একটা সময় ছিল যখন বিয়ে শাদীর জন্য ৫-১০ বছরের ছোট মেয়ে ছাড়া চলত না। বয়স্ক লোকেরা কচি কচি বউ নিয়ে বড়াই করে ঘুরে বেড়াত। যে যত অল্প বয়স্ক বউ নিয়ে ঘুরতে পারবে তার ক্রেডিট তত বেশী।
ব্যাপারটা বোধকরি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে এসেছে। পুরুষরা তাদের ক্ষমতা ফলাতে ভালোবাসে। অল্প বয়সী মেয়েদের শাসন করতে সুবিধা। মেয়েদের চিন্তা ভাবনাকে mold করে তাদের সাথে যাতে তাল মেলায় সেটা নিশ্চিত করা যায়। মহানবী (সাঃ) তার চেয়ে বেশী বয়সী কাউকে বিয়ে করেছিলেন এই তথ্যটাকে তার ব্যবসায়ী বুদ্ধির চেয়ে বেশী কিছু নয় দাবী করে পুরো ব্যাপারটাকেই অগ্রাহ্য করেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের লোকেরা। তাই কিশোরী মেয়েদের বিয়ে করতে একদমই বাঁধে না মাঝবয়সী কারো।
যদিও তুলনামূলক অল্প বয়সে বিয়ে করার ফলে সেসমস্ত নারীরা নিজস্ব বুদ্ধিবিহীন, সংসার সামলানোয় ব্যাস্ত, সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বই আর বেশী কিছু হতে পারেন না। তারপরও সঙ্গত কারনেই সেমস্ত পরিবার টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশী থাকে। আর তাই এই অল্প বয়সী বিয়ে করার প্রথা চলে আসতে থাকে। আমি তো এযুগেই এই ধরনের লোক দেখেছি যারা অনেক শিক্ষিত হয়েও অত্যন্ত অল্প বয়সী না হলে বিয়ে করবেন না এরকম গোঁ ধরে থাকেন।
ধীরে ধীরে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে কম ব্যবধানে বিয়ে করার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা বিয়ের নতুন মানে সবার কাছে ধরা দিচ্ছে - বিয়ে মানে শুধু একজন প্রজননক্ষম সজ্জাসঙ্গী নয়। এর মানে আরো অনেক ব্যাপক। স্ত্রী একজন জীবন সঙ্গিনী। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতা সবকিছুতে তার রয়েছে সমান ভাগীদার হবার অধিকার। আর তাই পশ্চিমে মনের মিল থাকাটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয় আর কিছু নয়।
সমবয়সীদের মাঝে বিয়ে ব্যাপারটা ইদানীং খুব ঘটছে। একই সাথে পড়াশুনা, চাকরী বাকরী করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা এভাবে হয়ে আসছে ব্যাপারগুলো। অনেক অভিভাবক আবার মেনে নিতে পারেন না ব্যাপারটা। তখন ঘটে সর্ম্পক বিচ্ছেদের মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা।
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, সমবয়সী স্ত্রীর কাছ থেকে সবকিছুতে যে রকম সাপোর্ট পাওয়া যায় সেরকমটা একটা অল্প বয়সী মেয়ের কাছ থেকে আশা করা মুশকিল। সবকিছুতে যে বন্ধুর মত শেয়ার করা, নিজের ভাললাগার বিষয়গুলোর সাথে একই এজগ্রুপের স্ত্রী সাথে মিল খুঁজে পাওয়া এগুলো আসলেই সম্ভব হয়না স্ত্রীর এজ গ্রুপ ভিন্ন হলে।
অবশ্য যুক্তি বুদ্ধি গড়ে ওঠা একটা মেয়ের নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান করবেন এমন পুরুষ পাওয়াও সমস্যা। মেয়েরা করবে ঘরের কাজ আর পুরুষ শাসন করবে সংসার - এই ধারনা আমাদের দেশ তো বটেই এমনকি ইন্ডিয়া, চীন এসব দেশেও প্রচলিত। অনেক পুরুষ হয়ত সমবয়সী বিয়েকে খারাপ হিসেবে দেখে না। কিন্তু সেই ব্যাক্তিই যখন সমবয়সীকে বিয়ে করে তখন সব কিছুতে স্ত্রীর খবর দারী পছন্দ করে না।
অবশ্য এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা খুব বেশী থাকে। পুরুষের তুলনায় মেয়ে বেশী বুঝলে বা খবরদারী করতে চাইলে সেটা পুরুষশাশিত সমাজে বেড়ে ওঠা স্বামীর পচ্ছন্দ হয়না। এ ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও খুব বিরল নয়।
কারন যাই হোক: আপনি এই সমবয়সী বা নারীর বয়স পুরুষের চেয়ে বেশী এই ধরনের বিয়ের ব্যাপারটাকে কিভাবে দেখেন?
মন্তব্য
মনে হৈতেছে, দুইরকম অভিজ্ঞতাই আছে ভদ্রলোকের! থাকতেই পারে, তবে সাইমালটেনিয়াসলি না থাকলেই ভাল! হাহাহা...
ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রথমটা - সেখান থিকা দ্বিতীয়টা মুশকিল মনে হইছে।
====
মানুষ চেনা দায়!
সমমনা কাউরে বিয়ে করাটাই মঙ্গলজনক। আর সূত্র বলে, সেইটা সমবয়েসীদের মধ্যে পাওয়াটার সম্ভাবনাই বেশি। মানে শতকরা হার আর কি!
যাকগে, পোষ্টের বক্তব্য অনুসারে, আমি সমবয়েসীদের মধ্যে বিয়ের পক্ষে।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বিয়ে করবেন যাকে ইচ্ছা।
সমবয়েসী হতে পারে,কম বা বেশি বয়েসীও হতে পারে।
কোন বিষয় না।
বিয়ের ব্যাপারে একেকজনের একেক ভাবনা কাজ করে।বেশিরভাগ লোকজনই বিয়ে করে রান্না বান্না করা আর সন্তান উৎপাদন করার যন্ত্রের জন্য।তাদের জন্য ছোট বয়েসী মেয়ে বিয়ে করাই ভালো।
আবার অনেকে খুজে পার্টনার।তাদের জন্য যে কোন বয়েসী হলেই চলে।
বয়স-টয়স বুঝি না,
যে কারও শ্যালিকা হলেই হয়।
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বিয়া বিষয়টাই অনেক ভিন্নরম সামাজিক বন্ধন এইখানে সমবয়সী হোক আর ভিন্নবয়সীই হোক ঝামেলা থাকেই, আবার সুবিধাও আছে...
বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
আসলে এ ধরনের বিচার বিশ্লেষণের জন্যই একাধিক বিয়েশাদী করা দরকার। কমবয়সী, সমবয়সী আর বেশীবয়সী। অন্তত তিনটা তো করাই দরকার সিদ্ধান্তের জন্য।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সারছে!
লা-জওয়াব হওয়ার মতো হীমিয় কমেন্ট।
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
গেনাউ
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
এজন্যই অনেক ধর্মে বোধহয় একাধিক বিয়ের ব্যবস্থা আছে। মা থেকে মেয়ের বয়সী ৩/৪ জনকে বিয়ে করে এক্সপেরিমেন্ট টা করা যায়।
ভাবীরে (যদি থাকে) কমেন্টটা দেখানো দরকার!
====
মানুষ চেনা দায়!
সেই হিসেবে তো আমি পুরুষতান্ত্রিকতার দোষে দুষ্ট। মুক্তার সঙ্গে আমার ব্যবধান ১৮ বছর। কিন্তু আমাদের এডজাস্টমেন্টে তো কোনো সমস্যা দেখি না। আমার কখনোই মনে হয়নাই সে পুলাপাইন কম বুঝে, কিংবা ভাইসভার্সা। অল্পবয়সী মেয়ে নিয়া ঘুরি, এতে আমোদের চেয়ে আপদ বেশী। লোকে বাপ-চাচা ভাবে
..........................................
তুমি হাসো, আমি কাঁদি, বাঁশি বাজুক, কদম তলেরে...
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
অমি রহমান পিয়াল?
লোকটা কে? নামটা চেনা চেনা লাগে!
--------------------------
আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অমি রহমান পিয়াল?
লোকটা কে? নামটা চেনা চেনা লাগে!
--------------------------
আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কাশেম বিন আবু বকর কে?
..............................
তুমি হাসো, আমি কাঁদি, বাঁশি বাজুক, কদম তলেরে...
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
নুর-ই-হাফসা কে?
--------------------------
আমি সত্য না হইলে গুরু সত্য কোনকালে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মো.সুমি,নুসরাত,মুন,বিন্দু আমি,নাতাশা হোসাইন,ইহারা কে?
''কে'' কে?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
জে. কে.
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
এত কিছু চিন্তা কইরা কি হইবো? বিসমিল্লাহ কইরা কবুল কইয়া ফালাইতে হইবো। তারপর যা থাকে কুল কপালে। মন-দেহ দুইটাই জরুরী এবং তা সবসময় বয়স দিয়া মাপা/বাঁধা যায় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এখানে দুইজন অভিজ্ঞ ব্লগার সমবয়েসীর মাঝে বিয়েটাকে হাইলাইট করেছেন তার কারণ তারা দুজনেই ওই ঘরানার। কিন্তু কথা হইলো মেন্টাল ম্যাচিউরিটির সেটা কারো ১৮ তে হইতে পারে কারো ৩৮-এ ও হয় না। আমার কি হবে রে কালিয়া, সে যে চার বছরের ছোট।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আমার বউ প্রায় সমবয়সী। তাই আমি সমবয়সী মতাবলম্বীদের দলে।
মাইরের ভয়ে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কঁচি বাশ বা মুলি বাশ দুটোই বেদনাদায়ক।
নতুন মন্তব্য করুন