(এই লেখার কোন ঘটনা এবং চরিত্র মোটেও কাল্পনিক নয়। ঘটনাচক্রে কারো সাথে মিলে গেলে সেটা মোটেই কাকতালীয় হবে না।)
সেনারিও ১:
ইন্ডিয়ান ছেলে রাকেশ অনেক রাত করে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ করে একদল মাতাল মেয়ে তাকে ঘিরে ধরল। তাদের কথা হল চল আমাদের সাথে। রাকেশ বলল না না আমি দুঃখিত, আমার কাজ আছে। তখন আরেকটা বলল শোন আমার বুকে হাত দাও। রাকেশ আবার বলল দুঃখিত। একজন বলে উঠল, 'ফ... ইউ'।
সেনারিও ২:
গাগান একজন শিখ ছেলে। কিন্তু দাঁড়ি টাড়ি মিলিয়ে তাকে এক মুসলিমের চেয়ে কম মনে হয় না। প্রায়ই রাস্তা দিয়ে আসার সময় হুশ করে গাড়ী চালিয়ে চলে যায় কিছু পোলাপান, যেতে যেত শুনিয়ে যায় অমৃত বানী - 'ফ... ইউ'।
সেনারিও ৩:
সুমন একটা গাড়ী কিনবে। ক্রেইগলিস্ট নামের একটা ওয়েবসাইট থেকে একটা গাড়ীর অফার দেখে ফোন করল। আমেরিকানটার সাথে একটা দুটা কথার পর গাড়ীর মাইলেজ কত জিজ্ঞেস করতেই 'হাই মাইলেজ' বলে ঠাস করে ফোন রেখে দিল। রাস্তায় কয়েকবার তাকেও 'ফ... ইউ' জাতীয় কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার আকস্মিকতায় সুমন হা হয়ে গেল।
সেনারিও ৪:
সুমন আর মৌটুসী শুক্রবার রাতে দাওয়াতে গিয়েছিল। বাই-সাইকেলে করে রাত বারোটা নাগাদ ফিরার পথে তাদের নিজেদের এপার্টমেন্টে ঢোকার পর একদল ছেলের সাথে দেখা। 'হোয়াসসাপ' এর বদলে সুমনও উত্তর দিল 'হেই হোয়াসসাপ'। এক ছেলে বলে উঠল 'ইউ আর গনা গেট বিটেন নাও'। সুমন ঠিক রিয়েলাইজ করতে করতে বাইসাইকেলে বেশ কিছুদুর এগিয়ে গেছে। সুমন ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই সেই ছেলেটা হাত তুলল - এমন একটা ভঙ্গিতে যেন কিছুই হয়নি।
ভেঙ্গে পড়ে সবকিছু - শিক্ষা, মানবতা বোধ, জীবন নিংড়ে নেয়া মূল্যবোধ - সব সব কিছু। অসীম শুন্যতা থেকে ধেয়ে আসতে দেখি একটি বিরক্তিকর মাছি। বার বার কাছে চলে আসে। প্রবল মাথা ঝাকাঁই, ঝেড়ে ফেলতে চাই - পারিনা। আঘাত করি, সরাতে চাই - যায়না। প্রবল বেগে মাথা ঝাঁকাই, আর পাগলের মত বলতে থাকি - হ্যাঁ হ্যাঁ আমি - আমিই রেসিস্ট।
২০০৬-০৬-২৭
মন্তব্য
রেসিস্ট কাহাকে বলে সেইটা মাশীদ ভালো জানে এখন
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নির্বোধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
পোস্ট চাই
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বহুকাল পূর্বেই উদভ্রান্ত ব্লগে উপরোক্ত লেখাখানা পড়িবার সুযোগ লভিয়াছিলাম বলিয়া প্রতীয়মাণ হইতেছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
দুর্দান্ত লাগল বস...
অসাধারণ লাগল...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শেষ প্যারাটা অসাধারন।
থ্যাঙ্কস আপনাদের।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বিপ্লব-স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই রেসিস্ট!
একটা স্মরণীয় কবিতার লাইনকে এরকম খারাপভাবে টুইস্ট করলাম। কারণ মৌলবাদ, রেসিজম এখন বিপ্লবের সমার্থক হয়ে যাচ্ছে এসবের আমলকারীদের কাছে। কমিউনিস্টদের শ্লোগান ছিনতাই করে নিয়েছে জামাত শিবির। শক্তির বিনাশ নাই, রূপান্তর আছে!
.....................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ভালই কইছেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুবই মামুলি ব্যাপার এগুলো । আবারো বলি খুবই মামুলি ব্যাপার এগুলো । এর থিকা মারাত্মক ব্যাপার ঘটে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শুওরের বাচ্চারাই সভ্যতার নামে জিতে গেলো খুব!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কানাডা-ইতো ভাল তাইলে। গত চার বছরে আমাদের মত চামড়ার উপর এমন হয়েছে শুনিনি।
নতুন মন্তব্য করুন