ক্রিসমাস আর নববর্ষ মিলিয়ে প্রায় দুসপ্তাহের কাছাকাছি ছুটি ছিলো। ইদানীং বই পড়া বেড়েছে আমার। আসল লক্ষ্য ছিলো ইংরেজী পড়ার গতি বাড়ানো। সেটা করতে এসে বই পড়ার পুরোনো নেশাটা ফিরে এসেছে আবার। ইচ্ছে ছিলো এই দুই সপ্তাহে ছ'টার মতো বই শেষ করব। সে আশার গুড়ে বালি দিয়ে সপ্তাহটা এমনি এমনিই কেটে গেলো। ভাবলাম যে কয়টা বই পড়েছি সেটা নিয়ে এবেলা দুচার লাইন লিখি।
প্রথমটা হলো দ্যা অ্যানসেসটরস টেইল। রিচার্ড ডকিন্সের এই বইটা নিয়ে বাংলায় খুব কম লেখা লেখি হয়েছে। মানব জাতির অভিযোজনের উৎসমুখী তীর্থযাত্রা নিয়ে লেখা বইটি। ডকিন্সের এই বইটা আগে একবার অডিও বই হিসেবে শুনেছিলাম। এবারে তাই প্রথম আবিষ্কারের চমকটা ছিলো না। তবে যে কোনো অর্থেই বেশ ভালো একটা বই এটা।
দ্বিতীয় বইটা হলো প্রিডিকটেবলি ইড়্যাশনাল। সহ ব্লগার ফাহিম হাসান ড্যান অ্যারিয়েলির সদ্য প্রকাশিত বইটি আমাকে শেয়ার করবার কিছুদিন পরেই অ্যারিয়েলির দুটো পুরোনো বই কিনে ফেলি। সেই থেকে বইদুটো পড়ার জন্য উদগ্রীব ছিলাম। বই পড়ুয়াদের সোশাল ওয়েবসাইট গুডরিডসে শিমুলকে বইটি ৩ রেটিং করতে দেখে একটু হোঁচট খেয়েছিলাম। পড়ে দেখলাম শিমুল ঠিকই রেটিং দিয়েছিলো। বিহ্যাভিয়ারাল ইকোনমিকসের এই বিষয়গুলো নতুন কিছু নয়। তরল ভাষায় অনেকটা স্পেস নিয়ে পড়ার পর চমৎকৃত হবার মতো বিষয় পেলাম খুব অল্প কিছু। বোধকরি সহজ ভাষায় লেখা বলেই জনপ্রিয় হয়েছে বইটি, আর আমি হয়েছি হতাশ।
এরপর পড়তে শুরু করলাম আ থাউস্যান্ড স্পেলডিড সানস। খালেদ হোসাইনির প্রথম বই দ্যা কাইট রানার বইটা খারাপ লাগেনি। তবে সেটার অতি নাটকীয়তায় একটু বিরক্ত হয়েছিলাম। এই বইটিতে অতি নাটকীয়তা খানিকটা কম। তবে একেবারে নেই সেটা বলা যাবে না। বইটির প্রেজেন্টেশনটা ভিন্ন লেগেছে এবং চমৎকৃত করেছে। দুজন আফগানী নারী, মরিয়ম আর লায়লার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে গল্পটা লিখিত হয়েছে। আফগান নারীদের বঞ্চনার চিত্রটা খুব ভালো ভাবে ফুটে উঠেছে বইটিতে। তবে সবচেয়ে ভালো লাভ হয়েছে একজন আফগানীর দৃষ্টিতে আফগান সমস্যাটার একটা পরিষ্কার চিত্র দেখতে পেয়েছি এতে।
এখন পড়ছি ব্যাড মানি। পড়া শেষ হলে এখানে জুড়ে দেবো ছোট্ট একটা রিভিউ।
মন্তব্য
দ্যা অ্যানসেসটরস টেইল নিয়ে বিশাল একটা আলোচনা লেখার ইচ্ছে অনেকদিনের, কিন্তু বইটা কাছে নেই। আশা করি জানুয়ারি মাসেই পারব। আমার সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর একটা।
আ থাউস্যান্ড স্পেলডিড সানস এমনিতে ভালই, কিন্তু ভদ্রলোকের ভাষা নিয়ে আরও ঘষামাজা করা দরকার।
facebook
এত ছোড কেনু পোস্ট, মুর্শেদ ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
বেশ ছোট হয়ে গেল লেখাটা । প্রথম বইটি নিয়ে আরো বড় করে লিখ্লে পারতেন ।
বেদাতের পথে হাঁটতেছো .....
অজ্ঞাতবাস
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পড়তে না পড়তেই শেষ হয়ে গেল। এত ছোট লেখা কেন মুর্শেদ ভাই?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মুরশেদ ভাই, আপনি কিন্তু ইদানিং আকাশের চাঁদ হয়ে উঠছেন। খুব ব্যাস্ত মনে হয়, লেখাও দিলেন এত ছোট! দ্রুত বড় লেখা ছাড়ুন।
-মনি শামিম
এত্ত ছোট লেখা?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন