্তু অন্ধের মতো ডিসিশান নেবার চেয়ে কনফউজড কিন্তু ইনফর্মড হয়ে আগানো খানিকটা বেটার মনে হয়।
তড়িৎ প্রকৌশলে undergrad করবার পর দু'বছর চাকুরি করেছিলাম দেশে - তারপর Master's করতে মার্কিন মুল্লুকে আসা-মাঝারি মানের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে।চাকুরির interview দিতে গিয়ে টের পেলাম, চাকুরিদাতারা আমি কি গবেষণা করছি (nano-device) তার চাইতে আমি দেশে চাকুরিতে কি কি প্রত্যক্ষ কাজ করেছি তাই নিয়ে বেশি আগ্রহী!উপরন্তু মোর্শেদ ভাই যেটা বললেন-industry তে PhD প্রত্যাশী চাকুরিদাতার সংখ্যা আসলেই তুলনামুলক ভাবে কম।তাই খুব ভেবে - চিন্তা করে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত!
একজাক্টলি।
আমি দেশের একটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভাসি'টিতে CSE পড়ছি।আর মাত্র কয়েক মাস পর আমি পাস করে বের হয়ে যাব।আমি যদি দেশেই থাকতে চাই তাহলে কি মস্টাস' করাটা প্রয়োজন আছে?
অসাধারণ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
আমি লেখায় কি বলেছি?
সত্যি কথা কি ভাইয়া, পিএইচডি ডিগ্রী খুব এলিট, আর তাকে এলিট থাকতে দেয়াটাই ভালো ছিলো, কিন্তু আপনি জানেন, রিসেসানের জন্য অনেকে চাকুরী না পেয়ে পিএইচডি-র ফান্ডিং এর দিকে যেমন ঝুঁকে যাচ্ছে ঠিক তেমনি ফান্ডিং কমে গেছে প্রফেসরদের। এ যেন- জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ! আজ থেকে পাঁচ বৎসর আগেও এমনটা ছিলোনা। ভবিষ্যতে হয়তো আরও কঠিন হবে।
যা বলছিলাম, আমি বুয়েটের কেমিকৌশল থেকে ব্যাচেলর শেষে দেশে কিছুদিন চাকুরী করলাম। এরপর দঃকোরীয়ার সরকারী বৃত্তিতে মাস্টার্স করে আবার দেশে এসে চাকুরী করছি (আপনার অ্যানসিস - ফ্লুয়েন্ট দিয়ে কিছু কাজ করেছিলাম মাস্টার্সে )। মজার ব্যপার যা দেখলাম তা হল, আপনি বিদেশ থেকে যত বড় ডিগ্রী নিয়ে আসবেন, আপনার কাজের স্কোপ তত কমতে থাকবে। বিশেষত, বাংলাদেশে একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারীর কোন চাকুরী প্রায় নেই বললেই চলে (খুব লাকি হলে গাব টাইপের বেসরকারী বিশ্বঃ এর শিক্ষক)। এমন কি বিদেশ থেকে করে আসা মাস্টার্স ডিগ্রী দেখলে চাকুরীদাতা ২-৩ বার ভাবে তাকে চাকুরী দিতে (আমি খুব সৌভাগ্যবান বলব, দেশে আসার ১ মাসের মধ্যে চাকুরী পেয়েছি)। তাই শেষ পর্যন্ত সেই ছেলেটির বাইরে পিএইচডি করতে যাওয়া ছাড়া আর কোন গতিই থাকেনা। আর সাথে সে এটাও জানে, পিএইচডি করতে যাওয়া মানেই, দেশে আর তার স্থায়ীভাবে ফেরা হবে না।
তো, মানে টা কি দাড়ালো? এখানে কিন্তু উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের চাইতে, উন্নত বিশ্বে যাওয়া আর স্থায়ী ভাবে বসবাস করবার লাইসেন্স হল পিএইচডি। রিসেসনের জন্য এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্রছাত্রী প্রফেসররা না নিয়ে সরাসরি পিএইচডি-তে ভর্তি করাতে বেশী আগ্রহী (আসলে প্রফেসরদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে - মাস্টার্সে ছাত্র নেয়াটা তাদের জন্য ভালো ইনভেস্টমেন্ট নয়, কারন মাত্র দু'বছরে ছাত্রের রিসার্চ কন্ট্রিবিউশন অতটা সুপ্রসন্ন হয়না)। আর তাই ব্যপারটা এরকম দাড়ায়, আমি ডিগ্রী চাই বা না চাই, রিসার্চ টপিকস পছন্দ করি বা না করি, সুপারভাইজরের ঝাড়ি খেয়ে হলেও আমি উন্নত বিশ্বে পাড়ি দেবার লক্ষে পিএইচডি করাটা অপরিহার্য্য!
সর্বাংশে একমত
একমত।
পুরোপুরি একমত।
দরকারী লেখা, ভাইয়া। বিশেষ করে পিএইচডি শেষে কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাটা ঠিক তুলে ধরেছেন আপনি এবং রাগিব ভাই। এত অনিশ্চয়তা ঘাড়ে নিয়েও এত কষ্ট করার জন্য অনেক বড় কমিটমেন্ট প্রয়োজন। কে কী নিয়ে কাজ করতে চান, অ্যাকাডেমিয়ায় থাকতে চান কি না, ইত্যাদির চেয়েও বড় প্রশ্ন, আপনার কমিটমেন্ট কত শক্ত?
আমি নিজে ইলেক্ট্রিকালে ব্যাচেলর্স-মাস্টার্স করে কম্পিউটারে পিএইচডি করছি... তবে মূলত একই ধারার কাজের উপর। তাই আপনার মতো বড় মাপের কোনো পরিবর্তন নেই। চাকরির বাজারে মাস্টার্স-পিএইচডির তেমন তফাৎ নেই দেখে হতাশা এবং দ্বিধা কাজ করে, একথা স্বীকার করতেই হবে।
তবে...
আমি এমবিএ করতে অতটা আগ্রহী নই। আমি মাঝে মাঝে ভাবি আইনে চলে যাওয়ার কথা। খরচ ঐ এমবিএ-র মতোই, প্রি-রেক কোর্সগুলো চাকরি করতে করতেই নিয়ে ফেলা যাবে। এর পর কম্পিটিং/সিকিউরিটি ল' নিয়ে পড়াশুনা করার ইচ্ছা অনেক। নতুন একটা ডাইমেনশন সাজেস্ট করলাম আর কি।
নাহ টু মাচ ড়্যাডিকাল শিফট। এমন একটা ডিগ্রী নিতে চাচ্ছি যেটা আমার ব্যাকগ্রাউন্ডকে অগমেন্ট করবে, নালিফাই না।
মুর্শেদ ভাই, এই মহিলাকে দেখেন। তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি, তারপর হার্ভাড ল স্কুল। এখন উইলমারহেইল এর এসোসিয়েট।
আর আমার একটা আইডিয়া হলো - পেটেন্ট এটর্নি। এটা কিন্তু একটা জবরদস্ত অপশন। আপনার স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট টেকনিক্যাল যে অভিজ্ঞতা তার সাথে আইনের যোগসাজশ ঘটলে পেটেন্ট এটর্নির বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন।
আপনার লেখা থেকে কপি পেস্ট করতে পারছি না কোনো কারণে তবে মাস্টার্সের ব্যাপারে আপনি যা বললেন আমার কিঞ্চিত দ্বিমত আছে.. যদি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটাস না থাকে আর দুই একটা ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা থাকে তবে আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা যা বলে তা হলো মাস্টার্স দরকার নেই একটা মোটামুটি ভালো চাকরির জন্য। তড়িত্ প্রকৌশলে আন্ডারগ্র্যাড নিয়ে আমার সাথে যারা বের হলো এমন একজনকেও দেখিনি যে এই বাজারে চাকরি পায়নি.. বেতনের দিক থেকে হিসেব করলে দুই বছর মাস্টার্সে যে সময় যাবে, সেই দুই বছরের বেতন আর অভিজ্ঞতা হিসেব করলে দুই বছর পরে মাস্টার্স নিয়ে একজন যে বেতনে শুরু করবে আন্ডারগ্র্যাড নিয়ে দুই বছর চাকরি করলে তার একটু বেশি চলে যাওয়া অসম্ভব নয়.. তার উপরে এফ.ই দেওয়া থাকলে পি.ই দিতে যে অভিজ্ঞতা লাগে তাও কিছুটা অর্জন হয়ে যায়।
ভালো স্কুলে এম.বি.এ যেমন খরচ সাপেক্ষ, তেমনি কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে শুনেছি অ্যাডমিশন পাওয়াও অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়...
আপনার প্রশ্নের উত্তরে, আমি নিজে আন্ডারগ্র্যাড শেষ করে চাকরি শুরু করছি..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এই ক্ষেত্রে ফলাফল পাওয়া যায় ভবিষ্যতে। যখন দুটো লোককে একটা পজিশনের জন্য কনসিডার করা হয় তখন মার্স্টাস ওয়াল বেনিফিটটা পাবে।
ঠিক।
ঠিক... কিন্তু ভবিষ্যতে ধরুন যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, ঐ ধরনের কাজে একজনের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা আছে ব্যাচেলর সহ, আরেকজনের আছে মাস্টার্স ডিগ্রি কেবল... (যদিও তা দুই বছরের অভিজ্ঞতা হিসেবে গন্য হবে, থিসিস এর এরিয়াতেই কাজটা না হলে খুব বেশি লাভ কি হবে?) যদি মাস্টার্স ওয়ালার থাকে আর তিন বছরের অভিজ্ঞতা.... খুব বেশি কি পার্থক্য হবে বলে মনে হয়? আমার তো মনে হয় সেক্ষেত্রে দুজনেই সমান কনসিডারেশন পাবে... আমি যতজন এম্প্লয়ারের সাথে কথা বলেছি সবাই বলেছে ডিগ্রী এর থেকে অভিজ্ঞতার ওজন বেশি.. অবশ্য সব ক্ষেত্রে এটা খাটবে না হয়তো.. আমার অভিজ্ঞতা এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিতে..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
উদাহরণটা এম এস এর জন্য বেশী প্রযোজ্য.. আমার নিজের ইচ্ছে আছে এমবিএ করার
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনার লেখাটা দেখে মন্তব্য না করে আর পারছি না, খুবই দরকারি লেখা
নিজের কেস স্টাডি দিয়ে বলি= ১ম কথা, আমি আপাতত একেবারে নতুন গ্র্যাজুয়েট, পুরকৌশল এ । দেশে চাকরি বাকরি এর স্কোপ বলতে সেই রিয়েল এস্টেট এ রড সিমেন্ট !! ২টা চাকরি করেছি এবং ছেড়েছি, রিয়েল এস্টেট ভাল লাগার কিছু নেই দেখে
আমার নিজের রিসার্চ এবং কাজ কর্ম সবই পরিবেশ ও পানিসম্পদ নিয়ে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন । এখন কথা হচ্ছে ভাই , আমার একাডেমিক সিজিপিএ অত ভাল না হলেও এই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়া অনেক পাপড় ভাজার কারনেই হোক, এই লাইনেই কাজ করার ইচ্ছা। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিয়েছি , মাস্টার্স আগে, এমবিএ নয়। তবে টিচার হবার কোন ইচ্ছা কোন কালেই নেই। কিন্তু তারপরেও , আমি যদি আমার অবস্থা চিন্তা করি, পরিবেশ ও পানিসম্পদ বিষক কাজে পিএইচডি থাকলে লাভ বই খুব একটা ক্ষতি হবে না । আর আমার তো ফান্ডিং পাওয়া নিয়ে কথা , মাস্টার্স এর ফান্ডিং এর চেয়ে পিএইচডি ফান্ডিং যদি সহজে পাই করবো না কেন !!!
যাইহোক, দোয়া রাইখেন ভ্রাতা আমার জন্য, এই বিষুধবার আমার জিআরই পরীক্ষা, তার পর পর দেশেই পরিবেশ ও পানিসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন একটা জায়গায় যোগ দিচ্ছি ,
এমবিএ কে আপাতত কাচকলা দেখিয়ে ,পুরকৌশল বাদ দিয়ে পানিসম্পদেই মাস্টার্স টা নামকাওয়াস্তে ভর্তি হলাম বুয়েটে, যদিও এটা ঠিক দেশে সিভিল আর এমবিএ নিয়ে রিয়েল এস্টেটে শাইন করার সুযোগ থাকলেও হয়ত থাকে, কিন্তু এই রড সিমেন্ট ধুলা বালি আপাতত ইচ্ছা করছে না
মার্স্টাস + এমবিএর মতো কম্বাইন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। ফুল টাইম পড়াশোনা করলে ৩ বছরে শেষ হতে পারে।
আমেরিকাতে পুরকৌশলে ইন্ডাস্ট্রি লেভেলে কাজ করতে গেলে দুইটা সার্টিফিকেশন লাগে। একটা ইআইটি, আরেকটা হল পিই । প্রথমটা হলে আন্ডারগ্র্যাডের প্রথম দুই বছর যা পড়েছেন সেটা, আর পরেরটা হল আন্ডারগ্র্যাডে যা পড়েছেন, যা পড়েননি, কখনোও পড়তে হতে পারে সেটা দুঃস্বপ্নেও মনে হয়নি সেটা নিয়ে।
এখানে সিভিলের জব মার্কেটের অবস্থা ভাল। গভর্নমেন্ট থেকে প্রচুর পয়সা ঢালা হচ্ছে রাস্তা আর ব্রিজের পিছনে।খালি সিভিলের কাজ বাদেও স্ট্রাকচার আর এনভায়রনমেন্ট অনেক ইন্ডাস্ট্রিতে লাগে। জিওটেকের কাজ অয়েল ইন্ডাস্ট্রিতে ভালই আছে। এছাড়া মার্কেট ভাল হওয়ার আরেকটা কারণ এই পোস্ট আর কমেন্ট পড়লে একটু বুঝতে পারা যায়। চাহিদার তুলনায় সিভিল ইন্জিনিয়ারের সরবরাহ অনেক কম।
তবে ভাল কম্পানিতে জব পেতে কিছু জিনিস খুবই কাজে আসে। একটা হল ভাল স্কুল, কারণ ভাল ভাল কম্পানিগুলা সাধারণত টপ র্যান্ক স্কুল থেকেই ফ্রেসগ্র্যাডদের হায়ার করে। আরেকটা হল রেফারেন্স।
"বায়োমেডে তো ফাটাফাটি সুযোগ এখন!"
লেখকের একটি মন্তব্যের জবাবে এটি পেলাম। বায়োমেডের সুযোগ বলতে যদি চাকরির বাজার এর কথা বোঝানো হয় তাহলে বলব এটা অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। যেমন অনেকাংশে নির্ভর করে বস এর রিকমেন্ডেশনের উপরে, এরপরে কোন ইউনি থেকে মাস্টার্স , লিংক কত ভালো।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ইউ এস এ তে বায়োলজি নিয়ে পরতে চাইলে প্রথমে মাস্টার্স করা ভাল। কারন দেশে গবেষনামূলক বায়োলজির অবস্থা একেবারে খারাপ। আমি দেশের সবচেয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োলজির সবচেয়ে ভাল সাবজেক্টে অনার্স আর মাস্টার্স করে এসে এখানে দেখি আমার ভালো কোনো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। এজন্য বায়োলজিতে সরাসরি পি এইচ ডি তে ঢোকা ঠিক কিনা আমি জোর করে বলতে পারবনা । তাছাড়া এখানে মাস্টার্স করলে ভালো জায়গায় পি এইচ ডি করারও সুযোগ থাকে ।
আর পি এইচ ডি না করতে চাইলে কোন ল্যাব এ প্রথমে টেকনিশয়ান হিসেবেও ঢোকার অবকাশ থাকে , পরে সুযোগমত চাকরির এ্যাপ্লাই করা যায়।
আমার আরেকটি অযাচিত পরামর্শ (বায়োলজির ছাত্রদের জন্য) হলো, সাদা চামড়ার বসদের সাথে কাজ করা। (নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)।
পড়াচোর
প্রকৌশলীদের ভিড়ে একজন জীববিজ্ঞানের ছাত্রকে পেয়ে ভাল লাগল, যদিও স্পেসিফিক ফিল্ডটা জানতে পারলে উপকৃত হতাম। এই পোষ্টে আমি "একাডেমিয়া বনাম ইন্ডাস্ট্রী" দ্বি-বিভাজনটা লক্ষ করছি, এরকম ডাইকোটমি কি জীববিজ্ঞানের ফিল্ডে পাওয়া যায়(চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাদ দিলাম)? আরও স্পেফিকালি বলতে গেলে- আমি যদি জেনেটিক্স কিংবা বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান পড়তে চাই আমার কি একাডেমিয়া ছাড়া কোন গতি থাকবে?(আমার টার্গেট কানাডা)
আর চাকুরীর বাজারের ব্যাপারটা কি স্টেটের উপর নির্ভর করে না? কয়েকদিন আগে এক অভিবাসন সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে দেখলাম কানাডার আলবার্টার অর্থনীতি বলে বর্তমানে সেখানকার oil industry এর কারণে বেশ চাঙ্গা। অন্যদিকে টরন্টো বলে চাকুরীর জন্য খুব একটা সুবিধাজনক জায়গা না, চেনাজানা লোকজনের কাছ থেকে অন্তত তাই শুনলাম। স্টেটের সাথে কি চাকুরীর বাজারের কোন সম্পর্ক আছে?
এ বিষয়ে আমার সীমিত জ্ঞানের কথা স্বীকার করে অপারগতা প্রকাশ করছি।
অবশ্যই করে। স্টেইট, দেশ, বিষয় ইত্যাদি অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
কী যাদু করে রাখছেন কপি করা যায়না। ঘাড় বাগিয়ে নাক ধরতে হলো। যাই হোক, আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে এই পোস্টে অংশগ্রহণও করা হবে।
আমার শিক্ষা ও বর্তমান পেশা বলতে গেলে তো নিকের আড়ালের মানুষটাকে নিজেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সেটা করতে চাইছি না। তবে আমার শিক্ষার বিষয় কাজি মোতাহার হোসেন সাহেব যাকে বলতেন তথ্য গণিত। বাংলাদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেকদিন ঠেঙানোর কাজ করেছি। অতপর উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমন করেছি।
মূলত পেশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে পিএইচডি করার চেষ্টা শুরু করেছিলাম। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা যায় আমার বাবার ইচ্ছা পূরণ করা। তার ইচ্ছে ছিল আমি যেন ওয়ার্লড-স্কুলে পড়াই আর নামের আগে একটা ড. লাগাই। প্রথমটা ইচ্ছা পুর্ণ করেছি, এখন দ্বিতীয় ইচ্ছে পুরণের পথে আছি। আমি আবার একান্ত বাধ্যানুগত সন্তান কিনা।
বিদেশে এসে মাস্টার্স শেষ করে যখন পিএইচডির এ্যডমিশনের চেষ্টায় দিবারাত্রি পরিশ্রম করছি, তখন আমাদের ১২ জন সহপাঠির আমরা দক্ষিণ এশীয় তিনজন (ভারতীয়, নেপালী) বাদে সবাই চাকুরিতে ঢুকে গেল। আমরা বিদেশী ছাত্র তাই কানাডায় চাকুরী পাওয়া সোনার হরিণ হবে সেটা ভেবে ওদিকটা চিন্তাও করিনি।
পিএইচডির শেষপ্রান্তে এসে একাডেমিক চাকুরীর জন্য দরখাস্ত শুরু করলাম। এতদিন পরে এসে বুঝতে পারলাম হয়তো মাস্টার্স করেই চাকুরির চেষ্টা করলে ভালো হতো। আর একাডেমিক লাইনে ঢুকতে ইউনিভার্সিটির নাম একটা বড় ফ্যাক্টর; সেই সাথে রিসার্চ এরিয়া।
ধারণা ছিল পিএইচডি করে নন-একাডেমিক জব পাওয়া যাবে না। এদিক থেকে আমার বর্তমান অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলব পিএইচডির দরকার আছে। বিশেষ করে পিএইচডি থাকলে আর রিয়েল লাইফের কোন বিষয় নিয়ে থিসিস করা থাকলে জব পেতে সুবিধা হবে। বর্তমানে একটা পাবলিক হেলথ ইউনিটে ঢুকেছি। বলা যায় সরকারি চাকুরী (প্রাদেশিক সরকারের)। আমি ভাগ্যবান যে আমার ম্যানেজার আমাকে নিয়েছিল শুধু পিএইচডি করছি সে কারণেই। (টরন্টো এবং ওয়েস্টার্ন অন্টারিওর) পাবলিক হেল্থ-এ মাস্টার্স করা লোকজনকে সে নেয়নি। আমাকে নেয়ার কারণ হলো আমার মেথডলজিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা। ভাগ্যবান বলব এ কারণেই যে আমার ম্যানেজার বুঝতে পেরেছেন শুধু গড় মধ্যক প্রচুরক আর এসপিএসএস-এর মেনু দিয়ে ড্যাটা এনালাইজ করার দিন শেষ হয়ে আসছে। এখন পাবলিক হেলথ-এ ম্যাথমেটিক্যাল স্ট্যাটিসটিক্স এর ব্যবহার দিন দিন বাড়াতে হবে। বেতন নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই, তবে সরকারি চাকুরির কিছুটা হলেও নিশ্চয়তা আছে। হায়ারিং-ফায়ারিং অপেক্ষাকৃত কম বলে মনে হয়। সেই সাথে হেল্খ বেনিফিট চিন্তা করলে একেবারে খারাপ না। চলে। তবে পিএইচডি শেষ করে সামনে বছরে আম্রিকার দিকে একটা ট্রাই দেব।
আমাদের লাইনে শুধু মাস্টার্স করে চাকুরি পাওয়ার দিন শেষ হয়ে আসছে। কারণ হলো একটা পজিশনের জন্য ৪-৫ বছর আগে নাকি কালে ভদ্রে পিএইচডি হোল্ডার এ্যপ্লাই করতো। এখন পিএইচডি এ্যপ্লিক্যান্ট-এর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে মাস্টার্স-এর লোকজন শুরুতেই পিছে পড়ে যায়।
এখন একাডেমিক লাইন থেকে আমি পাবলিক হেল্থ-এর দিকেই ঝুঁকে পড়ছি। লক্ষ্য হবে ফেডারেল জব করা। আর সেখানে ঢুকতে গেলে লাগবে অভিজ্ঞতা এবং ডিগ্রী দুটোই। যারা সেখানে এপ্লাই করবে তাদের অধিকাংশেরই পিএইচডি থাকবে। সাথে থাকবে ৫-১০ বছরের অভিজ্ঞতা। সেখানে শুধু মাস্টার্স করে চাকুরি পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ পাবলিক হেল্থে যারা কাজ করে তারা কেমনে কেমনে যেন একটা করে পিএইচডিও করে ফেলে। দৌড়ে টিকতে হলে তাই পিএইচডি মাস্ট।
লক্ষ্যে পৌঁছুতে আমি বর্তমান জবকে স্প্রীংবোর্ড হিসেবে কাজে লাগাবো। আমি বিশ্বাস করি চেষ্টা বজায় রাখতে হবে, রিজিক নির্ধারণ করবেন উপরওয়ালা (এটা আমার বিশ্বাস, কোন যুক্তি খুঁজতে গেলে ব্যর্থ হবো)।
আপনার জায়গায় থাকলে আমি কাজ এবং পিএইচডি এক সাথে করার চেষ্টা করতাম। কারণ কাজ ছেড়ে দিলে সেই কাজ পাওয়া মনে হয় কঠিন হতে পারে। পার্ট টাইম পিএইচডির করা গেলে খারাপ না। তবে আপনার লাইন সম্পর্কে আমি আদার ব্যাপারীর মত। তাই আমার মতামত কেবলই মতামত।
অনেক আজাইরা বকবক করলাম। অনেকদিন পরে কিছু লেখা হলো!
খুব ভুল কারন। আমাদের যে বাবা মায়ের কথা মানতে এমন ভাবে শিক্ষা দেয়া হয় যে আমরা সারা জীবন সেটা মেনে চলি, ভুল হলেও। কিন্তু আমাদেরকে আমাদের বাবা মা কে ছাড়িয়ে যেতে হবে। নইলে সেটা ফ্যটাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।
আপনি ভাগ্যবানই বলতে হবে।
বিষয়ের সাথে সর্ম্পকযুক্ত ব্যাপারটা।
হায়রে উপরওয়ালা! একটা কথা মেনে নিলে খুব সুবিধা হবে আপনার ভবিষ্যতে। দেয়ার ইজ নো উপরওয়ালা। এভরিথিং ইজ ইউ এন্ড ইউর অ্যাকশনস।
সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ।
অত্যন্ত ভাল কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। আমি সদ্য বের হয়া গ্রাজুয়েট। মেজর- ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জ... পি,এইচ,ডি না মাস্টার্স কিসে অ্যাপ্লাই করব সিধান্ত নিতে না পেরে শেষপর্যন্ত এম,এস এডমিসনের জন্য সবকিছু সাবমিট করলাম। ইনশাল্লাহ এম,এস শুরু করতে যাচ্ছি ফল সেমিস্টার থেকে এবং এখনো কনফিউসড পি,এইচ,ডি নিয়ে। একদিকে জব হিসাবে মাস্টারি পছন্দ না আবার অন্যদিকে রিসার্চ- এ অসীম আগ্রহ। দেখি কি আছে কপালে !
মাস্টারি পছন্দ না হলে রিসার্চ ইন্সটিটিউট/ল্যাব তো আছেই
এম,এস শুরু করতে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ ফল সেমিস্টার থেকে। পিএইচডি না মাস্টার্স এই ডিলেমাতে ভুগছি অনেকদিন ধরেই। দেখা যাক কি আছে কপালে ! তবে একাডেমিক জব আমার খুবই অপছন্দের। কিছু রিপ্লাই পড়ে মনে হল এখানে আমেরিকায় বসবাসরত কিছু ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার আছেন! আমাকে কিছু উপদেশ দিলে উপকার হত। এম,এস এর জন্যে যাচ্ছি কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি তে। কম্পিউটার আরকিটেকচার অথবা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক- এই দুটির যেকোন একটিতে মেজর করার ইচ্ছা। জবের দিক দিয়া বিচার করলে কি সাজেস্ট করেন ?
খুবই ইন্টারেস্টিং পোস্ট। অনেকের কাজে লাগবে।
আগে প্রশ্নগুলির উত্তর দেই-
আমি বলবো যে পিএইচডি'র সুফল ও কুফল - দুইটাই আছে।
পিএইচডি করার পেছনে আপনার মূল মটিভেশনটা কি? আমার অভিজ্ঞতায় মটিভেশন হিসেবে ডিগ্রিটার সম্মানজনক মূল্যটাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তা না হলে টানা ৪/৫ বছর ধরে পস্তাতে হতে পারে। পিএইচডিকে অনেকে চাকরি হিসেবে দেখতে চান। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। নয়টা-পাঁচটা অফিসের চেয়ে ব্যাপারটা অনেক আলাদা। গ্রাজুয়েট ছাত্রদের ব্যক্তিগত জীবন সাধারণ চাকুরিদের থেকে সাধারণত আলাদা হবে। যদিও কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই, কিন্তু প্রয়োজন হলে সপ্তাহে ৭০ ঘন্টার বেশিও ল্যাবে কাজ করতে হতে পারে। প্রফেসরের মতিগতি অনুযায়ী কাজের প্রেসার নির্ভর করতে পারে। আপনার কাজ করার স্টাইলের সাথে তার ও ল্যাবের প্রটোকল না মিললে সমস্যা। অনেক সময় অফিসিয়ালি ছুটি থাকলেও সেটা নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। বেতন/স্কলারশীপের পরিমাণ এমন যা দিয়ে বাড়িভাড়া,খাওয়া-পড়া, জীবন চালিয়ে বছর শেষে বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার টাকা নাও জমতে পারে। বিশেষ করে যারা কিছুদিন চাকুরি করে তারপরে একাডেমিতে ফিরতে চান তাদের ক্ষেত্রে মানিয়ে নেয়া সহজ নাও হতে পারে। এতসব ব্যক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে, এত এত বিসর্জনের পর আপনি বছরের পর বছর ধরে পিএইচডি গবেষণায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন কিনা সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। গ্রাজুয়েট ড্রপ আউটের হার কিন্তু কম নয়। সুতরাং পিএইচডি ডিগ্রি আপনাকে চাকরির বাজারে দুই কদম এগিয়ে রাখলেও আপনি সেটা অর্জনে সত্যি সত্যি মটিভেটেড কিনা তা ভেবে দেখুন।
তবে কেউ যদি গবেষণা করতে ভালোবাসেন, তার জন্য পিএইচডি করার সিদ্ধান্তটি হতে পারে একটি চমৎকার বিনিয়োগ। অনেকে বলছেন যে এতে করে চাকরির বাজার সংকুচিত হয়ে যায়। অনেকাংশে সেটা ঠিক। তবে এটা ভুল ধারণা যে পিএইচডি করলে কেবল মাস্টারির চাকরিই করে খেতে হবে। দুনিয়াজুড়ে প্রচুর রিসার্চ ইন্সটিটিউট আছে যেখানে হরহামেশা পিএইচডিদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়। আমেরিকার ন্যাশনাল ল্যাবগুলি যেমন সান্ডিয়া, বার্কলে, এনইটিএল, লস আলামোস ইত্যাদি ল্যাবে শয়ে শয়ে পিএইচডি কাজ করে। তবে ইদানিং রিসেশনের পর নিয়োগ হয়তো কিছুটা কম। এই ল্যাবগুলির আরেকটা ব্যাপার, নাগরিকত্ব। সেক্ষেত্রে অনেক ইউনিভার্সিটি এফিলিয়েটেড ইন্সটিটিউট আছে যেখানে পিএইচডির সুযোগ আছে। এইসব ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের ইস্যুটা কম গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকাতে হয়তো পিএইচডি সারপ্লাস। তাই আমেরিকাতে থেকে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে সেটা আলাদা কথা। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে যে, এশিয়াতে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আসিয়ান ও চীন অঞ্চলে পিএইচডির কদর বাড়ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এদের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ উল্লেখ করার মত। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার এবং আরব আমিরাত, আসিয়ানের সিঙ্গাপুর, মালেয়শিয়া এবং তাইওয়ান - এইসমস্ত দেশে এখন প্রচুর পিএইচডিধারীরা এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে। এইসব দেশে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাড়াও বিদেশি অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শাখা খুলছে যেখানে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণারও সুযোগ আছে। আর এরা বেতন দিতেও তেমন কার্পন্য বোধ করে না কারণ তাদের শুরুর মটিভেশন থাকে ক্যাম্পাসকে প্রতিষ্ঠিত করা। আমি নিজেও সিঙ্গাপুরের ডিগ্রি নিয়ে নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটি এ্যট সিঙ্গাপুর এবং নটিংহাম উনিভার্সিটি এ্যট মালেয়শিয়া থেকে অফার পেয়েছিলাম।
এইসব মিলিয়ে পিএইচডিকে আমি এখনই মাস্টার্স কিংবা এমবিএ থেকে পিছিয়ে রাখতে রাজি না। তবে কেউ পিএইচডি করতে ইচ্ছুক হলে আমি বলবো -
ফারুক ভাই, আপনার সাথে আমি অনেকাংশেই একমত, কিন্তু আমার চিন্তাটা হল, যে হারে পিএইচডি ডিগ্রীধারীর সংখ্যা বাড়ছে, আজ থেকে ২০ বৎসর পর অবস্থাটা কি দাঁড়াবে? গবেষণা হয়ত থেমে থাকবে না, কিন্তু এটাও কি এমবিএ-ধারীদের মতন সংখ্যাধিক্যের কাছে গুণগততার মানের বিপর্যয়-এর মতন ঘটবে না তো?
এর পর ডক্টর ইকবালের আহ্বানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করেই বছরে এক হাজার পিএইচডি দেয়া শুরু হলে তো কথাই নেই। পিএইচডি তে সারা পৃথিবী সয়লাব হয়ে যাবে।
এই খানে একটু দ্বিমত করবো। দেশে মৌলিক গবেষণার জন্যে পিএইচডির বিকল্প নেই। পিএইচডি ধারীরা যেহেতু একাডেমিক চাকুরীই মূলত করবে সে ক্ষেত্রে পাবলিক/বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তো আছেই তাদের জন্যে। আমার বক্তব্য তাই তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে নয়, গবেষণার উপকারিতা নিয়ে। আমি বাহিরে যে পিএইচডি করছি সেটা তাদের দেশের প্রেক্ষাপটে করছি। তাই গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলে যারা ফান্ড দিচ্ছে তারাই উপকৃত হবে। সেই সাথে আমার মত বাহিরে পিএইচডি করা মানুষ খুব কমই ফিরে যায়। কিন্তু দেশেই যদি গবেষণা করা হয়, এর অর্ধেকও যদি দেশে থাকে তবে দেশের শিক্ষার মান বাড়বে। সেই সাথে গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলে দেশেরই লাভ হবে। জাফর ইকবালের লেখায় বেশ কিছু ভালো প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। প্রধানটি হচ্ছে বৃত্তি। এমন কি বিদেশেও বৃত্তি না দিলে একজনও পিএইচডি করতো না। বৃত্তি কম হোক, কিন্তু চার/ছয় বছর শুধু ডিগ্রী পাওয়ার লোভে কেউ গবেষণা করবে না। গবেষণাকে একটি কাজ হিসেবে দেখে সেভাবে বৃত্তি ব্যবস্থা করতে হবে। পিএইচডি ধারী হয়তো বেশি দরকার নেই, কিন্তু গবেষণার অন্ত নেই। আর পিএইচডি লেভেলে যে গবেষণা হয় সেটা একটি বা তিনটি মাস্টার্স দিয়েও হয় না।
ডঃ ইকবালের লেখাটা অনেক আবেগ দিয়ে লেখা। তাই পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু অল্প কয়েকটি বিষয় গ্রহণযোগ্য হলেও অধিকাংশই ফ্যাকচুয়ালি ভুল এবং সঠিক এপ্রোচ নয়। এই লেখাটি প্রথম পাতা থেকে সরে গেলে এবং সময় পেলে এই লেখাটির একটি সমালোচনা লিখবো।
একমত। সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা দিন দিন বোঝা হয়ে যাচ্ছে। হতাস হয়ে যাচ্ছে অনেকেই।
মাহবুব ভাই মনে হয় ডক্টর ইকবালের লেখাটার মানে বুঝতে পারেন নাই অথবা ভালো করে চিন্তা করেন নাই। যাই হোক, ডক্টর ইকবালের লেখাটার মূল এবং মোদ্দা উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের লেখাপড়ার মান বাড়ানো, জ্ঞান সৃষ্টি করা।
আজকে আমেরিকা এত উন্নত, (আপনাদের মত মেধাবীদের স্বপ্নের দেশ) তার মূল কারণ কিন্তু এইটাই যে আমেরিকা জ্ঞান সৃষ্টি করার দিকে পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশের থেকে কয়েক গুন এগিয়ে। আজকে বাংলাদেশ যদি এখনো ঐ পথ ধরতে না পারে, তাহলে আর কোন দিন পারবে বলে আমার মনে হয় না।
কোন বড় কোম্পানি অন্য কোন দেশে নিজেদের অফশোর খুলতে চাইলে প্রথমেই খোজ নেয়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন রিসার্চ হয়, ছাত্ররদের চিন্তা ভাবনা কেমন উদ্ভাবনী, তারপর অন্য কিছু। জর্ডানের মত মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে সরকার বিশাল অংকের টাকা বৃত্তি দিয়ে পিএইচডি করাচ্ছে।
আমি নিজে দুইটা আইটি কম্পানির কথা জানি, যারা কোটি টাকার প্রজেক্ট (আমেরিকান) পায় নাই শুধু উচু ডিগ্রীধারী এনালিস্ট, ইন্জিনিয়ারের অভাবে। তাদের মূল আপত্তি ছিল, "তোমাদের এনালাইসিস/মডেলিং করার মত যোগ্য লোক নাই"। হ্যা, এটাই আমার পয়েন্ট, এনালাইসিস করার ক্ষমতা অর্জনের জন্য পিএইচডি'র দরকার আছে। একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারীর এনালাইসিস করার ক্ষমতা অন্যদের থেকে কয়েকগুন বেশি।
আমি খুব ভাল লিখতে পারিনা, আপনাকে শুধু ডক্টর ইকবালের লেখার মূল দিকটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য মন্তব্য করলাম।
কি কারনে মনে হোলো যে আমি লেখাটার মানে বুঝতে পারি নাই বা ভালো করে চিন্তা করি নাই?
তার মানে কি আপনি বলতে চাইছেন যে দেশে আগে কর্ম সংস্থান হোক, তারপর পিএইচডি ডিগ্রী দেয়া শুরু করবে? বড় বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে এই আশায় যে, "আমি এখন বিনিয়োগ করি, চার/পাচ বছর (আরও বেশিও হতে পারে) পর তো পিএইচডি ডিগ্রীধারী (মূল কথায় যোগ্য) লোক পাবো আমার কম্পানির জন্য"
এখানে এই অফটপিক বিষয় নিয়ে আলোচনা দূরে সরানোর মানে নেই। মানছি যে বিষয়টি আমিই বিষয়টির সুত্রপাত করেছি। কিন্তু মন্তব্যের উপর ঝড় তুলে লাভ নেই। আমি একটা আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করি, তারপর আলোচনা করা যাবে। ধন্যবাদ।
কোথায় পেলেন যে আমার স্বপ্নের দেশ আমেরিকা?
আপনি কোথাও লিখেন নাই, আমি কোন বই বা জার্নাল থেকেও পড়ি নাই। তবে আপনার মন্তব্যের এই লাইনটা পড়েই আমার মনে হইল:
আর বর্তমানে যে ধারা দেখা যাচ্ছে, বুয়েটের পোলাপাইন (Maximum) ৩য় বর্ষ থেকেই জিআরই দেয়া শুরু করে, তাদের মূল লক্ষ্যই থাকে যেমন করেই হোক (নিজের যোগ্যতায় হোক বা প্রফেসরের পায়ে ধরেই হোক কিংবা নিজের পকেটের টাকা দিয়েই হোক) আমেরিকা আমাকে যাইতেই হবে।
ভাই এইসব (Maximum) দেখেই মনে হয় এর স্বপ্নের দেশ আমেরিকা।
প্রথমে এসে দাবী করলেন আমি ডঃ ইকবালের লেখা বুঝি নাই কিন্তু আপনি বুঝেছেন। তারপর বললেন যে আমার কাছে আমেরিকা নাকি স্বপ্নের দেশ। এখন সেটা দেখাতে না পেরে একটা মন্তব্য তুলে এনেছেন যেখানে "আমেরিকা ভালো" কিংবা "স্বপ্ন" শব্দগুলোর কোনোটাই নাই। তার উপর বুয়েটের "পোলাপাইন" দের এক হাত দেখে নিলেন। যদিও 'এদের কান্ডকারখানা' দেখে আমেরিকাকে 'আপনার' কাছে স্বপ্নের দেশ মনে হওয়ার সাথে আমার কি সর্ম্পক বুঝলাম না।
আপনার এই মন্তব্যগুলোর মতো মন্তব্য পড়লে মুখটা তিতা হয়ে যায়। তথ্য বিলিয়ে আর মানুষের উপকার করতে মন চায় না।
প্রথমেই আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি, আপনাকে ব্যথিত করার জন্য।
আসলে, আপনার এই পোষ্টটা পড়ে আমার যা বুঝেছি, তা হল, আপনি ভাল "চাকরির জন্য মাস্টার্স/এমবিএ করা ভাল না পিএইচডি করা ভাল, কোনটা করলে কত বেশি ফায়দা, কোনটা বাজার দর বেশি" ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন, এবং আপনার প্রেক্ষাপট পুরোটাই (না হলে অধিকাংশ তো বটেই) আমেরিকার।
রাগিব ভাইয়ের ব্লগটাও আমেরিকার প্রেক্ষাপটেই লিখা।
যাই হোক, আপনি
এই মন্তব্যের উত্তরে লিখেছেন:
আপনি কেন একবার চিন্তা করেন নাই, ডক্টর ইকবালের লিখাটা পুরোটাই বাংলাদেশ কে কেন্দ্র করে লিখা। আমি মেনে নিলাম, আমেরিকাতে পিএইচডি ডিগ্রীধারীর অভাব নাই, কিন্তু বাংলাদেশে আছে, আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। আমি আপনাকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলতে পারব, যেখানে একটা নামকরা বিভাগে মাত্র একজন পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষক আছে। ছাত্ররা কোথাও এপ্লাই করার জন্য ৩টা রিকমেন্ডশন লেটার মেনেজ করতে পারে না। এইরকম, আমার না জানা আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেখানে কোন কোন বিভাগে কোন পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষকই নাই।
এটা গেল বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্র, শিল্প ক্ষেত্রে আসুন, কয়জন পাবেন?
তার মানে কি কোন বাংলাদেশীর পিএইচডি করার সামর্থ্য নাই? আছে, এবং অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশীরা মেধার দিক থেকে কম না। এবং এটাও সত্য যে পুরো পৃথিবী জুরেই বাঙালি মেধাবী ছাত্ররা নিজেদের প্রতিভার প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
ডক্টর ইকবালের লেখা থেকে আমি যা বুঝেছি, যেহেতু বাংলাদেশীদের মেধা অন্য কারো থেকে কোন অংশে কম না (কোন কোন ক্ষেত্রে বেশিই আছে), কেন আমরা নিজেরাই এমন সিস্টেমের কথা চিন্তা করব না? যেখানে আমেরিকা, কানাডা বিগত কয়েক দশক (বা তারও বেশি সময়) ধরে শিক্ষাকে পণ্য করে বিশ্বের অন্যান্য দেশে চালান করছে, আমরা কেন সেই পদক্ষেপের কথা চিন্তা করব না।
এটা ভাই আমি স্বীকার করি যে, আবেগের বশেই আমি এমন অপ্রাঙ্গিক মন্তব্য করেছি। কিন্তু কি করব ভাই, যখনই দেখি যে পোলাপাইন (বিশেষ করে বুয়েটের) শুধু আমেরিকার পিছনে ছোটে, তাদের কাছে আমেরিকাকেই তাদের গন্তব্য মনে হয়, তখন আসলেই তাদের জন্য করুণা হয়, সাথে খারাপ ও লাগে এই ভেবে যে দেশে একটা সম্পদ, মেধা অন্য দেশের হয়ে গেল।
এর পর বলতে পারেন যে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো চলে জনগণের টাকায়, সে জনগণের অংশ হিসাবে তাদের পড়াশুনার খরচের একটা কিয়দ অংশ হলেও আমার থেকে যায় (যেহেতু আমি নিয়মিত ট্যাক্স পরিশোধ করি)। জনগণের টাকায় তারা তাদের ভিত্তি গড়ে তুলে, পরে সেই জনগনকেই কাচকলে দেখিয়ে আমেরিকা পাড়ি জমায়। আমার প্রশ্ন, এই জনগণের প্রতি কি তাদের কোন কর্তব্য নাই, কোন প্রতিদান নাই?
আমি যখন দেখি যে আমার এবং আমাদের টাকায় পড়াশুনা করে পোলাপাইন আমেরিকা গিয়া বগল বাজায় এবং আমাদেরকে বিভিন্ন উপদেশ দেয়, আমাদের ইন্টানেটের স্লো কানেকশান নিয়ে ঠাট্টা করে, আমরা মশার কামড় খাই, তারা স্ট্রবেরি খায় ইত্যাদি ইত্যাদি বলে, আসলে নিজেকে খুবই বেকুব মনে হয়।
যাই হোক ভাই, সে আরও অনেক ক্যাচাল, বাদ দেন (লিখতে গেলে রাত পার হয়ে যাবে)। ভালো থাকেন।
ধুর! চরম বিরক্ত হলাম।
বুঝে শুনে স্বীকার করে আবেগতাড়িত হয়ে আরো আবেগপূর্ণ কতগুলো রাবিশ কমেন্ট করলেন দেখে আমিও প্রচণ্ড বিরক্ত হলাম..
তাদের মাস্টার্স পিএইচডি যে দেশে করতে বলছেন? রিসার্চের ফান্ডিং আসবে কোথা থেকে? ল্যাব বানাবে কে? ইন্স্ট্রাক্টর হবে কারা? কতজন ছাত্রকে সেই সুযোগ দেওয়া যাবে? খালি মাসে ১৫ হাজার টাকা দিলেই তো হবে না, এগুলাও করতে হবে.. আমাদের আন্ডারগ্যাড লাবে একটা ভেক্টর নেটওয়ার্ক অ্যানালাইজার ছিলো, যেটার পুরাতন মেশিনের দাম ৬০ হাজার ডলার.. থ্রিডি প্রিন্টারের মতন জিনিসগুলার কথা না হয় নাই বললাম.. মেকানিকালের অনেক মেশিনের দামই অনেক বেশি (৫/৬ লাখ ডলার খুব সহজেই খরচ করা যায় একটা ল্যাব সাজাতে) আমাদের দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক ছাত্রের জন্য একটা করে কম্পিউটারও বরাদ্দ করা যাবে না.. না গেলে এইসব "করুণা" দেখানোর কোনো মানে নাই.. দেশে আমি না খেয়ে মরলেও আপনি এই "করুণা"টুকুও দেখাইতেন না..
প্রচণ্ড আবেগপূর্ণ হলেও এইটা কোনো যুক্তি হয় নাই.. কেনো হয় নাই দেখেন ..
আমি দেশে থাকতে পড়াশোনা করেছি আমেরিকান মিশনারীদের স্কুলে.. আমার আন্ডারগ্র্যাড আমেরিকা থেকে, যার টাকা অনেকটাই এসেছে আমেরিকান কর প্রদানকারীদের পকেট থেকে (স্কলারশিপ).. বুয়েট থেকেও যারা আসে, আপনার কথা মতন মাস্টার্স, পি.এইচ.ডি যারা করবে, তাদের যে ফান্ডিং থাকলে সেই টাকা কার পকেট থেকে আসছে? আপনার পকেট থেকে অবশ্যই নয়.. মার্কিন দেশে আসলে, সরকার ফান্ডেড প্রযেক্ট হলে আমেরিকানদের ট্যাক্স থেকেই আসছে.. তাইলে আপনার "যুক্তি" অনুসরণ করলে কি দাঁড়াচ্ছে?
আজাইরাই কতগুলান অফটপিক করলেন... সেই সাথে আমিও করলাম বিরক্তি দমন না করতে পেরে..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে পার্থক্য কিন্তু এই আবেগটাই। অন্যের আবেগকে সম্মান দেখানো উচিৎ, নয়তো আপনিও সম্মান আশা করতে পারেন না।
ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, এইখানে কোন প্রাইভেট, বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয় নাই। বলা হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কথা।
চামে পাইয়া রুহুল আমিন'কে এক হাত দেখে নিলেন, তাই না?
আপনার ব্যাচেলরস না বাইরে থেকে করা, আপনি এইগুলো কই থেকে বললেন? বুয়েটের ল্যাবগুলো কখনো দেখেছেন নিজের চোখে?
না জেনে হুদাই ফালতু লাফা-লাফি না করলে হয় না?
আমেরিকাতে না খাইয়া থাকলে ওবামা আইসা কি খাওয়া দিয়া যায় নাকি?
অন্য কারো আবেগ ভালো না লাগলে সিম্পলি এড়িয়ে চলুন, হুদাই কেন প্যাচ প্যাচ করেন?
দেখিনাই.. বন্ধুবান্ধব পড়েছে ও পড়ছে.. তাদের কাছে শোনা কথা..
হা হা.. ইন ফ্যাক্ট যায়... ফুড স্ট্যাম্প বলে একটা জিনিস আছে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এক্ষেত্রে দোষটা শুধু ছাত্রদের কেন? এই দেশে রাজনৈতিক আর আর্থ-সামাজিক যে অবস্থা তাতে কি আপনার মনে হয় একজন ছাত্রের পক্ষে এখানে ঠিকভাবে ঠাণ্ডামাথায় phd করা সম্ভব?পাওয়ার পলিটিক্সএর চিপায় পড়ে কটা quality phd বের হওয়া সম্ভব? আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলায় কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ থাকে? বুয়েটই research facility-র যে অবস্থা তাতে বাকিগুলার কি অবস্থা তা সহজে বঝা যায়।আপনার কি ধারনা একজন ছাত্র USA-তে প্রতি মাসে $2000 ফান্ড রেখে দেশে তাকে $200 ফান্ড accept করবে? আর বাইরে phd করতে জাওয়া শুধু টাকার জন্য নয়, সেখানের research facility অন্যতম কারন। পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা জনগনের টাকায় পড়ে কিন্তু তার মানে এই না যে তারা বাইরে phd করতে যেতে পারবে না। তারা যদি বাইরে phd করে দেশে ফিরে আসে তাহলে সমস্যা কিসের? কিন্তু দেশের কটা কম্পানি phd holder-দের চাকরী দিতে পারবে যেখানে একজন ফ্রেশ Bsc ইঞ্জিনিয়ারকে জব শুরু করতে হয় ১০০০০-১২০০০ টাকায় (কিছু বাতিক্রম অবশ্য আছে) ? তাই শুধু পোলাপাইনের (বিশেষ করে বুয়েটের) মুণ্ডু না ভেঙ্গে দেশে কি সুযোগ আছে সেটা একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেন।
-নামুস
মুর্শেদ, আমি বাংলাদেশ সিস্টেম, জার্মান সিস্টেম আর অস্ট্রেলিয়ান সিস্টেমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়িয়েছি। এই অভিজ্ঞতা থেকে দুই পয়সা দেই।
যেকোন পলিসি লেভেলের আলোচনায় দুইটা কার্যপদ্ধতি আছে। একটা প্রোএ্যাকটিভ, আরেকটা রিএ্যাকটিভ। আবার ধরেন বেশীরভাগ দেশে দুইটা প্রধান উচ্চ শিক্ষার পদ্ধতি আছে। যেমন, ইউএসএতে ইউনিভার্সিটি - কমিউনিটি কলেজ, জার্মানিতে ইউনিভার্সিটি - হখোশুলে, অস্ট্রেলিয়াতে ইউনিভার্সিটি - টেফ ইত্যাদি। এদের মধ্যে ইউনিভার্সিটিগুলো প্রোএ্যাকটিভ দর্শনে চলে। অন্যভাগটা চলে মার্কেট বুঝে, অর্থাত রিএ্যাকটিভ দর্শনে।
ইউনিভার্সিটিগুলোতে উপরের লেভেলের কোর্সগুলোতে কতটুকু জানতে হবে এর কোন লিমিট থাকে না বা থাকলেও লিমিটটা ঐসময় পর্যন্ত ঐ ফিল্ডে যা নলেজবেইজ আছে সেটা এবং এর বাইরে কী সম্ভাবনা থাকে সেটাও অন্তর্ভুক্ত। এইজন্য অনেক কোর্স মাস্টার্স লেভেলে টেক্সট বুক বেইজড না হয়ে জার্নাল পেপার বা প্রোফেসরের লেখা বুকলেটবেইজড হয়। অন্যদিকে কলেজগুলোতে ধরাবাঁধা টেক্সট বই ভিত্তিক পড়ালেখা। ওখানে ছাত্ররা পারে না বলে কোর্স কন্টেন্টও চেঞ্জ হয়।
জাফর ইকবাল ইউনিভার্সিটির কথা যেহেতু বলছেন সেহেতু উনি প্রোএ্যাকটিভ ধারণা অনুযায়ী কথা বলেছেন। ইউভার্সিটির পলিসি নির্ণয়ে এটাই প্রচলিত পদ্ধতি। বাজার দেখে গবেষণা না, আগে গবেষণা তারপর বাজারের দায়িত্ব সেটা ইউনিভার্সিটি থেকে নেবার। ইউনিভার্সিটি রিএ্যাকটিভ ধারণায় চললে মানব সভ্যতা এতোদুর আগাতো না। ইউনিভার্সিটি হলো জ্ঞান চর্চার জায়গা, জ্ঞানকে এগিয়ে নেবার জায়গা। মার্কেটে বেচা যাবে কি যাবে না এটা ইউনিভার্সিটির ধ্যানজ্ঞান না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চমৎকার এই ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। পার্ফেক্ট দুটো কার্যপদ্ধতিকে আইডেন্টিফাই করার জন্য এধরনের ডেফিনিশনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাস্তব এতো পার্ফেক্ট দুটো পোলার পদ্ধতি মেনে চলে না। যে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ডঃ ইকবাল বলেছেন সেখানো তো নয়ই বরং আমেরিকার বেশীরভাগ বিদ্যালয়ে রিসার্চ হয় ফান্ডিংয়ের উপর ভিত্তি করে। একটা সংস্থা তাদের প্রয়োজনে ফান্ডিং দেন যে প্রফেসর সেই গবেষনার জন্য প্রপোজাল দিলে সেটা অ্যাপ্রুভ বা ডিসপ্রুভ হলে তারা হয় ফান্ডিং পান বা পান না। সাদাচোখে এটা একটা রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেম। অর্থাৎ আপনার কনজেগচার অনুযায়ী জ্ঞান চর্চার জন্য ভালো পদ্ধতি নয়। কিন্তু অবজারভেশন বলে যে আমেরিকায় এই পদ্ধতিতে ভালো জ্ঞান চর্চা হচ্ছে। এবং আমার ধারণা পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পদ্ধতি চালু আছে। তাহলে ঘটনা কি?
আপনার প্রোএক্টিভ সিস্টেম আর রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেমের ধারনাটাকে এভাবে প্রকাশ করি। ধরি একটা মধুর ভান্ড আছে আর সেই মধুর ভান্ড থেকে মধু খেতে মৌমাছিদের ভিড় হয়। এটা হোলো মধুর ভান্ড রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেমের টানে মৌমাছি নামক গবেষকদের ভিড়। এখন যদি মধুর ভান্ডের মালিক বলে মধু পেতে তোমাদের কোমর দুলানী ড্যান্স দিতে হবে, তাহলে যারা কোমর দুলানী নাচ দিতে পারে তারাই শুধু মধু পাবে। এবং যাদের অন্যান্য ক্ষমতা আছে তারা কিছু পাবে না। এটা সাসটেইনেবল সিস্টেম না।
আচ্ছা এখন যদি একাধিক মধু ভান্ড থাকে এবং এককজনের রিকোয়ামেন্ট একেকরকম থাকে - যেমন একজন কোমর দুলানী, একজন মাথা ঝাকানী নৃত্য দেখতে চায়। তাহলে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী মৌমাছিরা বিভিন্ন মধুর ভান্ডে যাবে। এক্ষেত্রে প্রোঅ্যাক্টিভলি মৌমাছিরা নিজেদের পারদর্শীতার বিষয়ে নতুন কিছু করলে তারা অন্যদের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে। তাই পুরো প্রসেসটা বৃহত্তরভাবে রিঅ্যাক্টিভ হলেও, রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেমের ভ্যারিয়েশনের কারনে আলাদাভাবে প্রতিটি মৌমাছির জন্য প্রোঅ্যাক্টিভ।
এটা সাসটেইনবলও। প্রোঅ্যাক্টিভ গবেষক যখন রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেমের সাহায্যে কিছু করেন তখন তার ভবিষ্যতে একই সিস্টেম থেকে আরো কিছু পাবার আশা থাকে। উপরন্তু এই গবেষক অনেক সময়ে নিজেই নতুন রিঅ্যাক্টিভ সিস্টেমের জন্ম দিতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে নতুন ধারা।
তাই "রবীন্দ্র-সাহিত্যের ওপর কয়েক ডজন পিএইচডি", "বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমেরওপর কয়েকটি পিএইচডি" সাজেস্ট করার আগে এই হাজার খানেক পিএইচডির ভবিষ্যত কি, পুরো প্রক্রিয়াটি সাসটেইনেবল কিনা এগুলো ভাবা জরুরী। নইলে এই পিএইচডি গুলো "আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি স্কুলের সত্যিকারের শিক্ষক হতে পারবে"। এর বেশী কিছু নয়।
নুভান, পিএইচডির সংখ্যাধিক্য একটা সমস্যা বটে। এই নিয়ে ইদানিং বেশ হাউকাউ হচ্ছে। এইজন্য আমি আবারো বলবো কেউ যদি পিএইচডি করতে চায় তাহলে ফিল্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বার্নিং ইস্যুতে কাজ করলে এগিয়ে থাকা যাবে অন্যদের চেয়ে।
তবে সংখ্যার আধিক্যের কারণে গুণগত মান কমার কথা নয়। পিএইচডি থিসিস একটি পিয়ার রিভিউড প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে বাধ্য। নূন্যতম মান অর্জন না করলে, নতুন কোনো জ্ঞান না সৃষ্টি করলে পিএইচডি দেয়া হয় না।
লিঙ্কটা বেশ মজার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি অনেক গুলা লেখা পরলাম। ভাইয়ারা অনেক জররি জিনিশ পত্র লিখ্সেন। রাগিব ভাইয়া সম্পরকে আগে থেকেই জানি। আপ্নাদের লেখা পরে একি সাথে আশা আর হতাশা অনুভব করতেসি। হতাশার পরিমান তা অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তব হতাশার হলে ত আর কিসু করার থাকে না। আমি EEE তে বাচেলর করেসি ২০০৭ এ। এর পর ৩ বসর ধরে চাকুরি করতেসি। আমার চাকুরি তা আমার subject এর না। অনেকতাই finance related. ভাইয়ারা আমাকে যদি এক্তা পরামরস দিতেন তাহলে আমার অনেক উপকার হত।
আর তা হল এবসর আমি USA এর ২ তা university তে admission পেয়েসি MS এ । কনতি তেই ফান্দিনং পাই নাই। এক তা উনিভেরসিত্য় তে এক BUET এর বড় ভাই আসে যিনি আমাকে বল্সেন জে অই তা তে TA ship পায়া জাবে যে তা দিয়ে আমার tuition fee দেয়া জাবে কিন্তু য়ার কিসু পায়া জাবে না। আর অই town এ job পাবার শম্ভাবনা কম। আর এক্তা university তে বল্সে জে প্রথম সেমেস্তের এর পর assistantship পায়া যেতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত করে কিসু বলে নাই। 2nd university এর departmental head বানং্লাদেশি। আমি অনার সাথে যগাযগ করসিলাম কিন্তু উনি ক্লেয়ার করে তেমন কিসু বলেন নাই। আমি এখন confusion এ আসি। কারন এত গুল টাকা দিয়ে পরা আমার জন্ন আশম্ভব। আপ্ নারা কেউ যদি আমাকে এক্তু পরা মরশ দিতেন তাহলে আমার অনেক বর উপকার হত। যেই university এর departmental head বানং্লাদেশি সেই university এর নাম " University of South Alabama". কেউ যদি এই university এর কন বানং্লাদেশি student এর email address দিতেন তাহলেও আমার অনেক উপকার হত।
জানি আমি বিশয় এর বাইরে কথা লিখ্লাম। কিন্তু এর আগে আমি এমন Experienced বড় ভাইদের পাই নাই। এজন্ন আমি তেমন ভাল পরামরশ করার মত কাউকে পাই নাই। ভাইয়ারা মাফ করে দিয়েন।
ওখানকার কাউকে খুঁজে বের করে যোগাযোগ করুন। প্রফেসর কাছে কনটাক্ট চাইতে পারেন।
ভাইয়েরা, এতো পড়েতো ধান্ধায় পড়ে গেলাম! আমাতো পিএইচডি করার খুব ইচ্ছে . . .
দুঃখিত। কিন্তু অন্ধের মতো ডিসিশান নেবার চেয়ে কনফউজড কিন্তু ইনফর্মড হয়ে আগানো খানিকটা বেটার মনে হয়।
কিন্তু কেনো? পিএইচডি করে তারপর কি করবেন? আল্টিমেট লক্ষ্য কি?
চাকুরী নাই, পিএইচডির পর। মানলাম। তারপরও পিএইচডি করতে চাই।
শুধু ক্যারিয়ার আর টাকাপয়সার হিসাব না কষে রিসার্চের প্রতি ভালবাসা থেকে কি পিএইচডি করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি শুধু জ্ঞান বিতরন, জ্ঞান সৃষ্টি না? এই বোধটা থেকেও অন্তত গবেষণাটা কি করা যায় না? আর চাকুরী করেই কতই আর টাকা কামাবেন? যত বড় চাকুরীই করেন না ক্যান আমাদের এলাকার সদু মেম্বার ( যার তিনটা ইটের ভাটা আর হাটে চামড়ার ব্যবসা আছে) এর মত টাকা জীবনে কামাতে পারবেন না। জীবনে টাকা বা ক্যারিয়ারই সব না। আপনি যে ডোমেইনে পড়ছেন সেই কমিউনিটিতে কিছু আপনাকে দিতেই হবে পাওয়ার আশা বাদ রেখে। না হলে আমরা আবার মানুষ হলাম কিভাবে?
অবশ্যই। পিএইচডি করার কারন হিসেবে এটাই মুখ্য থাকা উচিৎ।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী পাবেন কি পিএইচডির পর? জ্ঞান সৃষ্টি করতেও আপনার একটা প্লাটফরম লাগবে, একটা ইনস্টিউশনাল অবস্থান লাগবে। অর্থাৎ একটা ক্যারিয়ার/চাকুরী লাগবে। সেটাই যদি না পান তাহলে কিভাবে জ্ঞান সৃষ্টি করবেন?
মডারেসন এর ব্যাপার জানা ছিলো কিন্তু অনেক বেশি সময় লাগছিলো আর ব্রাউজার হ্যাং হয়ে যাচ্ছিলো তাই বুঝতে না পেরে কয়েকবার পোস্ট করেছি, দুঃখিত। আর হ্যা রাগিব ভাই, এটা ঠিক যে মাস্টার্স করে চাকরি তে ঢুকলে ৩-৪ বছরে যেই পজিসন/স্যালারি তে পৌছায়, সরাসরি পি এইচ ডি করে ঢুকলে সেটা অনেক ক্ষেত্রেই ওই মাস্টার্স ডিগ্রিধারী'র সমান হয় না, অনেক সময় আরো কমই হয় এইটায় আমি একমত। আরেকটা ব্যাপার হলো, প্রফেসর রা 'লং-টার্ম কমিটমেন্ট' আছে এরকম স্টুডেন্ট প্রেফার করেন, এইটাও একটা অন্যতম কারন ভুরি ভুরি পি এইচ ডি বের হবার। এসব ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট দের অনেক সময় খুব বেশি চুজ করার সুযোগ থাকে না। ব্যাপারটা অনেকটা ওই প্রবাদ এর মতন 'beggers must not be choosers.'
আমি যন্ত্রকৌশল ৪-১ এ পড়ছি। আগামি টার্মে GRE দিব ভাবছি। দেখা যাক কি আছে কপালে ।তবে একাডেমিক সেক্টরে থাকতে চাই।এখন আমার কী করে উচিত। পরামর্শ দেন।
এটা পরামর্শ পোস্ট নয়, আলোচনা পোস্ট।
এখানে মন্তব্য দেয়া বেশিরভাগ মানুষই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের দেখা যাচ্ছে।আমি পুরোপুরি বানিজ্য শাখার - অর্থায়নে ঢাবি থেকে।একাডেমিক ক্যারিয়ারে যাওয়া নিয়ে পরিবারের শখ ছিলো/আছে। যদিও আমার কর্পোরেট এ টান বেশি।যেকারণে 'ডক্টোরেট' এর জন্যে একসময় লালায়িত থাকলেও এখন সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছি।
ভবিষ্যতে 'ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিনান্সিয়াল সেক্টর/মার্কেট ডেভেলমেন্ট' ফিল্ডে কাজ করার ইচ্ছা...... বর্তমানে একটা ডিগ্রির পিছু নিয়েছি- [http://cfainstitute.org/]। আমি আমার এক বন্ধুর কথা টেনে আনবো এই প্রসঙ্গে। দেশের বাইরে তড়িৎকৌশলে আন্ডারগ্র্যাড শেষ করে ও নিজেও আমার সমসাময়ীক এই চার্টারশিপের পিছু নিয়েছে।ওর ক্যারিয়ারে একটা অন্যরকম ডাইমেনশন নিয়ে এসেছে-এখন মেরিল লিঞ্চ এ আছে ।
আমার ক্ষেত্রে আরো অনেকগুলি ডিগ্রি অপশন আছে চোখের সামনে- প্রত্যেকটাই খুব রিগোরাস (এফআরএম এর কথা বলা যায় এপ্রসঙ্গে) ...এসব ডিগ্রীতে আবার পাশাপাশি রিলেভেন্ট ফিল্ডে চাকরির অভিজ্ঞতা ডিগ্রীর খাতিরেই জরুরী। একটা নর্থ এমেরিকান এমবিএর স্বপ্ন দেখছি ইদানিং(যদিও আমি জানি দেশে এই ডিগ্রি খুব একটা ভ্যালূ এড করবে না দেশি বাজারে, তবু স্বপ্নের দাম লাখটাকা )...... তাই মাঝে মাঝেই মনে হয় কেন বয়স পঁচিশ হয়ে গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকাতে গিয়েই!
তবে ওয়ার্ক - লাইফ ব্যালেন্স একবারেই থাকছে না চাকরির পাশাপাশি এসবের পিছু ছুটতে। বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকাপ , আর পারিবারিক পরিমন্ডলে অসামাজিক খেতাব এবং নিয়মিত অভাব-অভিযোগের স্বীকার। আর এরজন্য খুব সরাসরি মুখের উপর চাকরি-পড়াশোনা দুটোকে সমানতালে চালানোকে দোষারোপ করার গ্লানি বইতে হচ্ছে।
আমার ফিল্ডগুলো হলো ফিন্যান্স, ব্যাংকিং, ম্যাথমেটিক্স, ফিন্যান্সিয়াল ম্যাথমেটিক্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স।
প্রথমে ফিন্যান্স আর ব্যাংকিং। এসব জায়গায় দুই ধরণের কাজ হয়। একটা কোয়ান্টিটেটিভ, আরেক তেমন কোয়ান্টিটেটিভ নয়। প্রথমটার ক্ষেত্রে কাজের ক্ষেত্র হলো ডেরিভেটিভ মার্কেট, বিভিন্ন ধরণের ফান্ড ক্যালিব্রেশন, রিস্ক এ্যানালাইসিস এগুলো। কোয়ান্টিটেটিভ ফিল্ডে কাজ করতে গেলে পিএইচডি একটা আলাদা ভ্যালু যোগ করে। এই বিষয়ে কাজও আছে অনেক। তবে সমস্যা হলো ম্যাথ বা ফিজিক্স ব্যাকগ্রাউন্ডের হতে হয়। থিসিসে ভালো কাজ দেখাতে পারলে সবচে ভালো বেতনের চাকরিটা এই কোয়ান্টদের হাতেই। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ডক্টরেটের কোন দাম তেমন নেই। উল্টো প্রোফেশনাল ডিগ্রি কাজে লাগতে পারে।
ম্যাথমেটিক্সে সবসময় লোক কম থাকে। পিএইচডি করলে এ্যাকাডেমিয়াতে ঢোকা সহজ। আবার ম্যাথের সাথে ফিন্যান্সিয়াল ম্যাথ প্রোফাইলে যোগ করতে পারলে সোনায় সোহাগা।
পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি করা মানে বেতন সাথে সাথে একধাপে উপরে ওঠা। কিছু গবেষণা, কনসাল্টেন্সি কাজে ডক্টরেট না থাকলে কোন দাম নাই। কোয়ান্টিটেটিভ স্কিল ভালো থাকলে, নিয়মিত লেখালেখির অভ্যাস থাকলে একাডেমিক ক্যারিয়ারও অপেক্ষাকৃত সোজা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এখানে আমার যোগ করার বিষয় সামান্য। এই পোস্টটা অনেকটাই প্রকৌশলীদের বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে। একটা কথা সেখানে শুরুতেই পরিস্কার থাকে যে গবেষণা করতে চায় তার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার দরকার নাই। পিএইচডি ওয়ালা প্রকৌশলীদের কর্মক্ষেত্র বরাবরই ছোট। তবে কলা বা সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পিএইচডি জরুরি। বিশেষত সমাজবিজ্ঞানে। আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি।
অজ্ঞাতবাস
লেখা পড়ে অনেক কিছুই জানলাম এজন্য ভালো লাগছে কিন্তু কথা হচ্ছে আমি social science backgrounder ছাত্র ভবিষ্যৎতে এই লাইনে থাকার ইচ্ছা আছে জানি আপনারা সব science backgrounder তারপেরও যেহেতু আপনারা অনেকেই বিদেশে ভালো ভার্সটিতে পড়াশুনা করছেন একারনে এই লাইণে কীভাবে অগ্রসর হলে ভালো করা যাবে সেই বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করলে আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবে।
লেখাটা আর কমেন্টগুলো মন দিয়েই ফলো করছিলাম, তারপর খেয়াল হল যে এখানে মন্তব্য করা হয় নি। মুর্শেদ ভাই ও সবাইকেই আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
আমাকে সম্প্রতি কোনো বড় ডিলেমায় পড়তে হয় নি। তবে প্রথমদিকে দুটো বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। দেশে সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, তাই উচ্চমাধ্যমিকে ফোর্থ সাবজেক্ট বায়োলজি নেয় যাতে দুটো পথই খোলা থাকে। আমি বায়োলজির বিশাল সিলেবাস আর মুখস্তর পরিমাণ দেখে স্থির করি, বায়োলজি নেবোই না, স্ট্যাট নেব। অঙ্ক ভালোও লাগত। নিজে হাতেই একটা আস্ত পথ বন্ধ করে দিই, কারণ জানতাম ওই রাস্তায় আমি আদৌ যেতে চাই না।
দুবছর পরে যখন আই.আই.টি.তে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার সুযোগ এল, তখনও সেটা ছেড়ে স্ট্যাট নিয়েই পড়ি। স্ট্যাটকেই প্রধান লাইন বানানোর ইচ্ছা কিন্তু যখন বিষয়টা নিয়ে ছিলাম তখন ছিল না, এটা যে করা যায় তাই জানতাম না। ইঞ্জিনিয়ারের প্রথাগত জীবন আমার আকর্ষক মনে হয় নি। তাছাড়া সেই সময়েই আমি মোটামুটি স্থির করেছিলাম, অ্যাকাডেমিক লাইনেই থাকব।
আমাদের যেহেতু তিন বছর ব্যাচেলরস, তাই আমেরিকার হিসাবমত চার বছরের ট্রেনিং পেতে আমরা দুবছরের মাস্টার্সও করে নি। তাতে অবশ্য একটা বিশাল সুবিধা হয় - এই পাঁচ বছরে ভালো একটা ইনস্টিটিউট থেকে আমরা যতটা স্ট্যাট শিখেছি, একটা সাধারণ আণ্ডারগ্র্যাড করে পিএইচডিতে ঢোকা একটা আমেরিকান ছাত্র তার ভগ্নাংশও জানে না। এদেশে তো আবার খুবই ফ্লেক্সিবল, সাইকোলজির আণ্ডারগ্র্যাডও বায়োস্ট্যাটের পিএইচডিতে ঢুকতে পারে তেমন কোনো প্রি-রেকুইজিট ছাড়াই।
এর পর আমি সম্ভবত একটা পোস্টডক করতে চাইব। কারণ আমি এদেশে অ্যাকাডেমিক লাইন মানে ফ্যাকাল্টি জবে থাকতে আগ্রহী নই।
আমি সাড়ে তিন বছর ব্যয় করে তড়িৎ প্রকৌশলে ডিরেক্ট পি ,এইচ,ডি শেষ করব। এটা এম,এস আর পি,এইচ,ডির মাঝামাঝি একটা ভালো অপশন। সময় লাগে কম, ভ্যালু বেশি। প্রথমে আমার এম,এস এডমিশন ছিল। আমার সব সময়ই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার ইচ্ছা। পি, এইচ, ডি তে আসার কারন ছিল কোম্পানি গুলাতে মাস্টার্স নিয়োগ দেয়া হয় কিছু ধরা বাধা কাজ করার জন্য যেটা ব্যচেলর লেভেলের শিক্ষা দিয়ে হয় না। কিন্তু নতুন টেকনোলজি তৈরির কাজ গুলার জন্য পি,এইচ,ডি নিয়োগ দেয়া হয়, যেরকম কাজ আমি করতে চাই। এবং কিছু প্রফেসনাল ইঞ্জিনিয়ারিং সোসাইটির সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে যতদূর জানি, অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডেও এই ধরনের চাকরি আছে। পি, এইচ, ডির সময় ফান্ডিং জুটাতে নানারকম বিষয়ে নিয়ে গবেষণা কামলা দিয়েছি, যেটা আল্টিমেটলি চাকরি পেতে সাহায্য করেছে। কারন এখনকার যুগ হয়েছে মিক্সড টেকনোলজির যুগ, যেমন বায়োমেডিক্যাল, এইখানের জ্ঞান ঐখানে লাগানো, ফলে স্পেশালাইজেশনের চে নানান রকম কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে, নতুন টেকনোলজি উদ্ভাবনের চাকরিতে আপনার রমরমা চাহিদা, যাকে বলে " Pink Squirrel".
যেহেতু আমার ভবিষ্যতে এন্টারপ্রিনিউরশিপে যাওয়ার ইচ্ছা, আমি ব্যবসা বানিজ্যের তরিকা বুঝতে একটা মোটামুটি মানের এম, বি, এ করতে চাই, এমনকি সেটা অনলাইন ইউনি হলেও চলবে। এক্ষেত্রে আমি ডিগ্রী ভ্যালুর চে জ্ঞানার্জনকে প্রাধান্য দিচ্ছি বলে এইরকম পছন্দ।
আসলে জীবনের লক্ষ্য খুব স্পেসিফিক্যালি ঠিক করে একটা প্ল্যানিং নিয়ে এগোনো উচিত। মাঝে সাঝে প্ল্যানের বাইরে কাজ করতে হতে পারে, কিন্তু আবার লাইনে ফিরে এগোন ভালো, অন্তত মনে শান্তি থাকবে, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি লক্ষ্যে পৌছনর। আমার একান্ত মতামত ও বিশ্বাস।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ব্যাপক বোরিং হয়ে যাবে তো তাইলে!
এনিওয়ে, ধারেকাছের প্রসঙ্গে এই লেখাটা (ডিবেটিং দ্য ভ্যালু অফ কলেজ ইন আমেরিকা) পড়ে দেখা যেতে পারে।
মনে হয় না। যখন আন্ডারগ্র্যাড শুরু করেছিলাম তখন জীবনে যে রকম, যে কোম্পানির চাকরির স্বপ্ন ছিল, শেষ পর্যন্ত সেখানে ল্যান্ড করতে পেরেছি। মাঝে অনেক এমন বিষয়ে কাজ করেছি, করতে হয়েছে যেগুলা সেই কাঙ্ক্ষিত পথের থেকে অনেক দূরে। ইন ফ্যাক্ট, আমার পি, এইচ, ডির টপিকও আমার পছন্দের বিষয় না (এই জন্য কাজ করা খুব কঠিন), কিন্তু চাকরি জীবনে আর এই বিষয়ে কাজ করতে হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু এই অভিজ্ঞতাগুলা রেজুমে তে ভ্যালু অ্যাড করেছে।
আসলে যেটা বলতে চেয়েছি, জীবন কখনোই প্লান মতো যায় না, যতটা না লক্ষ্য তার চে বেশি দরকারি স্বপ্ন থাকা, এবং সেখানে পৌছার নানা রকম রাস্তার খোঁজ রাখা। যে পথেই আগান, লক্ষ্য ঠিক থাকলে পস্তানোর সম্ভাবনা কম।
লেখাটা আগেও পড়েছি। এটা আমেরিকান্দের জন্য বেশি প্রযোজ্য। আমাদের মতো দেশি ভাইদেরকে এদের উপর কম্পিটিটিভ এজ পেতে হলে বাড়তি ডিগ্রী সহায়ক। এরা এখনো রেসিস্ট, এবং নতুন উপসর্গ 'আমেরিকান্দের কাজ বাইরে চলে যাচ্ছে।' ফলে দুজন সমান যোগ্যতার হলেও আমেরিকান ভাইসাব আগে চাকরি পাবেন। আমরা একটা আনফেয়ার গেম খেলছি। জিততে হলে বাড়তি কিছু লাগবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
পোস্টটির শুরু থেকে ফলো করছিলাম মন্তব্যসহ। মন্তব্য করি করি করে করা হয়নি। মুর্শেদ ভাইকে ধন্যবাদ এরকম একটি বিষয়ের উপরে লেখা দেয়ার জন্য।
আমি আমার অবস্থাটা বলতে পারি তাতে আমার বিষয়ে কারো কোন উপকার হবে কিনা বলতে পারছি না অবশ্য। আমি মাস্টার্স করছি পুরকৌশলে, পানিসম্পদ কৌশলে বিশেষভাবে অজ্ঞ হয়ে। যদিও পানিসম্পদ কিন্তু আমার রিসার্চে পানির পরিমাণ কম, সিস্টেম অপ্টিমাইজেশনের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আমার এ লাইনে ক্যারিয়ার গড়ার তেমন একটা ইচ্ছা নাই। দেশ থেকে আসার আগে ভেবেছিলাম নামের পাশে ডক্টরেট লাগেতে হবে কিন্তু এখন আর সেটার তেমন তাগিদ বোধ করছি না। প্রথম কারণ অবশ্যই আরো পাঁচ বছর পড়ালেখা করার ধৈর্য নেই, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে পিএইচডি করাকালীন আর্থিক দৈন্যদশা। তৃতীয় কারণ এদেশে একাডেমিক লাইনে না যাওয়ার সংকল্প। যদিও আমার ধারনা পানিসম্পদে পিএইচডি করলে ইন্ডাস্ট্রিতেও যাওয়া সম্ভব। আমি পরিচিত কয়েকজনকে যেতেঅ দেখেছি কিন্তু আমি নিশ্চিত না যে সে লেভেলে মাস্টার্স করার পরে পাঁচ বছর চাকুরী করে যাওয়াও সম্ভব কিনা। ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে যদি একান্তই দরকার হয় তাহলে একটু ভিন্ন কিন্তু সেসাথে অনেকখানি জড়িত কোন বিষয় যেমন হাইড্রোজিয়োলজি কিংবা রিনিউএবল এনার্জি রিলেটেড এ আরেকটা মাস্টার্স ডিগ্রী নেয়া তবে সেটা ভবিষ্যতই বলে দিবে। এমবিএ করার এখন পর্যন্ত কোন ইচ্ছা নেই, আর অনেক টাকারও ব্যাপার। তবে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে আগ্রহ আছে। সেটাও সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আইবিএ-তে পইড়া দেশে থাকলে মোটামুটি এইসব চিন্তাই নাই।
আচ্ছা, শুরু থেকেই ফলো করছি ভাইয়া, মন্তব্য করা হয়নি। অনেক ইন্টারেস্টিং একটা আলচনা শুরু করার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পোস্টটা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্যে আমেরিকার প্রেক্ষিতে মনে হয়েছে। তবে বলাই'দা ইওরোপের প্রেক্ষাপট আলোচনা করেছেন, ধন্যবাদ তাকেও। হাসিব ভাই আর রাগিব ভাইয়ের ইনফরমেটিভ মন্তব্যের জন্যে তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।
অধিকাংশ অবজারভেশন আর চিন্তা ভাবনার কথা ইতিমধ্যে নানান মন্তব্যে চলে এসেছে। আমার কয়েকটা অবজারভেশন শেয়ার করি -
বছর দশেক হলো দেশে প্রায় সবাই অনার্সের পরে MBA করছে। পরিচিত কয়েকজনের কথা বলি -
* একজন বিবিএ করেছেন, এখন নিজেই ব্যবসা চালাচ্ছেন। গত বছর MBA করছিলেন। কেন করছেন জানতে চেলে বলেছেন, মাস্টার্স না করা থাকাটাকে নাকি এখন মূল্যহীন ধরা হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনেও!
* আরেকজন পরিচিত আপু, বুয়েট থেকে পাশ করে আইবিএ থেকে MBA করে, এখন জর্জিয়া টেকে পিএইচডি করছেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানা হয়নি।
* আরেক বন্ধু একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ কমপ্লিট করে নর্থ-সাউথ থেকে এমবিএ করেছে, এখন চাকরি করছে একটা বাণিজ্য সংস্থায়। সে নিজে যেহেতু ব্যবসায় প্রশাসনের কোন কাজে নিজেকে এন্টারপ্রিউনার হিসেবে দেখতে চায় আগামি দশ-পনের বছর পরে, কাজেই তার কাছে মনে হয়েছে তার জন্যে এমবিএ করা প্রয়োজনীয়। কেন ইদানীং অন্যান্য ফিল্ডেরও, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেমেয়েরা (দেশে) এমবিএ করছে বলে মনে হয় জানতে চাইলে সে বলেছে, তার দেখা মতে মাস্টার্স না থাকলে বাংলাদেশে যেকোন চাকুরিতেই প্রমোশন দেবার বেলায় কর্তৃপক্ষ সমস্যা করছে। মাস্টার্স হোল্ডার এত বেশি যে প্রমোশনে তারাই প্রাধান্য পাচ্ছে।
ইদানীং পরিচিত অনেক প্রকৌশলী বা সায়েন্সে অনার্স করা ব্যক্তি দেখছি চার বছরের প্রকৌশল বা অনার্স ডিগ্রীর পরে ব্যবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স করতে পছন্দ করছেন। এর পেছনে আমারও মনে হচ্ছে যে চাকরির প্রমোশনের ব্যাপারটাই মুখ্য ভূমিকা রাখছে, আর একজন চাকুরিজীবির পক্ষে ল্যাব, ধরা-বাঁধা টানা ক্লাস ইত্যাদির চেয়ে সান্ধ্যকালীন এমবিএ সুবিধাজনক।
পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স করার পরে, রেজাল্টের একটা সার্টেইন ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করলেই ঐ ডিপার্টমেন্টেই সরাসরি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। আমার ব্যাচের দুই-একজন বাদে সবাই মাস্টার্স কমপ্লিট করেছিল। দরকার কী মাস্টার্স করার? আবারো ঐ চাকরিতে প্রমোশন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না প্রত্যেকের মাস্টার্স করার দরকার আছে। ইন ফ্যাক্ট আমি মনে করি না সবার অনার্স করারো দরকার আছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা এখন করতে চাচ্ছি না। যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা হলো, আমি দেখছি বিশেষ করে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পরে কর্মক্ষেত্রে অংশ নিচ্ছেন না, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে। আবার অনেকেই বিজ্ঞানের একটা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশনের পরে ব্যাংকিং বা তার ফিল্ড আন-রিলেটেড অন্য কোন চাকুরিতে যাচ্ছেন, কারণ আমাদের দেশে বিজ্ঞানের যত গ্র্যাজুয়েট প্রতি বছর বেরুচ্ছে, তত চাকরি নেই তাদের ফিল্ডে। একজন স্টুডেন্টকে উচ্চ শিক্ষা দিতে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা রিসোর্স খরচ হয় মনে হয়, আমার কাছে এটা রিসোর্স সমূহের চরম অপচয় মনে হচ্ছে।
অ্যাকাডেমিক ফিল্ডে মাস্টার্স না থাকলে চলবে না। পিএইচডি, রিসার্চ না থাকলে ধাপে ধাপে প্রমোশন হবে না ঠিক সময়ে। কাজেই করতে হবে।
আমি নিজে কী করলাম বা করছি তাহলে? উচ্চ শিক্ষায় যাবার আগেই আমি মোটামুটি নিজের পছন্দের বিষয়টা শিওর হয়ে গিয়েছিলাম। যেটা পড়তে চেয়েছি, সেটার জন্যেই সর্বাঙ্গীন চেষ্টা করেছি, সুযোগ পেয়েছি, পড়েছি। চাকরি কী করতে চাই তা মাস্টার্সের আগে স্থির করতে পারছিলাম না, শুধু জানতাম যা করতে ভালো লাগবে না, তা করবো না। মাস্টার্স করাকালীন একটা আইডিয়া ফর্ম করতে শুরু করে। মজার ব্যাপার হলো প্রথম চাকরিটা সেরকমই পেলাম, কারণ আমি আসলে সেটাই করতে চাচ্ছিলাম! এখন যা করছি, ভালো লাগে তাই করছি, করতেও থাকবো মনে হয়। জবের সবকিছুই ভালো লাগে, তা না, কিন্তু যেটুকু খারাপ লাগে, সেটা ভালো লাগার তুলনায় এত কম যে ইগনোর করা যায়। গবেষণার কাজ ভালো লাগে, তাই সু্যোগ থাকলে পিএইচডিও করবো।
কী লাভ-ক্ষতি হবে অত জানি না। হিসাব করে চলার জীবন আমার জন্যে না। আর আমার কোন কিছুই কখনোই প্ল্যানড ছিল না। আসল কথাটা হলো, যাইই করি, ভালো লাগতে হবে, আর কাজটা প্যাশনেটলি করতে হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি চাকুরীর বাজারে এক নবজাতক শিশু। বিশাল ১৩৫ খানা পোষ্ট পড়ে বুঝতে পারলাম মার্স্টাস, পিএইচডি কিংবা এমবিএ- কোনটা করেই বড় ভাইরা শান্তিতে নাই
যেহেতু বড় ভাইরা শান্তিতে নাই...ফিউচার নিয়ে আমরা কিভাবে থাকবো??
যন্ত্রকৌশলে স্নাতক শেষে আমরিকায় মার্স্টাস কেন্ডিডেট। কোন দিকে ধাবমান হইলে সমসাময়িক যুগে লাভ হইবে??
ভাল লাগলো
বিষয়টা যে সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ সেটা পোস্টের জবাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমি যেহেতু কন্সাল্টেন্সি সেক্টরে কাজ করি (ট্রান্সপোর্ট মডেলিং), এই লাইনের কথা বলতে পারি যে এখানে ৩টা পথ আছে। বিসনেজ ডেভেলপমেন্ট, প্রজেক্ট মানেজমেন্ট এবং টেকনিকাল। ৩টির কোনোটাতেই পিএইচডি, এমবিএ এর দরকার নাই। দরকার হল প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন। তবে cultural difference এর কারনে বিসনেজ ডেভেলপমেন্ট লাইনে আমাদের বিশেষ সুবিধা হয় না (পাবে গিয়ে অদের সাথে ড্রিংক না করা, ব্রিটিশ জোক্স না বোঝা ইত্যাদি কারনে)। বাকি দুই লাইনে মিলায় মুলায় career ডেভেলপ করতে পারলে (মানে গোল আলু) এক সময় একটা ভালো পজিশনে যাওয়া যেতে পারে। এখন আসি আসল কথায়। আমাদের সবারই একসময় বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকে। বিদেশে ডলার/পাউন্ডে আয় করে বাংলাদেশে লোকাল কন্সাল্টেন্সি তে সেই বেতনে পোষাবে না। সু্যোগ আছে ফরেইন ফান্ডেড (WB, ADB, JBID, IDB, EU, DANIDA, UNICEF etc etc) প্রজেক্টে কাজ করার। এখন আমার ৩, ৪ বছরের বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, CV তে experience এর পাশাপাশি যদি পিএইচডি থাকে তাহলে সরকারি এবং বিদেশী evaluator দের কাছ থেকে ভালো score পাওয়া যায়। বিশেষ করে এই সব বড় বড় প্রজেক্ট এর ইম্পলিমেটিং এজেন্সি হল সরকারি সংস্থা (যেমন RHD, LGED, Bangladesh Railway, DPHE, BWDB, PDB, Power Cell, GTCL, BAPEX, BEA ইত্যাদি)। এদের কাছে পিএইচডি ওয়ালা কন্সাল্টেন্ট রা একটু বেশিই দাম পায়। তাই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পিএইচডি করতে পারলে কেল্লা ফতে। এক্ষেত্রে EngD একটা option আছে সেটা এক্সপ্লোর করে দেখা যেতে পারে। UK তে পড়ার একটা সুবিধা আছে যা হল, পিএইচডি মাত্র ৩ থেকে ৪ বছর, যদিও সেটা US/Canada এর পিএচডির মতো এক্সটেন্সিভ নয়। পার্টটাইমে এখানে ৫ বছরেও শেষ করা সম্ভব। আর কন্সাল্টেন্সি লাইনে থাকলে এমবিএ করে তেমন লাভ নেই, কোম্পানি ইন্টার্নাল ট্রেইনিং গুলোতেই তার অধিকাংশ কাভার করে। আমার শেষ কথা হল, কন্সাল্টেন্সি লাইনে career করতে চাইলে পিএইচডি/EngD করা যেতে পারে শুধুমাত্র বাংলাদেশে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে ।
আপনি কি বলতে পারেন বাংলাদেশে কনসালটেন্সিতে PMP কাজে আসে কি না ?
অ্যাকাডেমিক লাইনে যাবার ইচ্ছে নেই, এখন কোনটা করলে বেশি ভালো হয় এমবিএ নাকি মাষ্টার্স? ক্ষণে ক্ষণে মতিগতি বদলে যায়। দারুণ একটা পোষ্ট! অনেক চিন্তায় পড়ে গেলাম যে
এই পোস্টে আরও সক্রিয় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ছিল, সময়ের অভাবে পারছিনা।
সাধারনত আমি রিকমেন্ড করি, আন্ডারগ্র্যাডের পর মাস্টার্সের আগে এক-দুই বছর অন্তত চাকরী করতে। পিএইচডি তো অবশ্যই, মাস্টার্সও বেশ স্পেশালাইজড জ্ঞান আরোহণের ক্ষেত্র। এরকম একটা সুযোগের যেন সদ্ব্যবহার হয়, সেজন্য নিজের জানা প্রয়োজন এই সাব্জেক্টের কাজ তথা চাকরী করতে কেমন লাগে। সাথে আরেকটা জিনিষ পরিষ্কার হয় যে নিজে কোন ধরনের কাজ প্রেফার করে। মানুষের সাথে কথা-বার্তা চালানো না এক কোনায় টেবিলে বসে গুটগুট করে কাজ করা। মোদ্দা কথা আন্ডারগ্র্যাডের পর সরাসরি পরের ধাপে না যেয়ে কিছুদিন চাকরী করে নিজেকে আরও বোঝা উচিত বলে মনে করি।
"জ্ঞান আরোহণ" করে ক্যামনে? (মুহাম্মদ জাফর ইকবালের আধ ডজন স্কুল বইটার কথা মনে পড়ে গেল! )
ঐত্তো, প্রচুর জ্ঞান আহরণ করে নিজেকে উন্নত করা হচ্ছে বা উচুতে উঠানো হচ্ছে। তাই অল্প কথায় 'জ্ঞান আরোহণ', আর কী!
মাহবুব ভাই, সবার আগে আপনাকে ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। পিএইচডি নাকি মাস্টার্স এই ডাইলেমার আগেও আমি আরেকটি দিকে নজর দিতে চাই। সেটা হলো আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করে আমেরিকা, কানাডা কিংবা ইউকে তে মাস্টার্স করতে আসি তাদের অনেকেরি ইচ্ছা থাকেনা পিএইচডি করার। বেশিরভাগেরই ইচ্ছা থাকে জব করার। কিন্তু আমাদের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের অনিশ্চয়তার কারনে পায়ের তলায় মাটি খুজেঁ পাই না। এদিকে আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার আমেরিকায় জব করতে অথবা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়। জব জিনিসটা ইদানিং এই অর্থনৈতিক মন্দায় ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। একারনে পিএইচডি তে মোটিভেটেড না হয়েও শুধু স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য অথবা আমেরিকায় থাকার জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই পিএইচডি তে ঢুকে পড়ে। সুতরাং সেক্ষেত্রে আমি সেটাকে পিএইচডি-মাস্টার্স ডাইলেমা বলবোনা। আমাদের কারো যদি একান্তই ইচ্ছা থাকে যে আমি পিএইচডি করবোনা সেক্ষেত্রে আমরা দেশে গিয়েও চাকরি করতে পারি।
ইদানিং আমার আম্রিকায় এডমিশন হওয়াতে এবং লেখাটা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়াতে মনোযোগ দিয়ে পুরাটা (কমেন্ট সহ) পড়লাম। আমার যেইটা দরকার সেইটা যদিও পাইনাই (ফান্ডিং ছাড়া কেমনে এম-এস করা যায়) তবুও লেখক ভায়াকে ধন্যবাদ। তবে একটা জিনিস না বলে পারতেসিনা। সবার চিন্তাধারা চাকুরী-কেন্দ্রিক। entrepreneurship কি একটা ভাল অপশন নয়?
সরকার আসলে কি PhD নিয়ে একেবারে নির্বিকার? টাকা পয়সা কিছুই দেইই না? বাংলাদেশে PhD করে দুই ধরেনের লোক। এক, ডিগ্রি কলেজ এর শিক্ষক আর সরকারী গবেষণা এর কর্মকর্তারা। লক্ষ্য পদোন্নতি। এদের চাকরিকালে সরকার বেতন তো দেয়, উপ্রন্ত মন্ত্রণালয় থেকে মোটামুটি অঙ্কের বৃত্তি দেয়া হয়। এটা তাদের জন্য এক প্রকার বিনিয়োগ। প্রনশন, বেতন এইগুলা এর জন্য PhD।এদিকে Commonwealth scholarship এর ভাইভা নিছে জনাব প্রফেসররা (ড; বিহিন)। দুই, হালের আমলে সচিবরা PhD নিছে দারুল ইহসান এর মত Univ থেকে। এতে consultant হইয়ে অবসরের পর টু পাইস কামানো যায়।
আমাদের প্রফেসররা প্রথম আলো তে যত উৎসাহ দেখান আর তাদের সাগরেদ পয়দা করার উছিলা বানান উৎসাহ মূলক লেখা দিয়ে, সেই সাগরেদ এর জন্য বলছি--এই উপদেশদাতারা তো সরকারী Univ প্রফেসর বলেই কলার টা উচু করতে পারেন। নিজের মাথা থাকলে Google Scholar এ গিয়ে এক্তু তাদের নাম দিইয়ে search দেন। গত পাচ বৎসরে কয়টা Peer reviewed journal করছেন খুজে দেখুন। তাহলেই তাদের বুজ্রুগি শেষ হবে। আর BUET এবং DU তে এখন ও কিছু প্রফেসর আছেন যারা কমপক্ষে তিনটি করে নিয়মিত Elsevier, Springer এ পাবলিশ করচ্ছেন নানা বাধার মুখে ও। দেশ তাদের চিনেনা কেননা তারা কথা কম বলেন আর কাজ বেশি করেন।
মনে হচ্ছে "জাফর-ফোবিয়া" বা "এন্টাই-জাফর-হিস্টেরিয়া"-তে ভূগতেছেন। দ্রুত আরোগ্যলাভ করুন, সেই প্রত্যাশা রাখি।
জাফর ইকবালের উপর অহেতুক ঝাঁপিয়ে পড়বার প্রবণতা লক্ষ্য করলাম আপনার মন্তব্য, তার জনপ্রিয়তাকে ঈর্ষা করবার কি আছে? উনিতো পয়সা ছড়িয়ে জনপ্রিয়তা কিনছেননা, নিজের যোগ্যতা বলেই কিনছেন।
আপাতত এইটা পড়েন, তারপর আবার রোগাক্রান্ত হন।
ছেলেপেলেদের নর্থ আমেরিকা প্রীতির দিন আসলে সেশ হয়ে আসছে। কিছু বছর জাবত সিঙ্গাপুর কোরিয়া চীনা ও সুইস কিছু ভারসিটি ইনজিনিয়য়ারিংএ রেঙ্কিং আর রিসাচে যেভাবে এগিয়ে আসছে তাতে ভারসিটি চয়েস আরো বাড়ানো উচিত।
বলাই দা এর সাথে একমত। UK তে ফান্ড সহ PhD পেলে স্টাইপেন্ড হিসেবে নরমাল জব salary এর কাছাকাছি amount পাওয়া যায়। তাই Undergrad শেষ করে ফান্ড সহ PhD পেলে সেটা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ মনে করি ( সৌভাগ্যক্রমে যেটা আমি করছি)। তবে এর জন্য Research এর প্রতি আগ্রহ অব্শ্যই থাকতে হবে। আর ভাল মানের জার্নাল পেপার এ বেশি বেশি পাবলিকেশন থাকলে PhD এর পর ফিউচার নিয়ে খুব আপসেট হওয়ার কিছু নাই বলে মনে করি। আমার কাছে Funded PhD is the best job after undergrad . নিজের মত করে কাজ করা যায়, সেলারি ও আসতেসে, ড. ডিগ্রী ও :-)।
পোস্টটির শুরু থেকে ফলো করছিলাম মন্তব্যসহ। মন্তব্য করি করি করে করা হয়নি। বড় ভাইদের ধন্যবাদ এরকম একটি বিষয়ের উপরে লেখা দেয়ার জন্য। আমি অত্যন্ত confuse একটা ছেলে। EEE background। Lund University তে চান্স পেয়েছিলাম, যায়নি। কারণ ঐ সময় পালিয়ে বিয়ে করেছি । বউকে রেখে যেতে পারলাম না । কিছুদিন আগে Germany থেকে একটা offer letter পেয়েছি। ঐদিকে, Canada'র এক professor supervise করতে সম্মতি দিয়েছেন। যদিও funding ছাড়া। PhD করার অনেক ইচ্ছে। R&D engineer হিসেবে কাজ করছি বর্তমানে। Academic লাইনেও ইচ্ছা আছে।কিন্তু আপনাদের কথায় বেশ ভালভাবেই ভড়কে গিয়েছি।Academic VS industry যুদ্ধে আমি industry কেই এগিয়ে রাখব। Canada'র টা research based । তাছাড়া, canada তে 1st এ funding না পেলেও, পরে হয়তো manage করা যাবে।আবার industry'র জন্য Germany খ্যাচ বলেই জানি। আমি পুরাপুরি confused। মাহবুব মুর্শেদ ভাইয়ের কাছে guide চাচ্ছি।
অনেক চমৎকার একটা লেখা । তাই হয়তো এত্ত গুঁতোগুঁতি ।
নীরব পাঠক হিসেবে অনেকক্ষন যাবত পুরো লেখাটি ও মজার মজার মন্তব্য গুলো পড়ছিলাম । অনেকের মন্তব্য দেখে মনে হয়েছে যে, তাহারা লেখক মহোদয়ের লেখার আসল মর্মার্থ ধরতে পারেন নাই । অনেকে আবার দেশপ্রেমিক সাজবার জন্য অজথাই ফালতু পেচাল পেরেছেন ।
মূল লেখা ( লেখক মুরশেদ ভাই) ও রাগিব ভাই এর লেখাতে প্রকৃত সারমর্ম একটাই, আর তা হচ্ছে “ আপনি যাই করুন, দয়া করে ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা মাফিক ও সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকে করুন ” ।
এটা আসলে খুবই দামি কথা । আমাদের দেশের অনেক বাছাইকৃত মেধাবী ছাত্র বৈদেশে পারি জমান কোন পরিকল্পনার বালাই ছারাই , পরবর্তীতে তারা হতাশ হন অথবা হন দিকবিভ্রান্ত ।
একটি কথা সবার মাথায় ই থাকা জরুরি , আর তা হচ্ছে , আজ থেকে আগামী কয়েক বছর ( বাস্তবত ১০-১২ বছর) পর আপনি নিজেকে কি অবস্থায় দেখতে চান?
আমাদের দেশের অধিকাংশ মেধাবী ছাত্রই আসে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই, আর এখানেই আসল সমস্যাটা ,একসঙ্গে সব হওয়ার বাসনা থাকে অনেকের মধ্যেই।
তাই অনেক কে দেখা যায় ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেই এমবিএ তে ভর্তি হতে তারপর আবার জিআরই করে নিজ সাবজেক্ট এ এমএস করতে বৈদেশ গমন করতে।
সম্ভবত বাংলাদেশেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা গ্র্যাজুয়েটরা সবচেয়ে বেশি দ্বিধাগ্রস্ত।
উদাহরণ হিসেবে আপনারা বুয়েট(ইঞ্জিনিয়ারিং) ভার্সেস আইবিএ (বিবিএ) গ্র্যাজুয়েটদের নিতে পারেন।
যাই হোক আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে মন্তব্য দিলাম।
“মানুষ যা চায় তা আসলে করতে পারে কিন্তু সে নিজেই ঠিকমত জানে না যে আসলে সে কি চায়"
শপেনহাওয়ার সাহেবের এই কথাটি দিয়েই শেষ করছি।
স্বল্পজান্তা
-------------------------------------
অগ্নিকন্ঠ হোক তোমার শব্দ
-----------------------------------------------------------
কিছু ডেটা পেলাম আমেরিকার বুরো অফ লেবার স্ট্যাটিসটিকস এর ওয়েবসাইট থেকে। এরা প্রতি বছর অকুপেশনাল আউটলুক হ্যান্ডবুক বের করে। এখানে যে যার পেশার তথ্য দেখতে পারবেন।
আমার কেইস স্টাডির উপর ভিত্তি করে কিছু তথ্য সংগ্রহ এবং উপস্থাপন করে একটা তুলনামূলক আলোচনা করছি। প্রফেশনাল অকুপেশনের তালিকা থেকে তিনটে ক্যাটেগরি দেখি কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
এর সাথে ম্যানেজমেন্ট ধরনের চাকুরীর তালিকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার এবং ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার এর তথ্য তুলনা করবো।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এই তালিকাটি রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
ডিগ্রী প্রয়োজন পিএইচডি। রিটায়ারমেন্ট এবং নতুন চাকুরীর সুযোগ বৃদ্ধির ফলে তুলনামূলক ভাবে বেশী চাকুরী তৈরী হবে আশা করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সব বিষয়ে শিক্ষদের একত্রে হিসাবে ধরা হয়েছে। ২০১৮ নাগাদ নতুন লোক দরকার ২৫৬,৯০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ১৫%। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষকদের মিডিয়ান বেতন $৮৯,৬৭০।
কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট
ডিগ্রী প্রয়োজন পিএইচডি। ২০১৮ নাগাদ নতুন লোক দরকার ৭,০০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ২৪%। গড় বেতন বছরে $৭৫,৩৪০ থেকে $১২৪,৩৭০।
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
ডিগ্রী প্রয়োজন ব্যাচেলর বা তার চেয়ে ভালো। ২০১৮ নাগাদ প্রোগ্রামার পদে নতুন লোক দরকার নেই। বরং চাকুরী কমবে ১২,৩০০। শতকরা চাহিদা হ্রাস -৩%।
২০১৮ নাগাদ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে নতুন লোক দরকার ২৯৫,২০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ৩২%। এপলিকেশন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের মিডিয়ান বেতন $৮৭,৭১০। সিস্টেম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের মিডিয়ান বেতন $৯৩,৫৯০। এই তালিকাটা বিস্তৃত বলে আপনার প্রয়োজনে তালিকাটা দেখে নেয়া ভালো হবে।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
ডিগ্রী প্রয়োজন ব্যাচেলর বা তার চেয়ে ভালো। ২০১৮ নাগাদ নতুন লোক দরকার ১৪,৪০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ৬%। মিডিয়ান বেতন বছরে $৭৪,৯২০।
ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার
ডিগ্রী প্রয়োজন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী। ২০১৮ নাগাদ নতুন লোক দরকার ১১,৩০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ৬%। ৫০% বেতন বছরে $৯১,৮০০ থেকে $১৪১,৭৩০।
ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার
কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলার এবং একটা এমবিএ। ২০১৮ নাগাদ নতুন লোক দরকার ৪৯,৫০০। শতকরা চাহিদা বৃদ্ধি ১৭%। সফটওয়্যার পাবলিশিং ম্যানেজারের মিডিয়ান বেতন $১২৬,৮৪০।
তথ্যগুলো পাবার পর চয়েসটা আরো পরিষ্কার হোলো। অবশ্যই এমবিএ এবং পারলে কম্পিউটার সায়েন্সে একটা মাস্টার্স। তারপর ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজার। এটাই বেস্ট চয়েস মনে হচ্ছে।
আমি আমার আন্দারগ্রাদ মেজর চয়েস করা নিয়ে এম্নি তে ই দ্বিধায় ডুবে আছি। উপরন্তু পোস্ট গ্রাড নিয়ে লেখা টি পরে এবং মন্তব্য দেখে আমার পিলে চমকে নাভিশ্বাস বের হবার জোগার। ভিরমি খেয়ে অজ্ঞান না হয়ে যাই। তবে লেখা টির মূল উদ্দেশ্য কে স্বাগত জানাচ্ছি।
শুরু থেকে পড়ে আসছি। এরকম একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাডে খুব একটা ভালো শেখা হয় না। বিশেষ করে অর্থনীতিতে তো নয়ই। চাকরির ক্ষেত্রে মাস্টার্স না করলে খুব বিপদে পড়তে হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম হাসান যদিও এখন বাজারে এমবিএর জয় জয়কার আমার ইচ্ছা অর্থনীতিতে মাস্টার করার এ নিয়ে যদি একটু আলোচনা করলে আমরা উপকৃত হই।
খুবই প্রজোনীয় কথা যারা রিসেন্টলি গ্রাজুয়েট করেসেন.
আরেকটা সমস্য হল চীন, ইন্ডিয়া থেকে অনেক নিজের ফান্ডে মাস্টার্স করতে আসছে এখন, তাই ইউনি রা গ্র্যাড স্টুডেন্টডের থেকেও টাকা কামানোর ধান্দায় আছে (অভাবের সৃভাব নষ্ট)। তাই, মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে।
আমি ব্যাবসায় প্রশাশনের আন্ডার গ্র্যাদ লেভেল এর একজন শিক্ষার্থী । আমার ইচ্ছা আমি ফাইনান্স এবং ইকনমিক্স এ দুয়াল মেজর করব। আমার স্বপ্ন আমি ইউ,এস,এ এর একটি টপ র্যাঙ্ক এর( বিস্ব্বা র্যাঙ্কিং এ ১০০ এর মধ্যে ) এম বি এ করব, এবং কয়েকবছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরে এসে এখানেই কারিয়ার করব। আমার কউন গাইড লাইন নেই। আমি জানতে চাই, এম বি এ এর জন্য কি করলে ইউ,এ,এ তে টপ র্যাঙ্ক ইউনিভার্সিটি তে স্কলারশিপ / ফান্দিং পাব? এরজন্য সি,জি,পি,এ কতোটুকু দরকার র সাথে আরও কি কি দরকার? জব এক্সপেরিএন্সে দরকার কি না/ কততুকু দরকার? দেশ এর জব এক্সপেরিএন্সে ইউ,স,এ তে এমবি এ এর জন্য কাজে লাগবে কি না? এবং আনুষঙ্গিক তথ্য ও পরামর্শ কামনা করছি । কোন অভিজ্ঞ বড় ভাই এই ব্যাপারে পরামর্শ দিলে খুব ই ভাল হয় ।
ধন্যবাদ, মাহবুব মুর্শেদ কে,একটা চমতকার বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য। আমরা কি আলোচনায় আরেকটু ব্যাপ্তি আনতে পারি? তাদের কথা মাথায় রেখে যারা বিদেশ থেকে মাস্টার্স বা পি এইচ ডি সম্পন্ন করে দেশে ফিরে যেতে চান? যারা অলরডী দেশে ফিরে গেছেন তাদের অভিজ্ঞতা এইক্ষেত্রে শেয়ার করতে পারেন। আমি এমেরিকাতে ফান্ডিং নিয়ে এসেছিলাম এনভারনমেণ্টাল ইনজিনিয়ারিং পি এইচ ডি করবো বলে, কিন্তু এখন আর সেটা করার হচ্ছে না। খুব একটা দুঃখবোধ ও নেই । দেশে ফিরতে চাচ্ছি, মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে, সাথে সাথে এখানে চাকরী ও খুঁজছি, তবে দেশে ফেরার ব্যাপারটা খুবই স্ট্রংলী ভাবছি। আর পরিচিতরা শুধুই নিষেধ করছে দেশে ফিরে যেতে।
রাশিয়াতে nuclear এর উপর msc/phd করলে সেটার prospect কেমন? রাশিয়ান ডিগ্রী কি অন্যান্য দেশ recognise করে?
এমন তথ্যপূর্ণ একটি লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ.
আমি আপনাদের কাছে একটা পরামর্শ চাইছি.আমি বর্তমানে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে(AIUB) ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাচেলর করছি.কিন্তু সেই ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো আমি ফিজিক্স নিয়ে পড়াশুনা করবো,গবেষণা করবো.মাঝখানে অনেককিছু ঘটে গেলো.পাবলিক ভার্সিটিতে আর ফিজিক্স পড়া হলোনা.প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাচেলর শেষ করার পর কি বিদেশে ফিজিক্সে মাস্টার্স করা সম্ভব ?নাকি আমাকে আবার ফিজিক্সে Bsc করতে হবে ?
এটা ডিপেন্ড করে কোন দেশে পড়তে যাবেন সেটার উপর। আমার এক বন্ধু বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং করে বুয়েটের ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করতে পারেনি। অথচ আমেরকিায় এটা কোন ব্যাপারই না। বড়জোড় কয়েক সেমিস্টার কিছু প্রিরিকুইজিট কোর্স করা লাগতে পারে।
আপনি যে দেশে পড়তে চান সে দেশের কয়েকটা ইউনিভার্সিটিতে যোগাযোগ করুন বা ওদের অন্য বিষয় থেকে ফিজিক্সে মার্স্টাস করতে গেলে কোন কোন প্রিরিকুইজিট কোর্স গুলো করতে হবে সেগুলো জেনে নিন। তারপর আপনার ইতিমধ্যে সম্পন্ন করে ফেলা ক্রেডিটগুলো থেকে দেখুন কোনটা মিলে যায় কিনা। আর ভবিষ্যতে এই তালিকা থেকে আর কিছু কোর্স শেষ করা যায় কিনা সেটা মাথায় রাখুন। উপরন্তু উক্ত ইউনিভার্সিটিতে নম্বরপত্র পাঠিয়ে জানতে চান তারা এটা গ্রহণ করবে কিনা।
বিষয় বদল আমাদের মতো লাল ফিতার ব্যাড়াজালে বাঁধা দেশের ক্ষেত্রে প্রায়-অসম্ভব একটি ব্যপার কিন্তু আমেরিকা এবং খুব সম্ভব অন্যান্য দেশে এটা অনেক সোজা এবং একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। সুতরাং আপনি আপনার স্বপ্নের সমান বড় এটা মাথায় রেখে এখন থেকেই খোঁজ খবর নিন।
হুমমম এটা ঠিক কথা। এবার মাস্টার্স এ আবেদন করতে গিয়ে দেখলাম। বিষয় পরিবর্তন কোন ব্যাপারনা বাইরের দেশগুলোতে। আমাদের এদিকের দেশগুলোতে এখনও জিনিসটা ভালো করে রপ্ত করতে পারেনি কর্তারা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
“ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স্ব” - এ চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আমার পরিচিত এক সিনিয়র বুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যালে বিএসসি পাশ করে কানাডায় এমএস করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স্বে। আইইউটি থেকে পাশ করা এক বন্ধুর কথাও জানি, যিনি চেষ্টা করছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স্বে উচ্চ শিক্ষা নেবার।
অনেক ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য.
আশা খুঁজে পাচ্ছি.
আরেকটা ব্যাপার। বিষয় বদলে আবার ইলেক্ট্রিকালে ফিরে আসতে চাইবেন নাতো? এই বিষয়টা মনে রাখবেন যে, অনেক সময় অনেকে আবার ফিরে আসতে চান পুরোনো বিষয়ে। এটা কোনো সমস্যা না। কিন্তু সময় আর অর্থ সাপেক্ষ। বাইরে গিয়ে এই দুয়ের বড় অভাব হবে।
আরেকটা পরিপ্রেক্ষিত চিন্তা করতে পারেন। আমার জানা মতে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটা বিশেষ বিষয় হচ্ছে অ্যাপালাইড ফিজিক্স ধরণের পড়াশোনা। এ ব্যাপারে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়াররা আরো বিষদ জানাতে পারবেন। এরকম একটা বিষয় যেটাতে আপনি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নিয়ে ফিজিক্সের অনেক কাছাকাছি থাকতে পারবেন।
শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ, মুল্যবান পোস্ট লেখার জন্য,
আমি একটু বিপদে আছি, আমি আপনাদের সাহাজ্য চাই। আমি,
ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ (ডিপ্লমা) ৩ বসর মেয়াদি
বি এস সি ইন সি এস ই তারপর এম বি এ করেছি, একটি মাল্টি-ন্যাশানাল কম্পানিতে জব করছি ৫ বসরের মত (ইলেক্ট্র-মেকানিকাল)
এখানে ইলেক্ট্রনিক্সএর বিভিন্ন সার্কিট রিপিয়ার এবং মাইক্রক্ট্রলার পোগ্রামিং করি (সি দারা)।
এর আগে আমি কয়েকটা কম্পানিতে আই টি অফিসার হিসাবে কাজ করেছি। একটি ছোট-খাটো অফিসের আইটি সমস্যা সমাধান করতে জতটুকু নলেগ দরকার আশা করি আছে।
এখন আমি উচ্চ সিক্ষার জন্য কোন দিক টি বেছে নিব। আমি সামনে এগুতে চাই দেশে অথবা বিদেশে।
আমি যে ট্রাকে কাজ করছি এই কাজ বাংলাদেশে আর কোথাও তেমন দেখছি না। আমি ইলেক্ট্রনিকস এর কাজ গুলি খুব ভাল বুঝি।
আপনাদের উপদেশের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমেরিকা আর জার্মানীর কথা মাথায় আসছে। মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রামিংয়ে উঁচু মাত্রার চাকুরী খুব সম্ভব এই দুটো দেশে আছে। তবে এ বিষয়টি আমার বিষয় নয় বলে বিষদ জানাতে পারলাম না।
তবে দুটো বিষয় মাথায় রাখতে বলব। এক: কমিউনিকেশন, দুই: উক্ত দেশের একটি ডিগ্রি। প্রথমতঃ আপনার কমিউনিকেশনে, অর্থাৎ জার্মানীর ক্ষেত্রে জার্মান-এ, আর আমেরিকার ক্ষেত্রে আমেরিকান ইংরেজীতে, যদি শক্ত দখল না থাকে তাহলে ভীষণ ভোগাবে। দ্বিতীয়তঃ আমেরিকায় আসলে আমেরিকান ডিগ্রীর যে কি মূল্য সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
তারপরও ইন্ডিয়ান কিছু রিক্রুটিং এজেন্সীর সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। যদিও এরা প্রথম দিকে এক্সপ্লয়েট করবে, কিন্তু এন্ট্রি লেভেলে কাজ পেতে এদের জুড়ি নেই। কাজ পেলে পরে একটা এদেশীয় ডিগ্রী নেবার চেষ্টা করতে পারেন।
আমি একজনকে চিনি, যিনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে আইবিএমে প্রথমে কাজ করতে ঢুকেছেন। সেখান থেকে আমেরিকা। এইরকম একটা পরিকল্পনা করে দেখতে পারেন।
তবে দেশ ছাড়ার আগে বিয়ে শাদী করে নিয়েন। অনেককে দেশ ছেড়ে এসে ভিসার ঝামেলায় বিয়ে শাদী নিয়ে দূর্ভোগ পোহাতে দেখেছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ওৃ ক্রিতজ্ঞ আনার কাছে
আপনার চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার এর ডিলেমা লেখাটার পরিপ্রেক্ষিতে বলতেসি একজন মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট এর ডিলেমা। মেকানিকেল তো একটা বিশাল ফিল্ড। এই ফিল্ড থেকে কোন দিকে গেলে ভাল হবে। মুখস্ত একদম করতে পারি না তাই মুখস্তের বিষয় গুলো তে খুব কষ্ট করে পাস করতে হইসে যেমন metallurgy । নতুন একটা বিষয় দেখলাম computational engineering. এই বিষয় টা কেমন?
প্রথমেই ভুলে যান আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড মেকানিকাল। এরপর চিন্তা করেন যদি গোড়া থেকে শুরু করার সুযোগ থাকতো তাহলে কি পড়তে চাইতেন। এরপর দেখুন সেই ফিল্ডটার ভবিষ্যত কি। এটা নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে থাকতে চান, কি ধরণের কাজ করতে চান এসবের উপর। সবশেষে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে মিলিয়ে দেখুন কতখানি ওভাল্যাপ আছে এবং কতখানি অতিরিক্ত পড়াশোনা করতে হবে এই পরিবর্তনের জন্য।
যদি মেকানিকালেই থাকতে চান তাহলে কয়েকটি বিষয় এখন সম্ভবত ভালো:
১) CAE - সলিড মেকানিক্স, স্ট্রেস অ্যানালাইসিস
২) কন্ট্রোল সিস্টেমস
আপনার টার্গেট মার্কেট আরেকটু ঘেঁটে দেখুন। আমি আপনার স্পেসিফিক বিষয়গুলো জানিনা (এবং এ বিষয়ে এক্সপার্ট নই)। সুতরাং আপনাকে গবেষণা করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যে শাখাতেই যান, একটু প্রোগ্রামিং শিখে নিয়েন। অনেক কাজে আসবে।
আপনার লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো।
আমি বর্তমানে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স করছি যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটি তে। আশা করছি এই বছরের শেষে গ্রাজুয়েশন করব। আমার মেজর রিসার্চ এরিয়া হচ্ছে 4G Cellular Networks। আগে ভাবতাম পিএইচডি করব মাস্টার্স শেষ হলে। কিন্তু এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে চাকরি তে ঢুকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অবশ্য এখন চাকরির বাজার খুব একটা খারাপ না এখানে।
চাকুরী করতে ঢুকলে পিএইচডি তে ফেরত আসা ভীষণ শক্ত হবে। আল্টিমেটলি পিএইচডি করার ইচ্ছা থাকলে এখনই করে ফেলুন।
ভাই একটা বিষয় জানতে চাই, এম এস সি , পিএইচডি অনেক লম্বা পথ, বউ বাচ্চা ছাড়াই কি সবাই এগিয়ে যাচ্চেন? কেরিয়ার এর সাথে ফামিলি একটা ইসু, এই আলোচনায় এর কোন আলোকপাত দেখলাম না। আমাদের সময় জব এর এমন অবস্থা হলে আমাদের সন্তানদের সময় কি হবে?
ভবিষ্যত প্রজন্মের বিষয়টি এই লেখার স্কোপের বাইরে। আপনি চাইলে এ বিষয়ে লেখা দিতে পারেন। আমরা মন্তব্য অংশগ্রহণ করবো।
আমেরিকাতে এত পিএইচডি অথচ আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডির এত খরা। আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। আমার ডিপার্টমেন্টের ৫টা ব্যাচের জন্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত স্যার ছিলেন ৪জন, এবং এদের মধ্যে মাত্র একজন সদ্য মাস্টার্স করা(চেয়ারম্যান)। পরে আমরা আন্দোলন করে আরো চার জন শিক্ষক এনেছি, কিন্তু এদের একজনও পিএইচডি না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টা ডিপার্টমেন্ট। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল প্রফেসর আছেন মাত্র ২জন, ভিসি আর প্রোভিসি। সহযোগী অধ্যাপক আছেন মাত্র ৩ জন।
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি এস সি পাশ করে আমি সফটওয়্যার রিলেটেড ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্স করতে চাচ্ছি। এখন অভিজ্ঞদের কাছে জানতে চাচ্ছি ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি এস সি পাশ করাতে আমি ক্যারিয়ারে বৈষম্যর স্বীকার হব কি না।
নতুন মন্তব্য করুন