উপপত্তির গঠন
একটি কাজ বা ধারণা সঠিক প্রমান করতে এক বা একাধিক বক্তব্যের (বা যুক্তির) সমন্বয়ে গঠিত ভাষ্য বা লেখাকে আর্গুমেন্ট বা উপপত্তি বলে। সাধারণভাবে একটি উপপত্তির তিনটি অংশ থাকে: অনুমিতি, বক্তব্য (বা যুক্তি), এবং উপসংহার।
একটি উপপত্তির যে ধারণাটি লেখক বা বক্তা, পাঠক বা শ্রোতার কাছে প্রমান করতে চান সেটাকে উপসংহার বা কনক্লুশন বলে। এই উপসংহারে যাবার জন্য বক্তব্য (যুক্তি) বা প্রিমাইস ব্যবহৃত হয়। অন্যদিক, অনুমিতি বা এজাম্পশন কে প্রমাণ ছাড়াই সঠিক ধরে নেয়া হয়। সাধারণতঃ উপপত্তিতে অনুমিতি উপস্থিত থাকে না।
একটা উপপত্তি বা আর্গুমেন্টকে যদি একটা বাড়ির মতো চিন্তা করা যায় তাহলে বাড়ির ছাদ হবে উপসংহার। উপসংহার দাঁড়িয়ে থাকে বক্তব্যের পিলারের উপর। এবং বক্তব্য দাঁড়িয়ে থাকে অনুমিতির ভিত্তির উপর।
সমীকরণের মতো যদি চিন্তা করা হয় তাহলে একটি আর্গুমেন্টকে এভাবে উপস্থান করা যায়:
বক্তব্য + (অনুমিতি) = উপসংহার
সংক্ষেপে:
ব + (অ) = উ
ইংরেজীতে:
Premise + (Assumption) = Conclusion
এছাড়া আর্গুমেন্ট ম্যাপ নামের একটি পদ্ধতিতে উপপত্তিকে বিশ্লেষণ করা যায়।
বক্তব্য বা প্রিমাইস দুধরণের। একধরণের বক্তব্য উপপত্তিকে শক্তিশালী করে। আরেক ধরণের বক্তব্য উপপত্তিকে দূর্বল করে। একটা উপপত্তিতে সাধারণতঃ বেশীরভাগ বক্তব্যই শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপপত্তিকে দূর্বল করে এরকম বক্তব্য উপপত্তিতে উত্থাপন করে, সেটা খণ্ডানো হয়।
উদাহরণ
একটি উদাহরণ:
পানুকে হত্যা করতে যে বন্দুকটি ব্যবহৃত হয়েছে তাতে ভিরুর হাতের ছাপ পাওয়া গেছে। উপরন্তু, এতে অন্য কোনো হাতের ছাপ পাওয়া যায় নি। সুতরাং ভিরুই পানুকে হত্যা করেছে।
এখানে বক্তব্য বা প্রিমাইস গুলো:
ব১: পানুকে হত্যা করতে যে বন্দুকটি ব্যবহৃত হয়েছে তাতে ভিরুর হাতের ছাপ পাওয়া গেছে।
ব২: উপরন্তু, এতে অন্য কোনো হাতের ছাপ পাওয়া যায় নি।
উ: সুতরাং ভিরুই পানুকে হত্যা করেছে।
সমীকরণ:
ব১ + ব২ = উ
আরেকটি উদাহরণ:
গর্ভপাত হচ্ছে হত্যা। হত্যা করা অপরাধ। সুতরাং গর্ভপাত হচ্ছে একটি অপরাধ।
এখানে বক্তব্য বা প্রিমাইস গুলো:
ব১: গর্ভপাত হচ্ছে হত্যা।
ব২: হত্যা করা অপরাধ।
উ: সুতরাং গর্ভপাত হচ্ছে একটি অপরাধ।
উপরন্তু এই আর্গুমেন্টটিতে অনেকগুলো অনুমিতি ব্যবহৃত হয়েছে। এই অনুমিতি গুলো বক্তব্যে অনুপস্থিত এবং ধরে নেয়া হয়েছে এগুলো সবক্ষেত্র সত্যি।
অ১: গর্ভপাতের মানেই মানুষের ভ্রূণের হত্যা
অ২: একটি ভ্রূন পূর্ণাঙ্গ মানুষের সমতুল্য।
... ইত্যাদি।
সুতরাং সমীকরণ দাঁড়াচ্ছে:
ব১ + ব২ + অ১ + অ২ = উ
লক্ষ্য করুন যে, একটি বক্তব্য দুর্বল প্রমান করতে:
১) অনুমিতি গুলো ভুল প্রমান করতে হয়
২) বক্তব্যের ক্ষেত্রে বিপরীত বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়
৩) বক্তব্যের ক্ষেত্রে বিপরীত তথ্য উপস্থাপন করতে হয়।
৪) বক্তব্যে বর্ণীত ঘটনাটি তৃতীয় কোনো কারনে ঘটেছে এটা প্রমান করতে হয়।
আর শক্তিশালী করতে এর বিপরীত অবস্থান নিতে হয়:
১) অনুমিতি গুলো সঠিক প্রমান করতে হয়
২) বক্তব্যের ক্ষেত্রে বিপরীত বক্তব্য সঠিক নয় প্রমান করতে হয়
৩) বক্তব্যের ক্ষেত্রে বিপরীত তথ্য সঠিক নয় প্রমান করতে হয়।
৪) বক্তব্যে বর্ণীত ঘটনাটি তৃতীয় কোনো কারনে এটা ঘটেনি প্রমান করতে হয়।
(দ্বিতীয় পর্বে থাকবে যুক্তির সমস্যা নিয়ে আলোচনা)
মন্তব্য
চমৎকার। ।
-উদাহারণটা জব্বর হইছে।
ঘটনার সন্নিবিষ্ট প্রতিটি নিয়ম কি একইভাবে প্রযোজ্য ? নাকি বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যখ্যার দরকার হয়?
[ অটঃ ছোট বেলায় একটা কথা শুনতাম - আর্গুমেন্ট বা প্যাঁচাল এর ব্যাখ্যা নাকি একমাত্র দ্বিতীয় আর্গুমেন্ট এবং এর পরের ব্যখ্যা নাকি ৩য় আর্গুমেন্ট। এবং অতপরঃ চলতেই থাকে ]
ডাকঘর | ছবিঘর
ছোট আর্গুমেন্টের ক্ষেত্রে সন্নিবেশটা দেখা সহজ বলে দেয়া হয়েছে। আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করতে পরপর বক্তব্যের সন্নিবেশ থাকতে হবে। বড় আর্গুমেন্টের ক্ষেত্রে এই বক্তব্য বা যুক্তি গুলো অনেক পর পর উপস্থিত থাকতে পারে।
লক্ষ্যণীয় যে, এখানের দুটো উদারহণের যুক্তিই ফুলপ্রুফ নয়। প্রথম ক্ষেত্রে কোরিলেশনকে কারন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় অনুমিতি ধরে নেয়া হয়েছে কিন্তু সপক্ষে কোনো প্রমান দেয়া হয়নি।
ডাকঘর | ছবিঘর
তবে কি অনুমিতি উপপত্তিতে উহ্য হিসেবে থাকে?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনুমিতির সংজ্ঞামতেই এটা কিছু একটা যেটা সত্য বলে ধরে নেয়া হয়েছে। সুতরাং এটা উপপত্তিতে সাধারণত উপস্থিত থাকে না। তবে কোন কোনো বৃহত্তর বক্তব্যে অনুমিতিকে উল্লেখ করে সেটার সপক্ষে যুক্তি দেয়া যেতে পারে। টেকনিকালি এটা তখন আর অনুমিতি থাকে না, বক্তব্য বা যুক্তিতে পরিণত হয়।
এই অংশটি আরো পরিষ্কার করা দরকার। সাধারণত থাকে না বললে, অর্থ দাঁড়ায় কখনো কখনো থাকে বা থাকতে পারে। কিন্তু হওয়া কি উচিৎ নয় যে "উপপত্তিতে কখনই অনুমিতি উপস্থিত থাকে না"।
এরকম আল্টিমেটাম দেয়াটা বিপদজনক। যেমনটা বলেছি:
কেউ বলতে পারেন এটা অনুমিতি, উপপত্তিতে সিম্পলি অ্যাড্রেস করা হয়েছে। কেউ বলতে পারেন এটা আসলে প্রিমাইস হয়ে গেছে।
সুতরাং বক্তব্যে উপস্থিতির বিষয়টিকে প্রধাণ না ভেবে সংজ্ঞা ব্যবহার করে যাচাই করা জরুরী।
অনুমিতি: যা প্রমাণ ছাড়াই সত্য বলে ধরে নেয়া হয়।
বক্তব্য বা যুক্তি: অনুমিতি, তথ্যের এবং যুক্তির উপর ভিত্তি করে যা উপসংহারের দিকে অগ্রসর হয়।
অর্থাৎ, যদি সঠিক বুঝে থাকি তবে, অনুমিতি যদি উল্লেখ করা হয় এবং সেটার সপক্ষে যদি যুক্তি দিয়ে সেটাকে প্রমানিত করা হয় তখন সেটা আর অনুমিতি থাকে না, তখন সেটাও একটি বক্তব্য হয়ে যায়।
এই বক্তব্যে দ্বিমত নেই। এ কারণেই বলছিলাম যে তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে না যে উপপত্তিতে অনুমিতি থাকে না? তোমার উপরের বক্তব্য অনুসারে শুরুতে সেটা অনুমিতি হলেও সেটা উল্লেখ করার কারণে এবং যুক্তি দেওয়ার কারণে সেটা আর অনুমিতি রইলো না। ব্যাপারটি কি এরকম দাঁড়াচ্ছে?
আরেকটু পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করি। তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে যে সমস্যার উৎপত্তি অনুমিতি উল্লেখ করা আর না করার মধ্যে? অর্থাৎ সমস্যা হয় তখন যখন কেউ বক্তব্য উপস্থাপন করে কিন্তু তার অনুমিতিটাকে উহ্য রেখে দেয় (অথবা জানেই না যে তার বক্তব্যের পেছনে একটা অনুমিতি রয়েছে)।
টেকনিকালি ব্যাপারটা সত্যি। কিন্তু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। তাই সংজ্ঞা বাইরে বেরিয়ে এসে একটা অতিরিক্ত নিয়ম করাটা ঠিক নয়। একটা উদারহরন দেই।
ধরুন, পিথাগোরাসের বিখ্যাত উপপাদ্য প্রমান করা হচ্ছে (গণিত ছাড়া, শুধু আর্গুমেন্ট ব্যবহার করে)। আর্গুমেন্টটা এরকম
এক্ষেত্রে অনুমিতিগুলোর প্রমান দেয়া হয়নি। কোনগুলো অনুমিতি?
অ১: দুটি বিন্দুর মধ্যে কেবল একটি লাইন সম্ভব।
অ২: একটি লাইনকে অসীম ভাবে বর্ধিত করা যাবে।
অ৩: ...
বক্তব্য বা যুক্তি?
ব১: একটি ত্রিভুজের একটি কোন ৯০ ডিগ্রি।
ব২: ...
উপসংহার:
উ: সুতরাং অতিভূজের বর্গ, অন্য দুই বাহুর বর্গের সমষ্টি।
এক্ষেত্রে উপপত্তিতে উপস্থিত থেকেও অনুমিতি গুলো ধরতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু সব অনুমিতি এরকম পরিষ্কার নয়। আমার বক্তব্য সেসবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ঠিকাছে আপাতত। পরের পর্ব আসুক। সামনে হয়তো আরো পরিষ্কার হবে।
ভালো লাগলো, কিন্তু খুব ছোট লেখা। ফুড়ুৎ করে শেষ হয়ে গেলো।
বেচারা অণুকে সবাই মারতে চায়!!
আইডিয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মতো যাতে বোঝা যায় তাই অল্প করে দিয়েছি।
এখন থেকে যখনই আর্গুমেন্ট দেখবেন এখানে এসে সেটার অ্যানালাইসিস উপস্থাপন করুন। এতে অনেক অন্যান্য পাঠকেরা উপকৃত হবেন।
জ্ঞানী পোষ্ট ...
উদাহরনে ব্যবহৃত নামগুলো বদলে দিলাম। সচলদের নামে সাথে মিলে কনফিউশন তৈরী করবে খামাখা।
পরের পর্বটা নিয়ে আমি আগ্রহী। অপেক্ষায় রইলাম।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
চমৎকার পোস্ট। এখন থেকে যে কোনো উপপত্তি দেবার আগে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখবো।
আনকোরা লাগছে। তবুও নতুন কিছু শেখার আগ্রহে আগামী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ, এই বয়সেও নতুন কিছু শেখার সুযোগ করে দেবার জন্য।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ফ্যালাসি অভ ফোর টার্মস।
চমৎকার একটি পোষ্ট। প্রবন্ধ লিখবার সময় যুক্তির এই ধাপগুলোকে ব্যবহার করলে যথাসম্ভব অব্যর্থ হওয়া সম্ভব বলেই তো মনে হচ্ছে।
আচ্ছা, কল্পনার জগতে বিচরণের ক্ষেত্রে এই ধাপগুলো কতটুকু কার্যকরী হতে পারে? নাকি কার্যকরী হবার কোনই সম্ভাবনা নেই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেকদিন আগে একটা লাইন পড়েছিলাম... ''যুক্তিতে ভাঙ্গি মগজের কারফিউ''
ওপরে সচল স্বাধীন ভাইয়ের একটা বক্তব্য এরকম...
অনুমিতি উল্লেখ করলেও সমস্যা হতে পারে। আমি একটু চেষ্টা করছি...
......আমি শুনেছি আমে পোকা থাকে। আজ এক ঝুড়ি আম কিনেছি। এই ঝুড়ির সব আমেই পোকা পাওয়া গিয়েছে। অতএব, বলতে পারি যে সকল আমেই পোকা থাকে।
এই উপপত্তিতে
অনুমিতি --- আমি শুনেছি আমে পোকা থাকে।
বক্তব্য/ যুক্তি --- আজ এক ঝুড়ি আম কিনেছি। এই ঝুড়ির সব আমেই পোকা পাওয়া গিয়েছে।
সিদ্ধান্ত --- অতএব, বলতে পারি যে সকল আমেই পোকা থাকে।
এই উপপত্তিতে অনুমিতি প্রকাশ্যে আছে। এরপর বক্তব্য এসেছে। কিন্তু সিদ্ধান্তটিতে এসে অনুপপত্তি (যুক্তির অভাব) ঘটেছে। কারণ সব আমে পোকা থাকে না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এ বিষয়টি দেখা হয় নি। এক্ষেত্রে একটি অনুমিতি ও একটি যুক্তির আশ্রয়ে একটি ফলের (যা একটি বৃহৎ জাত) পুরো জাত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে খুব অল্প অংশর (স্যাম্পল)উপর ভিত্তি করে। সিদ্ধান্ত নেবার সময় ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ জাতিতে এধরনের উল্লম্ফন বর্জনীয়।
কাজেই অনুমিতি প্রকাশিত হলেও সমস্যা হতে পারে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। এ বিষয়গুলো আশাকরি পরিস্কার হয়ে যাবে।
--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
"আমে পোকা থাকে" এটা এক্ষেত্রে অনুমিতি নয়। এটাই উপসংহার। উপসংহারটি দুবার ব্যবহৃত হয়েছে। প্রমানের পূর্বে। প্রমানের পরে। যেমন:
অনুমিতির ব্যাপারে কি বোঝাতে চাইলেন বোঝা গেলো না।
উপরন্তু, আর্গুমেন্টটি ভুল কারন: ফ্যালাসি অফ কম্পোজিশন।
আমার দেখানো যুক্তিটায় প্রথমে ''শুনেছি আমে পোকা থাকে'' এইটিকে অনুমিতি বলেছি। কারণ এক্ষেত্রে আম দ্বারা পুরো আম ফলের জাতকে নির্দেশ করা হচ্ছে না। আমার বক্তব্য হয়ত আরও পরিস্কার হতো ''শুনেছি কিছু আমে পোকা থাকে'' এভাবে বললে। শেষের ''অতএব, বলতে পারি যে সকল আমেই পোকা থাকে।'' এই সিদ্ধান্তে যুক্তির আরোহ ঘটেছে। এবং একটি অনুপপত্তি ঘটেছে যা আপনি সুন্দর করে দেখিয়েছেন 'ফ্যালাসি অব কম্পোজিশন'' লিঙ্কে।
আমি স্বাধীন ভাইয়ের বক্তব্য মতে দেখাতে চেয়েছিলাম অনুমিতি অপ্রকাশিত থাকলে যেমন সমস্যা হতে পারে, প্রকাশিত হলেও তেমন সমস্যা হতে পারে। আমার উদাহরনে অনুমিতিটি (শুনেছি আমে পোকা থাকে) পরিস্কার প্রকাশিত হয়নি মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন