দ্রুত এবং ধীর চিন্তা - থিঙ্কিং, ফ্যাস্ট এন্ড স্লো

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: সোম, ৩০/০১/২০১২ - ১০:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমস্যা ১: কোনটা পছন্দ করবেন?
নিশ্চিতভাবে ৯০০ টাকা পাওয়া নাকি ১০০০ টাকা পাবার ৯০% সম্ভাবনা?

সমস্যা ২: কোনটা পছন্দ করবেন?
নিশ্চিতভাবে ৯০০ টাকা হারানো নাকি ১০০০ টাকা হারানোর ৯০% সম্ভাবনা?

আপনি যদি অধিকাংশ লোকের মতো হন তাহলে যখন প্রাপ্তির ব্যাপার ছিলো তখন আপনি নিশ্চিতভাবে ৯০০টাকা পাবার সুযোগটি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু যখন হারানোর ব্যাপার ছিলো তখন আপনি রিস্ক নেবার অপশনটি বেছে নিয়েছেন।

অথচ ইকোনমিক্সে বহুল ব্যবহৃত বার্ণৌলির আকাংঙ্ক্ষিত ব্যবহার্য্য তত্ত্ব (expected utility theory) অনুযায়ী এ দু'য়ের কোনো পার্থক্য হবার কথা ছিলো না। বার্ণৌলির তত্ত্বে নির্ঘাৎ কিছু ভুল আছে। এই ভুল কি এবং কিভাবে ভুল শোধরানো যায় তা নিয়ে একটি নতুন তত্ত্ব প্রসপেক্ট থিওরীর জন্ম দেন প্রফেসর ড্যানিয়াল কানেম্যান এবং এমোস ভ্যারস্কি। এরই সুত্র ধরে ড্যানিয়াল কানেম্যান ইকোনমিক্সে নোবেল পুরষ্কার জিতে নেন ২০০২ এ।

থিঙ্কিং, ফ্যাস্ট এন্ড স্লো কানেম্যানের সাম্প্রতিকতম বই (প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০১১)। বইটি সাম্প্রতিকতম মনস্তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে কানেম্যানের প্রায় সমস্ত গবেষণার একটা আলোচনা বলা যায়।

বইটি শুরু হয়ে মানুষের দ্রুত কিন্তু প্রায়শ ভুল করা সিস্টেম ১ এবং ধীর কিন্তু প্রায় সব সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এরকম সিস্টেম ২ নিয়ে। কানেম্যান সিদ্ধান্তে জানান যে, যদিও দ্রুত এবং অনেক সময় দরকারী - সিস্টেম ১ মানুষকে প্রায়শই ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত করে।

দ্বিতীয়াংশে এই সিস্টেম ১ এর আরো কিছু সমস্যা উপস্থাপন করেন। মূল প্রতিপাদ্য হলো মানুষ যখন কঠিন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন সিস্টেম ১ হিউরিস্টিক এবং প্রতিস্থাপন পদ্ধতির মাধ্যমে মূল সমস্যাটির বদলে সহজ সমাধাণ দ্রুত খুঁজে বের করে। এ কারনে বেশীরভাগ সময় এই উত্তর হয় ভুল।

এটা কিভাবে আপনার সিদ্ধান্তকে পরিবর্তীত করে। কিভাবে এর প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এসব নিয়ে বাকি আলোচনা।

বইটার ভালো দিক হচ্ছে অনেক কথা খরচ করে, ছোটো ছোটো ঘটনার মাধ্যমে জটিল বিষয় সহজ ভাবে বোঝানো হয়েছে। দূর্বল দিক হচ্ছে - অনেক ক্ষেত্র মনে হয় লেখক ঠিক কি বলতে চাইছেন সেটা নিশ্চিত নয়।

সব মিলিয়ে মোটামুটি উপভোগ্য, অনেক তথ্যের সম্মীলনে বইটা পড়ার যোগ্য বলেই মনে হয়েছে।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চুম্বক অংশগুলো নিয়ে আরেকটু আলোচনা করতেন! ঢুকতেই শেষ মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পুরো বইটাই চুম্বক অংশে ভর্তি। ৩৮টা চ্যাপ্টারের প্রতিটাই একটা করে কনসেপ্ট আলোচনা করেছেন। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আচ্ছা একটা এক্সপেরিমেন্ট বলি। দুটো দলকে একটা প্রশ্ন করা হলো। কিন্তু ঘুরিয়ে।

প্রশ্ন এক: গান্ধী যখন মারা গেলো তখন তার বয়স ১৪৪ এর বেশী না কম ছিলো?
প্রশ্ন দুই: গান্ধীর বয়স কত ছিলো?

এই দুই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য ছিলো? কত পার্থক্য ছিলো এবং কেনো?

মরুদ্যান এর ছবি

প্রথম প্রশ্নের উত্তর হবে 'কম'। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হবে আরেকটা প্রশ্ন: "কোন সালের কথা বলছেন?" দেঁতো হাসি
এটাও কি সিস্টেম-১ আর সিস্টেম-২ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত?

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

প্রোবাবিলিস্টিক হিসাবে প্রশ্ন ১ এর উত্তর দেয়া মনে হয় বেশি সোজা, তাই না? যেহেতু সাধারণ মানুষের বয়স ১৪৪ হবার প্রায়র প্রবাবিলিটি কম, তাই উত্তরে না বলা যায়..অনেকটা এই রকম কি?

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

ভয়াবহ বিষয় মুর্শেদ ভাই। বইটা পেলে জোশ হইতো। দেখি খোজ করতে হবে। তবে আপনাকে অনুরোধ জানাই, যদি আপনার কাছে থাকে তবে সিরিজাকারে এইটার এই বিষয়গুলো নিয়ে লেখার। ওঁয়া ওঁয়া

আপাতত আপনার দেয়া এই প্রশ্ন নিয়ে আমার ভাবনা আপনাকে জানাই।
প্রথম প্রশ্নটা কিছুটা তুলনামূলক যেখানে আমার মূল নজর ছিলো ১৪৪ এর দিকে অর্থাৎ গান্ধীর মৃত্যুর সময় বয়স ১৪৪ এর বেশি না কম সেইটা আমি প্রধান বিবেচ্য ধরেছি। অবশ্য এইখানে আরেকটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত "গান্ধী যখন মারা গেলো" অর্থাৎ বয়সটা জানতে চাওয়া হয়েছে মৃত্যু অবধি।

অন্যদিকে দেখুন দ্বিতীয় প্রশ্নে সরাসরি জানতে চাওয়া হয়েছে গান্ধীর বয়স কত ছিলো। প্রথম প্রশ্নে একটা সম্ভাবনা বা ক্ষেত্র জুড়ে উত্তরের বিস্তৃতি আছে কিন্তু দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর একেবারে To The Point যাকে বলে। অবশ্য এক্ষেত্রেও উত্তরদাতা একটা সম্ভাবনাময় উত্তর দিতে পারেন যেমন, "গান্ধীর বয়স ১৪৪ এর কম ছিলো"। কিন্তু এই উত্তরের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের কোনো শর্ত নেই অর্থাৎ এইখানে গান্ধীর বয়স কখন কত ছিলো, তাঁর মৃত্যুর সময় নাকি বিয়ের সময় নাকি অহিংস আন্দোলনে যোগদানের সময় এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। কিন্তু সাধারণ পাঠকের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী "গান্ধীর বয়স কত ছিলো" এমন প্রশ্ন শুনলেই মনে হতে পারে গান্ধী কত বছর বেঁচেছিলেন এইটা জানতে চাওয়া হচ্ছে।

আমার কাছে প্রথম প্রশ্নে আরেকটা কৌতূহল আছে বলে মনে হয়েছে। সেইটা হলো, বয়সের মান অর্থাৎ ১৪৪। কারও বয়স ১৪৪ শুনলে শুরুতেই খটকা লাগতে পারে এত বছর এখন কেউ বাঁচে কিনা। সেক্ষেত্রে উত্তরদাতার "১৪৪ এর কম" এর দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়ে যায়। সে না জানলেও আন্দাজে এইটা বলতে পারে। আবার এটাও অস্বাভাবিক নয় বলে মনে হয় যে, প্রথম প্রশ্ন করার পরে প্রশ্নকর্তাকে উলটো উত্তরদাতা প্রশ্ন করতে পারে, "১৪৪ বছর কেউ বাঁচে নাকি?" দেঁতো হাসি

আপাতত এক ঝটকায় আপনার এই দুই প্রশ্ন দেখে এইসব হাবিজাবি মাথায় এলো। আপনার কাছে ব্যাপারটা আরও বিস্তারিত জানতে চাই। ওঁয়া ওঁয়া

অতীত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেখা গেছে দুটো উত্তরের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। ১৪৪ উল্ল‌্যেখ করা হয়েছে যাদের কাছে তাদের উত্তর ১৪৪ এর আশেপাশেই ছিলো। অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর ছিলো অনেক কম।

এর কারণ হলো এঙ্করিং। মানুষকে যে বিষয়টা বলা হয় সেই বিষয়ের উপর মানুষের সিস্টেম ১ কগনিটিভ বায়াসে আক্রান্ত হয়। তাই উত্তর প্রশ্নের উল্লেখিত 'হিন্টের' ধারে কাছেই থাকে। যেহেতু সঠিক উত্তর জানা নেই তাই প্রশ্নে উল্লেখিত 'হিন্ট' কে খড়কুটার মত আঁকড়ে ধরে সিস্টেম ১।

ঠিক এই কারনেই যে বিক্রেতা উঁচু দাম যায় তারা অন‌্যদের চেয়ে উঁচু মূল্য পেয়ে থাকে। দরদামের ক্ষেত্রে যদি দেখেন যে বিক্রেতা উঁচু দাম চেয়েছে তাহলে আপনার কম দাম বলার উপায় নেই। কেননা ১) হয় আপনি এঙ্করিং এর প্রভাবে বেশী দাম দিতে রাজি হয়ে যাবেন, নতুবা ২) এত কম দাম বলে ফেলবেন যে বিক্রেতা পালাবে। এক্ষেত্রে দুটো কাজ করা যায় - ১) বিক্রেতাকে দ্বিতীয় দাম বলতে উদ্বুদ্ধ করা ২) রাগ দেখানো (মাথা খারাপ নাকী? এই জিনিসের এত দাম??? পাশের দোকানে গেলাম গিয়া...)।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার বিস্ময় অন্যখানে ! গুলিস্থানের হকাররা অর্থনীতির এই তত্ত্ব আগে থেকেই জেনে গেলো কেমনে !! তাজ্জব !!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সদানন্দ ঘরামী এর ছবি

এরকম একটা সহজ অঙ্ক আমি জানি। একটা কলমের দাম পেনসিলের দামের চেয়ে ১০০টাকা বেশি। দুটোর দাম একসাথে ১০৫ টাকা হলে কলমের দাম কত?

মরুদ্যান এর ছবি

কলমের দাম ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু আমি কি পোস্ট বুঝছি নাকি সেটাই বুঝতে পারছিনা? ইয়ে, মানে... এই অংক এই পোস্টের সাথে কি করে সম্পর্কযুক্ত??

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা সিস্টেম ১ এর একটি প্রতিক্রিয়া। আপনি যদিও জানেন যে উত্তরটি অংক কষে বের করতে হবে, তবুও প্রশ্নটি দেখার সাথে সাথে আপনার মনে ১০০ উত্তরটি ফুটে উঠেছে। আপনি এই উত্তরটি ইগনোর করে সিস্টেম ২ ব্যবহার করে অংক করতে শিখেছেন বলে সিস্টেম ১ এর জেনারেট করা উত্তর আপনি সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। বিভিন্ন উঁচু মানের ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে বেশীরভাগের উত্তর ছিলো ১০০।

কিম্ভূত এর ছবি

একদম ঠিক। মন আঁকুপাকু করছিল সিস্টেম ১ ফলো করতে, কিন্তু... হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো । চলুক
আরেকটু বিশদে কিছু লিখুন না ।

আরো চাই । আরো চাই ।
খুব ভালো থাকবেন ।

দ্রোহী এর ছবি

ধুর মিয়া, পোস্টারে নায়িকার উরু দেখায়ে হলে টেনে এনে পায়জামা পরা পা দেখালে কেমনে কী? এইরাম ইন্টারেস্টিং গ্রন্থালোচনা এত ছোট কেন? মন খারাপ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক
একটা সিরিজ করেন মুর্শেদ ভাই। আটত্রিশটা চ্যাপ্টার নিয়ে আটত্রিশ পর্বের একটা সিরিজ হোক। অনিয়মিত হোক, কিন্তু হোক হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বই লাইব্রেরী থেকে নিয়ে আসা। আজ ফেরৎ দিবো। মন খারাপ

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক ..... বিস্তারিত লিখলে ভালো লাগবে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বিস্তারিত জানতে আগ্রহী। সময় ও সুযোগ থাকলে সেটা করা যায় কিনা ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম ওই বই পড়তে মন চায়। তবে সহজ অনুবাদ হিসেবে। বসে পরলাম পপ্পন নিয়ে। দেঁতো হাসি

শামীমা রিমা এর ছবি

এটা কি হলো ? সবে মাত্র এক মগ কফি নিয়ে আয়েশ করে পড়তে বসলাম আর শেষ !!!!

চলুক

চরম উদাস এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

টিউলিপ এর ছবি

মিয়া দেখাইলেন মুরগি খাওয়াইলেন ডাইল। মন খারাপ

সিরিজ হোক। হাসি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নিটোল এর ছবি

শুরু হইয়াই হয়া গেল শেষ! ওঁয়া ওঁয়া

_________________
[খোমাখাতা]

উচ্ছলা এর ছবি

ছোট বেলায় ম্যাকগাইভার দেখার চরম ক্লাইম্যাক্সের সময় হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলে যেরকম হাহাকার করতাম, এই লেখাটা ফটাশ্ করে শেষ হওয়াতেও একই আর্তনাদ ধ্বনিত হলো মন খারাপ

আপনাকে তীব্র ধিক্কার !

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাসি কিন্তু আপনার জন্য একটা ধাঁধা।

এক আইনজীবি জেলের আসামীদের আপিলের রায় দিয়ে থাকেন। দিনের বিভিন্ন সময়ে রায়ের ফলাফল যাচাই করে দেখা গেলো...। রায়গুলো কি দিনের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন হয়, নাকি একই থাকে? কেনো?

উচ্ছলা এর ছবি

এমনিতেই মাথার চুল পেকে যাচ্ছে, মনোকষ্টের সীমা নাই...আপনি আবার এ কি শুরু করলেন?!

দেখি জ্ঞানীগুনী দোস্তদের জিজ্ঞেস করে। উত্তরটা যে আমারই মস্তিষ্কপ্রসূত হতে হবে, তা কিন্তু স্পষ্টভাবে আপনি উল্লেখ করেননি দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অসুবিধা নাই। দোস্তদের জিজ্ঞেস করে দেখেন। হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেখা গেছে সকাল এবং দুপুরের খাবার খেয়ে বসলে জাজ সাহেব বেশী আপিল গ্র্যান্ট করে থাকেন। যতই খিদা বাড়তে থাকে রায়ের ততই নেগেটিভ হতে থাকে। হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই ছবিটি দেখুন। ছবি দুটির লাইন দুটো কি একই আকারের? যদি আপনি আগে এই ইলিউশনটি দেখে থাকেন তাহলে হয়ত আপনি সঠিক উত্তর জানেন। কিন্তু তারপরও কি আপনার দুটোকে একই আকারের মনে হচ্ছে? কেনো?

উচ্ছলা এর ছবি

এইটার উত্তর আমি জানি...ক্যাঁকো... ক্যাঁকো... দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কিন্তু তারপরও কি আপনার দুটোকে একই আকারের মনে হচ্ছে? কেনো?

উচ্ছলা এর ছবি

দুটো রেখার একই দৈর্ঘ্য।

নিচের রেখাচিত্রটিকে দেখতে বড় লাগছে। কারন ওটার শিং দুইটা প্লাস লেজ দুইটা বাইরের দিকে তেড়েফুঁড়ে আছে। আর উপরের রেখা চিত্রটি ভদ্রভাবে মাথা, শিং, লেজ সব ভেতরের দিকে নিয়ে বসে আছে বলে ছোট লাগছে দেখতে দেঁতো হাসি

উত্তর সঠিক হলে লাড্ডু পাঠিয়ে দিয়েন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনি ইলিউশনটি কেনো ইলিউসিভ সেটার ব্যাখ‌্যা দিলেন। কিন্তু পুরো ব্যাখ্যা জানার পরও আপনার কেন মনে হচ্ছে লাইন দুটো সমান নয়?

এর কারন হচ্ছে সিস্টেম ১। মানুষের সিস্টেম ১ বড় বোকা। সহজেই এই রকম ইলিউশনে ধোঁকা খেয়ে যায়। আমাদের সিস্টেম ২ কে এসব ক্ষেত্রে টেইক ওভার করতে হয়। সিস্টেম ১ এর রেসপন্সকে অবদমিত করে উত্তর দিতে হয় - লাইন দুটো সমান।

চরম উদাস এর ছবি

অ্যাঁ আমার কাছে তো প্রথম লাইনটা বড় মনে হচ্ছে। তবে কি আমার সিস্টেম পুরাই উল্টা ইয়ে, মানে...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার সিস্টেম সোজা ছিলো কবে? চিন্তিত
খাইছে

ফাহিম হাসান এর ছবি

জটিল লেখা। এরকম পোস্ট আমার বড়ই প্রিয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ইন্টারেস্টিং

রণদীপম বসু এর ছবি

এইটা একটা ফাঁকিবাজি পোস্ট ! কারণ আমার দুটো প্রশ্ন-
১) মুর্শেদ ভাই ফাঁকিবাজ। আপনি কি একমত ?
২) মুর্শেদ ভাই কি ফাঁকিবাজ নন ? আপনি কি দ্বিমত পোষণ করেন ?

এবার দেখি সঠিক উত্তরটা কে দিতে পারেন ? আমি কিন্তু এখানে উত্তর দেবো না। কারণ উত্তর আমি দিয়ে ফেলেছি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

যদিও সিস্টেম ১ অনুযায়ী (এবং এই পোস্ট অনুযায়ীও বটে) খুব ইচ্ছে করছে আপনার সাথে একমত হয়ে ফাঁকিবাজ বলতে; কিন্তু ওই সিস্টেম ১ কে পাত্তা দিলে তো হবে না। কারন আমার সিস্টেম ২ বলছে যে উনার আগের পোস্টগুলি কত্ত ভালো। একটুও ফাঁকিবাজি নাই। এইবারেরটা একটা মিস্টেক। তাই উনি ফাঁকিবাজ নন। দেঁতো হাসি

shafi.m এর ছবি

চলুক কৌতূহলোদ্দীপক

শাফি

নৈষাদ এর ছবি

খুবই কৌতূহলোদ্দীপক, কিন্তু দ্রুতই শেষ হয়ে গেল। কিছু কিছু মন্তব্যও মজার। আশাকরি আরও এক দুই কিস্তি আসবে।

নৈষাদ এর ছবি

খুবই কৌতূহলোদ্দীপক, কিন্তু দ্রুতই শেষ হয়ে গেল। কিছু কিছু মন্তব্যও মজার। আশাকরি আরও এক দুই কিস্তি আসবে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আজই ডাউনলোড করলাম, ৫৩৩ পৃষ্ঠা। দেখি কতদিনে শেষ করতে পারি... হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সোয়া চারশ পর্যন্তই আসল কন্টেন্ট। পরে দুটো পেপার আছে। ও দুটো না পড়লেও চলবে। গুডলাক।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ওক্কে!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।