এটা খুবই প্রচলিত একটি লজিক্যাল ফ্যালাসি। বিশেষ করে ধার্মিক বা বিশ্বাসীরা এই যুক্তি খুব ব্যবহার করেন। বুশের একটা বিখ্যাত সার্কুলার রিজনিং হচ্ছে:
"The reason I keep insisting that there was a relationship between Iraq and Saddam and Al Qaeda is because 'there was a relationship between Iraq and Al Qaeda.' "
যুক্তির গঠন অনুযায়ী ভাগ করলে:
উপসংহার: আমি ইরাক আর সাদ্দামের সাথে আল কায়েদার সর্ম্পক আছে ধরে নিচ্ছি
প্রিমাইস: কারন ইরাক আর সাদ্দামের সাথে আল কায়েদার সর্ম্পক আছে
অর্থাৎ যেটা প্রমান করতে চাচ্ছেন বুশ সাহেব সেটাকেই যুক্তি বা প্রিমাইস হিসেবে উপস্থাপন করছেন। সাধারণভাবে এটাকে এভাবে প্রকাশ করা যায়:
উপসংহার: A নামের বিষয়টি সত্য।
প্রিমাইস: কারণ, A নামের বিষয়টি সত্য।
লজিকাল ফ্যালাসিটি এক্সপ্লেইন করা খুব সহজ হলেও এটি ধরা অনেক সময় বেশ শক্ত হয়েযায়। এটা উদাহরণ দেই:
"আল্লাহ আছে। কেননা কুরআনে বলা আছে এই পৃথিবীর, পৃথিবীর উপর মানুষ এবং এই বিশ্বব্রক্ষান্ড আল্লাহ তায়ালা তৈরী করেছন। তিনি আমাদের জীবন বিধান হিসেবে কুরআন নাজিল করেছেন। আর সেই কুরআনেই বলা আছে আল্লাহ সর্বদা বিরাজমান। সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই আছে।"
যুক্তির গঠন অনুযায়ী ভাগ করলে:
প্রিমাইস: কেননা কুরআনে বলা আছে এই পৃথিবীর, পৃথিবীর উপর মানুষ এবং এই বিশ্বব্রক্ষান্ড আল্লাহ তায়ালা তৈরী করেছন।
প্রিমাইস: তিনি আমাদের জীবন বিধান হিসেবে কুরআন নাজিল করেছেন।
প্রিমাইস: আর সেই কুরআনেই বলা আছে আল্লাহ সর্বদা বিরাজমান।
উপসংহার: সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই আছে।
অর্থাৎ যেটা প্রমান করতে বলা হচ্ছে সেটাকেই প্রমান হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। ছবি আকারে:
কোলবেয়ার রিপোর্টে সার্কুলার রিজনিং নিয়ে কৌতুক।
The Colbert Report
Get More: Colbert Report Full Episodes,Political Humor & Satire Blog,Video Archive
এখন থেকে আমাদের মন্ত্রীদের কেউ সার্কুলার রিজনিং ব্যবহার করলে ধরতে পারবেন তো?
মন্তব্য
ছোট খাট অসাধারণ পোস্ট, রায়হান আবীরের বইয়ে এই পোস্টের কাছাকাছি একটা চ্যাপ্টার আছে !
আপনার এই পোস্টটাতে অনেক কম কমেন্ট আসবে আমি বলে দিতে পারি। কেন জানেন? এখানে কোরআন আর আল্লাহ এই দুইটা শব্দ আছে, তাই ভয়েই অনেকে কমেন্ট করবেনা।
বেশির ভাগ মানুষ হুদাই ভয় পায়। আজ সকালেই এই বিষয় নিয়ে এক তুর্কী পাঁঠার সাথে আলাপ হইল। ফ্রেন্স ক্লাসে প্রফেসর সবাই কে জিগাইল কে কি ধর্ম পালন করে? দশ জন ছাত্র ছাত্রীর মাঝে তিন জন বিশ্বাসী আর বাকিরা সব কাফের। বিশ্বাসীদের মাঝে তুর্কী ওই বালক তাঁর ধর্ম কি জিগাইতেই বলে “আলহামুলিল্লা মুসলিম”। প্রফেসর বলে তোমাকে তো আমি আলহামদুলিল্লা বলতে বলি নাই সে বলল এটা নিয়ম। কোরআনে আছে। মুসলমান হিসাবে পরিচয় দেয়ার আগে আলহামদুলিল্লা বলতেই হবে। প্রফেসর বেশ বিরক্ত হইলেন।
আমার মতো আরেক কাফের ওই বালক কে জিগাইল কোরআন যে সত্য তাঁর প্রমান কি ? সে বলে এইটা আল্লার বানি। কাফের আবার জিগাইল আল্লা যে সত্য এইটার প্রমান কি ? সে কয় কোরআনে আছে।
কি বিপদ বলেন। আমি খালি হাসি আর মনে মনে কই শুরু হইল তেনা পেচানি
সারর্কুলার রিজনিং ব্যবহার করে যারা তাদের সাথে কথোপকথন চালানো দায়। মনে হবে একটা টেবিলের চার দিকে দৌড়াচ্ছেন। আপনি একটা উপসংহার খন্ডাবেন তারা তার উত্তর দিবে তার সার্কুলার যুক্তি দিয়ে। আপনি সেই যুক্তি খন্ডাবেন সে গিয়ে দাঁড়াবে আরেক উপসংহারে।
একটা ক্লাসিক কৌতুক:
: আপনার বাড়ি কোথায়?
: আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে।
: আপনার শ্বশুর বাড়ি কোথায়?
: আমার বাড়ির সামনে।
তুর্কি লোকটা আসলেই পাঠা, ইসলামের ফার্স্ট assupmtion হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্সাস|এইটা নিয়া পেচানোর কিছু নাই|যেকোনো মুসলিম এইটা বিশ্সাস করেই ইসলাম পালন করে|
টাইপো।
আমি মুস্লিম এটা বলার আগে আল্লাহ-র প্রসংশা করা ভাল যেসচার বলে ধারণা করা হয় ইসলামে। কুর'আনুল কারীম আর আল্লাহ-র নাম থাক্লেই লোকজন ভয় পায় না, তবে ধর্ম নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো অনেকের পছন্দ নয়।
টার্কিশ পাঁঠা কেন? মুস্লিম= পাঁঠা? নাকি টার্কিশ=পাঁঠা? আপ্নার স্টেটমেন্টা রেসিস্ট নাকি ইসলামোফোবিক, নাকি দুইটাই?
জ্বি। সে সাথে এটাও ত্যানা প্যাঁচানো,
মডারেট মুসলমান নামের এই জাতটির কাজ কর্ম খুবই মজাদার। ইসলামের নাম করে হাজার অপকর্ম করলেও এরা মুখ থেকে ১টা শব্দও বের করে না। আর কেউ যখন বলে কেন এসব করা হচ্ছে, তখনই উনাদের সুশীলতা উপচিঁইয়ে পরে। আপনার ধর্ম আপনার মসজিদ আর ঘরে সীমাবদ্ধ রাখলেই কেউ এসব প্রশ্ন করত না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ ধর্মাবলম্বী যেকোন ভাবেই হোক তাদের ধর্মের নিয়ম কানুন সবার উপরে চাপিয়ে দিতে চায়। আর এই ক্ষেত্রে যে মুসলমানেরাই সবচেয়ে এগিয়ে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। অন্য দেশে গেলেও সেখানকার সংস্কৃতি মেনে নেওয়া তো দূরে থাক, উলটো সেদেশের সবাইকে কিভাবে ইসলামী (আরব) সংস্কৃতির ছায়াতলে আনা যায় সে চেষ্টায় তাদের কোন ত্রুটি থাকে না
হাহাহা সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার হাতি মার্কা মন্তব্য দেখে বিনোদিত হইলাম। আমি অবশ্য জানতাম দুই একজন তেরে আসবে ঈমানি জোশ নিয়ে।
টাইপ মিস্টেকের জন্য দুঃখিত বাকি কিছুর জন্য দুঃখিত না।
তুর্কি ছেলেটাকে পাঁঠা বলার কারন জাতীগত কিংবা ইস্লামফবিয়া কোনটাই না। কারন হচ্ছে সে নানান ভাবে প্রমান করতে চাইল তাঁর ধর্মীটাই সবচেয়ে বেশি সাইন্টিফিক বাকি গুলাতে অনেক লিমিটেশন আছে। এক পর্যায়ে প্রফেসর থামায়ে দিয়ে বললেন তোমাকে যে প্রশ্নটা জিজ্ঞাস করা হয়েছে ঠিক তাঁর উত্তর দিবা অন্য কোন বাড়তি কিছু বলার দরকার নাই। আমি ও প্রফেসর কে সমর্থন করি কারন ক্লাসের সবাই যদি নিজের ধর্মটাই বেষ্ট প্রমান করার চেষ্টা করে এক পর্যায়ে ক্লাস আর ক্লাস থাকবেনা।
যাইহোক ব্লগে তেনা পেচাতে ভাল লাগেনা আপনি বরং তেনা ভাজ করে রেখে দেন। আজাইরা কাজে সময় দেয়ার সময় নাই।
এগুলো কি লজিক্যাল ফ্যলাসি?
১)এখানে যারা comment করবেনা, তারা (সবাই/almost সবাই) coward
২) এখানে যারা comment করবেনা, তারা (সবাই/almost সবাই) কোরআন আর আল্লাহ এই দুইটা শব্দ আছে, এই ভয়েই কমেন্ট করবেনা।
আপনার comment টা অতি-উতসাহী; sort of "jumping into conclusion".
When I speak in English, my wife says, "Stop your futile effort to immitate native accent, it sounds unnatural". However, I always maintain that, unnatural it may sound, it comes out of my mouth spontaneously.
এইটা mention করলাম, কারন কাউকে কাউকে religeon, alcohol, pork etc. নিয়ে আলোচনাতে আগ বাড়িয়ে কিছুটা carried away হয়ে unnatural show off ("see I am the biggest non-believer") করতে দেখা যায়। Of course they can also say that it may nay be unnatural in others' eyes, but it's their spontaneous response. But I always wondered whether others had the same feeling sometimes (regarding people showing off their activities against the trend). Show off যারা করে তারা খুব একটা strong non-believer (or defiant of the trend) না বলেই আমার মনে হয়।
Disclaimer: কেউ Believer/non-believer কিনা সেটা নিয়ে আমার কোনো headache নাই। Mixed বাংলা এবং English কয়েকটা দিন একটু ছাড় দিন পাঠক।
(অনেক) অবিশ্বাসীদের বহুল ব্যবহৃত ফ্যালাসির একটা হলো Hasty generalization। ধর্মের একাংশের সমস্যার কারণে সমগ্র ধর্মকে সমস্যাগ্রস্ত বা কোনো ধর্মীয় জনগোষ্ঠিকে 'খ্রাপ' সাব্যস্ত করার তাড়াহুড়া অদেখা নয়। কিন্তু এটা নিয়ে তেমন একটা আলাপ হয় না এ কারণে যে (সেই অনেক) অবিশ্বাসীরা প্রধানত এটা নিয়ে এখনো সচেতন নন অথবা হয়তো (সেই অনেকেরা) নিজেদের ’infallible’ ভাবেন এবং বিশ্বাসী গোষ্ঠির পক্ষ থেকে ফ্যালাসি-সচেতন তর্ক উত্থাপনের ঘটনা কমই ঘটে (আমার দেখায়) [যে তারা সেই অনেক অবিশ্বাসীর এই ত্রুটিটা তুলে ধরবেন।] তার মানে কিন্তু আমি এইটা বলতে চাইছি না যে ফ্যালাসি-সচেতন ভাবনা-চিন্তা ধর্মীয় গোষ্ঠির পক্ষে অসম্ভব বা এর জন্যে তাদের আগে 'অধার্মিক' হয়ে উঠতে'ই' হবে। তবে ফ্যালাসি সচেতনতায় আখেরে কল্যাণই আছে বলে বোধ হয়।
এটা নিয়ে আরেক পর্বে আলোচনা করবো। একটা দলের কয়েকজনের একটা বৈশিষ্ট্য আছে, তার উপর ভিত্তি করে সেই দলের সবারই সেই বৈশিষ্ট্য আছে ধারণা করা হলো রেসিজমের একটা ভিত্তি। এর উল্টো যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু একটি দলের অধিকাংশের একটি বৈশিষ্ট্য আছে তাই, দলের যে কোনো একজনকে আলাদা করলে তার মধ্যে সেই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে।
একটা "এমন সম্ভাবনা আছে" মনে হয় যোগ করা দরকার। নাহলে উদ্ধৃত অংশটা লজিক্যালি ফলো করে না। অথবা এটাকে হয়তো 'কু'যুক্তি বলতে চেয়েছিলেন। যাহোক, এটা নিয়ে আরেকটু আগাই।
ওই বাক্যে "এমন সম্ভাবনা আছে" যোগ করলে সেটা probabilistic argument-এ পরিণত হয়, যেটার উপর ভিত্তি করে একক ব্যক্তির উপর deductive বক্তব্য দেয়া আর চলে না। আবার "একজনকে আলাদা করলে" "সেই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে" এমন আশা করার মধ্যে সেইজনের অহেতুক হেনস্তা হওয়ারও আবার সুযোগ থাকে, যেটা রেসিজমের আরেক প্রকারের ভিত্তি।
আর probabilistic argument এর ভিত্তিতে এইভাবে deductive উপসংহার টানা অনেক বিশ্বাসীরও কিন্তু প্রিয় রকমের আর্গুমেন্ট। ধর্মীয় দাঙ্গায় এর একটা বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। এটাই কিন্তু Hasty generalization এর একটা রূপ। এই ভয়ানক ফ্যালাসি থেকে যে বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক নির্বিশেষে গোটা মানবকুলই মুক্ত না, সেইটাই বলতে চাইছিলাম।
কুযুক্তি বলতে চেয়েছিলাম।
ব্লগে আমার দেখা প্রায় ৯০% বিশ্লেষণধর্মী লেখা এই রোগে আক্রান্ত। এই লেখাটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এইটা শুধু অবিশ্বাসীদের নয়, জাতীয়তাবাদীদেরও ফ্যালাসি। শুধু তাই না, মার্কেটে "ব্র্যান্ড নেম" ব্যাপারটা এই ফ্যালাসিকে কাজে লাগিয়েই গড়ে ওঠে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধর্মের একাংশের সমস্যা বলতে আপনি ঠিক কি বুঝাতে চাচ্ছেন? যখন বাইবেলে শেখানো হয়, খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা না নিয়ে এমনকি যদি একটি শিশুও মারা যায়, তবু তাকে অনন্তকাল নরকে গড়াগড়ি খেতে হবে, তখন একে আপনার বিচ্ছিন্ন বা একাংশিক সমস্যা মনে হয়? যখন বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গিটা এরকম যে, ভিন্নমতাবলম্বীরা চোর, ডাকাত, খুনির চেয়েও বড় অপরাধী এবং নরকের ভয়াবহতম শাস্তির তুলনায় কিছু কম শাস্তি দিয়ে বরং পৃথিবীতেই এদের দীক্ষিত করা ভাল, তখন বাইবেলিয় ধর্মের অংশবিশেষের সমস্য বলবেন একে? ধরুন, বাইবেলিয় ধর্মের সকল বিশ্বাসী অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করল এইসব কথা আর নেমে পড়ল ডাইরেক্ট একশানে, তখনো বল্বেন সমগ্র ধর্মগোষ্ঠিকে খ্রাপ বলা দোষের? আমাদের ভাগ্য ভাল যে, সব বিশ্বাসী অক্ষরে অক্ষরে পালন করে না বাইবেলের নির্দেশনামা! এটা ঐ সকল বিশ্বাসীর একটা অযোগ্যতাও বটে!
বাইবেল অক্ষরে অক্ষরে মানাটাই খ্রিস্টান ধর্মের একমাত্র রূপ সেইটা আপনারে কে বলল? ধর্মের বড় রিজিড রূপ কল্পনা করছেন আপনি, যেনো কোথায় খোদাই করে লেখা আছে অমুকটাই খ্রিস্টান ধর্ম, বাকিগুলা হলো অযোগ্য খ্রিস্টানদের বিশ্বাস। তাহলে আহমদিয়্যা গোষ্ঠির বিশ্বাসকেও কি আপনি জামায়াতে ইসলামীর সাথে সুর মিলায়ে বলবেন যে সেটা অনৈস্লামিক? ধর্মকে এভাবে রিজিডরূপে মোল্লারা দেখায়ে আসছেন। এতো সফলভাবে দেখাইছেন যে অনেক নাস্তিকও ধর্মসংক্রান্ত তর্কে মোল্লাদের সংজ্ঞায়িত ধর্মের আদলে ধর্মরে দেখে। ঠিক এ নিয়াই তো নাস্তিক মুসলমান আর খোদার প্রকোপের বাইরে লেখা দুটা লিখছিলাম। আপনি পড়ে নাকি উদ্বেলিতও হয়েছিলেন। যাহোক। খ্রিস্টানেরা বাইবেলকে না মানাটা ধর্মীয়ভাবেই মোকাবিলা করেছে। ইহুদিরাও শনিবার কাজ করে এমন লোককে খুন না করাটা ধর্মীয়ভাবে মোকাবিলা করেছে। 'অযোগ্যতার' মাধ্যমে না। ধার্মিক যা মানে, সেটাই ধর্ম। ধার্মিকের উপর গ্রন্থ চাপায় মোল্লারা। আপনিও যেমন গ্রন্থ না মানা ধার্মিকদের অযোগ্য শুধাইলেন, তাতে কি তাদের প্রতি সুবিচার হইলো? ধার্মিক যদি গ্রন্থ না মেনে ধর্মকর্ম করতে পারে, সেটারে তার যোগ্যতাই বলা দরকার। ধার্মিক নিজের বিচারে সুদ মদ খেলে জেনা করলে তারে অযোগ্য শুধায় মোল্লারা, কারণ মোল্লার ধর্মীয় মাপকাঠি গ্রন্থ। সুদ মদ খাওয়া ধার্মিক আবার নিজের কাছে ঠিক থাকে, কারণ ধার্মিকের ধর্মীয় মাপকাঠি অতোটা গ্রন্থ না, যতোটা তার নিজস্ব বিশ্বাস। এখন আপনি তারে অযোগ্য শুধাবেন কোন বিচারে? মোল্লার সাথে সুর মিলাবেন ক্যান? তাদের অযোগ্য বলা মানে আপনি হয়তো বল লাইনে এনে খেলতে চাইছেন।
জবাবটা ভালু পাইছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাক্যটার ভাবগত অর্থ মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো। ধর্মকর্মও করবে, আবার সংশ্লিষ্ট ধর্মগ্রন্থও মানবে না, বিষয়টা কেমন হয়ে গেলো না ! যদি সততার বিচারের আসি, তাহলে মোল্লারাই এখানে সৎ বলতে হবে। আর যে নাকি ধর্মকর্মও করবে আবার ধর্মগ্রন্থও মানবে না, সেটা তার যোগ্যতা নয়, ভণ্ডামি। স্বাভাবিক যুক্তিতে তাই কি বলে না ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এখান ধ্রুব বর্ণন যদি প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের জায়গায় ব্যক্তির নিজস্ব ধর্মদর্শনের কথা বুঝিয়ে থাকেন, তা হলে বিষয়টি বোধগম্য হয়, তা না হলে মাথার উপর দিয়েই যায় বৈকি।
ব্যাপারটা মনে হয় একটু প্যাঁচালো। আমি একটু ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করি, মানে আমি যেভাবে বুঝি সেভাবে আরকি।
মনে করি, এখনকার বাংলাদেশের ৯০% বা ৯৫% এর কথা বলছি। এরা সবাই নিঃশর্তভাবে ধর্ম পালন করে, সেটা ইসলাম হোক বা অন্য যেকোন ধর্মই হোক। এই ৯৫% লোক কিন্তু মডারেটেডভাবে ধর্ম পালন করে এবং করতে চায়। এরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না, কিন্তু নামাজ পড়ে, হালাল খায়, আবার হিন্দী নাচও দেখে, ঈদ পালন করে, পহেলা বৈশাখ নিয়েও এদের আপত্তি নেই। এরকম মানুষের সাথে আমি প্রচুর তর্ক-বিতর্ক করেছি। এরা বিশ্বাস করতে চায়, কোরাআন সবকিছুর সমাধান, কিন্তু আসলে বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু অস্বীকার করার সাহস এদের নেই। এরা চার বিয়ের বৈধতাকে মন থেকে মেনে নেয় না, কিন্তু কোরানের রেফারেন্স দিতে গেলে বলে, হয়ত এটাই আমাদের জন্যে ভাল। আমি যতটুকু ইন্টারপ্রেট করতে পারি, তাতে বুঝি, ছোট থেকে লালিত বিশ্বাসের অনেক কিছুই এদের মনে সন্দেহ তৈরি করে, কিন্তু তারা এটাও মানে যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা খারাপ। শেষ পর্যন্ত তারা একটা ডিসিশানে আসে, যে এটা নিয়ে তারা খুব বেশি ভাববে না। যেভাবে চলছে চলুক।
এখন আপনি যদি এদেরকে ট্যাগিং করতে যান, অবশ্যই আপনাকে তাদের হিপোক্র্যাট বলতে হবে, কারণ তারা যেটা মানে বলে লোকের সামনে প্রচার করে, সেটা আসলে তারা মনে মনে মানে না, বা মানতে পারে না বলে এর সাথে সম্পর্কিত চিন্তা-ভাবনা থেকেও নিজেদের দূরে রাখে। এখন কথা হচ্ছে এদের ব্যাপারে কী ডিসিশানে আসবেন?
এদের কি এমন একটা শর্ত জুড়ে দেবেন, যে যেটা তুমি বিশ্বাস কর সেটা পূর্ণাঙ্গভাবে কর, নাহলে তুমি হিপোক্র্যাট। এই ৯৫% লোকের জন্যে বিশ্বাস ছেড়ে দেয়াটা কঠিন, সেটা মনের জোড় কমের কারণেই হোক, চিন্তা ভাবনার অসাড়তার জন্যই হোক বা স্রেফ বিষয়টাকে এড়িয়ে যাবার প্রবণতার জন্যই হোক। কেউ যদি নিজের গায়ে নতুন করে কোন ট্যাগ না লাগিয়ে জাস্ট নিজেকে চালিয়ে নেয় তাতে তাকে আমরা কতটুকু দোষ দেব? এখন একজন মোল্লা তাকে বলবে তুমি যেটা করছ, তুমি তো মুনাফিক, তুমি পুরোপুরিভাবে আমাদের দলে আস, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়, পহেলা বৈশাখকে হারাম মান, বউকে হিজাব করাও, জিহাদ কর। আর উলটা আমরা কী বলব? যেহেতু ঠিকভাবে মাননা, তাহলে কী দরকার মানার? একেবারে ছেড়েই দাও, নাস্তিক ট্যাগ লাগাও। যেটা মান না, সেটা মুখে মাননা বলার সাহস অর্জন কর।
আমি কারও দাবীর যৌক্তিকতা বিচারে যাচ্ছি না, কিন্তু এরকম একটা ক্ষেত্রে সেই ৯৫% কী করবে? তারা পোলারাইজড হবে, বেশিরভাগই মোল্লাদের দিকে, যেটার কারণ অনেক সময় নতুন ট্যাগ নেয়ার আগ্রহের অভাব। যেকারণে হিন্দু হিন্দুই থেকে যায়, মুস্লিম মুস্লিমই থেকে যায়, ঠিক একইভাবে আস্তিকও আস্তিক থেকে যায়।
এখন কথা হল, এইযে ৯৫% মানুষ যদি আসলেই পুরোপুরি গ্রন্থজীবি হয়ে যায় তাহলে কী হবে ভাবতে পারছেন? এদের আপনি মোটিভেট করে গ্রন্থজীবি করতে পারবেন, কিন্তু নাস্তিক করতে পারবেন না। সেজন্যেই মনে হয় বলা যায়, এই বিশ্বাসীরা যদি ধর্মগ্রন্থ না মেনেও বিশ্বাস অটুট রাখতে পারে তাহলে বোধহয় শেষ পর্যন্ত সমাজের জন্যেই ভাল। কারণ একেবারে আদর্শ ব্যাপারটি বোধহয় ঠিক হবার নয়। মন্দের ভাল হিসেবে ধর্মগ্রন্থ ঠিক সেভাবে না মানা ধার্মিকদের আমরা একটু ক্রেডিট দিয়ে যেতে পারি না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তুই খুব খারাপভাবে বুঝিস দোস্ত| তোর পুরা কমেন্টস তা দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার অপচেষ্টাকে জাস্টিফাই করতেসে|"গ্রন্থ না মানা ধার্মিক"-- পুরাই হাস্যকর কনসেপ্ট|
আতাহার
ব্যাপারটা ঠিক জাস্টিফাই করার না। আমি কমেন্টে বলছি, যে আমি তাদেরকে হিপোক্র্যাটই বলব। কিন্তু দেশ বা সমাজের ৯৫% লোককে হিপোক্র্যাট ট্যাগিং এ লাভটা কী হবে? মনে কর তুই আস্তিক, কিন্তু সবকিছু কি তুই মানিস? বা মানতে পারিস? বা ইভেন মানতে চাস? জুম্মার নামাজ পড়ে নিয়মিত, হালাল হারাম নিয়ে মাথাব্যাথা আছে, এরকম লোক স্ট্রিপ ক্লাবেও যায়, আইটেম সংও দেখে। তোর কি মনে হয় না, স্ট্রিপ ক্লাবে যাওয়া এমন কোন কাজনা যেটা অ্যাভোয়েড করা যাইত না? কিন্তু সে আসলে অ্যাভোয়েড করতে চায় না। তার নিজের কাছে ধর্মের একটা মডিফায়েড ভার্সন আছে, সে সেটা সবার সামনে স্বীকার করবে না, কিন্তু মনে মনে আসলে সে সেটাই মানে। নিজেকে জাজ করে দেখিস, কমবেশি সবাই সেই কাতারেই পরবে।
একইভাবে একজন নাস্তিক, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন আস্তিকের মত জন্মসূত্রে নাস্তিক না। তার যেটা অবিশ্বাস সেটা তার অর্জিত অবিশ্বাস (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, ফ্যাশন নাস্তিকও আছে)। এখন বিশ্বাসে একজন নাস্তিক মানেই যে সে সবসময় সেটা শো-অফ করবে এমনও না। কালচারালি সে যদি মুস্লিম হয়, সে হয়ত কালচারাল কারণে ইস্লামের অনেক কিছু পালন করবে, ঈদের নামাজে যাবে, সবার সাথে হয়ত জুম্মায় যাবে, সালাম দিবে; ঠিক একই কথাগুলো একজন হিন্দু বা খ্রিস্টানের জন্যেও খাটে।
এখন কথা হল, এইযে ৯৫% মানুষ এদেরকে হুট করে একেবারে স্পেক্ট্রামের দুই প্রান্তে আনা যাবে না, মানে একেবারে কাঠমোল্লা বা কাঠনাস্তিক করা যাবে না। আর করার দরকারও বোধহয় নাই। যারা সবকিছু মডারেট ভাবে মানতে পারতেছে খুব বেশি কট্টরপন্থি না হয়ে শেষ পর্যন্ত তারাই সমাজের সবচেয়ে বড় অংশ। সুতরাং তাদের ব্যাপারটা জাস্ট হিপোক্র্যাসি বলে উড়ায়ে না দিয়ে, এর পেছনে তাদের কী মনস্তত্ব কাজ করে সেটা বোধহয় বোঝাটা জরুরী। আর আমার কাছে তারা যতই হিপোক্র্যাট হোক, একজন চরম্পন্থী গ্রন্থজীবির তুলনায় সমাজের জন্য তারা উপকারী। এটুকু মানি বলেই তাদেরকে জাস্টিফাই করার একটা অপচেষ্টা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
প্রৌঢ় ভাইয়ের উত্তরটা ধার করতে চাই। নাস্তিক মনে "মোল্লারাই সৎ" ভাবনার টুকটাক বিশ্লেষণ আমার নাস্তিক মুসলমান লেখায় করেছিলাম। দেখলে খুশি হবো। একটু কোট করিঃ
আপনার সাথে এই নিয়ে একটা তর্ক এর আগেও হয়েছিলো "দুর্দান্ত" এর "জাতীয়তাবাদ একটি ধর্ম" এই পোস্টে| আপনার হেস্টি জেনারালাইজেশন এর কথার বিরোধিতা আমি সেখানেও করেছিলাম| আপনি বলতে চেয়েছেন যে, ধর্ম মানলেই সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর এটা হেস্টি জেনারালাইজেশন। আমি বলেছিলাম, ধর্ম বিষয়টি সমাজের জন্য খারাপ, তাই এটাকে যে মেনে চলছে সে অবশ্যই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর| এখানে হেস্টি জেনারালাইজেশন এর কোনো প্রশ্ন আসেনা|
এখানে আপনার ব্যাখ্যা দেখে আবার একই কথা মনে হচ্ছে| আপনাকে প্রশ্ন-
১. যে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে সে কি কোরান-কে অমান্য করতে পারবে অথবা কোরান-কে না মেনেও কি ইসলাম ধর্ম পালন করা যায়?
২. যে সনাতন ধর্ম অনুসরন করে সে কি বেদ/গীতা এধরনের গ্রন্থগুলো অনুসরণ না করেও সনাতন ধর্ম পালন করতে পারে?
৩. যে খ্রিস্টান সে কি বাইবেল অনুসরণ না করেও খ্রিষ্ট-ধর্ম পালন করতে পারে?
যদি উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ/সম্মতিসুচক হয়, তাহলে বলবেন কি, কোনো নির্দিষ্ট "ধর্ম" পালন করার জন্য তাহলে কি অনুসরণ করবে সেই ব্যক্তি?
আর ধর্ম পালন করতে গিয়ে যদি উপরে উল্লেখিত গ্রন্থগুলো/ গ্রন্থে উল্লেখিত নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চলতেই হয়, তাহলে সেই গ্রন্থগুলোতে উল্লেখিত নেতিবাচক কিংবা সাম্প্রদায়িক বিষয়গুলোও কি পালন করতে হবে?
আর যদি এমন কোনো গ্রন্থই আমাকে অনুসরণ করতে হচ্ছে যাতে সাম্প্রদায়িক/নেতিবাচক বিষয় লেখা আছে তাহলে কি এর প্রভাব আমার ধর্ম পালনে পড়বেনা? আর যদি প্রভাব থাকে তাহলে কি পারতপক্ষে বলা যায়না ধর্ম পালনের নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আমার আশেপাশের সমাজেও পড়বে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এইটারে প্রিমাইস তো আপনি করতে পারেন না। কারণ প্রশ্নই ছিলো ধর্ম মাত্রই ক্ষতিকর বা খারাপ কিনা। আপনি অন্য প্রিমাইস থেকে এই কনক্লুশনে আসবেন। যুক্তি তো সেইভাবেই কাজ করে। তবে খেয়াল করবেন, "ধর্ম মাত্রই ক্ষতিকর" একটা deductive বক্তব্য। এটাতে আপনাকে আসতে হবে deductive argument দিয়ে। উদাহরণ ব্যবহার করে বড়জোর probabilistic argument তৈরি করতে পারেন। সেটা থেকে deductive conclusion এ আসতে আবার পারেন না। আসলে সেইটারেই hasty generalization বলে।
যে মনে করে যে সে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে কিন্তু কোরান মানে না, তারে অমুসলমান ঘোষণা করা মোল্লাদের কাজ। জামায়াতে ইসলামিও একই কারণে আহমদিয়্যা গোষ্ঠিকে ইসলাম ধর্মানুসারী মনে করে না। কারণ মূলত কোরান হাদিস বলছে যে যে কোরান হাদিস পুরাপুরি মানে না সে মুসলমান না। মোল্লারা কোরান হাদিস মানে, তাই তাদের তেমনটা করা সাজে। তাদের তৈরি ইসলামের সংজ্ঞা আপনে নিবেন ক্যান? সেইটা আপনের খুশি। আমি ধার্মিকরে কোরান হাদিসের বিচারে বিচার করি না। যে নিজেরে মুসলমান দাবি করে, আমি ক্যাঠা যে বিচার করবো সে মুসলমান নাকি না? সেইটা চল বা কমনসেন্স আদবও না।
গ্রন্থ না মানা ধার্মিক একটা এক্সট্রিম উদাহরণ। ধারণাটা উত্থাপনের নিমিত্তে বর্ণিত। অধিকাংশ মানুষ এই দুই এক্সট্রিমের মাঝে বাস করে। বিষয়টা বাইনারি না, এর মাত্রাভেদ আছে। বিশেষ মাত্রায় এর নির্বিষ রূপও আছে। বাইনারি রূপে দেখলে খ্রিস্টান হইতে হলে গোটা বাইবেলটাই অক্ষরে অক্ষরে মানতে হয়, আর তাইলে কোনে খ্রিস্টানই আর খ্রিস্টান থাকে না।
ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে শনিবার কাজ করলে খাড়ার উপর খুন কইরা আসতে। কোনো ইহুদি যাজক সেইটা করার উপদেশ দেয় না। বরং না করে। ফলত আমার কাছে বাস্তবিক অর্থে শনিবার কাজ করা মানুষরে খুন করার ক্ষতিকর প্রভাবটা ইহুদি ধর্মের অধিকাংশ রূপেই অনুপস্থিত। এখন ধর্মগ্রন্থে কথাটা আছে বলে "ইহুদি ধর্মেও এই ক্ষতিকর ব্যাপারটা একশভাগ আছে" যদি বলি তাহলে সেটা কি কেবলই তর্কের খাতিরে সুবিধা মতো প্রিমাইস তৈরি করে নেওয়া হয়ে যায় না?
আশিভাগ প্রাসঙ্গিক আমার দুইখান লেখাঃ
খোদার প্রকোপের প্রায় বাইরে বা নাস্তিকের চেয়েও কম কম আস্তিকতা
নাস্তিক মুসলমান
পইড়া আসলে আমার একটু সুবিধা হইতো। না পড়তে পারলেও সমস্যা নাই।
আমার একটা প্রশ্ন ছিল। আমরা কি এটা বলতে পারি যে - বাস্তবে আসলে 'আক্ষরিকতাবাদী' বলে কিছু নাই? সবাইই (ধর্মবাদীরা) আসলে কমবেশি ইন্টারপ্রেটিভ ধর্মপালন করে - আক্ষরিকতা/অনাক্ষরিকতাবাদী নির্বিশেষে?
ধরেন, যে 'আক্ষরিকতাবাদী' মোল্লারা আক্ষরিকতাবাদের ধ্বজাবহন করে এবং সেটা অন্য সবার/সব ধার্মিকের উপর চাপিয়ে দিতে চায়, তারা কি আসলেই ১০০% আক্ষরিকতার সাথে কোরান-হাদিস মেনে ধর্মচর্চা করে? আমার তো মনে হয় করে না, করা মনে হয় সম্ভবও না, বরং তারাও বহুক্ষেত্রে সুবিধামত নিজস্ব ইন্টারপ্রিটেশনের আশ্রয় নেয় বা চর্চার ক্ষেত্রে মডিফাই করে। হয়তো আমধার্মিকের চেয়ে কম করে, কিন্তু করে তো। বাংলাদেশে তারা 'হারাম নারীনেতৃত্ব' মেনে নেয়, তার সাথে সহযোগিতা করে, এমনকি চুক্তিও করে। সৌদিতে কোরান নিষিদ্ধ রাজতন্ত্র মেনে নেয়। খোদ হযরত ওমরের মত ইসলামের সবচেয়ে কড়া ও বিখ্যাত আক্ষরিকতাবাদী অনুসারীও নাকি হাতকাটা সংক্রান্ত নীতি মডিফাই বা রিইন্টারপ্রেট করেছিলেন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। এযুগের মোল্লাদের কথা সেক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য। যাহোক, তাড়াহুড়ায় আরও ভাল উদাহরণ মনে পড়ছেনা এই মুহূর্তে, তবে তার দরকারও মনে হয় নাই, একটু চিন্তা করলে আপনিই মনে হয় অনেক ভাল ও অজস্র উদাহরণ দিতে পারবেন। তো মোদ্দা কথা হল, তথাকথিত গ্রন্থসর্বস্ব 'আক্ষরিকতাবাদী'রাও তাহলে দেখা যাচ্ছে আসলে গ্রন্থ থেকে সরে যায়, সেটা পুরোপুরি ও আক্ষরিকভাবে পালন করে না।
তাছাড়া ধরেন, 'আক্ষরিকতাবাদের' দাবীদার মোল্লাদের মধ্যেও যথেষ্ট মতপার্থক্য ও কর্মপার্থক্য থাকে । এতেই মনে হয় স্পষ্ট হয় যে, এই মতপার্থক্যকারী 'আক্ষরিকতাবাদী' পক্ষগুলির মধ্যে কেউ না কেউ বা কেউ-কেউ বা কেউই আসলে পুরোপুরি আক্ষরিকতাবাদী বা আক্ষরিকভাবে গ্রন্থপালনকারী ধর্মচর্চাকারী না। হওয়া বোধহয় সম্ভবও না (এটা হয়তো আলাদা প্রসঙ্গ)। শিয়া-সুন্নী ইত্যাদি সেক্টেরিয়ান পার্থক্যের কথা নাহয় বাদই দিলাম। ঐসব জায়গায় মতপার্থক্য আরও বিশাল।
তো আমি আসলে যেটা বলতে চাচ্ছি তা হল, এই একই কাজ ইন্টারপ্রিটিভ আমধার্মিক বা আপনার ভাষায় হয়তো গ্রন্থ-না-মানা বা আংশিক মানা বা শঙ্কর/সিনক্রেটিক আমধার্মিক করলে, তার ধর্ম বিশ্বাস, ইন্টারপ্রিটেশান বা চর্চা কেন ঐ ধর্মের একটা লেজিটিমেট/ভ্যালিড রূপ বলে গন্য হবে না? বা একদলকে ঐ ধর্মের যোগ্য নামধারী বললে, অন্যদল বা অন্যদের কেন সেটা বলা যাবে না একই কাজের জন্য? এখানে ৩য় পক্ষের (অধার্মিক) কেন, ঐ সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষেরই কি কিছু বলার বা জোরাজুরি করার আছে? এখানে মোল্লাদের নিজেদের ইন্টারপ্রিটিভ ভার্শানটা অন্য সবার উপর একমাত্র বৈধ ভার্শান হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতাকে একধরণের রাজনৈতিক/মনস্তাত্ত্বিক ফ্যাসিবাদ-চর্চা বলেই মনে হয়, ধর্মের বাইরেও যে প্রবণতা ব্ল্যাক-এন্ড-হোয়াইট বাইনারিত্বর বিভিন্নরূপে বিদ্যমান আছে। আর ফ্যাসিবাদকে ফ্যাসিবাদ হিসেবেই, অর্থাৎ জাগতিক-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে চিহ্ণিত ও মোকাবেলা করাই কি বেশি যুক্তিযুক্ত নয় - খামাখা অনির্ণেয় থিওলজিকাল কূটকচালীর ভেতর না গিয়ে?
****************************************
ধর্মের ইভোলিউশান এভাবেই হবে। খ্রীষ্টান চার্চ গুলো বাইবেলের পুণঃ ইভালুয়েশন করে গে বিবাহ মেনে নেবে এক সময়। ইসলাম মেনে নেবে নারীর কর্তৃত্ব, অধীকার।
ঠিক তাই।
সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ পোটেনশিয়ালি-ইভোলিউশনযোগ্য অংশকে ব্ল্যাঙ্কেট বাইনারিত্ব ও পোলারাইজেশনের মাধ্যমে পোলারাইজড ফসিলায়নের কোলে ঠেলে না দিয়ে তাদের জন্য একটা বৈধ স্পেক্ট্রাম বা কন্টিনিয়াম (শব্দটা কি হবে বুঝতে পারছি না) বা তার বৈধতার স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ইভোলিউশনকে ফ্যাসিলিটেট করা, নিদেনপক্ষে বাধাগ্রস্ত না করাটাই কি উচিত বা অন্তত ইভোলিউশনাকাঙ্খী দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক কাজ হবে না?
****************************************
আপনি সাংস্কৃতিক হেদায়েতের কথা বলছেন।
বলেন কী! কিভাবে বললাম ঠিক বুঝলাম না।
****************************************
মানে বললাম যে আপনি যে ইভোলিউশানকে ফ্যাসিলিটেট করার চিন্তা করছেন, সেটাকে লেখায় আমি সংস্কৃতির হেদায়েত নামে শুধাইছিলাম।
বৈচিত্র্য ইভোলিউশানকে ফ্যাসিলিটেট করে। বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দিলে সংস্কৃতির হেদায়েত হয়।
আমি ভাবছিলাম আপনি বৈচিত্র্যের অস্বীকৃতিজনিত কোন চাপিয়ে দেয়ামূলক প্রেস্কৃপ্টিভ, ডিক্টেটিভ বা স্ট্র্যাটেজিক প্রবণতাকে সাংস্কৃতিক হেদায়েত বুঝাইতেছেন। আমি এই ধরণের অন্তত কিছু মীন করি নাই। টার্মটা শুনতে আমার কাছে এরকমই লাগতেছিল।
জীব ও সাংস্কৃতিক উভয়জগতেই ইভোলিউশন একটা বাস্তবতা। কাম্যও বটে। আর এর ফলাফলের উপরও কারও একক হাত নাই। তবে হ্যাঁ, এর মধ্যেও সবারইতো একটা ব্যক্তিগত মতামত থাকে, আমার ক্ষেত্রে সেটা হল - 'সর্ববিষয়ে সর্বজনীন ও চিরন্তন' সত্য বা মতবাদ বলে কিছু নাই। বিশেষ করে ধর্ম, দর্শন, নৈতিকতা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, ইত্যাদি বিষয়ে। এই সর্বজনীন চিরন্তনতা বা চিরন্তন সর্বজনীনতাকেই আমি ফসিলায়ন বলতে চাচ্ছি (যার বিকল্প মনে হয় 'প্লুরালিজম' - ধর্মের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র।)। ধর্মীয় মৌলবাদ বা আক্ষরিকতাবাদ এই ফসিলায়নের একটা রূপ। আর এই ফসিলায়ন একধরণের জিরো-সাম ব্ল্যাঙ্কেট বাইনারিত্ব ও ইভোলিউশন-বিরোধী প্রবণতাসম্পন্ন, অন্তত তাত্ত্বিক বা আদর্শায়িত ক্ষেত্রে/মাত্রায় - বাস্তব চর্চায় যদি নাও হয়। সমস্যা হল, ফসিলায়নের এইসব প্রবণতা কোন বিরোধী জিরো-সাম ব্ল্যাঙ্কেট বাইনারিত্বের কারনে পরিবর্তিত হয় বলে তো মনে হয় না, বরং ইন্ধন পেয়ে সবধরণের ফসিলায়ন তখন আরও বেশি থ্রাইভ করে - ঐ স্পেক্ট্রাম, কন্টিনিয়াম, স্পেস, বৈচিত্র্য, ইভোলিউশন-সম্ভাবনা সব উপে যেতে চায় - সব জায়গা থেকেই। তখন দিকে দিকে খালি ফসিলায়নেরই দামামা বা বিজয়ডঙ্কা বাজতে থাকে। ধর্ম, জাতীয়তাবাদ সহ আরও অনেক ক্ষেত্রে এর উদাহরণ আছে বলেই তো মনে হয়। এই ফসিলায়ন-প্রবণতার প্রসার-প্রোপাগেশন বা একচ্ছত্র আধিপত্যের তলায় চাপা পড়তে না চাইলে, বা ইভোলিউশন চাইলে, বৈচিত্র্য চাইলে, পরিবর্তন চাইলে, আমার বিনীত উপলব্ধিতে তাই - জিরো-সাম ব্ল্যাঙ্কেট বাইনারিত্ব বর্জনীয়। সব ও সবার বেলাতেই এটা প্রযোজ্য বলে মনে হয় আমার কাছে। এইটুকুই মনে হয় বলতে চেয়েছিলাম।
****************************************
আরেকটা একটু ভিন্ন ব্যাপার খেয়াল করেন, নাস্তিক/অধার্মিক যখন মোল্লাদের সৎ ও যোগ্য ভাবার প্রয়াস পায়, আসিফ নজরুলের নিজামীরে সৎলুক বলাটা আর অবাকের কী? যতোই যুদ্ধাপরাধী হোক, আফটার অল জামায়াতে ইসলামী তো ‘সৎ ও যুগ্য’ নেতার অবিসংবাদিত ভাণ্ডার! এইসব লেবেল কিন্তু পরিশেষে তাদের হেজামোনিকে অসচেতনভাবে হলেও প্রতিষ্ঠিত করে, এ ভাবেই এরা টিকে থাকে, মোল্লারাও (কল্পনা করুন তারেক মুনাওয়ার বলছেন - "নাস্তিকেরও সাহস নাই আমার সততা আর যোগ্যতারে প্রশ্ন তোলে")।
এখন তাহলে প্রশ্ন উঠবে, ধার্মিক বলতে আপনি কি বুঝাতে চান? আমাদের গ্রামের রুহুল কাজি ইসলাম ধর্মাবলম্বীই ছিল! সে জীবনের ৫০ বছর পার করে দিয়েছে তেমন নামায-রোযা না করেই। কিন্তু তার ইসলামি বোধ, বিশ্বাস আর প্রেম ছিল টনটনে! তাই যেকোনো ইসলামি ডাকে/একশানে অংশ নিয়েছে জোরে-সোরেই! কর্ম আর কামে আসক্তির কারণে যৌবন বয়সে নিয়মিত নামায-রোযা না করতে পারলেও তার সংকল্প ছিল শেষ বয়সে সে ঠিকই পুষিয়ে দেবে স্রষ্টার দাবী। এখন সে নিয়মিত নামায-রোযা করে, মসজিদে মশগুল হয়ে থাকে দিবা-নিশি, খোদার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে! ইমামের বয়ান শুনে তার আফসোস হয়, কেন সে প্রথম জীবনে নামায-রোযার প্রতি বেখেয়াল ছিল!
এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল, রুহুল কাজিকে আপনি কোন দলে ফেলবেন? সে কি গ্রন্থ না মানা ধার্মিক? নিজস্ব বিশ্বাসে চলা ধার্মিক? নিজের বিচারে সুদ-মদ-জেনা করা ধার্মিক? নিজের কাছে নিজে ঠিক থাকা ধার্মিক? অযোগ্য ধার্মিক? যোগ্য ধার্মিক?
কে যে বল লাইনে এনে খেলতে চাইছে, তাই তো পরিষ্কার হতে পারছি না! আপনার লেখা দুটো পড়ে সত্যিই অভিভূত হয়েছিলাম (যা মন্তব্যে প্রকাশিত)। কিন্তু তার মানে তো এই না, বাইবেলীয় ধর্মের ইনবর্ন ও ইনহেরেন্ট প্রবলেমের সমালোচনা করা যাবে না! অথচ ইদানীং, তা করতে গেলেই দেখছি, ধর্ম ব্যাশিং, মূর্খ-অমূর্খ নাস্তিক ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষিত হতে হচ্ছে(অনেকটা গেল গেল রব উঠার মত)! সুতরাং, কে কোন লাইনে খেলছে, তা সত্যিই ঠাহর করতে পারছি না!
আলোচনার সুবিধার্থে আমরা বিভিন্ন এক্সট্রিম দলের ধারণা উত্থাপন করি। অধিকাংশ মানুষ হন ওই idealized দলগুলোর শংকর। সে কথাও আমার লেখাদ্বয়ে বলেছিলাম। আমার ক্ল্যাসিফিকেশানগুলো তো আলোচনা করার জন্যে উত্থাপিত। কোনো প্রজাতিকূল নির্ণয়ের জন্যে নয়। প্রতিটা ব্যক্তি ভিন্ন। ব্যক্তিকে ধরে ধরে দলে ফেলা সাংস্কৃতিক হেদায়েতের বিপরীত সেটাও বলেছিলাম।
আজকে তো করি নাই। মাথায় পানি ঢেলে ঠাণ্ডা হন ভাইডি। খুব গরম পড়ছে আজকে এই উত্তর মেরুতেও।
এরপর আরেকটা প্রশ্ন আছে: এই দুইটা বাড়ি কোথায়?
উত্তর: পাশাপাশি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
শেষ উত্তরটা পাশাপাশি নয়, সামনা-সামনি বা মুখোমুখি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সব ধরণের ধর্মীয় বিতর্কই শেষ পর্যন্ত এখনে এসে ঠেকে, যারা এধরণের যুক্তি দিবে, প্রথমেই বুঝে গেলে আমি আর তাদের সাথে বিতর্কে যাই না। আরেকধরণের যুক্তি আছে, যেটা যুক্তিতর্ক শেষ হয় একটা নিয়মের মাধ্যমে। মানে শেষ কথা হল, আল্লাহ যে আছে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, কারণ ইস্লামে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে ভাবতে নিষধ করা আছে। সৃষ্টিকর্তা নিয়ে ভাবলে ঈমান দুব্বল হয় আর সৃষ্টি নিয়ে ভাবলে ঈমান পাকাপোক্ত হয়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাবতেছি সৃষ্টি কি?
আমি অবশ্য সৃষ্টি নিয়েই ভাবি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইসলামে যা বলা আছে সেটা আল্লাহরই কথা। সুতরাং "আল্লাহ যে আছে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, কারণ ইস্লামে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে ভাবতে নিষধ করা আছে" - কথাটাতে ইসলামের বদলে আল্লাহ ব্যবহার করলে কথাটা এমন দাঁড়ায়। "আল্লাহ যে আছে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না, কারণ আল্লাহ তাকে নিয়ে ভাবতে নিষধ করেছেন।" ক্লাসিক সার্কুলার রিজনিং। অনেকটা এরকম, "খবরদার আমার সমালোচনা করবি না, কারণ আমি মানা করছি তাই।"
বাচ্চাদের সার্কুলার রিজনিং খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই। "আমার পাপা সবচেয়ে শক্তিশালী পাপা", কে বলেছে জিজ্ঞেস করলে বলবে "পাপা বলেছে"।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই নাকি শিশু লুকায়িত থাকে, এটা তাহলে ধর্মীয় তর্কের সময় বোঝা যায়!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পোস্ট হয়েছে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এটা কি এমন হবে? -
উপসংহার- আমি ধরে নিচ্ছি ইরাক এবং সাদ্দাম এর সাথে আল কায়েদার সম্পর্ক আছে
প্রিমাইস- কারণ ইরাকের সাথে আল কায়েদার সম্পর্ক ছিলো
লেখা ভালো লাগলো, অল্প কথায় বেশ কিছু জরুরি বিষয়ে আলোচনা হলো দেখে। আগের পর্বটাও দেখা হয়ে গেলো| আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পড়লাম এবং আগ্রহভরে আরেক পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
পরের পর্বের জন্য-
কড়িকাঠুরে
এই বিষয়গুলিতে ধারণা কম। পোস্ট এবং মন্তব্য পড়ে দারুন আগ্রহ জন্মাল।
একটা প্রশ্নঃ ধর্ম এবং পালনকারী দুই এর মিশ্রণে যদি একটা মতবাদ তৈরি হয়ে যায়, ( লাইকঃ-"আল্লাহ আছে। কেননা কুরআনে বলা আছে এই পৃথিবীর, পৃথিবীর উপর মানুষ এবং এই বিশ্বব্রক্ষান্ড আল্লাহ তায়ালা তৈরী করেছন। তিনি আমাদের জীবন বিধান হিসেবে কুরআন নাজিল করেছেন। আর সেই কুরআনেই বলা আছে আল্লাহ সর্বদা বিরাজমান। সুতরাং আল্লাহ অবশ্যই আছে।") যা হয়েছেও বটে অনাদিকাল থেকে; তাহলে সেই ধর্মের মান্যতায় ধর্মের দোহাই দিয়েই তো পালনকারীরা তার সারবত্তা টেনে দেন। তাই নয় কি? তাহলে সেখানে 'কার্য' এবং 'কারণ' উভয়ের হোতা তো ওরাই? মানে মূল ধর্ম = সৃষ্ট একটা ধারণা। যাকে ভ্রান্ত বলার যুক্তি হিসেবে কারণকে দাড় কারালেই ওর হয়ে যারা কার্য করছেন ওরা ক্ষেপে যায়। কারণ ঐ মতবাদ = সংশ্লিষ্ট মানুষদের স্বার্থ। সুতরাং সেখানে আঘাত মাত্রই গোলাগোলি স্টার্ট!
পরবর্তী পর্ব আসুক তাড়াতাড়ি।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপসদা আমার মতে যারা মিশ্র মতবাদে চলেন (৯৫% মানুষ) তারা আসলে এত গোলাগুলিতে যেতে চাননা, যদি না আপনি তাদেরকে ইনসিস্ট করেন। তারা কিন্তু যথেষ্ট মানবিক, এরা ধর্মের কট্টর বিষয়গুলো বেশ অস্বস্তি নিয়েই এড়িয়ে চলেন, কিন্তু অস্বীকার করতে তাদের ভয়। তো তাদেরকে তাদের মত চলতে দিলে ক্ষতি নেই বলেই মনে করি। সবসময় ক্ষুঁচিয়ে তাদেরকে সার্কুলার রিজনিং এ নিয়ে যাওয়ার কী দরকার বলেন? বরং বেশি খোঁচালে চিন্তা ভাবনা জাগ্রত হলে তাদের কট্টর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটাকে অনেকটা এভাবে বলা যায়? মনে করেন আপনার বাবা ঘুষখোর বা লোক সুবিধার না, আপনি নিজেও সেটা অনুভব করেন। কিন্তু সেটা যদি সবাই আপনাকে বলে বেড়ায়, আপনার কিন্তু শুনতে ভাল লাগবে না। আপনার লজিক্যাল অবস্থান হত, আপনি আপনার বাবার সব কাজের প্রতিবাদ করবেন, তাকে আটকাবেন ঘুষ থেকে। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা করি না। বরং এমন ভাব করে থাকি যেন সব কিছু ঠিক চলছে। সেটা ছোট থেকে তৈরি হওয়া ভালবাসা, শ্রদ্ধা, ভয় বা যেটাই বলুন না কেন! আমার মতে ধর্ম বিশ্বাসও অনেকটা ঠিক এভাবেই কাজ করে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হ্যাঁ এই ধরনের লোকদের সাথে একদমই আলোচনা করা যায়না তাও কিন্তু না। বেশ কিছু সহনশীল মানুষ আমি দেখেছি, তারা কথায় কথায় গোলাগুলি করেন না, বরং বেশিরভাগ সময়ই "আমি আসলে ভাই খুব বেশি জানিনা, তবে নিশ্চয়ই এর ব্যাখ্যা আছে" এরকম কথাই বলেন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আসলে আমার তোলা প্রশ্নটা আমার বাস্তব ধারণা। আরও অনেক কিছু বলা যায়। আসলে কবি ভাই আপনি আপনার দৃষ্টি দিয়ে যা দেখেছেন তাই বলেছেন, আর আমি বলেছি আমারটা।
ডাকঘর | ছবিঘর
এই অদ্ভুত মন্তব্যটা চোখে পড়ে নাই। "৯৫% মানুষ মিশ্র মতবাদে চলেন" এই সাংঘাতিক তথ্যটা, নিখুঁত সংখ্যা সহ কোত্থেকে পেলেন? আর এই মিশ্র মতবাদটা কি? ধর্মের নিজস্ব একেকটা ভার্সন?
আচ্ছা তাহলে "সবসময়" "খুঁচিয়ে" তাদের সাথে কথা বলা যাবে না? প্রথমতঃ একটা বিষয়ে ঢ়্যাশনাল আলোচনা করলেই যদি সেটা "খুঁচিয়ে" আলোচনা হয় তাহলে তো দুশ্চিন্তার কথা। রিজন, সায়েন্টিফিক ডিসকোর্স কিংবা অনসন্ধানভিত্তিক কোনো রকম আলোচনাই তো করা যাবে না!
আচ্ছা তাহলে তো রাজাকারদের রাজাকার বলা যাবে না, কেননা তাদের সন্তানরা দুঃখ পাবে। ঘুষখোরকে ঘুরষখোর বলা যাবে না। চোরকে চোর বলা যাবে না।
বাই দ্যা ওয়ে, ধর্ম পালন করা কি ঘুষ খাওয়ার সমতুল্য যে, ধার্মিককে ধার্মিক বললে সেটা ঘুরষখোরের সম পরিমান এবং একই ধরণের রিঅ্যাকশন তৈরী করবে?
এধরণের উদ্ভট কথা শুনিনা বহুদিন! আপনার এই অবস্থানটি দুঃখজনক।
আরেকটা মজার যৌক্তিক ত্রুটি (লজিক্যাল ফ্যলাসি) বা এটাকে বলা যায় মিথ্যাশ্রয়ী ধাঁধা (লায়ার প্যারাডক্স)ঃ
১. ঈশ্বর সর্বশক্তিমান
২. সুতরাং, ঈশ্বরের পক্ষে সব কিছু তৈরি করা সম্ভব
৩. সুতরাং, ঈস্বরের পক্ষে একটি বিশাল এবং ভারী পর্বত তৈরি করা সম্ভব
৪. সুতরাং, ঈশ্বরের পক্ষে কি এমন বিশাল ভারী পর্বত তৈরি করা সম্ভব যা তিনি নিজেই উঠাতে পারবেন না?
এরকম আরকি, আমার এক কওমী মাদ্রাসা পড়া বন্ধু তার হুজুর কে এই প্রশ্ন করে চরম বেতের বাড়ি খাইছিল। এরকম আরও প্যারাডক্স তার মাথা থেকে বারাইছে।
কওমি মাদ্রাসায় তো আল্লার বদলে ঈশ্বর বললেই বেতের বাড়ি খাওয়ার কথা
..................................................................
#Banshibir.
আমার কওমী দোস্ত "আল্লা"ই হয়ত কইছিল, আমার খেয়াল নাই।
প্রশ্নটায় মজা পাইসি!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপনার বন্ধু নিজের মাথা থেকে এই প্যারাডক্স বের করলে বলব তিনি যথেষ্ঠই প্রতিভাবান। ওনার বর্তমান অবস্থা কী? কোথায় আছেন কী করছেন?
এটা আসলে প্রচলিত একটা প্যারাডক্স।
কই আবার? আমাদের থানায় মসজিদের ইমামতি করে, তবে এখনও খুব ভাল ব্রিজ খেলে।
এইটা বেশ বিখ্যাত একটা প্যারাডক্স। রায়হান আবীর এবং অভিজিৎ রায়ের লেখা অবিশ্বাসের দর্শন বইতেও এমন একটা প্যারাডক্সের কথা আছে- ঈশ্বরের পক্ষে কি সম্ভব তারচেয়েও শক্তিমান একজন ঈশ্বর তৈরি করা ?
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটারে যে "লায়ার প্যারাডক্স" কয় সেইটা আমি জানসি থিওরি অফ কম্পিউটেশন পড়ার সময়। তবে উপরের ধাধা আমার দোস্তের মাথা থিকাই বারাইছিল, ওর পক্ষে এসব "লায়ার প্যারাডক্স/লজিক্যাল ফ্যলাসি" এসব টার্ম জানার কথা না।
সইত্য। এরকম লোকদের সঙ্গে কথা চালানো ভারি মুশকিল।
জটিল
এইটা জটিল হইছে। আরেকটা জটিল জিনিস পাইলাম:
জয়নাল ব্যাপারীর চিঠিতে লেখা:
এখন কে বলছে যে জয়নাল ব্যাপারী চাপা পিটাইতেছে না? উত্তর: ৭ নম্বরে বলা আছে - "৭. জয়নাল ব্যাপারীর কথায় কোন ভুল নাই।"
"কিস হ্যাঙ্কস অ্যাস"-রে ভালা পাই...
--সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom
একসঙ্গে দুটি পর্ব পড়লাম। কয়েকবার করে পড়লাম।
সৌরভ কবীর
চরম।
নতুন মন্তব্য করুন