আইডিয়া: সচলায়তন বাংলা ওয়েবসাইট এওয়ার্ড ২০০x

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শনি, ২২/১২/২০০৭ - ১:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(অনেক আগে এই আইডিয়া মাথায় আসে। সচলায়তন হয়ত এখন যথেষ্ট শিশু এধরনের পদক্ষেপ নেবার ক্ষেত্রে। তবু শিশুরাও মাঝে মাঝে দুঃসাহসীক কিছু করে বসে বৈকী।)

ইদানীং বেশ কিছু বাংলা ওয়েবসাইট গড়ে উঠেছে। দিনদিন ওয়েবাসাইটের পরিমান এবং ধরনের বৈচিত্র্য আরো বাড়ছে। ওয়েবসাইটগুলোর পরিচিতি, তাদের ভালো দিকগুলো, খারাপ দিকগুলো আলেচনা এবং একটি মানদন্ডে বিচার করলে তারা আরো ভাল করতে পারবে। উপরন্তু নতুন ওয়েবসাইট আসলে তারাও এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আরো ভালো কিছু করতে পারবে। এই লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেই সচলায়তন বাংলা ওয়েবসাইট এওয়ার্ডটি চালু করা যেতে পারে।

ওয়েবসাইট হিসেবে সচলায়তন পিচ্চি হলেও যারা এই প্রসেসের দায়িত্বে থাকবেন তাদের বাংলা ওয়েবসাইট নিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবেই এই এওয়ার্ডটি গ্রহনযোগ্যতা পাবে। তাছাড়া গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সচলায়তনের অংশগ্রহন না নেয়া এবং অন্য কোন ওয়েবসাইটের সাথে যৌথ উদ্দ্যোগে এটা করা যেতে পারে।

ওয়েবসাইট বাছাই
(২০০x-১)-২০০x সময়কালে যে সমস্ত বাংলা ওয়েবসাইট গড়ে উঠেছে তাদের নিয়ে এই আয়োজনটি করা হবে। বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষা সর্ম্পকিত ইংরেজী ওয়েবসাইট এর আওতায় পড়বে না। আবার পশ্চিমবঙ্গীয় বাংলা ওয়েবসাইটও এই এওয়ার্ডের অধীনে আসবে। ইউনিকোড এবং নন-ইউনিকোড সাইটকে এর অধীনে বিবেচনা করা হবে। তবে কর্মাশিয়াল সাইট যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবসায়িক এবং মিউজিক বা ভিডিও প্রচারকারী ওয়েবসাইটগুলো এর অধীনে আসবে না।

ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস বা ইয়াহু ব্লগগুলো এর অধীনে আসবে না। কেননা এগুলো মূলতঃ ইংরেজী ওয়েবসাইটে একজনের ব্যক্তিগত দিনলিপি।

খবরের কাগজগুলো একটা বড় অংশ দখল করে বাংলা ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে। সেগুলো বিবেচনায় আনলে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো প্রাধান্য পাবে না। আবার সেগুলো বাদও দেয়া যাবে না, কেননা তারা বাংলা ওয়েবসাইটগুলোর একটা অন্যতম অংশ দখল করে। তাই এই এওয়ার্ডে দুটি ক্যাটেগরী করা হয়েছে। এক: বাংলা খবরের ওয়েবসাইট। দুই: বাংলা অন্যান্য ওয়েবসাইট।

সংক্ষেপে যে সমস্ত ওয়েবসাইট কনসিডার করা হবে তাদের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:
১। ৯৫-১০০ % কনটেন্ট বাংলায় হতে হবে
২। ইন্টারফেইস মূলতঃ বাংলায় হতে হবে
৩। স্বন্তন্ত্র ওয়েবসাইট ডোমেইন থাকতে হবে
৩। সদস্য সংখ্যা ৫০ বা ততোধিক হতে হবে
৪। ব্যবসায়িক বা মিউজিক/ভিডিও প্রচারনার সাইট হতে পারবে না
৫। ওয়েবসাইটটিকে (২০০x-১)-২০০x সময়ে এক্টিভ থাকতে হবে

এওয়ার্ড পদ্ধতি
ওয়েবসাইট বাছাই সম্পন্ন হলে একদল বিচারক এই ওয়েবসাইটগুলো যাচাই বাছাই করে একসেট বিভাগ অনুযায় সংখ্যায়িত করা হবে। বিচারক থাকবেন মূলতঃ ৫ জন। তারা প্রতিযোগীতায় জড়িত কোন ওয়েবসাইটের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। তাদের এক বা একাধিক বাংলা ওয়েবসাইট দীর্ঘদিন (কমপক্ষে ১ বছর) ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

নিম্নলিখিত বিভাগ অনুযায়ী একটি ওয়েবসাইটকে ১-৫ এর মধ্যে নম্বর দেয়া হবে:

  • ইন্টারফেইস
  • কার্যক্ষমতা
  • জনপ্রিয়তা
  • প্রকাশিত লেখার মান
  • ভবিষ্যত বৃদ্ধির প্রবনতা
  • ইউনিকোড ভিত্তিক লেখা

এই কয়টি বিভাগে বিচারকগন ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে নাম্বার দিবেন। তারপর সবগুলি সংখ্যার গড় করে বাছাই করা হবে সেরা তিনটি ওয়েবসাইট।

বিচারকদের বাইরে একজন অর্গানাইজার এবং একজন টেক হেল্প ব্যক্তি থাকবেন। অর্গানাইজার বিচারকদের থেকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করবেন, সেগুলো যাচাই করবেন এবং শেষমেষ ফলাফল ঘোষনা করবেন। টেক হেল্প ব্যক্তি এই ব্যাপারে সমস্ত টেক সাহায্য প্রদান করবেন।

সেরা তিনটি ওয়েবসাইটের প্রথমটিকে ফোকাস করে বিচারকদের দুজন একটি করে এবং বাকিদুটি ওয়েবসাইটকে ফোকাস করে বাকি দুজন বিচারক একটি করে লেখা পুরষ্কার দেবেন।

প্রস্তাবনা
আমি আপনাদের কাছে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরলাম। আপনার ভালো মন্দ পছন্দ অপছন্দ তুলে ধরুন।

ওয়েবসাইট হিসেবে প্রাথমিক ভাবে আমার মাথায় আসছে:

  • সামহোয়ারইন ব্লগ
  • গুরুচন্ডালী
  • সচলায়তন
  • বীক্ষন
  • হাজার-দুয়ারী
  • বাংলা উইকিপিডিয়া
  • প্রজন্ম.কম
  • ...

খবরের কাগজ হিসেবে:

  • বিডিনিউজ২৪
  • প্রথম আলো
  • সমকাল
  • ইত্তেফাক
  • ...

বিচারক হিসেবে:

  • শোহেইল মতাহির চৌধুরী
  • হাসান মোরশেদ
  • আরিফ জেবতিক
  • মু: জুবায়ের
  • জ্বিনের বাদশা
  • অমিত আহমেদ
  • আনোয়ার সাদাত শিমুল
  • হাসিব
  • সুবিনয় মুস্তফী
  • ...

আপনাদের কাছে প্রশ্ন
১। এই উদ্দ্যোগ কতটা গ্রহনযোগ্য? গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে কি করা যেতে পারে?
২। যৌথ উদ্দ্যোগে করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত? অর্থাৎ আরেকটি ওয়েবসাইট এর সাথে যৌথ ভাবে।
৩। প্রতিযোগী হিসেবে আয়োজক সচলায়তনের অংশগ্রহন কতটা যুক্তিযুক্ত?
৪। কত ঘনঘন এটা করা যায়? ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ২ বছর?
৫। এটাকে আকর্ষণীয় করতে আর কি করা যেতে পারে?
৬। আর কোন কোন ওয়েবসাইটকে নেয়া যেতে পারে?
৭। বিচারক হিসেবে আর কাকে কাকে অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে?


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ওয়েবসাইটকে পুরস্কার দেয়ার আগে আমরা বিভিন্ন বাংলা টুল এর জন্য পুরস্কার ঘোষণা করতে পারি। টুলগুলির মধ্যে কনভার্টার, ফন্ট, ডিকশনারি, থিসরাস, স্পেলচেকার ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কনভার্টার, ফন্ট আর কির্বোড লেআউট ছাড়া বাকি ব্যাপারগুলিতে উল্লেখযোগ্য কোন কাজ হয়েছে কি? তবে আইডিয়া হিসেবে বেশ।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হিমু এর ছবি

কাজ হয়নি, তবে হওয়াতে হবে। নতুন কীবোর্ড লেআউট আর ফন্ট নিয়ে অনেক কাজের সুযোগ এখনও আছে চোখ টিপি ... আর বাকিগুলি নিয়ে কাজ হওয়া বেশ জরুরি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

১. আরো ভাবতে হবে।
২. যৌথ উদ্যোগে করতে গেলে জটিলতা কিছুটা বাড়বে। আরেকটি ওয়েবসাইট নয়, বরং অন্য কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুগপৎ করা যেতে পারে।
৩. আয়োজক সচলায়তন প্রতিযোগী হিসেবে কোয়ালিফাই করে না।
৪. বার্ষিক।
৫-৭. ভেবে ভেবে বসে বসে লিখে লিখে দাঁড়েতে
ঝিমঝিম টনটন ব্যথা করে হাড়েতে ...


হাঁটুপানির জলদস্যু

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

১। উদ্দ্যোগ খুবই পছন্দ হয়েছে। এরকম কিছু একটা থাকা উচিত। সচলায়তন এর আয়োজক হওয়া মানেই প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরে যাওয়া। সেই চিন্তা থেকে মনে হয় অন্য কেউ কাজটা করলে ভাল হত। তবে একই সাথে এটাও বিবেচ্য যে সচলায়তনের সম্মিলিত 'হুশ' বা 'কমন সেন্স' সচলায়তনের দেওয়া পুরষ্কার গ্রহনযোগ্য হবে বেশি।

২। যৌথ উদ্দ্যোগ হলে সবচেয়ে ভাল হয়। সেক্ষেত্রে রেশারেশি, দলাদলির ভয়টাও চলে আসে। প্রাথমিক ভাবে আলাপ করে দেখতে পারেন সবাই মিলে গ্রহনযোগ্য ব্লগারের একটি প্যানেল করা যায় কিনা। যদিও বিদ্যমান বাস্তবতায় আমি কিছুটা সন্দিহান এই ব্যাপারে।

৩। '১'-এই জবাব দিয়েছি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি সচলায়তনের এই উদ্দ্যোগ নেওয়া উচিত, এবং নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত। 'সেরা ওমুক পুরষ্কার' জাতীয় কোন কিছু সচলায়তনের লক্ষ্য নয়। কোনদিন ধরে-ধমকে লোক আনার মত কিছুও সচলায়তন করেনি। সুতরাং, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে উদ্দ্যোগের পক্ষে এবং সচলায়তনের প্রতিযোগী হবার বিপক্ষে।

৪। বাৎসরিক।

৫। এই ঘরানায় এই ধরনের প্রথম প্রতিযোগিতা হিসেবে এমনিতেই কিছু আবেদন থাকবে। আপাতত ব্যাপারটা ফুল্প্রুফ করতে পারলেই হল।

৬। বe -এ বিপ্র আর শামীম ভাই মিলে কিছু ভাল লিংক দিয়েছিলেন।

৭। প্যানেলের প্রতিটা নামই পছন্দ হয়েছে খুব। ওপার এবং ঐ বাড়ি থেকেও কিছু নাম সংযোজন করা যায় মনে হয়। এই কয়টি নাম বাদে আর কারো কথা মাথায় আসলে ব্যাক্তিগত মেসেজ করে দেওয়া যায় 'সচলায়তন'-কে। নচেত অহেতুক বিব্রতকর পরিস্থিতি হতে পারে। ব্লগ এরিনার বাইরে থেকেও কাউকে কাউকে অতিথি বিচারক করা যায় প্রতি বছর।

* সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখা ব্লগকে বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া উচিত। উদাহরন, আরিফ জেবতিকের ব্লগ।

* বাংলায় ব্লগ লেখার সুযোগ মাত্র কিছুদিন হয় হল। এর আগে যারা অন্যত্র বাংলায় লিখেছেন/লিখতেন, তাদের অহেতুক শাস্তি দেবার কারণ দেখি না। ব্লগস্পট, ইয়াহু৩৬০, ইত্যাদিতে লেখা সত্যিকার সমৃদ্ধ বাংলা পোস্টগুলোকেও বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করি।

আপাতত এটুকুই থাক...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার অবজার্ভেশন! বাকীদের আলোচনাও কামনা করছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

৪। সচলায়তন যুক্ত হতে পারে তবে এর ফলে বিচারকদের উপর দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। আমি বলব সচলায়তনও প্রতিযোগী হতে পারে এবং সেটা বেশ সাহসিকতার পরিচয় হবে।
৫। প্রচারেই প্রসার। তাই প্রচার দরকার।
৬। বাংলার যত সাইট আছে তাদের সবাইকেই নিতে হবে। তার জন্য সবাই মিলে সাইটের নাম জমা দিয়ে তার একটা সম্পুর্ণ লিস্ট তৈরী করতে হবে। সেখান থেকে পরে ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী যারা বাদ পড়ার সেগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে।
৭। আর হ্যাঁ, বিচারক হিসেবে আমাকে নিতেই হবে। টেক নলেজ তেমন নাই তবে বাংলা সাইট বানানোর অভিজ্ঞতা একেবারে খারাপ না (প্রায় ৫০ বছর) (শেষের শূন্যটা বাদে) খাইছে

জনপ্রিয়তাকে মানদন্ড হিসেবে নিচের দিকে রাখাই ভাল। জনপ্রিয়তা শক্ত কোন মানদন্ড নয় বলে মনে হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনাকে তো তাহলে নিতেই হয়। হাসি

জনপ্রিয়তা বলতে মোট সদস্য সংখ্যা বুঝিয়েছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রানা মেহের এর ছবি

বাংলা ওয়েব সাইট কে
পুরষ্কার দেয়া টা কেন যেন
ছেলেমানুষী মনে হচ্ছে।
যদি প্রযুক্তি হিসেবে দিতে হয়
তবে বিষয়ভিততিক দেয়া উচিত।
যেমন বাংলা ইন্টারফেইসের জন্য একটা ক্যাটাগরি।

জনপ্রিয়তা কিংবা সদস্যসংখ্যার বিচারে
যতটুকু জানি এখনো সামহোয়্যার অনেক এগিয়ে।
প্রযুক্তির দিকেও তাদের চেষ্টা অনেক ভালো।
এখন এভাবে বিচার করে তাদের যদি সেরা পুরষ্কার দেয়া হয়
তবে বাংলাদেশের ইতিহাসের ব্যাপারে তাদের যেই
কষ্টদেয়া অবস্থান
তাকে কি পরোক্ষভাবে প্রচারনা দেয়া হয়না?

এখানে সামহোয়্যার শুধু একটা উদাহরন। অনেক সাইটেই এই সমস্যা আছে।

এর থেকে কি বাংলা লেখা কে প্রমোট করা যায়?
সবগুলো বাংলা সাইটের কিছু ভালো লেখা কে
পুরষ্কার দেয়া হলো।
সেটা বিভিন্ন বিষয়ে হতে পারে।
যেমন টেকনোলজি কিংবা সচেতনতা।

সচলায়তন আয়োজক হতেই পারে।
তারপরো এখানে এমন অনেকই আছেন যারা
সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য।
নন টেকনিক্যাল লোকজন ইন্টারনেটে খুব জড়িত না থাকলেও বিচারক থাকতে পারেন তাদের পরিচিতির কারণে।
তবে আরো সাইট কে সংগে নিলে অধীক সন্যাসী তে
গাজন নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে।

ষবকিছুর পরও এই পুরষ্কার নিয়ে বিতরক থেকে যাবে।
কোন কিছুই সবার কছে সমান গ্রহনযোগ্য ন্য়।
আয়োজক এবং বিচারক রা এই সমালোচনার
প্রস্তুতি রাখলে ভালো করবেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার দারুন ইনপুটের জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে ক্রাইটেরিয়ার কথা বললেন সেটাকে "কনটেন্টের আকর্ষণীয়তা বা গ্রহনযোগ্যতা" নামে একটা ক্যাটেগরীতে আনা যায়। আর "ওয়েটেড পয়েন্টস" পদ্ধতিতে এটাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড় করানো যায়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রানা মেহের এর ছবি

ওয়েটেড পয়েন্টস মানে কী?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মনে করেন, একটি ওয়েব সাইট সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে পেল ১০০তে ৭০, লেখার গুনগত মানে পেল ১০০ তে ৯০, টেকনিক্যাল মানে পেল ১০০ তে ৮০। তাহলে সাধারনভাবে সেই ওয়েব সাইট পেল গড়ে (৭০+৯০+৮০) ভাগ ৩ = ৮০।

কিন্ত ধরেন আপনি চাইলেন লেখার গুনগত মানকে অন্যগুলোর তুলনায় দ্বিগুন ধরতে। তাহলে হিসেবটা হবে
(৭০ গুন ১ + ৯০ গুন ২ + ৮০ গুন ১) ভাগ (১ + ২ + ১)
= (৭০ × ১ + ৯০ × ২ + ৮০ × ১) ÷ ৪ = ৮২.৫

এখানে সংখ্যাগুলোর উপর একটা ওজন (২) দেয়া হয়েছে। তাই অন্য সংখ্যার তুলনায় ঐ সংখ্যার গুরুত্ব বেড়ে গেছে এবং গড়েও পার্থক্য চলে এসেছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্রাইটেরিয়ার সাথে একজন ব্লগারের ক্রাইটেরিয়া তো ভিন্ন হবে। এটা কিভাবে ওয়েবসাইট ইভালুয়েশনে সাহায্য করবে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেজওয়ান এর ছবি

বাংলাদেশে এরুপ উদ্যোগ আগে নেয়া হয়নি বলে আপনার প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে কিছূ বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
বেশ কয়েকটি এরুপ আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট এওয়ার্ড দেখার পর আমার কিছু উপলব্ধি হয়েছে।

এরুপ এওয়ার্ড সাধারনত: দুই প্রকারের। এক প্রতিযোগিতামূলক অর্থাৎ নমিনেশন নেয়া হবে পাঠকদের কাছ থেকে। অধিক সংখক নমিনেশন পেলে চুড়ান্তভাবে বাছাই হবে। তার পর পাঠকদের ভোটে বিজয়ী নির্ধারন। এর সুবিধা হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন। পক্ষপাতিত্বের তেমন সুযোগ নেই । আর অসুবিধা হচ্ছে পদ্ধতি বেশ জটিল। ভোটে কারচুপির সম্ভাবনা (একই পাঠকের একাধিকবার ভোট) প্রবল এবং এটি ঠেকানো বেশ কষ্টের।

অপর পদ্ধতি হচ্ছে জুরি বোর্ড ঠিক করে দেয়া এবং তাদের দ্বারা সাইটের মুল্যায়ন। সুবিধা হচ্ছে খুবই কম সমস্যাবহুল এটি। নির্বাচন পদ্ধতি মেকানাইজড নয় বলে ভুল হবার সম্ভাবনা কম। আর অসুবিধা হচ্ছে পক্ষপাতিত্বের প্রবল সম্ভাবনা। অনেক ভাল সাইট বাদ পরে যাওয়ার সম্ভাবনা।

এখন মূল বিষয় হচ্ছে এই প্রতিযোগীতার উদ্দেশ্য আসলে কি। সাধারনত: প্রতিযোগীতা হয় দুই কারনে। এক ভাল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দুই লোকের কাছে পরিচিতি করানো।

আমার মনে হয় এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে যদি কোন অর্থসহ সম্মাননা না দিতে পারা যায় তাহলে ঐ ধারনার পেছনে ছোটায় লাভ নেই। তবে হ্যা বিশ্বের অনেক ব্লগ এবং ওয়েবসাইট এওয়ার্ড দেয়া হয় ভাল সাইটকে সবার কাছে পরিচিতি করানোর জন্যে। এর ফলে অনেকে জনপ্রিয়তা পায়। বাংলায় এখন পর্যন্ত যে চমঃকার ওয়েবসাইটগুলি হয়েছে তাদের সবার কাছে পরিচিতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এওয়ার্ডটি আয়োজন করতে পারি।

একটি মজার ঘটনা বলি। ইন্ডিব্লগিজ এওয়ার্ডস ২০০৬ (ভারতীয় ব্লগারদের জন্যে এওয়ার্ডস) এ আমাকে জুরি বানানো হলো। বলা হলো বাংলা ব্লগগুলো থেকে সেরাটি নির্বাচন করব আমি। পরে দেখি খবর নাই। খোঁজ নিয়ে জানলাম ওদের বাংলা ওয়েবসাইট ক্যাটেগরিতে কোন নমিনেশনই জমা পরেনি। বড়ই মন খারাপ হয়েছিল সেবার।

এখন আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি:

১। এই উদ্দ্যোগ কতটা গ্রহনযোগ্য? গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে কি করা যেতে পারে?

উদ্যোগটি ভাল কিন্তু পুরোপুরি গ্রহনযোগ্য করতে ফরম্যাট নিয়ে আরও ভাবতে হবে। যেমন সদস্য সংখ্যা ৫০ এর অধিক হতে হবে বলে একটি অবাস্তব বার দিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে ব্যক্তিগত বা ছোট গ্রুপ ব্লগগুলো বা ছোট সাইট বাদ পরে যাচ্ছে।

২। যৌথ উদ্দ্যোগে করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত? অর্থাৎ আরেকটি ওয়েবসাইট এর সাথে যৌথ ভাবে।

এটি সময়ই বলবে। যদি প্রয়োজন হয় এবং উভয় পক্ষ রাজী থাকে তবে এটি হতে পারে। তবে কোন উদ্যোগের জন্যে একের শক্তিই যথেষ্ট যদি ডেডিকেশন থাকে।

৩। প্রতিযোগী হিসেবে আয়োজক সচলায়তনের অংশগ্রহন কতটা যুক্তিযুক্ত?

আয়োজকদের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন এথিকালী উচিৎ নয়। তবে বিশেষ বিবেচনায় আসতে পারে যদি বাইরের কেউ জুরি থাকে।

৪। কত ঘনঘন এটা করা যায়? ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ২ বছর?

১ বছর হলেই যথেষ্ট এর কম হলে চাপ পরে যাবে। এর বেশী হলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

৫। এটাকে আকর্ষণীয় করতে আর কি করা যেতে পারে?

অনেক কিছুই করা যেতে পারে। মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে প্রচার চালানো যেতে পারে। তবে ভেবে দেখতে হবে প্রথমে উদ্দেশ্যটা কি?

৬। আর কোন কোন ওয়েবসাইটকে নেয়া যেতে পারে?

আমার মনে হয় এভাবে ক্যাটেগরী করেন। বাংলায়...

১) সেরা ব্লগিং প্লাটফর্ম। (সচলায়তনেরও আশা উচিৎ বিবেচনায়)
২) সেরা গ্রুপ ব্লগ
৩) সেরা পার্সোনাল ব্লগ
৪) সেরা অনলাইন ম্যাগাজিন
৫) সেরা একটিভিস্ট সাইট (নিসর্গ: বাংলায় প্রকৃতি ইত্যাদি)
৬) সেরা বিজ্ঞান সাইট (বিজ্ঞানী.কম ইত্যাদি)
৭) সেরা ফোরাম (প্রজন্ম ফোরাম ইত্যাদি)
৮) সেরা প্রতিষ্ঠান সাইট (বাংলা একাডেমী ইত্যাদি)
৯) সেরা বাংলা টুল (অভ্র, মুর্শেদের ইউনিকোড কন্ভার্টার ইত্যাদি)
১০) সেরা ফটো ব্লগ
১১) জুরি এওয়ার্ড
১২) সেরা খেলার সাইট (বাংলা ক্রিকেট ইত্যাদি)
১৩) সবচয়ে সুন্দর ডিজাইন
১৪) সেরা বাংলা রিসোর্স (বাংলা উইকিপিডিয়া, বাংলায় কোরান শরীফ অনলাইন ইত্যাদি)
১৫) সেরা বানিজ্যিক সাইট (বইপাড়া ইত্যাদি)
১৬) সেরা বাংলা পত্রিকা

এমন অনেক বিষয়ই আসতে পারে।

৭। বিচারক হিসেবে আর কাকে কাকে অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে?

ক্যাটেগরী ভিত্তিক বিশেষ জ্ঞান আছে এমন ব্যক্তিদের বিচারক করা যুক্তিযুক্ত।

মন্তব্যটা মনে হয় বড় হয়ে গেল। বিরক্তি উৎপাদন করলে ক্ষমা করবেন।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দারুন! দারুন!! আপনার এক্সপার্ট মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিচারক মন্ডলীর মধ্যে আপনাকেও রাখা উচিৎ।

আলোচনা চলুক। বাকিরা কি বলে দেখি। রেজওয়ান ভাইয়ের মন্তব্যের কোন সমালোচনা আছে কি কারো?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রানা মেহের এর ছবি

মোরশেদ - ধন্যবাদ ওয়েটেড পয়েন্টস এর ব্যাখ্যার জন্য।
তবে আমি এখনো সাইট কে পুরষ্কার দেয়া থেকে
লেখক কে সম্মান দেয়া কে বেশী ভোট দেবো।
তবে রেজওয়ান ক্যাটাগরিং ভালো হয়েছে।

সচলায়তন আয়োজক হলে খুব ভালো।
একটাই সমস্যা এর সেরা লোকগুলো
বেশীর ভাগই প্রবাসী।
অবশ্য পুরো ব্যাপারটা তদি ভারচুয়াল হয়
তবে অন্য ব্যাপার।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

থার্ড আই এর ছবি

আমার মনে হয়না এধরনের প্রতিযোগিতার সময় হয়েছে। তবে আইডিয়ার বীজ বপন হতে আপত্তি নেই। সচলের নিয়ম নীতির মধ্যে থেকে সদস্য সংখ্যা বড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছি। আর প্রতিযোগিতা যদি করতেই হয়। শুরুতেই সচলদের মধ্যে উৎসাহ জাগাতে
বর্ষ সেরা লেখক
বর্ষ সেরা মন্তব্য বাজ
বর্ষ সেরা অসচল
সেরা ভ্রমন কাহিনী
সেরা চলচিত্র সমালোচক
সেরা সংবাদ (তাইলে হয়তো আমি চইল্যা আসতে পারি!!)
সেরা মুক্তিযুদ্ধের গল্প
সেরা কবিতা
সেরা গল্প
সেরা ছবি
সেরা চটি সাহিত্যিক
.................. এরকম ১৫ টি ক্যাটাগরীতে সম্মাননা দেয়া যেতে পারে। তাহলে সচলের ব্লগারদের মধ্যে একটা আকর্ষনবোধ বাড়বে। লেখায় বৈচিত্র আসবে , নতুন নতুন লেখক উৎসাহিত হবে।
এবং সেরা দের সেরা সেরা লেখা গুলো নিয়ে বছর বছর ই -বুক....... আরো কতো কিস্যু........
এসব এর জন্য প্রথমেই বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে সর্টলিষ্টেড নমিনেশন হবে তার পর সচলে পোষ্টের মাধ্যমে ভোট অংশ নেবেন পাঠক,লেখক ও অতিথি লেখকরা। তবে যিনি নমিনেশন পাবেন তিনি নিজেকে ভোট দিতে পারবেন না।
-----------------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সুশান্তদা আর আপনার কথা মোটামুটি একই - ওয়েবসাইট পুরষ্কারের আগে একটা সদস্য পুরষ্কার টাইপের কিছু করতে হবে। হুমম... চিন্তিত

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে আমি অনেক আগে একট প্রস্তাব দিয়েছিলাম , সেটি ছিল সচলায়তন ব্লগিং পুরষ্কার নামে একটা বার্ষিক পুরষ্কারের ঘোষনা দেয়া । যাই হোক , সেরা বাংলা ওয়েবসাইট এর বিষয়টিও ভালো লেগেছে । কিন্তু বেশি ক্যাটাগরাইজড করে ফেললে একটু বিপদ আছে , অনেকগুলো ক্যাটাগরীতে একের বেশি প্রতিযোগী পাওয়া যাবে না ।

২. যৌথ উদ্যোগে করাকে সমর্থন করি । তবে সচলায়তনের পাশাপাশি অপর আয়োজক হতে হবে একটি মিডিয়া । দেশে বিভিন্ন কম্পিউটার ম্যাগাজিন আছে , তাদের কাউকে সহ আয়োজক করলে প্রচারে ভালো হবে ।

৩. বিচারক প্যানেল নিয়ে একমত নই । সচলায়তনের পক্ষ থেকে একজন থাকতে পারেন ,সবাই থাকার দরকার নেই । তার পাশাপাশি কিছু বাইরের এক্সপার্টকে প্যানেলে রাখা দরকার ।যেমন :

ক . একজন কম্পিউটার সায়েন্সের টিচার ।
খ. একজন চারুকলা ব্যাকগ্রাউন্ড টিচার ।
গ. একজন তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক ।
ঘ. একজন টিভি স্টার ।( ??)
ঙ. সচলায়তনের টেকী প্যানেল থেকে দুইজন ।
চ. ওয়েব ভিত্তিক বাংলা ইউজারদের থেকে একজন ।

৪ . পুরষ্কার কী হবে ? অর্থমূল্য থাকবে ? নাকি ক্রেস্ট এন্ড সার্টিফিকেট ?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার আইডিয়া ভালই। তবে আপনি যত বড় পরিসরে চিন্তা করছেন আমি অত বড় পরিসরে চিন্তা করছি না। যেমন ধরুন এক্সপার্ট প্যানেলের ব্যাপারে আমার শক্ত দ্বিমত আছে।

ক . একজন কম্পিউটার সায়েন্সের টিচার ।
এই পাগল গুলাকে খামাখা এই বিষয়ে জড়ানোর কোন মানে নাই। এমনিতেই পুলাপাইন গুলিরে দৌড়ের উপর রাখে। তারউপর এরকম একটা ব্যাপারে তাদের ইনভলভ করলে স্কুল ছাত্রের গ্রেডিংয়ের মত ভুল ধরা শুরু করবে।

খ. একজন চারুকলা ব্যাকগ্রাউন্ড টিচার ।
ঠিকাছে। তবে উপরোক্ত সমস্যা না থাকলেই হয়।

গ. একজন তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক ।
ঠিকাছে।

ঘ. একজন টিভি স্টার ।( ??)
এ্যাঁ!!! আমরা তো আর বিখ্যাত লোকের ছোঁয়ায় বিখ্যাত হইতে চাইছ না!

ঙ. সচলায়তনের টেকী প্যানেল থেকে দুইজন ।
দুইজন? চিন্তিত

চ. ওয়েব ভিত্তিক বাংলা ইউজারদের থেকে একজন ।
ঠিকাছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বড়ো পরিসরে উদ্যোগ নেয়াটা ঝামেলার । কিন্তু বিষয়টি হলো , আপনি যদি ছোট পরিসরে কাজটি করেন ,তাহলে পুরষ্কারের আবেদনটিও ছোট হবে ।

পুরষ্কারটি কারা দিয়েছে সেটি প্রচারের দরকার আছে । প্রচার ছাড়া পুরষ্কারের আবেদন কম । সেই প্রচারে আবার আরিফ জেবতিকের মূ্ল্যায়নে পুরষ্কার দিলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবে না ।

আমার আরেকটি প্রস্তাব হচ্ছে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে একটা ধন্যবাদ পুরষ্কার জাতীয় কিছু দেয়া ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি আওয়ামীলীগের সমর্থক নই , কিন্তু হাসিনা তনয়ের ব্লগিংয়ের চেষ্টটা আমার ভালো লেগেছে ।
তাকে একটা ধন্যবাদ পুরষ্কার দেয়ার মাধ্যমে আমরা হয়তো এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে পারি যে , আগামীর নেতাদেরকে আমরা ইন্টারনেট নির্ভর দেখতে চাই এবং সহজেই মেইল অথবা কমেন্টের মাধ্যমে তাদের সাথে মত বিনিময় করতে চাই ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জয়কে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে খানিকটা প্রচারও হবে। চলুক

হিমু এর ছবি

এই প্রস্তাবটির বিপক্ষে মত দিচ্ছি। রাজনৈতিক নেতারা চেনেন লেজুড়বৃত্তি, তোষণ এবং আনুষঙ্গিক রাজনৈতিকামো। সচলের পুরস্কারের তোয়াক্কা বা মূল্যায়ন তারা করলে দেশের এই পরিস্থিতি হতো না। এই প্রচেষ্টাকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের তোষণ হিসেবেই দেখবে সবাই। সে প্রচেষ্টা থেকে সচল সবসময়ই বিরত থাকবে বলে আশা রাখি। ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একমত।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আরিফ জেবতিক এর ছবি

তা অবশ্য সত্যি ।
সাদামনে করলেও এটা পরে কালোমনে প্রচার পাবে ।
কে জানে দেখা যাবে হয়তো , সচলায়তনকেই আওয়ামীলীগের সাইট হিসেবে পরিচয় দেবে বাইরের অনেকেই ।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটি একটি অত্যন্ত ফন্ডোডাস আইডিয়া। গুগল সামার কোডের মত একটি ব্যাপার। কিন্তু বাংলা টুলস ডেভলপমেন্ট আর বাংলা ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্টে পুলাপাইন গুলিরে উৎসাহ দেয়া হবে। জোস্ ‍‍!!!!!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কনফুসিয়াস এর ছবি

আরো কিছু ওয়েবসাইট আসতে পারে বিবেচনায়ঃ

১। বাংলালাইভ - www.banglalive.com
২। সৃষ্টিঃ www.sristi.tk
৩। জন্মযুদ্ধঃ www.jonmojuddho.org
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইবার মনে হয় এই মন্তব্য গুলিকে কম্পাইল করে একটা পোস্ট দেয়া যেতে পারে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।