নাজ্জ্ব

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ১২/০৯/২০১২ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্যারোলিন আমেরিকার একটা শহরের স্কুল চেইনের খাদ্য নিয়ন্ত্রনের প্রধাণ। তার দায়িত্বে সেই শহরে প্রায় একশটা স্কুলের টিফিন নিয়ন্ত্রিত হয়। এক সন্ধ্যায় আড্ডার সময় তার পরিসংখ্যানে পারদর্শী বন্ধু , একটি খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্টানের হর্তাকর্তা অ্যাডাম আর সে একটা পরীক্ষা করবে বলে স্থির করল। স্কুলের ক্যাফে গুলোতে খাবারের তালিকা ঠিক রেখে কেবল খাবারের পরিদর্শনে অদল বদল করলে কি হয়, সেটা দেখবে। ক্যারোলিন তার অধীণের প্রায় বারোটি স্কুলের খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খাদ্য পরিদর্শনের নির্দিষ্ট নিয়ম বলে দিলো। কোনো স্কুলে ডেজার্ট (মূল খাবারের পর যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়) একেবারে সামনে রাখা হলো, কোনটাতে একেবার পেছনে আর কোনটাতে একেবার ভিন্ন একটি সারিতে। একেক স্কুলে একেক ভাবে খাবার গুলো রাখা হলো। কোনো স্কুলে চোখের সমান উচ্চতায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ কিংবা ছোট গাজরের টুকরা রাখা হলো।

খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্টানে কাজ করার সুবাদে অ্যাডাম আগেই আন্দাজ করেছিলো এর ফলাফল হবে আর্শ্চরকম। এবং তার ধারণাই সঠিক প্রমানিত হলো। শুধুমাত্র খাবার পরিবেশনের জায়গা অদল বদল করেই শতকরা ২৫ ভাগ খাবার বেশী খাওয় হয়েছিলো। বড়দের মতো ছোটদের সিদ্ধান্তও শুধুমাত্র প্রতিপার্শ্বের উপর নির্ভর করে।

এরপর ক্যারোলিন বেশ কিছু গবেষক ছাত্রদের সহায়তায় প্রায় শত খানেক স্কুলে গবেষণা চালিয়ে উপলব্ধি করলো তার হাতে একটা বেশ শক্তিশালী অস্ত্র আছে। কিন্তু কিভাবে এই শক্তিকে ব্যবহার করা হবে? ক্যারোলিনের সহকর্মীরা কয়েকটা উপায় বাতলে দিলো।

১) এমনভাবে খাবার সাজানো হোক যাতে ছাত্রদের সবচেয়ে বেশী উপকার হয়
২) দৈবচয়নের মাধ্যমে খাবার গুলো প্রদর্শিত হোক
৩) এমনভাবে রাখা হোক যাতে সে নিজে থেকে যেটা বেছে নিতো সেটাই সে বেছে নিতে পারে
৪) খাদ্য সাপ্লাই যারা দেয় তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী ঘুষ দিতে পারবে তার খাবার সামনে রেখে বিক্রী বাড়ানো হোক
৫) যেভাবে পারো লাভের অংশ বাড়াও

প্রথম অপশনটির বেশ ভালো আবেদন আছে। কিন্তু এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী হতে পারে। অনেকটা পিতৃসুলভ নিয়ন্ত্রনের মতো। কিন্তু অন্যান্য অপশনগুলি তার চেয়েও খারাপ। দ্বিতীয় অপশনটি নিউট্রাল মনে হলেও দৈবচয়নে বাছাইকৃত কিছু স্কুলে খারাপ খাবার খেতে প্রলুব্ধ করা হবে। এটা কি গ্রহণযোগ্য? কারো কারো মন্দ হতে পারে এরকম এই অপশনটি কি ক্যারোলিন বেছে নেবে, যেখানে সে ইচ্ছে করলেই সবার উপকারের ব্যবস্থা করতে পারে?

অপশন ৩ নিয়ে একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে অনেকগুলো ছাত্রের জন্য এটা করা সম্ভব নয়। অপশন ৪ একেবারেই কলুষিত। অপশন ৫ এর সামান্য গুরুত্ব থাকতে পারে। কিন্তু যদি লাভে বাড়াতে গিয়ে ছাত্রদের খারাপ খাবারটা নিতে প্রলুব্ধ করা হয় সেটা কি ক্যারোলিন মেনে নিতে পারবে?

এক্ষেত্রে ক্যারোলিনকে চয়েস আর্কিটেক্ট বা বাছাই নির্মাতা বলা যেতে পারে। আর প্রতিপার্শ্বের সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষকে প্রভাবিত করার পদ্ধতিকে বলা হয়, নাজ্জ্ব বা Nudge, যার অর্থ মৃদু ধাক্কা। আর এই বিষয় নিয়েই নাজ্জ্ব বইটি রচিত হয়েছে।

পাঁচটি পর্বে বিভক্ত বইটির প্রথম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে মানুষ কেনো এমনটি করে? কখন তাদেরকে "নাজ্ব" দেয়ার দরকার পড়ে? নৈতিকভাবে এটা কতটা গ্রহণযোগ্য? দ্বিতীয় পর্বে অর্থনৈতিক বিষয় যেমন, রিটায়ারমেন্টের সময় টাকা জমাতে কিভাবে মানুষকে প্রভাবিত করা যায়? বিনিয়োগের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কিভাবে সাহায্য করা যায়? ইত্যাদি।

তৃতীয় আর চতুর্থ পর্বে যথাক্রমে স্বাস্থ্য এবং স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শেষে পঞ্চম পর্বে বিষয়টির খারাপ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে শেষ হয়েছে বইটি। সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য এবং অনেক বিষয়ে "আই ওপেনার" বইটি পড়ার তালিকায় রাখতে পারেন।


মন্তব্য

মুস্তাফিজ এর ছবি

ক্ষুধা লেগে গেলো যে!

...........................
Every Picture Tells a Story

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একজাক্টলি এটাই হলো নাজ্ব। চোখ টিপি

ফারুক হাসান এর ছবি

বইটা পড়তে হবে তো!

এই ব্যাপারটার সাথে ব্লগের নীড়পাতার ডিজাইনের সম্পর্ক থাকতে পারে। মুর্শেদ ভাই চিন্তা করে দেখেন তো, কীভাবে 'কবিতা' সাজিয়ে দিলে লোকে বেশি পড়বে? হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ঠিক ধরেছেন। চয়েস অ্যার্কিটেক্ট হিসেবে ডিজাইন করতে হবে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

চলুক

জটিল লাগলো!

প্রথম অপশনটির বেশ ভালো আবেদন আছে। কিন্তু এটা ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী হতে পারে। অনেকটা পিতৃসুলভ নিয়ন্ত্রনের মতো।

প্রথমে ব্যাপারটা বুঝি নি কীভাবে ব্যাপারটা ব্যক্তিস্বাধীনতা পরিপন্থী হয়। একটু চিটিং করে উইকিপিডিয়াতে গিয়ে পড়ে নিলাম।

if the government only allows junk food to be sold on the top of mountains, to what extent can such a policy truly be considered libertarian? The difference between only making junk food available on mountains and only making junk food available on shelves below eye level seems to be more a difference of degree rather than kind. Thaler and Sunstein discuss these issues in some portions of their book. At some point, this thing which does not seem like coercion, becomes a clear case of coercion. When the power used to gently nudge is absolute, no matter how slight the suggestion, its victim remains intimidated by the knowledge of the unlimited power behind it. Thus, because government necessarily sits in a position of almost unlimited power over the individual, any lifestyle suggestions they make are not compatible with Libertarian ideals.

এটা পড়ার পরে তারপর বুঝলাম।

ব্যক্তিস্বাধীনতার সাথে কন্ফ্লিক্টটা তো তখনই হয় যখন গভর্নমেন্ট সকল স্টোরে জাঙ্ক ফুডকে একদম পিছনের সারিতে রাখতে বাধ্য করবে। এমনিতে গভর্নমেন্ট তার রাষ্ট্রায়ত্ত স্টোরে যদি জাঙ্ক ফুড সবার পিছনের সারিতে রাখে আর অন্য প্রাইভেট ব্যবসার যদি এখতিয়ার থাকে তার নিজের স্টোর নিজের মর্জি মতো সাজানোর, তাহলে ইন প্রিন্সিপাল ব্যক্তির চয়েজ থাকছে তার স্টোর কম্বিনেশন পিক করার।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, গভর্নমেন্ট না থাকলে তাহলে কে বাঁচাবে? এটার একটা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। যেমন, এমন করা যেতে পারে যে আমার প্রাইভেট স্টোরে আমি জাঙ্ক ফুড পেছনের সারিতে রাখবো, সাথে নাজ্ব বইটার রেজাল্টগুলো নিয়ে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে দেখাবো যে অন্য স্টোরগুলো কীভাবে মানুষের চয়েজ সিস্টেমে ভিজুয়াল স্টিমুলাসগুলোর দুর্বলতাকে পুঁজি করে মানুষকে জাঙ্ক ফুড খাইয়ে অসুস্থ করে দিয়ে নিজেরা লাভ করে নিচ্ছে। এমন ক্যাম্পেইনিং করবো যে হেল্দি স্টোর কম্বিনেশন রাখাটাও একটা লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠবে। অন্যরাও দেদারসে জাঙ্ক ফুড সামনের সারিতে রেখে একতরফা লাভ করে যেতে পারবে না। গ্যারান্টি নাই যে এটা কাজে দিবেই। তবে এই "সম্ভাবনাটা" ক্যারোলিনের জ্ঞানগত শক্তিটাকে কাজে লাগানোর ৬ নম্বর উপায় হিসাবে ভাবা যেতে পারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হেল্দি খাবারের ব্যাবসা করে লাভ করাটা শক্ত। বিজ্ঞাপনের নাজ্ব ন‌্যুব্জ (বানান ঠিক হলো?) হয়ে যাবে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বিজ্ঞাপনের নাজ্ব ন‌্যুব্জ হয়ে যাবে।

সেটা হতে পারে। হাসি কিন্তু সেক্ষেত্রে সরকারও তো কোনো ক্যাম্পেইনিং করেই এমন পলিসি নেবার গণসমর্থন না পেতে পারে। জনগণের সমর্থনের বাইরে সরকারের তেমন পলিসি নেবার কি তখন ম্যান্ডেট থাকবে? আবার ম্যান্ডেট ছাড়া ওয়েলবিয়িং করতে পারলে ম্যান্ডেট ছাড়া দুর্নীতি অনিয়ম স্বেচ্ছাচার করারও সুযোগ থাকে, ওয়েলফেয়ারের নামে শাসকগোষ্ঠির স্বার্থসিদ্ধির সুযোগ থাকে। সরকারি প্যাটার্নালিজম স্বৈরতন্ত্রের জাস্টিফিকেশন বলে বোধ হচ্ছে।

হিমু এর ছবি

প্রথমে শাদী ডট কমে নাম লিখিয়েছো, আর এখন নাজ নিয়ে লিখছো ...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ও... তুমি নাজ মনে করে পড়তে এসছিলে? শয়তানী হাসি

স্যাম এর ছবি

হো হো হো

আইলসা এর ছবি

আমি সাধারনত টিম মিটিংয়ে বা বসের সাথে দর কষাকষির সময়, এজাতীয় একটা স্ট্রাটেজি ফলো করি। আমি কিছু প্রপোসাল রেডি করি, রিফিউসড হবার জন্য কিন্তু এইটা ও এন সিউর করি, রিফিউসড প্রপোসালগুলার সর্ট কামিংসগুলো যাতে আমার আসল প্রপোজলকে স্ট্রং করে।

ধরেন বস টিম লাঞ্চের অফার করলে, আমি আগে কলিগদের সাথে একটা অফ লাইন মিটিং করি। মিটিংয়ে যদি আউটকাম আসে সবাই ওয়েস্টিনে যেতে চায়, তাইলে আমি বসরে তিনটা অপশন দেই-

রেডিসন - খাবার ভালো, দামও ভালো কিন্তু এক দিন সময় নষ্ট হবে যাইতে আসতে
বেলাজিও- খাবার ভালো, দূর ও না কিন্তু দাম এত বেশি যে তিন দিন খাওয়া যাবে এই টাকায়
ওয়েস্টিন- খাবার তত ভালো না, কিন্তু কাছে আবার দাম ও কম।

এই পর্যায়ে কলিগদের ইনপুট দরকার হয়, তারা বইল্যা উঠে খাবার অত খারাপ না। ব্যাস ভালো বস হইলে, সে খুশি মনে ওয়েস্টিন চুজ কইরা ফেলে আর ত্যাদড় বস হইলে, কস্তরীতে নিয়া যায়। সেইজন্যও চিকিৎসা আছে, একদিন কস্তরীতে খাওইলে, তিনদিন পেট খারাপ কইয়া সিক লিভ। বস মতিকন্ঠের উপদেশ ফলো কইরা লাইনে চলে আসে।

এইটা মনে হয় একধরনের নাজ্বই। খালি ইংরাজিতে একটু দুর্বল নাইলে বই কি আমরা লিখতে পারতাম না।
বিদ্র: আমার কথা-বার্তা কি খুব বেশি অফটপিক হয়ে গেলো?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নেগিটিভ নাজ্ব। আপনি নামে যতটা কামে ততটা আইলসা মনে হইতেছে না! হাততালি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আইলসা সম্পর্কে আমারো ধারণা পালটাইলো। দেঁতো হাসি
নাজ্ব - ব্যাপারটা সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ তৈরি হলো। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

থ্যাঙ্কিউ!

তানিম এহসান এর ছবি

রিভিউ আগ্রহ তৈরি করলো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সময় পেলে পড়ে ফেলেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পড়তে হবে। লিস্টে রাখলাম। চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দুর্দান্ত এর ছবি

কয়েকবছর আগে এয়ারপোর্টে কটকটা হলুদমলাটের হাতিওয়ালা বই দেখে হাতে নিয়েছিলাম। মা হাতি বাচচা হাতিকে হালকা করে সামনে ঠেলে দিচ্ছে। প্লেনে উঠে বইটা পড়তে শুরু করেছিলাম, কিন্তু বেশীদুর যেতে পারিনাই।

***
"Often people's preferences are ill-formed, and their choices will inevitably be influenced by default rules, framing effects, and starting points. In these circumstances, a form of paternalism cannot be avoided. Equipped with an understanding of behavioral findings of bounded rationality and bounded self-control, libertarian paternalists should attempt to steer people's choices in welfare-promoting directions without eliminating freedom of choice."

থালারের এই কথা কিছুটা পরিচিত লাগে না? কিছু মানুষকে বলতে শুনি যে বাংলাদেশে মানুষের তো শিক্ষাদিক্ষা নাই, তারা তাই গণতন্ত্রের জন্য় প্রস্তুত না। তাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য় একটু নসিহতের দরকার, গার্জেনি দরকার। নাহলে তারা ভুলচুক করে ভুল সরকার নির্বাচিত করতে পারে, ইত্য়াদি ইত্য়াদি।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ওয়েলফেয়ারের মূল কথা তাইলে সামওয়ান নোজ ইওর ওয়েল-বিয়িং বেটার দ্যান ইউ। libertarian paternalism একটা oxymoron।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হা হা, কী তাজ্জব কি বাত! Libertarian paternalism is not an oxymoron নামেই একটা পেপার আছে ওনাদের। আবার দেখছি এর একটা রিবাটলও আছে Libertarian paternalism is an oxymoron নামে। মজা পাইলাম।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

পরের পেপারটা থেকে একটু কোট করি -

In this Essay, I discuss three defects present in the argument for libertarian paternalism: (1) a logical error and empirical oversight in the claim that paternalism is inevitable in situations where preferences exhibit irrational sensitivity to the choice frame; (2) a failure to justify the choice of welfare over liberty as the value guiding the paternalistic side of libertarian paternalism; and (3) a neglect of the redistributive effects of libertarian paternalism. Consideration of the first two defects reveals that Sunstein and Thaler's libertarian patemalism surrenders too much libertarian ground to the patemalist. Consideration of the third defect reveals that any form of libertarian paternalism, even the more truly libertarian paternalism proposed in Parts I and II below, may lead to a redistribution of resources from rational to irrational persons that cannot be reconciled with the libertarian prohibition on state-based takings for any purpose other than remedying involuntary exchanges. I conclude that, despite the ambitious efforts of Sunstein and Thaler to show otherwise, they offer no new regulatory path that will permit paternalistic efforts at welfare improvement without intruding on personal autonomy. In short, libertarian paternalism is an oxymoron.

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুঁ এটা ঠিক যে লিবারটারিয়ান প্যাটার্নালিজম বিপদজনক হতে পারে। কিন্তু এপলিকেশন গুলা খেয়াল কইরা। রিজনিংগুলো আমার কাজে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে

অমি_বন্যা  এর ছবি

মাঝে মাঝে অফিসে একসাথে কয়েকটি কাজের জন্যে বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ফিডব্যাক নেয়া। একসাথে সবগুলো কাজ শেষ করা হয়ে যায় অনেক আগেই কিন্তু ফিডব্যাক দেয়া শুরু করি একটু ধীরে ধীরে । আগে দিলে আসে আরও কিছু কাজের আদেশ। এই যে কাজ নিয়ে একটু দেরি করে সবগুলো কাজের ফিডব্যাক একটু আস্তে আস্তে দেয়াটা মনে হয় নাজ (nudge)। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেই একেবারে শেষে ।

বইটা পড়ার আগ্রহ জাগল আপনার রিভিউ পড়ে মাহবুব ভাই । ভালো থাকবেন।

দুর্দান্ত এর ছবি

অফটপিকঃ নাজৃ কথাটার উচ্চারণ কেমন হইবো? 'জ্ব' যতদুর মনে হয় আগুন জ্বলার মত, মানে জীবের ডগা আর দাঁতের মিলনস্থল থেইকা উচ্চারণ হইব। অন্তস্থ 'ব' এর কারনে আবার লাস্টে 'অ' আওয়াজের লেজ যুক্ত হইতারে। তাইলে 'নাজ্ব' পড়তে হইবো না - জ - ওয়ো। ইংরাজি "-dge" এর উচ্চারণ তো মনে হয় 'অন্তস্থ য' মানে জিহ্বার গোড়া আর তালুর মিলনস্থল থেইকা না যে আওয়াজ বাইরায় তার কাছ্কাছি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম। হজ্জ্ব এর মতো হতে পারে তাইনা? ঠিক করে দিচ্ছি শিরোনাম।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাহ্, বেশ কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়তো!

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার পোস্টগুলো বেশ অন্যরকম। আপনার ( এবং কৌস্তুভ) এর গ্রন্থালোচনার উপর ভিত্তি করে লাইব্রেরি থেকে বেশ কিছু ইস্যু করেছি এর আগে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

একজাক্টলি, এটাই বলতে চেয়েছিলাম। মুর্শেদ ভাইয়ের বই আলোচনা অনেকটা অন্যরকম হয়। সাধারণ কাহিনী-উপন্যাস-ইতিহাস না; কেমন যেন প্রশ্ন তৈরী করে।

মুর্শেদ ভাই, ১ নম্বরের 'উপকার হয়' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?? স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট না কি খাবার খরচ থেকে বাঁচিয়ে লাভ ?? কিন্তু ডায়েটের ক্ষেত্রে কার কী দরকার ওইটা বুঝবে ক্যাম্নে ??

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েটের কথা বলা হয়েছে। বেসিক কিছু বদ খাবার বর্জন করলে সবার জন্যই উপকারী হয়। যেমন চকোলেট, আইসক্রিম এগুলো দূরে সরিয়ে রাখে যেতে পারে। মানছি যে কিছু ভ্যারিয়েশন থাকবে। কিন্তু সীমার মধ্যে থেকে সাধারণভাবে একটা রেইঞ্জের খাবার প্রোমোট করা যেতে পারে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

থ্যাঙ্কিউ। আমি ইদানিং বেশ কিছু বই জোগাড় করেছি, লাইব্রেরীর সস্তায় বই বিক্রির কল্যানে। সেগুলো থেকে যেগুলো ভালো লাগে পড়ি আর শেয়ার করার চেষ্টা করি।

অরফিয়াস এর ছবি

মুর্শেদ ভাইরে, কে কোন বিষয়ে নাজ্ব করলো জানতে মন চায়। দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শয়তানী হাসি

শামীম এর ছবি

পাঠকদের উপরে এক্সপেরিমেন্ট রেগে টং

আপনারে ইস্টক ইটা রাইখ্যা গেলাম...

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটু সহজ করে বোঝার চেষ্টা করি , প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটা কি চয়েস প্ল্যানিং করে অবজেক্ট কে প্রলুব্ধ করা বা তার সিদ্ধান্ত নেয়াটাকে তরান্বিত করা সেক্ষেত্রে অবজেক্ট কে রিড করার একটা ব্যাপার মনে হয় চলে আসবে,আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সাধারানত এই ব্যাপারগুলা মনে হয় ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথডেই হয়ে থাকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে, কিন্তু সম্ভাব্য সার্বজনীন একটা প্রক্রিয়া কি কোন একটা নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে সিলেক্ট করা সম্ভব তাত্তিক বিশ্লেষণ পর্যায়ে ,আমি যে ধরনের কাজ করে থাকি তাতে ভোক্তা কে নাজ্জ করাটা খুব ইম্পরট্যান্ট একটা পর্যায়, সে ক্ষেত্রে এটা কি আমার জন্য খুব একটা সহজপাঠ্য ? নাকি অর্ধ পথে গিয়ে আটকায়া জামু ,পাঠক হিসাবে আমি খুব একটা জাতের না
কন্টেন্ট ইন্টারেস্টিং , ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

বুড়া মকবুল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।