বিষয়টা অস্বস্তিকর। এমনকি অনেক প্রগতিশীল মানুষের কাছেও। আমার কাছে তো বটেই। বিষয়টা নিয়ে কখনো ভাবিনি দেশে ছেড়ে বেরুনোর আগে। ইদানিং বিষয়টা এতোবার এতোভাবে সামনে এসেছে যে চাইলেও এভয়েড করতে পারিনি।
বারবার যে বিষয়টা আমাদের সামনে নিয়ে আসা হয় যে সমকামী যারা তারা প্রাকৃতিকভাবেই তাই। অথচ এও বলা হয় যে সমকামীতার শুরু শৈশবের কোন মোলাস্টেশন বা ভুল কোন এ্যক্ট থেকে, যা কিনা আগের কথাটার সাথে কন্ট্রাডিকটরী। তাহলে প্রাকৃতিক ভাবে সমকামী হয় কথাটা পুরোপুরি সত্য না।
একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটল একদিন। আমাদের ল্যাবের একটা ছেলে একদিন গল্প করার ছলে এসে আমার বাইসেপ টিপে দেখছে। আমি অস্বস্তিতে শক্ত হয়ে গেলাম। তারপর তাকে বললাম, হেই হোয়াট আর ইউ ডুয়িন? ছেলেটা সরি বলে উঠে গেল। তারপর দুদিন আমার দিকে তাকাতে পারেনি সে।
ছেলেটা বিবাহিত, বৌ পাগল, একটু মেয়েলী টাইপের। মানুষ হিসেবে চমৎকার। তবু এরকম একটা ব্যাপার কি করে করল? আমি একটা নতুন ভাবনার দুয়ার খুলে গেল। আমি ভাবতে লাগলাম, তাহলে এই ছেলে কি কোন শর্ত সাপেক্ষে গে হয়ে যেতে পারত? নাকি তার এই ব্যবহার আগের কোন ঘটনার একটা অংশ? তারপর ভাবতে লাগলাম, আমি কি গে? আমি কি সঠিক পরিবেশে গে হয়ে উঠতাম? আমার সন্তান কি গে বা লেসবিয়ান হবে? হলে কিভাবে বুঝব? কিভাবে রক্ষা করব? শুরু করলাম বিভিন্ন জার্নাল আর ওয়েবসাইট ঘাঁটা।
আবিষ্কার করলাম বিভিন্ন পদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন আছে। গে, লেসবিয়ান, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, ইন্টারসেক্স, অ্যাসেক্সুয়াল ইত্যাদি। আবার জেন্ডার স্টাডিজে এদের একত্রে ক্যুয়ের (queer) বলে। ক্যুয়ের থিয়োরী বলে একটা তত্ত্বও আছে যেখানে বলা হয় সৃষ্টির আদি থেকে সেক্সের এই প্রথাগুলো চালু থাকলেও ১৯৬০ এর দশক থেকে স্কলার লোকজন এটার কথা জনসমক্ষে বলতে শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে আমাদের দেশের অবস্থা কথা আসে। কিন্তু আমি আলোচনার শেষে এটা নিয়ে বলতে চাই।
আলোচনা শুরুর পর আমার ধারনা আপনাদের উপর খুবসম্ভব একটা বায়াস ফেলবে এটা। তাই এই পর্বেই আমি এই বিষয় নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং ধারনা জানতে চাইব। ব্যাপারটাকে কিভাবে দেখেন।
মন্তব্য
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। ওদের সোশাল এক্সপিরিয়েন্স আলাদা। ওদের বিশ্বাস আলাদা। আমি ঘাটতে গিয়ে মাথা খারাপ। তিন চারটা জার্নাল আছে। গাদা গাদা বই আছে। দেখি কতটা উদ্ধার করা যায়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সমকমীতা প্রাকৃতিক কোনোভাবেই হতে পারে না
মূলত কামটাই প্রাকৃতিক আর কাম প্রকাশ কিংবা কাম নিবারণটা নির্ভর করে অভ্যাস আর পারিপাশ্বিকতা উপর
আমাদের দেশে এক ধরনের বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেখানে সাধারণত ছেলেরা আবাসিক হিসেবেই থেকে পড়াশোনা করে। সেইসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর ছেলের সমকামীতার শিকার হবার অভিজ্ঞতা আছে
আবার যাদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হয় কিংবা অভিজ্ঞতা লাভ করে তারা ১০০% বিবাহিত পুরুষ। কিন্তু সাধারণত তাদের বৌরা দূরে থাকেন
এইসব ছেলেরা বড়ো হয়ে অনেকেই দ্বীমুখী সেক্সে অভ্যস্ত হয়ে উঠে
এছাড়াও মেয়েদের হোস্টেল কিংবা ছেলেদের মেস ও হোস্টেলে এইসব ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়
আমাদের দেশে এর একটা বড়ো কারণ আমাদের দেশে স্বাভাবিক সেক্স করা আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার থেকেও কঠিন। ফলে বিকল্প সেক্স হিসেবে মাস্টারবেশনের পাশাপাশি হোমোসেক্স আরেকটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করে অনেকের জীবনে
এদের মধ্যে অনেকেই স্বাভাবিক সেক্স করার সুযোগ পাওয়ার পরে আর হোমো সেক্স এর দিকে ফিরে না
আবার অনেকে দুটোই চালিয়ে যায়
আর ছেলেদের মধ্যে যাদের স্বাভাবিক যৌনভীতি আছে (যারা মনে করে কোনো নারীর কাছে গেলে সে সম্মানজন সময় ধরে সেক্স করতে পারবে না) তারা অনেকেই এটাকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়
আবার মেয়েদের মধ্যে কোনো কারণে যাদের পুরুষভীতি কিংবা পুরুষ বিদ্বেষ রয়েছে তারাও এটাকে একটা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে
এদের মধ্যে অনেকেই অভস্ত হয়ে উঠে....
leelen@gmail.com
মানতে পারলাম না। দেখি এই পয়েন্টের উপর কতখানি আলোচনা করা যায়।
তবে সামাজিক পার্ভাশনের ব্যাপারটা ঠিক বলেছেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নারী আর পুরুষের কামই একমাত্র প্রাকৃতিক
যা পৃথিবীর সকল পশু করে। যার মূল লক্ষ্য হলো বংশ বৃদ্ধি
যে কোনো প্রাণীর শরীরে একটা পর্যায়ে কাম ক্ষমতা তৈরি হয় এবং একটা সময়ে কাম ক্ষমতা আবার বিলুপ্ত হয়ে যায়
(কোনো প্রাণীই কাম-ক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। কিংবা জন্মের সময় তার কাম ক্ষমতা এ্যাকটিভ থাকে না)
নারী পুরুষের বাইরে কাম উদযাপন করে একমাত্র মানুষ। এবং এইসব কাম উদযাপনের সবগুলোই বুদ্ধিদীপ্ত উদ্ভাবন
(মাস্টারবেশন, ফোনসেক্স, ভিডিও সেক্স, পাপেট সেক্স, ওরাল সেক্স, এ্যানিমেল সেক্স... এবং হোমোসেক্স)
এবং যা কিছুই বুদ্ধিদীপ্ত উদ্ভাবন তার কোনোটাই প্রাকৃতিক হতে পারে না
প্রাকৃতিক গুণ বা বৈশিষ্ট্য শুধু সেগুলোই যেগুলোর বুদ্ধি দিয়ে নয় বরং শরীরের তাড়নায় এবং বিনা শিক্ষা/প্রশিক্ষণ/ইনফরমেশনে যে কোনো প্রাণী করতে পারে
(যেমন গরুর বাচ্চা গরুর মতো ডাকে, হাঁসের বাচ্চা সাঁতরায়, অতিথি পাখি আসে আর ফিরে যায়, বাঘের বাচ্চা শিকার করে মাংস খায় এবং সবাই সেক্স করার জন্য জুটি খুঁজে বের করে)
হোমো সেক্স প্রাকৃতিক হলে অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও তার উদাহরণ পাওয়া যেত
এইটা কি বললেন!? অরূপের লিংকটা দেখেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হোমোসেক্সুয়ালরা ন্যচারল সিলেকশনের সবসময়ই মাইনরিটি গ্রুপ হয়ে থাকবে। কিন্তু ব্যাপারটি অপ্রাকৃতিক না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
লিংকটা দেখলাম
এরকম কিছু বিষয় আমি আগেও পড়েছি কিন্তু মানতে পারিনি
আমার কাছে মনে হয়েছে যখন থেকে এলিটরা বিষয়টাকে প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ করা শুরু করেছে তখন এটাকে প্রাকৃতিক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য অনেকেই গবেষণা করেছেন
যাদের বাড়িতে গবাদিপশু আছে তারা অনেকেই দেখে থাকবেন মাঝে মাঝে ষাঁড় অন্য বলদ কিংবা ষাঁড়ের পিঠে চড়াও হয়
(অনেক সময় বলদও এই আচরণ করে)
কিন্তু এতে কি যৌনক্রিয়া হয়?
এখানে অরূপের লিংকটাতেও একটা প্রশ্ন দেখলাম
তা হলো এগুলোকে কি যৌন কর্ম বলা উচি নাকি সাধারণ খেলা কিংবা বিনোদন বলা উচিত?
বুদ্ধি দিয়ে আবিষ্কার করা কোনো কিছুই প্রাকৃতিক হতে পারে না
আমি এখনও এই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছি
ঠিকাছে। আলোচনা চলুক। আরও মতামত আসুক।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তালগাছ চাইছি না
আমি নতুন কোনো উদাহরণ কিংবা যুক্তি জানতে চাচ্ছি যা দিয়ে আমার ধারণাটকে আরেকবার যাচাই কিংবা পরিবর্তন করতে পারবো
আমার প্রশ্ন হলো, বুদ্ধি দিয়ে আবিষ্কার করার প্ররোচনাটা কি প্রাকৃতিক নয়? আবিস্কারের পেছনে মটিভেশনটা কি? সেই মটিভেশন কেন আসে?
মাস্টারভেশন যদি বুদ্ধিদীপ্ত উদ্ভাবন হয় তাহলে নারী-পুরুষের যৌনচারের উদ্ভাবন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বুদ্ধিদীপ্ত উদ্ভাবন হবে এবং সেই লজিকে একেও অপ্রাকৃতিক বলতে হবে।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
নারী পুরুষের যৌনাচার উদ্ভাবন নয় স্যার
প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার
এ ব্যাপারে হুজুর বা প্রীস্টের পার্ভাশনের কথাটিও আসতে পারে। তারা ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে কিভাবে শিশুদের জীবন নষ্ট করে দেয়!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি প্রতিষ্ঠানের নাম বলিনি
একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছি ওখানে
সেটা এটাই
শিরোনামটা একটু কেমন যেন লাগে।
"আপনি কি গে বা লেসবিয়ান"- কেউ যদি উত্তর দেয়, "না", তবে কি তিনি এই লেখা পড়ার উপযুক্ত নন? (আমি অবশ্য অতি উৎসাহের কারণে পড়ে ফেলেছি
বরফ
এরকম একটা প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে কুণ্ঠাবোধ হচ্ছে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কুণ্ঠাবোধ হবার কোনো কারণ নেই বোধ হয় কারো
বাংলাদেশে এখন এই বিষয়টা নিয়ে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কাজ করছে
তবে তারা প্রধানত কাজ করে এমএসএম (মেইল সেক্স মেইল)
নিয়ে
আমার জানামতে লেসবি নিয়ে এখানে কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করে না। হয়তো কোথাও করেও থাকতে পারে
তবে বাংলাদেশে এমএসএম দের আচরণ কিন্তু ইউরোপিয়ান কিংবা আমেরিকানদের থেকে আলাদা
এরা ব্যাকসাইড ইউজ করে খুব কম
এরা সাধারণত প্রতিপক্ষের (প্যাসিভ) উরুদেশ ইউজ করে
বিষয়টা দারুন। আমাদের এইখানেত এসব নিয়ে আলোচনাই হয়না।
এইডস নিয়া মাঝখানে আমি কাজ করছিলাম। তখন দেখেছি অবাধ যৌনাচারের মধ্যে এই বিষয়টারে সেভাবে যোগ করা হয়নি। অবাক হয়েছি। প্রশ্ন করেছি, যুতসই জবাব মেলেনি।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমার জানা মতে আরো এক ধরনের বিশেষায়িত আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্টানে এই শিল্পের চর্চা হয়।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ক্যাডেট কলেজ? আমার বন্ধুরা অবশ্য অস্বীকার করত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একটি বিশেষায়িত পেশায়ও এই বিষয়টা ঘটে
(এ্যানিমেল সেক্সও)
আর্মির কথা বলছেন নিশ্চয়ই?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হা হা। কঠিন টপিক।
সৌ অথবা দূর্ভাগ্যবশত আমি বেশ কিছু গে'কে সরাসরি চিনি। আমার চেনাজানা লোকজনদের মাঝেই আছেন ওরা। কয়েকজনকে আগে থেকেই জানতাম। কয়েকজনের ব্যাপারে জেনেছি বেশিদিন হয় নি। এবং এখন জানতে পেরে অবাক হয়েছি।
কারো কারো আচরণে বুঝা যায় বলে মনে হয় আমার। অন্তত আমরা অনেকেই বুঝতাম। কয়েকজনের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা সেগুলোকে কনক্রীট করেছিলো।
যাদের ব্যাপারে ধারণা করতে পারি নি, তাদের কথা পরে জেনে টাসকি খেয়েছি, বিশ্বাস হতে চায় নি।
এটাকে যে যেভাবেই দেখুক, আমার কাছে স্বাভাবিক কিছু মনে হয় না। তারা দোষী বা নির্দোষ কি না, অথবা এটা প্রাকৃতিক নাকি পরিবেশের চাপিয়ে দেয়া, ভাবনাগুলো এতদুরে যাবার আরো আগেই গা শিউরে একটা অনুভুতি হয়, তখন আর ভাবি না।
মজার ব্যাপার হলো, গে হিসেবে জানতাম, এমন তিনজনকে এখন জানি বিয়ে করে পুরোপুরি সংসারী। এই ব্যাপারটাও আমাকে বেশ অবাক করে। বাই-সেক্সুয়াল বলে একটা কথা আছে জানি, কিন্তু তারপরেও ঠিকঠাক হজম হয় না।
আলোচনা চলুক।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এ ব্যাপারে একজনকে চিনি। মেয়েটার সাথে বিয়ে হয় বুয়েট পাস করা একটা ছেলের সাথে। বিয়ের পর ধরা পড়ে ছেলেটা প্যাসিভ গে। তার এক্টিভ পার্টনার ঠিকই বিয়ে শাদী করে ঘর সংসার করছে। কিন্তু এই ছেলেটা শেষ পর্যন্ত সংসার করতে পারল না। বিয়েটা ভেঙ্গে গেল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভিন্ন সেক্সুয়াল অভ্যাসের বিষয়টা নিয়া কথা হয়তো কওন যায়...কিন্তু লেসবিয়ানিটি আর গে হওনের ব্যাপার দুইটা এক জিনিষ না সেইটা বুঝতে পারি।
এমএসএমগো এইচআইভি/এইডস শিখানের লেইগা কিছু কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়াল তৈরী করনের উদ্দেশ্যে আয়োজিত কর্মশালায় থাকনের অভিজ্ঞতা থেইকা কিছু কথা কইতে পারি। সেইখানে একজন চিকিৎসক তার লেকচারে কইছিলেন যে একজন পুরুষ সেক্সুয়াল হ্যাবিটে বাই সেক্সুয়ালিটির সম্ভাবনা নিয়াই জন্মায়। তার পশ্চাদ্দেশের নার্ভ সিস্টেমে আসলে পেনিস ইরেকশনের সমান উত্তেজনাই থাকে...যদি কেউ তার পশ্চাৎদেশে কিছু প্রবেশ করাইয়া এই উত্তেজনারে অনুভব করে তাইলে তার বাইসেক্স্যুয়াল হইয়া যাওনের সম্ভাবনা থাকে। তারমানে এই ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত বাইসেক্স্যুয়াল বা হোমোসেক্স্যুয়াল হওনের কোন সম্ভাবনা নাই। তাইলেতো বুঝেনই প্যাসিভ মানে কতি'গো উদ্ভব কেমনে হয়...তয় পাঙ্খিগো ব্যাপারটা ভিন্ন...নারীর vagina'র সাপেক্ষে পুরুষের পশ্চাদ্দেশের অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভিন্ন...আর তাতেও একটা ভিন্ন অভ্যাস তৈরী হইতে পারে।
তয় শরীরের রাজনীতি বিবেচনায় লেসবিয়ান বা অ্যাক্টিভ গে হয় বা হইতে পারে...সেইটার আলোচনা যতোটা শারীরিক তার চাইতে বেশি মানসিক...মনস্তত্ত্ব নিয়া আলোচনা অনেকটাই সামাজিক সংস্কৃতির বিবেচনা...সেইখানে অনেক কারনই ভ্যারিয়েবল হইতে পারে।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
তারমানে আপনি বলতে চান ব্যাপারটা প্রাকৃতিক। কিন্তু সামাজিক অভ্যাস ছাড়া এর বিকাশ হয় না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
কেবল প্যাসিভ গে'গো বেলায় এইকথা খাটে...সেইটা বলতে চাই...যেইকারনে প্যাসিভগো একটা বড় অংশ বাইসেক্স্যুয়াল...
আমাগো এক কলিগ সে দুই বাচ্চার বাপ...কিন্তু প্যাসিভ গে'তে পরিনত হইছে বছর তিনেক আগে...তার নাকি পিনাস ইনঅ্যাক্টিভ হইয়া গেছে...এই জটিলতায় সে এখন সবচাইতে বেশি সময় কাটায় অফিসে...কিছু কলিগ তার অ্যাক্টিভ পার্টনার হইছেও...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
এই ব্যাপারটার সাথে আরো অনেক বিষয় জড়িয়ে আছে। আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্ম, অভ্যেস, পরিবেশ। চিন্তা করতে গেলে প্রতিটা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় ব্যাপারটা বাঁহাতি-ডানহাতিদের মত। আমি অনেক ছেলেকে দেখেছি যারা বাঁহাতে খেলে কিন্তু লেখে ডানহাতে - তারা বলে ছোটোবেলায় লেখার অভ্যাস তৈরীর সময় জানত যে ডানহাতেই লিখতে হয়। তাই তারা ন্যাচারাল বাঁহাতি হলেও লেখে ডানহাতে। এই ডানহাতে লেখাটা সামাজিক অভ্যাস আর । সেক্সুয়ালিটিও কিছুটা সামাজিক ও কিছুটা জিনগত। কতটা সামাজিক আর কতটা জিনগত সেটার নিশ্চয় একটা অনুপাত আছে।
এবার যারা কিছুটা বিচ্ছিন্ন বা মুক্ত সামাজিক জীবনযাপণ করেন তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশী কারণ সেখানে সামাজিক প্রভাব কম। কিন্তু সব মানুষ ওই একই পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও সবাই কিন্তু হোমোসেক্সুয়াল হচ্ছে না, সুতরাং আরো কিছু ফ্যাক্টর আছে। আবার স্বাভাবিক সামাজিক জীবনযাপণ করা মানুষের মধ্যেও প্রচ্ছন্ন হোমোসেক্সুয়াল ভাব দেখা গেছে - তাই কিছুটা ব্যাপারটা জিনগতও বটে।
তবে বিবর্তনের পথে কিভাবে এই জিন টিঁকে আছে সেটা আমার মনে হয়না ঠিকঠাক জানা গেছে। বংশবিস্তারের পরিপন্থী বলে এই বৈশিষ্ট্য অনেক আগেই বিলুপ্ত হবার কথা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
তারমানে কি এই যে প্রাকৃতিকভাবে এইটা সাপোর্টেড না, সামাজিক নষ্টামিই এর কারন? কিন্তু সমাজতো প্রকৃতিরই একটা অংশ! প্রকৃতি যদি এই জীনগুলির জন্ম না দেয় তাহলে সমাজে এই নষ্টামী কারীদের জন্ম কিভাবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ব্যাপারটাকে নষ্টামি হিসেবে দেখা বোধহয় ঠিক না
এটাও মানুষের জীবন যাপনের এক বিকল্প উপায় উদ্ভাবন
পৃথিবীতে অনেক মানুষই করছে
অনেকেই করে
আর সমাজতো অনেক কিছুরই জন্ম দেয়। সভ্যতা কিংবা অসভ্যতা
প্রকৃতি কিন্তু সভ্যতার হিস্যা যেমন নেয় না অসভ্যতার দায়ও নেয় না
প্রকৃতিকে ভাঙিয়ে সমাজ চলে
কিন্তু প্রকৃতি জানেও না সমাজ নামে কোথাও কিছু একটা আছে
আমার ধারণা এটা মিশ্র-কারণ থেকে আসছে - প্রাকৃতিক আর জিনগত, আমি লেখায় লিখেছি সেটা। আপনারা লিংকটা ভাল করে পড়েন - ৩টে পয়েন্ট আছে তাতে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আরো একটা তথ্যসূত্র দিচ্ছি - টক অরিজিন এর প্রশ্ন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গে বা লেসবিয়ানদেরকে হিটারোসেক্সুয়ালরা কীভাবে দেখবেন, কেন দেখবেন, তার যুক্তি অনুসন্ধানই এই লেখার উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে।
যদিও চাকা পুনরাবিষ্কারেরই মতো কাজটা। তবে রিভিজিট করা খুব মহত্ কাজ। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়। নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
চলুক।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি, ভাই, পুরুষ-লেসবিয়ান - শুধু মেয়েদের ভালোবাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আলাপের শুরুতে 'মাছবিজ্ঞ' নামে সামহোয়ারে জনৈক 'জেনসাধু' কর্তৃক পোস্টকৃত একটি জেনগল্প এখানে তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
গল্পটি হচ্ছে:
"জুয়াং জু (খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতক) ও তাঁর বন্ধু একদিন নদীর তীর ধরে হাঁটছিলেন। 'দেখ দেখ, মাছগুলো কেমন সাঁতার কাটছে। সত্যি ওরা নিজেদের মধ্যে খুব আনন্দফুর্তি করছে', জুয়াং জু বললেন।
'তুমি কোনো মাছ নও। কাজেই প্রকৃতপক্ষে তুমি জান না তারা নিজেদের মধ্যে খুব আনন্দফুর্তি করছে কি না', বন্ধুটি টিপ্পনী কাটল।
'তুমি তো আর আমি নও। সুতরাং তুমি কী করে জানো যে মাছেরা নিজেদের মধ্যে আনন্দ করছে কি না এটা আমি জানি না ?', বললেন জুয়াং জু।"
এই গল্পটি পড়তে পড়তে আমি ভাবছিলাম, রূপকথার মতো যদি এই পরিস্থিতিতে মাছই কথা বলতে আরম্ভ করত, তাহলে প্রকৃত সত্যটা আমরা জানতে পারতাম।
এই পোস্টের 'গে' এবং 'লেসবিয়ান'দের ব্যাপারেও আমার তাই মনে হচ্ছে। একজন গে একজন লেসবিয়ান যদি এখানে কথা বলতে আরম্ভ করতেন, তাহলে আমরা সত্যি উপকৃত হতাম।
এবার আমি আমার মনে হওয়াটা জানাই, যে, প্রকৃত 'গে' এবং প্রকৃত 'লেসবিয়ান' অবশ্যই প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। পরিস্থিতির কারণে বা কৌতূহলবশত কখনো কখনো গে আর লেসবিয়ানের মতো আচরণকে প্রকৃত গে আর লেসবিয়ানের আচরণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে সত্য থেকে আমাদের অনেকখানি দূরে থাকার সম্ভাবনা প্রকট হবে মাত্র।
(আরো কথা আছে)
সবচেয়ে ভাল লাগল যে কথা
মনে করবার কারণ নেই যে, আমি 'গে' বা 'লেসবিয়ান'দের কেউ। যৌনকাজে আমি কেবল বিপরীত লিঙ্গকেই পছন্দ করি। কোনো 'গে' বা 'লেসবিয়ান' এখানে বলবেন, এই আশা জিইয়ে রেখেই আমিও এখানে কিছু দূরজানা কথাবার্তা বলতে চাই।
প্রসঙ্গক্রমে এই পোস্টের বিভিন্ন কমেন্টে মাদ্রাসা (পরোক্ষভাবে), ক্যাডেট কলেজ (প্রত্যক্ষভাবে)এবং আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ের (ভারতেশ্বরী হোমস) নাম এসেছে ; এর গূঢ় মানে হলো যে এসব স্থানে গেইজম ও লেসবিয়ানিজমের চাষ হয়। কোথাও কোথাও খুব আপত্তিকরভাবে বলা হয়েছে, যেমন 'ভারতেশ্বরী হোমসে অনেক লেসবিয়ান পয়দা হয়'। এভাবে বলায় আমার সায় নেই।
বস্তুতপক্ষে এই তালিকাটি অসম্পূর্ণ। যেখানেই বালক-বালিকাদের প্রায়বন্দিজীবন অতিবাহিত করতে হয় এবং তাদের মধ্যে যাদের যৌন ব্যাপারস্যাপারের এক ধরনের ওরিয়েন্টেশন থাকে, তারা কৌতূহলবশত/পরীক্ষামূলকভাবে/ঠেকায় পড়ে কখনো সখনো 'গে' কিংবা 'লেসবিয়ান' সম্পর্কে জড়াতে পারে। এমনকি এটা স্বল্পকাল বিরতিতে কিছুদিন নিয়মিতও হতে পারে। কিন্তু তাতেও বলা যাবে না যে ওই মানুষগুলো প্রকৃতপক্ষেই 'গে' অথবা 'লেসবিয়ান'।
হতে পারে, এদের মধ্যে কেউ কেউ এ ধরনের কামচর্চা খুবই এনজয় করল এবং ওই বন্দিজীবন সমাপ্ত হবার পরও ঠেকায় পড়ে পুনরায় কখনো এরকমটা করল। কিন্তু একসময় যৌনমরুময়তার বিরান ভূমিতে সে/তারা যখন যৌনমরুদ্যান আবিষ্কার করবে, তখন কৈশোর/প্রাকযৌবনকালীন ওইসব কর্মকে 'কী সব আজেবাজে কাজই না করেছি' ঠাওরাবে নির্ঘাৎ।
হ্যাঁ, সবার বেলায় এরকমটা হয় না। কেউ কেউ বিয়েই করে না, কারো কারো সংসার হলেও টেকে না। (আমার মনে আছে যে বিয়ে না করা এবং সংসার না টেকার অন্য নানা কারণও থাকে, সেগুলো এখানে বিবেচ্য নয়)। এরাই প্রকৃত 'গে' বা 'লেসবিয়ান'। এদের অবশ্যই জীনইন্ধন থাকে, থাকতেই হবে। তবে আমি মানি, ঘটনার লঘুতা বা গুরুতা
নির্ভর করে তার/তাদের পরিপার্শ্ব, পরিস্থিতি, অবস্থান, সংঘ, সংস্কৃতি ইত্যাদির উপর।
আমার জানামতে, ভবিষ্যৎ 'গে' বা 'লেসবিয়ান' যারা, তারা কৈশোরেই বোঝে না যে তারা 'গে' বা 'লেসবিয়ান'। তবে আচরণে অ্যাকটিভ বা প্যাসিভ যাই হোক, এরাই সাধারণত কোনো একটা সমসম্পর্কের ক্ষেত্রে প্ররোচক হিসেবে কাজ করে (যেখানে এরা থাকে)। যে বয়সে এরা নিজেদের চিনতে পারে, সে বয়সে তারা আর প্ররোচনার মাধ্যমে বাগে পাওয়াদের দ্বারা পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারে না। খুঁজতে থাকে তার মতো একজনকে, যে প্রকৃত।
আমি মনে হয় লেসবিয়ান!!
সারাজীবনই মেয়েদের নিয়ে চিন্তা করে গেলাম!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
বিবর্তনের ধারায় হোমোসেক্সুয়ালিটি জিনিসটা একটু ধাঁধায় ফেলেছে এথোলজিস্টদের, লেসবিয়ানিজম তাদের ততটা মনোযোগ পায়নি।
মানুষের পূর্বপুরুষের যূথবদ্ধ জীবন নিয়ে গবেষণা হয়েছে বেশ। মানুষের সাথে জিনগত বৈশিষ্ট্য শেয়ার করে অনেকাংশে এমন তিনটি নরবানরের যৌনজীবনকে তুলনা করা হয়েছে মানুষের সাথে। প্রাণীর গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনে যৌন চর্চা কয়েক ধরনের হতে পারে। মনোগ্যামি, পলিজিনি, পলিঅ্যান্ড্রি, অথবা যেমনখুশিতেমন। মানুষের সমাজে চারটাই আছে বিভিন্ন অনুপাতে। গরিলা ছোট একটা হারেম নিয়ে চলে, অর্থাৎ সীমিত পলিজিনি, ওরাং ওটাং বিশুদ্ধ মনোগ্যামি মেনে চলে, শিম্পাঞ্জির দুটি প্রজাতিই যেমনখুশিতেমন। বিজ্ঞানীরা এরপর এগিয়েছেন অন্য দিক দিয়ে। যদি একটি নারীর ওপর একাধিক পুরুষের অধিকার থাকে, তাহলে বংশরক্ষার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে স্পার্মের সংখ্যা বেশি থাকতে হবে, ফলে অন্ডকোষের আকার সীমিত পজিটিভ ফিডব্যাকের কারণে বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন প্রাইমেটের শরীরের ওজন আর অন্ডকোষের ওজনের লগারিদমিক অনুপাত নিয়ে দেখা গেছে, আসলেই তাই, শিম্পাঞ্জি এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে অনেক। মানুষের অবস্থান পলিজিনি আর মনোগ্যামির মাঝামাঝি, অর্থাৎ বিবর্তনের ধারায় মানুষের পূর্বপুরুষের সমাজে মনোগ্যামি ছাড়াও অন্য চর্চা ছিলো।
যখনই কোন গোষ্টীতে কোন পুরুষ একাধিক নারীর "দখল" নিতে পারছে, অন্য কোন পুরুষ বঞ্চিত হচ্ছে নারীসঙ্গ থেকে। এথোলজিস্টদের মধ্যে কেউ কেউ প্রস্তাব করেছেন, হোমোসেক্সুয়াল পুরুষরা এমন কোন জিন বহন করছেন, যা তাদের সমকামী করে তুলেছে, এবং এই জিন তারা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন সেইসব পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে, যারা গোষ্ঠীতে নারীর দখল নিয়ে কোনঠাসা ছিলেন, এবং যৌন চর্চা হিসেবে সমকামকে অনেকাংশে বেছে নিয়েছিলেন।
বেশ কিছুদিন আগে জিও-তে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম পশুর জগতে হোমোসেক্সুয়ালিটি নিয়ে। সেখানে সিংহ, হাতি, বানর এগুলির উদাহরণ ছিলো। ব্যাপারটা শুধু মানুষের চর্চা নয়।
জাতি হিসেবে আমরা যেভাবে একের পর এক গোয়ামারা খেয়ে চলছি, ইনডিভিজুয়াল হিসেবে হেটারোসেক্সুয়াল হয়েও তাই স্বস্তি নাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এই আলোচনায় ডঃ আলফ্রেড কিন্সে'র প্রসংগ আসা জরুরী । যারা জানেন তারা তো জানেনই-তার দীর্ঘ গবেষনার ফলাফল ।
সকল নারী-পুরুষের মাঝেই কমবেশী বিভিন্ন মাত্রায় বিপরীত লিঙ্গ এবং একই সাথে সমলিংগের প্রতি আকর্ষন কাজ করে । পরিবেশ,সামাজিক,ধর্মীয় ট্যাবুর কারনে অনেকে হয়তো সারা জীবনে কখনো সমলিংগের প্রতি আকর্ষনবোধ করার সুযোগই পায়না ।
যারা জানেননা তারা দেখে নিনঃ
লিংক-১
লিংক-২
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই লেখাটাও প্রাসঙিক।
A Male Sex Worker’s Story
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আলোচনার সামারী হচ্ছে যে বেশীরভাগ মানুষ মনে করেন সমকামীতা ব্যাপারটা প্রাকৃতিক নয়, অভ্যেস থেকে গড়ে উঠা। কেউ কেউ এটাকে সেমি প্রাকৃতিক বলেছেন। অর্থাৎ কারো কারো মধ্যে এটা থাকে কিন্তু অভ্যেস বা পরিস্থিতির শিকার না হলে সমকামীতা ডেভলপ করে না।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে কোন নারী ব্লগারের অংশ না নেয়া। তারা বিষয়গুলোকে কেন এড়িয়ে যান? তারা কি এখনও বিষয়টা মেনে নিতে পারেন না? নাকি মেয়েরা ট্রাডিশনাল সিস্টেমকে ভেঙ্গে বেরুতে পারেন না? নাকি মুক্ত চিন্তার চর্চাকে তারা এড়িয়ে চলতে চান, ভয় পান?
প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলা সহজ। কিন্তু সেটা নিজে ভাঙ্গাটা খুব শক্ত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মনে হয় নারীরা শারীরীক সর্ম্পক করতে ভয় পায় তাই তাদের এই লেসবিয়ান প্রীতি।একটা মজার কথা হোল আমি কিন্তু কোন লেসবিয়ান কেউ কুমারী বা হাইমেন সহ পাই নাই। এবং তাদের পুরুষদের সাখে রাত যাপন করার প্রচুর উদাহরন আমি দিতে পারবো। তাহলে আপনারাই বলেন এই খানে প্রাকৃতিক কি আছে???
নতুন মন্তব্য করুন