রিভিউ: চিৎকারের চিৎকার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শুক্র, ২০/০২/২০১৫ - ১২:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনে সুবোধ অবোধ নামের আড়ালে লেখে রাব্বি নামের ছেলেটা। সেই সাথে একটা ব্যান্ডের সাথে গিটারিস্ট হিসেবে গিটার বাজায়। গত ডিসেম্বর বাংলাদেশ যাবার পর দেখা করবে জানালো। ঢাকার বাইরের এক হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগী দেখে ফেরার পথে একদিন আমার বাসার কাছে চলে আসলো। একটা খাবার দোকানে বসে ওদের নতুন গান গুলো শোনালো। ওদের তিনটে গান আগেই শোনা ছিলো। আরো কিছু নতুন গান শুনলাম সেদিন। ওদের গানগুলোর ভক্ত আমি শুরু থেকেই।

গল্পে গল্পে বাংলাদেশে মিউজিশিয়ানদের নড়বড়ে অবস্থার কথা জানালো রাব্বি। জানালো কিভাবে রেকর্ড প্রোডিউসাররা তাদের মর্জি অনুযায়ী শর্ত চাপিয়ে দেয়। গান অনৈতিক ভাবে ডাউনলোডের কারনে কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছে মিউজিশিয়ানরা। ফিজিওথেরাপিস্ট বনাম ডাক্তারদের অনৈতিক যুদ্ধ এবং বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপিস্টদের বঞ্চনার কথা বলল। এই মিউজিকের জন্যই সে উচ্চতর শিক্ষার নামে দেশ ছাড়েনি। সেই সাথে আরো জানালো তাদের অ্যালবাম প্রকাশের কাজ চলছে। যে কোনো দিন প্রকাশ হতে পারে।

হচ্ছে হবে করে সে অ্যালবাম প্রকাশ পেলো ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে। অ্যামাজনে, আইটিউনস, স্পটিফাই সহ সব অনলাইন মিডিয়ায় পাওয়ার পরদিনই আমি অ্যামাজন থেকে অ্যালবামটি কিনে ফেলি।

প্রথমে ভালো গানগুলোর আলোচনা দিয়ে শুরু করি। অ্যালবামের মোট নয়টি গানের প্রথম গান ‘যতদূর’। প্রথম গানেই চিৎকারের পরিবেশনা ভালো লেগে যেতে বাধ্য আপনার। সেতারের মতো একটা বাজনা ব্যবহার করা হয়েছে যেটা অন্য মাত্রা যোগ করেছে গানটায়।

অ্যালবামের চতুর্থ গান ‘চলতি হাওয়া’ এবং পঞ্চম গান ‘নদীর মতো চলি’ দুটোই মাস্টার পিস এবং আমার মতে তাদের সেরা দুটো গান। গানগুলোর কথা, সুর এবং সঙ্গীত সবই খুব ভালো লেগে যায় এজন্য। বিশেষ করে ‘নদীর মতো চলি’ গানটি প্রথম শোনায় আমার মাথায় ঢুকে যায় এবং গান শেষ হবার পর আবার শুনতে বাধ্য করে। একটাই অভিযোগ আমার গানটির ক্ষেত্রে, গানটা মনে হয় হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যায়। গানটা আরেকটু দীর্ঘায়িত করলে এবং গানের মাঝখানে কিছু লিড গীটারের কাজ থাকলে আরো ভালো লাগতো মনে হয়েছে। শৈশবের গল্প নিয়ে ‘একা একা দিন’ গানটিও চমৎকার একটি পরিবেশনা।

তবে এ পর্যন্ত যে চারটি গানের কথা বললাম সেগুলোর প্রত্যেকটি মূলতঃ অ্যাকুস্টিক নির্ভর। রক ঘরানার বাকি পাঁচটি গানের মধ্যে ‘এখন ভাঙচুরের সময়’ গানটি উল্ল্যেখযোগ্য। যদিও সবার পছন্দ হবে না গানটি, তবু আমার মতে গানটি একটা নতুন ধারার জন্ম নিতে পারে। এক পাগল প্রেমিকের মাতাল করা গানটিআমার খুব পছন্দের।

‘রাত যায়’ গানটির সঙ্গীতায়োজন আমার মতে অ্যালবামটির সবচেয়ে সমৃদ্ধ কাজ। একই সাথে গানটি অ্যালবামের সবচেয়ে দীর্ঘ্য। এই ধরণের গান আরো কিছু থাকতে পারতো অ্যালবামে।

এছাড়া ‘বৃষ্টি আসছে’, ‘হাতে হাত’ গান দুটো মোটামুটি মনে হয়েছে। তবে সময়ের পরিক্রমায় গানদুটো শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে কিনা সেটা শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন। এই গানদুটোর উচ্চারণগুলো আমার কাছে শ্রুতি কটু লেগেছে খানিকটা। পদ্মের স্টাইল কিনা জানি না, কিন্তু তিনি কয়েক জায়গায় জোর দিতে গিয়ে শব্দটাকে বদলে ফেলেছেন। যেমন ‘বৃষ্টি এসেছে’ গানটা শুরু করেছেন এভাবে, “মেঘ কিছু জড়ো হয় আক্কাশে, আক্বাশে; কি ভাবনা বাত্তাসে, বাত্তাসে, বাত্তাসে”। ‘হাতে হাত’ গানটায় ঠিক একই ভাবে “পত্থের ধুলোয়”, “ডাশটবিন” এই ধরনের শব্দের উচ্চারন কানে লেগেছে।

“হাট্টিমাটিম” গানটা চটুল এবং হাস্যকর লাগলেও অর্থ বুঝতে কষ্ট হয়। ঠিক কি বলতে চাইছেন সেটা পরিষ্কার নয়। এটা যে ২০০৪ সালের সিরিজ বম্বিংয়ের সময়কার ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে একটা রাজনৈতিক স্যাটায়ার সেটা রাব্বি আমাকে না বললে বুঝতে কষ্ট হতো। ইন ফ্যাক্ট, বেশ কয়েকটা গানের অর্থ বুঝতে খানিকটা বেগ পেতে হয়।

অ্যামাজন থেকে ডাউনলোড করা গানগুলোর শেষে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের একটা করে গ্যাপ বা নিঃশব্দ অংশ আছে। এই টেকনিকাল সমস্যাটি এখন সমাধানের কোনো উপায় থাকলে শুধরে নিতে বলব চিৎকারকে। আর রাব্বি নিজেও গান গায়, তাই অ্যালবামে ওর গাওয়া কোনো গান না দেখে অবাক হয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যত অ্যালবামে রাব্বির কিছু গান থাকবে।

রিভিউ লেখার সময় খারাপ দিকগুলোর আলোচনা পরে করার ফলে পাঠকের মনে নেগেটিভ অনুভূতি থেকে যাবার সুযোগ থাকে। তাই আবারও গুরুত্ব দিয়ে বলতে চাই যে, চিৎকার ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘চিৎকার’ যে কোনো বিচারে অসাধারণ একটি প্রকাশনা। তাই অ্যালবামটা ফ্রি ডাউনলোড না করে অনুগ্রহ করে কিনে শুনুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার ভালো লাগবে।

ওহ বলাই হয়নি, চিৎকার ব্যান্ডটিতে বর্তমানে ছয়জন সদস্য আছেন। ভোকাল ও মন্দিরায় পদ্ম, গিটারে রাব্বি, সজীব ও অতনু, বেইজ গিটারে শুভ এবং তুহিন ড্রামসে। চিৎকার ব্যান্ডটির ফেইসবুক পেইজ : https://www.facebook.com/chitkarband

আমি নিশ্চিত চিৎকার ব্যান্ডটি ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে। তাদের জন্য রইল শুভকামনা।

(খুঁজে পেতে ইউটিউবে একটি গান পেলাম। গানটি এই এলবামে নেই কিন্তু পাঠকের স্বার্থে সেটাই জুড়ে দিলাম)


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

চিৎকারের নাম প্রথম শুনলাম। দারুণ লাগলো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্যাম এর ছবি

রিভিউয়ের সাথে একটু গল্প - ভাল লেগেছে।
অ্যালবাম কি সিডিতেও প্রকাশ পেয়েছে?
চিৎকারের ফেসবুক পেজের লিঙ্কটা কাজ করছেনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। লিংক ঠিক করে দিয়েছি।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হ্যাঁ, অ্যালবাম সিডিতেও প্রকাশ পেয়েছে। হাসি

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল! ছিল 'সুবোধ অবোধ' হয়ে গেল 'রাব্বি'!! এই মুহূর্তে মুন্নি সাহা এসে যদি জিজ্ঞেস করে-অনুভূতি কি? উত্তর দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। এত সুন্দর করে রিভিউ লেখার জন্য মুর্শেদ ভাই কে ঠিক কি বলবো বুঝতে পারছি না। এক্ষেত্রে 'ধন্যবাদ' খুবই পাতলা একটি শব্দ। হাসি

আপাতত এই পোস্টের সূত্র ধরে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেই-

সেতারের মতো একটা বাজনা ব্যবহার করা হয়েছে যেটা অন্য মাত্রা যোগ করেছে গানটায়।

ব্যবহৃত বাজনাটি ব্যাঞ্জো এর। অ্যালবামের এই গানটিতে অতিথি হিসেবে ব্যাঞ্জো বাজিয়েছেন ইমন চৌধুরি।

"হাট্টিমাটিম টিম" গানটি ২০০৪ সালের সিরিজ বম্বিং এর সময়ে সৃষ্টি। যখন সারাদেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পরও কমিটি(তৎকালীন সরকার) দাবী করল যে "দেশে কোন জঙ্গী নাই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি!!" গানের কয়েকটা লাইন-

ওরা সবাই ভুত ছিলো
বোম ফুটাইয়া ফুটছিলো(পালিয়েছিল)
কমিটির লোকে আইসা বলে-
না, না, সবই ঠিক ছিল!!

অ্যামাজন থেকে ডাউনলোড করা গানগুলোর শেষে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের একটা করে গ্যাপ বা নিঃশব্দ অংশ আছে। এই টেকনিকাল সমস্যাটি এখন সমাধানের কোনো উপায় থাকলে শুধরে নিতে বলব চিৎকারকে

আমি ভেন্ডর কম্পানি কে জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয়।

আর রাব্বি নিজেও গান গায়, তাই অ্যালবামে ওর গাওয়া কোনো গান না দেখে অবাক হয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যত অ্যালবামে রাব্বির কিছু গান থাকবে।

এই অ্যালবামের গান সিলেকশনের সময় আমাদের অনেকটা মধুর সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এই অ্যালবামে আমাদের নিজেদের পছন্দের অনেক গানও দেয়া হয়নি। যে গানগুলো দেয়া হয়েছে এগুলোই সাধারণত আমরা বিভিন্ন সময় স্টেইজে পারফর্ম করে এসেছি সেই শুরু থেকে। আরেকটা কারণ হচ্ছে এই অ্যালবামে আমরা 'চিৎকার' কে এভাবেই উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম।

যে গানটি এমবেড করে দেয়া হয়েছে সেটা নজু ভাইয়ের অনেক পছন্দের গান, আমাদেরও। তারপরও এই গানটি দেয়া হয়নি কারণ ধরণ বিচার করলে এটি 'রাত যায়' গানটির মত। এটা পরবর্তি অ্যালবামের জন্য তোলা রইল।

সবশেষে বলি- সচলায়তন আমার ভালোবাসার যায়গা। নিজের পরিবারের মতই। অ্যালবামের কাজের কারণে নিয়মিত লগইন না করতে পারলেও এমন কোন দিন নেই যে সচলে ঢুঁ মারা হয়নি। সচলায়তন আমাকে অনেক বিষয়েই নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। সেখানে নিজের ব্যান্ডের অ্যালবাম রিভিউ দেখে আপ্লুত।
সচলায়তনের সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

খুব ভাল লাগলো শেষাবধি আপনারদের গান সচলায়তনে পেয়ে। অভিনন্দন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হাসি
ধন্যবাদ।

তানিম এহসান এর ছবি

রিভিউ খুব ভাল লাগলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিৎকার নিয়ে সচলে লেখা দেখে ভাল লাগলো। চিৎকারের প্রথম অ্যালবাম। ‘রাত যায় আসে রাত’, পদ্মর এ গান আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পথনাটকে ব্যবহার করেছিলাম। যখন যুদ্ধাপরাধীরা ব্যাপক উঁচু গলায় কথা বলছিলআরকি। বিএনপি পিরিয়ডের শেষদিকে। সে এক সময়। অনেকগুলো পছন্দের গান বাদ পড়েছে। ‘এখন আমি নদীর মতো চলি’ তো --- এর প্রথম রেকর্ডিংটা আমার বেশি প্রিয় ছিল, যেখানে বাঁশির একটা মজার কাজ ছিল। সুবোধ অবোধের খোলসটা খসে গেল দেখে ভাল লাগলো। চিৎকার নিয়ে আলোচনা করায়- মাহবুব ভাইকে ধন্যবাদ।

স্বয়ম

সুবোধ অবোধ এর ছবি

সুবোধ অবোধের খোলসটা খসে গেল দেখে ভাল লাগলো

চিন্তিত

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল! ছিল 'সুবোধ অবোধ' হয়ে গেল 'রাব্বি'!! এই মুহূর্তে মুন্নি সাহা এসে যদি জিজ্ঞেস করে-অনুভূতি কি? উত্তর দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।

মজা পেলাম।
গানটি শুনছি। শুভকামনা রইল।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মোখলেছুর রহমান সজল  এর ছবি

এই মাসের ১৬ তারিখে অ্যালবামটি কিনেছি। ঐরকম পিসি নষ্ট থাকার দরুন ভালো করে শোনা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো। পদ্ম-র লিরিক টিউনগুলো বেশ ব্যতিক্রমধর্মী। ভয়েজ-টাও ভিন্ন রকম। অ্যালবামের কাভার ডিজাইনটাও সুন্দর।

এক লহমা এর ছবি

সে ছেলের চমৎকার লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হয়ে থাকি। এবার জানলাম তার আবার একটি চমৎকার গানের দলও আছে! বাঃ! হাততালি

রিভিউ খুব ভালো লাগল।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাহ, অভিনন্দন সুবোধ অবোধ, নাকি অভিনন্দনটা রাব্বি ভাইয়ের প্রাপ্য?
যাকগে, "যাহার জন্য প্রযোজ্য" আর কি। মুর্শেদ ভাইকেও ধন্যবাদ। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

যাহা সুবোধ অবোধ, তাহাই রাব্বি। বুঝেনই তো। চোখ টিপি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমমম চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এদের গান শোনা হয়নি আগে। রিভিউ পড়ে গানগুলো শোনার আগ্রহ হচ্ছে। সময় করে সিডিটা কিনে ফেলব দেখি। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিজিওদের সমস্যার কথা প্রায়ই শোনা যায়। প্রতিযোগীতা হতে পারে তবে একটা পেশাকে এভাবে দমিয়ে রাখা এটাতো জঘন্য ব্যপার।আর সংগীত জগতে তো নোংরামীর রাজনীতি চরমে!

--------------
রাধাকান্ত

মাসুদ সজীব এর ছবি

ইউটিউবে দেওয়া গানটা শুনে ভালোই লাগলো। আওয়াজ টা কানে লেগেছে, গতানুগতিক ধারার মিউজিক থেকে অনেকটাই আলাদা, গায়কীতে ও তাই। শুভকামনা থাকলো সুবোধ-অবোধ ভাই হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হাসি ধন্যবাদ

নাশতারান এর ছবি

খুব ভালো রিভিউ হয়েছে। গান, বই, মুভি না শুনে না পড়ে না দেখে রিভিউ পড়ি না কখনোই। গানগুলো শুনে এসে রিভিউ পড়লাম তাই। আপনার আমার পছন্দ খাপে খাপে মিলে গেল। যতদূর, চলতি হাওয়া, নদীর মতো চলি, একা একা দিন, এখন ভাংচুরের সময় ভালো লেগেছে বেশি। কণ্ঠ আর যন্ত্রসংগীত মনে ধরল। চিৎকার নামটাও দারুণ। শুভকামনা রইলো ওদের সবার জন্য। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।